
-এবারের মতন আড্ডাতো শেষ।
নীল পরীকে বললেন আড্ডার উপস্থাপক।ভারাক্রান্ত মনে নীলপরী একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন।
-হ্যা! আমারও সময় হয়েছে বিদায় নেবার।
(ব্যাকগ্রান্ডে চলছে ….বিদায় দাওগো বন্ধু তোমারা এবার দাও বিদায়..)
-আরে কয় কি! তোমাকে ছাড়লেতো আমরা?এখনোতো তোমার আড্ডায় কেউ না কেউ উকিঁ দিচ্ছে।তুমি চলে গেলে উত্তর দিবে কে বলো শুনি? তাই তোমার যাওয়া চলবে না।
-না বন্ধু। তোমাদের সাথে আমরা বেশীক্ষণ থাকতে পারি না এটা আমাদের আইনে নেই তাই চলে যেতেই হবে এর কোন বিকল্প নেই।আমাকে বিদায় দাও।
-দিলেতো বন্ধু আইনের বারো হাত দেখাইয়া।তবে আমাদের মানে বাংলাদেশের একটা ঐতিহ্য আছে আর তা হল মেহমানদের বিদায়টাকে চির স্বরণীও করে রাখা।তাই এবারের আড্ডায় মর্ত্যের চির সূখী মানুষকে আমন্ত্রণ করব। সেই মানুষটিই তোমাকে বিদায়ে অভ্যার্থনায় ফুলের মালা দিয়ে সন্মানীত করবে।
-বলো কি বন্ধু! মর্ত্যের চির সূখী মানুষ! এ আবার কে? যার কোন দুঃখ নেই?এখন আর না দেখে বিদায় নিতে ইচ্ছে করছে না।
-ওকে ফাইন। এখন আমাকে একটু সাহায্য করতে হবে। তোমার সোনার কাঠি রূপোর কাঠির যাদুর সাহায্যে সেই লোকটির কাছে আমাকে একটু পৌছে দেবার ব্যাবস্থা করবে?
-সেই লোকটি কে?কি তার পেশা ? কোথায় থাকে? সব বলো আমি তোমাকে নিমিষেই সেখানে পৌছে দিচ্ছি।
-পৃথিবীতে সব চেয়ে বেশী কষ্টকর এবং ঝুকিপূর্ণ কাজটি হল মানুষ হাসানোর কাজ। যে মানুষটির মন সদা হাস্যজ্জ্বোল থাকে তার জীবনে দুঃখ কষ্ট বলে কিছু থাকে না।শত দুঃখ কষ্টেও যিনি হাসতে জানেন হাসাতে পারেন তিনি অমর মরনশীল হয়ে থাকে মর্ত্যের মানুষদের হৃদয়ে।সেই হাসির রাজা রসিক রাজা জ্ঞানের রাজা- নাম তার…
“গোপাল ভাড়”।
তার পরিচয় ঃ
গোপাল ভাড় অথবা গোপাল ভান্ড একই ব্যাক্তি।মধ্য যুগ অষ্টদশ শতাব্দীতে নদিয়া অঞ্চলে প্রখ্যাত রসিক গল্পকার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজ সভায় নিযুক্ত ছিলেন।রাজা তাকে তার সভাসদদের মধ্যকার নব রত্নদের একজন হিসাবে নিযুক্ত করে ছিলেন।সেই আমলেই রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজপ্রাসাদের সামনে তাঁর একটি ভাষ্কর্য স্থাপন করা আছে যা এখনো অবিকৃত।
গোপাল ভাড়ঁ এমনি একজন রস সম্রাট যার গল্পগুলো পড়ে এখনো বাংলাদেশ ও কলকাতা এবং বিশ্বের বাংলা ভাষা ভাষিদের মনে চির স্বরণীয় আছেন।যার গল্প বা ঘটনাগুলো পড়ে মানুষের পেটে হাসির খিচ্ ধরে যায়।
তার পরিচয় বা তাঁর অস্তিত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত পাওয়া যায় ।কেউ বলেন গোপাল ভাড়ঁ নামের কেউ একজন ছিলো,কেউ বা বলেন গোপাল ভাঁড় নামে কারো কোন অস্তিত্বই কখনো ছিলো না-সব কাল্পনিক।
তবে নগেন্দ্রনাথ দাস নামক এক ব্যাক্তি দাবী করেছেন গোপাল ভাঁড় নামে তেমনি একজন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজ্য সভায় ছিলেন।এ নিয়ে তিনি তার একটি বইও লিখেছেন।তবে তিনি তার সেই বইটিতে বলেছেন,প্রথমে তাঁর পরিচয় ঘটা গোপাল ভাঁড় পদবী হিসাবে নয় তাঁর পদবী ছিলো “নাই”।তার ঠাকুদা আনন্দরাম নাই -একজন তান্ত্রিক সাধক আর গোপালের বাবা দুলাল চন্দ্র নাই পেশায় ছিলেন একজন নাপিত।
রাজা কৃষ্ণচন্দ্র তার বুদ্ধিদীপ্ততা তার রসিকতা দেখে তাকে ভাঁণ্ডারী উপাদী দিয়েছিলেন।সেই ভাণ্ডারী থেকে আজকে ভাঁড় হয়ে মানে গোপাল ভাঁড় বেচে আছেন লক্ষ কোটি বক্তদের হৃদয়ে।সেই বইটিতে উল্ল্যেখ করেন- “রাধাঁরানী” নামে তার একটি মেয়েও ছিলো।
গোপাল ভাঁড়ের পরিচয় নিয়ে তর্ক যতই থাকে থাকুক আমরা আজকে তার সন্ধান পেয়েছি তিনি দিব্যি এখনো বউ বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে সংসার করছেন ভারতের কলকাতায় কোন এক অঁজো পাড়া গায়।এই হল তার ঠিকানা।…..
