আমার স্মৃতিপটের অন্যতম সুন্দর দৃশ্যগুলোর মধ্যে একটি এ রকম…
স্থানঃ
একটি শুকনো নদী, একপাশে শহর অন্যপাশে গ্রাম
সময়ঃ
দুপুর, মেঘহীন আকাশ
দৃশ্যঃ
মাঝনদীতে একটি ছেলে আর একটি মেয়ে। নদীতে পানি নেই। মাঝনদীতে যতটুকু দেখা যায় শুধু বালি আর বালি। দুপুরের রোদে বালিগুলো চিকচিক করছে। নদীর বামপাশের ঢালু পাড় শুরু হয়েছে এক সরু পাকা রাস্তা থেকে। রাস্তা ঘেসে দাঁড়িয়ে আছে গাছে ঢাকা একটি তিনতলা বিল্ডিং সাদা রঙ করা। ডানপাশে লালচে মাটির পা হাঁটা পথ দেখা যায় চিকচিকে বালির শেষ মাথা থেকে। এপাশের ঢালটা একটু খাড়া। নদীর বাঁধ ঘেসে দাঁড়িয়ে একটি হেলানো তালগাছ সাথে ওর প্রতিবেশী কিছু নাম না জানা গাছ আর গুল্ম।
মেয়েটির বয়স দেখে মনে হয় ষোল – হালকা শরীরের গঠন। বামহাতের তর্জনী আর মধ্যমাতে ঝুলানো একজোড়া চামড়ার সেন্ডেল, দেখেই বোঝা যায় খুলেছে এইমাত্র বালিতে নেমেই। ডানহাতটি কৌণিকভাবে ঢুকে আছে ছেলেটির বামহাত জড়িয়ে। ছেলেটির ডানহাতের তর্জনীতে ঝুলে আছে ছেলেটির সেন্ডেলজোড়া। মেয়েটির গায়ে জড়িয়ে আছে সাধারণ ডিজাইনের সাদা রঙের সালোয়াড়-কামিছ, মধ্যদুপুরের আলোয় যা পেয়েছে অপরূপ শুভ্রতা। ছেলেটি ছাই রঙের একটি প্যান্ট পরা সাথে আকাশী নীল আর সাদায় মেলানো ডোরাকাটা পোলো শার্ট, হালকা গড়নের ছেলেটির গায়ে একটু ঢিলেঢালাই লাগছে।
উত্তপ্ত বালিতে ডুবানো পা দু’জনেরই দেখা যাচ্ছে। ওরা হেঁটে যাচ্ছে বাম থেকে ডানে, গ্রামের পাড়ের দিকে। নদীর পাড় ছাপিয়ে উঁকি দিচ্ছে গ্রামের ঊঁচু গাছগুলো। ছেলেটি একটু বামে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে আছে মেয়েটির দিকে। ছেলেটি মেয়েটির থেকে একটু ঊঁচু, এ পাশ থেকে ছেলেটির চেহারা দেখা যায় না। বাম গালটা একটু স্পষ্ট, গালের মাংসপেশীগুলো উপরের দিকে টানা। মেয়েটিকে স্পষ্ট দেখা যায়। সাধারণভাবে আচড়ানো কালো চুল। সিল্কি চুলের ওড়াঊড়িতে বোঝা যাচ্ছে বাতাশ বয়ে চলেছে ডান থেকে বামে, এক গোছা একটু বেঁকে ঠাঁই নিয়েছে মেয়েটির কাঁধ ছুঁয়ে। মেয়েটির ডান কানটি দেখা যাচ্ছে, নিরাভরণ। মেয়েটির ঠোঁট একটু খোলা, চাহনি ছেলেটির চোখের দিকে। ঘাড় একটু উঁচু করে তাকানো, চোখে মুখে কেবলই মুগ্ধতা, স্নিগ্ধতা, ভালোলাগা। যেন কত কি বলছে সে চোখ! খালিপায়ে উত্তপ্ত বালির তাপ ক’জনই বা পারে নিতে এভাবে, একসাথে?
