ফড়িঙের মতো একটা জীবন যদি পাওয়া যেতো,
অনুভূমিক পাখায় ভর দিয়ে এদিক থেকে ওদিক ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়াতাম। “যে জীবন ফড়িঙের,দোয়েলের-মানুষের সাথে তার হয়নাকো দেখা”সত্যি কি তাই!
কেন আমি তবে মানুষ হোলাম?
বেনোজলে খড়কুটো হয়ে ভেসে গেলে একদিন হয়তো ঠিক সমুদ্রে মিশে যাওয়া যেতো।
যদিও সমুদ্র ভালো লাগেনা আমার। তবুও কোথাও তো যাওয়া হতো!
কতোদিন হয়ে গেলো, ভালো লাগা’র সাথে চলমান সময়ের দেখা-সাক্ষাৎ হয়না!
শুনেছি ভালো লাগা নাকি আপেক্ষিক, সময় তৈরী করে।
কিন্তু আমার এই ফড়িং হবার ইচ্ছেটা রাতদুপুরে জ্বালিয়ে মারছে।
আচ্ছা ইচ্ছে’দের জন্ম কেন হয়? উত্তরটা আজও জানা হলোনা।
একদিন অনেক অজানার সাথে জানা’দের দেখা হবে, সেদিন শুধু কাউকে আর বলতে পারবো না।অবাক লাগে, বিকীর্ণ এই জীবনটাকে বড়ো ভালোবাসি,
না-পাওয়াকে নিয়েও থাকতে ভালোবাসি
নিঃশ্বাসে শূন্যতাকে জড়িয়ে বাঁচতে ভালোবাসি।
ফড়িঙের মতো একটি জীবন পেলে হয়তো ভালোবাসা কাকে বলে বোঝা হতোনা
মানুষ নিজের কাছেই নিজে অচেনা, দু’ পায়ে হেঁটে চলে, এমনকি আকাশকেও ছুঁতে পারে
ভালোবাসাকে তাচ্ছিল্য করে হিসেবের সিন্দুকে কতো জমা হলো, সেসবেরও হিসেব রাখে।
আর ছয়টি পায়ে ফড়িং আকাশ ছোঁয়, দাঁড়াতে পারেনা,
তবুও কেন জানি মানুষ হয়ে থাকতে ইচ্ছে করেনা; একবার খুব অমানুষ হবো, মানুষের মানে বুঝতে।
কি দারুন!
জান আপু, এই ইচ্ছেদের মাঝে মাঝে আমার জ্বালিয়ে মারতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে থেকেই অপেক্ষার সৃষ্টি, অপেক্ষা থেকে বিরহের কষ্ট। এই বিরহ হয় নিজের সাথে নিজেরই। জান, অপেক্ষা এখন আর ভাবায় না আমায়। কি এক কারণে গতকাল চরম এক অপেক্ষায় কাটিয়েছি।
সে অপেক্ষাতেও পরে পানি ঢেলেছে আবারও বেড়েছে এক অভিমান।
আকাশে উঠার এবং উড়ার স্বাধ অনেক কিন্তু দেখ তাতে পা রাখতে পারি না। যে মাটিতে পা রাখতে পারি, তাও শক্ত নয়। কি দারুন বললে। খুব গভীর কথা লিখেছো। এই লাইনটা দারুন লেগেছে,’ছয়টি পায়ে ফড়িং আকাশ ছোঁয়, তবু দাঁড়াতে পারে না।” যাস্ট ওয়াও। দারুন। একশোতে একশো, দুইশো সব। (3 -{@
আমরা মানুষ, একটা পায়ে সমস্যা হলে আরেকটি পা দূর্বল হয়ে যায় আপু।
মাঝে-মধ্যে মনটা অবাধ্য হয়ে যায়, যদিও আমার মন খারাপ হয় খুবই কম। তার স্থায়ীত্ব খুব বেশী হয়ে ৫ মিনিট। গতকাল বেশ ব্যথা
হচ্ছিলো ভাঙ্গা জায়গাটায়, তখন এই লেখাটা লিখলাম। তারপর আবার মন খারাপ শেষ। 😀
আচ্ছা আমি কি খুব অদ্ভূত শান্তসুন্দরী আপু? ;? মানে ৪৯ বাই? :p
ফরিং তো হয়েই আছো, লেখা পড়ো আরেকবার, বুঝতে পারবে।
মানুষের মানে বুঝতে হলে মানুষই হতে হবে, অমানুষ কিংবা ফরিং নয়।
হ্যাঁ ফরিং হলে ফরিং এর মানে বুঝতে পারবে 🙂
লেখালেখির জন্য ভালো সার পেতে কী কানাডায় যাওয়া লাগবে?
