– তোমার চোখ এত লাল কেন?
* আমার ইউভিআইটিস হইছে,তাই লাল।
– ইউভিআইটিস কি? জীবনে এই প্রথম শুনলাম।
* তোমার জীবনের কথা বলেছ? আমার বাপ, দাদা, দাদার দাদার জীবনেও কেউ শোনেন নাই।
– চোখ লাল হবার কারণ বিশ্বাস করিনা।
* কেন?
– যা কোনদিন শুনি নাই তা বিশ্বাস করিনা।
* তাহলে আমার চোখ লাল কেন?
– তুমি মাল খাইছো, মাল খাইলে চোখ এমন লাল হয়।
* এছাড়া বুঝি চোখ লাল হতে পারেনা? মালের কথা বললে কেন? মাল আবুল আত্মীয় নাকি তোমার?
– আরে নাহ, বাঙালীদের ধন হলে থ্রী W তে আসক্ত হয়। লাল হবার আর কি কারণ থাকতে পারে?
* চোখে ময়লা ঢুকলে লাল হয়, পোকা ঢুকলে চোখ আচ্ছা মত ডলি প্রথমে, এতে লাল হয়। রাগে কটকট করলে রক্তচোখ হয়।
– ময়লা, পোকা ঢুকতে পারেনা তোমার চোখে কারণ তুমি চশমা/ সানগ্লাস ইউজাও। ব্যাক পেইনের কারণে তোমার মটরবাইক রাইড করা নিষেধ, জানি আমি, হু।
* আরে ধুর, সব জান্তা আইছে, রাগে এখন চোখ আরো লাল হইছে, গেলাম, বাই।
– আচ্ছা আচ্ছা যাও বাই, উচিৎ কথায় রাগ তো করবাই। এমন তো না যে মাল জীবনেও খাওনি।
**********************************
সদা সত্য কথা বলিব, সত্য বই মিথ্যা বলিব নাঃ
হুম খেয়েছি মাল, সদা সত্য কথা বলিব। ২০০৩ এ চমৎকার এক বন্ধুত্বপূর্ণ এবং শ্রদ্ধার সম্পর্ক তৈরী হয় বিএনপির একজন উপমন্ত্রীর সাথে। বীরউত্তম, অবসরপ্রাপ্ত মেজর, ব্যারিস্টার। প্রচন্ড জামাত বিরোধীতার জন্য পূর্ন মন্ত্রী হতে পারেননি। নিজামি, সাইদি গংদের সামনা সামনি রাজাকার বলতেন। অত্যন্ত কড়া মেজাজের জন্য সবাই ভয় করতেন তাকে। যদিও আমার সাথে এমন ব্যবহার করেননি কখনো। ১৯৭১ এ তার অধীনে যে সব মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করেছেন, তাদের প্রতি গভীর মমতা ছিল তার। বড় ধরনের আর্থীক সহায়তা দিতেন তিনি তাঁদের। কমিটমেন্ট রক্ষায় তিনি ছিলেন আদর্শ, এবিষয়ে তার মত রাজনীতিবিদ আমি আর দেখিনি। ওস্তাদ ডাকেন সবাই তাঁকে।
লীগ পরিবারের একজন হওয়ায় বিএনপি ক্ষমতায় আসায় চরম ব্যবসায়ীক বিপর্যয়ে পরি আমি। অনেক ভেবে তার কাছে যাবার সিদ্ধান্ত নেই। পরিচিতজনদের মাধ্যমে বাসায় যাবার আমন্ত্রণ পাই এক রাতে। দেখা হবার পরে বসতে বললেন, একে একে দর্শনার্থীরা চলে গেলে থাকলাম ৫ জন। খুব সহজ ভাবে নিলেন আমাকে। একই জেলায় বাড়ি হওয়ায় চেনেন আমার ৪ মুক্তিযোদ্ধা ভাই সহ সবাইকে। কিছুক্ষন পরে অত্যন্ত সুদৃশ্য বোতল এবং গ্লাস আসলো। অল্প পরিমান গ্লাসে নিজে ঢেলে বাড়িয়ে দিলেন আমার দিকে। কি করব বুঝতে পারছিলামনা। প্রশ্ন চোখে পুর্ব পরিচিত একজনের দিকে তাকালে উনি কানে কানে বললেন ‘ সবাইকে উনি অফার করেননা, এটি একধরনের অনার, আপনি না নিলে ওস্তাদকে অসম্মান করা হবে। ‘