বর্ননা অসাধারন।
একদম যেন চোখের সামনে দেখতে পেলাম বালিয়াড়ি,ছেলেটি এবং মেয়েটিকে।
নিম গাছ,তাল গাছ,তর্জনীতে ঝুলন্ত স্যান্ডেল-যেন একটা স্বপ্নের ঘোরে চলে গেলাম।
অসাধারন-আরো একবার বলতেই হচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনাকে। যাক, একজন তো দেখতে পেয়েছে দৃশ্যটি! আমি একজন শিল্পী খুঁজছি যে এই চিত্রটি আঁকতে পারে। লেখাটিকে অতিবিশেষায়িত না করলেই বোধহয় ভালো। তবে আপনার টেস্ট বাডগুলো আমার চেয়ে প্রখর হলে আমি আপনাকে থামাই কি করে?
আপনি যে পড়েছেন জেনে ভালো লাগছে। আসলে এটি কোন কল্পনা না। এটি আমার মেমোরির একটি স্থিরচিত্র, যেখানে Shift+Del কোন কাজ করেনা। ৯৪ থেকে ৭৮ বিয়োগ করলে তো ১৬ ই হয়।
আপনি এমন ভাবে বললেন যেন কোন সিনেমা বা নাটকের দৃশ্যের শ্যুটিং ের প্রস্তুতি, এরপরেই কথা বা ঘটনা শুরু হবে। আপনার কল্পনার সীমা গভীর। সত্যি হলে এমন রঙ্গিন স্মৃতির কথা মনে থাকবেই। স্মৃতিপটের সুন্দর দৃশ্যগুলো অংকন করুন আরো। যদিও করবেন বলেই পর্ব ১ দিয়েছেন -{@ (y)
ধন্যবাদ আপনাকে। বাহ্, চমৎকার ধরেছেন। স্ক্রিনপ্লে লেখেন নাকি? আপনার ভাবনাটা অবশ্য মন্দ না, একটু মডিফাই করে একটা স্ক্রিনপ্লে লেখা শুরু করা যেতে পারে, যদিও সে ভাবনা থেকে এ আমি লেখিনি। হ্যাঁ, ইচ্ছে আছে আরও কিছু লিখে যাব যেখানে আমার Shift+Del কাজ করে না। থ্যাঙ্কস্ এগেইন।
ভাই ছাইরাছ হেলাল, আপনাকে ধন্যবাদ। চেষ্টা করেছি আমি যা দেখি, যেখানে আমি মাঝে মাঝেই আটকে থাকি তা আপনাদের সাথে শেয়ার করা যায় কি না। আপনাদের মন্তব্য পড়ে সত্যি আমার খুব ভালো লাগছে। এত ভালো কথা শুনলে তো আমি পুরো সুস্থ হয়ে যাব। তখন কি আর বেরোবে এই আর্তনাদ?