মানষের মনের চাহিদা অপরিসীম যা আছে তাতে সন্তুষ্ট নই যদি ওমনটি হতাম ওমনটি পেতাম ইত্যাদি।তবে যা পেতেই চান মানুষের চেয়ে বড় কিছু নহে কিছু মহীয়ান।
ভিন্ন টাইপের লেখা ভাল লাগল। -{@
ইচ্ছেদের জম্ম হয় বলেই ফড়িং হয়ে এইদিক ওদিক উড়ে যেতে ইচ্ছে করে আর ইচভহে থেকেই তো মানুষ হেলিকপ্টার বানিয়েছে।
খুব সুন্দর লিখেন আপনি, এও তো ইচ্ছের প্রকাশ, ভালো থাকবেন আপু।
হ্যান্ডপাম্প ভাই আমরা সবসময় আকাশ ছুঁতে চাই। ঠিকই বলেছেন এই কারণেই হেলিকপ্টার বানানো হয়েছে। আপনি কখনো হেলিকপ্টারে চড়েছেন? ইস আমার যে কি চড়তে ইচ্ছে করে! 🙁
ভাইয়া ভালো লিখি কোথায়! বরং আপনাদের মন্তব্য রাঙিয়ে দেয় আমার লেখাকে।
ভালো থাকুন।
ইটালির বিখ্যাত কোম্পানি পিঁয়াজিও ভিকোলির বাংলাদেশের ডিস্ট্রিবিউটর হিসাবে একবার তাদের ফ্যাক্টরি ভিজিট করতে গিয়ে হেলিকপ্টার চড়ার অভিজ্ঞতা হয় আমার। 😀
লিখে যান আপু। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
কি মজা! আমিও হেলিকপ্টার চড়েছি। কিন্তু কিচ্ছু দেখা হয়নি গো ভাইয়া। ;(
আমি অজ্ঞান ছিলাম। 🙁 খুব অসুস্থ হওয়াতে হেলিকপ্টারে করে সিলেট থেকে ঢাকা নেয়া হয়েছিলো আমাকে ২০০৩ সালের ২৯/৩০ আগষ্ট। 🙁
ফল খুউব উপাদেয়, চুল থাকুক বা না থাকুক,———–বানীতে ‘খনা’।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাণীতে খনা না, নীলা(বাণী) চিরন্তনী। 😀
প্রহেলিকা
ব্যস্ততার কারণে কিছুদিন কারো লেখা পড়িনি। আজকেই এলাম কিছু পড়ব বলেই। শিরোনাম দেখে প্রথমেই ভালো লেগে গেল লেখাটি।
লেখার আদ্যোপান্তে আবেগের মিশেল ছিল বেশ! ভালো লেগেছে খুউব।
দুটো লাইন কোট না করলেই যেন নয়!
***বেনোজলে খড়কুটো হয়ে ভেসে গেলে একদিন হয়তো ঠিক সমুদ্রে মিশে যাওয়া যেতো।***
আরোপ করলে ভাবের পরিবর্তন আসে। যাত্রায় যে পুরুষেরা মেয়ে সাজে তাদেরকে নাইতে গেলে দেখেছি মেয়েলীকণ্ঠে কথা বলা। তারা রূপান্তরিত হতে পারে না, কেবল আরোপের মাধ্যমে ভাবের একটা বদল আসে। কথাগুলো বলার কারণ হলো, অনেক লেখক ( লেখক বলতে রেজিঃ করা কারো কথা বলছি না, যারা আজ কিছুটা প্রতিষ্ঠিত বলা যায়) তাদের কবিতায় অনেক অপ্রচলিত শব্দের ব্যবহার করে থাকেন যা আরোপিত বা জোর করে গেলানো।
পড়াকে পথের মতো মনে হয় যখন শুরু করি একটি গন্তব্য চাই অথবা হোক নিঃসীম। কিন্তু শুরু করার সাথে সাথেই যেন গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া না হয়। হ্যা অনেকের লেখার লাইন ঠিক এমনি হয় একটি লাইনে স্থির হতে না হতেই অন্য লাইনে গলা ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যায় সেক্ষত্রে **বেনোজলে খড়কুটো হয়ে ভেসে গেলে একদিন হয়তো ঠিক সমুদ্রে মিশে যাওয়া যেতো।** আপনার লাইনটি স্বার্থক। চমৎকার!! আমি শুরু করে গন্তব্য পেয়েছি। খুব সুন্দর চিত্রকল্প। ঠিক এমনি আরেকটি লাইন আর ছয়টি পায়ে ফড়িং আকাশ ছোঁয়, দাঁড়াতে পারেনা!!
