ছবি হাসে,ছবিরা হাসে,বৈদেশির বেশে হাসাহাসি করে।
ঘটনা হইল——
এত্ত এত্ত হাসির কী আছে?জানিতো,এমন বেশুমার হাসিতে খরচাপাতি লাগে না,
তাই বলে বেহিসেবি হাসি? এইডা কোন কথা হইল?
অসহ্য ছেলের পাগল পাগল কথা‘তুই এতো সুন্দর কেন?একটু কম সুন্দর হলে তেমন
কোন বিশেষ ক্ষতি হতো না।ঐ শোন,তোকে আমার ভালো লেগেছে,ভালো থাকিস’।
সেই স্বর্গময় রোমান্টিক মুভমেন্ট মনে পড়ে গেল নাকি?
ঘটনা সেটাও না——-
বাঁচতে হলে হাসতে হবে,হাসতে হলে হাসি থাকতে হবে,সুন্দর ঝকানো দাঁত থাকতে হবে,
চোখ কাজলে আঁকতে হবে,না মেপে দাঁত দেখতে হবে,প্রাণে প্রাণ থাকতে হবে।
পাঁচ-পাঁচটি সাদা-কালো ভুয়ো চশমা নাকের ডগায় ঝোলানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে।
মন মন্দ না করে নিকোটিন বুকে টেনে নিতে হবে।
এটিও ঘটনা না——
প্রাণের সঠিক ঠায়-ঠিকানা জানা থাকতে হবে।
প্রাণ হেসে ওঠার সময় সজাগ সরব হয়ে চোখ ঠিকরে রেখে উপস্থিত থাকতে হবে।
কিন্তু ঘটনা তো প্যাঁচ খেয়ে যাবে———
প্রাণ তো উত্তাল উত্তুরে বাতাস ঠেলে ঋজু কাব্যিক মূর্ছনায় দিন-তারিখ ঠিক করে
সেজে-গুজে হেসে উঠবে না।
অতএব,ব্যাপার হইল———
উই হ্যাভ টু নো——-
কিছু হাসির এমনই রঙিন থাকে যা ভেতর থেকে তুলে আনে ভালো থাকার অনাবিষ্কৃত
রহস্যের আদি-অনন্ত।
ছবির হাসিরা তাবিজ বিহীন এমন হৃদয়াবেগের আনন্দ চূড়ায় ঝাঁপিয়ে পড়া হাসি
ইচ্ছে হলেই হাসতে পারে না,পারবে ও না।এ ঐশ্বরিক ঐশ্বর্য সবার থাকে না।
যেখানে সব গল্প জমা থাকে হাসির কাছে,ছবি হয়ে ওঠার জন্য।
আ-বনান্ত বিথীপথের ফুলোৎসবের বর্ষপূর্তিতে বিলম্বিত শুভেচ্ছা আমাদের’মুরুব্বীকে’।
ঝুড়িঝুড়ি সুখ-সুখ দুঃখে কাটুক আপনার আগামীর সারাক্ষণ।
৪৩টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
এই মুরুব্বী কোন মুরুব্বী তা জানতে চাইতেই পারি, সব হাসি-ই হাসি তবে সব ভেটকি হাসি না, যদি কিছুটা হলেও বুঝতে পারি তাহলে বলবো সেই মুরব্বীর কাব্যিক মূর্ছনা ছড়ানো হাসিই হাসি, হয়তো তার হাসির বর্ণনায় উঠে এসেছে বেদেশী বেশি হাসিদের অপারগতা যাদের হাসিতে ভালো লাগা ভেতরেই থেকে যায়। খুব ইচ্ছে করছে জানতে কার প্রতি এই শুভেচ্ছা বার্তা! উনার হাসি নিশ্চই নিশ্চল ফ্রেমে বন্দী থাকে না, ঠিক ঠিক নিশ্চই চোখ এসে উপস্থিত হয়?
ছাইরাছ হেলাল
মুরুব্বী কে,কোথায় ও কিভাবে তা এখানে প্রয়োজনীয় বিষয় নয়।
ব্যাপার হল ‘হাসি’ সেটির বহিঃপ্রকাশ সঠিক ভাবে হলও কিনা সে বিষয় আলোকপাত করাই বেহেতের।
প্রহেলিকা
রাস্তার মোড়ে মোড়ে ঝুলন্ত বিলবোর্ডের মুখদের হাসি দেখলে মাঝে মাঝে পাগল পোলাপাইনে কিন্তু ঠিক এমনি বলে: তুই এতো সুন্দর কেন, তোকে আমার অনেক ভালো লেগেছে” :p তবে সে হাসি কখনই গল্প হয়ে ফোটে না।
***পাঁচ-পাঁচটি সাদা-কালো ভুয়ো চশমা নাকের ডগায় ঝোলানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে।
মন মন্দ না করে নিকোটিন বুকে টেনে নিতে হবে।***
এই দুটি লাইনের ভাবার্থ জানতে চাই, আর যদি অনুমতি পাই নিজের ভাবনা বলতে পারি, ভুল হলে দায় নিতে পারবো না আগেই বলে দেই?
