যেখানে আমি উদাত্ত কন্ঠে আবৃত্তি করেছি—————————————- কবি শামসুর রাহমানের “তোমাকে পাবার জন্য হে স্বাধিনতা।“—————————————————–
এটাই আমার জীবনের প্রথম মঞ্চে উঠা। এই প্রথম জানলাম আমি আবৃত্তি করতে পারি। যা আমি শিখেছি আমার বাবার কাছ থেকে। বাবার আনেক কবিতা মুখস্থ ছিল ।
রাতে ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেল আমরা ভাই বোনরা মিলে বাবার সাথে ছাদে চলে যেতাম। বাবা আবৃত্তি করত আমরা শুনতাম, শুনে শুনেই প্রেমে পরেছি কবিতার। চিনেছি রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জসীমউদ্দীন, দ্বীজেন্দ্রলাল রায়, মাইকেল মধূসদণ থেকে শুরু করে গোলাম মোস্তফা, মহাদেব সাহা, শক্তি চট্টপধ্যায়, নির্মলেন্দুগুন, রফিক আজাদ সহ অনেক অনেক কবিকে। আর শুনে শুনে মুখস্ত হয়ে গেছে যে কত কবিতা ।
এখন একটা খেলা খেলে বাচ্চারা বড়রা গানের শেষ আক্ষরের সাথে মিলিয়ে আর একটা গান গাইতে হবে প্রতিপক্ষকে। যাকে বলে অন্তরক্ষরমিল। আর আমরা খেলতাম, একটা কবিতা একজন বলবে, অন্যজনকে বলতে হবে এটা কোন কবিতা ? কার কবিতা ? এর পরের লাইনগুলো কি?
——আমার মা ——-।
খুব সাধারন আর খুব বেশী আবেগপ্রবন ঠিক এক বাঙ্গালী মেয়ে। মুক্তিযুদ্ধে মার অবদান আমকে তার সামনে মাথা তুলতে দেয় না। পেটে সন্তান নিয়ে খাটে শুয়ে রাত পার করে মা যার তোশকের নিচে অস্ত্র আর খাটের নিচে মুক্তিযোদ্ধা, বাইরে পাহারায় পাক সেনা। প্রচন্ড উৎসাহে মা চললেন অনুষ্ঠান দেখতে। আর বাবাতো ঐ অনুষ্ঠানের একজন আতিথি।
অনুষ্ঠান শেষ হবার পর , অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা করতে করতে রাত ১২টার দিকে বাড়ি ফিরলাম।
মার মুখে কেন যেন হাসি নেই, কেমন যেন ভীত, থমথমে।
বাবা মাকে জিজ্ঞাস করলো ”কি হয়েছে?” মা কিছু বললেন না। কাপড় বদলাতে চলে গেল। কাপড় বদলাতে যেয়ে মা পড়ে গেল। ওখানে আমার ছোট বোন ছিল, চট করে মা কে ধরে ফেলল। আমার বাবা একজন ডাক্তার ছিলেন। বাবা পরীক্ষা করে দেখল মার রক্তচাপ অনেক বেড়ে গেছে।
কড়া ঘুমের ঔষধ দিয়ে মাকে ঘুম পাড়ান হল। তবুও সারাটা রাত মা শুধুই ছটফট করল, আর প্রলাপ বকে গেল।
সকালে দিকে মা বেশ সুস্থ হয়ে উঠল। ধীরে ধীরে গত রাতের কথা শুনলাম মার মুখ থেকে।
মা যেখানে বসে ছিল সেই জ়ায়গাটা বিশেষ অতিথিদের জন্য। আমার মা এই আনুষ্ঠানের একজন উদ্দ্যোক্তার মা তাই নিয়মানুসারে বিশেষ বারাদ্দের আসনে তার একটি আসন আছে। এ ছাড়াও তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী।
মার পাশে বসে ছিলেন সমাজের একজন বিশিষ্ট ভদ্রলোক। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান জানাবার জন্য এই আনুষ্ঠানে তিনি অনেক টাকা দিয়েছেন। ভদ্রলোক পাশে বসে মার সাথে অনেক গল্প করেছেন অনেক কথা জিজ্ঞাস করেছেন। কথায় কথায় এক পর্যায়ে ভদ্রলোককে মা চিনতে পেরেছে। এই চিনতে পারাটাই মার জীবনের একটা মর্মান্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে । এই ভদ্রলোকের ডাক নাম টুনা চৌধুরী। মার বাপের বাড়ির পাড়ায় এখনও তিনি টূনা রাজাকার নামে পরিচিত। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন। তারপর আবার ফিরে এসেছেন। এরপর ঢাকায় বসবাস করা শুরু করেছেন।
রংপুরের স্বাধিনতা আন্দোলনের সময় ২৫শে মার্চ তারিখের মিছিলে যে রাজাকার গুলি চালিয়েছিল ইনি তিনি। যার গুলিতে প্রান হারায় ঠাকুর বাড়ীর আট বছরের ছেলেটা। যার লাশ কোলে নেবার কারনে বাবা শ্লোগানে মুষ্ঠীবদ্ধ হাত তুলতে পারেনি। কিন্তু পেরিছিল রংপুরের আপামর জনগন স্বাধীনতার দাবীতে সোচ্চার হতে।
আমার মা সেই সময়ের একজন সদ্য বিবাহিতা তরুনী। আমার বাবাকে ২৬শে মার্চ ভোরেই গ্রেফতার করা হয় তার বাসভবন থেকে। তারপর এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি ছেড়ে দেয়। করে রাখা হয় গৃহবন্দী। এরও পর আবারও গ্রেফতার সেই অধ্যায় আজকের পোস্টের বিষয় নয়।
মা এই টুনা চৌধুরীদের ভয়ে সারা দিন মাটির নিচে লুকিয়ে থাকত। এই টুনা চৌধুরী নানার বাসায় এসে প্রকাশ্যেই নানাকে বলতো ”তোমার মেয়েটা কই?! জামাই আর আসবে না। যদি বাঁচতে চাও মেয়েটা কোথায় বলে দাও।””
এই টুনা চৌধুরী নানাকে বলতো ”স্বাধীনতা চায় তোমার জামাই আমি ওর রক্তে গোসল করব।————————-”
————————————- এই লোকগুলি আমার বড়মামার লাশটাকে আমার নানার বাড়ীর পেছনে শিয়াল কুকুর কে খেতে দিয়েছে তবু কবর দিতে দেয় নি। একরাতে বোবা প্রতিবন্ধী মাত্র তের বছরের সালেহাকে টুনা চৌধুরীর দল ধরে নিয়ে যায়, যার খোঁজ আজও মেলেনি।
———————সেই লোক যদি এসে মার পাশে বসে এই স্বাধীন দেশে যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সমবর্ধনা দেয়া দেয়া হচ্ছে সেই আনুষ্ঠানে, তাও আবার বসেছে বিশেষ আসনে। মা কিভাবে স্থীর থাকে?।
মা বার বার করে শুধু আপন মনেই বাবাকে জিজ্ঞাসা করে গেল ”ও কিভাবে আমার পাশে বসে? ওরতো আমার পায়ের কাছে বসা উচৎ!!!!!!!!!!!!!”
আমার বাবা ————-সে এখন বৃদ্ধ হয়েছে বেশ/ তার জগত জুড়ে শুধু দুঃখের বেসাতী/অস্তিত্তের প্রতিটি রন্ধে লাল, নীল কষ্টের তান্ডব/ আলোহীন পান্ডুর চোখে চেয়ে দেখে / সহযোদ্ধার ধূসর বধ্য ভূমি।—— —
এই কবিতার মুক্তিযোদ্ধার মত নত মুখ।
মা খুব সহজ সরল একজন মানুষ। তার মনের মাঝে যে জিজ্ঞাসা তৈরি হয়েছে তার কোন উত্তর আমাদের জানা নাই। তার প্রশ্ন ছিলো স্বাধীনতার এত বছর পর ও ————-”ওরা কি ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করার সাহস পায়? ওরা এই ধরনের অনুষ্ঠানে টাকা দেবার সাহস পায়?”
বড় সহজ মনের বড় সরল প্রশ্ন। আমরা এত জটিল প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি কত জটিল অংক কসছি কিন্তু এর কোন উত্তর নাই আমাদের কাছে। খুব সত্য ও খুব নির্মম বাস্তব হল এই অধিকার ওদের আমরাই দিয়েছি। আমরা ওদের ক্ষমা করে দিয়েছিলাম। কিন্ত ওরা যে হায়েনা আমরা তা বুঝতে পারিনি।
পরবর্তিতে আমরা একটা কাজ করেছিলাম। টুনা চৌধুরীর টাকা তাকে ফেরত দিয়েছিলাম।
কিন্তু —আমরা টুনা চৌধুরীকে পারিনি বলতে ——-তুই রাজাকার, তুই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা দেবার জন্য এই প্রজন্মের হাতে টাকা দেবার সাহস কোথা থেকে পাস, তোর টাকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা দেবার মত নীচ কীট এই প্রজন্ম নয়।
আমাদের এই প্রজন্ম রাজাকারদের বিচার চায়। যুদ্ধোপরাধীদের বিচার চায়। এক বার ও কি আমরা চিন্তা করি কোথায় লুকিয়ে আছে আমার মা, বাবার মত আসংখ্য বাঙ্গালীর বেদনা, ঘৃণা, যন্ত্রনা।
আমাদের এই প্রজন্ম রাজাকারদের বিচার চায়। কবে ওদের বিচার সম্পন্ন হবে। ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মা শান্তিতে ঘুমাবে। আমরা এই প্রজন্ম স্থীর হব।
৪৪টি মন্তব্য
ভোরের শিশির
আমাদের গ্রামে স্নাতকোত্তর সনদ প্রাপ্তদের সম্মাননা দেওয়া হচ্ছিল। তাই আমিও ডাক পেয়েছিলাম। মায়ের সাথে অনুষ্ঠানের মাঠে গিয়ে যখন শুনি যে প্রধান অতিথি সা.কা.চৌ. তখনই মাকে বলে দেই যে আমি এই পুরষ্কার নিচ্ছি না, চলে যাবো। মা কারণ জানতে চাইলে বলি- রাজাকারের হাত দিয়ে আমি কিছু নেবো না কোনদিন। আমার মা’ও চলে এসেছিলেন।
খসড়া
স্বাধীনতা তুমি রবিঠাকুরের অজয় কবিতা অবিনাশী গান।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
স্যালুট ভোরের শিশির। এমন মানসিকতা লালনকারী বাঙালী কবে সংখ্যাগুরুতে পরিণত হবে? (3
ভোরের শিশির
রুবাপু, এরা ঠিকতে পারে না জীবিকা ও জীবনের প্রয়োজনে। চাকরী ছেড়েছি সেই একই রকম কারণে-পাকি বসের উর্দু বলার শর্ত না মেনে এবং কাজে গাফিলতি না থাকা স্বত্বেও পাকি বিরুদ্ধচারী বলে নানান অজুহাতের অভিযোগে। ফলাফল বেকারত্ব… সংখ্যাগুরুতে পরিণত হবে না… এইরকম মানসিকতা আছে অনেকের কিন্তু শেষ পর্যন্ত ‘কম্প্রোমাইজ’ করে যায় আর যারা পারে না তারা দেয়াল খুঁজে… 🙂
খসড়া
ভাল বলেছেন।
শুন্য শুন্যালয়
আপু আপনার মায়ের যন্ত্রণা কি করে বুঝবে এই প্রজন্ম? এই প্রজন্ম এসব ঘৃণা, ক্ষোভ বোঝেনা, এরা এখন কেউ কেউ বলে সাধারন পাকিস্থানীদের কি দোষ ছিল, অথচ এরা সাধারন বাংলাদেশীদের যন্ত্রণাটুকু দেখতে পায়না, কি তীব্র রাগ হয় বোঝাতে পারবোনা আপু। আস্তে আস্তে রাজাকার পরিচয়টাই তা চাপা পড়ে গেছে, এখন প্রথম সারির কএকজন ছাড়া কেউ আর চিনতেই পারবেনা, কে রাজাকার ছিল তখন।
খুব মন খারাপ হলো পড়ে লেখাটা, খুব। 🙁
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
ঘৃনা অবশ্যই করা হবে। তবে অবশ্যই তাদের যারা ঘৃনিত হওয়ার যোগ্য। :c
শুন্য শুন্যালয়
ঘৃনিত হওয়ার যোগ্য কারা এটা বুঝতে পারলে, টুনা চৌধুরীর মতো লোকরা আজ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা দেবার অনুষ্ঠানে পা দেবার সাহস পর্যন্ত পেতোনা।
