
বই পড়তে ভালোবাসি। যদিও এখন খুব মন দিয়ে কিছুই পড়া হয়ে ওঠেনা। তারপরেও পড়ি। আর তাই এখনও বই উপহার হিসেবে পেলে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই। ইচ্ছে করে তখনই বসে যেতে। কিন্তু হয়ে ওঠেনা।
শৈশব থেকেই যে ব্যাপারটা আমার খুব ভালো লাগতো, তা হলো বই পড়তে। আর এজন্য যথেষ্ট সাপোর্টও পেয়েছি মামনি-বাপির থেকে। মানুষ যখন বিকেলের অবসরে খেলাধূলা নিয়ে মত্ত, তখন আমি বইয়ে মগ্ন। মনে পড়ে বাপি আমায় একটা ছোট্ট বই হাতে দিয়ে বলেছিলো, “এটা পড়িস। সম্পূর্ণ পৃথিবী হাতের মুঠোয় এসে পড়বে।” আমি পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় আনার জন্য গোগ্রাসে পড়া শুরু করে দিলাম। সেই বইটা আসলে ছিলো একটা ইংরেজি থেকে বাংলা অভিধান। আমার পড়ার টেবিলে মিনি একটা গ্লোব ছিলো, আমি ওটাকে বারবার দেখতাম, আর অভিধানটা পড়তাম, এই বুঝি পৃথিবী হাতের মুঠোয় চলে এলো। পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় দেখতে না পেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম বাপিকে, পৃথিবী তো হাতে আসেনি। সেই উত্তর বাপি তখন দেয়নি, হঠাৎ একদিন বাপি একটা বাংলা(ইত্তেফাক) এবং একটি ইংরেজি(The Observer) সংবাদপত্র নিয়ে এসে আমার সামনে রেখে বললো, “নীলমন এখন দেখিস পৃথিবী হাতের মুঠোয় কেমন করে চলে আসে!” যখন স্কুল জীবন শুরু হয়নি আমার, সেই তখন থেকেই আমি সংবাদপত্র পড়া শুরু করেছিলাম। আস্তে আস্তে বুঝলাম পৃথিবী আমার হাতের মুঠোয় এসে গেছে। এ প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তের সকল কিছুই দেখে নিচ্ছি দু’ চোখ ভরে। বাপি রোজ এসে জিজ্ঞাসা করতো, “নীলমন আজকের হেডলাইন কি?” উত্তর দিতাম বাংলা এবং ইংরেজি দুই পত্রিকার-ই।
তারপর স্কুলজীবন শুরু হলো। রূপকথার বই পড়ার চেয়ে ভালো লাগতো শুনতে। মামনির বিশাল বইয়ের লাইব্রেরি আলমারিতে তালাবদ্ধ হলো। চাবি জানতাম কোথায়, কিন্তু চুরিবিদ্যা তখনও শিখে উঠিনি। হাইস্কুল পাশ করার দু’ বছর আগে এসে এই বিদ্যা নখদর্পনে এলো। কিন্তু সমস্যা হলো ধরা পড়ে যেতাম। তাই সময় বেঁধে দেয়া হলো। কিন্তু “বসতে দিলে শুতে চায়” এই প্রবাদের সত্যতার সাথে ভিন্নমত প্রকাশ করা কী সম্ভব! তাই তো চুরি করে পড়ার বইয়ের ভেতর গল্পের বই রেখে পড়া শুরু করলাম। বয়সের সাথে যেতোনা, তাও কি বাদ রেখেছি পড়তে? “ক্ষুধিত পাষাণ” পড়ার পর কী ভয়! আর “গৃহদাহে”র দুই নায়ক, এক নায়িকা সে নিয়েও ভাবতাম, এ কেমন করে সম্ভব! শরৎ সমগ্র পড়তে গিয়ে এমন ধরা খেলাম, পরেরদিন পরীক্ষা শাস্তিস্বরূপ বাপির দেয়া হোমটাস্ক। তারপর নিজেই নিজেকে বললাম, নাহ আর চুরি নয়। কিন্তু এ যে এমন এক নেশা, গাল-বকা, মার খেয়েও থামানো যায় না। “শেষের কবিতা” পড়ে কিছুই বুঝিনি। উপন্যাসের নাম কেন এমন, সেটা বুঝতে সময় লেগেছে ঢের। বঙ্কিম পড়তে গিয়ে বাংলা অভিধান কাজে লেগেছে। মামনির আলমারিতে বিভিন্ন লেখকদের “সমগ্র” ছিলো। আর তাই যখন বাংলা নিয়ে অনার্স পড়তে গেলাম, নতুন বই কিনতে হয়নি। যদিও আমার “গ্রন্থিকা লাইব্রেরি”র জন্য কিনেছিলাম নতুন করে।
আর আমার এই ” গ্রন্থিকা”র কথা কী বলবো! বাপিকে বলতাম আমি যেখানেই যাই না কেন ওকে ছাড়া কোথাও যাবোনা। কিন্তু ভাগ্য এমনই মা-বাবার মতো গ্রন্থিকাকে ছেড়েই আছি। হিসেব করে বই পড়া হয়নি। আমার গ্রন্থিকায় প্রায় একহাজার বই আছে। তাছাড়া ঢাবি’র(ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), মাসতুতো ভাইয়ের বাসার বইয়ের মেলা, কলকাতা কলেজ স্ট্রিট, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি এরা জানে কিছুটা কেমন পড়ুয়া ছিলাম!