নীলপরীকে ঠিকানা বুঝিয়ে দিতেই উপস্থাপক সহ নীলপরী নিমিষেই পৌছে গেল কলকাতার কোন এক অজোপাড়া গায়।পরীর সিক্স সেন্স কাজে লাগালো কোন বাড়ীটা হতে পারে গোপাল ভাঁড়ের।চোখের সামনে ভার্চুয়াল হল গোপালের বাড়িটি।বিশাল এক বিলের মধ্যে আশ পাশ আর তেমন কোন বাড়ী নেই- একমাত্র খঁড়কুটোর তৈরী সেই বাড়ীটি কেবল দেখা যাচ্ছে।নীলপরী সহ উপস্থাপক এবার গোপাল ভাঁড়ের ঘরের উঠোনে বন্ধ দরজার সামনে দাড়িয়ে।উপস্থাপক ডাকছেন গোপালকে।
– গোপাল..গোপাল…ওগোপাল ।
কোন উত্তর নেই,নেই কোন শব্দের আলামত।আরেক বার ডাকার পর ঘরের ভেতর হতে কর্কশ মেয়েলী কণ্ঠে শব্দ ভেসে এলো তাদের কানে।
-কেগো? কে এলো এই সাত সকালে?
– জি আমরা..।।
-এই আমরাটা কারাগো?
-আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি।
বাংলাদেশের কথা শুনে দৌড়ে এলো গোপাল ভাঁড়ের স্ত্রী।তাকে দেখে উপস্থাপক অবাক হলেও বুঝতে পারলেন ছবিতে যা দেখেছি তার কোন অংশে কম নন গোপালের স্ত্রী ঠিক যেন গোলআলুর মতন।আর কণ্ঠের প্রমানতো শুনলেনই।
-হেগো কে? কেগো এসেছো বাংলাদেশ থেকে? কেগো তোমরা? স্বামীর আত্মীয় না- আমার আত্মীয় ???
-প্রণাম বউদী…আমরা আসলে আপনাদের কেউ কারো আত্মীয় নই।আমরা এসেছি গোপাল ভাঁড়কে বাংলাদেশে এক অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিতে।
-ওতাই নাকিগো! ওই কইরে মেহমানদের উঠোনে বসতে চকি এনে দে।
কিশোর বয়সী এক মেয়ে দুটো ছোট চকি এনে তাদের বসতে দিল।তার কিছুক্ষণ পরই গোপাল ভাঁড় বড় সাইজের একটা ইলিশ নিয়ে বাড়ীর ভেতর এসে হাজির।বাড়ীতে লোকজন দেখে চঁমকে গেলেও অতিথি মনে করে তাদের সামনে ভুড়িওয়ালা পেট নিয়ে এলেন।উপস্থাপক এবং নীলপরী তাঁর পেটের সাইজ দেখে অবাক হলেন।অতপর তাঁর টাক মাথায় পাগড়ী বাধা কাদা মাটিওয়ালা মুখমন্ডল দেখে ভাবলেন আজকেও হয়তো কোন একটা ঘটনা ঘটিয়ে এসেছেন।
-নমস্কার বাবু।
-আমি বাবু নই, গোপাল ভাঁড়।
তারা জানেন তাঁর সাথে তাঁরা কথায় পারবেন না।তাই আর কথা না বাড়িয়ে শুধু বললেন,
-নমস্কার।
গোপাল ভাঁড়ও পাল্টা জবাব দিলেন।
-নমস্কার।
বলে গোপাল ভাঁড় তাদেরকে বসতে বলে ঘরের ভেতর ঢুকে দ্রুত ফ্রেস হয়ে বেড়িয়ে এসে তাদের সামনে একটি চেয়ারে তাদের মুখোমুখী বসলেন। পাশে দাড়ানো ছিলেন গোপালের স্ত্রী ও এক মাত্র কন্যা রাধাঁরানী।চেয়ারে বসে এক পা দুলাতে দুলাতে গোপাল বললেন।
-হ্যা তা বলোতো তোমরা কে? কোথায় হইতে এসেছো?এবং কেন এসেছো?
-জি দাদা, আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি।আমি উপস্থাপক মমি আর ওহচ্ছে পরী তবে ওকিন্তু আসল পরী।
উপস্থাপকের মুখে পরীর কথা শুনে পরীর দিকে ভাল করে তাকালেন- মা মেয়ে মানে গোপালের স্ত্রী ও কন্যা।স্ত্রী কথা না বলে আর পারলেন না।
-কি কয়গো এ আবার পরী হবে কেমন করেগো ? তারতো কোন ডানাই নেইগো!
