লিখতে পারছিনা কিছুই বেশ কিছুদিন যাবত। কি লিখবো, কিভাবে লিখবো, কতটুকু লিখব বা লিখব না, শুরুটা কিভাবে করব এবং শেষ কী! এসব ভাবতে ভাবতেই চলে যায় সময়। লেখারা থমকে দাঁড়িয়ে আছে যে একটি বিশাল আবেগের সমুদ্রকে সামনে নিয়ে। আমি ও.হেনরী নই। তিনি হলে কত আগেই লিখে ফেলতেন নতুন এক ডেলা আর জিমের উপাখ্যান। সৃষ্টি হতো আর একটি কালজয়ী গল্প দি গিফট অব দি মেজাই-২।
** জিসান অনেক অনেক দিনের ইচ্ছে একটি ভালো মোবাইল গিফট করি তোমাকে, তুমি তো জানো গত কয়েকবছর আমার জব নেই। আমার খুব খারাপ লাগে, আমার ইচ্ছেটা পূরন করতে পারছি না।
* আরে না, মোবাইল গিফট করতে হবেনা, আমার তো মোবাইল আছেই। এই যে বলেছ এতেই মহাখুশি। তোমার গিফট পেয়ে গেছি।
**আমি মোবাইল গিফট করব, করবই একটি। জব পেলে প্রথম মাসের আয় এর অর্থ থেকেই তোমার জন্য মোবাইল কিনবো।
* আচ্ছা আগে জব পেয়ে নাও, তারপর দেখা যাবে।
এরপর ঘড়ির কাঁটা ১২ টা ছুঁয়েছে কয়েকশত বার, ক্যালেন্ডার পাল্টেছে কয়েকবার। কিন্তু তাঁর ইচ্ছে একটুও পাল্টে যায়নি। কিছু ইচ্ছে না পাল্টানোতেই রয়ে যায়। কিছু ইচ্ছে মিশে যায় ভালোবাসার রঙে। যে রঙ মানুষকে বাঁচতে প্রেরণা যোগায়।
** জিসান তোমার জন্মদিন এগিয়ে আসছে। কিছু একটা গিফট করতে চাই।
* শুভেচ্ছা দিও, তাতেই চলবে।
** না, শুধু শুভেচ্ছায় চলবে না। কী দেবো ভাবছি।
*ভাবাভাবির কিছু নেই। কিছু দিতে হবেনা।
**আমার কাছে কিছু ডলার আছে 🙂 আচ্ছা এক ডলারে কতো টাকা? একশত ডলারে কতো? ২০০ ডলারে কতো? ………… 🙂
* এই কি হচ্ছে এসব?
** কিছু হচ্ছে না 🙂 আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি তোমাকে মানি গ্রামে। প্লিজ না করো না।
* এমন করো না। কিছু ডলার থাকা উচিৎ তোমার কাছে। দরকার হতে পারে যে কোন সময়।
** ডলার তো আমার আছে আরো ব্যংকে। কিন্তু এগুলো আমার নিজের কাছে জমানো ডলার।
* না পাঠিও না। তুমি জব পাও এরপর দিও না হয়।
** জিসান, এক সেন্ট দুই সেন্ট এক ডলার দুই ডলার করে এসব দীর্ঘ দিনে জমিয়েছি। ধীরে ধীরে জমানো ডলার দিয়ে তোমাকে একটি গিফট দিচ্ছি, এ যে কত আনন্দের তা কি তুমি বুঝতে পারছো?
* তা পারছি, তবে যখন তুমি এই ডলার জমানো আরম্ভ করলে তখন কি আমার কথা ভেবে জমানো শুরু করেছিলে?