সবশেষে না বললেই নয়। এবারে দেশে যাবার পরে আমার বই পড়া নিয়ে গল্প উঠলো। মামীই শুরু করলো বলা, “মামনি তোমার কথা যখনই ওঠে, কিংবা মনে পড়লেই যে দৃশ্য ভেসে আসে, সেটা হলো জানালার পাশে রকিং চেয়ারে বসে তোমার বই পড়া। আর আমরা সবাই গল্প করছি, তোমার ওসবে মন নেই। ছিলোওনা।” হুম সেই আমি’টা আর কোথাও নেই, কোনোখানেই খুঁজে পাওয়া যাবেনা আর।
হ্যামিল্টন, কানাডা
৮ এপ্রিল, ২০১৯ ইং।
★আমার জীবনের প্রথম অভিধান। এবারে গিয়ে ভাগ্যক্রমে পেয়ে গেলাম।★
৩৯টি মন্তব্য
রিতু জাহান
প্রথম
নীলাঞ্জনা নীলা
পুরষ্কার প্রাপ্য তোমার।
https://youtu.be/XLot1XO_iO4
মাহমুদ আল মেহেদী
দারুন লাগলো আপু ‘বই স্মৃতি’। বইয়ের ভিতরেও যে লুকিয়ে রেখেছেন আপনার প্রিয় মানুষগুলি, যা অনেক সুন্দর করে ফুঁটিয়ে তুলেছেন আপনি।
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলে বই ছাড়া জীবন ভাবতেই পারিনা এখনও। এই টরেন্টোতে ATN Megastore নামে একটা দোকান আছে যেখানে বইয়ের বিশাল সম্ভার। টরেন্টো গেলেই ওখানে যাই ই যাই।
আপনিও লিখুন স্মৃতিকথা। আমরাও জানি।
মাহমুদ আল মেহেদী
লিখছি আপু আমার বাবাকে নিয়ে। পড়ে দেখবেন ভালো লাগবে আপনার। যখন বাবাকে নিয়ে লিখছিলাম তখন সত্যিই আপনার বাপির কথা মনে হচ্ছিলো খুব। আপু পড়বেন ভালো লাগবে আশা করি। সোনেলায় দেওয়া আছে। বিস্ময় সব স্মৃতি।১,২,৩ পর্যন্ত লিখছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
অবশ্যই পড়বো ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
ভাবি এক হয় আর এক, এটাই জীবন।
বইময় জীবন আপনার, হারানোর বেদনা বুঝতে পারি। এ এক অদম্য নেশা।
আজ আপনার বাপ্পি নেই, আছে এক পড়ুয়া নীলা, এটাই বা কম কিসে!!
আপনি নিয়মিত লিখুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
এখন বাপির সেই পড়ুয়া নীলা নেই। শুধু নীলাই আছে।
বইময় জীবন তো আপনার। শুনেছি ঘরময় ছড়ানো বই! ছবিটবি দিয়ে একটা পোস্ট দেবেন কিন্তু!
লিখে তো যাচ্ছিই রোজ।
ছাইরাছ হেলাল
নীলা আবার সেই নীলাই হবে।
আচ্ছা এলোমেলো বই-স্তুপ দেখবেন একদিন।
লিখুন রোজ রোজ, পাঠকের অপেক্ষা তো থাকেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
সেই একদিন আসবে কবে! বইগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার জন্যই দেব অবশ্যই,
যত এলামেলো হোক না কেন সে সব।
নীলাঞ্জনা নীলা
তাহলে তো হলোই। খুশী হোলাম। সত্যি।
শুন্য শুন্যালয়
এমন করে হাতের মুঠোয় পৃথিবী চলে এলে, সবাই তো তোমার হাতে লাট্টু হয়ে ঘুরবে 🙂
স্মৃতিকথা নিয়ে লেখা আসলে এমনই লেখা, যা পড়লে সবার মধ্যে স্মৃতি হুড়মুড়িয়ে পড়ে, সেকারনেই এই লেখা সবার এতো প্রিয়।
ভালো থেকো সারাক্ষণ নীলাপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু মা-বাবা কতোই না টেকনিক জানে! আজকাল অনেক কথা মনে এসে ভীড় করে। স্মৃতিচারণ ছাড়া আর বোধ হয় সত্যিকারের আমাকে পাওয়া যাবেনা।
লিখবো নাকি আরোও এমন?