মনে গেথে গেলো দৃশ্যপটগুলো এমন ভাবে লেখেন যেন বাস্তবেই দেখছি।
-{@ কোথাও বালি পেলেই পা ডুবিয়ে বালির উত্তাপ ঠিকই নিই একখনও, শুধু পাইনা ওই হাত, সেই চোখ, সেই মুগ্ধতা, সেই ভালোলাগা – সেই স্বপ্ন বোনা। -{@
সহমত -{@
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। তিনটি গোলাপ একসাথে ক’জনার কপালে জোটে! I’m really very happy seeing all of your comments and good words. আমার অভ্র শেখার বয়স এক সপ্তাহেরও কম। শিখলাম সোনেলাতে লিখব বলে। দৃশ্যটি আপনাকে ছুঁয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে – ভালো লাগছে।
অরণ্য নাম দেখে ভাবলাম, বন জংগল বিষয়ক কিছু লেখা পাবো। কিন্তু লেখা পড়ে চমকিত হলাম। ভিন্ন ধরনের একটি লেখার স্বাদ পেলাম। খালিপায়ে উত্তপ্ত বালির তাপ একসাথে নেয়ার স্মৃতি ভুলা যায়না আসলে। আরো লিখুন এমন স্মৃতি। অপেক্ষায় থাকবো। (y)
চমৎকার বর্ণনার ছটা, সাবলীল উপস্থাপনায় মনের অজান্তে পাঠক মনে একটি দৃশ্য অংকিত করে. আপনার স্মৃতি রোমন্থন হলেও সময়ের গর্ভে লুকানো স্মৃতিগুলোকে সতেজ করে রাখতে পেরেছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। অনেক অনেক ভালো লেগেছে। নিয়মিত লিখুন আরো বেশি বেশি। এই লেখাটিকে ব্যক্তিগত সংরক্ষণে রেখে দিলাম। খুব ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে। পুরোপুরিভাবে উত্তরটা দিতে তা হয়তো রুপ নেবে উপন্যাসে। ছোট্ট একটা স্ন্যাপশট দেই আপনাকে। এক লাইনের একটা চিঠি “তোর কাছে ক্ষমা চাওয়ার যোগ্যতা আমার নেই। ক্ষমা করিস।” – কে ধরে বসে থাকা ঠিক ছিল না, টের পাই। ক্ষমার চেয়ে কাঙালপনা যে কত জরুরী ছিল দু’টি জীবনের জন্য তখন বুঝিনি, এখন বুঝি। ২০১৪ সালের নভেম্বরের ১৩ তারিখে না হয় এটুকুই থাক।
আপনার স্মৃতিশক্তি এবং দৃস্টিশক্তি দুটোই অবাক করছে। বর্ণনাতে মুগ্ধতা আচ্ছন্ন করলো। মৌরিন আপুর মতো আমারও যেন মনে হলো চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি তাদের। বালির মধ্যে চোরাবালিতে পরেন নি ভাগ্যিস 🙂
এভাবে লিখতে থাকলে আপনার ভক্ত হয়ে যেতে দেরি লাগবেনা। অপেক্ষা করছি পরের লেখার। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাদের ভাল মন আছে তাই হয়তো একটু বেশি ভালভাবে দেখার চেষ্টা করছেন এবং দেখতে পাচ্ছেন। জেনে আমারও ভাল লাগছে। আপনাকে লিখতে গিয়ে একটা ঘটনা মনে পড়ল। ভার্সিটি লাইফের ঘটনা। আমরা একটা গ্রুপ ধরে গেছি ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের সুন্দরীদের দেখতে, সান্নিধ্য নিতেও বলতে পারেন। ওদের মধ্যে একজন আমার এক বন্ধুকে বেশ পছন্দ করতো, আমার বন্ধুটির ভাস্যমতে। ওর সাথেই একটু বেশি কথা হচ্ছে আমাদের। আমরা ছিলাম হৈ চৈ পার্টি – কাজে অকাজে চিৎকার চেঁচামেচি, নচিকেতা-অঞ্জন-সুমন গলায় আছে সারাক্ষণ। মেয়েটির নাম মনে আছে, সুমনা। গ্রুপের মধ্যে একটু বেশি সুন্দরী, চটপটে আর ঢঙ্গি। নিজেদের বেশি সুন্দরী ভাবা মেয়েরা একটু ঢঙ্গিই হয়। এরা আবার মাঝে মাঝে এদের সৌন্দর্যের ভোট (অনেকটা ফেইসবুক লাইকের মত) আদায় করে নেয় নানা ভাবে। আড্ডার মাঝখানে হুট করে তার জিজ্ঞাসা “আচ্ছা, বলতো কেমন লাগছে আমাকে?”। সারাক্ষণ তো দেখছিই মেয়েটিকে, এবার একটু ভাল করে দেখার আরও সুযোগ এল। উজ্জ্বল শ্যামলা রঙের মেয়েটাকে সবুজ পোষাকে বেশ মানিয়েছে, তার চেহারার স্নিগ্ধতা এবার ভালই টের পেলাম। বললাম “তোমাকে দেখাচ্ছে এইমাত্র বৃষ্টিতে ধুয়ে যাওয়া সবুজ ডাকড় আমের মত। Looking so fresh.”। ওমা, মেয়েটা বুঝলই না। সে কি মাইন্ড, তাকে আমের সাথে তুলনা!