** না, তা করিনি। কিন্তু তাতে কি?এখন ভাবছি কষ্ট করে এই জমানো অর্থ দিয়ে তোমাকে গিফট কিনে দেয়া যায়। আমাকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করো না প্লিজ।
এরপরে আর না বলা যায় না। পরদিন ভোরে তিনি একনাগারে দেড় ঘন্টা হেঁটে মানিগ্রাম অফিসে গিয়ে ডলার পাঠালেন। অনভ্যাসে পা ব্যাথা করে এসে আমাকে জানালেন ডলার পাঠিয়ে এই বাসায় ফিরলেন। কত আনন্দ তাঁর। কত খুশি নিয়ে তিনি জানাচ্ছেন পা ব্যথা করছে অবশ্য। এই আনন্দের নাম কি? এই খুশিরই বা নাম কি?
তাঁর পাঠানো টাকায় কেনা এই গিফট। ব্যবহার করছি মনের আনন্দে 🙂
কিভাবে আমি আমার মনের খুশিকে প্রকাশ করবো? তোমাকে ভালোবাসি এটি বললেও যে কম বলা হয়। তুমি তো জানো কলম হতে শুরু করে ল্যাপটপ পর্যন্ত গিফট আমি পেয়েছি। এত আনন্দ এত খুশি আমি হইনি কোনদিন। এর মাঝে আছে একজনের শতশত দিনের সঞ্চিত ধন। হাতেই থাকে অধিকাংশ সময় এই মোবাইল, মনে হয় হাত স্পর্শ করে আছি তোমার। যে কারো সাথে কথা বলার সময় মনে হয়, মোবাইলের মাঝে থাকা তুমি ফিসফিস করে বলছো ‘কি করো? কার সাথে কথা বলো?’ যেন প্রতি মুহূর্তে স্ক্যান করছে এই মোবাইল আমাকে, আমার হৃদয়কে, আমার চিন্তাকে।
ধন্যবাদ, ভালোবাসা দেয়া খুবই অল্প আর ফরমাল হয়ে যায় রে। আবেগ প্রকাশে আমার অক্ষমতা জানো তুই।
বুঝে নে আমার মাঝের তোলপাড়কে।
৬৭টি মন্তব্য
ভোরের শিশির
হুউম ;? (চেনার চেষ্টা করছি)
হুউউম ;? (ভাবছি আমার এমন কেউ আত্মীয় থাকলে ভাল হইতো) :p
আসলে ভালবাসাটাই হচ্ছে মূল। কাছে কিংবা দূরে, ডলারে কিংবা গিফটে নয় বরং ভালবাসা প্রকাশের ইচ্ছেতেই প্রকাশ হয় কে কতটুকু আপন 😀
উনাকে এবং আপনাকে-দুজনকেই শুভেচ্ছা -{@
জিসান শা ইকরাম
হুউম, ভালবাসাটাই হচ্ছে মূল। কাছে কিংবা দূরে, ডলারে কিংবা গিফটে নয় বরং ভালবাসা প্রকাশের ইচ্ছেতেই প্রকাশ হয় কে কতটুকু আপন (y)
চেনার চেষ্টা করা ভালো, ইহা একটি চেনা, জানা,ভাবিত হওয়া এবং গিফট বিষয়ক রচনা 🙂
শুভেচ্ছে নিলাম,তারেও দিলাম
ভোরের শিশিরকেও আন্তরিক শুভেচ্ছা -{@
ভোরের শিশির
আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ আমার চেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানানোয় ^_^ -{@
জিসান শা ইকরাম
এখন ধন্যবাদ জানানো পর্ব চলিতেছে 🙂 -{@
ছাইরাছ হেলাল
ঠায় ঠিকানা জানলে আমিও না হয় একখানা ভাঙ্গাচোরা মুপাইল চাইতাম।
চাকরী পাওয়ার পর হলেও চইলত।
খুপ ই রিস্কি তুই-তোকারি,
শুন্য শুন্যালয়
আমারোতো একটা দরকার। চাইলে আমারে দেবেনা? আচ্ছা চাকরী পাওয়ার পর চামুনে। কিন্তু হেয় কেডা? ;?
জিসান শা ইকরাম
না চাইলে দেয়,চাইলে দেয় না, দেখেন না আমি চাই নাই
লেখা পইড়্যাও শিখলেন না কিভাবে গিফট পাওয়া যায় ?
