ভাবছি এবার
কাঁচাপাকা নির্বিশেষে সব বিদ্যে
স……অ….ব চেঁছে আঁটি বেঁধে ফেলে
তুমুল জ্ঞানী-গুনী হবো!
দিগম্বর দিকবিজয়ীর বেশে;
নিজের থেকে শুরু করে অন্যদের,
অন্যদের থেকে অন্যান্যদের, বাদ যাবে না কেউই;
ভেজাচ্ছি ভেজাচ্ছি, ভিজিয়েই যাচ্ছি
গরম-ঠান্ডা পানির মিশ্রণে, মৃদু লয়ে,
ধার দিচ্ছি-দিচ্ছি, ধারাচ্ছি-ধারাচ্ছি, ধারিয়েই যাচ্ছি;
ধার পরীক্ষকের ন্যায় ক্ষণে ক্ষণে তীব্র চাহুনীতে,
তর্জনী মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলির কম্পমান স্পর্শে
চকচকে ধারের ঝিলিক হেসে ওঠে স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে!
সহসা ক্ষুরটি স্বশব্দে হারিয়ে গেল
খান খান শব্দ তুলে অসংখ্য টুকরোর মাঝে।
লহ প্রণতী, দেবী মাতঙ্গী;
২৪টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
হা হা হা, চেতছেন ক্যান? যতোই মাতন ছাতন করুন, জ্ঞান গরীমার গুরুত্ব অপরিসীম, আপনি জ্ঞানী হলে তবে না বুঝতেন। এই ক্রুদ্ধ রূপ নিয়ে, ক্ষুরই হারিয়ে ফেললেন।
দেবী নমস্য। দেবী বিনা কুছ নেহি হোতা। এতো দেরীতে বুঝলে তো হবেনা 🙂
ছাইরাছ হেলাল
চ্যাতা-চেতির কিচ্ছু নেই,
জ্ঞান-গম্মির খুবই অভাব, আঁটি বাঁধার চেষ্টাও ফলপ্রসূ হলো না।
তাই দেবী মাতঙ্গী ছাড়া উপায় নেই, (অন্য দেবীতে কাজ হবে না)
শুন্য শুন্যালয়
আঁটি বাঁধতে গিয়ে এতো ধারাধারি করলে তো হবেনা। গায়ের জোর খাঁটান। বেশি খাটাইলে আবার ছিঁড়ে যেতে পারে। অন্যদের, অন্যান্যদের যাদের খুশি ধরুন, আমার জ্ঞানে ভুলেও হাত দেবেন না। বহুত বছরের জ্বিন, ভূত, দেবী মন্ত্রণার ফল এ।
আপনার মাতংগী দেবীর দৃষ্টি নিবদ্ধিত হোক, আশু কামনা করছি। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি জ্ঞানী জানলে এত্ত দৌড় দৌড়ুতে হতো না,
আপনি এত কিছু হাসিল করে ফেলেছেন সোনেলার সোনাদের না জানিয়ে,
লুকিয়ে-চুড়িয়ে এভাবে এই কঠিন লক্ষ্যার্জন করা ঠিক হয়নি, জ্ঞানটুকু সোনাদের মাঝে বিলিয়ে দিন সত্ত্বর।
মাতঙ্গী দেবী ভয়ংকর, একে সাধন করা আরও কঠিন। যদিও উপায় নেই!!
জিসান শা ইকরাম
ক্ষুর ভাঙলে আবার ক্ষুর নেয়া যায়,
না পাওয়া গেলে মাতঙ্গী দেবী তো শেষ চেষ্টা।
ছাইরাছ হেলাল
স্পেশাল ক্ষুর সবসময় পাওয়া যায় না।
এ দেবী ভয়ংকর, এর সাধন সবার জন্য না।
নীহারিকা
ভয় পাইছি।
ছাইরাছ হেলাল
তাই-ই!!
