কেন আমি সোনেলায় কম আসি, কেন নতুন লেখা দিচ্ছি না, নিয়মিত অনেকেই কেন আসছেন না, কবে নাগাদ আবার সবাই নিয়মিত হবেন? এমন ধরনের কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি গত কিছুদিন থেকে। কিছুটা বিশ্লেষণ করার ইচ্ছে হলো এসব প্রশ্নের,
আমার নিজের কথা:
দেখার জন্য যে চোখ জোড়া আমার আছে, তাতে রোগ আক্রমন করেছে। আগস্ট মাস থেকে আলোর দিকে তাকাতে পারছি না। যেহেতু মোবাইল এবং ল্যাপটপের স্ক্রিনও তীব্র আলোময়, সেহেতু এ দু’টোতে তাকাতে একই সমস্যা। লম্বা সময় যাবত গ্রহন করা নিরাময়ের জন্য ঔষধের প্রথম ধাপ সমাপ্ত। চোখ প্রায় ভাল হলেও স্ক্রিনের দিকে ১৫ মিনিটের বেশি তাকালে সমস্যা হয়। মোবাইল স্ক্রিনে সমস্যা কিছুটা কম হলেও ল্যাপটপে তাকাতে ভালই সমস্যা বর্তমান। আশা করা যায় আগামি তিন- চার মাসের মধ্যে স্বাভাবিক হবে চোখ।
ইদানিং কাগজে লিখে রাখার চেষ্টা করছি। যে সমস্ত বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা মাথায় দৌড়াদৌড়ি করছে, সে সব বিষয়বস্তু প্রকাশে ব্যাপক অসন্তুটির সম্ভাবনা আছে। আমার আশে পাশের ঘনিষ্ঠজন, বন্ধু, পরিচিতজনদের জীবনের কিছু কিছু মিলে যাচ্ছে সেসব লেখায়। ভবিষ্যত ভুল বোঝাবুঝি এবং বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আশংকায় আমার লেখাই থেমে আছে, যা নিজ আরোপিত লেখার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। তবে আমার লেখার মানের যে শ্রী তাতে এসব লেখা প্রকাশ না হলেই বা কি?
অন্য অনেকের সম্পর্কে ধারনা থেকে বিশ্লেষণ:
১) সমুদ্রের অথৈ জলে হাবুডুবু খাওয়া দু একজনের বেঁচে থাকার অবলম্বন খড়কুটোর মত, নিজের একান্ত বাগান, উঠোন, জগৎ ছিল সোনেলা। তেনারা হয়ত আরো শক্ত অবলম্বন বা প্রান্তর পেয়েছেন, স্বাভাবিক ভাবেই এখানে আর আসবেন না।
২) কিছু ব্লগার/ লেখক থাকতে পারেন। যাদের সোনেলায় নিয়মিত বিচরণের জন্য প্রত্যহ সোনেলার মডারেটর সাথে যোগাযোগ না হলে ব্লগে আসার উৎসাহ পাননা। যোগাযোগ নেই ব্লগে অনুপস্থিত।
ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ থাকবে, এই সমস্ত ব্লগার/ লেখকদের সাথে সামান্যতম যোগাযোগ যেন না রাখা হয়, তা তিনি বা তাহারা যত মুল্যবান বা কাছের হোক না কেন।
৩। কিছু ব্লগার/ লেখক আছেন যারা তাদের মেগা নেই, সময় পাননা, মরনেরও টাইম নেই এসব অজুহাতে ব্লগে আসেন না। এনাদের আপনি ফেইসবুকের ইনবক্সে নক করবেন, আশাকরি তখন এনাদের সময়ের এবং মেগার অভাব হবেনা।
এই ব্লগার/ লেখকদের কিছু অংশ নিজের জন্য নয়, দেশ, সমাজ এর প্রতি দায়িত্ব পালনের জন্য ফেইসবুকে ইঁদুরের বাচ্চার মত এস্ট্যাটাস প্রসব করেন। এনারা আসলে ১০০ ভাগ নিজের কথা ভেবেই ফেবুতে থাকেন। বাংলা সাইট, ফেইসবুক এবং সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে এনারা সম্পূর্ণই অজ্ঞ, আর এই অজ্ঞতার কারণেই ফেইসবুক লাইককে জীবনের পরম পাওয়া মনে করেন।
