
সোনেলা, সোনেলা, অতঃপর সোনেলা; সোনেলার জন্ম-মাসে সব্বাই নিজের মত করে অনুভূতি ব্যক্ত করেই চলছে,
বোধ করি আরও কিছুকাল অব্দি তা জারি থাকবে, থাকুক থাকুক, ভাল লাগছে তো বেশ।
প্রকারান্তে সমস্যাটি হচ্ছে, এত সুন্দর করে সবাই আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করেছেন তাতে হিংসে করতে ইচ্ছে হচ্ছে। অবশ্য হিংসে করার সমর্থ নিয়েও সন্দিহান হচ্ছি। আবার কিছু-মিছু লিখতে-ও ইচ্ছে হচ্ছে, সেখানে কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন মনির ভাই, নো আউল-ফাউল লেখা-ফেখা! এহেন দৈব দুর্বিপাকে কী না কী লিখি/লিখব ভেবে আকুল হয়ে-ও পিছু না হটে গাজী গাজী বলে শুরু করে দিলাম………
সোনেলা কে কখন কী-ভাবে কেমন করে নির্মাণ ও নির্মাণ পরিকল্পনা শেষে বাস্তবায়ন করেছিলেন তা আমরা ইতোমধ্যেই এর একমাত্র কুশলী-কলাকারের নিজ মুখেই শোনার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। বিধাতা তাঁকে অগুন্তি পিতৃ -ডাক শোনার পরম সৌভাগ্য দান করুন, এ দোয়া আমরা সবাই করি।
সোনেলার ঝকঝকা তকতকা অঙ্গশ্রী (বহিঃ/অন্তঃস্থ) বি-নির্মাণ ঘোষণার অভিনবত্ব নিয়ে একটি আধ-খেঁচড়া টাইপ লেখা এখানেই আছে, লেখকের কারণে নয়,কলাকার-দ্বয়ের প্রতি অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য একটু চোখ বুলিয়ে নেয়াই উত্তম।
“ঝিনুক নীরবে সহো
ঝিনুক নীরবে সহো, ঝিনুক নীরবে সয়ে যাও
ভিতরে বিষের বালি, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।”………আবুল হাসান।
নরম সুঘ্রাণ-কুঠারে গলা এলিয়ে/বাড়িয়ে দিয়ে লিখতে চেয়েছি, লিখতে শুরু করেছি কবে-কখন,তা ভাল করে মনে নেই আর। মূলত পাঠক, ভুলক্রমে লেখার চেষ্টা,আষ্টেপৃষ্ঠে ক্রমাগত বেঁধে রেখেছে। নিজের অপূর্ণতার/অপরিপক্বতার কথা ভেবে লেখা ছেড়েছি বহুবার, লেখা আমাকে ছাড়েনি। এখানে হয়ত প্রকাশ করিনি, নিজ মনে লিখেছি নিজের কাছে নিজের আনন্দ/বেদনার কথা নিজেকে শোনানোর জন্য।
বিষের বালি চিনি-না/দেখিনি, তাই দেখা হয়নি মুক্তোমালা। সোনেলাকে রেখেছি হৃদয়ের গভীরতম গভীরে অসংখ্য যোদ্ধা আপন জনের সাথে, সুগোপন হিরণ্ময় সুখের শিকড়ে; সাত-মহলা নম্র-হাততালির তোয়াক্কা না-করেই। মোহন মন্ত্রের বিশাল শোরগোল তুলে নয়, হেমিলনের মিনমিনে বাঁশিতে; বিভ্রান্ত-ভ্রান্তির হইচই-হীন ইস্পাত স্থিরতায়, মিষ্টি মিষ্টি সম্মিলনে, স্মৃতির প্রতিবিম্বিত দীঘির পথ-পরিসরে প্রতিধ্বনিত হয় আলোকের আনন্দ-গুঞ্জন।
৩৪টি মন্তব্য
তৌহিদ
সোনেলা এগিয়ে যাক তার নিজের রক্তিম প্রাতঃসূর্যের নিবিড় আলোকবিন্যাসে, সোনেলার মুক্ত আকাশে পাখিরা ডানা মেলুক প্রজাপতির ছন্দে এই কামনাই করি।
কুশলী কলাকার ভালো থাকুক, ভালো রাখুক প্রিয় সোনেলাকে। অবশেষে লিখলেন!! ভালোবাসা একরাশ।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের সবাইকে নিয়ে সোনেলা এগিয়ে যাবে নবতর সোপানে
এ আশা হৃদয়ে ধারণ করি আমি/আপনি/আমরা সবাই।
কলাকার-ই আমাদের দেখে শুনে রাখে, রাখবে-ও এমন আশাই রাখি।
হ্যা, লিখলাম, কী আর লিখতে পারলাম! শুভেচ্ছা আপনাকেও।
ইঞ্জা
সোনেলার সবচেয়ে প্রবীণ ব্লগারের লেখাতে সোনেলাকে নিয়ে কত কথায় না শুনার কথা, কিন্তু তা না করে কবিরাজ কি করিলো?
