আজ রাস্তায় এতোই ভীড় যে পা ফেলা যাচ্ছেনা। কোন এক সিনেমার নায়ক-নায়িকা আসবে, পুরো শহর যেনো এদিকেই দৌঁড়ে আসছে। ওদিকে দেরী হয়ে যাচ্ছে অর্ডারগুলো সকাল এগারোটার মধ্যে দিতে হবে। অনুপা কাঁথা সেলাইয়ের কাজ করে। ছোটখাটো অর্ডার পায়। একসময়ের শখ আজকের পেশা। স্পর্শ হঠাৎ করেই চলে গেলো না-ফেরার দেশে। আর কঠিন ধাক্কা খেলো যখন দেখলো একটা টাকাও সেভিংস একাউন্টে নেই। উল্টো অফিস থেকে অগ্রিম নিয়ে সব শেয়ার বাজারে খুইয়েছে। চারদিকে অন্ধকার নেমে এসেছিলো। তাছাড়া বয়স চল্লিশের পর কোনো চাকরী পাওয়া অসম্ভব না হলেও বড্ড কঠিন। তখনই প্রতিবেশী একজন কাঁথা বানানোর প্রস্তাব নিয়ে এলো। অনুপাকে দেখেছিলো কাঁথা বুনতে। ব্যস অনুপার ব্যবসায়িক জীবন শুরু। আর তাতেই যা আসে কোনোরকমে চালিয়ে নিয়ে যায় মা আর মেয়ে। মোটামুটি পরিচিত হয়ে গেছে অনেকের কাছেই। তাছাড়া সময়ের ব্যাপারে কোনো আপোষ করেনা অনুপা, আর এটাই তার ব্যাবসায়িক স্ট্রাটেজি।
আজ অনেক তাড়া, কারণ আজকের এই অর্ডার যাবে নিউজিল্যান্ডে। পরিচিত কাষ্টমার আগেই জানিয়ে রেখেছিলো নিউজিল্যান্ড থেকে আত্মীয় আসবে নক্সীকাঁথা চাই। সেই কাঁথা নিয়ে রওয়ানা হয়েছে অনুপা। অথচ পথে এত্তো ভীড়। কোনোভাবে বাসস্টপেজে পৌঁছে গিয়েই দেখলো বাসটা চলে যাচ্ছে। দৌঁড়ে গিয়ে উঠলো বাসে। ভীড়ের মধ্যে কতো যে হাত এদিক-ওদিক চালান করছে অনুপার শরীরে। এমনই মেজাজ বিগড়ে গেলো একেবারে জায়গামতো বসিয়ে দিলো অনুপা, জোরে কেউ একজন চিৎকার দিয়ে উঠলো। বেশ কিছু জায়গা খালি হতেই দেখলো লোকটাকে। চোখ ফিরিয়ে নিয়ে জানালার দিকে চেয়ে দেখতে লাগলো। জেলা শহরকে লাগে যেনো বিশাল বড়ো এক শহর, এতো যানজট। এমনিতে বাসে পনেরো মিনিট লাগে, আজ একেবারে পঁয়তাল্লিশ মিনিট। সময়ের এতো হেরফের কখনোই করেনি অনুপা। একেবারে ছোটবেলা থেকেই সময়ের ব্যাপারে খুবই ডিসিপ্লিনড। যাই হোক অবশেষে পৌঁছুলো। দরোজা খোলার পর যে মুখটা দেখলো অনুপা একেবারে চমকে গিয়ে চুপ। এমনকি সামনে যে দাঁড়ানো, সেও। ‘তুই অনুপা না?’ মাথা দোলালো, ‘তুইইইইইই…তুমি, না আপনি তৃণা, না?’ অমনি তৃণা বললো, ‘আমায় আপনি করে বলছিস কেন? কত্তো বছর! প্রায় তিরিশ, না!’ আচমকা সহজ হয়ে এলো অনুপা, জীবনের সবচেয়ে প্রিয় ও একমাত্র বান্ধবী তৃণা। পুরোনো দিনের কতো কথা চলে এলো। যখনই বর্তমানের দিনকাল কথার ভেতর দিয়ে কথা হওয়া শুরু হলো অমনি চুপ হয়ে গেলো মুখ। কথারাই কথা লুকিয়ে নিলো নিমেষে। অনুপা তার বর্তমান দিনলিপি তৃণার একমুহূর্তের স্মৃতির কাছে রাখতে চায়না। সেই স্মৃতিগুলোই থাক যার মধ্যে কোনো দীর্ঘশ্বাস নেই, ছিলোনা।
হ্যামিল্টন, কানাডা
২২ এপ্রিল, ২০১৭ ইং।
৩২টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
দীর্ঘশ্বাসহীনতায় সবাই বাঁচতে চায়, হয়ত পারে বা পারেনা,
জীবন গতিময়, দেখা হয়ে যায় স্মৃতির বিস্মৃতিতেও।
নকশীকাঁথা মন্দ না, লেখার বুননেও!!
