কক্ষ নং ৬০২, একটি হোটেলের সাধারণ একটি কক্ষ। এই সাধারণ কক্ষটিই অসাধারণ হয়ে গিয়েছে এই কক্ষের মানুষদের কারনে। রহস্যময় হরর কাহিনীর মত কোন কক্ষ এটি নয়, তবে হরর কাহিনী ম্রিয়মাণ হয়ে গিয়েছে এর কাছে। বাংলাদেশ তো বটেই বিশ্বে এমন একটি কক্ষ পাওয়া যাবে কিনা আমার সন্দেহ আছে।
৩২ বছর পূর্বে এক নব দম্পতি এই কক্ষে হানিমুন করতে এলেন। সেই যে এলেন এখনো তাদের হানিমুন সমাপ্ত হয়নি। এই কক্ষে থাকাকালীন জন্ম হয়েছে তাঁদের প্রথম সন্তান, দ্বিতীয় সন্তান। দুই ছেলের গর্বিত বাবা আর মা এই হানিমুন চলমান দম্পতি। সন্তানের লালন পালন, বড় হওয়া, বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় এর পড়াশুনা সবই এই কক্ষে অবস্থান কালীন সময়ে। বুয়েট পাশ করা প্রকৌশলী ছেলের বিয়েও এই কক্ষে সম্পাদন হয়েছে। প্রকৌশলী ছেলে বর্তমানে আলাদা বাসা নিয়েছে। ছোট ছেলে নটরডেম এর ইন্টার দ্বিতীয় বর্ষ। হানিমুন দম্পতির ইচ্ছে ছোট ছেলে ডাক্তার হবে। তার যে মেধা তাতে ছোট ছেলে ডাক্তার হবে বলেই আমার বিশ্বাস।
হানিমুন দম্পতির অত্যন্ত ফিটফাট আপু নিয়মিত হোটেলের লবিতে দুইবেলা হালকা জগিং করেন। কাঁধ পর্যন্ত চুলে নিয়মিত কালার করেন, অবশ্যই তা মাল্টি কালার। একদিন সাহস করে আলাপই করে ফেললাম আপু সম্বোধন করে। কেন এই জীবন বেঁছে নেয়া?
* নিশ্চিন্ত এই জীবন
* রান্না বান্নার কোন ঝামেলা নেই
* হাড়িপাতিল সহ সংসারের কোন কিছুই কেনার ঝামেলা নেই
* বিছানার চাদর, বালিশ,জানালার পর্দা ম্যাচিং করে কেনার দরকার নেই
* আত্মীয় স্বজনের কোনই চাপ নেই,তারা এসে থাকা তো ভালো, বসারই তো কোন জায়গা নেই। কেউ যদি এসেই পরে হোটেলের রিসিপশন তো আছেই।
* ছেলের বিয়ের কথাবার্তা সব একটি হোটেলে হয়েছে।
* ইচ্ছে মত চলা যায়,খাওয়া যায়। যেমন ভাবির একটি সিঙ্গারা খাবার বা পিঁয়াজু খাবার ইচ্ছে হলো। বয়কে দশ টাকা দিয়ে হোটেল থেকে কিনে আনান। বাসায় বসে এসব খেতে চাইলে হয় বানাতে হবে, নতুবা নিজের বা কাজের লোককে দোকানে পাঠিয়ে আনাতে হবে।
* বুয়ার কোন উপদ্রপ নাই
* কারেন্ট বিল, ওয়াসা, তিতাস গ্যাস এর বিল প্রদানের কোন টেনশন নাই
* বাড়ির প্ল্যান পাশ, ইনকাম ট্যাক্স, পৌর ট্যাক্স এর চিন্তাই নাই
* একটি বাড়ি বা সংসারে যত ধরনের কাজ আছে সব থেকে এনারা মুক্ত।
কি করেন তাহলে এনারা? সমস্ত দিন চলে যায়, শরীরের যত্ন নিতে, টিভি দেখে, বারান্দায় বসে আকাশ দেখে, জ্যাম দেখে, বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে। এই যে ৩২ বছরের হানিমুনের আইডিয়া, এটি আপুর। কত বুদ্ধি যে আপুর তাই ভাবছি। জীবন একটিই তা যদি একটি সংসার গোছাতে গোছাতেই শেষ হয়ে যায়, তাহলে কিভাবে চলে? ইচ্ছে পূরণের একটি জগৎ তারা তৈরী করেছেন, যে জগতে বাইরের কেউ নেই।
