পৃথিবীর সর্বশেষ মানুষটি একা একটি ঘরে বসে আছে
তখুনি দরজায় টোকা পড়ল…………
উপরের দুই লাইনই হচ্ছে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম গল্প।
গল্পের নামঃ নক
লেখকের নামঃ ফ্রেডরিক ব্রাউন।
আমেরিকান ডাইজেষ্টে প্রকাশিত লেখকের গল্পটি দেখুন এখানে ক্লিক করে
Knock by Fredric Brown [A compete short story in two sentences.]
গল্পটির লেখক ফ্রেডরিক ব্রাউন আর ব্রাউন গল্পের ধারণা নেন টমাস বেইলি অলড্রিচ নামের এক লেখকের এক বর্ণনা থেকে:
টমাস বেইলি অলড্রিস এর লেখাটি পড়ুনঃ
‘কল্পনা করুন পৃথিবীর বুক থেকে সব মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, শুধু একজন মানুষ ছাড়া। চিন্তা করুন এই মানুষটিকে হাহাকার জনশূন্য কোনো শহরে, সেটা হতে পারে নিউইর্য়ক কিংবা লন্ডন। কল্পনা করুন তার নিঃসঙ্গ জীবনের তৃতীয় কিংবা চতুর্থ দিনে সে একলা বসে একটা বাড়িতে, আর তখুনি শুনল দরজার কলিং-বেল বাজছে!
নক গল্পটির একটি ভিডিও দেখুন এখানে ক্লিক করে
এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে এখানে পড়ুন
কত রক্ত হীম করা ভয়াবহ অবস্থা ভাবুন একবার।বিশ্বে শেষ পর্যন্ত জীবিত আছেন আপনি।দরজা বন্ধ করে অপেক্ষা করছেন। এমনি সময়ে দরজায় ঠক ঠক শব্দ।চিন্তা করতে গিয়ে আমার গায়ের পশম দারিয়ে গেলো।
উৎসর্গঃ
শুন্য শুন্যালয় আপুকে,যিনি আজ সোনেলায় তার ক্ষুদ্রতম লেখাটি ( কুঠুরি ) প্রকাশ করলেন।আমরা আশা করতেই পারি যে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম গল্পটি আমাদের আপুই লিখে ফেলতে পারবেন ভবিষ্যতের কোন একদিন।
৫১টি মন্তব্য
খেয়ালী মেয়ে
একা থাকাটা অনেক কষ্টের, যন্ত্রনাময়…..
পুরো পৃথিবীতে শুধু একজন মানুষ..তার উপর আবার দরজায় নক, ভাবতেই ভয় লাগছে…
ভিডিওটা দেখলাম…পড়ার লিংকগুলো যদি বাংলা হতো কত্তো ভালো হতো….
উৎসর্গটা দারুন হয়েছে…শুন্য আপুই পারেন অনেক কিছু (3
লীলাবতী আপুকে দিয়েও কিন্তু ইতিহাস গড়া সম্ভব…
লীলাবতী
একা একজন সর্বশেষ মানুষ,এরপরে দরজায় নক।ভাবতেই কেমন লাগে 🙁 লীলাবতীকে দিয়ে কিছুই হবে না 🙁 তার কোন গুনই নেই 🙁
খেয়ালী মেয়ে
লীলাবতী আপু সত্যি একটা বেগুন…..
রমজান মাসে যার দাম হবে দ্বিগুন…..
নীতেশ বড়ুয়া
বেগুনে আছে বেগুনী গুণ,
লীলা’পু সত্যিই দারুণ!