-সবিই আছে, দেখবেন? থাক-একটু পরেই দেখতে পারবেন।
গোপাল তাদের কথা থামিয়ে দিয়ে জানতে চাইলেন।
-তাতো ঠিক আছে কিন্তু আমার কাছে এতো দূর হইতে আসার কারনটা কি জানতে পারি?
গোপাল গোপালের বউকে লক্ষ্য করে বললেন।
-কিগো হা’ করে দাঁড়িয়ে আছো কেন? যাও রান্না ঘরে যাও ইলিশ মাছটা রান্না করো গিয়ে, ইলিশ মাছ এর দেশের মানুষদের খাইয়ে দেই একটু।
-মাছটা খুব বড় সাইজের,দেখতেও রূপোলী রং এর-দামটা কত? উপস্থাপক বললেন।
গোপাল প্রশ্নটা শুনে হঠাৎ দৌড়ে বাড়ীর গেইটের কাছে গিয়ে এ দিক সেদিক উকিঁ দিয়ে তাকিয়ে আবার ফিরে এলেন।
-কী দাদা কোন সমস্যা?
-সমস্যা নয়তো কিগো! তুমি যে মাছের দাম জিজ্ঞাসা করিলা তাহা যদি রাজার কেউ শুনিয়া ফেলিত তাহলে আমার সর্বোনাস হয়ে যাইতগো।
-ঘটনা কি একটু খুলে বলবেন দাদা?
-তাহা হলে শুনেন, আজ আমার মহারাজা রাজকৃষ্ণ আমাকে একটা চ্যালেঞ্জ ছুইড়া দিয়াছিলেন।মহারাজ বলে ছিলেন আমাকে মহারাজ একটি ইলিশ মাছ কিনিয়া দিবেন।আমি সেই ইলিশ মাছটি বাজার হতে বাড়ী পর্যন্ত হাতে ঝুলাইয়া ঝুলাইয়া লোকালয় দিয়া বাড়ীতে নিয়া যাবো এবং মাছ হাতে নিয়া যাওয়ার মুহুর্তে কেউ না কেউ তার দাম জিজ্ঞাসা করিবেন।আমি রাজাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছিলাম –আমি নিয়া যাব কেউ আমাকে দাম কত জিজ্ঞাসা করিবে না।রাজা আমার কথা শুনে অবাক হলেন।
-এটাও কি সম্ভব?
-সম্ভব, আমার পক্ষেই সম্ভব “সব অসম্ভবকে সম্ভব করাই গোপাল ভাঁড়ের কাজ”।
-ঠিক আছে তুমি যদি সফল হও তবে পুরষ্কৃত হবে আর যদি ফেইল করো তবে তোমাকে শাস্তিভোগ করতে হবে। রাজী?
-জী, মহারাজ রাজী।
মহারাজের হুকুম মতে দুইজন স্বাক্ষী হিসাবে আমাকে একটি ইলিশ মাছ কিনে আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন।আমি মাছটি হাতে নিয়ে পড়নের ধূতিটা খুলে মাথায় পাগড়ী বানলাম।তারপর শরীরে নাকে মুখে পেক কাদা মেখে মাছ হাতে আমার বাড়ী বরাবর হাটা দিলাম। রাস্তায় যার সাথেই দেখা হয় সে-ই মাছের দাম জিজ্ঞাসা করবেতো দূরের কথাগো সবাই কেবল নাক চেপে চেপে আমায় দূর দূর ছি ছি করল।আমি পরীক্ষায় পাস করে ফেললাম।
নীলপরী সহ উপস্থাপক হাসতে হাসতে পেটে খিচ ধরে ফেললেন।অবাকও হলেন তার বুদ্ধিমত্তার কথা শুনে।এ দিকে ঘরের ভেতর হতে ডাক এলো।
-কইগো…শুনছো? রান্না রেডি,…তোমরা ভেতরে এসোগো।
অল্প কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যেই তাঁরা খাওয়া দাওয়া শেষ করলেন।এরপর গোপাল সোনেলা ব্লগের নিমন্ত্রণ পেতেই খুশিতে আটখানা হয়ে গেলেন।
-বলেন কিগো!আপনারা সোনেলা ব্লগের লোক? তা আগে বলবেনতো! আহা কত স্বপ্নই না দেখতাম যদি একবার সোনেলার সোনালী মানুষদের দেখা পাইতাম।আমি এ কলকাতায় আমার অসংখ্য নাতি হতে দুই প্রিয় নাতি একজন অরুণিমা মন্ডল দাস , রোজীনার মুখ হতে সোনেলার কত সুন্দর সুন্দর গল্প শুনতাম।তারা শুধু আশ্বাস দিত নিয়ে যাবে আমাকে, বাংলাদেশে-সোনেলার লেখকদের সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দিবে কিন্তু দুঃখের কথা কি কইবোগো! কেউই নিয়ে গেল না।
-তারাওতো আজ আমাদের সাথে যাবেন।
-কইগো তারা কই?
-এই এলো মনে হয়।
ঠিক সেই সময় বাড়ীর গেইটে উঁকি দিল গোপাল ভাঁড়ের দুই নাতনী।
-এইতো আমরা এসে গেছি…।
-আসো আসো তোমাদের কান মলে দেই…..গোপাল বলল। তাতো ঠিক আছে তবে যাবো কি করেগো?
