
আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দাও! শ্রদ্ধেয় ব্লগার নাসির সারওয়ার ভাইয়ের লেখা এমন অদ্ভুত আদুরেপনা ডায়লগটি তৌহিদ গত দু’দিন থেকে নিজের মনে আউড়িয়ে যাচ্ছে। তার নাকি এই বাক্যটি খুব মনে ধরেছে এবং সে সময়ে অসময়ে এটিকে তসবি গোনার মত মুখে জপছে। আমি যতই বিরক্তিভাব নিয়ে তার দিকে তাকাইনা কেন সে যে বিষয়টিকে উপভোগ করছে তা বলাই বাহুল্য।
বললাম ঢং! এসব ভীমরতি বাদ দেন। সিনেমা দেখতে যাবার কথা সেটা কি ভুলে গেছেন? নাকি আজ আবারো বলবেন- আমার বড্ড ক্লান্ত লাগছে! একথা শুনে তার গতানুগতিক একই উত্তর – আরে নাহ! কি যে বলো। হোম মিনিস্টারকে চেতিয়ে তার মুড অফ করতে চাইনা। এখন সিনেপ্লেক্সে যে সিনামাই চলছে সেটাই দেখবো চলো।
বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্স এ আসার পরে লিফটে পা রাখতেই সাবিনা আপু এবং বন্যা লিপি আপুর সাথে দেখা। হঠাৎ দেখা হওয়াতে সবাই সবার মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। তারপরে একসাথে ফিক করে হেসে দিলাম আমরা সবাই। সাবিনা আপুতো আমাদের দেখে মহা খুশি! বন্যা আপুকে দেখার ইচ্ছেটাও এতদিনে পূরণ হলো আমার। আপুরা দু’জনেই নাকি সিনেমা দেখতে এসেছেন। সিনেমার নাম- বেদের মেয়ে জোসনা টু!
সাবিনা আপু একটি বিস্ময়কর তথ্য দিলেন। গোপন সূত্রে তিনি খবর পেয়েছেন- হেলাল ভাই, জিসান দাদা, ইঞ্জা ভাই এবং মমি ভাই প্ল্যান করে এই সিনেমা দেখতে আসছেন। তারা একা একা সিনেমা দেখার মজা নেবেন আর আমরা কি বাসায় ললিপপ খাবো?
বললাম, মোটেই না।
বন্যা আপু বললেন- সবাই মিলেই না হয় দেখতাম, তারা আমাদের ফাঁকি দিয়েছেন কেন? তাই পিছু নিয়ে এসেছি, চলেন আজ তাদের ধরতেই হবে। নিশ্চই এটি মজার একটি সিনেমা। এই সিনেমা আজ দেখতেই হবে, সিনিয়র ব্লগারদের সাথে সিনেমা দেখাটা কিছুতেই মিস করা যাবেনা।
সিনেমা শুরু হতে তখনো দেরী আছে কিছুটা। বললাম চলুন আপুরা আগে পেটপুজা করে মাথা ঠাণ্ডা করি। ফুডকোর্টে এসে দেখি রেহানা আপু এবং দুলাভাই দু’জনে পাশাপাশি বসে কফির চুমুকে চুমুকে গুটুরমুটুর ফিসফাস কানাকানির মাখামাখিতে গল্প করছিলেন। এনাদের দেখলেই বোঝা যায় দাম্পত্য প্রেম কত মধুর!
রেহানা আপু আর দুলাভাই মধুর হাসি দিয়ে আমাদেরকে তাদের টেবিলে আমন্ত্রণ জানালেন। দুলাভাইয়ের শত আপত্তিকে সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করে তৌহিদ খাবারের বিল পরিশোধ করে দিলো। কথায় কথায় জানাগেলো দুলাভাই আপু এনারাও বেদের মেয়ে জোসনা টু দেখতে এসেছেন। আচ্ছা সবাই কি বুদ্ধি করেই এসেছেন নাকি?
আমরা সিনেপ্লেক্সের দরজার কাছে এসে দেখি ক্যাপ মাথায় হেলাল ভাইয়া, জিসান দাদা এবং ইঞ্জা ভাই সবাই মমি ভাইয়ের অপেক্ষা করছেন। আমাদের দেখে হকচকিয়ে ইঞ্জা ভাই জিজ্ঞেস করলেন- আপু আপনারাও কি সিনেমা দেখতে এসেছেন?
সাবিনা আপু বললেন- না ইঞ্জা ভাই, আমরা এখানে আপনাদের পিছু পিছু ক্রিকেট খেলতে এসেছি। জিসান দাদা বললেন দেখলেনতো! আমি আগেই বলেছিলাম এই খবর গোপন থাকবেনা, ঠিকই প্রকাশ হবে।
হেলাল ভাই গুরুগম্ভীর মানুষ। সিনেপ্লেক্সের দেয়ালে বেদের মেয়ে জোসনার লাইটিং পোষ্টার তার চোখে পড়লো। নায়ক ট্রাম্পেট হাতে বেদের স্টাইলে বীণ বাজাচ্ছে আর নায়িকার মাথায় এলইডি বাল্বের মত উজ্জ্বল সাপের মণি টাইপ কিছু একটা শোভা পাচ্ছে। পোষ্টারে নাগিনীর এমন রুপ দেখে হেলাল ভাই কবিতার ছন্দে বলে উঠলেন-
“মস্তকে মণিধারী ডিজিটাল জোসনা
বনলতা নয় সে বিষধারী নাগিনা …”
মহারাজ কবিতা ছাড়েন, আগে বলেন এই সিনেমার কথা আমাদের জানাননি কেন? তৌহিদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করতেই সাবিনা আপু বললেন- থাক আপনাকে আর সাফাই গাইতে হবেনা তৌহিদ ভাই। নিজেরা নিজেরা আপনারা ঠিক। আপনিও জানতেন এনারা সিনেমা দেখতে আসবেন তাইনা?
