ছাগুতা এবং মানবতা একসাথে যায় না । মানুষের চিন্তা এবং চেতনা্র মাঝে যখন ছাগলের চিন্তা চেতনা প্রভাব বিস্তার করে , তখন ছাগুতা বৃদ্ধি পায় এবং মানবতা কমতে থাকে । মানবতা যখন শুন্যের কাছাকাছি চলে আসে , তখন মানুষটি একটি উৎকৃষ্ট এবং উন্নত প্রজাতির ছাগলে রূপান্তরিত হয়। ছাগুতার জয়গান হয় তার মুখ্য কর্মধারা । সব কিছুকেই সে তখন ছাগুতা দিয়ে বিচার করে।
কথা হচ্ছিল লীগের সাফল্য এবং ব্যর্থতা নিয়ে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সাথে । যিনি বিগত বিএনপি সরকারের সময়ে একটি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক ছিলেন । ঐ সময়ে জেলা শহরে অবস্থিত সরকারী উচ্চ বালক/বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হয়েছিলেন শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটায় আবেদন করেছিলেন বলে। বর্তমান সরকারের সময়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটায় তিনি ঐ পদে নিয়োগ পান । এমনিতেই তিনি বেশ ভালো ছাত্র । কোটা ব্যতীতই তিনি চাকরী পেতেন – কারন লিখিত এবং মৌখিক উভয় পরীক্ষায় তিনি সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন – দুই সরকারের আমলেই। নিয়োগ প্রাপ্তির পরে খুব খুশির সাথে জানিয়েছন আমাকে । আরো জানিয়েছিলেন ” হাসিনা সরকার প্রতিবন্ধি শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন অনেক , আমাদের স্কুলেও ২ জন , এটি শেখ হাসিনা খুব ভালো করেছেন ” ।
আমি যখন তাঁকে লীগ সরকারের ভালো এবং মন্দ দুটোই বলছিলাম , তিনি শুধু বলছিলেন মন্দ কাজের কথা । হাসিনা কোন ভালো কাজ করেননি এই হচ্ছে তাঁর সর্বশেষ অবস্থান ।
আমি যখন বলি ” শেয়ার কেলেংকারী , হলমার্ক কেলেংকারী , ছাত্রলীগের কিছু সন্ত্রাসের পরেও এটি স্বীকার করতেই হবে যে দেশের মানুষ এখন কেউ অভাবে নেই । তাঁদের অভাব এখন সুখ সাচ্ছন্দের।
কিস্তিতে কালার টিভি কিনছে একদা গরীব মানুষ গুলো , গ্রামের বাজারে এখন ইলেক্ট্রনিক্স পন্যের শো-রুম ।
সবার কাছে বলতে গেলে এখন মোবাইল আছে ।
দেশের মানুষের গড় আয় গত পাঁচ বছরে প্রায় দিগুন বৃদ্ধি পেয়ে ১০৪৫ মার্কিন ডলারে দাড়িয়েছে ।
৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে স্কুলের সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের কাছে বিনামুল্যে বই পৌঁছে যাচ্ছে । আগে মার্চের আগে বই পাওয়া যেত না। উচ্চ মুল্যে তা কিনতে হতো ।
অব্যাহত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং নগরায়নের ফলে চাষ যোগ্য জমির পরিমান কমলেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ ।
বিদ্যুত উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে ।
আদম ব্যবসায়ীদের নির্যাতন ছাড়াই কয়েক লাখ মানূষ বিদেশে গিয়েছে , সবচেয়ে বেশী রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন তাঁরা ।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অতীতের রেকর্ড ভেংগেছে ।
কয়েকলাখ শিক্ষকদের চাকরী জাতীয়করণ করেছে ( রেজিঃ স্কুল ) ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে অনেক দূর এগিয়েছে , রাজাকার শ্রেষ্ঠদের জেলে রেখেছে । ” —– এমনি আরো কিছু কথা ।
আমার কথা গুলোর পাল্টা কথা তিনি শুনালেন এভাবে
” হাসিনা কি সবাইকে টিভি কিনে দিয়েছে ?
সবাইকে মনে হয় হাসিনা মোবাইল কিনে দিয়েছে ?
গড় আয় হচ্ছে ভুয়া একটা বিষয় , এসব হচ্ছে হাসিনার কারসাজী
স্কুলে যে বই দিচ্ছে তার মাঝে অনেক ভুল
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতো কৃষক করেছে , হাসিনা কি চাষ করেছে নাকি ?