এ দুটো লাইনের জন্যই এতো কিছু বলা, খুব ভালো লেগেছে আমার। মাঝের স্তবকে অবশ্য কিছুটা চিত্রকল্পের অভাব অনুভব করেছি। তবুও **নিঃশ্বাসে শূন্যতাকে জড়িয়ে বাঁচতে ভালোবাসি।**বিমূর্ত এই অনুভূতির মাধ্যমে উৎরে গিয়েছে এই অধম পাঠক।
বিশাল দীর্ঘ হয়ে গেল মন্তব্য। পরিশেষে বলতে চাই, লিখুন আরো আরো , পড়তে ভালো লাগে। সাথে চর্চাও জারি থাকে যেন, ব্যস্ততার সাথে তাল মিলিয়েই।
আরো একটি কথা, আপনার লেখার স্বতন্ত্রতা আপনাকে অনেকদূর নিয়ে যাবে।
অসাধারণ মন্তব্য। সঠিক সমালোচনা পেলে এতো ভালো লাগে আমার। আমারও একবার মনে হয়েছিলো মধ্যের স্তবকগুলোকে বদলে দেবার। কিন্তু ওই যে চঞ্চল মন, অস্থির আবেগ মাঝে-মধ্যে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আমিও এলোমেলো হয়ে যাই। আজ আরেকবার প্রমাণ পেলাম আমার মামনির সেই কথাটার, “নীলা যখন যা কিছু করবি, যদি বুঝিস তোর মন সায় দিচ্ছেনা, জেনে নে সেটা দায়সারাভাবে করলে কারুরই সেটা পছন্দ হবেনা। প্রথমে দেখিস তোর ভালো লাগছে কিনা, যদি ভালো লাগে। বুঝবি অন্যদেরও ভালো লাগবে।”
চেষ্টায় থাকবে এবার থেকে ভাবের সাথে স্বকীয়তাকে যুক্ত করার।
কতোদূর যাওয়া হবে সে জানিনা। তবে এই সোনেলা এবং আপনারা সবাই পাশে থাকলে দীর্ঘপথে একলা লাগবে না।
সমালোচনার সাধ্য নেই আমার কবি। পড়ে যা মনে আসে তা ব্যক্ত করে ফেলি তবে সবাইকেও না। ভাবনাকে উস্কে দেয়া কেবল। তবে এটা জানি আপনি কঠিন সমালোচনাকেও নিতে পারবেন, পারেন আর তাই আজ আপনার লেখা এত বলিষ্ঠ।
ফ্রিতে কিছু টিপস দিলেও দিতে পারেন, শুনেছি যারা ভাল লেখেন তারা ভাল সমালোচনাও করতে পারেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
একটু ভাব তো নিতেই হবে, দেখছি। এতো ভালো ভালো যখন বলছেন। নাহ ফ্রিতে টিপস দেইনা, তবে আপনার জন্য ১০% ছাড়! তো ওই ১০% ফ্রিতে এক লাইনের সমালোচনা। সবাই ভালো লিখতে পারেনা, আবার সমালোচনাও করতে পারেনা, কিন্তু আপনি সেটা খুব ভালোই পারেন, মানে ১০০ তে ১০০।
আপু আপনি যত চেষ্টাই করুন না কেনো একই সময়ের সব ভালো তো একসাথে ধরতে পারবে না। কিছু না কিছু ধরার জন্য অন্য ভালো কিছু একটাকে ছেড়ে দিতেই হবে।
এই যে মানুষ হয়ে এতো ভালোবাসা কুড়চ্ছেন, বিলিয়ে যাচ্ছেন ও।
ফড়িং হলে হয়তো ওড়া হতো কিংবা ঘোরাঘুরি ও কিন্তু ভালোবাসা কি পাওয়া হতো বলেন?
