সেদিন আরিয়ান জোর করা সত্বেও আমি তাকে তার আন্টির সাথে দেখা করাতে নিয়ে যাই নি। অভিমানী আরিয়ানের সাথে আজ পথ চলা—-
– বাবা তুমি ভালো না।
– কেন?
– তুমি আমাকে আন্টির কাছে নিয়ে যাও নি।
– আমি নিয়ে যাইতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তোমার আন্টি তো মানা করে দিলো।
– কেন?
– তোমার আন্টি বললো তার নাকি লজ্জা করে তোমার সামনে আসতে।
– লজ্জা কি বাবা?
– বড় হও তখন বুজবা বাবা।
– বাবা আমি বড় হবো কবে?
– এইতো আর বেশিদিন না বাবা।
– বাবা আমি বড় হয়ে যখন লজ্জা মানে কি জানবো তখন কি আন্টি আমার সাথে কথা বলবে?
– হ্যাঁ, অবশ্যই বলবে।কেন বলবে না।
– আচ্ছা বাবা সবাই ছোট বাচ্চাকে কষ্ট দেয় কেন?
– কই দেয় না তো।
– দেয় তো বাবা।তাই তো ছোটদের সাথে মা দেখা করতে চায় না। আন্টি লজ্জা পায়।কিন্তু কেউ ছোটদের কথা ভাবে না।
– চলো সামনে মাকে দেখি।
– আমি জানি বাবা আজও মাকে পাবো না।
– কিভাবে বুজলে তুমি?
– মা আমি বড় না হওয়া পর্যন্ত কোনদিন আসবে না।জানি আমি।
– কিন্তু তার আগেই আমরা খুজে বের করবো বাবা।
– আচ্ছা বাবা আন্টি প্রতিদিন রাতে কেন আসে? দিনে কেন আসেনা?
১৪টি মন্তব্য
শিরিন হক
নানান প্রশ্ন বাচ্চাদের মনে আসে তারই প্রকাশ লেখনিতে।
শুভকামনা রইলো
রাফি আরাফাত
ধন্যবাদ আপু।
মনির হোসেন মমি
অজস্র প্রশ্ন শিশুমনে।কিছু প্রশ্নের কোন উত্তর জানা থাকে না।চলুক।
গল্পের প্রথমে অথবা শেষে পূর্বের লিংকটি দিয়ে দিবেন।
রাফি আরাফাত
ধন্যবাদ ভাই
আরজু মুক্তা
টানাপোড়ন এ জীবন এগোয় সবার
রাফি আরাফাত
হুম আপু ভালো থাকবেন
ছাইরাছ হেলাল
ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে।
রাফি আরাফাত
দেখি কি হয় ভাই। ভালো থাকবেন
প্রদীপ চক্রবর্তী
শিশুমনে নানা প্রশ্ন।
জটিল থেকে জটিলতর।
রাফি আরাফাত
জি দাদা। জটিলতার শেষ নাই।
জিসান শা ইকরাম
কত সহজ সরল প্রশ্ন!
ভালো হচ্ছে লেখা।
রাফি আরাফাত
ধন্যবাদ
শাহরিন
ছোটরা মাঝে সহজেই কঠিন কথা বলে ফেলে।
রাফি আরাফাত
জি আপু ভালো থাকবেন