কুবিরাজ ধন্যবাদের ঝাপি খুলে কোবতের চরণ আওড়িয়ে লেখা শেষ করলো, ধ্যাত এই কি ছিলো মোদের কপলে? 😕
ছাইরাছ হেলাল
আপনারা সবাই লিখেই আর কিছু বাকী রাখেন-নি, যা নুতন করে লিখতে পারি।
না বলা, না শোনানোর কিছুই আর বাকি নেই, এত এত লিখে লিখে।
ভাল থাকবেন আমাদের সাথে আপনিও।
ইঞ্জা
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ভাইজান। 😍
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও আবার ধন্যবাদ, ভাই।
জিসান শা ইকরাম
আনন্দ বেদনার কাব্য: সোনেলা, আমার কাছে।
একসাথে ছিলাম, আছি, থাকবো।
জয়তু সোনেলা,
ছাইরাছ হেলাল
সোনেলা এগিয়ে যাবে তার নিজ গুণ নিয়েই।
আমরা সাথেই থাকব।
আরজু মুক্তা
সোনেলা এগিয়ে যাক নিজের মতো করে।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্য-ই এগিয়ে যাবে আপনাদের সহমর্মিতায়,
এ কামনা ধারণ করি মনে প্রাণে।
রেহানা বীথি
প্রতিধ্বনিত হোক আলোকের আনন্দ-গুঞ্জন। শুভকামনা আপনার এবং সোনেলার জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি/আপনারাই সোনেলার আলোক-স্তম্ভ,
আপনাদের দেখানো পথেই সোনেলা এগিয়ে যাবে।
ভাল থাকুন সারাক্ষণ।
রোবায়দা নাসরীন
ব্লগ এবং ব্লগাপরিবারের জন্য শুভকামনা ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি/আপনাদের জন্য-ও শুভকামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
সকলের লেখা উপস্থাপনে সুঘ্রান ছড়াক। আপনার কাব্য সকলের মাঝে মুঘধতা পোছে দিক। সকল পাঠক পাক পাঠে ত্রিপ্তি। আর সোনেলা তার আলোক ছটায় সকলের সাথে থাক হৃদয় জুড়ে।
সোনেলা উঠানে সবাই হয়ে উঠুক সুসাহ্যিতিক।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের সবার হৃদয় জুড়েই সোনেলা থাকুক চির অম্লান।
সে আস্থা আমরা সবাই রাখি।
রেজওয়ান
অসাধারণ অভিব্যক্তি ভাই❤
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
রেজওয়ান
ভাল থাকুন সবসময় ভাই😇
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ দিলাম।
নিতাই বাবু
সোনেলা তাঁর সোনালি ডানা মেলে মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়াক, এই কামনাই করি। জয়তু সোনেলা!
ছাইরাছ হেলাল
সেই সোনালি ডানায় ভর করে আমরা সবাই উড়বো মুক্ত আকাশে এক-ই সাথে,
এ আশা প্রাণে-ই রাখি।
শাহরিন
সোনেলার জন্য নিজে এ কত সহস্র সময় আর মেধা দিয়েছেন সেটা কিন্তু উল্লেখ করেন নাই।
ছাইরাছ হেলাল
গুজবে কান ফেলবেন-না, মোটেই!
সোনেলা সোনেলাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
কত কিছু লেখা বাকি আছে আপনার তাই ভাবছি। সোনেলার জন্মমাস আর আপনি বসে থাকবেন ধাঁনসিঁড়ি আগলে তা কি হয়!!! আরো বেশি করে লিখুন, আমরা ইতিহাস জেনে ধন্য হই।
হিংসা করা কিন্তু ভালো না, এতে মনের ভেতর গ্যাস্ট্রিক হয় 😜
ছাইরাছ হেলাল
অনেক লেখা বাকি আছে এই আনকাট তথ্য আপনি কৈ পান! আজিব!
