সব কিছু থাকা সত্ত্বেও একাকীত্ব অনুভব করা একটি
ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। যখন আমি নিজের ভিতর গুমরে
গুমরে কাদঁছি, মৃত্য যন্ত্রণা আমাকে কুরে কুরে
খাচ্ছে, তখনও আমাকে হাসিমুখে থাকতে হচ্ছে।
বলার অপেক্ষা থাকে না যে এটি একটি মিথ্যা ছাড়া
কিছুই না। প্রতিনিয়ত নিজের সাথে ছলনা করার জন্য
আমার জরিমানা হওয়া উচিত। একটি সুখের মুখোশ
পরে সুখী মানুষের মত অভিনয় করতে করতে
আজ আমি ক্লান্ত। আমি জানি, যে দিন আমি আমার
সত্যিকার অনুভূতি প্রকাশ করব, সে দিন আমি সবার
কাছে প্রত্যাখিত হব। কেউ আমার পাশে থাকবে না
আমার কষ্টের অংশ নিতে। আমাকে বলা হবে,
তোমারতো কষ্ট পাওয়ার কোন কারণ নেই!!!!
আমার কাছের মানুষ বুঝতে ব্যার্থ যে, আমাকে
হাসিখুশী থাকার অভিনয় করার জন্য কত কঠোর
পরিশ্রম করতে হয়। তারা কখনওই উপলব্ধি করতে
পারবে না, আমি প্রতিনিয়ত নিজের ক্ষতি করেই
চলেছি, এই মুখোশের জন্য। আমার সত্যিকারের
সব আবেগ চাপা পড়ে যাচ্ছে এই মিথ্যা আবেগ
রাখতে গিয়ে। এখন আমি আবেগহীন এক
ছেলে, যার কাজ আশেপাশের মানুষের প্রত্যাশা
পূরণ করা, তাদের ইচ্ছাকে পূর্ণতা দেওয়া। আমার সব
কিছু নির্ধারণ করেন তারা, আমাকে শুধু সেই পথ
ধরে এগুতে হয়। যে মুখোশটি আমি প্রতিদিন পড়ি,
‘সুখের মুখোশ’ সেটি ক্রমশ কঠিন থেকে
কঠিনতর হচ্ছে। এখন আমার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য ছটফট করি।
মুখোশটি যেন আমাকে ধীরে ধীরে
শ্বাসরোধ করে ফেলছে। আমি আর কোন
মতেই এটি বহন করতে পারছি না। আমি আমার মিথ্যার
মুখোশটি খুলে ফেলতে চাই। আমি আমার
সত্যিকারের অনুভূতি প্রকাশ করতে চাই। জানি, তখন
সবাই আমাকে ভিতু, কাপুরুষ হাজারও নামে ডাকা হবে,
আমার সত্যিকার আবেগের জন্য। আমি বুক ভরে
শ্বাস নিতে চাই। তোমরা কি সত্যিই আমাকে খারাপ
ভাবে মরতে দিতে চাও? আমাকে বাতাসে অভাব
থেকে শ্বাসরোধ করতে চাও? আমার চোখের
জল শুকিয়ে গেছে, তোমারা কি সত্যিই আমাকে
খুন করতে চাও? নাকি তোমারাই সঠিক, বেচেঁ থাকার
কোন অধিকার আমার নেই! নাকি তোমারাই তা ঠিক
করে দিবে? চিন্তা করছি, আমার বিধাতার কথা, আমার
বিষয়ে সে সবচেয়ে ভাল জানে, কিন্তু সে কি
বুঝে না?? আমি ইতিমধ্যে মরে গেছি। আমি চিৎকার
করে কেঁদেছি, ভিক্ষা চেয়েছি, প্রার্থনা করেছি
কিন্তু সে কিছুই শোনেনি। কখনওই শোনেনি।
ঘৃণায় শিউরে উঠেছি, বুক ফেটে কেঁদেছি, কিন্তু
বাইরে বহন করেছি সেই সুখী মুখোশ।
১৯টি মন্তব্য
লীলাবতী
লেখাটি কবিতার মত এমন কেন? লেখাটি আমি ফেইসবুকে পড়েছি আগে। আপনার নাম কি আবির রায়হান? অন্য একটি ব্লগেও এই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে। সোহান খুলনা কি আপনার ব্লগ? আপনার নিজের লেখা হলে খুবই ভালো। নিজের না হলে লেখকের নাম দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
অয়োময় অবান্তর
আমি অয়োময় অবান্তর। লেখাটি আমার নিজের। এই নামেই আমার ফেসবুক আইডি আছে। হুম, প্রথমে লেখাটি ফেসবুকে দেই। আপনার সমস্যা বলার জন্য ধন্যবাদ।
লীলাবতী
লেখাটি লিখছেন আবির রায়হান নামে একজন। আপনি কি আবির রায়হান?
