
সেপ্টেম্বর মাস সোনেলা ব্লগ প্রতিষ্ঠার মাস। আট বছর পেরিয়ে ২০২০ সালে সেপ্টেম্বর মাসের তেইশ তারিখ সোনেলা ব্লগ পদার্পণ করেছে নবমবর্ষে। কাজেই সেপ্টেম্বর মাসটি সোনেলা পরিবারের আমাদের সকলের কাছে সোনেলার জন্মোৎসব পালনেরও মাস।
সোনেলা ব্লগের নবম বর্ষে পদার্পণ এবং ব্লগের জন্মদিন উপলক্ষে সোনেলা পরিবারের সকল সদস্য, আমাদের ব্লগার লেখক ও পাঠকদের মাঝে যে অভাবনীয় উৎসাহ উদ্দীপনা দেখেছি, যে সাড়া আপনাদের কাছ থেকে পেয়েছি তা দেখে সত্যিই আমরা অভিভূত এবং সেই সাথে গর্বিত।
সোনেলার জন্মোৎসবে আমাদের ব্লগ মডারেটরগন, চৌকশ এডমিনগন এবং উপদেষ্টামন্ডলীর প্রত্যেকেই নিজেদের যে শ্রম ও সময় দিয়ে এ উৎসবকে সফল করেছেন এজন্য ধন্যবাদ তাদের প্রাপ্য। প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ, আপনাদের প্রতি রইলো আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা।
সোনেলা ব্লগের জন্মমাস উপলক্ষে সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে সোনেলার ফেসবুক গ্রুপে সোনেলার ব্লগারদের সোনেলাব্লগ নিয়ে নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করে লিখতে অনুরোধ করা হয়েছিল। সে অনুরোধে সাড়া দিয়ে আমাদের ব্লগারগণ সোনেলার প্রতি নিজেদের ভালোবাসা ব্যক্ত করে যেসব লেখা দিয়েছেন প্রত্যেকটি লেখাই এক একটি রত্ন, অমূল্য সম্পদ সোনেলার কাছে।
এসব লেখা পড়তে গিয়ে আমরা খুঁজে পেয়েছি সোনেলার প্রতি আপনাদের অগাধ বিশ্বাস এবং আস্থা। যে অকৃত্রিম ভালোবাসা আপনাদের কাছ থেকে পেয়েছি এ বন্ধনকে কোনও নাম দিয়েই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আপনারা লেখকগণ হচ্ছেন একেকটি হীরকখণ্ড যার প্রজ্জ্বলিত আলো কখনওই ম্লান হবার নয়।
প্রিয় পাঠক, সোনেলার নবমবর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে ব্লগারদের নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে পোষ্টকৃত লেখাগুলি থেকে আমার ভালোলাগা কিছু চৌম্বক অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি-
ব্লগার ইঞ্জা সোনেলার জন্মোৎসবে সবার প্রথম নিজের ভালোবাসার অনুভূতি জানিয়ে সোনেলায় আমার আমিত্ববোধ। (সোনেলার জন্ম মাস) শিরোনামে লিখেছিলেন-
“একদিন ইচ্ছে হলো সোনেলায় কি আছে দেখি, গেলাম পেইজে দিলাম উঁকি, ওমা কি সুন্দর সুন্দর লেখা আর ব্লগারদের গঠনমূলক মন্তব্য দেখে নিজেই পটে গেলাম। ব্লগে প্রবেশ করে “ঠাডা” শিরোনামে একটি পোষ্ট দিয়েই আমি ভৌঁ দৌড়। কয়েকদিন শুধু উঁকি দিয়ে দেখি সিনিয়র ব্লগাররা আমার লেখার গঠনমূলক আলোচনা করে মন্তব্য দিচ্ছে। এরপর আরও কিছু পোস্ট দিলাম, অন্যদের লেখায় মন্তব্য চলছে, সিনিয়ররা আমাকে লেখা শেখাচ্ছে, ভুল গুলো জানাচ্ছে, আমি শিখছি।”
ব্লগার সাবিনা ইয়াসমিন আগস্ট মাসে সবার প্রথম সোনেলাকে নিয়ে নিজের অনুভূতি লিখে পোষ্ট লিখেছিলেন। নিশীথে সোনেলা শিরোনামে তিনি লিখেছিলেন-