আপুর বরটাও যে দারুণ উপভোগ করছেন এই ৩২ বছরের হানিমুন তা তার চেয়ারে বসে এমন করে পায়ের পাতা দোলানো দেখেই বুঝা যায়। রুম বিভিন্ন মালামালে ঠাসা। এর মাঝেই ঠিক দরজা লাগোয়া একটি চেয়ারে বসে ভাইয়া পেপার পড়েন আর পা নাড়ান। শান্তি একেই বলে। তাদের এই অফুরান হানিমুনে শুধু শান্তি আর শান্তি। ওম শান্তি ওম…………
বিচিত্র মানুষ বিচিত্র পরিবার- ১
ছবিগুলো সব মোবাইলে বিভিন্ন সময়ে তোলা হয়েছে।
তাদের সুখি আনন্দিত চেহারা মুবারক দেখাতে পারছিনা বলে দুঃখিত।
৬৪টি মন্তব্য
অনিকেত নন্দিনী
আহা! কী বুদ্ধি। আজীবন মধুচন্দ্রিমা। :v
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ দারুন বুদ্ধি এদের, আজীবন মধুচন্দ্রিমা।
অনিকেত নন্দিনী
ভুলে মিস্টেক হইয়া গেছে।
কী সর্বনাশটাই না হইলো! ^:^
এই আইডিয়া মাথায় থাকলে কত্তকিছু এড়াইতে পার্তাম! ;?
পিছনে ফিরা তো আর যাইতে পারুমা। আফসোস! ;(
জিসান শা ইকরাম
ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়
গীবনের এখনো বহুত বাকী
ট্রাই করা যাইতে পারে 😀
অনিকেত নন্দিনী
ঠিক আছে। এতো করে যখন বলছেন তখন না হয় চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে।
কী আছে আর এই জীবনে?
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ, কি আছে আর এই জীবনে?
অনিকেত নন্দিনী
কী আছে আর এই গেবনে?
😀 😀 😀
জিসান শা ইকরাম
হ, কুয়াকাটা সৈকতে শুয়ে শুয়ে লিখছি, এই তো গেবন 🙂
অনিকেত নন্দিনী
লোভ দেখানো মোটেও ভালো কাজ না। :@ ^:^
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা ঠিকাছে, রূপচাঁদা, ইলিশ ফ্রাই, চিংড়ি ভর্তা, শুটকি ভর্তা দিয়ে ডিনার করছি তা আর জানালাম না আপনাকে 😀
অপার্থিব
পশ্চিমা দেশগুলোতে এমন অনেক মানুষ বোহেমিয়ান জীবন যাপন করেন। অল্প হলেও আমাদের দেশেও এমন কিছু মানুষ দেখতে পাওয়া যায়। বগুড়ার থ্রি ষ্টার মানের নাজ গার্ডেন হোটেলের মালিক পরিবার নিয়ে ঐ হোটেলেই জীবন যাপন করেন বলে জানি। একদিক দিয়ে দেখলে এই লাইফটাও খারাপ না। এমন বিচিত্র এক পরিবার সম্পর্কে জেনে ভাল লাগলো।
জিসান শা ইকরাম
আমার কিন্তু এই জীবন পছন্দ হয়েছে 🙂 নিশ্চিন্ত নির্ভাবনার জীবন।
ছাইরাছ হেলাল
জীবনের পরতে পরতে কতই বিচিত্রতা,
তবু ও একটাই তো জীবন।
জিসান শা ইকরাম
এনারা এই জীবনে খুবই সন্তষ্ট
সারাক্ষন হাসি খুশীতে মত্ত থাকেন।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক অনেক সময় আর ঝামেলা বাঁচিয়েছেন তারা, জানতে ইচ্ছে করে এত সময় দিয়ে কি করেছেন? বারান্দায় বসে আকাশ দেখেছেন, জ্যাম দেখেছেন। ইন্টারেস্টিং। বিচিত্র তো বটেই, তবে যতই নির্ভাবনা আর পছন্দের হোকনা কেন, মানসিক বৈকল্যের ইহাও একটি নমুনা। যদিও আমি জানিনা আজীবন হানিমুনের চিকিৎসা কি হতে পারে।