হের নাম কওন যাইত না 🙂
#শুন্য
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সিরিয়াল কিন্তু আমার পরে, তবে এখন একটু এগিয়ে জব না পাইলেও
পাওয়া যায় এমন সিরিয়ালেও লাইনে আমিই পরথম, মনে রাইখ্যেন।
তয় মুনে লয় আপ্নে ও তারে চিন্না ফালাইছেন, আমি কিন্তু চিন্তারিনাই।
জিসান শা ইকরাম
গিফটো চাইলে হপে না,আমি কি চাইছি নাকি?
চাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করায় গিফট বাতিল হইয়া গেছে গা 🙂
হুম,খুবই রিস্কি ^:^
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমি কিন্তুক চাই নাই। তবে আশা করতে দোষ কি?
সবুরে মেওয়া ফলে।
হে হে হে! না চাওয়ায় মনে লয় চাওইন্না ভাইবোনরে পিছনে ফালাইয়া আমিই আগে দাঁড়াইয়া গেছি।
:p
জিসান শা ইকরাম
না চাওয়ায় চাওইন্না ভাইবোনরে পিছনে ফালাইয়া আপ্নিই আগে দাঁড়িয়েছেন 🙂
সবুরে মেওয়া ফলে 😀
শুন্য শুন্যালয়
জিসান ভাউ, যেই-ই দিক না কেন উপহারটা, নিঃসন্দেহে আপনার অনেক কাছের আর প্রিয় মানুষ, কিন্তু কথা হইলো, আপনার কপাল খানা বেশ, হিংসিত আমি। আমারে কেউ এমুন দেয়না ;(
উপহার পেয়ে লেখা থমকে যাওয়া প্রমান করছে আপনার ভেতরের উচ্ছ্বাস, আনন্দ। ভোরের শিশিরের মতই বলতে চাই, উপহার দেয়াটা আসল নয়, ইচ্ছেটা বড়। আপনার আর সেই আপনার অজানা বিদেশী বন্ধুটির জন্য শুভেচ্ছা রইলো।
আসলে এমন লেখায় মন্তব্য করা মুশকিল। আবেগ প্রকাশে আপনি অক্ষম মনে হচ্ছেনা আমার, লেখা তখনই থমকে যায়, যখন লেখারা আবেগের কাছে পরাস্ত হয়।
মোবাইল দেয়া কিন্তু আমার কাছে এক সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র মনে হচ্ছে, মোবাইলে স্পাই সেনসর লাগানো আছে কিনা চেক করুন। 😀
ভোরের শিশির
;?
শুন্য শুন্যালয়
;?
ভোরের শিশির
আমি ভাবতাসি চিন্তাসি মুনয়, আবার ভাবতাসি চিন্তাসিনা মুনয়। এই ভাবাভাবিতে চিন্তাইতাসি সবার যেন এমন হয় :p
শুন্য শুন্যালয়
কিতা কস তুই? সক্কাল বেলা মাথা আধা আউলাইয়া দিছোস, বাঁকি আধা জিসান ভাই আগেই দিছে ^:^ আমিও চিন্তাইতাছি। ভাবতাছি আমি যা ভাবতেছি তুইও তাই ভাবতাছোস।
ভোরের শিশির
আমি কি ভাবি তা কি তুমিও ভাবো, আমি যা ভাবি তা তুমিও ভাবো!!!!!! :D)
শুন্য শুন্যালয়
I spy with my little eyes, something beginning with…
ছেলের সাথে খেলি এখন, আমি যা দেখি তুমি তা দেখো? 😀
ভোরের শিশির
I spy with my own eyes, what I’m missing…
আমি স্পায়িং করছিঃ
১। মোবাইলের দোকানে যে টাকা দিয়ে এই মোবাইল কেনা হয়েছিল সেই টাকা কোন মানি এক্সচেঞ্জ থেকে এসছে এবং সেই মানি এক্সচেঞ্জার কোন সেই ডলারের বিনিময়ে টাকা দিয়েছে, সেই ডোলারের ফিঙ্গার প্রিন্ট চেক করে বের করতে চাই কে তিনি! ;?