তবে আপু আপনি ফড়িং হতে চান তো? আমি হতে চাই পাখি। আর জানেন তো পাখিরা ফড়িং কে ধরে খেয়ে ফেলে? :p
আপু সব মানুষ একই হয় না। নির্দয়, নিষ্ঠুর,পাষণ্ড মানুষ যেমন আছে তেমনই ভালো,দয়ালু মানুষ ও আছে আপু।
এই যে দেখনে না আপনি আমাকে চেনে না, আমিও আপনাকে চিনি না জানি না। অথচ কি এক টান টান লাগে।
এই টান টান বিষয় টা অন্য কোন প্রাণীর মধ্যে আছে? বলেন?
আপনিও ভালো থাকুন আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু তাইতো বললাম আমি মানুষ হয়েই থাকতে চাই।
সত্যি যে পরিমাণ ভালোবাসা পেয়েছি আপনাদের কাছ থেকে, এ জীবনটাকে তখন আরও ভালো লাগে। ভালোবাসি আরও অনেক।
সৃষ্টি জগতের শ্রেষ্ট জীব হচ্ছে মানুষ।
এটা ঠিক যে অনেক সময় মানুষ অমানুষের মতো কাজ করে বসে।
কবি লেখকদের মনের মাঝে কত যে ভাব আসে তা হয়তো স্বয়ং কবিরাও জানে না। (y)
২৬টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
কি দারুন!
জান আপু, এই ইচ্ছেদের মাঝে মাঝে আমার জ্বালিয়ে মারতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে থেকেই অপেক্ষার সৃষ্টি, অপেক্ষা থেকে বিরহের কষ্ট। এই বিরহ হয় নিজের সাথে নিজেরই। জান, অপেক্ষা এখন আর ভাবায় না আমায়। কি এক কারণে গতকাল চরম এক অপেক্ষায় কাটিয়েছি।
সে অপেক্ষাতেও পরে পানি ঢেলেছে আবারও বেড়েছে এক অভিমান।
আকাশে উঠার এবং উড়ার স্বাধ অনেক কিন্তু দেখ তাতে পা রাখতে পারি না। যে মাটিতে পা রাখতে পারি, তাও শক্ত নয়। কি দারুন বললে। খুব গভীর কথা লিখেছো। এই লাইনটা দারুন লেগেছে,’ছয়টি পায়ে ফড়িং আকাশ ছোঁয়, তবু দাঁড়াতে পারে না।” যাস্ট ওয়াও। দারুন। একশোতে একশো, দুইশো সব। (3 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আমরা মানুষ, একটা পায়ে সমস্যা হলে আরেকটি পা দূর্বল হয়ে যায় আপু।
মাঝে-মধ্যে মনটা অবাধ্য হয়ে যায়, যদিও আমার মন খারাপ হয় খুবই কম। তার স্থায়ীত্ব খুব বেশী হয়ে ৫ মিনিট। গতকাল বেশ ব্যথা
হচ্ছিলো ভাঙ্গা জায়গাটায়, তখন এই লেখাটা লিখলাম। তারপর আবার মন খারাপ শেষ। 😀
আচ্ছা আমি কি খুব অদ্ভূত শান্তসুন্দরী আপু? ;? মানে ৪৯ বাই? :p
শুন্য শুন্যালয়
ফরিং তো হয়েই আছো, লেখা পড়ো আরেকবার, বুঝতে পারবে।
মানুষের মানে বুঝতে হলে মানুষই হতে হবে, অমানুষ কিংবা ফরিং নয়।
হ্যাঁ ফরিং হলে ফরিং এর মানে বুঝতে পারবে 🙂
লেখালেখির জন্য ভালো সার পেতে কী কানাডায় যাওয়া লাগবে?