আমার কেমন হাঁসফাঁশ লাগছে এই রুমের একাংশ দেখেই। মাঝে মাঝে যখন কিছু করার পাইনা বা করতে ইচ্ছে করছেনা, কেমন অস্থিরতা এসে পড়ে, আর এরা!! উহ্ ভাবতে পারছিনা।
আপনার কালেকশানে কি আরো আছে এমন? আপনারে নিয়া তো একটা এক্স-ফাইল সিরিয়াল বানানো যাবে। 🙂
ভোরের শিশির
পশ্চিমা দেশগুলোতে এমন ধারার চল আছে জানতাম, আজকে আপনার মাধ্যমে জানলাম দেশেও চলছে…
মানসিক বৈকল্য কি না বলতে পারি না তবে নানান ঝক্কির সময়গুলো নিশ্চিন্তে অন্য কাজে ব্যয় করা যায় নিশ্চিন্তেই 😀
জিসান শা ইকরাম
পশ্চিমা দেশে আছে হয়ত, তাঁদের জীবন যাত্রা তো আরো বিচিত্র
এমন জীবন হলে সারাদিন শুধু অনলাইনে বসে থাকতাম 🙂
জিসান শা ইকরাম
কোন কাজ কাম নেই এদের, অধিকাংশ সময় দেখেছি শুয়ে থাকেন
বারান্দায় হাঁটাহাঁটি, চেয়ারে বসে থেকে রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকা,আকাশ দেখা, পেপার পড়া এসব করতে দেখি
ল্যাপটপ ব্যবহার করতে দেখিনি কখনো, তাহলে বলতাম সোনেলার লেখা পড়েন
একজন বেকার পাঠক পাওয়া যেতো 🙂
আরো কিছু আছেন বিচিত্র পরিবার
দেখি আর দু একটা পোষ্ট দেয়া যায় কিনা।
ভোরের শিশির
এরকম করে সময় কাটানো কঠিন তবে মানুষ দেখে সময় কাটানোর মতো ব্যস্ততা আর তেমন কিছুতেই নেই…
আপনার আরো সেই দু’একতা পোস্টের জন্য অপেক্ষা করছি 😀
জিসান শা ইকরাম
একটি পোষ্ট দিয়ে আপাতত এই সিরিজ স্থগিত করা হবে
আবার কখনো ইচ্ছে হলে চালু করবো 🙂
শুন্য শুন্যালয়
শুধু মানুষ দেখে দেখে কি হবে দাদাভাই? মানুষ দেখে দেখে এরা শুধু ব্যায়াম করে, টিভি দেখে আর ঘুমায়। দেখে তাকে ধারন করা বা শেয়ার না করলে কি লাভ? আমার কাছে তাদের অসুস্থ্য ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছেনা।
শুন্য শুন্যালয়
আপনার স্টকে আরো আছে এমন? আপনিই তো দেখি বিচিত্র 🙂
পোস্ট দিন ইচ্ছে থাকতে থাকতেই, নইলে আপনার ২ এর পর ৩ আসতে আসতে আমরা গায়েব।
জিসান শা ইকরাম
আপনার কি ধারনা ৩ আর আসবেনা? ইচ্ছে করছে আপনার ধারনাকে জিতিয়ে দিতে।সোনেলার জনপ্রিয় ব্লগার শুন্য শুন্যালয়কে পরাজিত করতে সাহসের দরকার আছে।দেখি সেই সাহসকে অর্জন করতে পারি কিনা 😀
মারজানা ফেরদৌস রুবা
উফফফ! শুন্য, পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম মানুষ ক্যামনে পারে এমন জীবন যাপন করতে? পড়তে গিয়ে নিচের দিকে নামছিলাম আর আমারও দম বন্ধ হয়ে আসছিলো। কেবল ব্যায়াম করে, মানুষ দেখে, টিভি দেখে আর পেপার পড়ে সারাদিন কাটানো! জাস্ট অসম্ভব!!! আমার দৃষ্টিতে এরা অসুস্থ এববগ অস্বাভাবিক। ভাবছি ;? একইরকম মানসিকতার দুজন এক হলো কি করে! ^:^ ^:^ ^:^
ওরে মা রে মা! মানসিক বৈকল্য তো বটেই। কাজহীন জীবন ভাবতেই পারি না। ^:^
হাহাহাহাহা…….. 😀 😀 😀 জিসান ভাই’র সোনেলার লেখা পড়ার বেকার পাঠক!!!!