৪) সোনেলাকে নিজের সাইট মনে না করে অনেকে আসেন না। এনারাও আসলে অজ্ঞ। সোনেলা একটি ব্লগ কম্যুনিটি। এখানে প্রতিটি ব্যবহারকারীর আলাদা আলাদা ব্লগ। একটি লেখার স্থান করে দিয়েছে সোনেলা সবাইকে, এখানে লিখলে সোনেলার কোন লাভ নেই, লাভ লেখক? ব্লগারের নিজের। লেখক/ ব্লগার রিমি রুম্মান এর প্রমাণ। আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা, এটি চেয়েছে সোনেলা সব সময়।
৫) কিছু লেখক আসেন না নিয়মিত কারণ এখানে তাদের কোন বন্ধু, প্রেমিক/প্রেমিকা নেই। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই হয়। বন্ধু বিনে চলে না জীবন : এ কথা প্রমাণ করে দিয়েছেন তেনারা।
*********************************
লেখা লিখতে হয় নিজের আনন্দ এবং সন্তুষ্টির জন্য। যে লেখায় লেখক নিজে আনন্দ এবং সন্তুষ্ট হতে পারবেন না, পাঠক সে লেখা পড়ে আনন্দ পাবেন না, সন্তুষ্ট হবেন না।
***********************************
একটি প্রশ্ন:
অর্বানীল এবং লীলাবতীর দুটো পোস্ট মাসের পর মাস শীর্ষ পঠিত লেখায় দেখা যাচ্ছে। আপনি কি মনে করেন এই লেখা যদি ফেইসবুকে দিতেন তাহলে এত পাঠক প্রিয়তা পেত?
দিয়ে দেখুন কপি পেস্ট করে, এরপর গুগলে খুঁজুন,
** এই লেখার সাথে কারো কারো কৈফিয়ত মিলতে পারে, পরের লেখা গুলো প্রকাশের প্রস্তুতি বলা যেতে পারে এই লেখাকে।
৪০টি মন্তব্য
ইঞ্জা
প্রথমে আপনারা দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি ভাইজান এবং দ্রুত সোনেলার উঠোনে ভরপুর হবেন নিজের লেখাগুলো দিয়ে এই কামনা ও দোয়া রইল, এখন আসি আপনার লেখার চার নং বিষয় বস্তু নিয়ে, আমি ইঞ্জা স্বজ্ঞানে বলতে চাই আপনার, লীলাপুর টানে আমি এই বল্গে এসে ভুলতো করিইনি বরঞ্চ নতুন এক ইঞ্জাকে আবিষ্কার করেছি সাথে সাথে প্রিয় কিছু ভাই বোনকে আমি পেয়েছি যারা আমাকে বিনা দিধায় ভালোবাসা ও সম্মান দিয়েছেন যা ফেইসবুকে খরচা হওয়া গত পাঁচটি বছরের অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে বলে আমি যারপর নাই আনন্দিত আর এই উঠোন ছেড়ে যাওয়ার আমার কোন ইচ্ছে তো নেই সাথে সাথে এই বন্ধনকে আরো ধীর করার ইচ্ছা রাখি, শুভজামনা ভাইজান, শুভকামনা প্রিয় সোনেলা।
ছাইরাছ হেলাল
আমারেও সাথে রাইখ্যেন ভাই।
জিসান শা ইকরাম
আমারেও 🙂
ইঞ্জা
কুবিরাজ ভাইজান তো আমাদের একটা পিলার আপনি না থাকলে তো আমরাই ধপাস। 😀
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ ইঞ্জি ভাই,
ভাল থাকুন সারাক্ষণ।
জিসান শা ইকরাম