নীলাঞ্জনা নীলা
“নেই কাজ, খই ভাজ”—এই অবস্থাতে আছি আজকাল। যা মাথায় আসে লিখে ফেলি।
আপনার এই “মন্দ না”, আমাকে ভয় দেখায় এবং ভাবায়ও, কেন বলুন তো?
ছাইরাছ হেলাল
খুপ কঠিন প্রশ্ন!!
তবে গালে হাত রেখে ভাবুন কিন্তু ডরবেন্না যেন কিছুতেই।
খৈ কিন্তু খুব মজার এই বাদল-দিনে, ভাগাভাগি করে খেলে বহুত মজা!!
আর ভাজার সময় ‘ইষ্ট’ নাম জপ করতে থাকলে খেতে আরও সুস্বাদু হপে,
চালু রাখুন ধুমিয়ে;
নীলাঞ্জনা নীলা
খৈ পছন্দ করিনা অতোটা। তাই ভাজাভাজিতেও নেই। আপ্নে খান এবং ভাজেন।
গল্পটা এমনই অপছন্দ হইলো, কারণটা তো কইবেন।
ছাইরাছ হেলাল
এ দেখছি মাথা আউলা!!
মন্দ হইছে কখন বললাম!!
আমি তো সরাসরিই কইয়া ফেলি তাও আপনি জানেন!
জানেন না!!
নীলাঞ্জনা নীলা
ওহ বলেন নাই? ওহ আপনি বুঝি সরাসরিই কইয়া ফেলেন?
যাক তাইলে শান্তি!
ওম শান্তি! 😀
নীহারিকা
ইশ! শেষ হয়ে গেলো? আর একটু বড় হলে ক্ষতি কি হতো?
নীলাঞ্জনা নীলা
নীহারিকা আপু এটুকু লিখতে গিয়েই মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। 🙁
প্রহেলিকা
গল্পের প্লট ভালোই ছিল। শুরু থেকে শেষ একটানে পড়ে ফেলার মতোই। ছোট্ট লেখাতে অনেক কিছুই তুলে এনেছেন। নারীদের দৈনন্দিন জীবনে কতকিছুর যে সম্মুখীন হতে হয় তার ইয়ত্তা নেই।
গল্পের শেষে মিলন দেখে খুশিই লাগলো। বন্ধুত্ত্ব বেঁচে থাক।
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলে গল্পটা লিখতে চেয়েছিলাম নারীদের বাসে ওঠার পর ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়েই। কিন্তু মনে হলো ওসব নিয়ে লিখতে গেলে সমস্যায় শুধু প্যাচই পড়বে। তারচেয়ে ডিরেক্ট প্রতিবাদই ভালো।
যাক লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে। অনেকদিন পর গল্প লিখলাম। আজকাল গল্প লিখতে গেলেই অর্ধেকই পড়ে থাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।
প্রহেলিকা
গল্প লেখা কঠিনই মনে হয় তবে আমার জন্য। আপনিতো দেখিয়েই দিলেন যে আপনি পারেন। আশার কথা হলো সোনেলা সব্যসাচী পেয়েছে একজন।
নীলাঞ্জনা নীলা
এভাবে বলবেন না। হায় হায়! সত্যি বলছি খুব লজ্জ্বা পাচ্ছি। আমি খুব সাধারণ একজন। সব্যসাচী হওয়ার মতো কোন যোগ্যতাই নেই আমার। খুচরা-খাচরা লেখা লিখি, সেসবই এখানে এনে দেই। ওভাবে বললে ভয় আসে।
মৌনতা রিতু
কেউ কেউ থিকে এমন একেবারেই গুটিয়ে নেয় চিরচেনা সেই বান্ধবী বখ বন্ধুর কাছ থেকে।
আমি যেমন দ্বৈত সত্ত্বাকে বলি,” কেউ অন্তত তোমায় বলার আগে তাকে বলো,” আমি ঠিক আছি।” শান্তনার বানী বড় বেশি অসহ্য আমার।
যে দীর্ঘশ্বাস আমার তা তো শুধুই আমার।খুবই ভাল লিখেছো। মিশরকন্যা নীলনদ। (3 -{@
আজ আমার মন খারাপ। 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
মন খারাপকে পাত্তা দিওনা। আমার যেদিন মন খারাপ হয় কি করি জানো?