মারজানা ফেরদৌস রুবা
বানানটা হবে ‘দৃষ্টিতে’ ভুলক্রমে ‘দূরদৃষ্টিতে’ হয়ে গেছে!
জিসান শা ইকরাম
তারা দুজনই এই জীবনে বেশ সুখি
কিভাবে একত্র হলেন দুজন একই মানসিকতার তা আমারও প্রশ্ন।
ভালো থাকুক তাঁরা।
মোঃ মজিবর রহমান
হায়রে আমার জীবন এই পোস্টটি কয়েক বছর আগে দিলে কি এমন
ক্ষতি হত আপনার, শুনি আইডিয়াটা না নিজেই গ্রহন করতাম।
হ্যাঁ রুমটি যখন আনলেন তখন আমিও একদিন দিমুনে ভাইয়া
তবে অন্যরকম হুম
ভাল লেগেছে খু ব ই
জিসান শা ইকরাম
আইডিয়া আমারো ভালো লেগেছে
আপনিও দিন পোষ্ট, অপেক্ষায় থাকলাম।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ ভাইয়া দেব
একটু সময় চেয়ে নিলাম।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা সময় নিয়ে লেখুন।
নাসির সারওয়ার
৩২ বছর, অনেক সময়। নিশ্চয়ই তারা ভালো আছেন এই পাখির বাসায়।
ভাবছি এদের মন আছে কিনা। আমাদের সমাজ ব্যাবস্থায় এরা অবশ্যই অচল এবং মানসিক ভাবে …।।
আপনাকে দিয়েই হবে। এই সব তথ্য যোগাড় করাতো বেশ কঠিনই মনে হচ্ছে। বিশেষ করে এই প্রজাতির মানুষদের কাছ থেকেতো কিছু বের করা!!!
এর পরে হয়তো শুনবো, কেউ সন্তান না নিয়ে নিয়ে গরু ছাগল দত্তক নিয়ে এর ঘরে বসবাস করছে।
জিসান শা ইকরাম
ভালো অবশ্যই আছেন তারা, নাহলে এভাবে থাকেন কিভাবে ৩২ বছর?
আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এদের অবস্থান নেই কোনো
ছেলের বিয়ে হয়েছে ভালো ছাত্র এবং প্রকৌশলী এই বিবেচনায়।
এই পরিবারটি আপনাকে দেখাবো ইনশ আল্লাহ।
বিচিত্র পরিবারের আর একটি পর্ব দেবো আশা রাখি।
নাসির সারওয়ার
আল্লাহ বলতে পারেন তাদের সন্তানদের মানসিক ব্যাপ্তি কতটুকু হয়েছে। জানতে পারলে খারাপ হোতোনা।
লিখুন, এরকম তথ্য যোগাড় করা সবার ধারাতো হয়না।
জিসান শা ইকরাম
এক ছেলে বুয়েট থেকে পাশ করা প্রকৌশলী, অন্য ছেলে ডাক্তার হবে আশাকরি
মানসিক ব্যাপ্তি আসলে কতটা মূল্য পায় আমাদের সমাজে?