-কেন? নীলপরী আছে না।
গোপাল চেয়ার ছেড়ে উঠে নীলপরীর কাছে গিয়ে চোখ দুটো বড় বড় করে তার চারপাশ ঘুরে দেখল।কিছুইতো বুঝতে পারছেন না! খুব ভাবনায় পড়ে গেল গোপাল, -ডানাহীন এ আবার পরী হল কি করে।এরাতো দেখছি গোপালকেই ধাঁ ধাঁয় ফেলে দিল।আবার ভাবলেন হলে হতেও পারে-কারন এঁরাতো সোনেলার চৌকষ ব্লগার।
নীলপরী গোপালের এমন দর্শনের আচ্ করলেন অতপর লোকালয়ের ভয়ে কলকাতায় এসেই নীলপরী তাঁর গুটিয়ে নেয়া সুন্দর দুটো ডানা আবারো বের করলেন।হা করে তাকিয়ে রইলেন গোপাল এর সাথে তাঁর স্ত্রী কন্যা রাধাঁরানীও।নীলপরী তার ডানার চারটি পালক খুলে বিছিয়ে দিলেন মাটিতে।অতপর সবাইকে এক এক করে পালকের উপর পা রাখতে বললেন। ভয় শঙ্কা কাটিয়ে সবাই প্রস্তুত পালকের উপর পা রাখতে।অতপর সবাই যখন পালকের পা রাখলেন তখন তারা উড়তে শুরু করল এবং গোপালের বউ কন্যাদের বাই বাই টা টা জানিয়ে সো সো করে উড়াল দিলেন বাংলাদেশে সোনেলা ব্লগের আড্ডায় ।
সোনেলার মাননীয় এডমিনগন আগ হতেই গোপালের বসার আসনটি ঠিকঠাক করে রেখে তাদের আগমনে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন।ব্লগারদের আড্ডাস্থলে চা এ পর্যন্ত ড্রামখানিক শেষ।এরই মধ্যে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে তাদের সম্মেলিত আগমনে সবাই ফুলের পাপড়ী ছিটিয়ে সু-স্বাগতম জানালেন।গোপাল ভাঁড় তার নিদিষ্ট আসনে বসলেন।উপস্থাপক তাঁর উপস্থাপনা শুরু করলেন।
-সন্মানীত সোনেলার ব্লগারগন শুরু করছি সোনেলা ব্লগ আড্ডার দ্বিতীয় পর্ব।আজ উপস্থিত আছেন হাসির রাজা , জ্ঞানের রাজা গোপাল ভাঁড়।তবে তার আগে আরো একটু কাজ আছে তা হল-গত পর্বে নীলপরীর সাথে আড্ডা অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি টানা এবং নীলপরীকে বিদায় সম্ভাষনা জানানো তাই এবারে মঞ্চে ডাকবো গত পর্বের সভাপতি এম ইঞ্জা ভাইজান এবং এবারের পর্বের সভাপতি ম্যাডাম সোনেলা ইয়াসমিন অরফে সাবিনা ইয়াসমিন আফাকে। আপনাদের অনুরোধ করছি আপনেরা মঞ্চে এসে আপনাদের আসন গ্রহন করার জন্য।
সবিনয়ে তাঁরা যথাযথ আসন গ্রহন করিলেন।
-এবার নীলপরীকে ফুলের মালা দিয়ে বিদায় জানানোর জন্য অনুরোধ করব ১ম পর্বের সভাপতি এম ইঞ্জা ভাইজানকে।
আগেই প্রস্তুত রাখা ফুলের মালাটি পড়িয়ে দিলেন নীলপরীর গলায়।নীলপরীর দু’চোখে জলে ছলছল। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে মাইক্রোফোনে এসে শুধু দুটো শব্দই করলেন-
সোনেলা এক মায়া জড়ানো এক অভূতপূর্ব ভালবাসার নাম।নজর এড়াবে না কখনো।
নীলপরী যে ভাবে এলেন ঠিক সেই ভাবেই অদৃশ্য হলেন চোখের পলকে।এই বিদায় মুহুর্তটা স্বরণীয় করে রাখতে ফ্রেম বন্দি করলেন আমাদের প্রিয় ফটোগ্রাফার ও পাখি বিষেজ্ঞ শামীম ভাই।।নীলপরীর বিদায়ে পিনপন নীরতার অবসান কাটালেন গোপাল।হাসির একটি গল্প বলে সবাইকে সতেজ করলেন।
-তাহলে বন্ধুরা কেমন আছেন আপনেরা? আমি গোপাল ভাঁড়। আপনাদের সাথে মনের দুঃখ সূখ ভাগ করে আড্ডা দিতে এসেছি আজ।বলে ফেলুন কার মনে কি প্রশ্ন আছে।প্রশ্ন করতে পারবেন যে কোন বিষয়ে আমি আছি আপনাদের প্রশ্নের অপেক্ষায়।আমি যতটুকু জানি এ দেশে একটা কথার রেওয়াজ আছে তাহল চিকন বুদ্ধি। যদি কারো থেকে থাকে তাও জানাবেন।
আজ আড্ডায় জিসান-হেলাল, তৌহিদ ভাই সহ আপুরাও বেশ আগে বাগেই সেজেগুজে রেডি হয়ে আছেন।মনে হয় এবারও জমবে জমজমাট আড্ডা।