অগত্যা কি আর করা, নিশ্বাস বন্ধ করে একবারে গলায় চালান করে দিলাম। কিছুই হলো না, বরং টেস্টি খুব। একবারে নিলাম দেখে ওস্তাদে বললেন ‘ তুমি খাওনি কোনদিন, একবারে নয়, এক পেগ নিতে হবে বেশ সময় নিয়ে।’ বীফ এর পাতলা স্লাইজ সহকারে সময় নিয়ে নিলাম ২য় পেগ। পরে জেনেছি যা দিয়ে শুরু করলাম তার একবোতল এর দাম ৩৫ হাজার টাকা মাত্র। এরপর মাঝে মাঝে ফোন দিয়ে ডেকে নিতেন আমাকে। উনি নিয়মিত পরিমিত ভাবে ড্রিংক করতেন, এর উপকারিতা কি তা বলতেন। ওস্তাদের শারিরিক গঠন দেখলে অবাকই হতে হয়, মেদহীন এক স্লিম মানুষ তিনি।
একদিন একসাথে ড্রিংক করছি, সিগারেট খাচ্ছি তার সামনে থেকে বেড় হয়ে অন্য রুমে গিয়ে। জোড় গলায় ডাক দিলেন আমাকে নাম ধরে, সামনে আসলে বললেন ‘ ওই খাডাস মাল খাও একসাথে আর বিড়ি খাও দূরে গিয়া? মাল বড় না বিড়ি বড়?’ এরপর থেকে সামনেই সিগারেট খেতাম।
২০০৫ সনে একবার গেলাম থাইল্যান্ড। ফেরার সময় থাই এয়ারপোর্টের মধ্যে দেখি অনেক মাল এর দোকান। ওস্তাদকে ফোন দেই, ওস্তাদ কিছু লাগবে? বললেন ‘ হ, — এই ব্রান্ড লইয়া আয়। ‘ দোকানে দাম জেনে মুর্ছা খাবার অবস্থা আমার। ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কি আর করি, ভ্যাট রিটার্নে যে বাথ পেয়েছি তা সব আর সহযাত্রী ৫ জনের কাছ থেকে নিয়ে কিনলাম এক বোতল।
১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দামের মাল নিয়ে ঢাকা এয়ারপোর্টে নামলাম। বেরসিক কাস্টমস এর এক কর্মকর্তা আটকে দিল। বোতল হাতে নিয়ে বললেন ‘ এত দামী মাল আপনি খান? লাইসেন্স আছে খাওয়ার?’ বললাম না ভাই আমি খাইনা, গিফট করবো একজনকে।’ তিনি বললেন ‘ এটি নিতে পারবেন না।’ প্লিজ পুলিজ বলে অনেক অনুরোধ করলাম, কাজ হলো না। অবশেষে কি আর করা, কল দিলাম ওস্তাদকে। সব শুনে বললেন ‘ মোবাইল দে ওই দোচনারে।’ অফিসারের হাতে মোবাইল দিলাম, তার মুখের আকৃতি পরিবর্তিত হতে থাকলো। কিছুক্ষণ পরে তোতলান শুরু করলেন, সুধু স্যার স্যার স্যার শব্দ বেড় হচ্ছে। কথা শেষ করে মোবাইল আমার হাতে দিয়ে বললেন, ভাই আপনি আগে বলবেননা? মাল নিয়ে স্যার আমাকেই বাসায় যেতে বললেন, প্লিজ ভাই আমি যাব না, আমার ভুল হয়ে গিয়েছে, প্লিজ ভাই প্লিজ।’ জিজ্ঞেস করলাম ‘ ভাই ডোজ টা কি বেশী হয়ে গিয়েছে? আপনি না গেলে আমার খবর আছে।’ তিনি বললেন’ ভাই আপনি ম্যানেজ করবেন প্লিজ, আমি যেতে পারবো না। ‘ কি আর করা মাল ব্যাগে নিয়ে বেড় হয়ে আসলাম।
# ইহা একটি মাল বিষয়ক মাল মুক্ত আবোল তাবোল লেখা।
৪২টি মন্তব্য
নিহারীকা জান্নাত
ও আচ্ছা, এই অবস্থা। এখনতো সন্দেহ হচ্ছে যে চোখের সমস্যা নাকি অন্য সমস্যা 🙂