আপনি আপনার প্রথম পোস্ট দেয়ার পর থেকেই নিয়মিত। বিশাল এক গল্প লিখলেন যা উপন্যাসের চেয়েও বড়। সোনেলার শুভাকাংখি আপনি, জানি আমরা সবাই।
একই সাথে হাসবো আমরা সোনেলার উঠোনে।
শুভকামনা।
ইঞ্জা
ভালো থাকুন সব সোনেলার সোনারা সাথে আমার জিসান ভাইজান, হেলাল ভাইজান, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা ভাই।
মিষ্টি জিন
ভয় পাইছি।
তবে স্টুডেন্ট দের ভালর জন্য মাঝে মাঝে টিচারকে একটু কডা হতে হয়।
ব্যাক্তিগত কারনের আমি নিজেও সোনেলায় অনিয়মিত।
সোনেলা আমার আশ্রয় স্হল। একে ছেডে যাবার কঁথা ভাবতেও পারি না।
জিসান ভাই, পুরোপুরি সুস্হ হয়ে ফিরে আসুন।
জিসান শা ইকরাম
এখানে টিচার কে আবার? সবাইই তো স্টুডেন্ট 🙂
আপনি দেশে এসেছেন অনেক দিন পরে। সব কিছু নিয়ে আপনি ব্যাস্ত, দেশের বাইরে গেলেই আবার নিয়মিত হবেন, জানি আমরা।
শুভকামনা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এখন পড়লাম আরেক বার পড়তে হবে।সহ মত পোষন করছি।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ মনির ভাই, আপনি এখান্র আসার পরথেকেই নিয়মিত।
শুভকামনা রইল।
আবু খায়ের আনিছ
আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
আপনার অসুস্থতার পর মডারেটর মহোদয়রাও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন খুব, সোনেলার গ্রুপে পোষ্ট শেয়ার হচ্ছে না।
ব্লগার গনের উপস্থিতি অনেক কমে গিয়েছে, অনেকেই অতিথি লেখক হয়ে গিয়েছে, আসছেন লেখা দিচ্ছেন আর খোজঁ নিচ্ছেন না।
শীতের সাথে সাথে অনেকেই আবার জমে গিয়েছে, পড়ছে কিন্তু মন্তব্য করছে না ( উনাদের দাবী)
কিছু পেতে চাইলে কিছু দিতে হবে এই নিয়ম মানাও হচ্ছেও ইদানীং খুব। অথাৎ আমি যাদের লেখা পড়ছি কেবল তারাই আমার লেখা পড়ছে অন্যরা পড়ছে না।
আমি ভাই ছোট মানুষ, সোনেলার বাইরে কোথাও লেখার চিন্তাও করি না, যে কয়টা লেখা বিভিন্ন অনলাইনে গিয়েছে তার সবগুলো আগে সোনেলায় প্রকাশ হয়েছে তারপর অন্য জায়গায়। ছোট মানুষ তাই কেউ কেউ অবহেলা করে, বানান ভুল, লেখার মান ভালো নয় তাই অনেকেই পড়ে না, তাতে আমার দুঃখবোধ নেই, কিন্তু যখন মাঝ রাতে ব্লগে এসে দেখি একটি বা দুটো নতুন লেখা বা মাঝে মাঝে তাও নেই তখন পড়তে ইচ্ছা করে না, দুটো তিনটে লেখা থাকবে, সময় নিয়ে পড়ব, তা হচ্ছে না।
সোনেলা দিয়েই লেখার হাতে খড়ি, আছি যতদিন এই জগৎটাতে থাকত ততদিন। কেউ থাকুক আর না থাকুক।
জিসান শা ইকরাম
গ্রুপে লেখা শেয়ার না হবার কারন ভিন্ন। সোনেলা ব্লগের ফেইসবুক আইডি রিপোর্ট এর কারনে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফেইসবুক আইডি নেই আর। বিকল্প কি করা যায় ভাবছি।
এই অবস্থায় যার যার পোস্ট তিনি শেয়ার দিলেই হত। সোনেলা একা আর কত দায়িত্ব নেবে!