লীলাবতী
আমাকে নিয়ে পদ্য ! উদাস হয়ে গেলাম ভাইয়া :c
নীতেশ বড়ুয়া
পদ্য নিয়ে উদাস হলে
ছন্দ হবে ব্রীড়া ভুলে
লীলা রবে উল্লাসে তবে 😛
খেয়ালী মেয়ে
লীলাবতী আপু আজ পর্যন্ত তুমি সোনেলার কয়জন মডুকে চিনতে পারছো?…
শুন্য শুন্যালয়
আমাদের পরী যে একজন মডুকে চিনে ফেলেছে এইটা আমি শিউর। 🙂
খেয়ালী মেয়ে
শুন্য আপু শুধু একজন না, আমি তিনজন মডুকে চিনে ফেলেছি–আর তারা তিনজনই আমার অনেক প্রিয় 🙂
লীলাবতী
আমি একজনকেও চিনি না।কে যে মডু তাই তো বুঝতে পারছি না।কেউ স্বীকার করেনা যে সে মডু।
খেয়ালী মেয়ে
থাক আপু তুমি আর কষ্ট করে চেনার চেষ্টা করো না…
শুন্য শুন্যালয়
আমিও চিনিনা, মডু দেখতে কেমন গো পরী?
খেয়ালী মেয়ে
কমু না, আমি একলাই মডুদেরকে চিনবো/দেখবো 🙂
লীলাবতী
মডু চেনার পদ্ধতিও আমি জানিনা,আমার কোন গুন নেই,আমি বেগুন 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
আমি তো জানি লীলা’পু নিজেই মডু :@
লীলাবতী
নিতেশ ভাইয়া,মডুদের গোফ থাকে,আমার তো গোফ নেই 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
য়াপনার ব্রীড়া আছে তাই 😀 :p
লীলাবতী
:D)
নীতেশ বড়ুয়া
\|/
অরণ্য
সিম্পলি গ্রেট!
লীলাবতী
ধন্যবাদ অরণ্য ভাইয়া।
ব্লগার সজীব
পড়লাম বিশ্বের ক্ষুদ্রতম গল্প।গল্পে কেমন এক আতঙ্ক অনুভব করলাম।এই দুই লাইন থেকে তো বিশাল উপন্যাস লেখা সম্ভব।ধন্যবাদ লীলাদি।
লীলাবতী
হ্যা,সজীব ভাইয়া।
মেহেরী তাজ
আমি পড়েছি কিন্তু কল্পনা করতে নারাজ। আমার কত্ত কত্ত কে আছে। এই ব্লগের ব্লগার, লুকিয়ে থাকা মডু, পাঠক। তারচেয়ে বড় কথা এই গল্পটা শেয়ার করা লীলাবতী আপু, আর যাকে উৎসর্গ করা হয়ছে মানে শুন্য আপু। সবাই কে ছেড়ে আমি কোন ভাবেই একা হতে চাই না।
মূলকথা আমার পড়তেই ভয় লাগছে কল্পনা করলে না জানি কি হবে……..!!!
লীলাবতী
দুই লাইনে এর চেয়ে ভয়ংকর লেখা আমি আর পড়িনি তাজ।
শুন্য শুন্যালয়
:)লীলাবতী দি শুধু আমাকে দেবার জন্যই এটা খুঁজে বের করেছেন মনে হচ্ছে। হাও কিউট (3
লেখাটা পড়ে সত্যিই হিম হয়ে যাচ্ছে শরীর। ভিডিও টা লেখার মত এতো সুন্দর করেনি। ভাবনাটা আরো অনেক ভয়ংকর। সত্যিই ভাবুন তো এই পুরো পৃথিবীতে একমাত্র আপনি একা। কে কিংবা কি হতে পারে নক কারী?