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মুখটাকে বেঁকিয়ে বাঁকিয়ে ভেঙচি কাটি। শুধু কি তাই? আউল-ফাউল ডেন্স মিউজিক ছেড়ে নাচিও। 🙂
আমাকে তাই সবাই বলে আমি নাকি একটা পাগল। আচ্ছা সুস্থ থেকে দুঃখ বহন করা জীবনকে যদি আমি বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে জয়ী করি নিজেকে, তাতে আমাকে কেউ যদি পাগলও বলে কিছু যায় আসেনা আমার। বুঝলে শান্তসুন্দরী?
নিজেকে ভালো রেখো। -{@ (3
মৌনতা রিতু
গতকাল এমন করেছি। জোরে জোরে যেমন তেমন করে বেহালা বাজাইছি। ভাগ্যভাল ফ্লাটের অন্যরা আমরা কান ধরতে আসেনি। -{@ আসলে বলতাম, কান ধরতে হলে হ্যামিলটন যান নীলাআপু বলেছে তাই আমি করেছি। মজা লেগেছে জান \|/ \|/ \|/ এই নাও -{@ (3
নীলাঞ্জনা নীলা
মনকে তুমি যেভাবে রাখতে চাইবে, সেভাবেই থাকতে বাধ্য সে। ঠিক এভাবেই যদি ডিরেকশন দিয়ে দাও, মন শুনবেই শুনবে। অনেক কষ্ট হয়েছে মনকে এভাবে নিয়ে আসতে। তবে শেষ পর্যন্ত নিয়ে আসতে পেরেছি। 😀
তোমার এই নাচন দেখে আমারও তো এখন নাচতে ইচ্ছে করছে। \|/ \|/
অনেক ভালো থেকো শান্তসুন্দরী। -{@
মেহেরী তাজ
লেখার ক্যাটাগরি না দেখেই পড়া শুরু করেছি। এই কাজটা বরাবর করি আমি কারন ক্যাটাগরি তে কবিতা দেখতেই ভয় পাই। তখন লেখার সারমর্ম মাথায় ধরে না মন্তব্য ও করতে পারি না।
লেখার প্রথমে পড়ে মনে হইলো আপনার কোন অভিজ্ঞা শেয়ার করেছেন পরে অনুপা দেখে বুঝেছি না গল্ল এটা। শুরু করতে করতেই শেষ। এক নিশ্বাস এ পড়েছি।
জীবনের প্রত্যেকটা মুহূর্ত এক এক টা মোড় না জানি কি রকম কি অভিজ্ঞা হয় যে সবে।
খুব ভালো লেগেছে আপু। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
গল্পটা যখন লিখি, তখন ডাক্তারের অপেক্ষায় বসেছিলাম। মানে রাফ লিখেছিলাম। তারপর যোগ করলাম বাসের ভেতরের অংশটুকু।
আমিও ক্যাটাগরি দেখিনা। দেখলেই এলোমেলো হয়ে যাই।
অবাক হয়ে গেলাম!
অনেক ভালো থাকবেন পিচ্চি আপু। 🙂
ইঞ্জা
জীবনটা বড়ই কঠিন, আসলে সব কথায় বলা যায় কিন্তু কিছু ব্যক্তিগত কথা বলার অর্থ অন্যের কাছে অনুকম্পা চাওয়ার মতোই মনে হয় যেমন আমারও এমন কিছু বিষয় আছে যা মন্ত্রী বন্ধুকে বললেই হয়তো কয়েক শ কোটি টাকার মালিক কিন্তু অনুকম্পা যে নিতে মন সায় দেয়না।
আপু খুব ভালো একটা অনুগল্প লিখলেন, মনও ছুঁলেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া আমিও জানেন অনেক কষ্ট হলেও কাউকে শেয়ার করতে পারিনা। কেউ বলবে আহারে, ইস রে একেবারেই সহ্য করতে পারিনা।
গল্প অনেক লেখা আছে। কিন্তু কিছু অর্ধেক। কিছু আবার শেষ হবার পরে ফেলে রেখে দিয়েছি। নিজেরই পছন্দ হয়নি। এইতো জীবন গো ভাইয়া।
ভালো থাকুন।
ইঞ্জা
আপনিও ভালো থাকবেন আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি তো সকল সময়ই বিন্দাস ভাইয়া। \|/
লীলাবতী
পুরানো দিনের বন্ধুতায়,স্মৃতিতে কোন দীর্ঘশ্বাস থাকেনা। উজ্জ্বল বর্নময়। ছোট গল্পে অনেক কিছুই বলে গেলেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
লীলাবতীদি পুরোনো বন্ধুরা নিখাদ, কিন্তু ওদেরকে যখন কাছে পাওয়া যায়, মনে হয় সব আনন্দের কথাই হোক। কষ্টের কথা বললে ওরা কষ্ট পাবে। চলে যাবার পর মনে হয় ইস কেন বললাম না? আমি এমনই করি তো!