তাহলে শুরু হল এবারের আড্ডা……
—————————————–
ছবি ও তথ্য
অনলাইন
৬২টি মন্তব্য
ইঞ্জা
😂😂😂😂😂 সোজা গোপাল ভাঁড়, মরছি আইজ্জা। 😂😂😂😂
মনির হোসেন মমি
সময় সুযোগ কইয়া আবার আইসেন। গোপাল ভাঁড় এবার মাঝে মাঝে মজার মজার গল্প শুনাবেন।ধন্যবাদ প্রথম হাজিরায়।
ইঞ্জা
ভাই দুঃখজনক ভাবে আর আসতে পারিনি, এর জন্য ক্ষমা চাইছি।
মনির হোসেন মমি
হুম সমস্যা নেই ভাইজান।আরো অনেকেই আর আসেননি আবার অনেকেই একেবারেই আসেননি।
এস.জেড বাবু
বুঝতে পারছি, ক্ষমাহীন সময় অনুষ্ঠান চলবে। হাজার হউক গোপাল ভাঁড়ের আড্ডা।
এত সময় ধরে সাজুগুজু ঠিক রাখা অনেক কষ্টের বিষয়। তো একটা কাজ করলে কেমন হয় মমি ভাই- সোনেলা বিউটি পার্লার চালু করার সিদ্ধান্তে আপনার মতামত চাইছি।
আপনি রাজি থাকলে ব্লগ টিম বরাবর একখান আবেদন কইরা দিমুনে। হাহাহা। হাজার হউক, নীল পরীর বিদায়ের কষ্টে আপুরা যদি রংধনুর সব রংয়ে সাজতে চায়।
আর মিনিট পাঁচেক টি ব্রেক দিয়েন, ভাইজানরা পিঁয়াজের দামে অতিষ্ট হয়ে ঝাল মুড়ির বদলে পপকর্ণ তো খেতে পারবে।
ইশশ- আড্ডার তারিখটা যে কবে লিখবেন সেই অপেক্ষায় আছি।
–
–
চমৎকার লিখেছেন মমি ভাই।
অসাধারণ।
মনির হোসেন মমি
গোপাল বলছেন-তার সাথে আড্ডার শেষ পর্যায় যদি সময় অনুকুলে থাকে তবে আড্ডার তারিখটা তিনিই দিয়ে যাবেন। আর সোনেলা বিউটি পার্লার নামটা গোপালের বেশ পচন্দ হইছে। আফসোস করছেন তার বউকে নিয়ে এলেন না কেন যে এই আড্ডায় তাহলে প্রথম কাষ্টমারটা গোপালের ওয়াইফই হতেন।ধন্যবাদ আবার আসবেন।এই আসা যেন শেষ আসা না হয়।
এস.জেড বাবু
হাহাহা-
মন্তব্যে তেমনি মজা পেলাম।
এমন কাষ্টমার কৈ পাই আমরা।
ধন্যবাদ ভাইজান।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣
মনির হোসেন মমি
আপুর কান্না দেখে গোপালের চোখেও জল এলো ।উপস্থাপক তাই দেখে গোপালকে জিগাইলেন-কি ব্যাপার আপনি কাদছেন কেন? গোপালের উত্তর-ঐ যে ফাল্গুনী কাদছে তাই আমিও কাদছি।কারন আমি জানি সোনেলা পরিবার এমনি এক পরিবার যেখানে একজন কাদলে সবাই কাদে একজনের মনে কষ্ট থাকলে সবার মনেই কষ্ট অনুভব হয়।
-ও আচ্ছা!! তাই? তা আপু কাদছেন কেন?আবার মিটমিট করে হাসেনও দেখছি-এই দৈত অভিনয়ের কারন জানতে চাচ্ছেন গোপাল ভাঁড়।
তৌহিদ
আহারে, আমাদের নীলপরীকে বিদায় জানাতে হবে ভাবতেই খারাপ লাগছে! তবে পরীর ডানায় চেপে গোপালভাঁড় এলো সাথে তার সৈন্য সামন্ত দেখেই ভালো লাগছে। আমাদের সোনেলা ম্যাডাম কই?
ইঞ্জা ভাই ফিক ফিক হাসেন ক্যারে?
মনির হোসেন মমি
ম্যাডাম এখন একটু রেষ্টে আছেন। নিশ্চয় আসবেন। ইঞ্জা ভাইজান নীলপরীকে বিদায় জানিয়ে ব্যাস্তায় চলে গেলেন আবারো আসবেন। ধন্যবাদ গোপাল ভাঁড় ভাবীকে খোজঁছেন।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অনেকদিন থেকে এই গোপাল দাদুর আড্ডার অপেক্ষায় ছিলাম।
অবশেষে চলে এসেছেন আমাদের গোপাল দাদু।
আজকের আড্ডা পুরো মাতিয়ে উঠলো দাদা।
এতো সুন্দর করে লিখলেন।
প্রশংসা প্রশংসা অনেক।
নীলপরী যে ভাবে এলেন ঠিক সেই ভাবেই অদৃশ্য হলেন চোখের পলকে।এই বিদায় মুহুর্তটা স্বরণীয় করে রাখতে ফ্রেম বন্দি করলেন আমাদের প্রিয় ফটোগ্রাফার ও পাখি বিষেজ্ঞ শামীম ভাই।
শামীম ভাইয়ের ভালোবাসা সবসময় ক্লিকেক্লিকে।
আমাদের সোনেলার প্রিয় ফটোগ্রাফার।
.