:D) হা হা হা হা , মজা পেলাম ভাই, ঠিকই তো আপনি তাঁকে আমের সাথে তুলনা কেনো করলেন? আম যে বাংলা ৫ এর মত থাকে তা কি আপনি জানেন না? এমন কিউট স্মৃতিকে ধরে রাখুন ভাই।
অরণ্য
এবার ভাই আমারও হাসি পাচ্ছে। আজ বুঝলাম মেয়েটা এত মাইন্ড করেছিল কেন। তবে আমি শুধু সাইজ এন্ড শেপ নিয়ে ছিলাম না।
লীলাবতী
এমন ভাবে লিখলেন যে মনে হয় সত্য ঘটনা লিখলেন। আপনি বেশ গুছিয়ে লিখতে পারেন।
ধন্যবাদ লীলাবতী। আমরা অনেক অগোছালোরাও চাইলে অনেক কিছু গুছিয়ে দেখতে পারে, আঁকতে পারে। চাই শুধু দেখার সাহস, আঁকার সাহস – সাথে সময়, প্রতিবেশ, পরিবেশ। আপনার মনই ঠিক।
প্রথমতঃ বুঝতে পারলাম লেখাটি পড়ে আপনার ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
দ্বিতীয়তঃ আমাকে আপনার হিংসে করতে হবেনা। হিংসা করা ভাল না, চাইলে ঈর্শা করতে পারেন। সম্ভবত আপনি ঈর্শাই বুঝাতে চেয়েছেন।
তৃতীয়তঃ এত বেশি মনে রাখতে নেই। মানুষ কালের স্রোতে ধীরে ধীরে অনেক কিছুই ভুলে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। আপনি স্বাভাবিকের দলে। এবার হাসুন। আপনার প্রোফাইল পিকচারের হাসিটি অনেক সুন্দর। এবার আরও হাসুন।
৩৪টি মন্তব্য
নুসরাত মৌরিন
বর্ননা অসাধারন।
একদম যেন চোখের সামনে দেখতে পেলাম বালিয়াড়ি,ছেলেটি এবং মেয়েটিকে।
নিম গাছ,তাল গাছ,তর্জনীতে ঝুলন্ত স্যান্ডেল-যেন একটা স্বপ্নের ঘোরে চলে গেলাম।
অসাধারন-আরো একবার বলতেই হচ্ছে।
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে। যাক, একজন তো দেখতে পেয়েছে দৃশ্যটি! আমি একজন শিল্পী খুঁজছি যে এই চিত্রটি আঁকতে পারে। লেখাটিকে অতিবিশেষায়িত না করলেই বোধহয় ভালো। তবে আপনার টেস্ট বাডগুলো আমার চেয়ে প্রখর হলে আমি আপনাকে থামাই কি করে?