আমার আবার কি সমস্যা বললাম? আমার তো কোনো সমস্যা নেই।
মেহেরী তাজ
প্রত্যেকটি লেখা লেখকের পরিশ্রমের ফল! সেই লেখাতে লেখকের নাম স্থান পাওয়া লেখকের অধিকার।
আমি লীলা আপুর সাথে সহমত।
অয়োময় অবান্তর
আমি আবির রায়হান নই। ধন্যবাদ
লীলাবতী
অয়োময় অবান্তর ভাইয়া, আপনার লেখাটিই পূর্বে প্রকাশিত লেখা। আপনার উচিৎ লেখাটি যে আবির রায়হান এর নয় তা লিখে ঐ গ্রুপে প্রতিবাদ করা।
লীলাবতী
লেখাটি এখানে দেখতে পাবেন। https://www.facebook.com/bd.story.of.anik/posts/634532473364751
মেহেরী তাজ
লিংক টা তো ১১ এপ্রিলের। আর আমাদের ব্লগে সেটা প্রকাশ করা হয়েছে ১৯ মে….. লিংকের জন্য ধন্যবাদ লীলা আপু!
অয়োময় অবান্তর
https://mobile.facebook.com/story.php?story_fbid=1704321329839098&id=100007837427047&refid=17&_ft_=top_level_post_id.1704321329839098%3Atl_objid.1704321329839098%3Athid.100007837427047%3A306061129499414%3A2%3A1451635200%3A1483257599%3A1188421917742812264&__tn__=%2As
লীলাবতী
তাজ, অয়োময় অবান্তর এর লেখাটাই পূর্বে প্রকাশিত লেখা। ওনার উচিৎ লেখাটি যে আবির রায়হান এর নয় তা লিখে প্রতিবাদ করা।
মেহেরী তাজ
হুম ঠিক অয়োময় ভাইয়ার উচিৎ এর প্রতিবাদ করা…
দীপংকর চন্দ
ভিন্নধরন!!
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
অয়োময় অবান্তর
আপনিও ভাল থাকুন।
লীলাবতী
আপনার লেখাটি কবিতার মত কেন প্রকাশ হলো বুঝতে পেরেছি ভাইয়া। আপনি সম্ভবত ফেইসবুক বা অন্য কোথাও থেকে কপি করে এখানে পেষ্ট করেছেন। কপি করে পেষ্ট করার পুর্বে শিরোনামের নীচে ডানদিকে দেখবেন ‘ দৃশ্যমান’ আর TEXT লেখা যাছে। TEXT এ ক্লিক করে এরপর লেখাটি পেষ্ট করুন। এরপর দৃশ্যমান এ আবার ক্লিক করে পেষ্ট করুন। তাহলে আর এই সমস্যা থাকবে না।
সোনেলার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। নিজে লেখুন, অন্য ব্লগারের লেখায় মন্তব্য করে তাকে উৎসাহিত করুন -{@
অয়োময় অবান্তর
ঠিক তাই। সমাধানের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। অসংখ্য। ভাল থাকুন।
লীলাবতী
আপনার ফেইসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়েছি। ফেইসবুকে আমাদের সোনেলা ব্লগ নামে একটি গ্রুপ আছে, সে গ্রুপে আপনার থাকা উচিৎ। পেইজও আছে সোনেলা ব্লগ নামে।
অনিকেত নন্দিনী
এই এক জীবনে আমরা সবাই কোথাও না কোথাও প্রত্যাখ্যাত হই। 🙁
মৌনতা রিতু
এ জীবন মোর এক কচ্ছপের খোলস,
বের হতে চাইনা যে তা নয়,
বের হতে পারি না, এ আমার অপরগতা।
তাইতো বের হওয়ার চেষ্টায় মুখটা দেখাই,
লোকালয়ের ভয়ে আবারো মেখটা লুকাই।
দারুন লেখা, শুভকামনা রইল।
নীলাঞ্জনা নীলা
খুবই ভালো লিখেছেন। (y)