জিসান শা ইকরাম
সন্দেহ সৃষ্টি করতে আমার ভাল লাগে, সফল হয়েছি তাহলে 🙂
মিষ্টি জিন
এতদিনে চোখ লালের রহস্য উৎঘাটিত হইল।
আর দোষ পড়লো বেটা ইউভিয়াইটিসের।
আপনি যে জিনিঁষ কে মাল বলেন আমরা তাকে হারড ড্রিংস বলি। আপনার কাছে উহা অত্যান্ত সুস্বাদু মনে হইলেও আমার কাছে কেবল বিকট গন্ধ ছাডা আর কিছু ই না। কয়েকবার চেখে চুকে দেখেছি কোন স্বাদই পাইনি।
মানুষের জিবনের মাল খাওয়ার অভিজ্ঞতা জেনে বড়ই পুলকিত হইলাম।
তয় চোখের ফটুখান দেইখা ভালই ডর খাইছি।
জিসান শা ইকরাম
ইউভিয়াইটিস যদি মানুষ হইত, তাইলে শিওর সে আমার নাম মান হানির মামলা করত,
আপনি তার স্বাক্ষী হইতেন মনে হয় 🙂
সব ড্রিংক্সের স্বাদ এক রকম না, মুখে দিলে বমি আসে এমন ব্রান্ডও আছে,
তবে কিছু ড্রিংক্সের স্বাদ আসলেই ভাল, কোনো স্মেল পর্যন্ত নেই।
ওস্তাদের বাড়ি কোথায় তা আর বললাম না 🙂
মিষ্টি জিন
কুট্টি কালে শিখে আসছি সদা সত্য কঁথা বলিতে হয়।
তো সত্যি সাক্ষি দিতে ডর কিসের p
আপনার ওস্তাদের বাড়ীর ঠিকানা দিয়া আমার কাম নাই।
আপনার কাছেই রাখেন আর বেশী করে মাল মুল খান। :D)
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা, ওস্তাদের বাড়ির ঠিকানা নিজের কাছেই রাখলাম।
মোঃ মজিবর রহমান
কমিটমেন্ট রক্ষায় তিনি ছিলেন আদর্শ, এবিষয়ে তার মত রাজনীতিবিদ আমি আর দেখিনি। ওস্তাদ ডাকেন সবাই তাঁকে।
বীরউত্তম, অবসরপ্রাপ্ত মেজর, ব্যারিস্টার।
কি আদর্শ আবার অবৈধ মদ আনার ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তাকে গালি!!!!!!
জিসান শা ইকরাম
আদর্শের বিচ্যুতি প্রায় সবারই মজিবর ভাই,
আপনার কি ধারনা, কাস্টম অফিসার যদি বোতলটি রেখে দিতেন তা কি উনি সরকারী মাল খানায় জমা দিতেন?
মোটেই না, উনি নিজে বাইরে গিয়ে বিক্রী করে দিতেন, সে নিজেই অত্যন্ত অসৎ তাই মেরুদন্ডহীন একজনের মত স্যার স্যার করেছেন।
খারাপের মধ্যে কে সবচেয়ে কম খারাপ, এটিই বেঁছে নিতে হয় আমাদের।
শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাইয়া আদর্শের বিচ্যুতি আছে আমার মতে
আইনের লোকের বেআইনি কাজ
জাদের অনুকরন করে সবাই শিক্ষবে তাদের অনৈতিক বা বেআইনি কাজ শিক্ষক/মাওলানা
আর উপর ওয়ালাদের যারা পথ প্রদর্শক হয়ে বেপথ দেখায়। তাদের নিকট আমার ভীষণ মেজাজ গরম হয়।
মোঃ মজিবর রহমান
এই খমতাবান খমতার বলে বেআইনি করছে কিন্তু তাঁর ক্ষমতার সময় এই বদমাশদের ভাল করার চেস্টা করেনি এটাই দুঃখ।
জিসান শা ইকরাম
এই জাতিকে ভাল করার জন্য একজন বঙ্গবন্ধু প্রয়োজন, এ ব্যতীত সম্ভব না।
অপেক্ষায় থাকুক জাতি,
মৌনতা রিতু
কি বলব তাই তো বুঝতেছি না।
এতো দাম! এটা এতো টেস্টি খাইতে!
