আমি তোমাকে খুঁজছি, নাকি আমাকে, ঠিক বুঝে পাচ্ছিনা!
আচ্ছা তুমি কি বলতে পারবে সামনে এসে, আমার নামটি ধরে ডেকে বলবে,
“এই মেয়ে তুমি আমাকেই খুঁজছো! কেবলই আমাকে!”
আচ্ছা কতোদিন হলো কথা হচ্ছেনা? দিন, মাস নাকি বছর? তোমার উত্তাল জোয়ার আমাকে ভাসিয়ে নিচ্ছেনা, ভুলেই গেছি কবে জানি!
আচ্ছা এখুনি চলে এসে আমাকে চমক দিয়ে টেনে নিতে পারোনা তোমার প্রশস্ত ওই বুকে?
টপটপ করে চোখের জল আমার কপোল গড়িয়ে তোমার শার্ট ভিঁজিয়ে দেবো, জানো বহুকাল হয়ে গেলো আমি কাঁদিনা?
ভুলেই গেছি কান্না কেমন!
আচ্ছা এমন হয়না তুমি এসে আমাকে শুধু একটু কাঁদিয়ে দিয়ে নয় চলে যেও?
এই যে এতো প্রেম নিয়ে শুধু তোমার জন্যেই আছি, তাই বুঝি অতো অহঙ্কার দেখাও?
আচ্ছা যদি একদিন আমি তোমায় না খুঁজি, পারবে ভালো থাকতে?
তুমি জীবন্মৃতর কথা বলো,
তবে যেদিন আমার প্রতীক্ষা থেমে যাবে, সেদিন তুমি একেবারে নি:স্ব, এবং একাকী!
হ্যামিল্টন, কানাডা
২৬টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
বিরহ ভালো লাগে না আমার, এককিত্বকে খুব ভয় করে ইদানীং।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া একটা লেখা পড়তে পড়তে লিখেছি এটি।
ভয় নেই কিছুতেই, নিজেকে ভয় পাই আমি।
মায়াবতী
বাহ কি সুন্দর করে ভালবাসার মানুষ কে খুজে ফিরছেন আপনি… প্রেম আসলে ই পবিত্র সুন্দর…
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালোবাসাকে আমরা কিন্তু ভালোবাসিনা। যত্ন করিনা।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
ছাইরাছ হেলাল
শেষ ডর দেখিয়ে কাবু করতে চাচ্ছেন!!
নিজেই-তো ফকফকা (কাবু) হয়ে গেলেন,
আহারে ভালুবাসার কাব্য!!
আরও দ্যান, চোখ-মন জুড়িয়ে পড়ি।
নীলাঞ্জনা নীলা
লেখার জন্য কতোকিছুই না লিখি! আমি নইতো বাবু, যে হয়ে যাবো কাবু! 😀
“ভালুবাসা ছাড়া আর আছে কি!”
ছাইরাছ হেলাল
না না , আপনারে কেউ কাবাইতে পারবে না, শাঁকচুন্নি!!
নীলাঞ্জনা নীলা
তাও ঠিক আমারে কেউ কাবাইতে পারেনা। 😀
মৌনতা রিতু
কাল রাতে পড়ে শুয়েছি। তোমার এটা পড়ে আমিও কিছু লিখেছি।
প্রতীক্ষা কি থেমে যায়?
কিছু বিরহ ভাল লাগে।
নীলাঞ্জনা নীলা
লিখেছো যখন দিয়ে দাও। আমিও পড়ি।
প্রতীক্ষা থামানো যায় আপু। মানুষ বেশীদিন অবহেলা নিতে পারেনা কিন্তু!
ভালো থেকো শান্তসুন্দরী। -{@
মিষ্টি জিন
এমন ভাবে ডাকলে সে কিন্তু ঠিকই একদিন এসে তোমায় কাঁদিয়ে যাবে। ওমন করে তাকে ভয় দেখাতে হয়?
ভালবাসায় টুইটুম্বুর কবিতা।
😀
নীলাঞ্জনা নীলা
মিষ্টি আপু আমাকে কাঁদাতে পারে একমাত্র হাসি। এমনিতে আমার চোখের জল আসেনা। এককথায় কুম্ভীরাশ্রু! 🙂
“ভালবাসা ছাড়া আর আছে কি?” তুমিই বলো। -{@
নীহারিকা
এমন মানুষকে নি:স্ব করে দেয়াই উচিত। এত অহংকার কেন? ফিরে আসলেই তো হয়।
ভালো লেগেছে আপা।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু এমন মানুষকে নাগামরিচ বাটা লাগিয়ে দেয়া উচিৎ, কি বলেন?
ফিরে আসলেই কী আর জায়গা পাবে? ততোদিনে আর কেউ চলে আসতেও তো পারে! :p 😀
জিসান শা ইকরাম
অহঙ্কার দেখানোর সুযোগ দেয়া হয় কেন?
যে উপেক্ষা করে তাকে নিয়ে এত ভাবনাও বা কেন করা লাগবে? যদিও এটি লেখা, তারপরেও বললাম 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা তোমার নাত্নীর কাহিনী অন্যরকম। ডাক দেবো, একবার, দুইবার, তিনবার! তারপর তুমি তোমার পথ দেখো, আমি আমার। 😀
যে উপেক্ষা করে তাকে পাত্তা দেয়া মোটেও উচিৎ না। আসলে একটা লেখা পড়তে পড়তে এই লেখাটির জন্ম হলো। অবশ্য নকল করি নাই। 😀
অপ্সরা
প্রতীক্ষা থেমে যাওয়া মানেই কাউকে মিস করাটাও থেমে যাওয়া। 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
খুব সুন্দর বলেছেন। ঠিক তাই!
ধন্যবাদ আপনাকে! 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
চমৎকার কথা।বেশ ভাল লাগল দিদি -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। 🙂
ইঞ্জা
মনোমুগ্ধকর লেখা, ভালোবাসার অন্বেষণে কবি, একাকীত্বের যাতনা কেবা বুঝে, দারুণ লিখেছেন আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া কেউ বোঝেনা! ;( ;( আমার চোখের জলেই তো পদ্মা নদীর জন্ম। আর সেদিন কাঁদলাম বলেই তো এতো ঝড়-বৃষ্টি হলো। 😀
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
ইঞ্জা
আহারে আমার বোন কতো কষ্টে আছে ;(
নীলাঞ্জনা নীলা
এই যে নায়াগ্রায় এতো জল, একমাত্র কারণ আমার এই চোখের জল! ;( ;(
লীলাবতী
এত প্রতিক্ষা কেন আপু? অত্যন্ত ভাল লেগেছে লেখা।
নীলাঞ্জনা নীলা
লীলাবতীদি বহুদিন পর দেখা! আছেন কেমন আপনি? প্রতীক্ষায় তো আপনি আমাদের সবাইকে রাখেন। আবার প্রশ্ন করছেন? ঠিক না ঠিক না!
ভালো থাকবেন অনেক।