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
এত কম বয়সে হবে না। এ কল্পনা মার খেয়ে যাবে।
অরণ্য
আপনি যে পড়েছেন জেনে ভালো লাগছে। আসলে এটি কোন কল্পনা না। এটি আমার মেমোরির একটি স্থিরচিত্র, যেখানে Shift+Del কোন কাজ করেনা। ৯৪ থেকে ৭৮ বিয়োগ করলে তো ১৬ ই হয়।
সোনিয়া হক
আপনি এমন ভাবে বললেন যেন কোন সিনেমা বা নাটকের দৃশ্যের শ্যুটিং ের প্রস্তুতি, এরপরেই কথা বা ঘটনা শুরু হবে। আপনার কল্পনার সীমা গভীর। সত্যি হলে এমন রঙ্গিন স্মৃতির কথা মনে থাকবেই। স্মৃতিপটের সুন্দর দৃশ্যগুলো অংকন করুন আরো। যদিও করবেন বলেই পর্ব ১ দিয়েছেন -{@ (y)
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে। বাহ্, চমৎকার ধরেছেন। স্ক্রিনপ্লে লেখেন নাকি? আপনার ভাবনাটা অবশ্য মন্দ না, একটু মডিফাই করে একটা স্ক্রিনপ্লে লেখা শুরু করা যেতে পারে, যদিও সে ভাবনা থেকে এ আমি লেখিনি। হ্যাঁ, ইচ্ছে আছে আরও কিছু লিখে যাব যেখানে আমার Shift+Del কাজ করে না। থ্যাঙ্কস্ এগেইন।
ছাইরাছ হেলাল
বেশ অসাধারণ কল্প চিত্র।
অরণ্য
ভাই ছাইরাছ হেলাল, আপনাকে ধন্যবাদ। চেষ্টা করেছি আমি যা দেখি, যেখানে আমি মাঝে মাঝেই আটকে থাকি তা আপনাদের সাথে শেয়ার করা যায় কি না। আপনাদের মন্তব্য পড়ে সত্যি আমার খুব ভালো লাগছে। এত ভালো কথা শুনলে তো আমি পুরো সুস্থ হয়ে যাব। তখন কি আর বেরোবে এই আর্তনাদ?
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মনে গেথে গেলো দৃশ্যপটগুলো এমন ভাবে লেখেন যেন বাস্তবেই দেখছি।
-{@ কোথাও বালি পেলেই পা ডুবিয়ে বালির উত্তাপ ঠিকই নিই একখনও, শুধু পাইনা ওই হাত, সেই চোখ, সেই মুগ্ধতা, সেই ভালোলাগা – সেই স্বপ্ন বোনা। -{@
সহমত -{@
অরণ্য
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। তিনটি গোলাপ একসাথে ক’জনার কপালে জোটে! I’m really very happy seeing all of your comments and good words. আমার অভ্র শেখার বয়স এক সপ্তাহেরও কম। শিখলাম সোনেলাতে লিখব বলে। দৃশ্যটি আপনাকে ছুঁয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে – ভালো লাগছে।
মরুভূমির জলদস্যু
এমন নিখুত বর্ননা করা বিশাল ব্যাপার। -{@
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাদের মন্তব্যগুলো আমাকে নাড়া দিচ্ছে ভীষণভাবে, অনুপ্রাণিত করছে আরও লিখে যেতে। আমি জানিনা কতটুকু পেরে উঠব শেষ পর্যন্ত।
শিশির কনা
অরণ্য নাম দেখে ভাবলাম, বন জংগল বিষয়ক কিছু লেখা পাবো। কিন্তু লেখা পড়ে চমকিত হলাম। ভিন্ন ধরনের একটি লেখার স্বাদ পেলাম। খালিপায়ে উত্তপ্ত বালির তাপ একসাথে নেয়ার স্মৃতি ভুলা যায়না আসলে। আরো লিখুন এমন স্মৃতি। অপেক্ষায় থাকবো। (y)
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে। আরও লিখে যাবার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছি। আপনারা সাথে আছেন, না লিখে পারি কি করে!