ছাইরাছ হেলাল
আসলে যার জন্য লেখা সে জানে কী বলেছি। এখানে তা বলতে চাই না।
তবে আপনি নির্ভয়ে নিজের মত করে আমার মুরুব্বীর কথা মাথায় রেখে আলোচনা করতেই পারেন,
তাতে সমস্যার কিছু নেই।
প্রহেলিকা
**পাঁচ-পাঁচটি সাদা-কালো ভুয়ো চশমা নাকের ডগায় ঝোলানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে।***
ভুয়ো চশমা—- অদৃশ্য চশমা/চশমার আদলে/
চশমার পেশা দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা আনা / নিখুত অবলোকন করা।
হাসতে হলে হাসি থাকতে হবে যে হাসি অবলোকন করার জন্য যাতে অদৃশ্য চশমার প্রয়োজন পরে, অর্থাৎ যে হাসবে তার হাসি লাবণ্য যেন এমন হয় যা কিনা কারো সুস্থচোখও অভাব অনুভব করবে চশমার, ঠিক চোখ যেন আটকে যায়।
***মন মন্দ না করে নিকোটিন বুকে টেনে নিতে হবে***
হাসিতে যদি প্রাণ থাকে দেখতে যতোই কুৎসিত অথবা কদর্য হোক মন্দ মন্দ না বলেই তাকে বুকে টেনে নিতে হবে হোক তা যতোই ক্ষতিকারক!
এমন কি?
অবশেষে একটা কথা বলি এমন লেখার শেকড় ছোয়া অসাধ্য!
শুন্য শুন্যালয়
উই হ্যাভ টু নো——-
সেই সেরকম হাসি হাসা যার তার পক্ষে সম্ভব নয়, যখন তখন সম্ভব নয়, যেনো তেনো ভাবে এ সবার দেখতে পাওয়াও সম্ভব নয়।
আ-বনান্ত বিথীপথের ফুলোৎসবের বর্ষপূর্তিতে আমরাও তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, যদিও জানিনা এমন গল্প বলতে জানা হাসি হাসতে জানা মুরুব্বী কে।।
ছাইরাছ হেলাল
উই হ্যাভ টু নো——- কে মুরুব্বী সেটি কথা নয়। কথা হলো হাসিটির উপস্থাপন করতে পেরেছি কিনা
আপনি সেটি বলতে পারেন।
আপনার শুভেচ্ছা যথাস্থানে যথাসময়ে পৌছে দেয়া হবে।
শুন্য শুন্যালয়
হুম মুরুব্বী কে সেটা কোন কথা নয়, আপনার লেখা পড়ে তার একটা ছবি আঁকা হয়েই আছে। কেমন উপস্থাপন করতে পেরেছেন তা একটা বাক্যেই বলতে চেয়েছি যেন তেন ভাবে এ সবার দেখতে পাওয়া সম্ভব নয়। আমি কি ছাই আপনার মতো লিখতে পারবো?
