
আহা!
হেমন্ত ডেকে নেবে কিগো নবান্নের উঠোনে,
সোনালি ধানের শীষের ঘ্রাণে!
শিরশির হিমবাহে উত্তরের সমীরণে,
আড়মোড়া ভেঙে আলোড়ন তুলে সন্তর্পণে,
বরিষণের ছুটির লগ্নে হেমন্ত দোলা দিল মনের ঈশান কোণে।
প্রতীক্ষা সহেনা প্রাণে মাঠঘাট শুকাবে কোন ক্ষণে,
ক্ষণে ক্ষণে বেজে উঠে মনে,
এই বুঝি ঘাস ফড়িং মোরে ডাকছে একমনে।
আলপথ ধরে ছুটে চলে রাখাল বালক প্রাণপণে,
বাঁশরির সুরে মিলিত হবে প্রিয় সখি সনে।
ঋতু শব্দটি বড়ই মলিন, প্রাণহীন শহুরে জীবনে,
আমি যে আজও গেঁয়ো মনে প্রাণে!
তাই তো স্মৃতিকাতরতায় ভুগি ঋতুতে ঋতুতে মন উচাটনে।
ক্রোধহীন রোদ গোমড়া মুখী মেঘমুক্ত গগনে,
শিশির ভেজা ঘাস গালিচার টানে,
আমার ব্যাকুল পিয়াসী মন হয়ে উঠে চনমনে,
মেতে উঠতে চায় বনভোজনের স্বল্প আয়োজনে।
আহা হেমন্ত!
ডেকে নেবে কিগো নবান্নের উঠোনে,
সোনালি ধানের শীষের ঘ্রাণে!
আজি চুটে যেতে চাই নিরীহ হেমন্ত তোমা পানে।
২২টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
শহুরে মনের হেমন্ত আবাহন পড়ে আনন্দিত হলাম।
একটু পুরনো টোনে লেখাটি অকৃত্রিম হৃদয়ের ঋতু-আন্দোলন বেশ বুঝতে পারা যায়।
ঋতুরা আমাদের মনের মত, শুধু পাল্টায় আর পাল্টায়, উপলক্ষ হয়ে হয়ে আমারা শুধুই অনুভবে রাখি।
খাদিজাতুল কুবরা
সত্যিই প্রতিটি ঋতুই বিশেষ বৈশিষ্ট্যে উপভোগ্য।
অন্তত আমরা যারা গ্রামে বড় হয়েছি তাদের জন্য ঋতু বৈচিত্র্যের আহ্বান উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। যদিও শহুরে গ্যাড়াকলে আঁটকে হাসফাস করা ছাড়া তেমন কিছু করার নেই।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাইয়া।
মনির হোসেন মমি
শিকর বলে কথা তাইতো শহরে থেকেও গ্রামীন আবহয়ে হেমন্তকে সুন্দর ভাবে কবিতায় আনলেন। দারুণ হয়েছে।
খাদিজাতুল কুবরা
হ্যাঁ ভাইয়া শৈশব কৈশোর গ্রামে কাটিয়েছি। আমাদের ছোটবেলা অনেক বর্ণিল ছিল। তাই স্মৃতিতে এখনো জ্বলজ্বল।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হেলাল ভাইয়ের মন্তব্যের পর আমার আর কিছু ই বলার নেই। উনি যা বলেছে এটা আমার ও মন্তব্য। ঋতু বদল ভালো লাগে, নতুনত্ব পাই তাতে করে মনের উপর ও বদল আসে। গ্রীষ্ম ভালো লাগে নানান রকম ফলের জন্য আর দিনটা বড় থাকে বলে, বর্ষা ভালো লাগে বৃষ্টির জন্য তবে সেটা ঘরে থাকলে উপভোগ করি। শীত , বসন্ত আমার সবচেয়ে প্রিয় ঋতু শান্তিতে ঘোরাঘুরি আর বিভিন্ন সবজি পাই বলে। শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকবেন সবসময়
