নাহ্, নাতো!
এ-নয় কোন বিগত/বিগতার হরিৎ বিস্মরণের অফুরন্ত নিঃশ্বাস
এমন আগুন আলোয়;
পাহাড়ি বেড়ালের মুহূর্তের নখর আস্ফালন বা
অতৃপ্ত টাট্টু-ঘোটকীর তড়পানো ক্ষুরের আঘাতের আগুন-আলো!
তা কিন্তু নয়;
অশরীরীর হলুদ আলোর হাতছানি!
তাও নয়।
রত্তির হিসেবে নয়, অজস্রতায় টায়ে-টায়ে ভরা
উপচে-উপচে পড়া, এক দঙ্গল সোনেলা;
টই-টই করে, পিয়াস-গন্ধে অহর্নিশ খুঁজে খুঁজে ফেরে;
অনন্তর অনন্ত অনন্তে ছুঁয়ে-ছুঁয়ে যাওয়ার উদ্দীপ্ত উচ্ছলতা,
আহা জীবন! আহারে জীবন!
সুগন্ধ সঞ্চারে সহিষ্ণুতায় আত্মহারা,
লাফানো-হৃদপিণ্ড-অভিসার-স্ফুলিঙ্গের উষ্ণ সমুদ্র-সূর্য…
—————————————-
শুনুন, শুনুন একটুখানি………
আপনাদের অতি প্রিয় ফেবুর সামান্য একটি মন্তব্যের বর্ধিতাংশ
বা এই লেখাটির-ই সংক্ষিপ্তাংশ যা ফেবুর মন্তব্যে দিয়েছি।
অযুত ভালবাসা সব্বাইকে!
২৬টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মন্তব্য নয় এ যেন এক কাব্য কথা,
অযুত নিযুত কোটি কোটি ভালবাসা -{@
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ইঞ্জা
অনন্য অসাধারণ লিখলেন ভাই, স্বাগতম আবার প্রিয় সোনেলায়। (3
ছাইরাছ হেলাল
সবাইকে দেখে সত্যি ভাল লাগল, ভাই।
ইঞ্জা
(3 (y)
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ দিলাম।
নাসির সারওয়ার
ঠিক বুঝলাম না। কিসের ছবি! কোন ছবি!!
হলদে সমুদ্র-সূর্য! বাহ বাহ! সমুদ্রডারে পোড়াইয়া ফালাইলেন!! আগুনডা দিলেন কেমতে?
বরাবর – কুবিতার “ক” ও বুঝিনাই।
ছাইরাছ হেলাল
ইশ্ ইশশিরে!!
কুবি সাব পদধূলি দিলেন!! দিলডা ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগতেছে, পুরোপুরি না।
দেখুন এই সব আউল-ফাউল জিনিসপাতি লড়ালড়ি কইরা টেকো মাথায় চুল গজানোর বৃথা
চেষ্টা করা ঠিক না, ঠিক না।
তবে একখানা কথা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে!
সমুদ্রে অগ্নিকান্ড কে গটাইছে হেইডা জরুরী না, তয় আগুনের রং কিন্তু হলুদ;
এই হলুদ রং দেখে আপনি ম্যালা কিছু ভাবতেই পারেন, হেতে মানা নাই, তয় আপনি যদি
ভাবেন এটি কোন বুড়া/বুড়ির কষ্ট নিঃশ্বাস হেইডা কিন্তু ঠিক না। আবার বে-জায়গায় জংলি বেড়ালের
থাবা খাইয়া চৌক্ষে হইলদা জুনিক দ্যাখলেন, তাও কিন্তু না। তড়পানো ঘোড়ানির ক্ষুরের আঘাতে
পাথরে আগুন ছুটলে হেইডা দেইখ্যা এই হলুদের লগে মিলাইলে হপে না। প্রেতাগ্নিও না
(ভুত/ভুতনিরা যে আগুন জ্বালায় হেইয়াও না)।
এখন কথা অইল তা হলে হইলদাডা কী? কুটি টাকার কঠিন প্রেশ্ন!!
হলুদ হলো মহা মূল্যবান সোনার প্রতীক, সোনালি তরল না কিন্তু, ভুল করে গায়ে মেখে ফেললেন
গলায় না ঢেলে, এটি অলংকার বিশেষ, নিজে পড়লেন, কাউরে পড়াইলেন (যদি থাহে)!!
খালি আনুন্দ আর আনুন্দ……………………………………
এর বেশি বলা যাবে না, মানা করছে, মানা আছে!!
নাসির সারওয়ার
ডরামু নাহি!
তয় পুরাপুরির পূর্ণতা না হওয়াই ভালো। বাকি কিছু নিয়ে বাকি জীবনের বেঁচে থাকার স্বাদ থাকুক না হয়;
আগুনের রঙ হলুদ ঠিকই। লাল, নীল বা সবুজ রঙও হয়তারে কিন্তু। কি দিয়া আগুনডা দিলেন!
মাঝে মাঝে জুনিক দেহি। তয় আম্মে যা কইছেন হেমতে না। দেক্তে কিন্তু ভা্লোই লাগে; খালি দেহি আর দেহি। দেক্তেই থাহি…।।
ছাইরাছ হেলাল
অরিজিনাল জুনিক একবার দ্যাক্লে ইহ জীবনে আর দ্যাক্তে চাইবেন না,
আগুনের রং নানান পদের অইতারে তয় সোনার রং কিন্তু হলুদ-ই।
আমি বুড়া মানু আগুন পামু কৈ!! ছবি ওয়ালাদের জিগান, হ্যারা কইতারবে কেমতে কী!!
কোবতে-ফোবতে কিছু ফিক্কা মারেন, পড়ি-টড়ি!!
জিসান শা ইকরাম
এক দঙ্গল সোনেলাকে নিয়ে এমন ভাবনা আপনার!
ছবিটা দেয়ার পরে আপনার মন্তব্য পড়ে দারুন উদ্বেলিত সোনেলাত সোনারা, অনেক দিন পরে আপনাকে কাছে পেয়ে সবাই একটি আড্ডাই দিয়ে ফেলল।
আসলে সবাই আপনার লেখাকে এবং আপনাকে মিস করে,
নিয়মিত আপনার লেখা প্রত্যাশা করি।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই নিয়মিত লেখার চেষ্টা করে যাব, সোনা সোনা সোনাদের জন্য।
আমিও কম-বেশি সবাইকে মিস করেছি।
সোনাদের নিয়ে না ভেবে উপায় আছে, অনেক সুন্দর সময়ের সাথি তারা।
মৌনতা রিতু
আজ কতোবার ভেবেছি, ঠিক কি লিখব!
যখনই ব্লগে আমার কবিতা নামের ছাইপাশ পোষ্ট করতাম তখন আপনার মন্তব্য খুব মিস্ করতাম। আপনার কবিতার সাথে সাহস করে কিছু শব্দের জোড়া দিয়ে ফেলতাম। কেউ এতো অপেক্ষা করায়!
ব্লগে আপনার কবিতা পড়ে চোখ মন জুড়ায়ে গেলো। কবিতার জন্য ভালবাসা।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন ভাই, যা লিখি তা কবিতা হচ্ছে বলে মনে করি না, কবিতা লেখা কঠিন এক কাজ।
আমিও কিন্তু অনেক কিছুই জোড়াতালি দিয়ে লিখি, তাই ব্যাপার না, আমরা চালিয়েই যাব লেখালিখি যা থাকে কপালে!
অপেক্ষার ফল মিষ্ট! হয়, তাছাড়া আল্লাহ তাদের পছন্দও করেন।
নিয়ম করে নিয়মিত লেখা চালিয়ে জান, পাঠক হাজির থাকবে এখানে।
মৌনতা রিতু
হুম, ফল মিষ্টিই দেখতে পাচ্ছি। লিখব, তা যা পারি। পাঠক দাবড়ানি দিলে বেড়া হবেন তো! ইট, পাথর, বাঁশের, ধুনচে গাছের বেড়া হলেই হবে। শুধু লুকাতে পারলেই ব্যাচ।
লিখতে পারি নির্ভয়ে।
ছাইরাছ হেলাল
লিখুন এবং লিখুন।
আমরা কিন্তু আমরাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
কেমন জানি চেনা চেনা লাগছে!!! 😮
বাপ্রে কী লেখা! পড়ে তো মাথা ঘুরান্ডি দিচ্ছে। “অশরীরীর হলুদ আলোর হাতছানি” এখন বুঝলাম।
সবশেষে দেখি অযুত ভালোবাসাও দিয়ে রাখা হয়েছে! অযুতে চলবেনা, এই এক দঙ্গল সোনেলা চায় নিযুত ভালোবাসা। এবং প্রতিদিনকার উপস্থিত খাতায় “টিক” চিহ্ন রাখা। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমিও তাই-ই ভাবি,
যেন অনেক চিনি উহারে!
কোটি কোটি ভালোবাসার দ্বিপ্রহর থাকবে ঘিরে
টিকের চিহ্ন বুকে নিয়ে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
সময় জানে কি থাকবে, কি থাকবেনা! তা এতোদিন কোথায় ছিলেন?
ছাইরাছ হেলাল
এখানে তো ছিলাম,
আপনাদের ছায়ায় ছায়ায়, ছায়া হয়ে!!
গালিবা ইয়াসমিন
অসাধারণ (y)
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ দিচ্ছি।
তৌহিদ ইসলাম
শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ, চমৎকার লেখা ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ছেন জেনে ভাল লাগল।
ধন্যবাদ।
মায়াবতী
ও মা গো এমন কবিতা কিভাবে লিখেন আপনি ? আমি ভয় পাই মন্তব্য লিখতে ;(
ছাইরাছ হেলাল
ইহা কোন কবিতা নয়,
তবে আপনি কোবতে বলতে বা ভাবতে পারেন,
নির্ভয়ে চালিয়ে দিন চোখ বুজে!!
ইহা-নিতান্তই আবজাব/আউল-ফাউল!