গত চার মাসে পোস্ট কম এসেছে, তবে ভিজিটর বেড়েছে অনেক। ভিজিটরদের ৮০% গুগল থেকে আসেন। যে কারনে শীর্ষ পঠিত লেখায় পুরাতন লেখা উঠে আসছে।
ধন্যবাদ আনিছ।
শুভ কামনা।
আবু খায়ের আনিছ
ধন্যবাদ ভাই, আশা করি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে দ্রুত।
জিসান শা ইকরাম
সবার দোয়ায় সুস্থ হয়ে গিয়েছি প্রায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা নতূন বছরের শুভেচ্ছা। যাক অবশেষে তোমার পোষ্ট পেয়ে ভালো লাগলো।
আসলে সবাই এতো অনিয়মিত, বুঝি অনেকেই বিভিন্ন কারণে ব্যস্ত আছেন। কেউ কেউ সমস্যার ভেতরেও আছেন। তবুও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে পারিনা বলেই সবাইকে মিস করি। তোমার চোখের কথা জানি, আশা করছি তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে।
ওহ শোনো মেগার কথা বললে আমি কিন্তু বলতে পারি ফেসবুকে মেগা কম যায়। আর তাই আমি যখন বাসার বাইরে থাকি গুগল খুলিনা। ফেসবুক এপস থেকে গেলে মেগা একেবারেই কম কাটে। হাসপাতালে ছিলাম এক মাস, মনে আছে? তখন ভালো করে খেয়াল করেছিলাম।
আর শীর্ষ পোষ্ট আর্বনীল ও লীলাবতীদিকে মানায়। লীলাবতীদির ওই পোষ্ট রাধারমণের একটি গান। আর রাধারমণের গান কার না ভালো লাগে? রাধারমণের গান শীর্ষে তো থাকবেই নানা। আর্বনীলের ওই পোষ্ট আমার খুবই প্রিয়, কতোবার যে আমি নিজেই পড়েছি হিসেব নেই।
ভালো থেকো। -{@
জিসান শা ইকরাম
শুভেচ্ছা তোকেও নতুন বছরের -{@
হ্যাঁ, বিভিন্ন যৌক্তিক কারণে অনেকেই নিয়মিত আসতে পারছেন না,
আমার এই পোষ্ট আমার নিজের জন্য এবং যারা কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই আসেন না, তাঁদের জন্য।
যেমন কেউ কেউ কৈফিয়ত দেন যে একটুও সময় পাইনা। এটি অনেকের বেলাতেই মিথ্যে একটি কারণ/ অজুহাত।
সোনেলায় লেখার জন্য কাউকে আর না বলার জন্য মডারেটরদের প্রতি অনুরোধ করেছি,
নিজের খেয়ে বনের মোষ অনেকই তো তাড়ান হলো, আর কত 🙂
যারা ঐ গানটি গুগলে সার্চ দেন, তারা লীলাবতীর ঐ পোষ্ট পেয়ে যান উপর দিকেই, তারা আসেন এটি পড়তে,
অর্বানীলের পোষ্ট অনেক গুলো বই এর নাম আছে, বইয়ের নাম লিখে গুগলে সার্চ দিলে এই পোষ্টও আসে, এভাবে এই দুটো পোষ্ট রোজ পাঠকরা পড়েন। সোনেলার প্রায় ৬৩% পাঠক নতুন, আর তারা আসেন গুগল সার্চ থেকে লিংক পেয়ে।
শীর্ষ পোষ্ট নিয়ে অনেকের কিছুটা বুঝতে সমস্যা হচ্ছে। বলে দিয়েছি একজনকে এ বিষয়ে একটি পোষ্ট দিতে।
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা কাকে বলবো আমার অদেখা মন্তব্যে আরোও একটি মন্তব্য কিছুতেই যাচ্ছেনা।
“সাহায্য চাই। (সাময়ীক পোষ্ট) পোস্টে আর্বনীল মন্তব্য করেছেন”—–এই পোষ্টটা আর্বনীল সরিয়ে নেয়াতে এই সমস্যা হয়েছে। এখন কি করবো বলো? 🙁
জিসান শা ইকরাম
পোস্ট টা ফিরিয়ে আনলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আশাকরি মডুরা ব্যবস্থা নিবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা কবে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো? তোমার এই মন্তব্যের নোটিফিকেশন আসেনি, কারণ পুরোনো মন্তব্যগুলো অদেখা মন্তব্যের ঘরে জমে আছে। 🙁 ;(