খাদিজাতুল কুবরা
সব ঋতুই কিছু না কিছু ভালোলাগার স্পর্শ নিয়ে আসে।
হৈমন্তীয় শুভেচ্ছা রইল দিদি ভাই।
রেজওয়ানা কবির
শহরের বসবাসে থেকেও গ্রামীণ হেমন্তকে অনেক সুন্দরভাবে ধরা দিল আপনার লেখায়। ভালো থাকুন আপু।
খাদিজাতুল কুবরা
শৈশব কৈশোর গ্রামে কেটেছে আমার। গ্রাম খুব ভালোবাসি আপু।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইল আপু
সুরাইয়া পারভীন
আহ্ আহা! হেমন্ত বন্দনায় প্রাণ জুড়িয়ে গেলো। অনবদ্য উপস্থাপনায় মুগ্ধতা একরাশ। চমৎকার লিখেছেন আপু। আপনার লেখা পড়ে মন ছটফট করছে কিন্তু হেমন্ত বাবুকে ধরতেই পারছি না
খাদিজাতুল কুবরা
চমৎকার মন্তব্য পেয়ে আপ্লূত হলাম।
ইতিমধ্যে আপনার হেমন্ত বাবুর সাথে দেখা হয়ে গিয়েছে। পড়ে মন্তব্য ও করেছি। অসুস্থতার জন্য জবাবে দেরি হয়ে গেছে।
অনেক ভালোবাসা রইলো প্রিয়
সুরাইয়া পারভীন
দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আপু
ভালো থাকুন সবসময়
রোকসানা খন্দকার রুকু
প্রান জুরানো কবিতা। মনটা সকাল সকাল ভরে গেল। আবার আসব পড়তে। শুভ সকাল।
খাদিজাতুল কুবরা
এমন মন্তব্য শুধুই অনুপ্রেরণা যোগায়। আমার ও মন ভরে গেছে সুন্দর মন্তব্য পেয়ে।
ভালো থাকুন শুভকামনা সর্বক্ষণ
আরজু মুক্তা
হৈমন্তী শুভেচ্ছা।
শহর থেকে আমরা শুধু ঘ্রাণ পাই। আর অনুভবে পেতে চাই। তবুও হেমন্ত ছুঁয়ে যাক
খাদিজাতুল কুবরা
আপু আপনাকে ও হেমন্তের শুভেচ্ছা জানাই।
অনেক ভালোবাসা রইলো।
আলমগীর সরকার লিটন
হেমন্তের অনেক শুভেচ্ছা রইল কবি আপু
খাদিজাতুল কুবরা
আপনাকে ও হৈমন্তীয় শুভেচ্ছা লিটনদা
রেহানা বীথি
মনে-প্রাণে আমিও নিখাঁদ গাঁইয়া। হেমন্তের হালকা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যখন শীত আসি আসি করে, মন আমার চলে যায় গাঁয়ের উঠোনে। কত স্মৃতি যে মনে পড়ে যায়! আপনার কবিতায় ভীষণভাবে একাত্ম হলাম আপু।
খাদিজাতুল কুবরা
বছরের এ সময়টাতে আমি একবার বাড়ি যাই স্বল্প সময়ের জন্য হলেও। গ্রাম খুব ভালোবাসি।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে আপ্লূত হলাম আপু।
ভালোবাসা রইলো অশেষ।
বুদ্ধিজীবী লাঠিয়াল
হেমন্তের আগমনী ফুটিয়ে তুলেছেন কবিতায়। খুব ভালো কবিতা লেখেন আপনি।
খাদিজাতুল কুবরা
এমন মন্তব্য কলমের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন।
তৌহিদ
আপনার হেমন্ত বন্দনায় মুগ্ধ হলাম আপু। হেমন্ত আসুক প্রাণের উচ্ছ্বাসে এটাই কামনা।
ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।