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক বলেছো ফড়িং হয়েই আছি, তবে অসম্পূর্ণ ফড়িং। 🙂
অমানুষের সংজ্ঞা জানতে চাই, তাই ভাবলাম দেখি প্র্যাক্টিক্যালি করেই দেখি। :p
শোনো কানাডায় ভালো যে সার আছে, তুমি আমাকে নিয়ে যাও তোমার অষ্ট্রেলিয়াতে আমি নিয়ে আসবো। 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মানষের মনের চাহিদা অপরিসীম যা আছে তাতে সন্তুষ্ট নই যদি ওমনটি হতাম ওমনটি পেতাম ইত্যাদি।তবে যা পেতেই চান মানুষের চেয়ে বড় কিছু নহে কিছু মহীয়ান।
ভিন্ন টাইপের লেখা ভাল লাগল। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
খুব চমৎকার করে বললেন মনির ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন। -{@
ইঞ্জা
ইচ্ছেদের জম্ম হয় বলেই ফড়িং হয়ে এইদিক ওদিক উড়ে যেতে ইচ্ছে করে আর ইচভহে থেকেই তো মানুষ হেলিকপ্টার বানিয়েছে।
খুব সুন্দর লিখেন আপনি, এও তো ইচ্ছের প্রকাশ, ভালো থাকবেন আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাই আমরা সবসময় আকাশ ছুঁতে চাই। ঠিকই বলেছেন এই কারণেই হেলিকপ্টার বানানো হয়েছে। আপনি কখনো হেলিকপ্টারে চড়েছেন? ইস আমার যে কি চড়তে ইচ্ছে করে! 🙁
ভাইয়া ভালো লিখি কোথায়! বরং আপনাদের মন্তব্য রাঙিয়ে দেয় আমার লেখাকে।
ভালো থাকুন।
ইঞ্জা
ইটালির বিখ্যাত কোম্পানি পিঁয়াজিও ভিকোলির বাংলাদেশের ডিস্ট্রিবিউটর হিসাবে একবার তাদের ফ্যাক্টরি ভিজিট করতে গিয়ে হেলিকপ্টার চড়ার অভিজ্ঞতা হয় আমার। 😀
লিখে যান আপু। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
কি মজা! আমিও হেলিকপ্টার চড়েছি। কিন্তু কিচ্ছু দেখা হয়নি গো ভাইয়া। ;(
আমি অজ্ঞান ছিলাম। 🙁 খুব অসুস্থ হওয়াতে হেলিকপ্টারে করে সিলেট থেকে ঢাকা নেয়া হয়েছিলো আমাকে ২০০৩ সালের ২৯/৩০ আগষ্ট। 🙁
নীহারিকা
ফড়িং হলে ভালোই হতো। কোনো ফটোগ্রাফারের সামনে পড়লে DSLR ক্যামেরা দিয়া কি সোন্দর ফডু তুইল্লা দিতো 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
নীহারিকা আপা আপনার মনে হয় অমন ক্যামেরা আছে? আমার নেই। 🙁
একখানা ছবি যদি কেউ তুলে দিতো ওই ক্যামেরা দিয়া, মনটা প্রজাপতির মতো নৃত্য করতো। ঠিক এইভাবে। \|/
ছাইরাছ হেলাল
ভালো লাগা না-লাগাদের সাথে দেখা হলে
আলতো সোহাগে না-লাগাদের বিদেয় করে
ভালোলাগাদের কণ্ঠলগ্ন হওয়া যেতেই পারে,
রাজ-ফড়িং পেলে-তো অরণ্যে হারানো যেতেই পারে।
নাড়া দিলেই লেখা-ফল পড়ে!!
অবশ্য বেশি নাড়া দিতে চাই-না, কলিকালে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
শুভ সকাল! দিনখানা আপনার অনেক ভালো কাটুক। এত্তো সুন্দর, মনকাড়া একখানা মন্তব্য দিয়েছেন, সেজন্য আপনার জন্য শুভকামনা।
লেখা-ফল দেখতে কেমন? আতা-ফলের মতো নাকি? ;?
নাড়া দেয়াটা ঠিকও না আপনার জন্য কুবিরাজ ভাই। আপনার মাথার চুল তিন কাল গিয়ে এক কালে ঠেকেছে, একটু সাবধান। 😀
ছাইরাছ হেলাল
ফল খুউব উপাদেয়, চুল থাকুক বা না থাকুক,———–বানীতে ‘খনা’।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাণীতে খনা না, নীলা(বাণী) চিরন্তনী। 😀
প্রহেলিকা
ব্যস্ততার কারণে কিছুদিন কারো লেখা পড়িনি। আজকেই এলাম কিছু পড়ব বলেই। শিরোনাম দেখে প্রথমেই ভালো লেগে গেল লেখাটি।
লেখার আদ্যোপান্তে আবেগের মিশেল ছিল বেশ! ভালো লেগেছে খুউব।
দুটো লাইন কোট না করলেই যেন নয়!