২। মোবাইলের দোকানে যে টাকা দিয়ে এই মোবাইল কেনা হয়েছিল সেই টাকা কোন ব্যাংক থেকে এসছে এবং সেই ব্যাঙ্কে কোন একাউন্টের টাকা দিয়েছে, সেই একাউন্ট বের করা গেলে তখন সেই একাউন্টে বিদেশ থেকে কে টাকা পাঠিয়েছে!! ;? ;?
আমি কি যা ভাবছি তুমিও কি তা ভাবছো! আমি কি যা স্পায়িং করছি তুমি কি সেইখানেই আছো!!!!! :p
শুন্য শুন্যালয়
হা হা হা, এত্তো স্পাই কইরা কি ফায়দা দাদাভাই? তোরে আমারে কি সেই তিনি মোবাইলে কিনে দেপে? ইহার জন্য কপাল লাগে বুঝছোস। তয় আমিও তোর মতই ভাবতাছি। তাজরে মিস করতাছি, ও আইলে কূলকিনারা হইতো।
ভোরের শিশির
তাজাপু 🙁 🙁 ;(
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ, যিনি দিয়েছেন তিনি আমার অনেক কাছের আর প্রিয় মানুষ অবশ্যই।
হিংসা করা ভালো না,আপনিও এমন আন্তরিক গিফট পেয়ে যেতে পারেন,গিফট দেয়া শুরু হইয়া গেছে 🙂
আসলে তাঁর আন্তরিকতা আর ইচ্ছে আমার কাছে এত বেশি প্রাধান্য পেয়েছে যে,তা আমি লেখার মাঝে নিয়ে আসতে পারলাম না।
কোন কিছুতেই তাঁর এই আন্তরিকতাকে আমি প্রকাশ করতে পারছিনা,আমার আবেগকেও। শুভেচ্ছা আপনাকে -{@
মোবাইলে সেন্সর লাগানো আছে মনে হয়।কথা বলতে গেলেই মোবাইলের মাঝে তাঁর কণ্ঠের ফিসফাস শুনতে পাই।
শুভ কামনা শুন্য শুন্যালয়।
রিমি রুম্মান
কিছু পাওয়া আসলে মূল্য দিয়ে বিচার করা যায় না। কেবলই অনুভব করা যায় । থম্কে থাকা বিস্ময়গুলো বরাবরই আবেগ প্রকাশে অক্ষম থাকে।
ভাল থাকুন, হাসিখুশি থাকুন সবসময়।
শুভকামনা। -{@
জিসান শা ইকরাম
”গিফট পাওয়া মূল্য দিয়ে বিচার করা যায় না। কেবলই অনুভব করা যায় । থম্কে থাকা বিস্ময় গুলো বরাবরই আবেগ প্রকাশে অক্ষম থাকে।” — এই যে কত সহজে আপনি আমার কথা বলে দিলেন। আমি আপনার মত লিখতে পারলে কত সুন্দর একটি পোষ্ট হতো এটি।
প্রবাসে সারাক্ষন ভালো থাকুন
শুভ কামনা -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা এমন ভাগ্য আমার নাই ক্যান? ;(
জন্মদিনে আমারে তুমি কি দেও, আর নিজে কি পাও। একটু বড়ো মানের দাতা হওয়া শিখো। পুরান সেট একটা হ্যাং হইতে হইতে এই সেদিন কিনলাম স্যামসাং গ্যালাক্সি। তুমি জানতা আমার সেটের অবস্থা ভালো না। তাও একবার কইলা না ও নাত্নী আমি পাঠাইতাসি।
কঞ্জুস বুইড়া। শোনো শিখো যে তোমারে জমানো টাকায় এমন কইরা মোবাইল সেট পাঠাইসে।
যাউক আমার হিংসা হইতাসে। ^:^
তয় আমি মনে হয় উহারে জানি-চিনি। ;? :p 😀
“আমি চিনি গো চিনি তোমারে…” \|/
জিসান শা ইকরাম
আমি কি চাইছি নাকি তাঁর কাছে?
