এমন করে ডাকলে পরে
ঘুম কি আর আসে?
তোমার এন্ট্রি এমনই যে
কাঁপি ভয়ে-ত্রাসে।
কোন দরোজা খোলো তুমি
কোনটা করো বন্ধ
দেখবো যে সেই চোখটি কোথায়
আমি যে বোবা-অন্ধ।
হাসতে গিয়ে কেঁদেই ফেলি
এমন তোমার প্রেম
লায়লী-মজনু করবে হার্টফেল
দেখে এমন ফ্রেম।
এই খেলাতে তুমি ফার্ষ্টক্লাশ
আমি করেছি ফেল
নো অভিযোগ এ নিয়ে
এই মাথায় পড়েছে বেল।
ওগো আমার প্রাণের টুকরা
প্রাণ বাঁচাতে চাই
তোমার পথে তুমি হাঁটো
আমি, অন্যপথে যাই।
বেশ তো নাচিয়ে নিলে
অনেক তো হলো
এবার একটু হাসি দিয়েই
টা টা বাই বাই বলো!
হ্যামিল্টন, কানাডা
১ নভেম্বর, ২০১৬ ইং।
**অনেক কিছুই হঠাৎ করে চলে আসে। জীবনে এই প্রথম একটা রম্য ছড়া লেখার সাহস করলাম। এতো বেশী হাসতে পারি, তাই আমায় দিয়ে হাসানো হয়না। মানুষ কষ্ট দিতে পারে, কাঁদাতে পারে, প্রতারণা করতে পারে, আবেগ নিয়ে খেলতেও পারে, আনন্দ দিতে পারে। কিন্তু প্রাণখোলা হাসি এনে দিতে সবাই পারেনা। আমিও এই “না”-এর দলে পড়ি। তাও একটা ব্যর্থ চেষ্টা করলাম। কারণ এটা লিখে আমি নিজেই হাসতে পারিনি। কঠিন সত্যি বললাম কিন্তু।
২৮টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
ফোকলা দাঁতে আর হাসির দরকারটা কিসের।
বাহ, ছড়া পড়ে হেসেছি কী না সেটি বড় কথা নয়, ভাল কিন্তু লেগেছে,
কিছুই আর আমাদের জন্য বাদ রাখলেন না।
ইস এমন যে কবে লিখতে পারব!
যে খেলা খেলছ তুমি
পাড়া করে মা্ত
আমি যে সে কবে থেকেই
হয়ে আছি কুপোকাত।
নীলাঞ্জনা নীলা
কুবিরাজ ভাই যে মোদের
কবিতা নিয়ে খেলেন
অবাক আমরা সোনেলাবাসী
কিভাবে ছক্কা মারেন! 😀
ইঞ্জা
হাসতে পারলাম না বলে দুস্কিত :D) কেমনে হাসবো মাঠিতেই যদি পড়ে গিয়ে গড়াগড়ি খায়। :D)
আপু পারেনও বটে, বেশ লিখেছেন। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাগ্য ভালো হাসতে পারেননি, আপনি হাসলে লেখা ফ্লপ হতো। 😀
গড়াগড়ি যে করছেন ঘরের পাকা ফ্লোরে, নাকি ঘরের বাইরে মাটির উপরে? :p 😀
ইঞ্জা
সুইমিং পুলে। :p
নীলাঞ্জনা নীলা
সাঁতার জানেন! ওরে বাবা!! তাহলে সুইমিং পুলে কেন, বুড়িগঙ্গা পুলে গিয়ে গড়াগড়ি করেন না হ্যান্ডপাম্প ভাই! :p