***বেনোজলে খড়কুটো হয়ে ভেসে গেলে একদিন হয়তো ঠিক সমুদ্রে মিশে যাওয়া যেতো।***
আরোপ করলে ভাবের পরিবর্তন আসে। যাত্রায় যে পুরুষেরা মেয়ে সাজে তাদেরকে নাইতে গেলে দেখেছি মেয়েলীকণ্ঠে কথা বলা। তারা রূপান্তরিত হতে পারে না, কেবল আরোপের মাধ্যমে ভাবের একটা বদল আসে। কথাগুলো বলার কারণ হলো, অনেক লেখক ( লেখক বলতে রেজিঃ করা কারো কথা বলছি না, যারা আজ কিছুটা প্রতিষ্ঠিত বলা যায়) তাদের কবিতায় অনেক অপ্রচলিত শব্দের ব্যবহার করে থাকেন যা আরোপিত বা জোর করে গেলানো।
পড়াকে পথের মতো মনে হয় যখন শুরু করি একটি গন্তব্য চাই অথবা হোক নিঃসীম। কিন্তু শুরু করার সাথে সাথেই যেন গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া না হয়। হ্যা অনেকের লেখার লাইন ঠিক এমনি হয় একটি লাইনে স্থির হতে না হতেই অন্য লাইনে গলা ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যায় সেক্ষত্রে **বেনোজলে খড়কুটো হয়ে ভেসে গেলে একদিন হয়তো ঠিক সমুদ্রে মিশে যাওয়া যেতো।** আপনার লাইনটি স্বার্থক। চমৎকার!! আমি শুরু করে গন্তব্য পেয়েছি। খুব সুন্দর চিত্রকল্প। ঠিক এমনি আরেকটি লাইন আর ছয়টি পায়ে ফড়িং আকাশ ছোঁয়, দাঁড়াতে পারেনা!!
এ দুটো লাইনের জন্যই এতো কিছু বলা, খুব ভালো লেগেছে আমার। মাঝের স্তবকে অবশ্য কিছুটা চিত্রকল্পের অভাব অনুভব করেছি। তবুও **নিঃশ্বাসে শূন্যতাকে জড়িয়ে বাঁচতে ভালোবাসি।**বিমূর্ত এই অনুভূতির মাধ্যমে উৎরে গিয়েছে এই অধম পাঠক।
বিশাল দীর্ঘ হয়ে গেল মন্তব্য। পরিশেষে বলতে চাই, লিখুন আরো আরো , পড়তে ভালো লাগে। সাথে চর্চাও জারি থাকে যেন, ব্যস্ততার সাথে তাল মিলিয়েই।
আরো একটি কথা, আপনার লেখার স্বতন্ত্রতা আপনাকে অনেকদূর নিয়ে যাবে।
শুভকামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
অসাধারণ মন্তব্য। সঠিক সমালোচনা পেলে এতো ভালো লাগে আমার। আমারও একবার মনে হয়েছিলো মধ্যের স্তবকগুলোকে বদলে দেবার। কিন্তু ওই যে চঞ্চল মন, অস্থির আবেগ মাঝে-মধ্যে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আমিও এলোমেলো হয়ে যাই। আজ আরেকবার প্রমাণ পেলাম আমার মামনির সেই কথাটার, “নীলা যখন যা কিছু করবি, যদি বুঝিস তোর মন সায় দিচ্ছেনা, জেনে নে সেটা দায়সারাভাবে করলে কারুরই সেটা পছন্দ হবেনা। প্রথমে দেখিস তোর ভালো লাগছে কিনা, যদি ভালো লাগে। বুঝবি অন্যদেরও ভালো লাগবে।”
চেষ্টায় থাকবে এবার থেকে ভাবের সাথে স্বকীয়তাকে যুক্ত করার।
কতোদূর যাওয়া হবে সে জানিনা। তবে এই সোনেলা এবং আপনারা সবাই পাশে থাকলে দীর্ঘপথে একলা লাগবে না।
ভালো থাকুন খুউব। নিঃস্বার্থ ধন্যবাদ। 🙂
প্রহেলিকা