সাবিনা আপুর এমন হম্বিতম্বিতে অসহায় ভাব নিয়ে আমাদের সবার জন্য টিকেট কিনলেন জিসান দাদা। ইঞ্জা ভাই কিনলেন পপকর্ণ আর চিপস। তবে তাকে চকলেট কিনতেও দেখলাম। নিশ্চই ভাবীর জন্য! রেহানা আপু এবং দুলাভাই এসব কান্ড দেখে যে মজাই পাচ্ছিলেন তাদের হাসিতেই বোঝা গেলো।
সিনেমা শুরু হয়েছে অথচ মমি ভাই নাকি জ্যামের কারনে আটকা পড়েছেন রাস্তায়! এসবের মাঝখানে বন্যা আপুর ফোন বেজে উঠতেই বিরক্তিভাব নিয়ে তিনি কাকে যেনো বললেন- যা রান্না করা আছে তাই খাও। আমি আর সাবিনা সবার সাথে সিনেমা দেখে ফিরবো একথা বলে সিনেমার দিকে নজর দিলেন।
সিনেমায় কোটিপতি চৌধুরীর ছেলে নায়ক ফরহাদকে জঙ্গলে বেদের মেয়ে জোসনা সাপে কাটার হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে এক চুটকিতেই তাদের মন দেয়া নেয়া হয়ে যায়। কিন্তু বাঁধ সেজেছে চৌধুরী। অন্যদিকে নায়কের প্রতিপক্ষ হচ্ছে জোসনার বাবা বেদে সর্দারের ডানহাত ভবিষ্যৎ কাবিলা প্রধান গালকাটা ম্যাক্স ভাই।
গাল কাটা ম্যাক্স বলছে- জোসনা তুই শুধু আমার! আজ তোকে আমার হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পারবেনা। হি হি হি হা হআআ হা..
জোসনা- শয়তান! এই জীবন থাকতে তুই আমাকে কোনদিনও পাবিনা। তোর সব কথা আমি পিতাজিকে বলে দেবো।
চৌধুরী- জোসনা তুমি সামান্য বেদের মেয়ে হয়ে চৌধুরী পরিবারের বউ হবার স্বপ্ন দেখছো! তুমি জানো তোমাদের মতো বেদের মেয়েদেরকে আমি এক চুটকীতেই নাগিন ড্যান্স দেয়াতে পারি?
বেদে সর্দার- চৌধুরী সাহেব, আমরা বেদে হতে পারি কিন্তু লোভী নই। টাকার নেশায় আপনি অন্ধ হয়ে গিয়েছেন। মনে রাখবেন আমরা বিষাক্ত নাগ নিয়ে খেলা করি। বিষের আগুনে জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যাবেন। আর সে আগুন নেভানোর শক্তি আপনার নেই!
ইতিমধ্যেই সিনেমা জমে উঠেছে। সবার মনোযোগ বিশাল পর্দার দিকে। হঠাৎ সিনেমাহলের দরজা খুলে যাওয়ায় দর্শকদের অনেকেই বিরক্তিভাব নিয়ে সেদিকে তাকাচ্ছে- কে এলো! দেখি লেট লতিফের মতো মমি ভাই অন্ধকারে হাতড়িয়ে হাতড়িয়ে টিকেট চেকারের সাথে আমাদের দিকে এগিয়ে আসছেন।
মমিভাই সিটে বসতেই কে যেনো উরে মা! বলে চিৎকার করে উঠলো। কি হলো! কি হলো! মমি ভাই ভুল করে নিজের সিটে না বসে কার যেনো কোলে বসে পড়েছেন। মমি ভাই যতই বলছেন স্যরি! স্যরি! ততই আমাদের কানে অন্যজনের বাংলিশ টাইপ কিছু উদ্ভট খিস্তি ভেসে আসছে। ভোলাভালা মমি ভাইয়ের মনের অবস্থা চিন্তা করে আমি আর সাবিনা আপুর হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরলো।
নায়ক- আমার বাবার কথায় তুমি কিছু মনে করোনা জোসনা। আমি চাইনা বাবার টাকা। আমি তোমাকে চাই জোসনা, শুধু তোমাকে চাই।
তবে নায়িকার শর্ত একটাই, নায়ককে তিন মাসের মধ্যে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। জোসনা! পৃথিবীর কোন শক্তি আমাদের আলাদা করতে পারবেনা। ফরহাদ! জোসনা! ফরহাদ! জোসনা! এসব ডায়লগ কানে আসতেই গান শুরু হলো –
“বেদের মেয়ে জোসনা আমায় প্রমিজ করেছে
ফেসবুকেতে প্রেম দেখাইয়া ফাঁকি দিয়েছে…”
গান শুনে কে যেন শিটি বাজালো। দর্শকের হাততালি সেই সাথে সিনেমার মধ্যবিরতি শেষে কিছুক্ষণ পরে আবার সিনেমা শুরু হতেই দেখাগেলো নায়ককে তার বাবা চৌধুরী সাহেব বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন। নায়ক নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য নায়িকার মামাতো বোন এঞ্জেল জড়িনার সাহায্যে এখন সাপের খেলা দেখানোর লক্ষ্য নিয়ে সাপদের পোষ মানানো শিখছে। যার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে বীণ বাজানোর ব্যর্থ প্রয়াস নায়কের।
এদিকে সাপ কিছুতেই পোষ মানছেনা। নায়ক যখনই ট্রাম্পেটে ফুঁ দেয় তখন বীণের সুরের বদলে ভোঁ ও ও ও করে আওয়াজ বেরোতে থাকে। নায়কের এই অন্তপ্রাণ চেষ্টা দেখে জড়িনা বিগলিত হয়ে নিজেও দিবাস্বপ্নে বিভোর হয়ে নায়কের প্রেমে পড়ে যায়। হঠাৎ জরিনার মনে হয়- এতো পাপ! ঘোর অন্যায়! তার বোন জোসনাও যে ভালোবাসে ফরহাদকে।
বিবেকের দংশনে এঞ্জেল জড়িনা সিদ্ধান্ত নেয় যেভাবেই হোক নায়ককে সে তার মনের মানুষের সাথে মিলিয়ে দেবে। একসময় তিন মাসের মধ্যে নায়ক লাখপতির তালিকায় নিজের নাম উঠাতে সক্ষম হয়। পূর্বের দেয়া কথামতো জোসনাকে বিয়ে করে নায়ক চৌধুরী সাহেবের সামনে আসতেই দোনলা বন্দুক নয়, পকেট থেকে চাইনিজ পিস্তল বের করে চিৎকার করে বলে- জোসনা আজই তোর শেষ দিন!
আচমকা চৌধুরী দেখতে পায় একটা সাপ তার পায়ের কাছে কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে আছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিচ্ছু সাপটি চৌধুরীকে ফস্ করে ছোবল মারে! ভয়ে কান্ডজ্ঞান লোপ পেয়ে চৌধুরী গুলি করে বসে। পিস্তলের নিশানা ছুটে গিয়ে ফরহাদের বুক রক্তাক্ত করার মুহূর্তেই এঞ্জেল জড়িনা তার গোপন প্রেমিক ফরহাদকে বাঁচাতে ফরহা আ আ আ দ! বলে চিৎকার দিয়ে গুলিটিকে নিজের বুকে পেতে নেয়।
মৃত্যুপথযাত্রী শ্বশুরকে বাঁচাতে শরীর থেকে বিষ নামাতে সিদ্ধহস্ত ডিজিটাল নায়িকা জোসনা মুখ দিয়ে নয় সবাইকে অবাক করে সাকসেশন পাম্প দিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে চৌধুরীর পা থেকে সাপের বিষ টেনে বের করে চৌধুরীকে নতুন জীবন দান করে। নিজের ভুল বুঝতে পেরে চৌধুরী জোসনাকে বুকে টেনে নেয়।
গালকাটা ম্যাক্স সেখানে পৌঁছালে ম্যাক্সের সাথে নায়কের মারমার কাটকাট এবং অনেক নাটকীয়তার পরে ম্যাক্স তার ভুল বুঝতে পারে। গালকাটা ম্যাক্সকে জোসনার বাবা নতুন কাবিলা সর্দার ঘোষণা করে। অতঃপর তারা সুখে শান্তিতে দিন পার করতে লাগলো। সিনেমা শেষে দর্শকরা সজোরে হাততালি দিতে থাকে।
আনন্দে আমিও জোরেশোরেই হাততালি দিচ্ছিলাম। পাশ থেকে তৌহিদ রাগান্বিত স্বরে চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো ইশ! কি করছো! ঘুম ভেঙে গেলো আমার। চোখ খুলে পিটপিট করে তাকিয়ে দেখি স্বপ্নের ঘোরে এতক্ষণ তালি দেয়ার ছন্দে আসলে তার পিঠে কিল মারছিলাম। পিঠের অংশটুকু লাল হয়ে গিয়েছে!
রবিবারের #স্বপ্ন দেরীতে হলেও নাকি ফলে! আহ! পিঠে কিল মারার এমন স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নেবে অচিরেই একথা মনে আসতেই খুব হাসি পেলো। সে বেচারা আমার দিকে অসহায়ের মত তাকিয়ে আছে।
১১৫টি মন্তব্য
রেজওয়ানা কবির
মজা পাইলাম,অনেকদিনপর এই স্বপ্ন পড়ে মনে হল সেই বাংলা সিনেমা।।শুভকামনা আপু।আপনার লেখা পড়ে একটু সাহস পেলাম তারমানে আমিও দেখতে পারব হয়ত স্বপ্ন।
শবনম মোস্তারী
আসলে কোন ব্যাপার না! লিখে ফেলুন আপু। আপনার লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
শুভকামনা রইলো।
তৌহিদ
আরে লেখা টেকা এক চুটকিরর বিষয়। স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন তো?
রেজওয়ানা কবির
হুম ভাইয়া করেছি শুরু।
তৌহিদ
আপনার স্বপ্ন লেখাটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
জিসান শা ইকরাম
হাজিরা দিয়ে গেলাম। স্বপ্ন পড়ে পরে মন্তব্য নিয়ে আসছি।
শবনম মোস্তারী
অপেক্ষায় রইলাম দাদা
তৌহিদ
আসেন ভাইজান, আমিও অপেক্ষায় রইলাম।
বন্যা লিপি
বাউরে বাউ…..পুরাই স্ক্রিপ্ট রাইটার দেহি এয়া। এইয়া স্বপ্ন দেকলেন? হেয়াও বেদের মেয়ে জোসনা – ২?? হেই কোনকালে দেখছেলাম ভিসিআরে। আমহে দেহি পরাই জোসনা ২ লেইক্খা হালাইছেন না থুক্কু হপ্পন দেকছেন। কিন্তুক ভালা হইছে খুব জোসনা -২ হিট সুপার ডুপার বাম্পার হিট।
তৌহিদ
আপু আপনি হচ্ছেন শবনমের পছন্দের একজন মানুষ। ভাগ্যিস আমাদের জানিয়েছিলেন। না হলেতো ভাইজানেরা নিজেরা নিজেরাই সিনেমা দেখার মজা নিতেন।
বন্যা লিপি
ভাগ্যিস আমো( সাবিনা+আমি) আগেই সিনেপ্লেক্সে গেছিলাম দেইখা, নাইলে আপনিও সুযোগ নিতেন একলারা একলারা জোসনা২ দেখার।
পৌষী ভাবি কইছে আপনেরে আমি তাঁর পছন্দের লকজন থুক্কু একজন মানুষ? যতদূর জানি পৌষীভাবি উকিল, আপনি তো খাস সরকারি কম্মকর্তা। আহমনে ভাবির ওকালতি লইছেন কেরে??? ভাবিরে কইতে দেন ভাবির কতা।😆😆😆😆
তৌহিদ
আপু, যাহা সত্য তাহাই বলিলাম। সে নিজেই বলেছে।
তবে সত্যিকথা আমি জানতাম সিনিয়র ব্লগাররা আজ যাবেন সিনেমা দেখতে। আপনাদের সাথে দেখা হওয়ায় চেপে গিয়েছি বিষয়টা 😂
আপনিওতো দেখছি কথায় উকিলের চেয়ে কম যান না!! এখন থেকে সাবধানে থাকতে হইবে ভাবছি।☺
বন্যা লিপি
মোরা কি হরলাম? সবতে দেহি খালি সাবিনা- বন্যা লইয়া টানাটানি বজায় রাহে কারবারডা কি কনছেন দেহি? খালি দুইজন পাইলাম এ্যাবোতামাইত যে মোগো ক্যা হগ্গলতিরে এরাইয়া হপ্পন দেইখা সাফা কইরালাইছে। আচ্ছা!!! আমি এরকম ভাষায় কথা বলছি কেন? সরি ভাই, মাফ কোরবেন।এমি ইট্টু বুল পোতে চোলে হেঁটে গেইচিলাম😊😊😊এ
শবনম মোস্তারী
হাহাহা..