জিসান শা ইকরাম
ড্রিংক্স নিয়ে ঘাটতে গিয়ে কত দামী ড্রিঙ্কস যে পেয়েছি, কেহ কল্পনাও করতে পারবে না,
৪ লাখ+ ডলার ( টাকা আর লিখলাম না ) দামের একবোতল ড্রিংক্স ও আছে 🙂
কিছু তো বলবে পোষ্টে, দিলে তো আড্ডা নাতনীর সাথে 🙂
ইঞ্জা
নিজের ব্যবসায়ীক কারণেই অনেক মাল খেয়েছি যদিও দেশে একেবারে সুবোধ বালক হয়ে থাকি কিন্তু আপনার মালের কাহিনী শুনে আজ প্রথম আমার চাকা টাল খাইলো, ভাইজান সালাম নিবেন। :p
জিসান শা ইকরাম
২০০৭ এর পরে আর মাল খাবার অভিজ্ঞতা নেই,
আপনিও সালাম নিন ভাই 🙂
ইঞ্জা
শুভকামনা নিরন্তর
জিসান শা ইকরাম
২০ জানুয়ারী দেখা হবার একটা সম্ভাবনা আছে ভাইজান 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ছবিটা দেখে চমকে গেছি এতো লাল!ভাবছিলাম এক লেখা পড়ে বিষয় দেখলাম আরেক।মালেশিয়ান নেশাখোররা বলত পৃথবীকে যদি সর্বাদিক রঙ্গীন দেখতে চাও তবে মাল খাও। -{@
জিসান শা ইকরাম
ছবির মতই লাল হয়েছিল আমার চোখ,
নিজের চোখ নিজে দেখে ভয় পেতাম মনির ভাই।
বাহ বাহ মালয়েশিয়ান মদারুরা দেখছি খুবই রোমান্টিক 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এই গভীর শীতে একটু-আধটু লাল কিন্তু খারাপ না,
জিসান শা ইকরাম
রাত জাগলেও চোখ লাল হয়,
খারাপ যদি না হয়, তবে রাত জাগা যায় 🙂
ইলিয়াস মাসুদ
হাহাহাহা মাল ! দারুণ 🙂
জিসান শা ইকরাম
😉
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা ছিঃ ছিঃ তুমি এসব খাও! :@ ভাবতেই পারিনি আমার নানা হার্ড ড্রিঙ্কস খায়। -:-
এসব বলা উচিৎ ছিলো আমার। কিন্তু সমস্যা হলো আমি নিজেও যে খাই। :p (অবশ্য পার্টিতে) 😀
মন্দ লাগেনা। বিশেষ করে ককটেল ভ্লাডিমেরি, পিনা কোলাডা, মার্গারিটা, ম্যানহাট্টান, কসমোপলিটন দারুণ লাগে। একেবারে জুসের মতো। খেয়ে দেখো নানা। তবে অনেক দাম। 😀
তবে শোনো খাও, কিন্তু নেশাগ্রস্থ হয়োনা। 😀
আচ্ছা নানা তোমার চোখ এতো লাল কেন? উত্তর পেয়েছো? এখন বুঝেছি ওসব চোখের রোগ সবকিছু… :p 😀
ভালো থেকো নানা। -{@
মৌনতা রিতু
একবার উনি অফিস থেকে ফেরার পথে উঠতি বয়সি তরুনদের কাছ থেকে তিনটা দামি বোতল ধরেছিল। ওটা গাড়িতে না রেখে বাসাতে এনে ওনার আলমারিতে রাখে। কারন, গাড়িতে রেখে বাসায় উঠলে ফোর্সরা সাবাড় করে দিবে। উনি এসব খায় না। তবে দু একবার বন্ধুদের সাথে আড্ডায় ঢেলে দেয় গলায়। পরে বাসা বদলির সময় বোতল তিনটা আগার গাঁ বস্তির ডোবায় ফেলে দিয়েছিলাম। আমি কখনোই টেস্ট করে দেখিনি।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়াকে বলো আমি এলে আমার জন্য রেডি রাখতে। :p আর তোমাকে নিয়েই পান করবো। 😀