আপনি লেখা দিচ্ছেন না কেন? এতো কম কম লেখা দেয়া ঠিক না কিন্তু।
ভালো থাকুন।
শুন্য শুন্যালয়
গল্পটা পড়তে খুবই ভালো লাগছিলো, তবে তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেলেছ। 🙁
তৃণারা হয়তো আর ফিরে না এলেই ভালো হয়। ক্লাস ফোর থেকে সিক্স পড়ুয়া বান্ধবীকে দেখেছিলাম মেডিক্যাল টেস্টের ভাইভার দিন। সেই তিল, কিভাবে ভুলি, সেই নাম কচি। কাছে এগিয়ে গিয়ে যখন বললাম তুমি কচি না? সে বললো হ্যাঁ, কিন্তু সে আমাকে চিনতেই পারলো না। বোনের কথা বলাতে চিনলো কিন্তু কোন উচ্ছ্বাস নেই। অথচ ওকে দেখে কি আনন্দ যে হয়েছিল কিভাবে বলি। কিছু কথা নীরবতাতেই থাকা ভালো। ঠিক বলেছো।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু সত্যি অমন অবস্থায় কেমন জানি অস্বস্তি হয়! তবে এমন অস্বস্তিতে আমি পড়িনি। আমার একটা বান্ধবী ফেসবুকে এসে বলতে লাগলো, “এই নীলাঞ্জনা আমায় চিনতে পারছিস না?” আমার যে কি অবস্থা! কিন্তু বন্ধুটা আমাকে অনেক ভালোবাসে, ভুল বোঝেনি। পরে ঠিক মনে পড়েছিলো। নিজেকে কি যে বকেছি আমি! হয়তো তোমার ওই বন্ধু কচির অবস্থা আমার মতোই হয়েছিলো। 🙂
আসলে গল্পটা বড়ো রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সবাই আকারে ছোট পড়তে ভালোবাসে, তাই কেটে-ছেটে ছোট করে দিলাম।
কেমন আছো গো আপু?
ভালো রেখো কিন্তু। -{@
জিসান শা ইকরাম
স্মৃতিরা বর্তমানের জটিলতা পূর্ন জীবনে এসে তার উজ্জ্বলতা বিসর্জন দিক এটি অনেকেই চায় না,
আমরা অনেকেই চাই যে বর্তমানের অবস্থা লুকাতে বা এড়িয়ে যেতে। বর্তমানটা আসলে অনেকের সুখের নেই।
ভাল লাগছে তোর লেখা নাতনী।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা খুব সুন্দর বলেছো তুমি। মন্তব্যটা আমার মন ছুঁয়েছে। কারণ চিরন্তন সত্যি কথাটাই বলেছো তুমি।
তোমার ভালো লাগে বলেই সাহস করে লিখি নানা। তা নইলে কি আর এখন সেভাবে লিখতে পারি?
অনেক ভালো থেকো তুমি।
নীরা সাদীয়া
বাস্তবে কি এভাবে বর্তমান থেকে পালিয়ে বাঁচা যায়? যায় না। বরং বাস্তব কিংবা অতীত, যেটাতে মানুষের একটু ত্রুটি থাকবে, সেটা নিয়েই খুঁটতে থাকবে অনেক মানুষ। শুধু বন্ধুত্বটাই অন্যরকম। অনেক বছর পর দেখা হলেও মনে হয় সব আগেরি মত অাছে। ভাল লাগল ছোট গল্পটি।
নীলাঞ্জনা নীলা
সত্যিকারের বন্ধুত্বকে সময় কখনোই বদলে দিতে পারেনা। নিজের জীবন থেকেই তো দেখি। কতো সহপাঠী ছিলো আমি ওদের ভুলে গেছি। কিন্তু ওরা আমাকে খুঁজে নিয়েছে। শুধু কি তাই সেই একইরকম মেতেও উঠেছি।
অনেক ভালো থেকো নীরা।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
কঠিন এবং বাস্তব জীবনের চিত্র ফুটে উঠেছে লেখায়। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
চেষ্টা করেছি। আসলে আজকাল সেভাবে গল্প লিখতে পারিনা।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। 🙂