পাতাঝরা দিনে মচমচ শব্দ তুলে সময় হেঁটে যায় আর হলদে পাতারা বাতাসে ভেসে ভেসে হাওয়ার নাচনে
হুটোপুটি লুটোপুটি খেতে খেতে আনন্দ-বিষাদে মাটির বুক-জুড়ে ঘুমোয়,
ঘুমোয়;
মচমচ শব্দ তুলে সময় হেঁটে যায়,
জলভূমির জলপরী ফ্যাকাসে-মলিন বিষণ্ন-চোখে অপলক চেয়ে চেয়ে নির্দোষ দিনগুলোর কথা ভাবে ও
আবার জলারণ্যে পথ হারায় কোন এক আগামীকালে গজিয়ে ওঠা সবুজ কুড়ি দেখবে বলে,
ফসলবিলাসী চাঁদ অরণ্যে লুকোয় লুকোচুড়িতে ভালোবাসবে বলে,
আমিও অরণ্য হবো প্রতিদিনের শেষে।
সময় হেঁটে যায় নিঃসীম নিঃশব্দে;
৪২টি মন্তব্য
রুম্পা রুমানা
আসলেই , সময় এক আজব কারিগর । সময় গেলে সাধনও হয় না ! কতো কতো সময়কে কাজে লাগাচ্ছিনা ! ভুগতে হবে । ভালো লিখেছেন।
ছাইরাছ হেলাল
সময় সব কিছুর নির্ধারক, আমরা মানি বা না মানি,
মোঃ মজিবর রহমান
ফসলবিলাসী চাঁদ অরণ্যে লুকোয় লুকোচুড়িতে ভালোবাসবে বলে,
আমিও অরণ্য হবো প্রতিদিনের শেষে।
বস সময়কে আটকান যাবেনা তাই ব্যাবহার উত্তম হয়না
কি বলি ভাবে আসে না।
ভাল থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই সময়কে আঁটকে রাখা যাবে না,
আর বেশি বলার দরকার নেই, বুঝতে পেরেছি সবই।
অরণ্য
এই না আমাদের জন্য লেখা! আমরা আমাদের মত আঁকাআঁকি করতে পারি সহজেই।
ভালো লেগেছে হেলাল ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
আঁকাআঁকি করি, কিন্তু কার জন্য কাদের জন্য তা জনি না, তবে এখানে যখন লিখি
আমরা আমাদের জন্যই লিখি ভাবাই যায়, ভাবিও।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
জলারণ্য? বাহ্। মচমচ শব্দ তুলে সময় হেঁটে যায়। সময় তো এলার্ম ছাড়া না জানান দিয়েই চলে যাচ্ছে। শব্দ তুললে না হয় কিছু সুর তুলতাম সাথে। লাইনটা মনে ধরেছে খুব।
অরণ্য কী লুকোচুরি ভালোবাসা দেখবেন বলে হতে চাচ্ছেন? আচ্ছা সাধন চলুক।
হুম এইতো ঠিক আছে নি:সীম নি:শব্দে সময় হেঁটে যায়।
কতোকিছু নিয়ে যে আপনি লেখেন অবাক হই ভাবলে। একারনেই কিনা একটা বই শেষ করতে অনেকদিন লেগে যায়!
ভাল্লাগছে লেখাটা।
ছাইরাছ হেলাল
জলের অরণ্য থাকে, অরণ্যেরও জল থাকে,
‘সত্তুরটা হুর-পরী চাই না, দোজখে যামু’ এই যার অবস্থা তার আর সাধনের কিছু নেই,
সবুজের সমাহার থেকে সুন্দরবন, শেষে সবুজ অরণ্যের আঁটসাঁটও বেষ্টনী আমাদের
অতি প্রয়োজনীয়, জীব বৈচিত্র্য রক্ষায়!!
হুম, কতকিছু ভাবি, বকিও,
তবে এবারে উত্তর দিতে গিয়ে উল্টোপাল্টা বকিনি, মাথা ঠিক।
নীরা সাদীয়া
ঠিক যেন রূপকথার ছবি আঁকা।
ছাইরাছ হেলাল
রূপকথা নিয়ে আঁকা ছবি এত্ত পচা হয় না!!
আবু খায়ের আনিছ
শীতের জীর্ণতা শেষ করে পুস্পপল্লবে বসন্ত এসে যায়, সময় হেটে যায়, বিরহী ব্যথাকাতুর ঋতুকে সতেজ করতে আবার জল জড়িয়ে বর্ষা এসে যায়।
ছাইরাছ হেলাল
সময় নিজ নিয়মে পাল্টায়, আমরা শুধু সাক্ষী মাত্র।
মেহেরী তাজ
সময় হাটে??? আমার তো মনে হয় সে ম্যারাথন দৌড়ের উপর থাকে।
জলাভূমিতে তো সাপ,ব্যাঙ, কুচো, পোকামাকড় এ ভর্তি থাকে সেখানেও জলপরী থাকে?
আপনি অরণ্য হবেন কেনো? আপনি তো ছাইরাছ ভাই!