ভালো লাগলো আড্ডাটা।
আমার জন্মদিনে এমন হাসি আর আড্ডায় দিন কাটিয়েছি। ব্লগে এসে এই লেখা পড়ে বেশ লাগলো দাদা।
মনির হোসেন মমি
আপনার জন্মদিন কবে গেল দাদা? আজ! গোপাল তো নোটিফিকেসন পেল না।পেলে নিশ্চিৎ আপনার জন্ম উৎসব করত। গোপাল সে জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ও কষ্ট অনুভব করছেন। আপনার জন্মদিন এ আড্ডায়ই অনুষ্ঠিত হবে গোপাল কথা দিচ্ছে একটু অপেক্ষা করুন।
প্রদীপ চক্রবর্তী
আজ ছিলো দাদা আমার জন্মদিন।
নোটিফিকেশন অফ ছিলো তাই।
মনির হোসেন মমি
গোপাল আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। শুভ কামনা রইল।
নিতাই বাবু
জমছে খুব! চলুক আড্ডা! তো আড্ডার তারিখ-মারিখ কবে জানানো হবে? নাকি আপনার পোস্টের মাঝেই আড্ডার কারিশমা আর জিন পরীদের সাজুগুজু?
মনির হোসেন মমি
এটা ব্লগটিকে চব্বিশ ঘন্টা সচল রাখার মাসিক একটি আড্ডা পোষ্ট।ভার্চুয়াল আড্ডা ছেড়ে বাস্তবিক আড্ডার ঘোষনা দিবেন এডমিনগন।গোপালের সাথে কিছু বলার থাকলে বলতে পারেন। গোপাল সূদুর ভারত বর্ষ হতে এসেছেন ভালবাসা দিতে এবং নিতে।আবার আসবেন কিন্তু।
জিসান শা ইকরাম
গোপাল ভাঁড় সোনেলায় আইস্যা গ্যাছে?
বলেন কি মনির ভাই?
মনির হোসেন মমি
জ্বী ভাইজান। আপনেরাও আসুন।সেই কলকাতা হতে এসেছেন সোনেলায় আড্ডায়।
জিসান শা ইকরাম
কলকাতা থেকে সোনেলার জন্য কি নিয়ে এসেছেন গোপাল ভাড়?
মনির হোসেন মমি
পদ্মার ইলিশ।স্ব দেশীয় বস্তু নিজেরা খেতে না পারলেও রপ্তানীতে ওস্তাদ। আসার পথে গোপাল যে ইলিশ মাছগুলো বয়ে এনেছিলো তা কোন নারী ব্লগারকে যে দিয়েছিলেন সুন্দর করে রান্না করতে তা তার নাম স্বরণে নেই তাই এই গুরুদায়ীত্বটা আপনাকেই দিলেন গোপাল খুজেঁ বের করে রান্নার ব্যাবস্থা করেন।গোপাল খুব ক্ষুধার্থ।
জিসান শা ইকরাম
ইলিশ আনলো, পিঁয়াজ নিয়ে আসতে ভুলে গেছে? 🙂
মনির হোসেন মমি
হা হা হা গোপাল আড় চোখে আপনার দিকে তাকাচ্ছে…এ আবার কোন অভিযোগের মধ্যে এসে পড়ল।তবে সে সব সময় বাংলাদেশী পেয়াজঁই পছন্দ করতেন তাতে স্বাধ ভিন্ন রকম।
জিসান শা ইকরাম
এককেজি পিঁয়াজের দামের চেয়ে এক কেজি চিকেনের দাম কম এখন। কি একটা অবস্থায় পরেছি আমরা।
পিঁয়াজের এই সংকট, মন্ত্রীর উক্তি, প্লেনে পিঁয়াজ আনা, টিসিবির পিঁয়াজ বিক্রী, এরপরেও দাম কমানো যাচ্ছে না— এই বিষয়ে সোনেলায় একটি পোষ্ট দেয়া দরকার মনির ভাই। সম্ভব হলে দিন, বিভিন্ন লিংক দিয়ে।
মনির হোসেন মমি
দেখি চেষ্টা করব।
বন্যা লিপি
ওরে ভাই এট্টু খারান, আমি আচারী বেগুন রাইন্দা লইয়াইতাছি, টাটকিনি মাছের পেঁয়াজপাতা, টমেটো পিউরি দিয়া ভূণা। আর রসুন কুচি বাগাড় দিয়া ডাল, গোপাল বাবুরে আপ্যায়নে এর বেশি পারুমনা কিছু করতে।
পরে আবার আইতাছি।
মনির হোসেন মমি
কী আপু সব রেডিতো? খিদায়তো গোপালের জান যায় যায়।
নুর হোসেন
ভাই এইডা কি ঘটাইছেন?
পইড়া পইড়া হাসতে হাসতে সাপের গাওয়ের মত ঠান্ডা ফ্লোরে গড়াগড়ি দিতে মঞ্চাইতাছে…..
কিযে অইলো হাসি আর থামেনা!!
মনির হোসেন মমি
কন কী!! গোপাল বলছেন এতো দিনে তার মনের মত ব্লগার পেয়েছেন।তিনি আপনাকে আড্ডায় থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
নুর হোসেন
ভাইজান, মুই অহনো মায়ের কোলের শিশু!