কয়দিন আগে কোথা থেকে যেনো “বেদের মেয়ে জোসনা”.. গানটা কানে আসলো, তখন থেকেই চিন্তাটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো। 😀
যা চিন্তা করে, তাইতো মানুষ স্বপ্নে দেখে — ব্যস আমিও দেখে ফেললাম -“ডিজিটাল বেদের মেয়ে”।
ধন্যবাদ আপু।
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ খায় না মাতায় দেয় ভাবি😊ওয়া দিয়া কি করে মানসে মোরে এট্ট কইবেন। হেলে নিমুআনে ধন্যবাদ। নাইলে ফেরত নেন।
শবনম মোস্তারী
😀কথা কিন্তু সত্য.. আপু
পছন্দের মানুষদের লিষ্টি তাকে বলা আছে.. ☺
শবনম মোস্তারী
ধন্যবাদ বড়ই মিডা জিনিস.. হেই জিনিস খাওন লাগে.. 😀
বন্যা লিপি
নাহ্, আপনারা দুই কইতর কৈতরী একজন আরেকজনার লিপসিং করেন খালি ওই তোতা পাখির মত আর কি! বুজ্জি।
তৌহিদ
বন্যা আপু আপনার সব মজার মন্তব্যের জন্য অনেকগুলি হা হা 😃
বন্যা লিপি
দেহেন তৌহিদ ভাউ, আমার বদনাম দেবেন আরো কন তো এহন এট্টু? আমি ব্লগে আসি না, নিজের পোষ্ট দিয়া সটকে যাই। আর কারো পোষ্টে যাইনা…..ব্লা ব্লা ব্লা ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি, কইবেন আরো?
ভাই এই করোনাকালে কোথাও যাবার জো নাই। এরকম আড্ডায় জমলে তবু কিছুটা মানসিক পরিস্থিতী সামাল দিয়ে থাকতে পারা সম্ভব। নাকি বলেন? আর দ্বিতীয় কথা……পোষ্ট যদি জমানোর মত হয়, তাহলে আমি বিনা পান খাইয়াও জোমাইয়া ক্ষীর বানাইয়া দিতে পারি….নাকি মিছা কইলাম ভাউ😊😊😊😊😆😆😆😆😃😃😃😃
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহা, আসলেই বন্যা, মিষ্টি মধুর শবনমের স্বপ্ন একেবারে বাম্পার হিট করে ফেলেছে, ক্যাম্নে দেখলো মানে লিখলো এমন আজব স্বপ্ন!!
তৌহিদ
হ, আপনেতো কইবেন। আর আমি যে এত্তগুলা কিল খাইলাম সেইটা চক্ষে পড়লো না? এ কেমন বইন আপনে আফা?
চকলেট আনছিলাম আপনার লাগি।
তৌহিদ
ঘটনাগুলি পড়ে দম ফাটানো হাসিগুলিকে একটু হজম করে নেই আগে। সাবিনা আপু এবং বন্যা আপু না থাকলে এই সিনেমা দেখাই হতোনা আমাদের। তাদের জন্য মিষ্টি পাওনা থাকলো।
পরে আবার আসছি।
বন্যা লিপি
মোরা কি হরলাম? সবতে দেহি খালি সাবিনা- বন্যা লইয়া টানাটানি বজায় রাহে কারবারডা কি কনছেন দেহি? খালি দুইজন পাইলাম এ্যাবোতামাইত যে মোগো ক্যা হগ্গলতিরে এরাইয়া হপ্পন দেইখা সাফা কইরালাইছে। আচ্ছা!!! আমি এরকম ভাষায় কথা বলছি কেন? সরি ভাই, মাফ কোরবেন।এমি ইট্টু বুল পোতে চোলে হেঁটে গেইচিলাম😊😊😊
তৌহিদ
সাবিনা আর বন্যা এই দুই আপু হইতেয়াছে ব্লগ অন্তপ্রাণ মানুষ। বোজ্জেন না ব্যাপারডা! হের লাইগ্যাইতো মোরা হগগোলে মিইল্যা আপনাগোরে টানা হ্যাচড়া কত্তে আছি আফা
আঁইয়ো এত্তু বুল পথে চলি গেছনু। বানাম বুল হইলে ক্ষেমা দিয়াইন 😂
সাবিনা ইয়াসমিন
আমিও এতক্ষণ ধরে এটাই ভাবছি,,, তুমি হঠাৎ এই ভাষায় কথা বলছো কেন বন্যা?
বন্যা লিপি
পাঁচমিশালি ভাষায় একটু দক্ষতা আনার চেষ্টা চালাচ্ছিলাম আর কি সাবিনা। ও কম্মো যে আমার নয়! তা বুঝে গেছি। অন্তত লিখে তো নয়ই।
তৌহিদ
এসব বুধ গ্রহের ভাষা!!
তৌহিদ
বিষয় হচ্ছে কিলগুলা যে আমার পিঠে পড়লো তার কি হবে! মানিনা মানিনা! স্ক্রিপ্ট নতুন করে লেখেন।
বন্যা লিপি
চেঁচাইয়েন না ভাউ🙉 একটু শরম টরম রাহেন। আপনে তো ঢোল পেটানো শুরু করলোন বউয়ের কিল খাইয়া। দেহো কারবারডা। ভাগ্য ভালো পৌষীভাবি নখের ব্যাবহার করেনাই। তাইলে নির্ঘাত আমারই আসা লাগতো কালা মলম লইয়া😊😊😊😊
তৌহিদ
ইয়া মাবুদ! কিসের কি ভাবলাম বোনেরা পাশে দাঁড়াবে! এখন দেখছি সবাই একজোট হয়েছেন!