গিফট কি চাওয়ার জিনিস?
আমি তো এমনি এমনি পাইছি
গিফট পাইতে হইলে চাওয়া যাবে না, এই পোষ্ট এ এটিও একটি শিক্ষা 🙂
হিংসা করা ভালো না
অহিংসা পরম ধর্ম
কি জানি,মনে হয় না চিনতে পেরেছো
কে দিলো তা এই লেখার বিষয়বস্তু না, কিভাবে দিলো এবং গিফট পাবার পরে আমার মনের খুশি বিষয় বস্তু।
প্রবাসে ভালো থেকো সারাক্ষন
শুভ কামনা -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
চেয়েছো কিনা কে জানে! আজকাল গিফট চাওয়ার জিনিস। আমার সামনের জন্মদিনে কি দিবা সেইটা ভাইব্যা রাখো নানা। নাইলে মাথার চুল…থাউক কইলাম না।
হিংসা হইলে কি করমু? হিংসা বন্ধ করতে চাইলে ভালো গিফটো দিতে হইবো।
হ্যাপি নিউ ইয়ার বুইড়া নানা। -{@
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা জন্মদিন আসুক
গিফট দেয়া যাবে,গিফট দেয়াতেই আনন্দ বেশি 🙂
নববর্ষের শুভেচ্ছা -{@
মোঃ মজিবর রহমান
ভালবাসা প্রকাশ কিভাবে জানিনা ভাই, তবে জানান একটি গুন ভা ইচ্ছা তা ও ঠিক।
সবাই চেইয়ে নিল আমরা কি চাইব বুঝিনা ভাই।
দোয়া কইরেন আমাগ লাইগা।
আবার শুভেচ্ছা পুরনো!
জিসান শা ইকরাম
অবশ্যই দোয়া করি মজিবর ভাই
না চাহিলেই তো পাওয়া যায়
শুভ কামনা রাশি রাশি -{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এই খুশিরই বা নাম কি?
যা ভাষায় নয় অনুভবে বুঝতে হয় এ এক স্বর্গীয় টান।
ভাল থাকুক আপনার প্রিয় মানুষটি শুভেচ্ছা নব বর্ষের -{@
জিসান শা ইকরাম
এই খুশির আসলে কোন নাম নেই
আবেগ প্রকাশ যখন স্তব্দ হয়ে যায়,তখন বুঝতে হবে এটি অবশ্যই স্বর্গীয় টান।
ধন্যবাদ, আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা -{@
তানজির খান
তোলপাড় ভাল লাগলো। ভালবাসা বেঁচে থাকুক।উপহার তো দেখা যায় কিন্তু যা দেখা যায় না সেইটার মূল্যায়ন করবেন ভাই।তার সেই অনুভূতির প্রতি রইল শ্রদ্ধা। দুই জনকেই আগামী বছরের শুভেচ্ছা রইল।
জিসান শা ইকরাম
উপহারটি এখানে মুখ্য নয়
বন্ধুর আবেগই মুখ্য।
ধন্যবাদ
আগত বছরের শুভেচ্ছা আপনাকেও -{@
অপার্থিব
একগুচ্ছ ভালবাসার অনুভূতির বস্তুগত স্মারক হচ্ছে উপহার, একারনেই অনেক সময় অতি ক্ষুদ্র উপহার মানুষের কাছে পরম আরাধ্য কোন মুল্যবান বস্তু হয়ে যায়। ভাল লেগেছে লেখাটি।
জিসান শা ইকরাম
আমার লেখার মূল সুরকে বুঝতে পেরে মন্তব্যের ধন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
লিখছেন না অনেক দিন
আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকি।
শুভ কামনা -{@
অপার্থিব
ছুটিতে কিছুদিন ঘোরাঘুরির মধ্যে ছিলাম । স্মরণে রাখার জন্য ধন্যবাদ।
নাসির সারওয়ার
এদেখি আবেগ আর অনুভূতির তোলপাড়। তা জিতলোটা কে? আমি আবেগকে এগিয়ে রাখলাম।
এইরকম টাচই ব্যাপার স্যাপার বোঝানো বেশ কঠিন বলেই জানি, তবে এটাতে আপনি ভালো ভাবেই গুলিয়ে খাওয়াতে পেরেছেন।
ইসস, আমার চুরি হওয়া মোবাইলটার কথা ভেবে কেউ যদি একটা উপহার দিতো!!!
