এ কোন্ ভালোবাসার দ্বিপ্রহর?
প্রাসাদ নিদ্রা ফেলে ঝর্ণাপ্রপাতে আকণ্ঠ ডুবে
জুড়াই প্রাণমন, সোনাবিকেলের ধানক্ষেত, কাশবন ফেলে
ফিনফিনে নরম সন্ধ্যাতারায় সজল নিমজ্জন।
এ কোন্ উন্মুখ উন্মত্ত অযূত অনুবোধের উন্মাদন?
ভালোবাসার স্বপ্নজাগরণে সাতারুমনের প্রতীকী নৈপুণ্যের
প্রমোদবালক বা বরপুত্র নই আমি, আপ্লুত ভালোবাসাঝড়ের হ্রেষা তুলে
সবুজের ঘ্রাণ শুঁকে শুঁকে পূর্ণপাত্র সঞ্চয়ের স্বপ্ননূপুর তুলে দেব বা নেব!
হাসি আনন্দের বেড়াজালের নেই কোন প্রবাস প্রসব,
ভ্রান্তির স্থির স্মৃতিসৌধে গ্রীষ্ম-বর্ষা-হেমন্তে সমুজ্জ্বল বসবাস,
সংবৎসর শুধুই বেদনায় হাঁসফাঁশ, কে এনেছিল ডেকে এমন সর্বনাশ?
৩৩টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
এ বিরহের বেদনাতে ও আনন্দ। ফিনফিনে নরম সন্ধ্যা তারা চাঁদের সাথে তার ছায়া দেখবে ঐ সরোবরে।
ছাইরাছ হেলাল
ইস, সবাই কবি হয়ে যাচ্ছে শুধু এই অধম ছাড়া।
বিরহের বেদনা বেদনাই, আনন্দবেদন সত্যি যন্ত্রণার।
শুন্য শুন্যালয়
বড্ড কঠিন। সংবৎসর অর্থ কি? এ কোন সর্বনাশ বুঝতে পারছিনা। সেই তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ, সেই সর্বনাশ কী? দুই বা তিন প্রহর যাই-ই হোক, নিদ্রা অপেক্ষা ঝর্নাতেই যার মন-প্রাণ তার পথ একদম সঠিকই আছে। ব্যাথা-ব্যদনা কম কম দেখি। ভালোবাসার নৈপুণ্য কবির লেখায় কিন্তু কম দেখছিনা, সঞ্চয়ের স্বপ্ন-নূপূর, বাহ্। সুন্দর কিছু শব্দ আপনার লেখায় পাবোই। সংবৎসর বেঁচে থাকুক কবিযন্ত্রণা।
ছাইরাছ হেলাল
সংবৎসর কে আমরা সারাবছর ভাবতে পারি।
আপনি দাক্তার! ব্যাথা-বেদনার কথা আপনি বুঝবেন না! সব কিছুই বেদানার! মত আপনার কাছে,
লেখা আছে সর্বনাশের কথা, আপনি দেখছেন ভালুবাসা,
স্বপ্ন এখন দিবাস্বপ্নের মত লৌড়ায়, নূপূর আর ঝংকার তোলে না।
আর সুন্দর শব্দ!
চির শব্দঅভাবি মানুষ! কুড়াতেই শান্তি ও শান্তি, আপনাদের প্রশস্ত স্বস্তিটুকুই প্রাণদায়ী প্রেরণাদায়ী,
তা ভাইয়া, কবিতার দেখা পাচ্ছিতো অনুসময়ে!!
নাসির সারওয়ার
মনে হচ্ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এই লেখা অব্দি পৌঁছে গেছে। না হলে তিন তিনটা ঋতু কেমন করে ঝোরে পরলো! আবার প্রশ্নও উঠলো, “কে এনেছিল ডেকে এমন সর্বনাশ?”। এই লেখায় কিভাবে যেনো ভালবাসাকে গলা টিপে হত্যার ষড়যন্ত্র প্রকাশ পেলো। এসব চলিবে না।
কিছুই বুজিনাই……
শুন্য শুন্যালয়
এই যে ভায়া, বাইচ্চা আছেন? দিনকাল ভালো না, প্রতিদিন কেউ হাজিরা না দিলেই সন্দেহ প্রবল হয়। ছবি ছুবি দিয়া ধরাইয়া দেওনের আগে হুশিয়ারী দিলাম।
এতদিন ধইরা পইড়াও লেখা শিখতে পারলেন না? লেখা কই?
নাসির সারওয়ার
@শুন্য শুন্যালয় –
জী, আল্লাহর রহমতে এখনো এই ধরণীতেই আছি। এইডা ঠিক কথা, হাজিরা দেওন লাগবো সবারই। অনেক ডরাই আইজ কাইল।
কি যে বলেন, একটা এক লাইনের মন্তব্য লিখতেই কীবোর্ড নইয়ে টানাটানি, তারপর আবার পুরো আস্ত একটা লেখা! আপনারা লিখুন আর আমি পাঠকের তালিকাতেই থাকি।
ছাইরাছ হেলাল
এবার পড়েছেন মোগলের হাতে!!
