
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ।এখানে নানা রোগ, দরিদ্রতা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অধিক জনসংখ্যা সহ নানারকম সমস্যা। এই সমস্যা নিজেরাই একটি সমস্যা নয় এর বিস্তার ঘটাচ্ছে আরো সমস্যা নিয়ে তার মধ্যে শিশু শ্রম একটি।
পারিবারিক অবস্থার নানা সমস্যার শিকার হতে হয় কোমল মতি শিশুদের। চাষাবাদে সহযোগিতা, পরিবারকে সাহায্য। রাজা জমিদার বাড়িতে পেটের দায়ে কাজ করতে এসে শিশু শ্রমের উদ্ভব হয়।
সামান্য পারিশ্রমিক এর বিনিময়ে শিশুশ্রম পাওয়া যায় এবং কাজে শিশুরা ফাঁকিবাজ নয় বলে সমগ্র মানচিত্রে শিশু শ্রম ফুটে উঠেছে।
বাসাবাড়ি, কল কারখানা, ইটভাটা, বিড়ি সিগারেটের কারখানা, লঞ্চ, ট্রেন, ফেরি যে দিকে তাকানো হোক সর্বত্র শিশুদের কাজ করতে দেখা যায়। সারাদিন পরিশ্রমের বিনিময়ে সামান্য মজুরী পায় তারা। মালিকের মন যোগাতে না পারলে রেহাই নেই শারীরিক নির্যাতন থেকে। নানান রোগে আক্রান্ত হয় এসব শিশু অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, কেউ পঙ্গু হয়, কেউ কর্মক্ষম হয়ে পড়ে। অথচ শিশুরা ই নাকি আগামীর উজ্জ্বল ভবিষ্যত।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আই, এল, ও) শিশু শ্রম রোধে বিভিন্ন স্কুল নির্মাণ করেছে। আমাদের দেশে কর্মমুখী প্রাথমিক শিক্ষার কোনো ব্যাবস্থা নেই। বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার চেয়েও ক্ষুধা নিবারণের জন্য কাজ হয় জরুরী।
সরকারের কর্মমুখী শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু করলে অনেকাংশে কমে যাবে শিশু শ্রম। মালিক পক্ষ যদি হাতুড়ি, যন্ত্রের সাথে শিশুদের হাতে বই তুলে দেন তাহলে পালটে যাবে শিশু শ্রম এর রুপ। সরকার, মালিক পক্ষ, ব্যাক্তি থেকে শুরু করে সবার সদিচ্ছাই আগামী শিশুদের জীবন সুন্দর করে দিতে পারে। আগামী ভবিষ্যত স্বর্ণালী দিনের পথ চেয়ে আছে।
২২টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
এখানে নানা রোগ, দারিদ্রতা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অধিক জনসংখ্যা কিছু করার নাই। আয়ের পথ বা সবার ক্ষুধা যদি নিবারন করতে না পারেন তবে কি করার আছে।???
ক্লাশভিত্তিক শিক্ষা দিয়ে কি হবে, করম ভিত্তিকশিক্ষায় শিইক্ষিত করে করম দিতেই হবে তবেই মুক্তি।
শিরিন হক
অনেক ধন্যবাদ একটি যুক্তিসংগত মন্তব্যের জন্য।
জিসান শা ইকরাম
ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখলেন, গরীব শিশুদের প্রতি রাষ্ট্র এবং সমাজের দায়িত্ব আছে, যা আমরা সঠিক ভাবে পালন করতে পারিনি। কবে পারবো জানিনা।
লেখায় বৈচিত্র আনছেন দেখে ভাল লাগছে। লিখুন এ ধরনের সামাজিক সমস্যা নিয়ে।
লেখাটি আর একটু বিস্তারিত হলে ভালো হতো।
শুভ কামনা।
শিরিন হক
ধন্যবাদ। বিস্তারিত নিয়ে আসবো পরের লেখায়।
শাহরিন
সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে সবাইকে।
শিরিন হক
ধন্যবাদ আপু। সচেতনতা জরুরী আগে।সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ দরকার এই সব শিশুদের জন্য। সুশিক্ষিত শুষিল সমাজ কতটা মনে করে এদের কথা?
