বুলেটের চেয়ে অধিক শক্তিশালী-
“রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই” বুলি।
নয়তো বুলেট ছুটবে কেন ?
বিঁধবে কেন ক্রোধে ?
প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর রোধে?
প্রাণের দাবি রুখবে সাধ্য কার?
হৃদয় জুড়ে তুমুল হাহাকার।
উর্দু হবে রাষ্ট্র ভাষা
মানি না ,মানবো না
হাতে প্লেকার্ড মুখে স্লোগান
বুকে ক্ষত-যন্ত্রণা।
রাজপথ যায় ভেসে যায় রক্তে
একশো চুয়াল্লিশ ভেঙে ফেলার ওয়াক্তে।
লুটিয়ে গেলো লুটিয়ে গেলো
তরুণ-তাজা প্রাণ
ভাষার দাবি মুখে তোলে
আগুন ঝরা গান।
ফাল্গুন আজ মেখেছে রক্তলাল
পলাশ-শিমুল রক্তরাঙা ডাল।
প্রভাত ফেরী ঢেউ তুলেছে
বিরহের মূর্ছনা
দোলে উঠছে বুকের ভেতর
একুশের কান্না।
১১টি মন্তব্য
নিহারীকা জান্নাত
একুশে আর কান্না নয়।
একুশ আমাদের গর্ব।
ভাষার জন্য জীবন দেয়া গর্বীত জাতী আমরা।
রুম্পা রুমানা
একুশ আমাদের শোক। একুশ অহংকার। আমরা গর্বিত । ধন্যবাদ আপু।
জিসান শা ইকরাম
একুশ আমাদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ,
বাঙালি চেতনার উন্মেষ।
খুব সুন্দর লিখেছেন।
এবারের একুশে খুব কষ্টে কেটেছে,
আমাদের জেলা শহরে প্রভাত ফেরিতে ‘ আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী’ গাওয়া হয়নি,
‘ আজকের এই দিনে ……………… তোমায় মনে পড়ে ‘ ছিল প্রভাত ফেরীর গান।
রুম্পা রুমানা
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো – গানটা ছাড়া একুশ যে অপূর্ণ ! দেখছেন না আমাদের অবস্থা ? একুশকে সুখের করে তুলেছে অনেকেই ।শোক ভুলে ।
মিষ্টি জিন
একুশ আমার ভাইয়ের রক্ত
একুশ আমার মুখের ভাষা
একুশ আমার গর্ব
আবু খায়ের আনিছ
বেশ ভালো লাগল কবিতা।
সৈয়দ আলী উল আমিন
সঠিক উচ্চারণে কবিতা। ভাল লেগেছে।
শুন্য শুন্যালয়
একুশ সত্যিই এখন কান্না হয়ে গেছে 🙁
বেশ ভালো লেখা। দু একটা বানান ঠিক করে নিতে হবে। তোলে > তুলে, দোলে >দুলে।
বুলেটের চেয়েও শক্তিশালী স্লোগান নইলে বুলেট ছুটবে কেন? লাইনটা মনে গেঁথে গেলো। বেশ ভালো।
মৌনতা রিতু
বেশ ভাল লাগলো কবিতা। আমি বরাবরই ভাষা দিবস এলেই আলাদা উত্তেজনায় থাকি। কেন যেন সেই ছাত্র জীবন থেকেই। প্রতিবারই রচনা প্রতিযোগিতায় নিয়ে যাই ছেলেদের। কিন্তু কি বলব! চামচামিরও একটা সীমা থাকে। অতি উৎসাহিরা ভাষার রচনা প্রতিযযোগিতায় ও ভাষা শহীদদের মর্যাদা দিচ্ছে না। তাই এবার কোথাও নেইনি। বাসাতেই কাটিয়েছি।
যাইহোক, হৃদয় থেকে উঠে আসুক সব ভালবাসা ঠিকঠাক মতো এই কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
একুশের কবিতায় ভালো লাগা।
নীরা সাদীয়া
বেশ লাগল একুশ নিয়ে লেখা কবিতা।