কোবতে এবার লিখতেই হবে,
ছাইরাছ হেলাল
কবিদের নিয়ে মহা সমস্যা, এই সব মহামহিম কবিরা সব কিছুর মধ্যেই
প্রেম-ট্রেম এর সাথে যুগপৎ নিরন্তর ভালুবাসা খুঁজে পায়, এ এক মহা বিড়ম্বনা,
এর মধ্যে আবার গলাটেপা ও খুঁজে বেড় করে ফেলেছে,
কুথায় যাই! কী না কী খাই কিছুই বুঝছি না।
আমিও কিছু না বুঝে না জেনেই ফালাই আর ফালাই।
মেহেরী তাজ
হুম ঠিক কে এনেছিলো ডেকে এমিন সর্বনাশ.???
সর্বনাশ কে ডেকে আনতে নাই, সে যেখানে আছে থাকুক!
ছাইরাছ হেলাল
এভাবে সায় দিচ্ছেন!
আপনিও ওসব সর্বনাশের পক্ষ নিলেন!
আপনার বাজার-সদাই খাওয়ার দোকানের ঠিকানা দিয়েন!
দেখি মন্তব্য করার উন্নতি করতে পারি কীনা!
মেহেরী তাজ
মন্তব্যের উন্নতি করার চেষ্টা আপনি করতেই পারেন! কিন্তু সে উন্নতি যদি অতি উন্নতি হয়ে যায় তাহলে কিন্তু সমস্যা…..
ছাইরাছ হেলাল
আরে, এ তো দেখছি না শেখানোর বায়নাক্কা,
জিসান শা ইকরাম
স্বপ্ননূপুর তুলে দিন এবং নিন,
সর্বনাশ এসেছে বলেই এমন কবিতার জন্ম, মধুর সর্বনাশ।
ছাইরাছ হেলাল
কারো পৌষ মাস কারো বেজায়গায় বাঁশ!!
ইঞ্জা
মুগ্ধ হলাম।
ছাইরাছ হেলাল
নিয়মিত পড়ছেন বলে আনন্দিত হচ্ছি,
ধন্যবাদ।
ব্লগার সজীব
কবিতা আর আমি দুজনে দুজন হতে বহু যোজন 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো বিশাল পূণ্যবান, ভাগ্যবানও বটে,
দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দিন, আয়ু বেড়ে যাবে,
আপনার সাবালকত্বের কোন রফা হলে আওয়াজ দিয়েন!!
আস্তে বা জোরে সমস্যা নেই।
ব্লগার সজীব
এডাল্ট জোক পোষ্ট দেয়ার পরেও আমার সাবালকত্বের কোন রফা হয়নি 🙁 আর কোন সম্ভাবনাও দেখছি না।
ছাইরাছ হেলাল
আহারে, গেবন বড়ই মড়ুময়,
বিফল বা ভগ্নমনোরথ এখনই হবেন না।
সবুরে বিশেষ গন্ধম ফললাভ হলেও হতে পারে।
আজিম
কবিতায় মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে মুগ্ধ করতে পেরেছি!!
আবু খায়ের আনিছ
কঠিন পরিস্থিতি, এত শুভ্রতার মাঝে কে এনে দিল এমন সর্বনাশ।
ছাইরাছ হেলাল
সর্বনাশ আমাদের লাগেই, একে ছাড়া আমাদের চলেই না।
আবু খায়ের আনিছ
নিজের পায়ে কুড়োল মেরে বোধ করি আমরা খুব শান্তি পাই, তাই ………..
ছাইরাছ হেলাল
কুড়াল খুব ই দরকারি।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার পায়ের নূপুর নিয়ে টানাটানি!!! :@
যাবে না কিছুতেই যাবে না আমার অভিমানের নূপুর, আগেই জানিয়ে রাখলাম কিন্তু।
ও কবিভাই এতোদিন অনুপস্থিত থেকে এসে এভাবে কঠিন কঠিন পরীক্ষা নিচ্ছেন, ঠিক না। ^:^
এইটা যদি কবিতা হয়, আমি ডরাইছি। -:-
ছাইরাছ হেলাল
এখন ই যেতে বলছি না, তবে অভিমান কমলে যেন নূপূর জায়গায় যায়, তাহলেই হবে,
কবিদের এই এক হ্যাপা, সব কিছুতেই কবিতা দেখে,
এটি কবিতা হতেই পারেনা, তবে কোবতে আপনি উচু গলায় বলতেই পারেন!
আমার কিন্তু তাও হয়েছে বলে মনে হয় না,
আমি অনুপস্থিত এ তথ্য! আপনি কোত্থেকে যে পান!
নীলাঞ্জনা নীলা
নূপুর জায়গামতো জায়গাতেই আছে। চিন্তা করবেন না।
গুগলে কবি-তালিকায় ছাইরাছ হেলাল আছে। তাহলে কি ভুল? ;?
ছাইরাছ হেলাল
না, বলছিলাম কী, এখন নুপূর জাতীয় জিনিসপাতি নানান জায়গায় থাকে!
ঠিকঠাক থাকলেই উত্তম ,
ঐ তালিকা ফটোশপ, বিভ্রান্ত হবেন না।
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
দারূণ লেগেছে
(y)
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ,