চিত্রকলার আলাদা একটি মাত্রা বলা যায়। রিকশার যাবতীয় শিল্পকর্ম যা চিত্রিত পশ্চাদ্ফলক ও পশ্চাতের পার্শ্বফলক থেকে খাঁজকাটা কারুকার্যখচিত হুড এবং প্লাস্টিক ও কাগজশোভিত পিতলের ফুলদানি পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। মূলত রিকশাচিত্র বলতে উজ্জ্বল রঙে আঁকা কিছু চিত্রকে বোঝায়, যা খুব সাবলিল ভঙিতে বিষয়বস্তুকে উপস্থাপন করতে সক্ষম। সাধারণত ভারত এবং বাংলাদেশের রিকশার পিছনে, হুডে এবং ছোট ছোট অনুষঙ্গে এই বিশেষ চিত্রকলা লক্ষ করা যায়।
বিশেষজ্ঞগণ এধরণের চিত্রকলাকে ফোক আর্ট, পপ আর্ট কিংবা ক্র্যাফট সব দিক দিয়েই আলোচনা করতে পছন্দ করেন। তাঁদের মতে, যেকোনো বস্তুরই ‘ফর্ম’ আর ‘ডেকোরেশন’ নামে দুটি দিক থাকলেও রিকশাচিত্র কেবলই একপ্রকার ‘ডেকোরেশন’, এর ব্যবহারিক কোনো দিক। নেই চিত্রকরদের মতে, রিকশাচিত্রের টান বা আঁচড়গুলো খুবই সাবলিল, প্রাণবন্ত এবং স্পষ্ট, এবং টানগুলো হয় ছোট ছোট ও নিখুঁত। অথচ এই বিশেষ চিত্রকলার জন্য নেই কোনো আলাদা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা।
একেবারে দেশজ কুটিরশিল্পের মতই শিল্পীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে শিখে থাকেন এই চিত্রশিল্প এবং নিজের কল্পনা থেকেই এঁকে থাকেন এসব চিত্র।যদিও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর লোকজন রিকশাচিত্রের মর্যাদা সম্পর্কে অতোটা ওয়াকিবহাল নন এবং কিছুটা হেয় করেই দেখে থাকেন।
বাংলাদেশে রিকশাচিত্র ১৯৫০-এর দশক থেকে প্রচলিত, রিকশায় জ্যামিতিক নকশার পাশাপাশি ফুল, পাখি এমনকি জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকাদের ছবি আঁকারও প্রচলন ছিল।
এরমাঝে উল্লিখিত একটা আর্ট হলো মোনাজাত তোলা একটা মেয়ের ছবি ১৯৯৭ থেকে ২০০০ প্রজন্ম অনেক প্রচলিত ছিলো , অর এ আর্ট সবচাইতে ভালো করতে পারত [ #জহির_আর্ট_মেন] বর্তমান মালদিপ প্রবাসী ।
কখনও রিকশাচিত্রে রিকশাওয়ালার ধর্মীয় বিশ্বাস প্রতিফলিত হতো, আবার কখনও হয়তো নিছক কোনো বক্তব্য কিংবা সামাজিক কোনো বিষয় দেখা যেত ।
৩০টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
প্রথমে পোষ্টে ভাললাগা রইল। রিক্সা পিছনে শিল্পকে আমার খুব পছন্দের। আমি সত্যি মুগ্ধ হয়ে প্রতিটা ছবি দেখি। সিনেমার পোষ্টারের থেকে অন্যিন্য ছবিগুলোই বেশী আকৃষ্ট করে আমায়। হ্যাঁ, মোনাজাতরত এক মেয়েশিশুর ছবি আমরা অনেকেই দেখেছি। কিন্তু এর পিছনে আর্টিস্টের নাম জানানের জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর একটা পোষ্ট। অনেক ধন্যবাদ। এগুলোই আমাদের আর এক লোকশিল্প।
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
আমার বাবার রিক্সার দোকান ছিল। আমি ও লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে রিক্সার কাজ করেছি , তাই ঢাকার সব মেস্তুরী দেড় আমি ভালো কইরা জানি। এবং কি এক গেরেজে কাজ করতে যাইয়া এক হরিনক্ষীর প্রেমেও পইড়া গেছিলাম। আমার বড় ভাই ছিল হরিনক্ষীর হিরো ,,,,,,, ;(
ধন্যবাদ আপনাকে
মেহেরী তাজ
করুন কাহিনী!
অতীত তো অতীত ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
যুগ যুগ ধরে কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই শিল্পের এ ধারাটি বয়ে চলছে।
খুব সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন।
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
হুম ঠিক বলেছেন ভাই। এদের শিখায় বাবা, মামা, চাচা, ভাইয়ারা।
ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটা পড়ার জন্য।
আবু খায়ের আনিছ
মোনাজাতরত অবস্থায় এই হাতের চিত্র দেখেছি কিন্তু জানতাম না এর চিত্রকর কে। ধন্যবাদ সেই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
এমন অনেক কিছুই হয়, অযন্ত আর অবহেলায়। কারো কাছে সেটা অতিমূল্যবান কারো কাছে কোন মূল্যই নেই।
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
সত্যি কারোকাছে অনেক মূল্যবান। আর আমি মনে করি ছোটো কাজকে মূল্য দিলে দেশ অনেক লাভবান হবে। এই দেখেন না মোনাজাত তোলা ছবিটার চিত্রকর ও কিছু মানুষের কাছে হিরো ছিল। লোকটা লেখাপড়া জানতো না। আজ তার ছেলে কলেজের শিক্ষক। ধন্যবাদ ভাই মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য
আবু খায়ের আনিছ
ধন্যবাদ, শুভ কামনা।
মিষ্টি জিন
রিক্সা আর্ট খুব পছন্দ আমার । প্রতেকটা রিক্সার আর্ট আমি খুব খেয়াল করে দেখি ।
কোনরকম প্রশিক্ষন ছাড়া এইসব শিল্পীরা কি নিপুন ভাবে তারা তাদের চিএ কর্ম রিক্সার পিছনের এটুকু জায়গায় তুলে ধরে ..
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটা পোষ্টের জন্য
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
তুলির টানে কখন যেনো আকিজ বিরি পুরে ছাই হয়েযায়, এক পেকেট আকিজ বিড়ির দাম তিন টাকা 🙁 তারপরও নিখুঁত কাজের আসায় নতুন বিড়ি পোড়ায় ,,,,,,,
তাদের বুঝি প্রশিক্ষন লাগে আপু। ধন্যবাদ আপু দারুণ একটা মন্তব্য করার জন্য 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
রিক্সা আমার সবচেয়ে প্রিয় বাহন। আর সেই রিক্সা নিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে লিখেছেন। অনেক কিছু জানলাম।
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
আপু পায়ের বিতর একটা রিক্সার পেড়াগ ডুকছিলো, আব্বা এসে দুইটা মেজের কাঠি ফুটা মাংসে দরলো, আরেকটা কাঠি দিয়ে আগুন জালাইয়া দিলো , সে কি যন্ত্রণা একমিনিটে কইলজাটা পোইরা ছাই হইয়া গেলো । তারপর আরেক মিনিট পর আমি ভালো। দৌড়াইয়া ইস্কুলে চলে গেলাম।
এখন আয়নার সামনে দাড়িয়ে যখন নিজেকে দিখি ইচ্ছা করে লাল রক্ত দিয়ে রিক্সায় আলপোনা আকি আর বাবাকে বলি এইবার মাহাজন অনেক খুশি হইবো রং টা চমকাইতাছে। আর এ লেখা’ত কিছুই না।
ধন্যবাদ আপু
নীলাঞ্জনা নীলা
একটা কথা না বলে পারছিনা। বানানের দিকে একটু লক্ষ্য রাখবেন।
ইলিয়াস মাসুদ
ভিন্ন একটা চিন্তা নিয়ে লেখা, এমন ভাবনা নিয়ে সবাই লেখে না, দারুণ লিখেছেন
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
ধন্যবাদ ইলিয়াস ভাই ,,,,,, ।
মোঃ মজিবর রহমান
শামীম ভাই রিক্সা একটি আমাদের প্রিয় বাহন। তবে হ্যাঁ আপনি রিক্সার নকশা বা চিত্রকে এখানে এনে বড়ই মহৎ এক্টী শিল্পের মনের মাঝে একে দিলেন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
ভাই আমার লেখাতে আপনি সোনেলায় যে আলপনা দেখতে পান, তা পোরোটাই আপনার মনের ভালোবার পুষ্প ,,,,,, -{@
ধন্যবাদ মজিবর ভাই
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ভিন্ন এক োষ্ট আমাদের ঐতিয্য ফেলে আসা অতীতকে মনে করে দিলেন। (y) (3
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
আপনাকে ও ধন্যবাদ আমার লেখার মাঝে ঐতিয্যকে খুঁজে নেওয়ার জন্য।
লীলাবতী
সুন্দর, ভাল পোষ্ট। প্লাস দিলাম। ভাইয়া বসর শব্দটা বছর হবেনা? কিছুটা কনফিউজড আমি।
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
আপু ধন্যবাদ আপনাকে। হা…. আমার বসর লেখাটা ভুল হইছে, লেখাটা বছর হবে। চেষ্টা করছিলাম ঠিককরার জন্য পারিনি। আশাকরি ভবিষ্যতেও এভাবে ভুল গুলি ধরিয়ে দিবেন ধন্যবাদ আপনাকে -{@
লীলাবতী
আপনার লেখার ডানপাশে দেখুন ‘ সম্পাদনা ‘, এতে ক্লিক করলে সম্পাদনা পৃষ্টা দেখবেন। শিরোনামে সঠিক শব্দ লিখে পৃষ্ঠার নিচে দেখুন ‘ হালনাগাদ করুন ‘ লেখা আছে। ওটায় ক্লিক করুন, আপনার এডিটের কাজ শেষ 🙂 ভুলে আবার ময়লার ঝুড়িতে ক্লিক করবেন না :p
ইঞ্জা
আসলেই ঠিক বলেছেন এই শীল্পকে আমাদের উচ্চবিত্তরা কোনা চোখেই তাকায় কিন্তু এই শীল্প যে কত সৃষ্টিশীল তা অনুধাবন করা উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে এই শীল্পর সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য।
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
আপনাকে ধন্যবাদ মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য
মেহেরী তাজ
সোনেলায় স্বাগতম ভাইয়া! 🙂
রিক্সা নিয়েও এমন পোষ্ট হয়? হ্যা হয়। আজ জানলাম!
ভালো লেগছে! 🙂
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
হুম ভাই হয় বলেই’ত সোনেলায় আসা ,,,,
ধন্যবাদ ভাই -{@
জিসান শা ইকরাম
রিক্সা আর্ট এর শিল্পীদের মননশীলতা অবাক করার মত,
এনারা চড়া রঙ ব্যবহার করেন, দেশ প্রেমেরও প্রকাশ ঘটে এনাদের আর্টে।
ভাল পোষ্ট।
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
লাল সবুজে এর রং এর দেশের লোক রিক্সার মালিকরা দেশ প্রেম থাকবেই। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
শুন্য শুন্যালয়
একসময় তো এইসব ছবি বাদ দিয়ে, রিক্সায় শীক্ষামূলক লেখা দেবার কথা উঠেছিল, আর দেখেছিও তেমন। তবে এই শিল্পটাও যে শিক্ষণীয় করে তোলা যায়, তা কেউ কেউ ভেবেছিল বলেই পরবর্তিতে আমরা এই আর্টের উপর এক্সিবিশনও দেখেছিলাম। ভালো লাগলো চমৎকার একটি বিষয় তুলে আনলেন বলে। লিখুন আরো অনেক। স্বাগতম আপনাকে সোনেলায় -{@
ক্রিস্টাল শামীম
ধন্যবাদ আপনাকে দারুন একটি মন্তব্য করার জন্য।