কারো হাসির ছবি দেখলে বড়জোর ভাবুক টাইপের ভাব নিয়ে বলতে পারবো হাসিতে মনের স্বচ্ছতা ফুটে উঠেছে। কিন্তু এই এত্তো এত্তো ? কি কারনে সে হাসছিলো? রোমান্টিক মুভমেন্ট মনে পরলো কিনা, কিংবা হাসিতে খরচাপাতি নেই বলে, কিংবা বেঁচে থাকার জন্য হাসি। এতো কিছু মনে আসা, সে আপনাকে দিয়েই হবে।
প্রাণ তো উত্তাল উত্তুরে বাতাস ঠেলে ঋজু কাব্যিক মূর্ছনায় দিন-তারিখ ঠিক করে
সেজে-গুজে হেসে উঠবে না।….. এমন প্রানের হাসি যেই হাসুক তা দেখতেও তেমন প্রাণ চাই। এমন লেখার কাছে মন্তব্য করতে এলোমেলো হতেই পারি জনাব।
শুন্য শুন্যালয়
ছবিরা বৈদেশির বেশে কিভাবে হাসে আর শিরোনাম স্বপ্ন শুভেচ্ছা কেনো এইটা কিন্তু বুঝতে পারিনি।
ছাইরাছ হেলাল
ধরুন,মুরুব্বীটি দেখতে বৈদেশির মত, তাই হাসি ও সেরাম। আর এ শুভেচ্ছা
তো স্বাপ্নিক। মুরিব্বী কিডা তাই ই জানি না।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার কথানুযায়ী বলি,যে কোন লেখায় একটি ছবি থাকে, লেখক সে ছবি সামনে রেখে তার লেখা লিখে ফেলে।ধরুন সে ছবিটি জীবন্ত হয়ে উঠল,হাঁটাচলা করল, কথা বলল সুখ-দুঃখের, তখন মুরুব্বীটি আর রক্তমাংসের পার্থিব কিছু থাকে না। যেমন আপনার ভোর। আর এমন অপার হাসি কম করে দেখার মানে হয় না। সাধ্যানুযায়ী সবটুকুই দেখা উচিৎ।
হাসাহাসি সবার থাকে না।হতে পারে সবাই ভাল করে দেখতেও পারে না। আপনি হলে
আরও ভাল দেখতে পারতেন,দেখে আমাদের বলতে পারতেন।
এখানে ফটোগ্রাফির জটিল কথা বলেছি। পোট্রেট ফটোগ্রাফির খুব বেশি বিখ্যাত একজন বলেছেন- কোন মানুষ তার জীবনকালে সর্বাঙ্গ সুন্দর হাসিটি নাকি এক-আধ বার হাসে, সেটি কখন কিভাবে তা যে হাসবে সে নিজেও জানে না। সে পার্থিব মুহূর্তে কেঊ সঠিক ছবি তুলতে
পারলে আর কথা থাকে না।
বনলতা সেন
এখানে এসে কথা ফুটেছে দেখছি, অন্য জায়গায় শুধু ইমো ইমো।
শুন্য শুন্যালয়
কথা যে জটিল তাতে কোনই সন্দেহ নেই। ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারিনি এখানে ফটোগ্রাফির কথা বলেছেন। ছবির কথা বলেছেন তবে পুরো দৃস্টি ছিলো ছবিতে হেসে ওঠা হাসিতে। এক আধবার এমন হাসে বাব্বাহ। কৃতিত্ব কাকে দেব ফটোগ্রাফার নাকি মডেল কে?
যেখানে সব গল্প জমা থাকে হাসির কাছে, ছবি হয়ে ওঠার জন্য। আর এখানে সব হাসি, ছবি মিশে গেছে, গল্প হয়ে উঠেছে।
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ আমিও তাই দেখছি, বুনোদি কেমন হিংসুটে হয়ে উঠেছে আজকাল।
অরণ্য
দারুন শুভেচ্ছাবার্তা।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য।
জিসান শা ইকরাম
– বাঁচতে হলে হাসতে হবে,
হাসতে হলে হাসি থাকতে
হবে,সুন্দর ঝকানো দাঁত
থাকতে হবে,
চোখ
কাজলে আঁকতে হবে,না মেপে
দাঁত
দেখতে হবে,প্রাণে প্রাণ
থাকতে হবে। – মুরুব্বির সব আছে।
সারাক্ষনই তো তিনি হাসেন।
শুভেচ্ছা দেয়ার জন্য লাইনে দাড়ালাম মুরুব্বি 🙂
আবির
ঘটনা কিন্তু বুঝা গেছে কিছুটা, তার মানে মুরুব্বীরে আপ্নে চেনেন, আমাগোও চিনতে মুঞ্চায়।
ছাইরাছ হেলাল
সময় হলে অবশ্যই চিনতে পারবেন। অপেক্ষা করতে হবে।
ছাইরাছ হেলাল
আগে ভাগে লাইন দিয়ে ঠিক কাজ করেছে।
তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো চাট্টিখানি কথা নয়।
