
ছেলেধরা গুজব দেশজুড়ে এখন চরম আতংকের নাম। শিশুচোর বা ছেলেধরা গুজব আর সন্দেহের বশে নিরীহ মানুষকে গণপিটুনি দেয়া এবং এরই মধ্যে অনেকের প্রাণ হারানোর খবর এখন আমাদের দেশের জনমনে এক ভীতিকর অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
পদ্মা সেতুতে মাথার প্রয়োজন এমন গুজবে দেশজুড়ে আতঙ্কের নাম এখন গণপিটুনি। মাছ বিক্রেতা, স্কুলে মেয়েকে পড়ানোর জন্য তথ্য খুঁজতে গিয়ে প্রাণ হারানো মা, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি কেউই রেহাই পাননি এই জনরোষ থেকে। সবাইকেই অকাল মৃত্যুর স্বাদ বরণ করতে হয়েছে।
বাংলাদেশে সেতু নির্মাণ বা এরকম বড় কোন স্থাপনা নির্মাণ কাজে নরবলির গুজব নতুন নয়। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক হিসাব অনুযায়ী, এ বছরের জুন পর্যন্ত ছয় মাসেই গণপিটুনিতে মারা গেছেন ৩৬ জন। আর গত চার দিনেই প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন।
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের জন্য মানুষের মাথা লাগবে বলে যে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে, তার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া একটি গুজবের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে বলা হয়। সেতুর নির্মাণকাজের অগ্রগতি তুলে ধরে ঐ বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয় যে ব্রিজ নির্মাণে মানুষের মাথা প্রয়োজন হওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি গুজব।
পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য ঐ অঞ্চলের কাছে বেশ কয়েকটি এলাকায় বিভিন্ন বয়সী মানুষ অপহৃত হচ্ছে বলেও গুজব ছড়িয়ে পড়ায় কিছু এলাকায় মানুষের মধ্যে ভিত্তিহীন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলে দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবরও বের হয়।
গুজব ছড়িয়ে একটি মহল জনগনের মধ্যেভীতি সঞ্চার ও আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এতে ভবঘুরে ,নিরীহ ও অপরিচিত ব্যাক্তি মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে ।
গণপিটুনি রোধে মন্ত্রণালয় থেকে যে নোটিশ জারি করা হয়েছে তা এখনো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। এগুলো সব মানুষের কাছে যাতে পৌঁছায় তার ব্যবস্থা নেয়া অতীব জরুরী।
গুজব হচ্ছে সত্য, মিথ্যা আর কুসংস্কারের এক অদ্ভুত মিশেল। মিথ্যেকে এমন ভাবে সত্যের সাথে মিলানো হয় যাতে জনসাধারণ সেটাকেই সত্য বলে ধরে নেয়। আর আবেগপ্রবণ বাঙালিরা হুজুগে মেতে ওঠে বারংবার। হালের এই ছেলেধরা গুজব এখন দেশে এক অদ্ভুত রকম অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
আমাদের মনে রাখা উচিত গুজবের পিছনে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল থাকে। আরেকদল এই গুজবকে কাজে লাগায়। পদ্মা সেতু ইস্যুতেও আমরা একটি অভিন্ন রূপ দেখতে পাচ্ছি এই ছেলে ধরা গুজবে।
এবার আসুন মব সাইকোলজি সম্পর্কে জানি-
ইতিহাস বিবেচনা করলে দেখা যায়, পৃথিবীর প্রায় সব এলাকার শাসকরাই তাদের প্রজাদের ওপর নিষ্ঠুর অত্যাচার করেছেন। শাসকদের সেসব অত্যাচারের কাহিনীও কালের বিবর্তনে মানুষের মুখে মুখে বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন হলেও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বিদ্যমান থাকায় সরলমনা মানুষ সেগুলো বিশ্বাস করে।
সফলভাবে ব্রিজ তৈরি করতে পিলারের নিচে মানুষের মাথা দিতে হবে – আবহমান কাল থেকে মানুষের মধ্যে প্রচলিত এই কুসংস্কার নিয়ে বাংলা সাহিত্যে বেশকিছু গল্পও রয়েছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে যেসব গল্প শুনে আসে, কোনো ধরণের যাচাই ছাড়া সেগুলো বিশ্বাস করার প্রবণতার কারণেই এই প্রযুক্তির যুগেও সেসব গল্প সত্যি বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
যখন একটি সমাজে নির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে আতঙ্ক বা নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয় তখন তারা এক ধরণের মানসিক অবসাদে ভোগে। সেই থেকেই মানুষের মধ্যে এ ধরণের সহিংসতা দেখা দেয়।
মনোরোগবিদ মেহতাব খানম এই গণপিটুনির মানসিক প্রবণতাকে “মব সাইকোলজি” হিসেবে উল্লেখ করেন।
কুসংস্কার বিশ্বাস করে একজন মানুষের হঠকারীমূলক এমন প্রবণতাকেই সাইকোলজির ভাষায় মব সাইকোলজি বলা হয়।
এর কারন কি?
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তী বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন-
তিনি মনে করেন বাংলাদেশের দেশের শাসনব্যবস্থার ঐতিহাসিক পটভূমি এবং গ্রামাঞ্চলের মানুষের চিন্তাধারা পর্যবেক্ষণ করলেই এর কারণ বোঝা সম্ভব।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখবেন আমাদের এই অঞ্চল বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন রাজা, সম্রাটদের মত বিভিন্ন ধাঁচের শাসকদের অধীনে ছিল। নানা কিংবদন্তীমূলক কাহিনী, আবহমান কাল ধরে চলে আসা জনশ্রুতি এবং স্থানীয় সংস্কৃতিতে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন গল্পের ওপর বিশ্বাস করার প্রবণতা মানুষের মধ্যে প্রবল।
কথিত আছে, ১৫৮০ সালের দিকে মৌলভীবাজারে কমলার দীঘি তৈরি করার সময় দীঘিতে যখন পানি উঠছিল না, তখন রাজা স্বপ্ন দেখেন যে তার স্ত্রী দীঘিতে আত্মবিসর্জন দিলে পানি উঠবে এবং পরবর্তীতে রাজার স্ত্রী আত্মাহুতি দেয়ার ফলেই ঐ দীঘিতে পানি ওঠে। দিনাজপুরের রামসাগর তৈরিতেও একই ধরণের কিংবদন্তী প্রচলিত রয়েছে।
এসব ঘটনার কোনো প্রামাণিক দলিল বা সুনিশ্চিত ঐতিহাসিক প্রমাণ না থাকলেও শত শত বছর ধরে মানুষের মুখে মুখে চলে আসার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে এধরণের গল্পের একটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়।
সুস্মিতা চক্রবর্তীর মতে, এ ধরণের গুজব যেন না ছড়িয়ে পড়ে তা নিশ্চিত করার একমাত্র পদ্ধতি, ব্রিজ নির্মাণের খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালকের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে বিস্তারিত জানানো।
জনগণের কাছে তথ্যপ্রবাহকে যতটা অবারিত করা হবে, সাধারণ মানুষকে ধোঁয়াশা থেকে মুক্ত করার জন্য যতবেশি প্রয়াস নেয়া হবে, ততই এধরণের গুজব তৈরি হওয়া এবং ছড়িয়ে পড়া কমবে।
এছাড়া বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সব বিষয়েই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হওয়ার প্রবণতা থাকার কারণেও এধরণের গুজব তৈরি হয়।
এই পর্যন্ত ছেলেধরা গুজব সন্দেহে যেসব মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে; যাদের রোষানলে এমন ঘটনা ঘটছে তাদের কেউই কিন্তু আসল তথ্য না জেনেই এমন করেছে বা করছে। আশ্চর্য হই, বিংশ শতাব্দীতেও মানুষ গুজব বিশ্বাস করে এমন হঠকারী মূলক সিদ্ধান্ত নিয়ে হত্যার মতন ঘটনা ঘটাচ্ছে!