জিসান শা ইকরাম
সমস্যার সমাধান তো হয়ে গিয়েছে আশাকরি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এখানে নেই কোন সোনার হরিণ, হাত বাড়ালেই পাওয়া যাবে।
নিজের আনন্দটুকু নিতেই পারি লিখে লিখে, তা নিচ্ছি, নেবোও, এবং তা বেশি বেশি করেই।
জিসান শা ইকরাম
এখানে সোনার হরিণ পাওয়া যায় না,
আনন্দের জন্যই অধিকাংশ লেখক লেখেন এখানে,
আনন্দের মাঝেই থাকতে চাই সারাক্ষণ।
মেহেদী হাসান
দ্রুত সুস্থতা কামনা করি 🙂
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ মেহেদী হাসান,
শুভ কামনা।
মৌনতা রিতু
বাপরে! ভাইয়া তো খুবই রেগেছে এবার।
আসলে ও এ মাসে কয়েকদিন লেখা ফাঁকা গেছে।
আমি আমার মেমন রিয়ানের পরীক্ষা নিয়ে একটু ব্যস্ত ছিলাম। তবে এর মধ্যেও আসার চেষ্টা করেছি।
কাগজের বুক থেকে ফোনে অর্থাৎ সরাসরি মানুষের মাঝে লিখতে শিখালো এই সোনেলা ব্লগ আমাকে। ওই ব্লগিং শিখতে ও সময় লেগেছে আমার অনেক। সোনেলা একটা পরিবার আমরা অনেকে মুখে বললেও, একেকজন একটু ভাব নিয়ে থাকেন। ইনারা অন্যের ব্লগে আসার মোটেও সময় পান না। এটা তার একান্ত ভাব। তা নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। কারন, সবাই সবার অবস্থানে একটা যায়গাতে আছে।
আমি জিসান ভাইর সাথে একমত, অনেকেই দেখি সারাদিন ফেসবুকে থাকে অথচ ব্লগে আসেনই না। আমি ও এমন দুই ওকজনকে ফেসবুকে লেখার মাস্টার ভেবে ব্লগে লিখতে বলেছিলাম, তারা আইডিও করেছিল কিন্তু পরে তারা বিমুখ। তাদের যে রাতারাতি লাইকও লেখা সবার শির্ষে চাই।
আমাদের ব্লগে একমাত্র নীলা আপু, আনিছ, শূন্য, জিসান ভাই, হেলাল ভাই, ইনজা ভাই, মনির ভাই, সবার লেখায় মন্তব্য করে। নতুনদের মধ্যে একমাত্র মিষ্টি আপু। নীলা আপু হাজার ব্যস্ততার মাঝেও উপস্থিত থাকে নিয়মিত।
আর লেখা শির্ষে নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। তবে তালিকাতে থাকলে বুঝতে পারি কেউ লেখা পড়ছে। এইটুকুই।
জিসান শা ইকরাম
একটি ব্লগে সব ধরনের ব্লগার থাকেন। লেখক+পাঠক+ মন্তব্যকারী একই সাথে এই ৩ গুনের অধিকারী ব্লগার খুব বেশি থাকেননা।
আমাদের এই সোনেলায় এমন ব্লগার কম নেই। যথেষ্ট আছেন। নীচে অপার্থিব এর মন্তব্য পড়ে কিছুটা ধারনা পাবে।
আমার অসুস্থতা এবং বেশ কয়েকজন ব্লগারের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাস্ততা একই সাথে ঘটছে বলেই কিছুটা ম্রিয়মান এখন ব্লগ। তবে সামগ্রিক পাঠক বৃদ্ধি পেয়েছে।
একজনে বলে দিয়েছি এ বিষয়ে একটি পোস্ট দিতে।
সোনেলা আর ব্যাক্তিগত যোগাযোগ করবে না কারো সাথে লেখার জন্য। কেউ ইচ্ছে হলে আসবে, ইচ্ছে না হলে আসবে না।
শুভ কামনা -{@
মৌনতা রিতু
ভাইয়ার চোখের সমস্যা। আমরা সবাই এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম।
তবে এটা ঠিক ভাইয়া না থাকলে ব্লগটা আমার কাছে এতিম এতিম লাগে।
ভাইয়া, পুরো পুরি সুস্থ হয়ে ব্লগে আসুন।
জিসান শা ইকরাম
এতিম এতিম লাগে! 🙂
আচ্ছা আর এতিম এতিম লাগাতে দেবনা।