যাক মৌনতা আপু আমার সমস্যা হলো খেয়ে লুকানোর অভ্যেস নেই। বলে দেই।
তাতে কি হয় অনেকেই বাঁকা চোখে দেখে। নেশা করা খারাপ সে যে কোনো কিছুই হোক। পার্টিতেই যা একটু, তবে এমনিতে খাওয়ার অভ্যেস নেই। ওয়াইন আমার মোটেও পছন্দের না। 😀
মৌনতা রিতু
মিশরকন্যা, নির্মল আনন্দের মধ্যে খারাপ কিছু আমি দেখিনা। মোংলা পোর্টে আগে কিন্তু প্রচুর জাহাজ আসত।আব্বগ যেহেতু এ্যাসিসটেন্ট মেডিকেল অফিসার ছিলেন, তো তার অনেক রোগী ছিল এসব জাহাজের। মজার কথা হলো তারা আব্বাকে কার্টুন কার্টুন বিয়ার ও দু একটা বোতল গিফট করত। আমার বড়গুলো মাঝে মাঝে ঢেলে নিত। আমি একবার বিয়ার খাইছিলাম।
এই জাহিজ নিয়ে আর এক কাহিনী আছে। আমি এক জাপানির প্রেমে পড়েছিলাম। সে ছিল রেডিও অফিসার। সেও পাগল হয়ে গেছিল। কতো কি যে গিফট পাঠাইছিল তার হিসেব নেই। তখন আমি ইন্টারে পড়ি। পরে জাহাজে সমুদ্রে ঘোরার ভয়ে সে প্রেম ক্যান্সেল করে দিয়েছি। তার উপর ভাষার সমস্যা। বোঝ একবার! এ প্রেম কি আর চলে :p
মিষ্টি জিন
ঐ তোমরা এরা খাইও না আমারেও একটু দিও.. না মানে ইয়ে মানে,, লেবু দিয়ে ভটকা এক্টু খানে আমি ও লাইকাই। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
শান্ত-সুন্দরী কি আর বলবো এই বিয়ার-ই যা সস্তা। তবে বেশ কয়েকজন আছেন যারা কোটি, কোটিপতি, উনাদের বাড়ীতে সব নামীদামী ড্রিঙ্কস। পার্টিতে আমি খুব মজা করি, হাসি। আজ অব্দি ড্রাঙ্ক হইনি। তবে দুই পেগ খেলে অনেক হাসি, আর গান গাইতে থাকি। জানো আমাকে আমার বন্ধু বলে আমি নাকি তখন অসম্ভব কিউট হয়ে যাই। চুপিচুপি বলে নেই, সেটা আমিও জানি। আর তাই মাঝে-মধ্যে ইচ্ছে করে হাসতে থাকি যাতে সবাই এই হাসিতে আনন্দ পায়। আমি অনেক দুষ্টু, তবে ক্ষতিকারক নই। কি মনে হয় তোমার? :p 😀
জাপানী প্রেমিক!!! ইসরে বিয়ে করলে কি লাভ হতো আমার! 🙁 পাঁচটি বছর জাপান ছিলাম, তোমাকে হয়তো তখন পেয়েও যেতাম। 😀 শোনো মেয়ে তাড়াতাড়ি পোষ্ট দাও, জাপানী প্রেমিকের কথা জানতে চাই। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
মিষ্টি আপু চিমটি। আমার সবচেয়ে প্রিয় ড্রিঙ্কস। ৪/৫ পেগ খেলেও সমস্যা হয়না। 😀 তবে গান আর হাসির মাত্রা তখন ১০-এ পৌঁছে যায়। :p 😀
জিসান শা ইকরাম
আরে না কিসের নেশা? এসব এখন অতীত ইতিহাস,
নেশাগ্রস্থ্ হলে কি এমন নিঃসংকোচে লিখতে পারতাম?