ছাইরাছ হেলাল
শিশু শ্রম আমাদের সমাজের জন্য অভিশাপ হয়ে ঝুলে আছে।
সহসা পরিত্রাণের কোন পথ আছে বলে মনে হচ্ছে না, তবুও আশা রাখি এ অবস্থা থেকে আমরা
বের হয়ে আসতে পারব।
শিরিন হক
আমরাও সেই প্রত্যাশায়। ধন্যবাদ ভাই।
আরজু মুক্তা
আমি মনে করি, শিশু শ্রমের প্রধান কারণ বাবা মা।কারণ ওনারা চায়, ওরা ইনকাম করুক,সংসারের হাল ধরুক।
শিরিন হক
শুধু কী বাবা মা দায়ী? দারিদ্র্যতা কী কারন নয়?
আরজু মুক্তা
এখন ছিন্নমুল গরীবের সংখ্যা খুব কম।বরং মা বাবার মধ্যে ভালো সম্পর্ক না থাকাই আরও একটা কারণ।
তৌহিদ
সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখলেন আপু। শিশুশ্রম রোধে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। সরকার চালু করেছে বিষয়টি তবে বড় সমস্যা পথশিশুদের নিয়ে।
আর অল্পবয়সে শিশুদের টাকার নেশায় পেয়ে বসলে তাকে পড়াশুনা করানো মুশকিল হয়ে পড়ে। তবুও আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে। কারন শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত।
শিরিন হক
ধন্যবাদ লেখাটি অনুধাবন করার জন্য।
মাসুদ চয়ন
বাঙলার জীবন ব্যবস্থা অর্থাৎ মাটি ও মানুষের বাস্তব প্রেক্ষাপট তুলে এনেছেন।ভালো লেখা-মানুষের মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত হউক/
শিরিন হক
ধন্যবাদ ভাই মানুষের মনুষ্যত্ব বোধ জাগ্রত হোক
সাবিনা ইয়াসমিন
সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে শিশুর অভিভাবকরাই তাদের কোমল শিশুটির হাতে বইয়ের পরিবর্তে তুলে দেন সংসারের চাকা। একবারও ভাবেননা তাদের বড় বড় হাতে যে চাকাটি ঘুরছেনা, তা এই ছোট্ট দুটি হাতে কতটুকুই ঘুরবে। আবার অনেক পরিবারে দেখি বাচ্চা পড়াশোনায় একটু অমনোযোগী হলেও লেখাপড়া বন্ধ করে তাকে কাজে পাঠিয়ে দেয়। বলে, ওকে দিয়ে পড়াশোনা হবে না, কাজ করে যাতে খেতে পারে তাই কাজে পাঠালাম। কিছু বলার নেই আসলে। অল্প টাকায় চটপটে শ্রমিকের লোভ সংবরণ করাটা মালিকের পক্ষেও বেশ কঠিন হয়ে যায়।
আরও লিখুন, শুভ কামনা 🌹🌹
শিরিন হক
ধন্যবাদ আপু। সরকার,সমাজ, পরিবারের কারনে আমাদের আগামী প্রজন্ম আজ পথের ধুলায় লুটায়।
প্রদীপ চক্রবর্তী
ভালো লাগলো।
শিশুরাই আগামী দিনের সোনালী স্বপ্ন।
শিরিন হক
ধন্যবাদ আপনাকে
হাফেজ আহমেদ রাশেদ
অনেক মূল্যবান একটি বিষয় তুলে এনেছেন লেখায়।আমরা নিজে নিজেদেরকে ও মননশীলতা পরিচর্যা করে যখন এই ছোট্র শিশুদের আমাদের ছেলে মেয়ে ভাবতে পারবো তখনই সম্ভব হবে এহেন পরিস্থিতির পরিবর্তন।শুভেচ্ছা কবি
শিরিন হক
আজকের শিশুই আগামীর কর্নাধার।ধন্যবাদ।
শাফিন আহমেদ
এই দেশের হাজারো পথশিশু রয়েছে যারা অনেকেই অনেক সৃজনশীল দক্ষতার অধিকারী । তাদের এই সৃজনশীলতা প্রকাশ করার জন্যেও প্ল্যাটফর্ম দরকার যেটা এখনও আমাদের দেশে নেই । শুভ কামনা ।