জিসান শা ইকরাম
অবশ্যই আবেগ জিতেছে,জিতবেই।
আপনার মন্তব্যে উৎসাহিত হই 🙂
কেউ যে কেন চুরি যাওয়া মোবাইলের কথা বিবেচনায় আনলো না,তা একটি গবেষণার বিষয় হতে পারে।
শুভ কামনা -{@
নাসির সারওয়ার
আবেগ আছে বলেই তো অনুভূতিরা এমন ভাবে প্রকাশ পায়। আর এই কাজে আপনি বেশ পারদর্শী।
সব গবেষণার জন্যই একটা ফান্ড লাগে। আপনি যদি সে দিকের কথা কিছু বলতেন!!!
নতুন বছর জলের মতোই সহজ স্বচ্ছ ভাবেই চলতে থাকুক যা আপনার বিশেষ গুণ।
জিসান শা ইকরাম
একটা আবেগ ব্যংক বানালে কেমন হয়?
ঐ ব্যংকে সবাই আবেগ জমা রাখুম
কারো ঘাটতি হলে আবেগ লোন দেয়া হবে 🙂
হুম সব কিছুই জলবৎ তরলং হবে 🙂
চিন্তাইয়েন না 😀
নাসির সারওয়ার
সব চাইতে বেশি ধার আমি নিমু কইয়া রাখলাম আগে বাগে!
জিসান শা ইকরাম
অফেরতযোগ্য ধার হইলে রাজি আছি আমি 🙂
অনিকেত নন্দিনী
তিন তিনবার পড়ার পর মনে হলো কিছুটা বুঝেছি, পুরাটা বুঝি নাই। রবি ঠাকুরের ছোটগল্পের সংজ্ঞার মতো এই রহস্যের সমাধান শেষ হইয়াও হইল না শেষ। 🙁
বিদেশে আমার পরিচিত কত্তো লোক থাকে! তারা আবার চাকরিও করে, বেকার না। তারপরেও কেউ আমারে একখানা ভালা মুপাইল গিফট করে নাই। ;(
ও হেনরির অনবদ্য চরিত্র জিম আর ডেলার সাথে তুলনা করায় এইডা বুঝবার পারছি গিফট দেনেওয়ালী হৃদয়ের খুব নিকটেই অবস্থান করে। তা এই কাহিনী হেড আপিসে জানেতো? ;?
জিসান শা ইকরাম
কি বলতে চাই,এটি আমি আসলে কখনো বুঝিয়ে বলতে পারিনা
যে কারনে তিন বার আপনাকে পড়তে হয়েছে
এখন বুঝুন, কেমন লেখক আমি :p
বিদেশে আপনার পরিচিত সবাই চাকরী করেন বলেই মুপাইল গিফট নাই,মন খারাপ কইর্যেন না,সবুরে মেওয়া ফলে 🙂
হেড অফিস জানে মানে কি, সারাক্ষন সোনেলা খোলা থাকে চোখের সামনে 🙂 ভালো ভাবেই জানে।
শুভ কামনা -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ও নন্দিনী দি, হেডঅফিসের কথা জিগাইয়েন না; ভাইয়ের গলা শুকাইয়া যাইবো!
জিসান শা ইকরাম
কোন হেড অফিসের কথা বলছেন আপনি রুবা? ইনকাম ট্যাক্স অফিস না তো? গলা তো শুকাইয়া যাইবোই ঐ হেড অফিসের কথা শুনলে ^:^
মারজানা ফেরদৌস রুবা
^:^!!!!!!
ভয় পাইছে দাদায়! সত্যই গলা শুকাইয়া এইবার অন্যদিকে টার্ন নিবার চাইছে! 😀
জিসান শা ইকরাম
রুবা, এখানে কোন হেড অফিসের কথা বলা হচ্ছে বুঝতে পারছি না।
আমি কোনো দলও করিনা যে পার্টি হেড অফিস চিনবো 🙂
অনিকেত নন্দিনী
দল পাট্টি ছাড়াও হেড অফিস থাকে। এক্কেবারে মাথা গোঁজার আস্তানায় যে অফিস উহাই হেড অফিস। রোজ তিনবেলার খাবার থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা খুঁটিনাটির হিসাব যিনি রাখেন উনিই হেড অফিস। এইবার বোঝা গেছে? -:-
রুবাপু, এবারে ঠিক আছে? 😀
শুন্য শুন্যালয়
ইচ্ছেরা পাল্টায় না, ফিকে হয় কিছু, কিছু আরো আরো রঙিন। লেখাটিতে আবার মন্তব্য করতে এসেছি, আপনার কাছ থেকে আবেগ শিখবো বলে 🙂 কিভাবে লিখবেন, কোথায় শুরু করবেন বলে কিভাবে যেন শেষ করে ফেললেন, আমিই শেষ লাইনে এসে থমকে গিয়েছি। না বলতে পারার মত বলতে পারে কজন?
ভালো থাকবেন অনেক অনেক। কাল নতুন একটি দিন, নতুন একটি বছর। ২০১৫ কে ফিরে দেখায় জমানো অনেক কিছু খুঁজে পেলাম। সাথে নিয়েই চলা শুরু হোক। স্বাগতম ২০১৬। শুভ নববর্ষ ভাইয়া। -{@
জিসান শা ইকরাম
সুন্দর ইচ্ছেরা দিনে দিনে আরো প্রবল এবং রঙিন হয়
তাঁর যে ইচ্ছে এবং সঞ্চিত অর্থ শেষ করে গিফট করা, এটিই আমার লেখার প্রধান বিষয়
এই আবেগ এবং তাঁর ইচ্ছেতে আমার মুগ্ধতা, তা কোনোক্রমেই লেখায় প্রকাশ করা সম্ভব না আমার পক্ষে
সবচেয়ে ভালো হতো……… লেখা শুন্য একটি পোষ্ট দেয়া,এতেই আবেগ প্রকাশ টা ঠিক ভাবে আসতো
থমকে যাওয়া,অপ্রকাশিত আবেগকে শুন্য পাতায় বুঝা যেত বেশি করে 🙂
২০১৫ এর শেষ দিনে আপনাকে পাবো সোনেলায় ভাবিনি।
আগত ২০১৬ সনে ভালো থাকবেন বেশি বেশি করে
আগাম শুভ নববর্ষ -{@
শুন্য শুন্যালয়
শুন্য পাতায় পোস্ট, বাহ্ বেশ একটা আইডিয়া দিলেন কিন্তু। মডুরা বহুত কাঠখোট্টা হয়, কেমন জানি মডু মডু ইটের মত কঠিন লাগে, তাই ভাবতাছি আবেগ বুঝবো কিনা, দেখা গেলো পোস্ট মুইচ্ছা দিল 🙁
জিসান শা ইকরাম
আপনি তো মডুদের চেনেন,পঞ্চাশটি লেখার সব তথ্য দিলো আপনাকে, আমাকে তো দেয়না
মডুদের কাছের লোকই হবেন আপনি
আমি তো মডুই চিনলাম না
আপনি পোষ্ট দিলে মডুরা মুছে দিবে এমন মনে হয়না,
শুন্য পাতায় পোষ্ট আশা করতেই পারি আপনার কাছে -{@
অরুনি মায়া
শিষ্য ভাইয়া আপনার ভাগ্য কতটা ভাল তা হয়ত আপনার ধারণাও নেই | স্বার্থপর এই দুনিয়ায় এমন নিস্বার্থ বন্ধু খুঁজে পাওয়া দায় | যত্ন নিন সেই শুভাকাঙ্ক্ষীর 🙂