মিষ্টি জিন
হা হা হা হা … আমি কিন্তু বেশ হাসালাম ।এটা ঠীক আপু,মানুষ হাসানো খুব কঠীন ।খুব সহজে কাউকে কাঁদানো যায় কিন্তু হাসানো যায় না।
আমার না এই ধরনের যুদ্ধ করতে খুব ইচ্ছে করে , জিনিষ পত্র ছোডাছুডি, ভাংগাভাংগি ,কিন্তু রাগটাকে ঐ পর্যন্ত নিতেই পারিনি কখনো।
:D) :D) :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
জীবনে দু’বার ছুঁড়েছিলাম। একবার খেতে বসে, আরেকবার ফোন ভেঙ্গে। সহজে রাগ ওঠেনা, কিন্তু উঠলে কন্ট্রোল করতে পারিনা। খাওয়ার সময় আসলে কি হয়েছিলো, আমি মুগডাল খেতাম না। খাওয়া নিয়ে তেমন ঝামেলা ছিলোনা, যদিও অনেক কিছু খেতাম না। তা বলে বিশাল কিছু ঝামেলাদায়ক খাবারও না হলে চলতো। আমাদের বাগানের বাসায় একটা ছেলে নাম ক্ষীরোদ রান্না করতো। কারণ ডাক্তার মামনিকে চুলোয় যেতে মানা করেছিলো। ক্ষীরোদের রান্না দারুণ, কারণ মামনি-ই সব শিখিয়ে দিয়েছিলো। ওর একটা সমস্যা ছিলো, যখন মাথা গরম থাকতো কাউকে কেয়ার করতো না। আমাদের বাসায় কাজের মানুষ বলে কেউ নেই, পরিবারের সদস্য তাই তাদের সাথে অন্যরকম ব্যবহার করা হতোনা। সেদিন মুগডাল, আলু-পেঁপের দোলনা রেঁধেছিলো, আর বেগুণ ভাঁজা ও আলুভাঁজি। শুক্রবার নিরামিষ খাওয়া হয় আমাদের বাসায়। আমি এক আলুভাঁজা ছাড়া কিছুই খেতাম না তখন। মামনি বলেও গিয়েছিলো মুসুর ডাল রান্না করতে আমার জন্য। ক্ষীরোদের মেজাজ কি কারণে জানি গরম ছিলো। আর কি বলবো বলো! 😀
আর ফোন ছুঁড়েছিলাম বন্ধুর উপর রাগ করে। যতো ভুল ভাঙ্গানোর চেষ্টা করি, উল্টো আরোও ভুল বোঝে। তাই 😀
মানুষটা আমি কিন্তু সহজ না। বুঝেছো মিষ্টি আপু? 😀
মিষ্টি জিন
হা হা হা ..তোমার ভাংগার কঁথা শুনে আবার হাসালাম।
ভীষন শান্ত এবং চুপচাপ স্বভাবের ছিলাম আমি। তবে এখন একটু রাগ টাগ হয়েছে। রাগ হলে সুবিধা হোল ঘরের সব পরিস্কার করে ফেলি।
বছর দুই এক আগে তোমার দাদার কে রাগ দেখাতে গিয়ে একটা বাটি ভাংতে গিয়ে দেখি এ আমার অনেক শখের ক্লে পট। আর ভাংগা হয় নাই।বোঝ তাহলে.. হা হা হা হা
নীলাঞ্জনা নীলা
এই রে মিষ্টি আপু, তুমি তো দেখছি আমার মামনির মতো রাগহীন একজন মানুষ!