যারা এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধি যেমন মেম্বার, কাউন্সিলর, এবং স্থানীয় সরকার ও এমপিরা যদি এলাকায় জন সচেতনতামূলক কথা বলেন যে, এগুলো গুজব এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া অপরাধ এবং তারা আইনের আওতায় আসবে। তাহলে মানুষ ভয় পাবে এ ধরণের কিছুতে জড়ানোর আগে। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত কর্মকতাদের আরও তড়িৎকর্ম হওয়া অতীব জরুরি।
আমার কথাঃ
কেবল সন্দেহের বশে একজন মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। আইন নিজের হাতে তুলে নেবার এই প্রবণতা বাংলা সিনেমাকেও হার মানিয়েছে। যারা এমন গর্হিত কাজ করছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
একবার চিন্তা করুনতো, যাদের প্রাণ গিয়েছে অন্যের সন্দেহের বশে তারা কি আর ফিরে আসবেন? তাদের পরিবার পরিজনদের কি হবে? হয়তো এই একটি মানুষের উপার্জনেই চলতো তার পুরো পরিবার। যদি কাউকে সন্দেহ হয় তাহলে তাকে পুলিশে দেওয়া উচিত। পুলিশই তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারবে। তা না করে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। এসবের ইন্ধন দাতাদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
পদ্মা সেতুর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্ক সবসময়ই ছিল। কাজেই এর নির্মাণকাজ নানভাবে পন্ড করার চেষ্টা করে কোনো একটি মহল রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের চেষ্টা করতেই পারে; বিশেষ করে যখন আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে সব বিষয়কে কেন্দ্র করেই বাজে রাজনৈতিক লড়াই তৈরি করার প্রবণতা রয়েছে।
দেশজুড়ে বন্যা, হত্যাযজ্ঞ, মিন্নি-রিফাত, প্রিয়া সাহা এসবের সাথে যুক্ত হয়েছে মাথাকাটা আতঙ্ক আর ছেলেধরা গুজব। অদ্ভুত এক অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে পুরো দেশে। পিতা-মাতা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতেও ভয় করছেন ভাবা যায়!
সতর্ক থাকুন চোখ কান খোলা রাখুন। কেউ একজনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে আর আপনি দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছেন, মোবাইলে ভিডিও করছেন- কতটা অমানবিক আপনি! যদি আপনি নিজে কিংবা আশেপাশের কেউ মব সাইকোলজিতে আক্রান্ত বলে মনে হয় তাহলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিজে নিন, অন্যকেও নিতে সহায়তা করুন।
ধর ধর! কান নিয়ে গেল চিলে বলে চিৎকার করে চিলের পিছনে সবাই মিলে না ছুটে নিজের মাথার দুই পাশে কানকে স্পর্শ করে দেখুন ঠিক আছে কিনা? তবেইতো আপনি বিবেকসম্পন্ন প্রকৃত বুদ্ধিমান মানুষ। বিষয়টি গভীরভাবে ভেবে দেখবেন সবাই।
তথ্য সূত্রঃ
* বিবিসি নিউজ, ডেইলি স্টার, প্রথম আলো, যুগান্তর এবং GTV নিউজ।
২০টি মন্তব্য
রাফি আরাফাত
কি আর করার বলেন, মানুষগুলো কেমন জানি হয়ে গেছে। আজ সবাই দেশকে বাঁচাতে ব্যাস্ত,কিন্তু সবাই পাগল হয়ে গেছে, আসলে সবাই দেশ বাঁচাতে গিয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ গড়তে গিয়ে, জনমানবহীন শান্তিপূর্ণ এক বাংলাদেশের জন্ম দিবে খুব দ্রত।
ভালো থাকবেন!