;?
ছাইরাছ হেলাল
ম্যারাথন সবার জন্য না, কেউ কেউ হাঁটেও।
মাকড়দের সাথে পরীও থাকে!! ভুতও থাক্তারে।
অরণ্যে ঘুরান্তিস দিতে যাব!!
কী-না-কী হয় সেখানে!!
মেহেরী তাজ
আমার জন্য তাইলে সময় হাটেনা কেনো? গড়ায়ে চলে না কেনো? শুধু দৌড়ায় আর দৌঁড়ায়। মাকড়দের সাথে ভূত তো থাকেই পারে। তাই বলে পরীও! যা দিন কাল পড়েছে থাকতেও পার…… ঠিক ঠিক!
ভাইয়া অরন্যে গিয়ে বিপদে পড়লে শুধু আমার নাম নিবেন তাইলেই হবে…… সব বিপদ মুক্ত। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
যাক এতদিনে ভরসার জায়গা পেলাম, শান্তি এবং শান্তি।
দিন-কাল বা কালের-দিন কিন্তু একদম খারাপ না, পরীরাও ভূত, ভুতেরাও পরী হইতারে।
মেহেরী তাজ
ভূতই আর পরী আবার পরীই ভূত তাও বলছেন দিনকাল বা কালের-দিন ভালো? 😮
ছাইরাছ হেলাল
কুট্টি ভূত= পরী, কুট্ট পরী= বড় ভূত হইতেও তো পারে, পারে না!!
হুম, ভালোতো ভালোনা!!
প্রহেলিকা
ফসলবিলাসী চাঁদ অরণ্যে লুকোয় লুকোচুড়িতে ভালোবাসবে বলে,
আমিও অরণ্য হবো প্রতিদিনের শেষে।
অসাধারণ অভিব্যক্তি। বারবার করে যতবার পড়েছি এই লাইনগুলো ঠিক ততবার আটকে ছিলাম। একটা কোমলভাবে ফুটিয়েছেন? দেখুনতো এই যে ”বিমূর্ত কোমলতা” ফুটিয়ে তুলেছেন, তা কি সবাই পারে? আপনার শেষ লেখাটিতে বলেছিলাম লেখাটি চেনা চেনা লাগে। এটি এমনি এমনি বলা যায় না যদি মনে কিছুটা হলেও গেঁথে না থাকতো। এই লেখাটিও অনেকদিন মনে থাকবে।
ছাইরাছ হেলাল
এর থেকে হাজার-বিজার ভালো অনেকেই লিখে, লিখবেও।
চাঁদের ফসল হলো জ্যোৎস্না, তা -তো কোমল-ই।
আউল-ফাউল গেঁথে জায়গা নষ্ট করা ঠিক না, ভাল কিছু সংগ্রহে রাখুন।
লেখা কৈ?
প্রহেলিকা
আহা ভালো কিছু সংগ্রহের কথা ভাবছেন ক্যান, যা খেয়ে সয়ে যায় সেটাই ভালো। ভালো বলতে এই সেই ভালো না, মাত্রা পেরিয়ে যায় যে ভালো ঠিক তেমন ভালো। আসলে কি না কি বলছি জানি না। আসলাম খালি সকালের হাঁটাপথে আড্ডা দিতে।
ছাইরাছ হেলাল
“আসলে কি না কি বলছি জানি না।”
আন্তাজি-মান্তাজি বলে হাওয়া দেওয়া ঠিক না,
প্রহেলিকা
দেখুন উপরের মন্তব্যটি কিন্তু পূর্বেই করেছি, সুস্থ মস্তিষ্কে আপনি সেই মন্তব্যটিকে হাওয়া কইতে পারেন না। ”আসলে কি না কি বলছি জানি না” এই বাক্যটি কেবল ”আহা ভালো কিছু সংগ্রহের কথা ভাবছেন ক্যান, যা খেয়ে সয়ে যায় সেটাই ভালো। ভালো বলতে এই সেই ভালো না, মাত্রা পেরিয়ে যায় যে ভালো ঠিক তেমন ভালো।” এই অংশটুকুর জন্য প্রযোজ্য।
৯ই মার্চ পেরিয়ে গিয়েছে, ১০ই মার্চ। দিয়ে দিন কাত করে।
ছাইরাছ হেলাল
সবাই গাইল-গুইল দিলে দায় আপনার,
রোজ লেখা দেয়াতে,
প্রহেলিকা
নিসি দায় সব, দিয়ে দিন। দেখি কেডা আহে সামনে
ছাইরাছ হেলাল
আইচ্ছা!!
ইঞ্জা
বেশ রোমান্টিক কাব্য, ভালো লাগা রইল।
ছাইরাছ হেলাল
ইস্, আপনি-ই কইলেন,
আর কেউ কইতেই চায় না, কেপ্পন সব।
প্রহেলিকা
বেশ রোমান্টিক কাব্য, ভালো লাগা রইল।
কইলাম
ছাইরাছ হেলাল
অন্যের দেখাদেখি কইলে হবে না।
ইঞ্জা
বুঝছি মারামারি লাগাইবেন, আমি ভাগলাম। 😮
ছাইরাছ হেলাল
ভাগলে মাইর-মুইর থামবে ক্যাম্নে!