কোথা থেকে খুঁজে বের করলেন অসামান্য গল্পটি? অনুবাদকারী হিসাবেও দেখি আপনার গুনের শেষ নাই।
“চিন্তা করুন এই মানুষটিকে হাহাকার জনশূন্য কোনো শহরে” হাহাকার শব্দটার পারফেক্ট ব্যবহার।
শুন্য শুন্যালয় কে দিয়ে না হলেও, লীলাবতী দি কে দিয়ে কিছু একটা করে ফেলা অবশ্যই সম্ভব।
লীলাবতী
জি আপু, এটি আপনার জন্যই খুঁজে আনা হয়েছে 🙂 আপনার পোষ্ট দেখেই ভাবলাম সবচেয়ে ছোট গল্প কোনটা? 🙂
<3
শুন্য শুন্যালয়
আমিও সবাইকে ছেড়ে কখনই একা হতে চাইনা।
অপদার্থের আরেকটি ক্ষুদ্রতম লেখা, কুঠুরীর চাইতেও ক্ষুদ্রতম 🙂
https://sonelablog.com/archives/4602
লীলাবতী
আপনি পারবেন আপু,আগেই বলেছিলাম 🙂 (3
আশা জাগানিয়া
এমন ভয়ংকর গল্পটি আপনি পেলেন কোথায়?হিম শীতল হয়ে গেলাম আপু।
লীলাবতী
নেটে খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে গেলাম আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
গল্প পড়ে আমি সত্যিই হতবাক…,আপনি এমন এমন সব বিষয় আনেন যে বিস্মিত হই।
লীলাবতী
ধন্যবাদ আপু।ভাল থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
টাসকিত হলাম
এই মুহুর্তে রমে আমি একা,কল্পনা করতে কেমন এক গা ছমছমে অনুভুতি এলো।
লীলাবতী
এটিই কি কেয়ামতের সেই দিন ভাইয়া?
মিথুন
ভয় লাগছে তো ভাবতে। কি ভয়াবহ গল্প খুঁজে নিয়ে এলেন আপু। যে লিখেছে সে আরো ভয়াবহ। দারুন পোস্ট।উৎসর্গ যথার্থ হয়েছে। আপনি নিজেও কিছু একটা করে ফেলবেন একদিন এই বিশ্বাস আছে……
লীলাবতী
আমি যে কি করবো না, তাই ভাবি আমি 😛
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সব ঠিক আছে তবে এমন খেতাবি নিতে জন্মাতে হবে পশ্চিমায় জন্মাতে হবে।
লীলাবতী
প্রচারযন্ত্র যে তাঁদের দখলে।
জিসান শা ইকরাম
দীর্ঘ অপেক্ষার পরে ট্রেন ছারলো,
কিন্তু ট্রেন মিস করলাম আমি।
এটা কেমন লাগে ?
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ সবাই আমার আর লীলাবতী দির নাম বলেছে, কিন্তু আপনাকে দিয়েও যে কিছু একটা করা সম্ভব, কেউই বললো না, আফসুস। ম্যালা ভালো হইছে ক্ষুদ্রতম গল্প। 🙂
জিসান শা ইকরাম
আপনিই কেবল বুঝলেন 🙂
ভাবছি নিজের একটি ক্ষুদ্র গল্প সমগ্র প্রকাশ করবো 🙂
লীলাবতী
জিসান ভাইয়া লিখে ফেলুন প্লিজ।শুন্য আপু তো ‘অল ইন ওয়ান’ 🙂
অলিভার
নতুন আরও একটা বিষয় জানা হল। তবে এই গল্পটাকে আমার অপূর্ণ গল্পই মনে হয়েছে (ব্যক্তিগত অভিমত)।
ধন্যবাদ 🙂
লীলাবতী
এটি সার্চ করে পেলাম এভাবে।এমন গল্পকে পাঠক এগিয়ে নেন।
আশা জাগানিয়া
লীলাদিদি নতুন পোষ্ট চাই।
লীলাবতী
নতুন পোষ্ট দেবো আপু।
রাসেল হাসান
ভয়াবহ! খুব ভালো লাগলো। প্রথমবার পড়লাম।
লীলাবতী
ভালো লাগাতে পেরে ভালো লাগলো।
অরুনি মায়া
আমি যদি সেই একা মানুষ টি হই তবে ভয় কিসের, দরজার ওপাশে নিশ্চয় কোন মানুষ নেই। আর মানুষ ই সব চেয়ে হিংস্র। আমি ভূত প্রেত জীব জন্তু ভয় পাইনা
লীলাবতী
পৃথিবীর সমস্ত মানুষ মারা গিয়েছে একজন একজন করে,এই লোকটি তা জানে,সর্বশেষ মানুষ সে। একা মানুষ নয়।