“সোনেলা! নামটির প্রেমে পড়ি প্রথমদিনেই। এতো সুন্দর একটা নাম, যার অর্থ খুঁজে নিতে হয় অনুভব দিয়ে। শৌখিন সুন্দর এই জগতের সন্ধান পাওয়ার পর সোনেলা অঙ্গনে নীড় বাধতে দেরি করিনি। একটুকরো জমিতে পরম মায়ায় গড়ে তুলেছি নিজের একখানা ঘর। আমার একান্ত নিজের ছায়া সুনিবিড়, শান্তির ঘর। এই আঙ্গিনায় পেয়েছি শত শত বাড়ি। একেকটা বাড়িতে বসত করেন সোনালী মানুষেরা। ছন্দে-বর্ণে-ছবিতে সাজানো গোছানো চমৎকার সব বাড়ি। দিনে-রাতে সারাক্ষণই আলোকিত এই বাড়িগুলো। প্রতিটি বাড়ির আলোকসজ্জায় চোখ ধাঁধিয়ে যায়। অবাক করা ব্যাপার হলো, এখানে যারা নীড় বেধেছেন তারা কেউ-ই তাদের বাড়িতে দরজা জানালা বন্ধ রাখেন না!সবাই আমন্ত্রিত, সবার জন্য উন্মুক্ত সোনেলার সোনালী মানুষদের নীড়।”
ব্লগার শামীম চৌধুরী সোনেলায় আমি, আমার সোনেলা (সোনেলার জন্ম মাস) শিরোনামে লিখেছিলেন-
“সোনেলা আমাকে একজন লেখক হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। একজন ফটোগ্রাফার হিসেবে দুনিয়ায় পরিচিয় তুলে ধরেছে। এমন এমন মানুষের সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়েছে যা আমার স্বপ্নের বাহিরে ছিলো। এত এত গুনীজনের কাছ থেকে আমাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা পাওয়ার সুযোগটা করে দিয়েছে সোনেলা। মানুষ গড়ার কারিগর যেমন শিক্ষক সমাজ। তদ্রুপ লেখক, কবি, চিত্রগ্রাহক সহ আমাদের নানান প্রতিভাগুলি পাঠকদের বাগানে ফুঁটিয়ে তোলার নিঃস্বার্থ কারিগর হচ্ছে এই সোনেলা। স্বার্থপরের মতন সোনেলার কাছ থেকে সব কিছু গ্রহন করলাম। যার জন্য সোনেলার কাছে চির ঋনী হয়ে রইলাম।”
ব্লগার আরজু মুক্তা আমার অনুভূতি (সোনেলার জন্মমাস) শিরোনামে লিখেছিলেন-
“সবার মতোন করেই সবাই চলে এটুকু বোঝার মতো বুদ্ধিদীপ্ত হয়ে, সবাইকে ভাববার ও সুযোগ দেয়া, দায়িত্বটা দিয়ে দেয়া। তাতেই অনেক সমাধান লুকিয়ে থাকে। আমরা খুঁজতে দেরি করি এই যা! সোনেলায় এসে, কলম নিয়ে লিখতে পারি। এটাই বড়। ব্যক্তিজীবনে যাই করিনা কেনো; ব্লগার পরিচয় দিতে বেশি ভালো লাগে।”
ব্লগার মজিবর রহমান সোনেলায় আমার আগমণ ও আমি সোনেলায়( সোনেলার জন্মমাস) শিরোনামে লিখেছিলেন-
“সোনেলায় পাঠক হয়ে আমি রয়ে গেছি। আমার তেমন কোন সৃজনশীল বুদ্ধি আল্লাহ দেয়নাই তাই পাঠক হয়েই রয়ে যাই। হইতোবা স্বপ্নই দেখিনাই। তবে সোনেলায় থেকে সোনেলার একজন খুদ্র পাঠক হয়তো হতে পেরেছি। পাঠক হওয়া বড় ধৈর্য্যের প্রয়োজন আর তা যখন নাই তাই ভাল পাঠক হতেও পারিনাই। সোনেলায় আমি থেকেই গেছি এইখানে।”
ব্লগার কামাল উদ্দিন আমার ব্লগিং জীবনের সাতকাহন (সোনেলার জন্ম মাস) শিরোনামে লিখেছিলেন-