লেখা চলিবেক ।
তানজির খান
আমি সত্যি আশ্চর্য হলাম। আমাদের দেশে এমন ঘটনা আগে শুনিনি। ঢাকায় ? উনারা কি বাংলাদেশি? কর্ম জীবনে কি করেন উনারা? শুভ কামনা রইল উনাদের জন্য। -{@
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ ঢাকায়। ভাই জব করেন ভালো একটা কোম্পানিতে।
আমার ভালোই লাগে ওনাদের এই জীবন।
ইমরান হাসান
শুনে মজা পেলাম । ভাল লাগলো , বোহেমিয়ান জীবন নির্ভাবনায় ঘেরা একেবারেই অন্যরকম । :p
জিসান শা ইকরাম
আমার ভালো লেগেছে তাঁদের জীবন যাত্রা
ব্লগার সজীব
ভাবতে অবাক লাগছে।পাখির মত জীবন এদের। ৬০২ কক্ষ অর্থ ছয় বা সাত তলায় হতে পারে এর অবস্থান।অবাক লাগলেও কেমন জানি লোভ হচ্ছে এই জীবনের প্রতি 🙂
জিসান শা ইকরাম
ঠিকই ধরেছেন, এটি সাত তলায়।
লোভ হলে এমনি আজীবন মধু চন্দ্রিমার জীবন বেঁছে নিতে পারেন আপনি 🙂
অরুনি মায়া
এটা কোন জীবন নয়, এটা কোন স্বাভাবিক মানুষের লক্ষণ নয় | ইনারা স্বার্থপর | শুধু নিজেদের কথা ভেবেই আস্ত একটা জীবন একান্তে দুজন দুজনার জন্য কাটিয়ে দিলেন জীবনের মূল লক্ষ্য থেকে দূরে থেকে | জীবন মানে শুধু আমি তুমি নয় | জীবন মানে অনেক কিছু |
জিসান শা ইকরাম
কি জানি এনারা ভুল করেছে কিনা?
তবে আমাদের সামাজিক অবস্থায় এভাবে থাকাটা গ্রহনযোগ্য নয়।
আমার কিন্তু ভালোই লেগেছে এই জীবনযাত্রা।
অরুনি মায়া
ভাইয়া পৃথিবী যে আমাদের কাছে অনেক কিছু চায় | শুধু তুমি আমি তে জীবন নয় | তাই মনে হল তারা ভুল করছেন |
জিসান শা ইকরাম
সবার মাঝে থেকেও মানুষ যে পরিমান স্বার্থপরতা দেখায়, তাতে এই জীবন ভালোই মনে হয় আমার
কোন ভনিতা নেই এদের মাঝে, নিজেরা নিজেরা বাঁচা, কারো পিছনে লাগা লাগি নেই, এদের পিছনেও কেই লাগে না।
আমাদের সমাজের দৃষ্টিতে ভাবলে অবশ্যই তাঁরা ভুল করছেন।
রিমি রুম্মান
বাহ্ ! মধুচন্দ্রিমা থেকে শুরু করে এক কক্ষে জীবন পার !
আমাদের জীবনটা অনেক ছোট। ছোট্ট এই জিবনটা কে যে কিভাবে উপভোগ করে, বুঝা মুশকিল।
সবাই ভাল থাকুক জার জার মত করে।
শুভকামনা ৬০২ কক্ষের বাসিন্দাদের। -{@
জিসান শা ইকরাম
‘ আমাদের জীবনটা অনেক ছোট। ছোট্ট এই জিবনটা কে যে কিভাবে উপভোগ করে, বুঝা মুশকিল।সবাই ভাল থাকুক জার জার মত করে। শুভকামনা ৬০২ কক্ষের বাসিন্দাদের।’
আমিও চাই তারা ভালো থাকুক।যিনি যেমন ভাবে জীবন কাটাতে চাচ্ছেন,কাটাক তিনি সেভাবে জীবন।
মিথুন
রিমি আপু বলেছেনঃ আমাদের জীবনটা অনেক ছোট। ছোট্ট এই জিবনটা কে যে কিভাবে উপভোগ করে, বুঝা মুশকিল।
সবাই ভাল থাকুক জার জার মত করে। ঠিক।
গল্প কবিতায় কত লিখি, পাহাড়ের চূড়ায় তোমার আর আমার বাড়ি হবে ছোট্ট একটা, সেখানে শুধু তুমি আর আমি। বাস্তবতায় দেখলে মেনে নিতে কেন যে এত কষ্ট আমাদের! দুটো ছেলেকে মানুষ করেছেন, আর তেমন চাওয়ার কি আছে? ভালো থাকুক যে যেভাবে খুশি।
এমন এক বিচিত্র পরিবার আপনি না দেখালে আমাদের অজানাই থাকতো। ঝুলিতে আরো কিছু থাকলে বের করুন জলদি।