এর মধ্যে আবার ধানসিঁড়ি এল ক্যাম্নে কে জানে!
ইতিহাস তো বায়ুমণ্ডলে খাবি খাচ্ছে! আপনি সেখান থেকে তুলে নিন ইচ্ছে মত।
দাক্তারের সাহায্য নিন, অবশ্য নিজে দাক্তার হলে, কথা অন্য!
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহাহা, তথ্য ভুতে যোগায়। ধানঁসিড়ির কিনারায় পা ডুবিয়ে বসে আছেন, খবর কিন্তু হেড লাইনেই ছিলো।
মহারাজ, আপনি পুকুরের পানি সহ পদ্মের পাতা নীল বানালেন ক্যামনে? একটু টিপস দিন, কাজে লাগাই।
হিংসে!!!!!! ওতা আমি করিনা। শুধু জেলাসি টাই দিনদিন বাড়ছে। ইতিহাস লিখতে এত্তো গুণ লাগে!? 😉
ছাইরাছ হেলাল
আনাজ-পাতি খেয়ে দ্রুত ‘সোনালা’ লেখা দিন।
আপনার ভয়েই- তো ‘ধানসিঁড়ি’ লিখি-না।
আমার দেয়া কোন ছবি-ই এডিট করি না, শুধু আকারে-প্রকারে ছোট করি মাত্র।
ও পাতা অমন-ই। বড় ছবি আর-ও অনেক সুন্দর। ম্যানিলায় তোলা এ ছবি।
গুণ তো নেই-ই, তাই দেখাতেও পারিনি/পারিনা।
দ্রুত শুরু করে দিন।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমিতো শুরু করার জন্য হাতে পতাকা নিয়ে রেডি, আপনি সদয় হয়ে বাঁশিতে একটা ফুঁ দিলেই হয়ে যায় 😊😊
ছাইরাছ হেলাল
কী পতাকা আল্লাহ মালুম!
মনির হোসেন মমি
তাই !! শুক্রবারটা আমার অফ লাইন থাকায় মন্তব্যে আসতে পারিনি মহা রাজ! কিন্তু আজ এসেও মন্তব্য লিখতে পারছি না মহা রাজ! এমন সুন্দর অনুভুতির কিছু বলার জো নাই- শুধু বলব বেচে থাকুক আমাদের সোনেলা,বেচে থাকুক হাজারো বছর আমাদের সোনেলার গুরু মহাদেবরা আমাদের অন্তরে ভালবাসায় স্ব-যতনে।
সোনেলা জন্ম মাস
যেন হয় এক সাথে চলার শুভ কামনার মাস।
ছাইরাছ হেলাল
শুক্র/শনি ব্যাপার না মনির ভাই, এলেই হয় সময় করে।
আপনি/ আপনারা আছেন বলেই সোনেলা আছে/থাকবে।
অবশ্যই এক সাথে চলা অব্যাহত থাকবে, যেমন ছিল।
অশোকা মাহবুবা
আপনার লেখার ভক্ত তো সেই প্রথম থেকে। আপনার মত শব্দভান্ডারে পরিপূর্ণ এবং দূর্দান্ত কথাসাহিত্যিক আরেকজনকে পেয়েছিলাম এই সোনেলাতেই। কবির লড়াই ছিল যেমন, ঠিক তেমনি আপনাদের দুজনের আলোচনা সমালোচনা তর্ক বিতর্ক পড়তে পড়তে কোথা দিয়ে কেমন করে যে সময় কেটে যেত জানতে পারতাম না। আফসোস যে তার নামটা ভুলে গেছি। আপনাদের কবির লড়াই দেখে তখন লজ্জা পেতাম যে এনাদের মাঝে আমরা কারা! এনাদের এত সমৃদ্ধ লেখার মাঝে আমাদের লেখাগুলো যেন লেখার স্পর্ধার মত মনে হতো। আবার আপনার সেই দূর্দান্ত লেখনি পড়তে পেরে ধন্য হলাম। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি বলছি, আপনার সাথে আবার লেখালিখি করছি ভাবতে ভালই লাগে।
সে সব বাদ যাক, আবার লিখুন মনের আনন্দে আগের মত।
লজ্জা দিতে চাইলে আপত্তি জানাচ্ছি। নাদান পাবলিক মাত্র।
অনেক ধন্যবাদ