আমারে রক্ষা করার কেউ নাই।
শবনম মোস্তারী
হাহাহা…😀
এ বড় মধুর কিল 😀
বন্যা লিপি
সব্বোনাশ! এ দেহি ভাবিরও লাজ শরম বলতে কিছু নাই🙊🙊 আবার কয় মধুর কিল🙈🙈🙈 আমিই শরম পাইলাম গো🙈🙈🙈
ফয়জুল মহী
প্রীতিজনক ,
নন্দিত অনুভূতি চলনসই প্রকাশ
শবনম মোস্তারী
ধন্যবাদ দাদা।
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
বেদের মেয়ে জোসনা-২ এর ডিজিটাল রুপ দেখে বিমোহিত হয়ে গেছি 🙂
বিশেষ করে তার সাকসেশন পাম্প দিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে চৌধুরীর পা থেকে সাপের বিষ টেনে বের করে চৌধুরীকে নতুন জীবন দান করার দৃশ্যটা দেখে আবেগে কেঁঁদেই দিয়েছিলাম 😀😀
বন্যা লিপি
সাবিনা, হাতের কাছে টিস্যু আছে তো? নাকি ওড়না ভিজিয়ে মাথায় কপালে জলপট্টি দিতে হবে?😊😊😊
সাবিনা ইয়াসমিন
আরেহ, আমিতো তোমার শাড়ী আঁচল দিয়েই চোখ মুছেছিলাম। তুমি তখন তৌহিদ আর শবনমের সিটের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে কি জানি দেখছিলে 🙈🙈
বন্যা লিপি
তুমি না ময়না😏😏😏😏 আমি কি আর শাড়ি পড়ছিলাম নাকি? কিচ্ছু মনে নাই তোমার। আমি কালো জর্জেটের সালোয়ার স্যুট পড়ে গিয়েছি তো! আঁচল পেলে কার? সব্বোনাশ কার আঁচল ভেবে কার শাড়ি ভিজিয়েছ আবার কে জানে😁😁
তৌহিদ
কে শাড়ি আর কে জামা পড়েছিলেন নিজেরাই জানেনা হি হি হা হাহা 😃😃
অবশ্য গোয়েন্দাগিরি কত্তে গেলে এসব মনে থাকার কথা নয়।
বন্যা লিপি
গোয়েন্দাগিরিতে সাবিনা ফেলটুস দেখলেন তো বুঝলেন তো এবার ভাউ?
সাবিনা ইয়াসমিন
@ আল্লাহই জানেন তোমার শাড়ীর আচল ভেবে কার ওড়না/পাঞ্জাবী দিয়ে নাক চোখ মুছেছি! এখনতো আমারই টেনশন লাগছে! 🙄🙄
তৌহিদ
ও তাইতো বলি, লোকটা সিনেমাহল থেকে বেড়িয়ে সার্ফ এক্সেল কিনলো কেন! সাবিনা আপু যার পাঞ্জাবীতে মুছেছেন এ আসলে সেই ছিলো!! 😃😃
তৌহিদ
সবার কান্নার পানি নোনতাতো তাই মনে হয় সার্ফএক্সেল কিনেছে। ☺
শবনম মোস্তারী
হাহাহা..আপু, সে হলো ডিজিটাল জোসনা।
ভাগ্যিস আপনার কান্না জোসনা দেখেনি, দেখলে
আবার কোন যন্ত্র আনতো চোখের পানি মোছার জন্য কে জানে 😀😀
সাবিনা ইয়াসমিন
উহু, শবনম শুধু গল্প লেখাতেই নয়, স্বপ্ন লেখাতেও সিদ্ধহস্ত 🙂
আমরা কিন্তু তাকে মোটেও বোকা ভাবিনি, আপনি ভাবেন নাকি তৌহিদ ভাই? 😉
সাবিনা ইয়াসমিন
@শবনম, ভাগ্যিস জোসনা তখন তার শশুর আব্বাকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। নয়তো আমার চোখের পানি মুছতে এসে নির্ঘাত ওটা দিয়ে একটা টিকটক ভিড্যু বানিয়ে ফেলতো 🤪
তৌহিদ
বোকা ভাবার মত দুঃসাহস আমার নাই আপু। আর সে তা নয়ও। নরম মনের মানুষদের সবাই এভাবেই বলে আর কি!
তৌহিদ
গল্প লেখায় কি বুদ্ধি দেখছেন? অথচ সবাই বলে সে নাকি বোকা!!
খাদিজাতুল কুবরা
গল্প কমেন্ট সব পড়ে মজা পেয়েছি। কোনটা রেখে কোনটা পড়ি। মোটামুটি পেটে খিল ধরে গেছে।হাসির আওয়াজে আমার উনার ঘুম ঘুম ভাঙলে তৌহিদ ভাইয়ের মতো আমার পিঠে ও তাল ভাঙবে। সকালে আবার পড়বো।
শবনম ভাবিকে শুভেচ্ছা গল্প দারুণ লাগলো।
শবনম মোস্তারী
ধন্যবাদ আপু।
হাসা কিন্তু ভালো আপু, স্বাস্থের জন্য।
দুলাভাই কিল দিবেনা, বরং আপনার হাসিতে সে চমকিত হবে। 😀
তৌহিদ
আমিও হাসতেই আছি আপু ☺
রোকসানা খন্দকার রুকু।
আমাদের ছেড়েই সিনেমা দেখলেন।সিট তো ছিল নাহয় ডাবলই বসতাম।
আমি বেশি রাত জাগতে পারিনা তাই দিপ্তীকে বলেছিলাম পড়ে আমাকে গল্প শোনাবে।সে সত্যি সত্যি গল্পটা শোনালো। ঘুম ঘুম চোখে শুনলাম।
বেদের মেয়ে ২ এর গানটা অসাধারন হয়েছে।হাসতেই হল।
শুভ কামনা আপু।
শবনম মোস্তারী
ধন্যবাদ আপু।
এইবার তো হঠাৎ প্লান, পরবর্তীতে অবশ্যই আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে অন্য কোন ডিজিটাল মুভি দেখবো।
হাহাহা.. ডাবল বসলে শেষে মমি ভাইয়ের মতো অবস্থা হতো 😀
রোকসানা খন্দকার রুকু।
কুড়িগ্রামে বেদের মেয়ে জোসনা দেখতে লোকের চাপে,ঠেলায় কিছু মানুষ ভেঙ্গে ভুঙ্গে নিচে পড়ে গিয়ে এক মহিলার বাচ্চা হয়ে গিয়েছিল।আর কোলে বসা তো নস্যি!!