জিসান শা ইকরাম
পাখির মত জীবন এদের, সারাক্ষণই উপরে থাকেন
যখন প্রয়োজন হয় তখনই কেবল ভূমিতে নামেন
তারা ভালো থাকুক।
জিসানের ঝুলিতে আছে মনে হয় আরো কিছু, প্রকাশের অপেক্ষায় শুধু।
অনেকদিন লেখা দিচ্ছেন না কিন্তু
আপনাদের লেখাকে মিস করছি
লেখা দিন
শুভ কামনা।
মিথুন
লিখতে যে পারিনা কিছু ভাইয়া। স্বপ্ন লিখতে পারে, কিন্তু দেয়না, ও খুব আলসে।
শুভকামনা আপনাকেও।
জিসান শা ইকরাম
লিখতে না পারলে আর কি করা, যখন লিখতে পারবেন তখন পোষ্ট দিয়েন।
ভালো থাকুন।
তানজির খান
ভাইয়া, আমার নটিফিকেশনের সমস্যা সলভ করে দিবেন না? খুব সমস্যা হচ্ছে।
জিসান শা ইকরাম
নোটিশ দেয়া আছে
সম্ভবত এই অপশনটা বাদ দিতে হবে।
তানজির খান
ভাইয়া, এই জন্য যে কি অস্বস্তি হচ্ছে বলে বোঝাতে পারব না। যাই করেন ভাই, প্লিজ দ্রুত করতে বলেন প্লিজ। আমি নতুন পোস্ট দিতেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি। পাহার সম নটিফিকেশন খুব বিরক্ত লাগছে।
শুভ কামনা রইল ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
আনিছ এরও একই সমস্যা হচ্ছে …………
এই দুটো আইডি আসলে আলাদা, এমনটি আর কারো নেই
সমস্যাটা খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন সমস্যা আর কারো না হয়।
আবু খায়ের আনিছ
ভাইয়া, পোষ্ট আর মন্তব্য সবই দেখলাম। মন্তব্যকারীরা সবই বলে দিয়েছে আমার কথা। আমি ভাবছি এনাদের পূর্ব পুরুষেরা কি রাজা ছিলেন নাকি অন্য কিছু? ইনকাম সোর্সটা কি? 32 বছর মুখে বললেই ত আর শেষ হয়ে যায় না। তাছাড়া পরবতী জীবন নিয়ে মনে হয় না কিছু ভাবেন এরা।
একটা কবিতার একটা লাইন এর কথা মনে পড়ছে।
তোমার দেখি জীবন খানা ষোল আনাই
মিছে।”
জিসান শা ইকরাম
বেশ ভালো বেতনের চাকুরী করেন পুরুষ অধিকর্তা
অবসরের টাকা দিয়ে পরবর্তী জীবন বেশ ভালোভাবেই কাটিয়ে দিতে পারবেন এনারা।
আমাদের কাছে যা জীবন, তা ওনাদের কাছে বিরক্তিকর জঞ্জাল সম।
ভালো থাকুক তাঁরা।
আবু খায়ের আনিছ
ভালো থাকুক, আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে উনারা উনাদের মত জীবনকে উপভোগ করছেন এটাই বা কয়জন পারে। শুভ কামনা উনাদের জন্য।
জিসান শা ইকরাম
আপনার জন্যও শুভ কামনা।
ইমন
আমার কিন্তু ভাল লাগে বোহেমিয়ান জীবন যাপনটা।
জিসান শা ইকরাম
আমার খারাপ লাগে না।
শুভ্র রফিক
সেদিন এক পত্রিকায় দেখলাম এদেশের মেয়েদের জীবনের বেশির ভাগ সময়টা নষ্ট হয় রান্না ঘরে।তার থেকে পরিত্রান পেতেই হয়ত নব দম্পতি অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন।দারুন লেগেছে
জিসান শা ইকরাম
তারা এতগুলো বছর এভাবে আছেন
নিশ্চয়ই তাদের কাছে এর শক্ত যুক্তি আছে
নতুবা এভাবে থাকতে পারতেন না।
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
এক কক্ষেই জীবন! কি করে? আসলেই বিচিত্র
জিসান শা ইকরাম
প্রতিবার ঢাকায় যাই, আর দেখি এদের।
ভালোই আছে এনারা।