
আজ হঠাৎ ব্যাথাটা খুব বেড়েছে।
অদৃশ্য এক ক্ষত বহন করছি আমি, আমার দেহে।
ব্যাথাটা ওখান থেকেই।
অসহ্য সে ব্যাথা।
হঠাৎ কি হলো ওর?
সবই তো দিয়েছি,
জায়গা করে দিয়েছি আমার দেহে।
ব্যাথার হুল ফোটাবার অধিকার দিয়েছি।
আর কি চাই?
কোনোদিন প্রশ্ন তো করিনি.!
কেনো এসেছিস আমার কাছে?
কিভাবে কাটে তোর দিন!?
আজ হঠাৎ কেনো?
কেনো এইরাতে জাগিয়ে রেখেছিস আমাকে.!
স্বার্থে আঘাত লেগেছে তোর.!
নাকি আমার মতো এক অদৃশ্য ক্ষতের
জায়গা করে দিয়েছিস তোর দেহে…..!?
২১টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
মাঝে-মধ্যে বিষও বেশ লাগে। মানে বিষও অমৃত হয়ে যায়।
ক্ষতের কারণে একটা কবিতা তো পাওয়া গেলো।
ইকরাম মাহমুদ
ক্ষতের যন্ত্রণা থেকে কবিতা লেখার মন্ত্রনা পেয়েছি। আপন ক্ষত।
ইকরাম মাহমুদ
ভালোই বলেছেন। গরলের সরল রূপ।
রিমি রুম্মান
অতঃপর অদৃশ্য ক্ষত সামনে এসে দাঁড়ালো একটি কবিতা নিয়ে। -{@
ইকরাম মাহমুদ
ক্ষতের যন্ত্রণা থেকে কবিতা লেখার মন্ত্রনা পেয়েছি। আপন ক্ষত।
শুন্য শুন্যালয়
ক্ষতের মধ্যে ক্ষত, বাহ্ ভাবনা দেখে চমৎকৃত হলাম। একাকীত্বের ক্ষতের যন্ত্রণা সময় সময় খুব তীব্র হয়, কেন আপনার সেই পাখিটা কই গেলো?
ইকরাম মাহমুদ
পাখিটা ঠিকই আছে। তখনো সে ডাকছিল। সেও হয়তো কোনো এক ক্ষত আড়াল করতে এভাবে……
জিসান শা ইকরাম
বাহ! ক্ষতের সাথে কথা বার্তা?
ছোট, সুন্দর লেখা।
ইকরাম মাহমুদ
লেখার ভাবনাও মনের ভিতর এক ক্ষতের সৃষ্টি করে। তাই এ নতুন ক্ষতের সৃষ্টি আর নতুন যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হতেই যত তাড়াহুড়ো।
ধন্যবাদ ভাইয়া। দোয়া করবেন।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
মাঝেমধ্যে ব্যথাও নড়ে চড়ে উঠে।
🙁
ইকরাম মাহমুদ
নিজেকে প্রাণহীন, অসার ভাবতেও বোধ করি জড়েরও আত্মসম্মানে লাগে!!
আর তো ব্যাথা….
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপক ক্ষতের মধ্যে থেকে সহজে বেড়িয়ে এসেছে
একটি সুন্দর লেখা।
ইকরাম মাহমুদ
ব্যাথাটা হঠাৎ জেগে না উঠলে হয়তো…..
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ক্রিস্টাল শামীম
এই অদৃশ্য ক্ষত পাওয়া যাক বা না যাক , কিন্তু অনুভবে সোনেলায় আশাযায় , মলম লাগানো যাক বা না যাক সোনেলায় লেখে বেথা কমানো যায়। আপনার পোস্ট এ মমতাজের কথা বেশ মনে পড়ছে (y)
মনে যদি পচন ধরে গন্ধ কি তার পাওয়া যায়। চর্খেহে তারে যায় মলম দিবি কোন জায়গায়।
ইকরাম মাহমুদ
সোনেলায় কিছু বলতে পারার সুযোগ পেয়ে মনের ক্ষতটা অনেকাংশে কমেছে।
সোনেলা এমন অসংখ্য ক্ষতের মলমও বটে।
মৌনতা রিতু
চমৎকার এক ক্ষতের কবিতা পড়লাম।
ব্যাথার বুকে অন্য ব্যাথাও যায়গা চায়, এটাই বাস্তব। সত্যি চমৎকার।
বুঝছি, মোরে দিয়ে আর কবিতা হবার নয়। সবাই এতো ভাল লেখে কেন ? ;(
ইকরাম মাহমুদ
আমিও কি জানতাম? সামান্য একটা ক্ষত….
আর আপনার বিষয়-ভাবনা, প্রকাশ তো আমি জানি। কত চমৎকার উপস্থাপন, সাথে নামকরণ।
শুভকামনা রইল।
মিষ্টি জিন
ক্ষত নিয়েও যে কত চমৎকার কবিতা লেখা যায় ইকরাম ভাই তা বুঝিয়ে দিলেন।
ইস আমি যদি কবিতা লিখতে পারতাম।
ইকরাম মাহমুদ
লেখার বিষয়গুলো কখন কোথা থেকে উদ্ভব হয় তা কি কেউ জানে?
আপনার লেখাগুলো কয়েকটা পড়েছি। পথশিশু নিয়ে লেখা আর আজকের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ লেখাটা পড়েছি। মন্তব্য করা হয় নি তবে কিছু সময় থাকে যখন আমরা ছোট্ট কথাতেই বাকশূন্য হয়ে যাই। শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আপনি লিখেছিলেন। বাস্তব অভিজ্ঞতাই আমরা উপস্থাপনে ব্যর্থ হই অনেক সময়। কিন্তু আপনি অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। সেটাই বা কম কিসে? কবিতা,গান,গল্প, উপন্যাস এগুলো নামমাত্র। যিনি এগুলোর স্রষ্টা তাঁর ভিতরের ক্ষত যে কতটুকু তা কি আমরা অনুমান করতে পারি? আমরা কী সে পর্যন্ত পৌঁছুতে পারি,যে অদৃশ্য ব্যথা নিয়ে লিখেছেন কবি লেখকগণ?
আবু খায়ের আনিছ
তোমাকে তো নতুন করে চিনছি ভাই, এই হাত তুমি এতদিন প্রকাশ করোনি কেন?
ইকরাম মাহমুদ
কিছু ক্ষত থাকে যেগুলো কাউকে দেখানো যায় না,বলাও যায় না। সোনেলা এমন একটা জায়গা যেখানে সব বলা যায়। ফেসবুকে বলে তো ন্যুনতম শান্তিটুকু পাওয়া যায় না। তাই নিজেকে সংযত,বিরত রাখি। এখানে গঠনমূলক আলোচনা, মন্তব্য, সমালোচনা হয় যা লেখায় প্রেরণা যোগায়। ভীতরের ব্যাথা প্রকাশে আনন্দটা বেড়ে যায় শতগুণ। এই অল্পদিনে সবাই আমাকে আর আমার উল্টাপাল্টা কথাগুলো যেভাবে জায়গা দিয়েছে তাতে আমি অনেক আনন্দিত। মনের কথা বলার জায়গায় যদি মন বোঝার কেউ না থাকে তবে বলে কী লাভ হয় কোনো?
ধন্যবাদ তোমাকে।