সবাই হাসতে পারে না,আবার হাসি যে আছে তাই ই অনেকে জানে না।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হাসতে হাসতে পেটে খিল ধইরা গেল বাকী হাসি কোথায় রাখি -{@
ছাইরাছ হেলাল
কিছু হাসি বুক পকেটে রাখলে মন্দ হবে না।
মেহেরী তাজ
মুরুব্বীকে শুভেচ্ছা জানালাম।কিন্তু মুরুব্বী কে তাইতো জানলাম না। আপনি খুব ভালো শুভেচ্ছা দিতে পারেন ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন এই মুরুব্বী আছে আবার নেই। কিন্তু শুভেচ্ছা চিরন্তন।
অনেক কম কম লিখছেন এখন।
মেহেরী তাজ
পরীক্ষা শেষ হলো কেবল। বাড়িতে আছি এখন। পোষ্ট আসবে এখন 🙂
আবির
এমন সত্য কথা বহুদিন পর শুনছি, আমার জন্মের আগে মানুষ এমন সত্য ও সুন্দর করে কথা বলতো , এখন মানুষের হাসি দেখলে হাসি আসে, সুইচ অন করলে যেমন লাইট জ্বলে। প্রকৃত হাসির জন্য হাসতে হয় না এমনিতেই সুখবোধ হয়, সুইচ অন করা ছাড়াই যেমন জোছনা ঝরে। মুরিব্বীরে আমারও শুভেচ্ছা জানাইবেন।
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি সত্যি হাসতে পারা কোন সহজ কাজ নয়।
ইচ্ছে করলেই হাসা যায় না।দন্ত বিকশিত হয় মাত্র।
যা কঙ্কালের হাসির শেষ অবশেষ মাত্র।
লীলাবতী
হাসির আবার খরচা পাতি কি?আমি তো এমনি এমনিই হাসি।শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ভাইয়ার মুরুব্বীকে। ভাইয়ারও মুরুব্বী আছেন?তাহলে তো তিনি আমাদের সবারই মুরুব্বী -{@
ছাইরাছ হেলাল
হাসির জন্য কাঠ-খড় পোড়াতে হইয় না বুঝি! আর কাঠ-খড় পোড়ান মানে খরচা-পাতি।
অবশ্যই মুরুব্বী সে আমাদের। শুভেচ্ছা জানিয়ে দেব।
সাইদ মিলটন
মুরব্বীরে শুভেচ্ছা জন্মদিনের 🙂
বট বৃক্ষ হয়ে থাকুন মুরব্বী 🙂
ছাইরাছ হেলাল
শুভেচ্ছা পৌছে দেয়া হবে।
অবশ্যই বটবৃক্ষ হয়ে থাকবে সে।
বনলতা সেন
এমন হাসি হাসা ঠিক না,এমন করে দেখতে পাওয়াও ঠিক না।হাসি তে এত কিছু থাকে এই প্রথম জানলাম।
দাঁত কেলানো ছাড়া এত্ত কিছু! দেখার চোখ নেই লেখার হাত নেই।
ছাইরাছ হেলাল
দেখে ফেললে তো না লিখে পারে যায় না। না লিখে থাকা ঠিক ও না।
নীলাঞ্জনা নীলা
হাসি যার এত সুন্দর,না জানি বাস্তবে তিনি কত সুন্দর।মুরুব্বীকে জানার কোন দরকার নেই,একজন হাসিমাখা মুরুব্বীকে শুভেচ্ছা জানালাম আমিও -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনার শুভেচ্ছা তিনি অবশ্যই পেয়ে যাবেন।
স্বপ্ন
মুরুব্বীকে বিলম্বিত শুভেচ্ছা। তবে কে এই মুরুব্বী,কেন এই শুভেচ্ছা তা আর প্রশ্ন করলাম না :p -{@
ছাইরাছ হেলাল
শুভেচ্ছা বিলম্বিত হলেও শুভেচ্ছাই থাকে।প্রশ্ন না করাই বুদ্ধিমত্তার লক্ষণ।
প্রজন্ম ৭১
শুভেচ্ছা জানালাম আমিও।কিন্তু ঘটনা সেটা না, ঘটনা হচ্ছে ছবিরা হাসে কিভাবে?প্রান আছে ছবির?
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই প্রাণ আছে। শুধু হাসেই না কাঁদেও সময় পেলে।
শিশির কনা
শুভ নববর্ষ ভাইয়া -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা।
অরুনি মায়া
প্রকৃত হাসি সবাই হাসতে পারেনা। আপনি একদম ই ঠিক বলেছেন। এই যে আমি হাসছি আপনারা দেখছেন কিন্তু আসলেই কি আমি হাসতে পারছি?
লোক দেখানো নয়তো???
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ঠিক ই বলেছেন ,সত্যি হাসি হাসা খুবই কঠিন।
আপনি লোক দেখানো হাসি হাসতেই পারেন না।
পুরনো লেখা পড়ার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।