রাগ না করে কেউ কিভাবে পারে থাকতে আমি জানিনা।
ওহ আমাদের এখানে এক কাপল আছেন, লক্ষ্মীদি আর মিশ্রদা। দুজনেই দারুণ গান করেন, এবং খুব মিশুক আর আমুদে। লক্ষ্মীদি বললেন, মিশ্রদা যখন রাগ করেন, তখন নাকি পুরো ঘর-বাড়ি পরিষ্কারে লেগে যান। জানতে চাইলাম কি নিয়ে রাগ করেন? মজা হলো উনাদের মধ্যে কোনো ব্যাপার নিয়েই মতবিরোধ নেই। আর দুজনেই দুজনকে সবদিক থেকেই সাহায্য করেন। মেয়েদের কাজ কিংবা পুরুষের কাজ বলে উনাদের কাছে কিছু নেই। 🙂
তবে তোমার সাথে দেখা হলে তোমাকে রাগ করা শিখিয়ে দেবো, একেবারে ফ্রীতে। 😀
মিষ্টি জিন
ঠীক আছে আপু একটু শিখিয়ে দিও। এক আধটু রাগ না থাকলে সবার কাছে দাম পাওয়া যায় না :D)
রাগ নাই ঠীক তবে আত্মসম্মান এত বেশী যে রাগ বাবাজি তার কাছে কিছুই না। 😀
অনেক ভাল থেকো।
নীলাঞ্জনা নীলা
আত্মসম্মানবোধ যাদের নেই, তাদেরকে আমি মানুষ বলে মনে করিনা। সে রাগ থাকুক আর নাই থাকুক।
তবে ওই আত্মসম্মানবোধের সাথে রাগটাও আমার আছে। অবশ্য এর স্থায়ীত্ত্ব এতোটাই কম যে আমার রাগের উপর সহজে কেউ রাগই করেনা। 😀
ব্লগার সজীব
টাটা বাই বলা সহজ না কিন্তু। যুদ্ধাবস্থা এখন যেন স্বাভাবিক আর নিয়তি। নীলাদি রম্য শুরু করুন 🙂 (y)
-{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া আমি লিখবো রম্য!!! 😮
এটাই যে লিখেছি সেটাই অনেক। আরেকটি রম্য গল্প লিখেছিলাম মনে হয় ২০১০/২০১১ সালে ফেসবুকে দিয়েওছিলাম।
দেখি ওটাকে ব্লগে দেবো। যদি ওটা পছন্দ হয় আপনাদের, তাহলে বুঝবো পারবো লিখতে।
আমি বাপু হাসতে পারি, হাসানো ওরে বাবা রে পালাই পালাই 😀 \|/
অরুনি মায়া অনু
মানুষ দিনে দিনে হাসতে ভুলে যাচ্ছে। তাই মাঝে মাঝে রম্য লেখা যেতেই পারে। ট্যারম ট্যারম যুদ্ধ ভালই লেগেছে। তবে বিচ্ছেদ না ঘটিয়ে ঢিসুম ঢিসুম ঘটিয়ে দিলে আরও মজা হত।
আরও রম্যের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
টা টা বাই বাই বলতে বলেছে, এখনও বলেনি কিন্তু। 😀
দেখি পারি কিনা রম্য লিখতে। চেষ্টা করবো, সফল হবো কিনা জানিনা।
ধন্যবাদ আপনাকে অরুনি মায়া।
রায়হান সেলিম
কোনো প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয় না।
ওই যে একই মুদ্রার এপিঠ কিংবা ওপিঠ, দু’দিকেরই গল্প আছে। তেমনি একেকটি শব্দেরও গল্প আছে- কেউ সেই গল্প বোঝে, আর কেউবা বোঝেনা। তা বলে কি শব্দেরা ব্যর্থ হয়! যারা বুঝে নিতে পারেনা, তারাই কেবল ব্যর্থ হয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
কি লিখবো এমন মন্তব্যের প্রতি-মন্তব্য হিসেবে?
আমি যে আপনার মন্তব্য বুঝতে ব্যর্থ হয়েছি স্যার, সে ব্যাখ্যা কে দেবে, বলুন তো!
আপনি এভাবে এতো অনিয়মিত থাকলে কে ধরিয়ে দেবে আমার ভুল-ত্রুটি?
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
কৈ মন্দ নয় রম্য ছড়া বেশ পারদর্শিইতো দেখছি।আমি পারি কেন দিদি….আমিও যে রম্য লিখে নিজেকে হালকা করতে চাঈ।রম্য পড়লে যখন বিষন্ন মন ভাল হয় লিখতে জানলেতো আরো ভাল লাগব।তাই না। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই আমার আসলে মন ভালো রাখাটা কোনোকিছুর উপর নির্ভর করেনা। বরং মনকে আমি যথেষ্ট শাসনে রাখি। তাই রম্য লিখলেও যা, না লিখলেও তাই। মন ভালো রাখতে চান? এই গানটা শুনুন।
https://www.youtube.com/watch?v=W_48ojQRMh4
মিজভী বাপ্পা
দারুণ হয়েছে আপু
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার ভালো লেগেছে জেনে সত্যি খুব খুশী হয়েছি।
রম্য আমায় দিয়ে আসলে হয়না তো!
