
প্রবল প্রত্যুষে হেমন্তের সোমত্ত-সোনালী-চাঁদ
পশ্চিম আকাশ জুড়ে ম্লান আলো ফেলে রেখে
জানলা জুড়ে এসে দাঁড়ায়!
নবান্ন যে এসে গেল দোর গোঁড়ায়
সোনালী ধানে ছেয়ে যাচ্ছে সারা প্রান্তর;
শিশিরের ঘ্রাণে, উৎসবের আহ্বানে,
উঠবে আঁটি আঁটি সোনা সোনা ধান,
সুস্বাদু অন্ধকার এড়িয়ে এসে দাঁড়াবে
এ সোনালী আঙ্গিনায় চোখে চোখ ঘসে;
হে আজন্ম কৃষক, এসো এ নবান্ন-প্রাণের-উৎসবে।
অকাতর অবসাদহীন শান্তিময় প্রাণ জুড়ে।
জমি-হীন নিষ্ফলা কৃষক, লাঙলের ফলায় নেই
কবিতা-অহংকারের সুপ্ত বীজ, সুগন্ধি ডানা
হারিয়েছে সেই কখন!
হৃদয়েরে বলি, পড়ে থাকুক এই নবান্নের উৎসব
ফিরে গিয়ে-ই না-হয় হারিয়ে যাই তিমির-অন্ধকারে।
হেমন্ত-চাঁদ ঘ্রাণ-ফসল নিয়ে হাসে, নত-চোখে, নত-মুখে,
বলে, অভিশাপ দিচ্ছি এই ঘোর সকালে
আজন্ম থেকে যাবে মরুময়, কবিতা-হীন, জগৎস্বামীর কাছে
এই নিবেদন, ভূতের শিকল পড়ুক ওই পায়ে;
তবুও এসো এই নবান্নের উৎসবে কবিতাকে সাথে নিয়ে।
২৮টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
হৃদয়েরে বলি,পড়ে থাকুক এই নবান্নের উৎসব
ফিরে গিয়ে-ই না-হয় হারিয়ে যাই তিমির-অন্ধকারে। তাই যেন হয় সবার কপালে।
ছাইরাছ হেলাল
সবার হবে কেন!
লিখিয়ের কপালে করল্লা ভাঁজা থাকলেই হবে।
মোঃ মজিবর রহমান
হোক যেভাবেই হবেতো।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা হোক তবে।
রেহানা বীথি
আজ বিকেলে গ্রামে গিয়েছিলাম। স্পর্শ পেলাম হেমন্তের। ফিরে এসে আপনার এই কবিতা, ভীষণ ভালো লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্ অনেক ধন্যবাদ,
ভাবছি হেমন্তের ধানসিঁড়িকে একটু ছুয়ে দিব।
তৌহিদ
কবিতা পড়ে আমি আর আমার মাঝে নেই, চলে এসেছি হেমন্তের বুকে। এরকম কবিতা যিনি লেখেন তার মাঝে হেমন্ত কতটা বিরাজমান তা বলাই বাহুল্য।
দারুণ অনুভাবী লেখা ভাইজান। ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য।
ছাইরাছ হেলাল
একটু বেশি-ই বেশি মনে হচ্ছে কিন্তু।
প্রকৃতি আমার প্রাণ, তাও লিখতে আর পারলাম কৈ।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
সেই গ্রাম, সেই ধানক্ষেত, এই হেমন্তে আমার মনের মাঝে চির অমিল থেকে যায়। কারণ এখন আর শহরের আশেপাশে গ্রাম নেই। ধানক্ষেত নেই। সোনালী ধানের সেই ঘ্রাণও নেই। তবু আছে হেমন্ত। তাই হেমন্তের শুভেচছা জানাই।
ছাইরাছ হেলাল
সেই অকৃত্রিম গ্রাম্যতা আর নেই আমাদের পাশ-জুড়ে,
তবুও থেকে আকাঙ্খার নিবিড় পরশ, যদি ছুঁয়ে দেয়া যায় এই হেমন্তকে একটুখানি।
দারুন ছবি। ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
নবান্ন তো এমনই আসে, হেমন্তের সাথে।
ভুতের শিকল পায়ে দিলে আসবে কিভাবে কবিতা লিখতে!