“আমার ব্লগার সত্ত্বা বজায় রাখতে ব্লগের সন্ধান করতে থাকি। এক সময় পেয়ে যাই সোনেলার সন্ধান। যে ব্লগে প্রাণের ছোয়া নেই সেখানে ব্লগিং করে মনের ক্ষুৎ পিপাসা নিবারণ হয়না। বর্তমানে সোনেলা ব্লগে প্রাণ আছে। এখানে প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জন্য অন্যরকম টান অনুভব করি। কেউ কাউকে না দেখেও যেন আত্মার আত্মীয়। অতীতে এমন প্রাণের ব্লগগুলো হারিয়ে গেছে বলে ব্লগকে বেশী ভালোবাসতে ভয় হয়, ভালোবাসা হারাবার ভয়। হাজার বছর বেঁচে থাকুক প্রাণের সোনেলা এই কামনায় শুভ জন্মদিন।”
ব্লগার সাদিয়া শারমীন জয়তু সোনেলা শিরোনামে নিজের অনুভূতিতে লিখেছিলেন-
“সোনেলার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার প্রতিটা লেখায় সোনেলার ব্লগারদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। বিশেষ করে এডমিন প্যানেলের উৎসাহ আমাকে লেখার প্রতি আগ্রহী করেছে। “স্বপ্ন” শিরোণামে আমাকে গল্প লেখার সুযোগ করে দিয়েছে সোনেলা। যে মানুষ আমি গল্প লিখতে ভয় পেতাম, সেই মানুষটির ভেতর থেকে লেখা টেনে এনেছে সোনেলা। আর সেই লেখায় অসংখ্য উৎসাহমূলক মন্তব্য আমাকে আপ্লুত করেছে। আর গল্প লেখার তাগিদও অনুভব করছি প্রতি ক্ষণে ক্ষণে। বুঝে গেছি সোনেলার ব্লগার ও এডমিন প্যানেলের উৎসাহ, অনুপ্রেরণায় একজন ব্লগার লেখার আগ্রহ পায়।”
ব্লগার সুপর্ণা ফাল্গুনী সোনেলায় আগমন ও অঙ্গীকার নামা (সোনেলার জন্মমাস) শিরোনামে লিখেছিলেন-
“আমার ভাবতেই ভালো লাগে আমার লেখার জন্য এতো সুন্দর, আন্তরিক প্লাটফর্ম হিসেবে সোনেলাকে পেয়েছি। এখানকার সবাই আমাকে এতোটা আপন করে নিয়েছে, আমার লেখার প্রশংসা করেছে যা আমার কল্পনাতীত ছিল। আমি কখনোই এতোটা আশা করিনি। সব সম্ভব হয়েছে সবার ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণার জন্য। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এখন সোনেলাই আমার একমাত্র ভালোলাগার জায়গা যেখানে না আসলে, লেখা না পড়লে মনটা অস্থির হয়ে থাকে।”
ব্লগার আলমগীর সরকার লিটন একটু অনুভূতি (সোনেলার জন্মমাস) শিরোনামে লিখেছিলেন-
“মোটামুটি যতোগুলো ব্লগিং করেছি তার মধ্যে সোনেলার ব্লগ পাতা আমার কাজে অন্যরকম মনে হয়েছে। বেশ নিয়মতান্ত্রিক এবং আন্তরিকতাপূর্ণ, সৃজনশীল।”
ব্লগার তৌহিদ সোনেলার জন্মোৎসব ২০২০ (আমার অনুভূতি – ১ম পর্ব) শিরোনামে লিখেছিলেন-
“সোনেলা ব্লগ” আমার কাছে একটি আবেগের নাম। সাহিত্যানুরাগীদের মনের কোণে ঘর করে নেয়া বিশেষ একটি অনুভূতির নাম। ব্লগিং জগতে সোনেলাকে আজ একটি ব্রান্ড হিসেবে সবাই চেনেন এবং জানেন। বিশুদ্ধ মননশীলতায় ভরপুর লেখকদের আনাগোনায় সোনেলা পাঠক হৃদয়ে বিশাল এক স্থান করে নিয়েছে নিজস্ব তার স্বকীয়তায়। এর প্রমান ব্লগের মূল সাইটে প্রবেশ করলেই পাওয়া যায়। আর এ কারনেই সোনেলায় লিখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি আমি।
ব্লগার তৌহিদ সোনেলার জন্মোৎসব ২০২০ (আমার অনুভূতি – ২য় পর্ব) শিরোনামে লিখেছিলেন-