মানুষ বিদেশ গিয়েছে নিজদের টাকা খরচ করে , হাসিনা কি মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে একটা টাকা পাঠিয়েছে ?
আমি একজন শিক্ষক , আমাদের জন্য কি করেছে ?
রাজাকারদের বিচার করতেই হবে কেন এত বছর পর ? জাতিকে বিভক্ত করছে হাসিনা । ”
এরপর তাঁর সাথে আর কথা বাড়াইনি , বৃথা সময়ের অপচয় করতে আর ইচ্ছে হয়নি। ভুলে গিয়েছে সে , তাঁর জন্য হাসিনা কি করেছে । অকৃতজ্ঞ মানুষদের আল্লাহ্ পছন্দ করেন না । আমি একজন মুসলিম । আল্লাহ্ যা পছন্দ করেন না , আমি কেন তা করবো ?
দীর্ঘ ৬ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলাম । অনেক কষ্ট হচ্ছে এই দীর্ঘ সময়ের তাঁর আর আমার সম্পর্কের সোনালী মুহূর্ত গুলোর জন্য । যা এখন অতীত ।
লেখাটি উৎসর্গ তাকেই করলাম , যিনি ছিলেন এক সময়ে আমার খুব কাছের । যার মানবতা এখন ছাগুতার কাছে পরাভুত।
১৫টি মন্তব্য
নীলকন্ঠ জয়
ছাগু (ছা=বাচ্চা=Child,গু=মল=Stool): Child’s Stool.
ছাগুদের আমি এই ভাবেই কল্পনা করি। নিষ্পাপ চেহারা, মুখে ধর্মের বুলি, ভাই-ভাই সম্পর্ক মাগার স্বার্থে টান ইউ আর দ্য …*ভাই।
এইটা ভুল ওইটা ভুল, সব শালারাই নাস্তিক, নারী সংস্পর্শ, নারী নেতৃত্ব হারাম মাগার স্বার্থের জন্য ইউ আর মাই ক্লোজেষ্ট ওয়ান।
ছাগুদের জন্য মায়া কান্না দেখিয়ে লাভ নেই। তারা একালে হলেও বাঁশ দিবে ওকালে হলেও বাঁশ দিবে।
ধন্যবাদ ।
জিসান শা ইকরাম
তিনি এমন ছিলেন না , হয়ত তাঁর আশে পাশের ছাগুদের স্পর্সে তিনি এমনি হয়ে গেলেন ।
তাঁকে বলা যেত অনেক কিছুই । কিন্তু বলার আর রুচি ছিলনা ।
আদিব আদ্নান
স্রোতে সবাই ভেসে গেলেও কেউ কেউ থেকে যাবে
এমন ধারনা সব সময় ঠিক না ।
জিসান শা ইকরাম
হুম , ঠিক সবাই ভেসে যায়
বনলতা সেন
ওরা আসে ওরা যায় ।
হয়ত আসে যাওয়ার জন্যই ।
জিসান শা ইকরাম
আসেই যাওয়ার জন্য
ছাইরাছ হেলাল
নিজের মত করে চিন্তা-ভাবনা করার অধিকার সবাই রাখে ।
হতে পারে সময়ের হিসেবে ভুল বা শুদ্ধ ।
এটি ই একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ ।
জিসান শা ইকরাম
ঠিক ঠিক ” এটি ই একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ । “
খসড়া
ছাগলে যা করে তা ছাগুতা। এই ছাগলের অভাব নাই। মানুষ যা করে তা মানবিতা। সমস্যা হইল মানু ষের খুব অভাব।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা সমস্যা হইল , মানুষের খুব অভাব ।
আমার মন
এই আজিবসস যন্তু যেন এখানে আশ্রয় না পায় সেটাই কামনা :v :v
জিসান শা ইকরাম
পাবেনা আশাকরি ।
ব্লগার সজীব
এরা শিক্ষিত হয়ে কথা বলে অশিক্ষিতের মত। একজন শিক্ষক হয়ে ছাত্রদেরতো এই শিক্ষাই দিবেন। এক চোখা দৈত্য করবেন ছাত্রদের ।
জিসান শা ইকরাম
হুম , সেটাই ।
আফ্রি আয়েশা
পছন্দের মানুষদের ছাগু চরিত্রে দেখতে খুবই খারাপ লাগে… জিসানদা, আপনার মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছি 🙁