ভালো থেকো আপু।
ইঞ্জা
ক্ষুদিত পাষাণ, শরৎসমগ্র, গৃহদাহ আমার পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে সেই ক্লাস সেভেন এইটে থাকার সময়, নীহারঞ্জনের কিরিটি রায়কে এখনো ভুলিনি, সেবা প্রকাশনির ওয়েস্টান, জুলভার্নের সাইন্স ফিকশন বই গুলো এখনো আমায় টানে, আপু আপনি আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন আমার সেই শৈশবে, ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
কিরিটি রায়, ব্যোমকেশ, শার্লক হোমস, ফেলুদা বিভিন্ন গোয়েন্দা কাহিনী। সেবা প্রকাশনীর জুলভার্নের বই, ড্রাকুলা, তিন গোয়েন্দা ইত্যাদি কতো বইয়ের কথা মনে করিয়ে দিলেন ভাইয়া।
নিজেও লিখুন না ভাইয়া।
ইঞ্জা
আপু, এইসব ড্রাকুলা পরে কত রাত যে ঘুমুতে পারিনি, কিরিটি রায় পড়ে গোয়েন্দা হওয়ার কত যে শখ জেগেছিলো মনে, তিন গোয়েন্দার এক গোয়েন্দা আমি ছিলাম, মাসুদ রানার কাছ থেকে একশন রোমান্সের গন্ধ পেতাম, সেবার কুয়াসা, দস্যু বনহুর, আহা কত শত বই যে আমাদের শোকেসে সাজানো থাকতো যেন এক মিনি লাইব্রে। 😍
ইঞ্জা
লাইব্রেরি ★
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া সেবা’র কুয়াশা, দস্যু বনহুর পড়া হয়নি। তবে আমাদের বাসায় “বেগম” আসতো। সেটা পড়তাম।
মনির হোসেন মমি
স্মৃতিময় অধ্যায় কার না ভাল লাগে।বই পোকা আপনে এটা আবারো প্রমানীত হল।
নীলাঞ্জনা নীলা
স্মৃতিগুলোই তো সবচেয়ে সত্যি মনির ভাই।
অনেক ভালো থাকুন।
রিতু জাহান
নানাবাড়ি গেলে জোড়া পুকুরে নৌকার মধ্যে বসে দুপুরে বই পড়ার সে মজাটা আর এখন পাই না। কি এক অদ্ভুত এক নিস্তব্ধতা ছিলো সে সময়।
বই পড়ার মতো শান্তি আনন্দ আর কিছুতেই নেই।
হুম, আপু হারানো আমি হারানোই রয়ে যায়। মাঝে মাঝে অকারণ জানলায় উঁকি দিয়ে তাকে খোঁজার চেষ্টা। শুধু আকাশ তাকিয়ে থাকে মৌন মনে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু এখন আর আগের মতো পড়তে পারিনা। কেন জানি মন বসেইনা। তাই লিখতেই পারিনা। তোমার বই পড়া নিয়ে লিখে ফেলো। ভালো লাগে স্মৃতিকথা পড়তে। একজন মানুষকে চেনা যায় তার স্মৃতিকাহিনী থেকেই। লেখো আপু।
অনেক ভালো থেকো।
জিসান শা ইকরাম
বই পড়ার নেশার সাথে কোন কিছুর তুলনা হয়না,
যে কোন নেশাই একঘেয়ে,
একমাত্র বই পড়ার নেশা টা একঘেয়ে নয়
একেকটা বই একেক রকম।
স্মৃতি কথা এভাবেই লিখতে হয়।
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
দারুণ বলেছো নানা। এই নেশা একঘেয়ে হয়না। একেবারে ঠিক বলেছো।
ভালো থেকো নানা।
প্রহেলিকা
প্রথম মন্তব্যকারী আমি। 🎖🎖🎖 মেডেলগুলো আমার জন্যই
নীলাঞ্জনা নীলা
নিন দিলাম আপনাকে মেডেল। 🎖🎖🎖🎖
সাথে ট্রফিও। 🏆🏆🏆🏆
প্রহেলিকা
আপনি আসলেই লক্ষ্মী বোন
নীলাঞ্জনা নীলা
শুনে খুবই খুশী হোলাম দাদাভাই।
প্রহেলিকা
খুব সুন্দর স্মৃতিচারণ করলেন। আপনি খুব বইপাগলা মানুষ তা স্পষ্ট বুঝা গেলো। বইয়ের ভেতরেই ডুবে ছিলেন বলেই আজ আপনি একজন প্রকৃত মানুষরূপে নিজেকে গড়ে তুলতে পেরেছেন।
আজকাল অনেক কিশোর বা যুবকদের সাথে বইয়ের দুরত্ব অনেক। তলিয়ে যাবার এটাও মূল কারণ। যাইহোক এমন স্মৃতিচারণ আরও পড়তে চাই। আপনার শেষ লাইনটি মুছে বা ভুলে বা এড়িয়ে গিয়েই পথ চলুন।
সংবাদপত্র পড়া আমার জন্য একটা নেশার মত ছিল ছোট বেলায়।
আপনার লেখা সবসময়ই ভালো লাগে
নীলাঞ্জনা নীলা
বই পড়লেই কি প্রকৃত মানুষ হওয়া যায়? আমি তা মনে করিনা। তবে পড়তাম প্রচুর। ভালো লাগতো। একই নেশা আপনারও ছিলো?