“সহব্লগারদের প্রতি আমার চাওয়া- একজন নতুন লেখককে অবশ্যই অনুপ্রেরণা দিতে হবে। কেউ জন্ম থেকেই লেখার শিক্ষা নিয়ে আসেনি। আপনি, আমি যখন লেখালিখি শুরু করেছি আমাদেরও একই অবস্থা ছিল। আমরা লিখতে লিখতে শিখছি। তাই অহেতুক অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য না করে নতুন লেখকদের উৎসাহ দিন, তাদের বুঝিয়ে বলুন। ব্লগকে মানিয়ে নিতে সহযোগীতা করুন। আপনার মন্তব্যে লেখক যাতে নিত্যনতুন লেখার ক্ষেত্রে আগ্রহবোধ করে সেদিকে অবশ্যই সুদৃষ্টি রাখুন।”
ব্লগার তৌহিদ সোনেলার জন্মোৎসব ২০২০ (আমার অনুভূতি – ৩য় পর্ব) শিরোনামে লিখেছিলেন-
“সোনেলার একজন ব্লগার হিসেবে আমি গর্বিত। অন্যান্য বাংলা ব্লগের তুলনায় সোনেলা ব্লগের প্রতিটি লেখায় পাঠক সংখ্যা, মন্তব্য সংখ্যা এবং অনলাইন শেয়ারের অংকটা দেখলে গর্বে বুক ফুলে যায়। আমিও যে এই পরিবারেরই একজন সদস্য। আমাদের নিজেদের সাথে কিংবা অন্যদের সাথে কারও কোনো দ্বন্দ্ব নেই, দম্ভ নেই, ন্যূনতম অহমিকা নেই। আমাদের সকলের বিশ্বাস এবং আস্থার শেষ বিন্দুটুকুও সোনালী ভালোবাসা আর মমতার মোড়ানো। সত্যিই অন্যান্য ব্লগের সবার থেকে আমরা সোনেলা পরিবার ভালো আছি, অনেক অনেক ভালো।”
ব্লগার তৌহিদ সোনেলার জন্মোৎসব ২০২০ (আমার অনুভূতি – শেষ পর্ব) শিরোনামে লিখেছিলেন-
“সোনেলা আমার প্রথম ও শেষ ঠিকানা। সোনেলা ব্লগ ব্যতিত আমি অন্য কোথাও কোন ব্লগে আর কখনোই লিখিনি, লিখতে চাইও না। সোনেলা আমার কাছে শিক্ষার পবিত্র স্থান। এখানে আমি সবসময় একজন শিক্ষানবিশ হিসেবে থাকতেই পছন্দ করি। আমি সোনেলাকে ভালোবাসি আমার প্রেমিকার মত। সোনেলার কাছে কিছু চাইবার নেই আমার। কারন সোনেলায় আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তি অনেক বেশী। যে শিক্ষা সোনেলা আমাকে দিয়ে চলেছে কোন কিছুর বিনিময়েই তার ঋণ শোধ হবার নয়।”
ব্লগার প্রদীপ চক্রবর্তী “সোনেলার জন্মতিথিতে” একান্ত ভাবনা শিরোনামে লিখেছিলেন-
“সোনেলা ব্লগে এসেই বুঝলাম ব্লগ কি এবং তা কেমন। পরিচ্ছন্ন, পরিপাটি এক বিশাল উঠোন। এ উঠোনের সব সদস্য একে অপরের আত্মজন। ব্লগ সম্পর্কে আমার কখনো অভিজ্ঞতা ছিলোনা। সোনেলা ব্লগে এসে আমার ক্ষুদ্র ভাবনাকে আর আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষ স্থান পাবে তা কখনো ভাবতেও পারিনি।”
ব্লগার সুরাইয়া পারভীন প্রিয় প্রাঙ্গণে আগমন (সোনেলায় আমার আগমন)_প্রথম পর্ব শিরোনামে লিখেছিলেন-
“ইঞ্জা ভাইয়া আমাকে সোনেলা সম্পর্কে সমস্ত কিছু বললেন। আরো বললেন আপনি এখানে লিখলে আমাদের এবং আপনারও খুব ভালো লাগবে। আমি এবার বেশ আগ্রহ প্রকাশ করলাম। তার ঠিক দু’দিন পর আমার সবচেয়ে পছন্দের মানুষ সাবিনা ইয়াসমিন ( প্রিয় মিষ্টি আপু) আমাকে ইনবক্সে নক করলেন। আমি বললাম ব্লগ সম্পর্কে কিছু জানি না তবে মমি ভাইয়া ও ইঞ্জা ভাইয়া ধারণা দিয়েছেন। আমি লিখতে চাই আপু কিন্তু কীভাবে লিখতে হয় একাউন্ট করতে হয় কিছুই তো জানি না? আপু আমাকে বললেন একদম চিন্তা করতে হবেনা। এরপরে ইকরাম জিসান ভাইয়ের সহযোগীতায় ব্লগে নিবন্ধিত হন তিনি।”