তৌহিদ
এটা সেই সময়ের আলোচিত একটি ঘটনা ছিলো আপু। মনে পড়ে গেলো।
তৌহিদ
নেক্সট টাইম আপনাকে সিনেমা দেখার দাওয়াত দেবো আপু।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
ওকে ভাইয়া।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
পুরো সিনেমাটাই তুলে ধরলেন। খুব মজা পেলাম তাও বেদের মেয়ে জোছনা ২ নিয়ে এমন আধুনিক কাহিনী র পান্ডুলিপি। সবাই যে বাংলা সিনেমার পোকা তাতো আগে জানা ছিল না। শুভ কামনা রইলো। শুভ সকাল
শবনম মোস্তারী
ধন্যবাদ দিদি।
যতই ইংলিশ, হিন্দি মুভি দেখিনা কেনো, নিজের দেশের পুরাতন বাংলা মুভির বিষয়টাই আলাদা।
শেকড়ের টান আরকি।😀
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সত্যিই তাই বাংলা আমাদের মাতৃভাষা তাই বাংলা কে ছাড়া কোন কিছু ভাবা উচিত নয়। পুরানো সিনেমা সত্যিই অসাধারণ , তার গানগুলো খুব বেশি অনবদ্য। এখনো কিছু সিনেমা হয় যা খুবই ভালো লাগে। শুভ কামনা রইলো অহর্নিশি
তৌহিদ
আমরা বাংলা সিনেমা দেখিতো। তবে ৮০র দশকের সিনেমা বেশি দেখি দিদিভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হুম ঐ সময়ের সিনেমা গুলো আমার ও ভীষণ পছন্দের ভাইয়া। শুভ কামনা রইলো আপনাদের দুজনের জন্য
প্রদীপ চক্রবর্তী
এতো বেশ মজার ব্যাপারস্যাপার।
বেদের মেয়ে-২ গানটাও যে অসাধারণ।
গানের কলি গুলো মুখস্থ করেছি সকাল সকাল।
এমন গান হাতছাড়া করতে নেই।
গল্পে হাসলাম তার কমেন্টে এসেও।
বন্যা দিদির কমেন্ট সেই হয়েছে 😂😂
.
বেশ বেশ ভালো লাগলো দিদি।।
শবনম মোস্তারী
ধন্যবাদ দাদা।
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
যতই গানটা গান, বাস্তবে কেউ কিন্তু ফাঁকি দিবেনা।
আমরা আশাবাদী .. 😀
আসলেই বন্যা আপুর কমেন্ট সেই হয়েছে.. 😍
বন্যা লিপি
আমার ট্রিট পাওনা রইলো পৌষী ভাবি। খালি একা আমি আর সাবিনাই মন্তব্যে ফাস্টো সেকেন্ডো হইলাম। আমাগো দুইজনার ট্রিট পাওনা রইলো। কড়ায় গণ্ডায় আদায় হবে😊😊
তৌহিদ
মজা পেয়েছ জেনে ভালো লাগলো দাদা।
বন্যা লিপি
প্রদীপ দাদাভাই, এখন আমারে বকশিশ দাও। মাগনা মাগনা মজা পেলে হবে না। এই পোষ্টের সেঞ্চুরি মন্তব্য আমি কমপ্লিট করে দিয়ে গেলাম। এখন আমারের বেবার দাও😹😹😹😹
তৌহিদ
আপনাকে অভিনন্দন আপু। 🎁
আলমগীর সরকার লিটন
“বেদের মেয়ে জোসনা আমায় প্রমিজ করেছে
ফেসবুকেতে প্রেম দেখাইয়া ফাঁকি দিয়েছে…”————–চমৎকার আপু
শবনম মোস্তারী
ধন্যবাদ ভাইয়া।
বর্তমান ফেসবুকীয় যুগে এতো নিত্য ব্যাপার।😀
আলমগীর সরকার লিটন
ফেসবুক এখন উল্টাপালটা করলে কেচকরার আধিকার আসতেছে————
শামীম চৌধুরী
আমি নাবালক। তাই কেউ আমাকে বেঁদের মেয়ে জেস্না দেখতে সঙ্গে নিল না। আমীর নামটাও নিলো না। আমি সাবলক হবার পর সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ছবি তুলতে পদ্মার চরে যাবো। সবার নাম মনে করবো।
বিঃদ্রঃ সর্বকনিষ্ঠ ব্লগার হওয়ায় নাবলক শব্দটা ব্যাবহার করলাম।
ভাল থাকবেন।
শবনম মোস্তারী
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমাদের ভাইটাকে কি আমরা ভুলতে পারি।
গোপন সুত্রে খবর পেয়েছিলাম আপনি নাকি ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন তাই আমরা ডাকিনি..😀😀
পদ্মার চরে ছবি তুলতে পারবো ভাবতেই আনন্দিত হচ্ছি।😍
শামীম চৌধুরী
পদ্মার চরে যেতে হলে সাবালক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকুন
তৌহিদ
ভাইজান, স্বপ্নে সবাই আসলে বাস্তবে সামনাসামনি থাকবে কে? আপনি বাস্তবের দেখা ভাই আমাদের। ☺
শামীম চৌধুরী
কথা সত্য।
মনির হোসেন মমি
মমি’র লেট সি সিনেমা-হরমোশই হত-এতোটা কারেক্ট ক্যারেক্টার বেছে নিলেন কী করে! ডিজিটাল বেদের মেয়ে জোৎস্না পড়ে মনে পড়ে গল ইলিয়াস কাঞ্চন-অঞ্জুর সেই হিট ছবি বেদের মেয়ে জোসনার ইতিহাস।ছবিটা দেখতে গিয়ে কোন এক গ্রামের পোয়াতী মহিলা নাকি হলেই সন্তাস জন্মদেন।সে সময়ে পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে বেশ লেখালেখি হত।
সুন্দর চমৎকার বর্ননা-একটা জায়গায় অস্পষ্ট!জিজ্ঞাসা” অন্ধকারে আনমনে মমি কার সিটের উপর বসে পড়েছিল? হা হা হা কৌশলী লেখক।দারুণ কৌশলে স্ক্রিপ্ট রচনা করলেন স্বপ্নে এবার বাস্তবতায় আমাদের সিনেমা দেখাতে হবে কিন্তু-আহা কতো কাল যে সিনেমার পর্দার মুখ দেখি না।
ভাল থকবেন।চির সুখী হন-আমাদের লাইলী-মজনু।শুভ কামনা।
শবনম মোস্তারী
সিক্স সেন্সে জেনেছি ভাইয়া।😎
মমি ভাই, আনমনে কার সিটের উপর বসলো , সেটা একটু ধোঁয়াশায় থাক। 😀
ইনশাআল্লাহ বাস্তবেও হয়তো কোন একদিন পুরো সোনেলা পরিবার একসঙ্গে অন্য কোন ডিজিটাল মুভি দেখবো ..
তখন হয়তো ধোঁয়াশা কেটে যাবে 😀
সুন্দর মন্ত্যব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
তৌহিদ
সেই ঘটনা নাকি কুড়িগ্রামে ঘটেছিলো ভাই। চিন্তা করেন সিনেমার প্রতি মানুষের কত ঝোঁক!