নীলাঞ্জনা নীলা
এইতো মন ছুঁয়ে যাবার মতো লেখা! শব্দগুলো যেনো একেকটা প্রজাপতি। উড়ে বেড়াচ্ছে কবিতার বাগানে। আজ পাচ্ছি মিষ্টি কবিতার ঘ্রাণ।
অক্ষররা জলকেলি বুঝি এভাবেই করে? এভাবেই কি অনুভূতি বিমূর্ত হয়ে যায়? জানা নেই আমার। আসলে গভীর আবেগে পরিপূর্ণ, যা বুঝতে গেলে বোঝা যায়না কিন্তু অনুভব করা যায়, এমন লেখাই আমার খুব প্রিয়। কতো শ্রুতিমধুর উপমা ব্যবহার করেছেন, ইচ্ছে করছে একটা/দুটো নিয়ে যাই আমার শব্দক্ষেতে আর ওখানে এই উপমার বীজ বপন করি। কিন্তু চোর হতে গেলে ধরা পড়ে যাবো যে, তাই কি আর করা!
এইবারে চুপ যাই। আরেকটু পড়বো একবার, দু’বার এবং কয়েকবার। এখন না, ফিরে এসে আবার। :c
ছাইরাছ হেলাল
এই মিষ্ট-মিষ্টি ঘ্রাণ ছুটাইতে বহুত ত্যাল পোড়ান লাগছে,
তার হিসাব আছে !! লেডিজী!!
ঈশ্বর আড়ালে হাসেন, কত কী, কত কিছু যে লিখছে আড়ালশব্দে।
আমি নিজেই প্রেমে পড়েছি এই অল্প কটি অক্ষরের।
সাবধান, আপনি আবার নজর দেবেন্না যেন, শাঁকচুন্নি বলে কথা,
ভাল করে চাষ-চুষ করেন, ভাগ চাই না, শুধু চৌক্ষের দেখা দেখালেই হবে,
অপেক্ষা করতেই থাকলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
দেখলেন তো কইলাম চুরী করমুনা, আপনে কইলেন নজর না দিতে।
আবার কইলেন চাষ করতে।
যান অপেক্ষা বিফল করমু আপনার। :@
ছাইরাছ হেলাল
চুরি আর চাষ সব করুন,
তবে অপেক্ষা বিফল করতারবেন্না!!
নীলাঞ্জনা নীলা
তাইলে এখনই চুরী কইরা দিয়া দেই। নেন।
প্রতিদিন দিন চলে যায়—
প্রতিদিন রাতও চলে যায় রাতের মতো করে
আর নির্দোষ সময়গুলো ঠিকই ঝরাপাতার মতো ঝরে পড়ে নিদ্রাহীন বিছানায়
বালিশের কাছে ঘোরাঘুরি করে অভিজাত ঘুম।
জানালার বাইরে সমস্ত আকাশ জুড়ে ফাল্গুনী চাঁদ
মেঘ-মাটিতে আলোর ফসলে ভরিয়ে দেয়।
আমি লুকোচুরী খেলি সেই আলোর সাথে, ঘুমের সাথে
আমাদের খেলায় সময় হেরে যায় দিন এবং রাতের কাছে। ————–হয়েছে?
ছাইরাছ হেলাল
হইছে মানে, পুরাই হইছে,
এতো দেখছি চুলোয় তেল ফুটছে!!
দেয়া মাত্রই হাতে গরম গরম উঠে আসছে।
সাবধান ছলকে যেন না পড়ে,
আপনি পুড়বেন, পুড়ুন, আমাদের-কে না;
তবে ডরামু না, সে তো আপনার জানাই আছে,
জয় বজ্রাংবলী!!
আচ্ছা, লুকোচুরীটা দেখছি সবার-ই লাগে!!
মৌনতা রিতু
আজ এই বৃষ্টির দিনে এমন একটা কবিতা পড়তে খুবই ভাল লাগলো।
রুক্ষতার পরে পাতার মড়মড় ভাঙার শব্দ থামাতেই এই বৃষ্টি।
চাঁদ লুকাক কখনো আমার এ আঁচলে এই অপেক্ষায় রইলাম।
দারুন লেখা। এক কথায় দারুন।
ছাইরাছ হেলাল
চাঁদ আপনি আঁচলে নিয়ে নিলে অন্যদের অবস্থা কী হবে তাও তো একটু ভাবতে
হবে আপনাকে।
বৃষ্টি জারি থাকুক,
সৈয়দ আলী উল আমিন
লেখাটি মন ছুঁয়েছে। সময়কে ধরে রাখা যায় না তাই সময়কে সময় মত কাজে লাগাতে হয়।
ছাইরাছ হেলাল
সময় আসলে হন্তাকারক, কারো তোয়াক্কা করে না,
ভা লাগছে যেনে আনন্দিত হচ্ছি।