তয় আপনাগো আড্ডায় উকিঝুকি মাইরা মায়ের কোলেত্তে নামবার চাইতাছি!!
দেহি মোর দাদা-নানারা কিমন আদর করে…..
মনির হোসেন মমি
গোপাল খুব চিন্তায় পড়ে গেলেন। এ আবার কোন মতলবে নিজেকে শিশু ভাবেন?
মোঃ মজিবর রহমান
গোপাল এলা কন খানে???
মনির হোসেন মমি
সোনেলার সকল ব্লগারদের হৃদয়ে হৃদয়ে। আসুন ভাইটি আড্ডায় মাতি।
মোঃ মজিবর রহমান
আইসুন ভাই আইসুন চাপাতি দিই!!!
মনির হোসেন মমি
গোপাল ভয় পাইছেন আপনার চাপাটির কথা শুনিয়া।
ছাইরাছ হেলাল
অনেকদিন আড্ডা হয় না,
সময় করে গোপাল ভাড় কে নিয়ে আড্ডাইলে মন্দ লাগার কথা না।
মনির হোসেন মমি
কই আর পাইলো আড্ডার লোক!!! গোপাল খুব মনক্ষুন্ন হয়ে বসে আছেন। তার সাথে এখনো কেউ কোন কথা বললনা।
নৃ মাসুদ রানা
আড্ডা দিতে খুবই পাগল আমি..
মনির হোসেন মমি
গোপাল আপনাকে আগে থেকে চেনে জানেন।আপনি আড্ডা প্রিয়।আড্ডায় আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আর হে আপনার হিমু সিরিজটি গোপালের খুব মনে ধরেছে। আসুন ভাই সে আপনাদের কথা শুনেতে বলতেই এখানে এসেছেন।
সুরাইয়া পারভিন
অর্ধেক পড়েছি। বাকীটা পরে পড়বো
মনির হোসেন মমি
গোপাল আপনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন তুখোর লেখক পাঠক আপনি। আপনি নিশ্চয় গোপালকে প্রশ্নের বানে হারাতে পারবেন। আসুন আবার আড্ডায় প্রশ্ন করুন মজার মজার গল্প শুনুন।
সুরাইয়া পারভিন
ওরে বাবারে গোপাল ভাঁড়ের বুদ্ধির সাথে পেরে উঠবো কি করে আমি? তবে চেষ্টা করতে দোষ কোথায়।
পুরোটায় পড়ে নিলাম। দারুণ লেগেছে
মনির হোসেন মমি
গোপাল বলছেন
ভয়ের কিছুই নেই।গোপালও আপনার মত রক্তে মাংসের মানুষ। সে পারলে আপনি কেন নয়।
মনির হোসেন মমি
আজকের আড্ডার ফাকিবাজ সভাপতি সাবিনা আফা এবং মুল উদ্দ্যেক্তা জিসান সাহেব কৈ? গোপাল খুজঁছেন আপনাদের…. সে আপনাদের বুদ্ধিমত্তা লেখনি শক্তি সব ডাটা তার সংগ্রহে আছে শুধু তিনি আপনার এই ফাকিবাজীর ডাটা জানা ছিলো না।
মাহবুবুল আলম
ভাল আড্ডার আয়োজন।
তবে…
“যে মানুষটির মন সদা হাস্যজ্জ্বোল থাকে তার জীবনে দুঃখ কষ্ট বলে কিছু থাকে না।” এ কথাটা পুরোপুরি মানতে পারলাম না মমি ভাই। অনেকের হাসির মাঝেও অনেক কষ্ট লুকিয়ে থাকে। কখনও প্রকাশ করেন না।
মনে কিছু নেবে না এটা শুধু বলার জন্য বলা।
মনির হোসেন মমি
না ভাইজান মনে করার কি আছে আপনেরা গুরুজন আপনাদের কাছ হতে আমাদের আরো অনেক কিছু জানার বাকী আছে। আমি হয়তো বুঝাতে পারিনি।
তবে শুনুন গোপাল ভাঁড় কি বললেন… জীবনে দুঃখ কষ্ট টানপোড়ক না থাকলেই কেবল ÓমনÓ ভাল থাকে সদা উৎফুল্ল থাকে। আমি যেন এ কথাটিই বলতে চেয়েছি। হ্যা জোকার মানে যারা হাসায় তারাতো পেশাগত ভাবে মন উৎফুল্ল রাখেন তাই তাদের জীবন হয়তো অনেকের বাস্তবিক ভাবেই নিরান্দময়।
তা যাক…. হাসির রাজা গোপাল আপনাকে নমস্কার জানিয়ে আপনাকে শুভ কামনা জানিয়েছেন।
রেহানা বীথি
এতকিছু হয়ে গেল, নীলপরী চলে গেল ! তবে নীলপরী যে গোপাল ভাঁড়কে রেখে গেছে এতে আমি ভীষণই খুশি। হবো না? হাসির রাজা জ্ঞানের রাজা এখন সোনেলায়! দারুণ… দারুণ!!