মোঃ মজিবর রহমান
প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করি মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট।
লেখা লিখতে হয় নিজের আনন্দ এবং সন্তুষ্টির জন্য। যে লেখায় লেখক নিজে আনন্দ এবং সন্তুষ্ট হতে পারবেন না, পাঠক সে লেখা পড়ে আনন্দ পাবেন না, সন্তুষ্ট হবেন না।
আপনার এই উক্তির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।
আপনার সুস্থতা চাই আরেকবার। -{@
জিসান শা ইকরাম
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মজিবর ভাই।
সাথে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন জানি আমি।
শুভ কামনা -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
খাইছে রে! বিরাট অভিযোগ। নিঃসন্দেহে দোষের দোষী আমিও একজন। আমার কাছে ফেইসবুক আর ব্লগ, লিখালিখির ক্ষেত্রে দুটোর পার্থক্য অনেকটা এমন,
*ফেসবুকে যেমনতেমন লিখা, দু’চার লাইন বা বড়জোর ৭/৮ লাইনেও চলে। এমনকি এক লাইনও। কিন্তু ব্লগ চিন্তার জগতকে প্রসারিত করে লিখতে হয় বলে সময়সাপেক্ষ।
*আগে অফিসেও সোনেলা সাইটে ঢুকা যেত, এখন সে সুযোগ নেই। এটা একটা বড় কারণ।
*সপ্তাহে নিয়মিত পোস্টেও কিছুটা সময় ব্যয় করা হয়। সাপ্তাহিক ছুটিতে এটাও একটা রুটিন কাজ বলে হয়তো বা অন্য লিখায় মনযোগ কম দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে আরেকটা সমস্যা আমি জিসান ভাইয়ার সঙ্গে ফোনে আলাপকালে বলেছি। আত্মজীবনীটা আমার ব্যক্তি নামের ব্লগ থেকে ইনডিভিউজুয়াল করে দেয়া যায় কি না? মানে আমার ব্যক্তি নামেই সম্পূর্ণ আলাদা একটি অবস্থান থেকে প্রকাশ হবে, যেখানে আমার অন্য লিখাগুলো থাকবে না। এমন অনেকদিন গেছে যে, আমি একটি লিখা লিখেছি কিন্তু ২৪ ঘন্টার ফ্যাসাদে পড়ে আর ব্লগে পোস্ট হয়নি। সাধারণত আমার বেশিরভাগ লিখা সমসাময়িক ঘটনাকে কেন্দ্র করে, যার ফলে পরে ব্লগে দিলে অনেকটা বেমানান বা দৃষ্টিকটু দেখায়।
যাহোক, তবে আরও একটি সমস্যা নতুন করে, এ বছর থেকে পেশাগত কারনে পড়াশুনা শুরু করতে হচ্ছে, অনেকটা বাধ্য হয়ে। কাজেই নিয়মিত কতোটা থাকতে পারবো জানি না কিন্তু এটা জানি সোনেলাতে আমাকে আসতেই হবে।
জিসানভাইর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। ভাল হয়ে উঠুন তাড়াতাড়ি।
বকা দিবেন না, সুযোগ পেলেই আসব।
জিসান শা ইকরাম
আপনি আলাপ করেছিলেন এ বিষয়ে, আর একটি আইডি করে লেখা যায়। আপনি কেন একই নামে দুটো আইডি রাখছেন, তা তো আমরা জানলামই।
ব্লগ বলতে যা বুঝায়, আপিনি তা লিখছেন, আপনার সমস্ত লেখাই একজন ব্লগারের লেখা।
শুভ কামনা।
অপার্থিব
ইদানীং ব্যস্ততার কারণে নিজে খুব একটা লিখতে না পারলেও নিয়মিতই ব্লগে চোখ রাখি। ইদানীং ব্লগে লেখক পাঠক অনেক কমে গেছে বলে মনে হচ্ছে। একটা লেখা পোষ্ট করার এক সপ্তাহ পরও প্রথম পাতায় দেখা যাচ্ছে। নাগরিক সাংবাদিকতার মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তায় বলতে গেলে সব বাংলা ব্লগেই এখন একই অবস্থা। তবে যারা বাংলা ব্লগ সম্পর্কে অল্প বিস্তর জ্ঞান রাখেন তারা ঠিকই