জিসান শা ইকরাম
সর্বাত্মক যত্ন নিচ্ছি সেই শুভাকাঙ্ক্ষীর
নিজেকে আসলেই অনেক ভাগ্যবান মনে করছি
শুভ কামনা আপনার জন্য -{@
অঃকঃ
আপনার মন্তব্যের জবাব বিলম্বে দিলাম বলে দুঃখিত
আসলে কিভাবে যে আপনার মন্তব্যটি দৃষ্টি এরিয়ে গেলো বুঝলাম না।
ব্লগার সজীব
দেয়ার মধ্যেও যে কত আনন্দ থাকতে পারে,আপনার এই পোষ্ট তার প্রমাণ।আমি এখানে মোবাইলটিকে বড় করে দেখছিনা,দেখছি একটি সুন্দর ইচ্ছেকে।এমন ইচ্ছেকে শ্রদ্ধা জানাই।আপনাকে আর আপনার বিদেশী বন্ধুকে শুভেচ্ছা -{@ আর দুজনকে নববর্ষের শুভেচ্ছাও জানালাম -{@ -{@
জিসান শা ইকরাম
একমত আপনার সাথে
গিফট দেয়ার মাঝের আনন্দটাকেই লেখায় প্রাধান্য দেয়া হয়েছে………
ধন্যবাদ আপনাকে।
নববর্ষের শুভেচ্ছা -{@
ইমন
জিসান ভাইয়া
আমার ফোনটা অনন্তকাল ধরে নষ্ট ;( হয় আপনি গিফট দিবেন নয় উনি \|/ \|/ \|/
জিসান শা ইকরাম
ব্লগার সজীব জীবনেও নষ্ট হবেনা এমন ফোন নিয়ে এসেছে সোনেলায় 🙂
চিন্তা শেষ 😀
ইমন
;( ;( ;(
পারভীন সুলতানা
হ্যা বলতে আপত্তি নেই, এমন একজন যাকে আমি আজতক দেখিনি । বলা যায় চিনি না । আমার খুব দুঃসময় চলছিল । লেখালেখি প্রায় বন্ধ, ল্যাপটপ নষ্ট । কষ্টের পয়সা দিয়ে একটা Probook Hp কিনে পাঠালেন সুদুর কানাডা থেকে । কি বলা যায় তাকে ? নাহ , কিছুই বলিনি, বলতে পারিনি। চোখ বুজে একাকী তাকে অনুভব করেছি । থাকুক , সে দুরেই থাকুক ……………শ্রদ্ধাস্পদ হয়ে।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা আপা, এমন দু একজন থাকেন আমাদের চেনা জানা ভুবনে
যাদের কথা ভাবলেই মন ভালো হয় যায়
আপনার অদেখা স্বজনের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ইলিয়াস মাসুদ
কখনো কখনো দেওয়ার আনন্দ পাওয়ার আনন্দকেও ছাড়িয়ে যায় ………..
জিসান শা ইকরাম
ঠিক বলেছেন আপনি,
আমি এখানে দেয়ার আনন্দকেই প্রাধান্য দিয়েছি।
শুভ মালাকার
***দেওয়া, পাওয়া অপেক্ষা অধিক আনন্দের। আর আবেগের সর্বচ্ছ স্থর উপলব্ধি হয় দেওয়ার মাধ্যমে-ই।
পাওয়া আর দেওয়া ওগুলো আসলে কিছুই না হৃদয়ের গভীর থেকে ভালবাসা উপলব্ধি আপন জনকে স্বরনে রাখার মাধ্যমে। যার মাধ্যমে সর্বচ্ছ সুখ আর আনন্দ পাওয়া যায়।
উভয়ের প্রতি শুভেচ্ছা রইল -{@
জিসান শা ইকরাম
‘পাওয়া আর দেওয়া ওগুলো আসলে কিছুই না হৃদয়ের গভীর থেকে ভালবাসা উপলব্ধি আপন জনকে স্বরনে রাখার মাধ্যমে” – বাহ ভালো বলেছেন তো 🙂
শুভ কামনা।