বাই দ্যা রাস্তা, আপনি কার কোলে বইছিলেন হেইয়া মুই দেখছি ☺
মনির হোসেন মমি
হা হা হা না থাক ফাস কইরেন না।গোপনেই থাক-আবার চান্স থাকবে।
তৌহিদ
হা হা হা, গোপনি থাকবে ভাইয়া।
ইঞ্জা
এঞ্জেল জরিনা হো হো হো হো হা হা হা হা 🤣
নামের কি ছিরি, জানতে চাই মমি ভাই কার কোলে টপাক করে বসেছে? 😜
বেশ সিনেমাটিক গল্পে বিভোর হয়ে ছিলাম আপু, হুঁশে ফিরলাম তৌহিদ ভাইয়ের পিঠের কিল ঘুশিতে। 🤪
বেশ মগা পাইলাম আপু।😆
শবনম মোস্তারী
ধন্যবাদ ভাইয়া।
চারপাশে তো শুধু এঞ্জেলের ছড়াছড়ি 😀
কি সুন্দর তানপুরার শব্দে কিলের শব্দ হোচ্ছিলো তাইনা ভাইয়া..??😀😀
কিন্ত, ভাইয়া আপনি যে শুধু ভাবির জন্য চকোলেট কিনলেন, বোনদের খাওয়ালেন না এটার কি হবে.. 🙄🙄
ইঞ্জা
কি বলেন আপু, চকলেট আপনার ভাবীর পছন্দ নয়, আমার পছন্দ, সাথে আমার বোনের, আমাদের দুজনের জন্যই নিয়েছি, কাউকে বলবেননা। 😉
আমি তো ভেবেছিলাম তানপুরার শব্দ, কিল খেয়েছে বুঝি? 😆
তৌহিদ
কার কোলে কে বসেছে তা আমি দেখেছি। কিন্তু বলবোনা। বললে চাকরি থাকপে না 😃
ইঞ্জা
😆 ভাই কানে কানে কইয়েন। 🤣
তৌহিদ
আচ্ছা দাদা, কবোনে।☺
সুরাইয়া নার্গিস
ব্যাপক হ্সলাম ভাবী 😂🤣 জানতে ইচ্ছে করছে তৌহিদ ভাইজানের কি অবস্থা ☺
অনেক ভালো লাগলো পরিচিত প্রিয় সব কয়টা মানুষ স্বপ্নের গল্পে পেলাম।
বাস্তবে বেদের মেয়ে জোসনার গল্প শুনেছ দেখা হয়নি তবে ডিজিটাল “বেদের মেয়ে জোসনা টু দেখে বেশ হাসলাম।
ভালো থাকববেন ভাবী।
শবনম মোস্তারী
অনেক ধন্যবাদ আপু।
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
তৌহিদ ভাইজানকে মলম লাগিয়ে দিয়েছি 😀
তৌহিদ
আমার অবস্থা টাইট। পিঠের ব্যাথায় অস্থির হয়ে আছি আপু।
সুপায়ন বড়ুয়া
স্বপ্নে যদি সিনেমা দেখতে হয় এরকম সিমেনাই দেখতে হয়। বেদের মেয়ে জোৎসনা। অন্জু ঘোষের কোমর বাঁশির সুরে দোলানি হঠাৎ মনে পড়ে গেল।
ছেলে ছোকড়া দের মন জয় করা সিনেমা হঠাৎ বিজ্ঞ লেখক দের মনে রঙ লাগালো কেন দেখতে গিয়ে হলেই ঢুকা হল না। যাক মমি ভাই তবুও ঢুকলো।
ভাল লাগলো আপু। শুভ কামনা।
শবনম মোস্তারী
ধন্যবাদ দাদা।
এবার হলোনা..
আবার কোন একদিন পুরো সোনেলা পরিবার মিলে হয়তো অন্য কোন ডিজিটাল মুভি দেখা হবে 😀
ছাইরাছ হেলাল
বেশ জমাট গল্পে কীভাবে কথা থেকে মন্তব্য দেব বিঝতে পারছি না,
তবে সত্যি সত্যি সিনেমাটি দেখা থাকলে আর একটু ভাল উত্তর লিখতে পারতাম,
গোপন কথা ইনজরা কেমনে জানতে পারল সে রহস্য অজানাই থেকে গেল।
দল বেঁধে সে সিনেমা হোক বা অন্য যে কোন আনন্দ উৎসব হোক না কেন তার মজাই আলাদা।
সিনেমা হলে গিয়ে শেষ কবে সিনেমা দেখেছি স্মৃতি হাতড়ে তা পাচ্ছি না।
মাইর মুইর খাইয়া বেচারি এখন কোথায় বসে কোঁকাচ্ছে কে জানে!!
যাই খুঁজে দেখি।
তৌহিদ
ভাইজান একটু মজা হলো এটাই বা কম কিসে? শবনম নিয়মিত লিখলে অনেক ভালো কিছু গল্প পেতাম আমরা। তাকে নিয়মিত লেখার অনুরোধ করছি।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার মত আমরাও বলি, লিখুন আপনি নিয়মিত অনিয়মিত ভাবে হলেও।
আনন্দ তো আনন্দেই।
শবনম মোস্তারী
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
গোপন কথা জানার রহস্য গোপনই থাক 😀
নেটের এই যুগে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার কালচাররটা অনেকটাই কমে গেছে..