ছাইরাছ হেলাল
আসুক নবান্ন হেমন্তকে ছুয়ে ছুঁয়ে।
অভিশাপের শিকল বড়ই কঠিন।
সুরাইয়া পারভিন
আহ!হেমন্ত তোমার আগমনে চারপাশ যেনো মৌ মৌ মিষ্টি মধুর নবান্নের উৎসবে।ওহে হেমন্ত আমারও কি পড়া উচিত তোমার প্রেমে!
চমৎকার উপস্থাপন
ছাইরাছ হেলাল
মন দিয়ে পড়েছেন, অনেক ধন্যবাদ,
প্রকৃতিকে ভালোবেসেই আমরা বাঁচি।
ভালোবাসাই প্রকৃতি।
লিখে ফেলুন নিজের মত করে।
মনির হোসেন মমি
সকল আধার কেটে যাক আসুন নবান্নের আনন্দ।
,হেমন্ত-চাঁদ ঘ্রাণ-ফসল নিয়ে হাসে, নত-চোখে, নত-মুখে,
বলে, অভিশাপ দিচ্ছি এই ঘোর সকালে
কেমনে লেখেন কবিরাজ!
ছাইরাছ হেলাল
নবান্ন আসুক আমাদের সোনেলা-প্রাণ জুড়ে, এতো কামনাতেই রাখি।
আমাকেই শুধু অভিশাপের শেকল পায়ে হেমন্ত ছুঁতে হয়।
লিখতে আর পারলাম কৈ!!
মনির হোসেন মমি
অভিশাপের শেকলের ভাগে ফেলে দেন মোরেও …হেমন্তের এমন অভিশাপও আর্শীবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
হা হা হা,
দারুন আশা প্রকাশ করলেন মনির ভাই!
আরজু মুক্তা
হেমন্তের মাঝে আছে প্রাণ। কবি নিশ্চয় ভুতের শিকল পরাতে যাচ্ছেন হেমন্তের মাঝে লুকায়িত বিষণ্নতাকে।
ভালো লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই প্রাণ আছে, আছে অভিশাপের ঝুলি।
তেমন করে বিষণ্ণতাকে বেড়ি পড়াতে পারলে ভালই হতো!
কিন্তু হায় অভিশাপের শিকল আমার পায়ে!!
আপনাকে ধন্যবাদ।
আকবর হোসেন রবিন
কবি,
এতো সুন্দর একটা লেখার জন্য হেমন্তের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইল।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও একরাশ হেমন্ত-শুভেচ্ছা।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
হেমন্ত আসুক নবান্নকে সাথে নিয়ে কবিতার উৎসবে।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
এস.জেড বাবু
একটু বেশি-ই বেশি মনে হচ্ছে কিন্তু।
প্রকৃতি আমার প্রাণ, তাও লিখতে আর পারলাম কৈ।
আমি বললে আরও বলতাম, বেশি করেই বলতাম।
আর বলবো না, তৌহিদ ভাই সব বলে দিয়েছে।
আমি বলব-
হেমন্ত যেন আপনাকেই ঘিরে-
প্রকৃতি এনেছে দ্বারে, আপনার কবিতার তরে।
মুগ্ধতা অশেষ।
ছাইরাছ হেলাল
প্রশংসা শুনতে খুউউউউউউউউব ভাল লাগে,
ভাবি কবে যে আরও আরও সুন্দর করে লিখতে পারব! কিন্তু হায় যা লিখতে চাচ্ছি তা পারছি কৈ!
আজ ও লিখলাম হেমন্ত কে নিয়ে।
এস.জেড বাবু
আমি শ্রবনের লিখা ও পেয়েছি।
আপনি ঋতূ বৈচিত্রে অনেক লিখেন।
ভাল লাগে।
আজকের পোষ্ট অবশ্যই পড়বো।
ছাইরাছ হেলাল
ভাল থাকবেন আপনি।