আগুন রঙের শিমুল
দিগম্বর দিগ্বিজয়ী :D)
ফর্মান জারি হোক – ট্যাট টে ট্যা … অদ্য হৈতে দিগম্বর কবিকে সভাকবি নিয়োগ দেওয়া হৌক ট্যাট টে ট্যা … ট্যাটের ট্যা \|/
ছাইরাছ হেলাল
চোখ-সুখ লওয়া ঠিক না,
আরাধনায় ব্যস্ত আছি,
নীলাঞ্জনা নীলা
ঘটনা কি? ভয়ে তো আত্মা খাঁচাছাড়া।
দুগগা দুগগা, হে মা মাতঙ্গী। দয়া করো মা!
কুবিরাজ ভাইয়ের গরম মাথায় ঠান্ডা দৈ ঢালো মা। 😀
ছাইরাছ হেলাল
দৈ-মৈ ঠান্ডা-গরম যা খুশি ঢালুন অসুবিধা নেই।
দেবীর সাথে ইট্টু লাইন-বাট্টা কইরা দেন, প্লিগ!!
নীলাঞ্জনা নীলা
দেবীর লগে আমি আপনারে কানেকশন করাইয়া দিমু! 😮 বুজছি আপনার মাথা গেছে।
অবশ্য যাওয়ারই কথা। এতো ডাইনী, দেবী থাকলে ক্যাম্নে সামাল দেয়া যায়? চুলও তো তেমন নাই মাথা শান্ত রাখার মতো। 😀
ছাইরাছ হেলাল
হুম, আপনি দেবেন্নাতো কে দেবে!!
আপনাকে তিনাঞ্জলি দিতে বলছি না।
সরস্বতীতে সুবিধে হচ্ছে না দেখে এটোখোর মাতঙ্গী দেবীর শরণাপন্ন হয়েও
যুত করতে পারছি না। তাই তো আপনার কাছে আসছি, আপনি এবার বলছেন নানান কথা!!
আজকাল চুল-ফুল লাগেই না, আপনারও-তো নেই কোন চুল, আটকাচ্ছে না তো কিছু!!
মৌনতা রিতু
বুঝছি বুঝছি প্রথম লাইনেই বুইঝা ফালাইছি।
আমি ভাই গেয়ে উঠি,” তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই।”
কবিতার শব্দমালায় হারাতে ভালোই লাগে। ক্লান্তি শেষে যাকে বলে, শব্দের মায়ার শীতল ছোয়া।
রাগ কইরেন না। অভিমান কইরেন।
ছাইরাছ হেলাল
আজিব!! রাগ-অভিমান পাইলেন কৈ!!
দেবী মাতঙ্গী চাই-চাই, যে-যা বলিস ভাই।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
যে ভাবে ধারা ধারি চলছে তাতে কে খুন হয় কে জানে।তবে
সহসা ক্ষুরটি স্বশব্দে হারিয়ে গেল
খান খান শব্দ তুলে অসংখ্য টুকরোর মাঝে।
লহ প্রণতী, দেবী মাতঙ্গী;
জয় মা দেবী -{@
ছাইরাছ হেলাল
মুখে জয় মা বললে কাজ হচ্ছে কৈ!!
দেবী দেখা কৈ পাই!!
মেহেরী তাজ
ভাইয়া একটু থামুন। কি হয়েছে বলুন তো?
রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন ভাইয়া।
মাথা ঠান্ডা হইলে আওয়াজ দিয়েন ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
মাথা পুরাই কুল কুল,
তবে দেবীর আশীর্বাদ ছাড়া কুল-কিনারা পাচ্ছি না।
ইঞ্জা
আহা ক্ষুরটিই ভেঙ্গে গেল, ধ্যাত।
খুব ভালো লাগলো কবির লেখা।
ছাইরাছ হেলাল
ক্ষুরটি ভেঙ্গে যাওয়াতে-ই সব কাজ করতে
পারা গেল না!!
ইঞ্জা
নতুন আরেকটা বানিয়ে নেবেন, অসুবিধা নেই 😀
ছাইরাছ হেলাল
এটি যেই সেই ক্ষুর না!!
এর ধার ওঠানো খুপ কঠিন কাজ!!