সমালোচনার সাধ্য নেই আমার কবি। পড়ে যা মনে আসে তা ব্যক্ত করে ফেলি তবে সবাইকেও না। ভাবনাকে উস্কে দেয়া কেবল। তবে এটা জানি আপনি কঠিন সমালোচনাকেও নিতে পারবেন, পারেন আর তাই আজ আপনার লেখা এত বলিষ্ঠ।
ফ্রিতে কিছু টিপস দিলেও দিতে পারেন, শুনেছি যারা ভাল লেখেন তারা ভাল সমালোচনাও করতে পারেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
একটু ভাব তো নিতেই হবে, দেখছি। এতো ভালো ভালো যখন বলছেন। নাহ ফ্রিতে টিপস দেইনা, তবে আপনার জন্য ১০% ছাড়! তো ওই ১০% ফ্রিতে এক লাইনের সমালোচনা। সবাই ভালো লিখতে পারেনা, আবার সমালোচনাও করতে পারেনা, কিন্তু আপনি সেটা খুব ভালোই পারেন, মানে ১০০ তে ১০০।
আপনাদের মন্তব্য আমার লেখার অলঙ্কার, এভাবেই পাশে থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভ নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন।
মেহেরী তাজ
আপু আপনি যত চেষ্টাই করুন না কেনো একই সময়ের সব ভালো তো একসাথে ধরতে পারবে না। কিছু না কিছু ধরার জন্য অন্য ভালো কিছু একটাকে ছেড়ে দিতেই হবে।
এই যে মানুষ হয়ে এতো ভালোবাসা কুড়চ্ছেন, বিলিয়ে যাচ্ছেন ও।
ফড়িং হলে হয়তো ওড়া হতো কিংবা ঘোরাঘুরি ও কিন্তু ভালোবাসা কি পাওয়া হতো বলেন?
তবে আপু আপনি ফড়িং হতে চান তো? আমি হতে চাই পাখি। আর জানেন তো পাখিরা ফড়িং কে ধরে খেয়ে ফেলে? :p
নীলাঞ্জনা নীলা
লেখার খাতিরে লেখা গো আপু। আমি মানুষ হয়েই থাকতে চাই। পাখী, ফুল, প্রজাপতি, ফড়িং কিছুই হবার ইচ্ছে নেই। 🙂
মানুষের মতো নিষ্ঠুর-নির্দয়-পাষন্ড এ পৃথিবীতে আর কেউ নয়।
অনেক অনেক ভালো থাকুন পিচ্চি আপু।
মেহেরী তাজ
আপু সব মানুষ একই হয় না। নির্দয়, নিষ্ঠুর,পাষণ্ড মানুষ যেমন আছে তেমনই ভালো,দয়ালু মানুষ ও আছে আপু।
এই যে দেখনে না আপনি আমাকে চেনে না, আমিও আপনাকে চিনি না জানি না। অথচ কি এক টান টান লাগে।
এই টান টান বিষয় টা অন্য কোন প্রাণীর মধ্যে আছে? বলেন?
আপনিও ভালো থাকুন আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু তাইতো বললাম আমি মানুষ হয়েই থাকতে চাই।
সত্যি যে পরিমাণ ভালোবাসা পেয়েছি আপনাদের কাছ থেকে, এ জীবনটাকে তখন আরও ভালো লাগে। ভালোবাসি আরও অনেক।
ভালো থাকুন। শুভ নববর্ষ।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
সৃষ্টি জগতের শ্রেষ্ট জীব হচ্ছে মানুষ।
এটা ঠিক যে অনেক সময় মানুষ অমানুষের মতো কাজ করে বসে।
কবি লেখকদের মনের মাঝে কত যে ভাব আসে তা হয়তো স্বয়ং কবিরাও জানে না। (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলেই কবি-লেখকদের মনে যে কতো ভাব স্বয়ং কবিরাও জানেনা।
একবার কবি হয়ে জানতে ইচ্ছে করে, কিন্তু সে আশায় গুঁড়েবালি। 🙂
শুভ নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা।