* তিন তারিখ আমার গায়ে হলুদ, চার তারিখ বিয়ে, পাঁচ তারিখ আমার জন্মদিন। কবে আসছেন যশোর?
** গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান তো তিন তারিখ সন্ধ্যায়। আমি বিকেলের মধ্যে পৌছে যাবো।
* মানে কি? তিন তারিখ অনুষ্ঠান আর আপনি যাবেন তিন তারিখ? অনুষ্ঠানের আয়োজন, ষ্টেজ, সাজসজ্জা এসবের তদারকি কে করবে শুনি? এগুলো তো সব আপনারই করতে হবে। আমার বড় ভাই আছে নাকি?
** আচ্ছা আচ্ছা দুই তারিখ দুপুরের মধ্যেই পৌছাবো।(তার কথার মাঝের অধিকার, অভিমান, হতাশা আমাকে স্তব্ধ করে দিল। এতটা আপন কাছের একজন ভাবে আমাকে?)
দুই তারিখ বিকেলেই পৌঁছলাম যশোরে। প্রথম যাওয়া তাদের বাসায়। এত পরিচিত আমি তাদের ভাইবোন বাবা মার কাছে যে আমি তাদের পরিবারেরই একজন। একান্ত আপন হিসেবে মিশে গেলাম। পরিচয়ের পালা শেষে কিছুটা হালকা তদারকি, পরামর্শ প্রদান করে ঘুমুতে চলে গেলাম।
তিন তারিখ গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের পরে রাতে বেশ আড্ডাবাজি চলছে বাসায়। সম্মোধন নিয়ে বেশ মজার কাহিনী। যার গায়ে হলুদ পাপড়ি তো ভাইয়া ডাকে, ওর ছোট ভাই সিহাব ডাকে আংকেল, ছোট বোন পিউ ভাইয়া, ওর মাও ডাকে ভাইয়া, বাবা আবার আংকেল। একটা জগা খিচুড়ী সম্পর্কের মাঝে চলে এসেছি।
বাবা আর ছেলের আংকেল আমি। মা আর মেয়েদের ভাইয়া 🙂 দুই মেয়ে আর মা যেন বন্ধু তিনজন। পাপড়ি তো মাকে জিজ্ঞেসই করে বসলো আচ্ছা আম্মু, তুমি ভাইয়াকে ভাইয়া ডাকো কেন? রুম ভর্তি সবার হাহা হিহি হাসি। এই প্রশ্নের মধ্যে এসে পড়লেন পাপড়ির বাবা। হেঁসে দিলেন তিনিও। পিউ বাবাকে বলে, এখানে ছোটদের প্রবেশ নিষেধ, এক্ষুনি রুম ত্যাগ করো। বড়দের আলাপ চলছে। বাবা বাধ্য ছেলের মত রুম ত্যাগ করেন।
পাপড়ি হঠাৎ বলল, ভাইয়া পৃথুকে (আমার মেঝ ছেলে) পিউর পছন্দ হয়েছে, পিউ পৃথুকে বিয়ে করতে চায় 🙂 আপনি রাজী হলে আজকেই পাকা কথা হয়ে যাক। পিউ বলে, বলুন ভাইয়া প্লিজ, পৃথুকে বিয়ে করতে চাই, খুবই হ্যান্ডসাম ও। ওদের মাও বলে, আমি রাজী আছি ভাইয়া 🙂 আমি বললাম ওতো পিউর চেয়ে বয়সে ছোট, এটি সম্ভব কিভাবে? পিউ চরম উৎসাহে বলতে থাকে, কি যে বলেন ভাইয়া, রূপবান তার ১৮ বছর ছোট স্বামীকে কোলে করে বড় করেছে, আর পৃথু তো মাত্র তিন বছরের ছোট আমার, মাত্র একবছর পরেই সে ১৮ তে পড়বে 🙂 \|/
এমন বন্ধুত্বপূর্ণ পাগলাটে পরিবার আমি আর দেখিনি।
ধরা যাক পৃথু আর পিউর বিয়ে হল, এরপর ওদের এক মেয়ে হল নাম রাখা হল পুতুলী।
এই পুতুলীর আমি হব দাদু, একই সাথে মামা ( মায়ের ভাই )
পৃথুর আম্মু পিউর হবে শাশুড়ি আম্মা, আবার একই সাথে ভাবী
পুতুলী পিউর আম্মুকে ডাকবে নানি, একই সাথে ফুফু
আমি পৃথুর আব্বু, একই সাথে সম্মৃদ্ধি ( স্ত্রীর বড় ভাই )
পিউ পৃথুর স্ত্রী, একই সাথে ফুফু ( বাবার বোন )
সম্পর্ক আর সম্মোধন আর কি কি হতে পারে, তা ভেবে আমার মাথাই আউলা ঝাউলা হয়ে গিয়েছে ^:^
বিচিত্র মানুষ বিচিত্র পরিবার-২
৪৫টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
মেয়েরা না হয় ভাইয়া ডাকে, কিন্তু মা ক্যান ভাইয়া ডাকে ব্যাপারটা কিন্তু চিন্তাযুক্ত, আবার হাসাহাসির ধরন ব্যাপক সন্দেহজনক।
ওদিকে ভাইয়া ডেকে ভাইয়ার পোলারে বিয়ে করতে চায়, দেন দেন বিয়ে দিয়ে দেন, এমন মেন্টাল পরিবারই তো কাম্য। কাজলের টিপ বাপ পোলা দুইজনরেই দেওয়োন লাগবো নাকি? 😀
দুই প এর বিয়ে হলে পারস্পারিক পরিচয় ভাবতে গিয়া আমিও কিঞ্চিত পাগলাইয়া গেছি।
আপনি পিউ এর আম্মুকে আপু ডাকবেন আবার আন্টি ডাকবেন -এইটাই তো সবচাইতে গোলমাইল্লা 😀
পাগলা গারদের বাইরের এই হাস্যোজ্জ্বল পরিবার টিকে সুযোগ পেলে একদিন দেখে আসবো। এমন মধুর বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক সবার জন্যই লোভনীয় আর কাম্য। ভালো থাকুক তারা।
আপনার মাথা আউলাঝাউলা র জন্য পরে আসবো, এখনো সবই বাকি 🙂
জিসান শা ইকরাম
সেদিনের আড্ডা বাজির সবকিছু বলা হয়নি
কিছুটা রাখ ঢাক করে লিখেছি……
কাজলের টিপ সেই ছোট বেলায় আমার আম্মু আমাকে দিয়ে দিয়েছিলেন, আবার দিতে হবে কিনা ভাবছি।
এমন হাস্যোজ্জ্বল পরিবার আমি খুব কম দেখেছি, সুযোগ পেলে অবশ্যই যাবেন ওদের বাসায়।
আসেন আসেন, আপনার জন্য দরজা খোলা সব সময় 🙂
স্বপ্ন
এত সেখছি পুরোই পাগল পাগল অবেস্থা। পৃথু পিউর স্বামী, আবার ভাতিজা 🙂 ভাইয়া রাজি হয়ে যান, এমন আনন্দময় পরিবার খুব কম আছে। লেখায় আনন্দ পেয়েছি।
জিসান শা ইকরাম
রাজী হয়ে যাবো?
বাইরের কেউ এসে এমন উল্টাপাল্টা সম্মোধন দেখে ভাববে, এ কোন পাগলা গারদে এসে পড়লাম? 😀
অনিকেত নন্দিনী
ঘুম ভাইঙ্গাই দেখি বিয়া বাড়ির আমেজ। বড় পুলা থুইয়া মেজ পুলার বিয়া নিয়া ধুমধাম! পৃথু এইডা জানে? পুলার হবু বউ আর হবু শাশুড়ি দুইজন মিল্যাই ভাউরে ভাইয়া কয় হেইডা জানে? সবকিছু জাইন্যা বুইজ্যা পুলায় রাজি?
অহন আহি অন্য কথায়। মা মাইয়া মিল্যা ভাইয়া ডাকার রহস্যটা কী ভাউ? :p
জিসান শা ইকরাম
হুম, পৃথু জানে এসব, তার সামনেই তো সব কথাবার্তা হয়েছে
সেও মজা পেয়েছে, যদিও আমার সামনে লজ্জা পাচ্ছিল।
রহস্য যে কিছু আছে, তা বুঝতেছি, কিন্তু কি রহস্য তা বুঝতে পার্তাছি না 🙂
অনিকেত নন্দিনী
বাহ্!
বাপে পুলায় সমানে কাঁচি চালানো হইতাছে, ভালোই তো। :p
জিসান শা ইকরাম
বাপ, পোলা,পোলার বউ সবার নামার আদ্যাক্ষর কিন্তু ‘প’ দিয়ে
আমার ফ্যামিলিতে এখনই ৬ ‘প’ , আর একটা ‘প’ এর আগমন হলে ভালোই হয় 🙂
অনিকেত নন্দিনী
প তে কইলাম ‘পাগল’ ও হয়। :p
জিসান শা ইকরাম
প তে ‘পাগল’ হা হা হা , ঠিক ঠিক
আমরা পাগল কম নাকি? 🙂
অপার্থিব
সমস্যার সিম্পল একটা সল্যুশন আছে যদিও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কিছুটা উদ্ভট বলে মনে হতে পারে। সল্যুশন হল- সবাইকে আপনার নাম ধরে ডাকতে বলেন। বাপ , মেয়ে , মা সবাই আপনার নাম ধরে ডাকবে । প্রথম প্রথম একটু অস্বস্তি লাগতে পারে তারপর দেখবেন সব ঠিক । 🙂
জিসান শা ইকরাম
বিদেশে এই নাম ধরে ডাকাটা খুবই ভালো লাগে আমার
টিভিতে একটি পারিবারিক সিরিজ ছিল এক সময়, যেখানে বাড়ির ছোট বউ তার স্বামীর বড় ভাইকে নাম ধরেই ডাকে।
নাম ধরে ডেকে আপনি বলাটা বেশ ভালো।
আমাদের দেশে এটা অসম্ভব।
লেখা দিচ্ছেন না অনেক দিন।
মিথুন
ভাইয়া, আপনি কাকে কি ডেকেছেন তা যে বললেন না? তাহলে আসল কথা বোঝা যেত। কি যে ভাল লাগলো, এমন আনন্দময় পরিবার এখন যেন হাতের সুদূরে। তা ভাইয়া, আমরা কয়টা বিয়ের দাওয়াত পাচ্ছি একসাথে? 🙂
জিসান শা ইকরাম
পাপড়ি, পিউকে তো নাম ধরেই ডেকেছি
ওদের মাকে ডেকেছি আপু বলে
ভাই আর বাবাকে আংকেল 🙂
আগে আপনাদের বিয়ের দাওয়াত দিন, এরপর বলবো 🙂
ব্লগার সজীব
মা মেয়ের ভাইয়া সম্মোধন!!! হা হা হা ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত 🙂 কেন জানি মনে হচ্ছে, কিছুটা চেপে গিয়েছেন 🙂 আর একটু কাশি দেয়া যায় না ভাইয়া?
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ, মা মেয়ের একই সম্মোধন
কিছুটা চেপে আসলেই গিয়েছি, তা আরো পাগলামি পূর্ন ছিল।
লেখার মধ্যে ভালোই প্রবেশ করতে পারেন দেখছি।
শুভ্র রফিক
ঝেড়ে কাশুন ভাইয়া।মনে হচ্ছে কাশিটা আটকে আছে কোথাও।লেখাটা ভাল হয়েছে।
জিসান শা ইকরাম
সব কিছু বিস্তারিত লিখতে গেলে বিশাল হয়ে যায় লেখা
একারনে লেখিনি
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি সত্যি সম্বোধনের এ রীতি অদ্ভুদ,
তবে আন্তরিকতা হৃদয় উজার করা।
এ দেখছি কে কী হন তা মনে রাখতে নোট বই সাথে রাখতে হবে।
শুন্য শুন্যালয়
আর ডাকার সময়েও।
ডাকার আগে, ওয়েট ওয়েট এক মিনিট বলে নোট বইয়ের পাতা উল্টাবে। 🙂
জিসান শা ইকরাম
ডাকার আগে, ওয়েট ওয়েট এক মিনিট বলে নোট বইয়ের পাতা উল্টাবে :D)
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ, ওদের এমন আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে
হা হা হা , নোট বুকে লিখে রাখা ছাড়া উপায় নেই।
ভিশন ফিরে আসছে ধীরে ধীরে, খুবই খুশি আমি @হেলাল।
ইলিয়াস মাসুদ
কিছু কিছু পরিবার বেঁচে থাকে বাচার মতোই ……. আমার কাছে অনেক পছন্দ হয়েছে পরিবারটি……. গুরুগম্ভীর পরিবারে আর সহ্য হয় না হাহাহা
জিসান শা ইকরাম
খুবই আনন্দময় পরিবার
এমন পরিবার বিরল।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা এমন কত্তো দেখলাম।
তয় এইটা ঠিক খুবই মজা পেয়েছি। হাসতে হাসতে আমার পেট…দেখো এমনিতেই পেলভিস ভাঙ্গা, পেট ফাঁটলে তোমার খবরই আছে।
এতো হাসির পোষ্ট দেয়ার কি দরকার?
তবে এসব মানুষের জন্যেই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর। টিকে থাকুক এমন সম্পর্ক আজীবন শুদ্ধতায়। -{@
জিসান শা ইকরাম
ঠিকই বলেছো ” এসব মানুষের জন্যেই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর। টিকে থাকুক এমন সম্পর্ক আজীবন শুদ্ধতায়।” -{@
রেষ্ট নিও ভালভাবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা অনেকটাই ভালো হয়ে উঠছি। 😀
বুইড়া নানা আছে একজন আমার। ফাগুনের ফুল দিতেই আরোও ভালো লাগছে -{@
জিসান শা ইকরাম
তোমার পেলভিস ভাইঙ্গা গেছে, পেলভিস শব্দটা আমি জীবনেও আর ভুলুম না
ব্যাথা স্থানে ব্যাথা না পাও আবার, সাবধানে থেকো
বসন্তের শুভেচ্ছা -{@
মোঃ মজিবর রহমান
অপেক্ষা করুন আসছে!
সঙ্গে নতুন অতিথী।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা অপেক্ষা করছি।
শুভ কামনা।
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
হা হা হা
😀
জিসান শা ইকরাম
🙂
শুভকামনা।
নাসির সারওয়ার
এ দেখি মেলা ঝামেলার অংক! কাকে কি ডাকতে হবে তার জন্যতো নতুন প্রযুক্তি লাগবে।
আমার বিশ্বাস, এরা অনেক ভালো মানুষ। এই পাগলামোর মাঝে অনেক প্রান আছে।
ভালো থাকুক তারা।
জিসান শা ইকরাম
সম্বোধনে প্রযুক্তি লাগবেই লাগবে।
এরা আসলেই ভাল মানুষ
ভালো থাকুক তারা।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
গল্পের শ্যাষ অংশে এত পেচ!!
প্রথম দিকে তো ভালো ভালো পড়ছিলাম।
শেষে আইসা আটকায়া গেলুম!
জিসান শা ইকরাম
এই প্যাঁচ আরো বৃদ্ধি করন যাইতো 🙂
শুভকামনা -{@
ড্রথি চৌধুরী
😮 আমার তো দাদা, বাবা, ভাইয়ে র বাইরে গেলেই প্যাচ লেগে যায় এখানে তো মহাভারতের ভুল্ভুলাইয়া ^:^
জিসান শা ইকরাম
বেশি দূর যেও না, মাথা এলোমেলো হয়ে যাবে 🙂
অনিকেত নন্দিনী
“এই পুতুলীর আমি হব দাদু, একই সাথে মামা ( মায়ের ভাই ), পৃথুর আম্মু পিউর হবে শাশুড়ি আম্মা, আবার একই সাথে ভাবী, আমি পৃথুর আব্বু, একই সাথে সম্মৃদ্ধি ( স্ত্রীর বড় ভাই – আমরা কই সমুন্ধি, আঞ্চলিকভাবে হুমুন্দি ), পিউ পৃথুর স্ত্রী, একই সাথে ফুফু ( বাবার বোন )
– বুঝলাম।
” পুতুলী পিউর আম্মুকে ডাকবে নানি, একই সাথে ফুফু” – এইডা বুজলামনা। 😮
পিউ পৃথুর বাবাকে ভাইয়া ডাকে।
পিউর আম্মুও পৃথুর বাবাকে ভাইয়া ডাকে।
তাহলে পুতুলী পিউর মাকে কী ডাকবে?
জিসান শা ইকরাম
ধুর! প্যাঁচ লাইগা গিয়ে মাথা আউলাইয়া গ্যাছে
প্যাঁচ ক্যামনে খুলি ?
অনিকেত নন্দিনী
থাউজ্ঞা। প্যাঁচপোঁচ খোলার দরকার নাই। পাগলাটে সম্পর্কের ভিত্রে প্যাঁচ থাকাও জরুরি। :p
আবু খায়ের আনিছ
প্রথম দুই পর্ব পড়ার পর আর পড়তে পারিনি। এখন পড়লাম। হাসিতে হাসিতে খাটে গড়াগড়ি দিলাম দুই রুমমেট মিলে।
পিচ্ছি ছেলেকে তার মামা জিজ্ঞাস করেছে, তোমরা কই ভাইবোন?
ছেলে হাতের আঙ্গুল গুনে গুনে বলে, আম্মু, আপু দুইবোন আমি ভাইয়া আর বাবা তিন ভাই মোট পাচঁ ভাইবোন।
জিসান শা ইকরাম
ছেলে হাতের আঙ্গুল গুনে গুনে বলে, আম্মু, আপু দুইবোন আমি ভাইয়া আর বাবা তিন ভাই মোট পাচঁ ভাইবোন :D)
এইটা তো দারুণ হইছে 🙂
আবু খায়ের আনিছ
হা হা হা :D) :D) :D)
জিসান শা ইকরাম
🙂
নতুন লেখা কৈ ?