তোদের আড্ডায় তো দেখছি আমার প্রবেশ নিষেধ 🙂
ভাল থাকিস নাতনী।
নীলাঞ্জনা নীলা
ধুত্তোর কি বললা এসব নানা? আচ্ছা এখানে আসো ইতিহাসের চৌদ্দগুষ্টির উদ্ধার করমু। নানা আমার একটা বোন আছে এখানে এসে পরিচিত হয়েছি। খুব ভালোবাসে আমায়। মজা হলো একদিন বললাম মানুষ কেন মাতাল হয়? নেশাগ্রস্থ মানুষ আমার দু’চক্ষুর বিষ। সেই থেকে আমাকে ক্ষ্যাপায় দিদি নেশাগ্রস্থ হবো আজ। 😀 আসলে ও এই কানাডাতেই বড়ো হয়েছে, যদিও বাংলা বলতে ও পড়তেও পারে। কিন্তু কিছু কিছু শব্দের সাথে অপরিচিত। 😀
নানা এখানে আসো তারপর তোমারে নিয়া বার কাম রেষ্টুরেন্টে যামু। অবশ্য ককটেলের দাম তুমি দিবা। :p
শুন্য শুন্যালয়
চি চি চি নানা নাত্নী সব মাতাল। একশো হস্ত দূরে যাও তোমরা …
নীলাঞ্জনা নীলা
ওই তিলোত্তমা একশ হস্তে না আরোও বেশী দূরে আছি। আটলান্টিক, প্যাসিফিক, ইন্ডিয়ান মহাগার তিনটি মহাসাগর পাড়ি দিয়ে তবেই না তোমার অষ্ট্রেলিয়া। 😀 হিসেব করলাম ৩২৪,৪১৬,০০০ কি.মি. 😀 \|/
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা আসুমনে ২০১৮ সনে,
দেখুম তোর বন্ধু বান্ধবরা কেমন।
শুন্য শুন্যালয়
মাতাল অবস্থায় কিন্তু লোকে সদা সত্য কথা বলে 🙂 সো ডাউট হইতাছে ;?
আমরা তো না শুনলেও এতদিন বিশ্বাস করেছি কিছু একটা হইছে, এই মাল আবুলের আত্নীয় আমাদের চক্ষু খুলে দিলো।
রাগেতো এখন আমারই চোখ লাল হয়ে গেলো। আপনি কিনা রোগের দোহাই দিয়ে এতদিন ধরে মাল খেয়ে বেড়াচ্ছেন?
সব ওস্তাদে মানে সজুর ওস্তাদে আবার মদ খায় কিনা কে জানে, জিজ্ঞেস করতে হবে।
জিসান শা ইকরাম
সজুর ওস্তাদে মাল খায় কিনা জিজ্ঞেস করতে হবে? হা হা হা হা হা , খুবই চমৎকার মন্তব্য করলেন,
সজুর ওস্তাদরে দেখাইতে হয় আপনার মন্তব্য 🙂
আরে আপনি দেখি তার মত সন্দেহ করছেন আমাকে,
২০০৭ এর পরে মালের বোতলই দেখি নাই, ইহাই সত্য।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
মালের দাম শুনেই আমার মাথা ঘুরে গেছে! কি অসহায় আমরা…
চোখের ভয়ঙ্কর রুপ দেখে সত্যিই ডর পাইছি। :p
ভালো হয়ে উঠুক তাড়াতাড়ি।
জিসান শা ইকরাম
এক বোতল ওয়াইনের দাম ৪ লাখ ৬০ হাজার ডলারও আছে ম্যাডাম,
টাকায় আর কনভার্ট করলাম না 🙂
ধন্যবাদ আপনাকে।
আবু খায়ের আনিছ
৩৫ হাজার টাকা মাত্র !
১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মাত্র!
দুটোই মাত্র হলে আমি তো কিছুই না।
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা হা , আনিছ তাহলে নাই বাস্তবে 🙂
আবু খায়ের আনিছ
ঐ গল্পের মত হয়েছে,
ব্যাংকে গিয়ে একলোক দেখে একটা লোক তার চেকে লিখেছে এক কোটি টাকা মাত্র। সেই লোক গিয়েছিল পাচঁশ টাকা তুলতে, তখন সে লিখল পাচঁশো টাকা কিছুই না। ব্যাংক কর্মকতা যখন কারণ জিজ্ঞেস করল, তখন বলল এক কোটি যদি হয় মাত্র তাহলে পাচঁশো তো কিছুই না।
আমার অবস্থাও তাই হয়েছে।