খসড়া
তবে, কিন্তু, যেহেতু। 🙂 🙁
খসড়া
স্বাধীনতা তুমি কাজী নজরুল ঝাকড়া চুলের বাবড়ি দোলানো মহান পুরুষ
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাঁপা।
খসড়া
জানি না কবে স্বস্তি পাব।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ অনেক কিছু জানানোর জন্য,
আপনার জন্য আমরা গর্ববোধ করি।
দেখুন এমন ঘটনা কিন্তু এখনও পত্র পত্রিকায় আসতেছে।
আমরা কোথায় যাচ্ছি!! বুঝতে পারছি না। শুধু দেখেই যাচ্ছি।
খসড়া
স্বাধীনতা তুমি রোদেলা দুপুরে মধ্য পুকুরে গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার।
মৌনতা রিতু
এই বিষয়ে কি বলব ভাষা খুঁজে পাইনা।
খসড়া
স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন।
অপার্থিব
দুর্ভাগ্য হলেও সত্য এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই ? তবে টাকা ফেরত দেওয়ার সাহসও নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য। ভাল লেগেছে লেখা।
খসড়া
তুমি আমার আকাশ থেকে সরাও তোমার ছায়া
তুমি বাংলা ছাড়।
মেহেরী তাজ
বিচার এদের হবেই আজ বা কাল! রাজাকার তো রাজাকার অন্য কোন কথা নাই!
খসড়া
মুক্তির মন্দীর সোপান তলে কত প্রাণ হল বলিদান লেখা আছে অশ্রু জলে
আবু খায়ের আনিছ
রাজাকার বাংলা ছাড়। এই দেশে রাজাকারদের কোন জায়গা হবে না। কোন ক্ষমা নেই এদের।
খসড়া
লাখ শহীদ ডাক দিয়েছে সব সাথীদের খবর দে
সারা বাংলা ঘেরাও করে রাজাকারদের কবর দে।
আবু খায়ের আনিছ
ঠিক আপু।
খসড়া
🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আমাদের পাশের বাসাতেই এক আঙ্কেল ছিলেন। উনার মুখে শুনতাম মুক্তিযুদ্ধের কথা। উনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমাদের শমশেরনগরেই একজনের নাম উনি বলেছিলেন, যে কিনা রাজাকার ছিলো। কিন্তু সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর ওই লোক বিশাল প্রভাবশালী একজন হয়ে যায়। আমি সেই লোকের নামটা ভুলে গেছি। তার বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস এলাকাবাসীর ছিলোনা। বরং ওই রাজাকারকে সম্মান করতো। আঙ্কেল বলেছিলেন আমাদের যুদ্ধটা আরোও দীর্ঘ হওয়া উচিৎ ছিলো, তাহলে এসব রাজাকারকে সে সময় শেষ করা যেতো।
আপু আমি আপনার মায়ের কষ্ট-যন্ত্রণা অনুভব করছি। ওই রাজাকারটা বেঁচে থাকলে তার নামটা প্রচার করুন না। এখন তো বিচার হচ্ছে। আর যদি মরেও যায় ওই লোক যে রক্তের বীজ পুঁতে রেখেছে, তাদেরকে দেশ থেকে বের করা যাবে।
খসড়া
তার বিচার শুরু হয়েছে।
আমাদের এই দেশ স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত ছিল না।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক বলেছেন আপু।
খসড়া
🙂
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
বিচার সকল রাজাকারের।
খুব করে চাই, জাতি কলঙ্কমুক্ত হউক।
খসড়া
লাখ শহীদ ডাক দিয়েছে সব সাথীদের খবর দে
সারা বাংলা ঘেরাও করে রাজাকারদের কবর দে।
জিসান শা ইকরাম
মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হয়েছে,
সাথে সাথেই রাজাকারদের তালিকা করা উচিত ছিল।
রাজাকারদের তালিকা করে ওদের ২য় শ্রেনীর নাগরিক হিসেবে গন্য করে স্বাভাবিক সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা দরকার ছিল। বাংলাদেশ রাজাকারদের নয়।
আপনার বাবা এবং মায়ের প্রতি ছালাম ও আপনাকে শুভেচ্ছা।
রাজাকারদের প্রতি ঘৃনা অব্যাহত থাকবে।
খসড়া
ধন্যবাদ
অরুনি মায়া
এইসব সুবিধাবাদী নরকের কীটগুলো অত্যন্ত সুবিধাদি।এরা কারোরই বিশ্বাস ভাজন নয়। যখন যেখানে সুবিধা সেখানেই ঘাঁটি বাঁধে। একপ্রকার মুনাফেক।
কবিতার প্রতি আপনার প্রেমের কথা জেনে খুব ভাল লাগল আপু।
খসড়া
এরাতো বিশ্বাস ঘাতক। মুনাফেক হায়েনা।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
এখনো সময় আছে রাজাকারদের তালিকা তৈরি করার। চাইলেই সে উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। এমনকি যে রাজাকার বেঁচে নেই তালিকায় তার নামও থাকবে। তাতে করে বংশধরেরা সাবধানে পা ফেলবে এই বাংলায়। তালিকা তৈরি মানেই তাদের শরীরে ‘রাজাকার’ ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া। বর্তমান সময়ে এসে সেটা আরোও জরুরী হয়ে পড়েছে।
আপু অনেক শ্রদ্ধা আপনার মা-বাবাসহ আপনাদের পরিবারের প্রতি। (3 (3 (3
এই সত্য কাহিনীগুলো ব্যাপকভাবে প্রচার হোক। আমি ফেবুতে শেয়ার দিয়েছি এবং মনে করি সকলেরই ফেউ আইডিতে শেয়ার দেয়া।
খসড়া
ধন্যবাদ রুবা।
হিলিয়াম এইচ ই
ধন্যবাদ আপু এতোকিছু জানানোর জন্য। গর্ববোধ করছি। দেশ থেকে রাজাকারদের সরাতে হবে। এদেশে তাদের কোন ঠাঁই না।। আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। এখনো সে বলে, সব তো ওরাই খাইতেসে। এই দীর্ঘশ্বাস বুঝার ক্ষমতা অনেকেরই আছে, কিন্ত করার ক্ষমতা অনেকের নেই। তবে অনেকে মিলে অনেককিছুই করা সম্ভব।
খসড়া
জাতির পতাকা আজ খামচে ধরে নেই সেই পুরানো শকুন কিন্তু শকুনের নখের আঘাতে তৈরি ক্ষতে যে পচন ধরেছে তা সারাতে হবে যে কোন মূল্যে।
ব্লগার সজীব
আপু টুনা চৌধুরীরা আজকাল আরো শক্তিশালী হয়েছে। এরা তো জাতীয় অনুষ্ঠানে টাকা দেয়। ৭১ এর কষ্ট পাওয়া নর নারীদের মনের কষ্টের খোজ আমরা কেউই নেইনা। আপনার আব্বা আম্মার প্রতি রইল আন্তরিক শ্রদ্ধা। -{@ -{@ -{@
খসড়া
প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক অঙ্গন সর্বত্র তারা জাকিয়ে বসচ্ছে। আর সব উদ্ববাস্তু হচ্ছে। কেউ উৎখাত ভিটেমাটি থেকে কেউ আদর্শ থেকে।
খসড়া
তবে অরে বসে আছে আমাদের সকল ক্ষেত্রে রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
নাজমুস সাকিব রহমান
পড়ে ধাক্কার মতো খেয়েছি। এ’রকম অনেক টুনা রাজাকার আমাদের চারপাশে ঘুরে, অনেককে হয়তো আমরা চিনিও না। সে সময় আমাদের শিক্ষিত লোকজন’ই ওদের জায়গা করে দিয়েছিল। ঠিকই বলেছেন, দেশ স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত ছিল না। এখনো কি আমরা প্রস্তুত ?
খসড়া
জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরানো শকুন।
নাসির সারওয়ার
দায়ভার আমাদেরই। জানিনা এই বোঝা আমাদের ঘাড় থেকে কবে নামানো যাবে। এদের শিকড়তো অনেক ছড়িয়েছে।
অবশ্যই নামবে একদিন।
সঞ্জয় কুমার
রাজাকারদের কোন ক্ষমা নেই ।
সুন্দর উপস্থাপনা