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অলিভার
টাটা বাই বাই যাই বলেন ওটা মোটেও সমাপ্ত নয়। বরং ওটাই নতুন গল্প শুরু হবার আরেক সম্ভাবনা।
নতুন কোন গল্পে-রম্যে আরও নতুনত্ব আশা করছি 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
তোমার কথায় টা টা বাই বাই
ভাবছো দেবো এমনিতে?
অমন আশা করার সাহস
করলে তুমি কিভাবে?—- 😀
কি, হলো?
তা এতোদিন কোথায় ছিলেন? নতূন লেখা তো দিন।
শুন্য শুন্যালয়
প্রাণের টুকরা অন্যপথে হাঁটতে বলে তুমি প্রাণ বাঁচাবা ক্যাম্নে সুন্দরী?
তোমায় নাঁচায় এমন নাচুনে বুড়ো আছে নাকি ইহলোকে?
ব্যর্থ কেনু এক্কেরে জায়গা মতো তীর ছুড়েছ। এবার প্রেমিক মহাশয় বাই বাই এর পরিবর্তে আয় আয় বলে ফিরে আসবে।
তুমি বুঝি এম্নেও লিখতে পারো!! মজাই মজা। ইশ আমার এমন একটা মজনু লাগবে 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
তোমার কথায় টা টা বাই বাই
ভাবছো দেবো এমনিতে?
অমন আশা করার সাহস
করলে তুমি কিভাবে?
নো এন্ট্রি বোর্ড ভেঙ্গে
এই যে আমি এসেছি
তোমার বলার আগেই আমি
মাথায় চেপে বসেছি।
ভালোবাসার ঘনত্ব কতো
বিজ্ঞান কি জানে তা?
আমি জানি আর তুমি জানো
বিশ্বসংসার মানে তা।
লাইলি-মজনু, শিরি-ফরহাদ
তাদের যে ওই অমন প্রেম
তুমি-আমি, আমি-তুমি
সবার আগে আমাদের ফ্রেম।
আমাদের এই জুড়ি দেখে
করবে সবাই হার্টফেল
তুমি-আমি দিব্যি রবো
দেখিয়ে এমন খেল।———নাও তিলোত্তমা তোমার জন্য। -{@
শুন্য শুন্যালয়
হা হা হা মাইয়া তুমি এত্তো জোস ছন্দ লিখতে পারো! এতদিন কুথায় ছিলে গো লাইলী? 😀
এখন আমার ছন্দ আসবেনা গো। মন এখন কীবোর্ড, একটা অক্ষর এদিকে তো আরেকটা আরেক দিকে। তবে পাওনা রইলো।
তুমি কী অস্থির কোন কারনে? কেমন যেন মনে হচ্ছে তুমি একঘেয়ে ফিল করছো, পরিবর্তনের জন্য ছটফট করছো। ঠিক কী? কী জানি! ভাল থেকো যেমন থেকো।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু আমি মারাত্মক ভিআইপি এখন। এপয়েন্টমেন্ট লাগবে আমার সাথে কথা বলতে, দেখা করতে।
এতো এতো ডাক্তার, সারাটা দিন, বিরক্তি এসে যায়। প্রায় একটা বছর হয়ে যাচ্ছে।
ভালো রেখো।
ওই তিলোত্তমা ছন্দ নিয়ে বিশাল প্রবন্ধ লিখেছিলাম পত্রিকায়। ছন্দ নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছেও ছিলো। বুঝেছো?
এখন নিজেই ভুলে গেছি ছন্দের মাত্রা। 😀