মনির হোসেন মমি
গোপাল আপনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।আপনার লেখার গুণগান সে বহু আগে থেকে জ্ঞাত আছেন।এ আড্ডায় সে আপনাকে দেখতে পেয়ে ধন্য। প্রশ্ন রাখুন গোপালকে কি ভাবে হারানো যায়।
জিসান শা ইকরাম
আড্ডা কি শেষ হয়ে গেলো?
আড্ডা চলমান থাকুক, মনির ভাই কি ঘুমাচ্ছেন? 🙂
মনির হোসেন মমি
না ভাইজান গোপাল নিজেই ক্লান্ত তাই একটু ঝিমিয়ে নিচ্ছেন তাছাড়া কেউ নেই যে ঘুম ভাংতে তাঁরে কেউ লাল চা খাওয়াবে।
জিসান শা ইকরাম
কড়া লাল চা খাইয়া আইস্যা পড়ছি, আড্ডা চলুক 🙂
বন্যা লিপি
গোপাল দাদু’র ঝিমানী কি শেষ হইছে? বুঝলামনা তো কিছু! নাই ক্যান কেউ? সিঙ্গায় ফুঁ মারন লাগবে নাকি? কইলকাতাথন আইসা সোনেলা ব্লগের বদনাম দেখবো নাকি গোপাল দাদু? এইডা মোডেও ঠিকনা।
সব ব্লগারগণ খালি নিজেগো লেখা লইয়া ব্যাস্ত থাকলে চলবো? আসেন আসেন সবতে একটু আড্ডাই, চা, মুড়ি,মোয়া খাই। কই সাপ্লাই কই? মনির ভাই আরেক ড্রাম চা’য়ের অর্ডার দিয় ফেলেন তো!!
মনির হোসেন মমি
বছর শেষ সবায় সব দিক দিয়ে ব্যাস্ত গোপাল তা বুঝতে পেরেছেন তাই তিনি নিজেও একটু ঝিমিয়ে নিচ্ছিলেন আপনাকে আর জিসান ভাইকে দেখে আবার জেগে উঠলেন।মনে হয় এবারের লিগার চা’টায় কাজ হয়েছে।
তবে সে হারিকেন দিয়েও সোনালী ইয়াসমিনকে খুজেঁ পাচ্ছেন না।
জিসান শা ইকরাম
যতদুর জানি সোনেলা ইয়াসমিন ১২ তারিখের আগে ফ্রি হতে পারবেন না। তার দুই মেয়ের পরীক্ষা চলে।
মনির হোসেন মমি
ওহ্ তাহলেতো সমস্যাই। যাক ব্যাস্ততা কাটিয়েই আসুক ।
রেহানা বীথি
কড়া লিকারের চা খেয়ে ময়দানে নামছেন গোপাল ভাঁড়। বন্যা আপু আরেক ড্রাম চায়ের অর্ডার দিয়ে ফেলেছেন। আর চিন্তা কী? আড্ডা চলুক।
মনির হোসেন মমি
আপনি কৈ যান আপু
চা খাবেন না? আবার আইসেন গোপালকে দুএকটা কথা বইলা যাইয়েন।
সঞ্জয় মালাকার
দারুণ একটা গল্প পড়লাম বেশ মজাকরে পড়লাম।
মনির হোসেন মমি
গোপাল আপনাকে নমস্কার জানিয়েছেন। গোপাল সম্পর্কে অথবা গোপালের কাছে কিছু জানতে বা বলতে চান?
সঞ্জয় মালাকার
জানতে চাই, কোমন আছে গোপাল।
রেজিনা আহমেদ
আমি দাদুর নাতনি কলকাতা থেকে বলছি
গোপাল দাদুর কাছে কানমলা খেয়ে দারুন লাগলো,
দাদু চিরকাল আমাদের হাসির মাধ্যমে অনেক কিছু শিখিয়েছে,,আর বিপদের দিনে দাদুর বুদ্ধি জিন্দাবাদ,, এভাবে গোপাল দাদুকে আড্ডায় পেয়ে দারুন লাগলো,,সবার মনে গোপাল দাদু একটা জায়গা নিয়ে ছিলো সেই অনেক আগে থেকেই, আর থাকবেও,,
মনির হোসেন মমি
জ্বী আপু গোপাল ভাঁড় বিশ্বের অগণিত বাংলা ভাষাভাষিদের হৃদয়ে স্মৃতি হয়ে বেচে থাকবেন। তার গল্প তার মজার সব কান্ড মানুষকে খানিক হলেও হাসি খুশি রাখার উৎসাহ দেয়।
নাতি যখন পেয়ে গেছি তাহলে আসল তথ্যগুলোও হয়তো পেয়ে যাব।একজন ব্লগার জানতে চেয়েছিলো গোপালের নিকট আসলেই কী তিনি সত্যিই সেই গোপাল ভাঁড় কীনা? গোপাল বলেছিলেন-সব উত্তর আমার নাতি মানে রেজিনা আহমেদ এর নিকট সে বলবে।সে বললে নাকি আমরা বিশ্বাস করব না।তাই …
-আচ্ছা বলতে পারেন উপরে পোষ্টে গোপাল সম্পর্কেতো অনেক কিছুই বলা হল আসলে সত্যটা কী? গোপাল কী আসলেই একজন সাধারন মানুষ ছিলেন? তার যদি কোন কোথাও হারের রেকর্ড থাকে বলবেন কী? তার শেষ জীবনটা কেমন ছিল?