আরজু মুক্তা
এটা পুরাই তৌহিদ ভাই লিখছে। উনি সিনেমা নিয়ে অনেক মজার কথা লিখেন। মাঝখানে ভাবি বাহবা পাচ্ছে। মজার স্বপ্ন। যদিও সিনেমাটি দেখা হয়নি। ডিজিটাল ব্যানারে আসলে দেখবো।
শবনম মোস্তারী
আহারে আপু,, আমাদের সমাজের একটা ঘুনেধরা অংশের কথা আবার মনে করিয়ে দিলেন–🙄
ভাবীরা যতই ভালো কাজ করুক, ভাবীদের নাম হয়না।
ঘুরেফিরে ভাইদেরই নাম হয়.. 😀😀
রোকসানা খন্দকার রুকু।
ভাবী এবার তাহলে ননদ ভাবীর ধুমধারাক্কা একটা মুভি রাইটার হন।আমরা পড়ে পড়ে জ্বলি।
বাই দ্যা ওয়ে,ভাবীরা কিন্তু ননদদের জন্যই হিট।
তৌহিদ
জীবনসঙ্গীর পাওয়া বাহবা দু’জনে শেয়ার করাতে মিলমহব্বত বাড়ে আপু। লেখাটি সেই লিখেছে তবে বাসায় আমি তার সাথে মাঝেমধ্যেইই সিনেমার ডায়লগে কথা বলি। নিশ্চিত আইডিয়া সেখান থেকেই পেয়েছে শবনম।
ভালো থাকুন সবসময়।
তৌহিদ
আসলে এত চমৎকারভাবে গল্পটি লিখেছেন দেখে অবাকই হলাম। সেই দিনটির কথা মনে পড়ছে যেদিন বেদের মেয়ে জোসনা সিনেমাটির কথা আপনার সাথে আলোচনা করছিলাম। আমি সিনেমার ডায়লগগুলি শুধু মুখে বলেছিলাম আর সেটিকেই আপনি লেখার থিম বানিয়ে গল্পটি লিখবেন তা ভাবিনি।
চমৎকার সব ঘটনার মধ্য দিয়ে গল্পকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। মমি ভাইকে যে কার কোলে বসালেন, আহা বেচারা !! মহারাজের কবিতাটি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে।
আপনি ব্লগে নিয়মিত লিখুন। জানি প্রফেশনাল ব্যস্ততায় সময় পাননা তবে এই লেখাটি প্রমাণ করে লেখা আপনার অস্থিমজ্জায়য় বিরাজ করছে।
এত সুন্দর একটি গল্প উপহার দেবার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সবসময়।
শবনম মোস্তারী
অনেক ধন্যবাদ।
আশা করি, এভাবেই সবসময় লেখার উৎসাহ দিবেন।
তৌহিদ
অবশ্যই, তাই হবে। যদি বেঁচে থাকি।☺
নাসির সারওয়ার
১৪ নম্বরের লেজকে টেনে ১৫ নম্বেরের মাথা বানিয়ে দিলেন! বাহ!!
এই সিনেমা যে দেখেনি, তারতো জীবনটাই বৃথা। আমি ছাড়া সবাই দেখছি ভাগ্যবান দলের। আহারে!
বেশ গুছানো উপাস্থাপনা। ভালো লেগেছে।
শবনম মোস্তারী
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
কোন কিছুর শেষ থেকেই তো নতুন কিছু শুরুর সম্ভাবনা।
সাজেদুল হক
চমৎকার ভাবে স্বপ্ন এগোচ্ছে ।
ভালো লাগলো আপনার স্বপ্নও ।
আরও ভালো লাগছে সবার মজাদার সব অনুভূতি এবং মন্তব্য ।
শবনম মোস্তারী
অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
জিসান শা ইকরাম
গোপনে একটু সিনেমা দেখতে যাবো তারও উপায় নেই।
ধরে খেয়ে গেলাম 🙂
খুবই মজা পেয়েছি স্বপ্নের এই পর্ব পড়ে।
সমস্ত গল্পেই টানটান উত্তেজনা,
কোথাও একটু ঝুলে যায়নি।
লেখার মাঝেই পাঠকের পুর্ন মনযোগ থাকবে।
এত জমজমাট গল্প লেখার হাত আপনার, অথচ নিয়মিত না লিখে আমাদের বঞ্চিত করছেন।
নিয়মিত লেখুন আপু।
স্বপ্নের পুর্বের পর্বের শেষ দিয়ে আপনার পর্ব শুরু করেছেন।
সোনেলা ব্লগ টিম আসলে এমনই চেয়েছিল।
কিন্তু অনেকেই মনে হয় এটি বুঝতে পারেননি।
প্রত্যাশা পুর্ন করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এত চমৎকার একটি স্বপ্ন উপহার দেয়ার জন্য আবার ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শুভ কামনা রাশি রাশি।
শুভ ব্লগিং।
শবনম মোস্তারী
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা৷
ভালো লেগেছে, জেনে ভালো লাগলো।
দাদা, আমি সহজে টপিক খুঁজে পাইনা, কিন্তু একবার পেলে মোটামুটি লিখতে পারি।
চেষ্টা করবো, লেখা চালিয়ে যাবার।
দোয়া করবেন দাদা৷
রেহানা বীথি
এত সুন্দর স্বপ্ন!!!
বেদের মেয়ে জোসনা সে-সময় আসলেই স্বপ্ন ছিল সবার। হলে গিয়ে বিপুলসংখ্যক দেশবাসী সিনেমাটি দেখে ধন্য হয়েছেন। আমারও ইচ্ছে ছিল, কিন্তু কার সাথে যাবো সিনেমা দেখতে তা নিয়ে সংশয় থাকায় যাওয়া হয়নি।
মনের সেই ব্যথাটা আবার জেগে উঠল বোন!😭
যাইহোক, দাম্পত্যপ্রেম যে কতটা মধুর, তা কিন্তু আপনাদের দুইজনকে দেখেও হাড়ে হাড়ে টের পাই। সুখী সুন্দর থাকুক যুগল জীবন সবসময়।
এমন আরও সুন্দর সুন্দর গল্প লিখতে থাকুন।
শবনম মোস্তারী
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনারাই তো আমাদের অনুপ্রেরনা..
সত্যিই আপু, হলে গিয়ে সিনেমা দেখার আনন্দটাই অন্য রকম..
আারো মজার গল্প যেনেো লিখতে পারি দোয়া রাখবেন আপু।
উর্বশী
পড়তে পড়তে খুব হাসলাম।মমি ভাইয়ের সিটে বসা আর তোহিদ ভাইয়ের কিল খাওয়া।চমৎকার স্বপ্ন।এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মত কিছু লেখা যেমন,ঠিক তেমন এক বারেই স্বপ্ন টি মাথায় প্রবেশ করানো।অনেক ভাল লিখেছেন। বাস্তবায়ন হোক অদূর ভবিষ্যতে। আমরা কি দুজন দুজনকে চিনি? আমাদের কি কোথাও দেখা হয়েছিল কি আপা? অনেক ভালোবাসা রইল।
শবনম মোস্তারী
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
পাঠকদের যদি ভালো লাগে তবেই তো একটা লেখা সার্থকতা পায়।
শবনম মোস্তারী
মা, মাটি গ্রুপে দেখেছেন হয়তো আপু।