তৌহিদ
সুন্দর বললেন রাফি, ধন্যবাদ জানবেন।
শিরিন হক
কাল বাকিটা পড়ে মন্তব্য করবো হাজিরা দিলাম অর্ধেক পড়ে।
তৌহিদ
আসুন আপু, স্বাগতম জানাচ্ছি।
রেহানা বীথি
দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে পড়ছে দিন দিন। পত্রিকার পাতায় চোখ রাখাই যায় না।
তৌহিদ
হ্যা আপু, সরকার নিশ্চই দ্রুত ব্যবস্থা নেবে আশাকরি।
শুভকামনা রইলো।
ইঞ্জা
এইসবই পূর্বপরিকল্পিত মনে হচ্ছে আমার আর মানুষ গুলোকে আমি দেখছি পিশাচরূপে, জঘন্য অবস্থা। 😢
তৌহিদ
জ্বী ভাই, একদম ঠিক বলেছেন।
ইঞ্জা
জ্বি ভাই, ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছেন, সেখান থেকেই আমরা যা জানার জানলাম,
সেটিই আবার কপি পেস্ট করার তো প্রয়োজন দেখছি না।
আর উপরে তো আপনার বক্তব্য তো আমরা পড়লাম।
তৌহিদ
আপনার মত করে ভাবিনি হেলাল ভাই, ধন্যবাদ জানবেন। সিনিয়রদের কাছ থেকে কত কিছুই শেখার আছে।
তৌহিদ
আমার বক্তব্য দিয়ে দিয়েছি ভাই, এবার ঠিক আছে কিনা দেখবেন অনুগ্রহ করে?
ছাইরাছ হেলাল
আসলে আমি আমার মত ভাবি, আর যাদের লেখা আমি পড়ি সেখানে যেমন দেখি তাই বলার চেষ্টা।
একটি বিষয়ে আপনি আপনার নিজের মতামত দিতেই পারেন, সেই সূত্রে তথ্য উপাত্ত আসতেই পারে
আর তা যদি কোন বিশ্লেষণ হয়, আবার সাধারণ মতামতে অনেক তথ্য উপাত্ত নাও থাকতে পারে।
প্রয়োজন আনুযায়ী লিঙ্ক দিয়ে দেয়া যেতে পারে। কিন্তু সব সময় সেটি কপি পেস্ট দিলে আপনার লেখার সৌন্দর্যহানির আশঙ্কা থেকে যায়। দেখা যাবে আপনার লেখা মতামত থেকে কপি-ই শক্তিশালি।
অনেক বড়দের লেখায় দেখেছি, নির্দিষ্ট বিষয়ে দশ লাইনের মতামত দিয়ে নীচে শুধুই লিঙ্ক।
আমার যেভাবে বলেছি এটিই কিন্তু শেষ কোথা নয়।
মোট কোথা কপি পেস্ট এড়িয়ে চলে লিঙ্ক ব্যবহার করতে হবে বিশেষ প্রয়োজনে।
তৌহিদ
ধন্যবাদ ভাই, উপদেশ মনে থাকবে।
মনির হোসেন মমি
গুজব এ দেশে এক নিয়মের মাঝে এসে গেছে।যে দেশের জনগনের মনে সাইদির চাদে যাওয়া বিশ্বাস হয় সে দেশের কথা আর কি বলব। লেখাটা খুব ভাল লাগল বিশেষ করে ঐতিহাসিক গুজবের তথ্যগুলো।
তৌহিদ
পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ জানবেন।
জিসান শা ইকরাম
মব সাইকোলজি সম্পর্কে জানলাম, ধন্যবাদ আপনাকে।
গত কয়েকদিনের ঘটনায় মনের দিক দিয়ে অসুস্থ হয়ে গিয়েছি খুব। কিভাবে পারে মানুষ, আর একজন মানুষকে এভাবে হত্যা করতে?
এ কোন দেশে বাস করছি আমরা!
তৌহিদ
ভাই আমি নিজেও শঙ্কিত হয়ে আছি, দেশের ভবিষ্যৎ কি? আমরা উন্নয়ন উন্নয়ন বলে চিৎকার করছি আর অন্যদিকে কেউ কেউ এহেন কর্মকান্ড করে দেশকে সেই আদিম যুগে নিয়ে যাচ্ছে। অতি সত্বর জনসচেতনতা জরুরি।
ভালো থাকবেন ভাই।
শিরিন হক
কোন দেশে আছি জানিনা। একজন অপরাধীকেও মানুষ এভাবে মারতে পারেনা। আইন অমান্য করীর শাস্তি হোক দ্রুত। খুব ভালো লিখেছেন।
তৌহিদ
তাই যেন হয়! দ্রুত শাস্তির দাবী করছি।