
বিবর্ণের বিপন্ন উৎসবের অহো রাত্রিতে আজ বড়ই একা,
ক্ষণে-ক্ষণে মুহূর্ত-ছলনার বিস্বাদ-বিষাক্ততা সময়ের সঙ্কীর্ণ কুটিরে
ক্ষণভঙ্গুরতায় বিক্ষিপ্ত-উদ্ধত-দুর্বৃত্ত কূটাবেশে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে।
হে বিধাতা,
প্রাণ-যন্ত্রণার অনন্ত কালস্রোত -বিভীষিকার উল্লাস-উচ্ছ্বাসের
ধূম্রজাল ছিন্ন করে কায়ক্লেশে-এনে দাও কবিতাময় কালঘুম!
অটল বিশ্বাসের মৌনলোকে এই-ই মিনতি, আজ্ঞাবাহী দাসের;
সম্ভোগ-রাত্রি নির্বিকার-নির্বিবাদ বিষ ছড়ায়েছে আজ হৃদয় জুড়ে,
প্রাণ যাত্রার অনিঃশেষ ঘুমের নির্ঘুমতা থেকে মুক্তি দাও, স্বপ্ন-জাগরণে;
২০টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
কার বিরহে বিরহী হয়ে এমন কান্না-কাটি করছেন মহারাজ? বিশ্বাসের শেকল ছিঁড়ে পরীর দল কি পালিয়েছে?
” ক্ষণভঙ্গুরতায় বিক্ষিপ্ত-উদ্ধত-দুর্বৃত্ত কূটাবেশে কড়ে কুড়ে খাচ্ছে। “,,,,,, কড়ে কুড়ে হবে নাকি কুড়ে কুড়ে হবে বুঝলাম না 🙁
ছাইরাছ হেলাল
কেউ একজন অন্ধকার থেকে আলোর পথে এনেছে তাঁকে অবশ্যই ধন্যবাদ।
ভুল ঠিক করে নিয়েছি, ভুল করেই ভুল লিখে ফেলেছি, শকুন-চোখ চালু রাখুন প্লিজ।
ভাল লিখি-না বলে পড়বেন না, এমনটি কিন্তু ঠিক না। সিরিজের এটি শেষ লেখা! তাই কান্নাকাটি/কাঁদাকাটা
চোখে লাগছে, বৈকালিক আত্মহত্যা ও নির্বাণ প্রত্যাশা এ লেখা দু’টি পড়লে উৎকট কান্না দেখতে পাবেন না।
পড়ুন এবং পড়ুন।
পরী/ডাইনি আছে তো, সিরিজটি শেষ করবো বলে সে লেখা দেইনি।
পাবেন পাবেন। তারা আপনাদের/আমাদের পাশে পাশে আছে/থাকে।
সাবিনা ইয়াসমিন
শেষ! মানে? ভালোইতো লাগছিলো উর্বর কথন সমগ্র। লেখক কি ফাঁকিবাজ পাঠকদের উপর বিরক্ত হয়ে উঠেছেন!!
ছাইরাছ হেলাল
এই তিনটি মিলিয়ে একটি সিরিজ শেষ হলো, এবারে অন্য কিছু লিখব।
পরী/ডাইনিদের নিয়ে, তেমন ভাবনাতেই আছি।
পাঠক লক্ষ্মী! বিরক্ত কেন হবো!
নিতাই বাবু
হে প্রভু, তুমি সকল বিষন্নতা ছিন্ন করে শ্রদ্ধেয় কবির মনে শান্তির পায়রা উড়িয়ে দাও! মনে হয় কবি আজ বিষাদে আছন্ন হয়ে পড়েছে। দয়া কর হে প্রভু!
ছাইরাছ হেলাল
হে প্রভু, দাদার মুখ-চোখে চন্দন লেগে থাকুক।
বন্যা লিপি
মহান বিধাতা জানেন কখন কার ডাক দেবেন।
চাইবার হলে আয়ু চান। দীর্ঘ প্রার্থনায় বেঁচে থাকবেন আরো কিছু কর্মময় জীবন।
ছাইরাছ হেলাল
কবিতাময় কালঘুম পেলেই বর্তে যাব, এর বেশি কিছু চাই-ই না।
আরজু মুক্তা
বিরহে কাতর কবি। নির্ঘুম রাত।
সব ঝড়ে উড়ে যাক। উঠুক নতুন সকাল।
ছাইরাছ হেলাল
এমন স্বপ্ন-সকাল জেগে উঠুক নিত্য নিত্য ভোর-বিহানে
জাগে এ প্রার্থনা হৃদয়ে হৃদয়ে।
নৃ মাসুদ রানা
ধূম্রজাল ছিন্ন করে কায়ক্লেশে-এনে দাও কবিতাময় কালঘুম!
ছাইরাছ হেলাল
নিয়মিত পড়ছেন দেখে ভাল লাগল।
তৌহিদ
শিয়রে বসে কেউ আবেগময় কন্ঠে কবিতা পড়ছে আর আমি তলিয়ে যাচ্ছি ঘুমের অতল সমুদ্রে। আহা! ভাবতেই ভালো লাগছে।
ছাইরাছ হেলাল
কবিতা প্রেমিদের এর থেকে আর বেশি কী আর চাওয়ার থাকে!
ধন্যবাদ।
এস.জেড বাবু
ইশশ কেউ যদি ইট্টুখানি আবৃত্তি করে শোনাতো-
তৌহিদ ভাই ঘুমায়, আর আমি জেগে জেগে হেলাল ভাইয়ের কবিতা মুখস্ত করি।
হিংসা আর হিংসা-
সেদিন ত্রিশ কিলো দুরে হিংসার পলিথিন ভুলে ফেলে আসছি,
এখন দেখি হিংসার শেকড় থেকেও হিংসা খুড়ি মেলে।
কবে যে এমন করে লিখবো।
ছাইরাছ হেলাল
এই আবজাব লেখার পেছেনে কেউ সময় নষ্ট করছেনা দেখতে ভালই লাগে।
আপনি এর থেকে ঢের ঢের ভাল লেখা আপনার চারপাশে ছড়িয়ে /জড়িয়ে আছে দেখতে পাবেন/পাচ্ছেন।
অতএব বুঝতেই পারছেন!!
আমাকেই সামান্য হিংসা দিয়েন, একা খেলে পিলে হবে!
এস.জেড বাবু
হিংসার ক্যাপসুল ত্রিশ পয়সা
টেবলেট বিশ পয়সা
ইঞ্জেকশন ফ্রি
কোনটা লাগবে বলিয়েন।
ছাইরাছ হেলাল
আপাতত ফ্রি দিয়েই ট্রাই করতে চাই।
জিসান শা ইকরাম
ছবির চোখ দুটো দেইখ্যাই তো ঘুম উড়ে গ্যাছে আমার। এমন চক্ষু কই পাইলেন?
একা থাকলে কেমনে এমন লেখা বের হয়?
সাথে দূরে কেউ তো আছেই 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এই উড়াধুরা লেখা লিখতে তেমন কিছু করা লাগে না,
কোথাও কেউ নেই, ছিল ও না কেউ কোনদিন।