খেয়ালী মেয়ে
কল্পনাশক্তির প্রশংসা না করে পারলাম…..দারুন (y)
অরণ্য
ধন্যবাদ খেয়ালী মেয়েকে।
বন্য
চমৎকার বর্ণনার ছটা, সাবলীল উপস্থাপনায় মনের অজান্তে পাঠক মনে একটি দৃশ্য অংকিত করে. আপনার স্মৃতি রোমন্থন হলেও সময়ের গর্ভে লুকানো স্মৃতিগুলোকে সতেজ করে রাখতে পেরেছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। অনেক অনেক ভালো লেগেছে। নিয়মিত লিখুন আরো বেশি বেশি। এই লেখাটিকে ব্যক্তিগত সংরক্ষণে রেখে দিলাম। খুব ভালো থাকবেন।
অরণ্য
আপনাদের ভালোলাগায় শেষ পর্যন্ত না রাইটার বনে যাই! আপনার ব্যক্তিগত সংরক্ষণে আমার একটা লেখা জায়গা করে নিয়েছে – এ আমার অনেক বড় পাওয়া। শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
ভালো লেগেছে ভিন্ন ধর্মী লেখা। সেই হাত, চোখ ছেরে দিলেন কেনো?
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে। পুরোপুরিভাবে উত্তরটা দিতে তা হয়তো রুপ নেবে উপন্যাসে। ছোট্ট একটা স্ন্যাপশট দেই আপনাকে। এক লাইনের একটা চিঠি “তোর কাছে ক্ষমা চাওয়ার যোগ্যতা আমার নেই। ক্ষমা করিস।” – কে ধরে বসে থাকা ঠিক ছিল না, টের পাই। ক্ষমার চেয়ে কাঙালপনা যে কত জরুরী ছিল দু’টি জীবনের জন্য তখন বুঝিনি, এখন বুঝি। ২০১৪ সালের নভেম্বরের ১৩ তারিখে না হয় এটুকুই থাক।
শুন্য শুন্যালয়
আপনার স্মৃতিশক্তি এবং দৃস্টিশক্তি দুটোই অবাক করছে। বর্ণনাতে মুগ্ধতা আচ্ছন্ন করলো। মৌরিন আপুর মতো আমারও যেন মনে হলো চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি তাদের। বালির মধ্যে চোরাবালিতে পরেন নি ভাগ্যিস 🙂
এভাবে লিখতে থাকলে আপনার ভক্ত হয়ে যেতে দেরি লাগবেনা। অপেক্ষা করছি পরের লেখার। ভালো থাকবেন।
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে। কেন জানি মনে হচ্ছে একটু ভালই লেখে ফেলেছি বোধহয়! এই বুড়ো বয়সে কতটা নিয়মিত লিখতে পারব জানিনা। তবে লিখব, একটু পাগলামি ভর করলেই লিখব। নাহ্, এমনিতেই লিখব। আপনার জন্যও শুভকামনা।
জিসান শা ইকরাম
স্মৃতি গুলো উজ্জ্বল থাকে এভাবেই
স্মৃতিকে যত্নে রাখুন
উজ্জ্বলতা যেন ম্লান না হয়।
শুভ কামনা সেই ছেলেটি এবং মেয়েটি উভয়ের জন্য।
ভালো থাকুক তাঁরা।
আরো লেখার প্রতিক্ষায়।
অরণ্য
ধন্যবাদ ভাইয়া। আরো লিখে যাব, ইনশাল্লাহ্। আপনার জন্যও শুভ কামনা।
ব্লগার সজীব
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম আপনার স্মৃতি। আরো পড়তে চাই -{@ (y)
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাদের ভাল মন আছে তাই হয়তো একটু বেশি ভালভাবে দেখার চেষ্টা করছেন এবং দেখতে পাচ্ছেন। জেনে আমারও ভাল লাগছে। আপনাকে লিখতে গিয়ে একটা ঘটনা মনে পড়ল। ভার্সিটি লাইফের ঘটনা। আমরা একটা গ্রুপ ধরে গেছি ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের সুন্দরীদের দেখতে, সান্নিধ্য নিতেও বলতে পারেন। ওদের মধ্যে একজন আমার এক বন্ধুকে বেশ পছন্দ করতো, আমার বন্ধুটির ভাস্যমতে। ওর সাথেই একটু বেশি কথা হচ্ছে আমাদের। আমরা ছিলাম হৈ চৈ পার্টি – কাজে অকাজে চিৎকার চেঁচামেচি, নচিকেতা-অঞ্জন-সুমন গলায় আছে সারাক্ষণ। মেয়েটির নাম মনে আছে, সুমনা। গ্রুপের মধ্যে একটু বেশি সুন্দরী, চটপটে আর ঢঙ্গি। নিজেদের বেশি সুন্দরী ভাবা মেয়েরা একটু ঢঙ্গিই হয়। এরা আবার মাঝে মাঝে এদের সৌন্দর্যের ভোট (অনেকটা ফেইসবুক লাইকের মত) আদায় করে নেয় নানা ভাবে। আড্ডার মাঝখানে হুট করে তার জিজ্ঞাসা “আচ্ছা, বলতো কেমন লাগছে আমাকে?”। সারাক্ষণ তো দেখছিই মেয়েটিকে, এবার একটু ভাল করে দেখার আরও সুযোগ এল। উজ্জ্বল শ্যামলা রঙের মেয়েটাকে সবুজ পোষাকে বেশ মানিয়েছে, তার চেহারার স্নিগ্ধতা এবার ভালই টের পেলাম। বললাম “তোমাকে দেখাচ্ছে এইমাত্র বৃষ্টিতে ধুয়ে যাওয়া সবুজ ডাকড় আমের মত। Looking so fresh.”। ওমা, মেয়েটা বুঝলই না। সে কি মাইন্ড, তাকে আমের সাথে তুলনা!
ব্লগার সজীব
:D) হা হা হা হা , মজা পেলাম ভাই, ঠিকই তো আপনি তাঁকে আমের সাথে তুলনা কেনো করলেন? আম যে বাংলা ৫ এর মত থাকে তা কি আপনি জানেন না? এমন কিউট স্মৃতিকে ধরে রাখুন ভাই।
অরণ্য
এবার ভাই আমারও হাসি পাচ্ছে। আজ বুঝলাম মেয়েটা এত মাইন্ড করেছিল কেন। তবে আমি শুধু সাইজ এন্ড শেপ নিয়ে ছিলাম না।
লীলাবতী
এমন ভাবে লিখলেন যে মনে হয় সত্য ঘটনা লিখলেন। আপনি বেশ গুছিয়ে লিখতে পারেন।
অরণ্য
ধন্যবাদ লীলাবতী। আমরা অনেক অগোছালোরাও চাইলে অনেক কিছু গুছিয়ে দেখতে পারে, আঁকতে পারে। চাই শুধু দেখার সাহস, আঁকার সাহস – সাথে সময়, প্রতিবেশ, পরিবেশ। আপনার মনই ঠিক।
নওশিন মিশু
আমি স্পষ্ট করে কোন কিছুই দেখতে পাইনা। বড্ড হিংসা হলো আপনাকে…… 🙂
অরণ্য
প্রথমতঃ বুঝতে পারলাম লেখাটি পড়ে আপনার ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
দ্বিতীয়তঃ আমাকে আপনার হিংসে করতে হবেনা। হিংসা করা ভাল না, চাইলে ঈর্শা করতে পারেন। সম্ভবত আপনি ঈর্শাই বুঝাতে চেয়েছেন।
তৃতীয়তঃ এত বেশি মনে রাখতে নেই। মানুষ কালের স্রোতে ধীরে ধীরে অনেক কিছুই ভুলে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। আপনি স্বাভাবিকের দলে। এবার হাসুন। আপনার প্রোফাইল পিকচারের হাসিটি অনেক সুন্দর। এবার আরও হাসুন।
সাইদ মিলটন
এইখানে ক্রন্দন নেই – ছিলোনা কোনদিন 🙂
অরণ্য
নাহ্, এইখানে ক্রন্দন নেই। 🙂