স্মৃতি সততই সুন্দর। লিখবো। আপনিও লিখুন। পড়তে চাই।
অনেক ভালো থাকুন।
প্রহেলিকা
বই পড়লেই যে হওয়া যায় তা না আসলে, বই যেহেতু জ্ঞানের ভাণ্ডার, আর জ্ঞান মনুষ্যত্বকে বিকশিত করে। আহোরিত জ্ঞানকে শুদ্ধরূপে ব্যবহারে নিজেকেও বিকশিত করা যায়। অল্প করে বললাম আর কি।
নীলাঞ্জনা নীলা
বুঝলাম দাদাভাই।
বই পড়ে জ্ঞান ক’জনই আহরণ করে বলুন!
আপনাদের মতো মানুষ এ পৃথিবীতে খুবই কম যে!
সাবিনা ইয়াসমিন
হিসেব করে বই পড়া হয়নি কখনো, এই কথাতেই বোঝা যায় কতো বই পড়েছেন / পড়বেন। সত্যিকারের পাঠকের কাছে কোন নির্দিষ্ট পড়ার বই থাকেনা, তেমনি পছন্দের লেখকদের লিস্ট ক্রমশ বড় থেকে বড় হতে থাকে। বই পড়ার নেশা এতোটাই আগ্রাসী হয় যে, অন্য সব আনন্দ তুচ্ছ মনে হয়।
ছবিটা খুব ভালো লেগেছে আপু, ভালো থাকবেন। শুভ কামনা +ভালোবাসা ❤❤
নীলাঞ্জনা নীলা
চমৎকার মন্তব্য করতে পারেন আপনি।
এই সেই বই, জীবনের প্রথম অভিধান। যা বাপি হাতে দিয়ে বলেছিলো হাতের মুঠোয় পৃথিবী চলে আসবে।
অনেক ভালো থাকবেন আপু।
তৌহিদ
স্মৃতিকথা কত সুন্দর করে লিখলেন আপু! পৃথিবী হাতের মুঠোয় আসার ব্যাপারটি খুব ইন্টারেস্টিং কিন্তু!
আপনি ঠিক আমার বোনের মত, ও বই পেলে নাওয়া খাওয়া সব ভুলে যায়।
হারানোর বেদনায় সমব্যথী হওয়া ছাড়া আর কিইবা বলতে পারি বলুন? যে হারায় সেই বোঝে এর কষ্ট।
এভাবেই স্মৃতির পাতা মেলে ধরে আমাদের সাথে রাখবেন আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
মা-বাবা’রা কী না পারে! এখনও জানেন মামনি কিছু বললে বিশ্বাস করি।
পুরোনো সময়গুলোর কথা ভাবলেই মনটা কেমন জানি হয়ে যায়। তবুও লিখবো।
ভালো থাকুন।
সেডরিক
বই পড়তে পছন্দ করি। ফ্রিয় জনরা সাইফাই, থ্রিলার ও মিষ্ট্রি। কালেকশন/সমগ্র টাইপের ঠিক ভালো লাগে না। আমার নিজের কালেকশনে ১৫০+ উপন্যাস (বাংলা ও ইংরেজী) ছিলো, এখন ১০০ এর নিচে নেমে গেছে।
পিডিএফ-ইবুক পড়ে ভালো লাগে না।
নীলাঞ্জনা নীলা
পিডিএফ, ই-বুক পড়তে আমারও ভালো লাগেনা। আমি তো পিডিএফ প্রিন্ট করে ফেলি।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।