জানেন লেখার মাধ্যম হিসেবে ব্লগ আর ফেসবুকের পার্থক্য। এই পার্থক্যটার প্রচার জরুরী অর্থাৎ ব্লগকে বাঁচিয়ে রাখতে নুতুন লেখক ও পাঠক প্রয়োজন। পুরনো যারা আছেন জীবনের নানা ব্যস্ততায় এক সময় তাদের আগ্রহ মরে যাওয়া কিংবা কমে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। এছাড়া আপনি যে কারনগুলো উল্লেখ করেছেন সেগুলোরও প্রভাব থাকতে পারে। এখন নুতুনদেরকেই সেই শুন্যস্থান পুরন করতে হবে, তাদেরকে ব্লগে আগ্রহী করার চেষ্টা করতে হবে। সুস্থতার জন্য থাকল শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
অত্যন্ত গুছিয়ে অল্প কথায় বলে দিলেন সব। ভাবছিলাম একটি পোস্ট দেব, আমার চিন্তা আপনার সাথে মিলে গিয়েছে শতভাগ। সম্ভব হলে এ বিষয়ে একটি লেখা দিন।
শুভ কামনা -{@
শুন্য শুন্যালয়
বই পড়ার পাঠকের সংখ্যা কিন্তু হাতে গোনা এখন। কাজেই ব্লগে বড় লেখাগুলো পড়ার পাঠক আস্তে আস্তে কমে যাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে পার্সোনাল রিলেশনের কারনে ব্লগে আসবেন এমনটা হলে তারা আক্ষরিক ব্লগার নয়। ব্লগ এভাবে বা এটুকুতেই আগাবে। অবস্থা পরিবর্তন হবে যদি পড়া বা লেখার আনন্দ সবাই বুঝতে পারে।
বাকিটা অপার্থিব সুন্দর করে বলেছেন।
আপনার চোখ শিঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুক, ব্লগ আগের চঞ্চলতা ফিরে পাক।
জিসান শা ইকরাম
লেখক লিখবেন নিজের আনন্দে, কারো অনুরোধে ঢেকি গেলা নয়।
লেখার গুরুত্ব অনেকেই ঠিক ভাবে বুঝে উঠতে পারছেন না বলেই অনলাইন বাংলা সাইটগুলোতে তেমন লেখা আসছে না।
যে কোন বিষয়ে নেটে সার্চ দিলে আপনি অন্য ভাষায় ব্লগ পাবেন, বাংলা পাবেন না। যাও পাবেন তা জামাত ইসলাম সমর্থিত।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য,
শুভ কামনা।
নিহারীকা জান্নাত
ব্লগের স্রষ্টা হিসেবে ব্লগার ও পাঠকের অনুপস্থিতিতে আপনার কষ্ট/মন খারাপ হবে সেটাই স্বভাবিক। আপনি যেহেতু অসুস্থ্য তাই অনেকে হয়তো এখানে লিখতে উতসাহ হারাচ্ছেন তার কারণ হিসেবে আমি বলতে পারি আপনার মন্তব্যের অনুপস্থিতি এবং মুল্য তাদের কাছে কতটা গুরুত্বপুর্ণ। আপনাকে কত সন্মান করেন তারা বা আপনি সবার মাঝে কতটা জনপ্রিয়। এর পাশাপশি আপনার অনুপস্থিতিতে অন্য জনপ্রিয় ব্লগাররা আপনার দায়িত্বের হাল ধরতে পারেন বা ব্লগকে আরো জনপ্রিয় কিভাবে করা যায় সে ব্যাপারে ভাবা যেতে পারে। আর অসুস্থ্য অবস্থায় এত উত্তেজিত হওয়া ঠিক না ভাই। আপনার বিশ্রাম দরকার। হেলাল ভাই, শুন্য শুন্যালয়, লীলাবতী সহ সিনিয়র সহব্লগাররা অবশ্যই এদিকে নজর দেবেন। আবার আপনাদের সোনেলা সোনালী রোদে হেসে উঠবে এই বিশ্বাস করি।
আর আমি যে এত বছর পর আসলাম এজন্য কিন্ত কোন কৈফিয়ত দেবো না। 🙂
জিসান শা ইকরাম
আসলে হেলাল, শুন্য শুন্যালয়, লীলাবতী সহ অনেক ব্লগারের একসাথে ব্যাক্তিগত জরুরী কাজ/ অসুস্থ্যতা বেশ প্রভাব ফেলেছে সোনেলার উপর। মৌনতা রিতুও নিয়মিত হতে পারছিল না। এসব নিয়েই অবশ্য আমাদের সোনেলার এইসব দিনরাত্রি।
কৈফিয়ত দিতে হবেনা আপনাকে, শুভ কামনা।