ব্লগার সুরাইয়া পারভীন প্রিয় প্রাঙ্গণে বিচরণ(সোনেলায় আমার বিচরণ)_দ্বিতীয় পর্ব শিরোনামে লিখেছিলেন –
“ব্লগে প্রবেশ করে নিজের পোস্টে গিয়ে চোখ ছানাবড়া। আরে বাস্! এতো এতো সুন্দর মন্তব্য দেখে আমি জাস্ট হতভম্ব! ছোট্ট দু’টো কবিতার চুলচেরা বিশ্লেষণ। ওয়াও প্রেমে পড়ে গেলাম সোনেলা ব্লগের! ব্লগে এসে আমার খুব ভালো লাগতে শুরু করলো। সোনেলায় বিচরণ বেড়ে গেলো আমার সাথে টুকটাক আমিও অন্যদের লেখায় মন্তব্য দিতে শুরু করলাম।”
ব্লগার সুরাইয়া পারভীন প্রিয় প্রাঙ্গণ থেকে প্রাপ্তি (সোনেলা থেকে আমার প্রাপ্তি)_শেষ পর্ব শিরোনামে লিখেছিলেন-
“সন্মান, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, স্নেহ কী নেই যা আমি প্রিয় প্রাঙ্গণ তথা প্রিয় সোনেলা থেকে পাইনি! সোনেলা থেকে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি লেখক স্বীকৃতি। সোনেলা আমাকে লেখক হিসেবে বিশ্বের সমস্ত বাংলাভাষীদের দোরে দোরে পৌঁছে দিয়েছে। এই প্রাপ্তি আর কোথাও পাওয়া যেতো কি না জানি না? লেখালেখির জগতে আমি একদমই নতুন। আর এই নতুন আমিকে সবার কাছে পৌঁছে দিয়েছে সোনেলা ব্লগ।”
ব্লগার সুপায়ন বড়ুয়া শুভ কামনায় সোনেলার জন্মমাস !শিরোনামের কবিতায় লিখেছিলেন-
“সোনেলার জন্মমাসে জানাই তোমায় সালাম
হিসাব নিকাশ করতে বসি কখন কি পেলাম।
শাহবাগের উত্তাল দিনে মুক্তিযুদ্ধের শপথ নিয়ে জন্ম সোনেলার।
তারুণ্যের জয়যাত্রার আপোষহীন উন্মাদনায় এগিয়ে চলবার।
মানুষ বলে একটি ব্লগ সোনেলা তার নাম
সুধীজনের মিলনমেলা অনেক তার সুনাম।
কেউ বা আসে গল্প নিয়ে কেউ বা লিখে স্মৃতি
অভাজনের স্মৃতি কথায় লিখেন অনুভুতি।”
ব্লগার খাদিজাতুল কুবরা সোনেলায় আমার প্রাপ্তি এবং কিছু স্মৃতিকথা শিরোনামে লিখেছিলেন-
“সোনেলায় নবাগতা হয়েও আমার প্রাপ্তি ঝুড়ি ভরা। যে প্রিয় ব্লগারগণ আমার অকবিতা গুলো পড়ে মন্তব্য করে উৎসাহ যুগিয়েছেন উনাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সোনেলার সোনা ঝরা দিন অক্ষয় থাকুক! সাহিত্যাঙ্গনে সোনেলা চির ভাস্বর হোক! দিগ দিগন্তে সোনেলা ছড়িয়ে পড়ুক! সোনেলার জয় হোক!”
ব্লগার বন্যা লিপি সোনেলায় আমি // প্রথম পর্ব শিরোনামে সাহিত্যে বিচরণের ইতিকথা নিয়ে লিখেছিলেন-
“দেখলাম ‘কবিতা চক্র’ লেখা খাতার উপরে। সাইন করে দিলাম। আব্বাকে জিজ্ঞেস করলাম ব্যাপার কি? আব্বা সংক্ষেপে বললেন, একটা সংঘটন চালু করতে যাচ্ছে কবি সাহিত্যিকরা। তার মিটিং আছে। এর বেশি কিছুই আর জানার প্রয়োজন নেই। আব্বা নিজে আছেন এখানে, তাঁর সম্মতি না থাকলে আমার যোগদানের প্রশ্নই উঠত না। আমার যাত্রা শুরু এখান থেকেই। লিখি, আবৃত্তি করি। শহরের যে কোনো সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম মানেই আবৃত্তিতে আমি থাকছি। থাকছেন আব্বাও। “
ব্লগার বন্যা লিপি সোনেলায় আমি// দ্বিতীয়- পর্ব শিরোনামে লিখেছিলেন-
“একটা খাতা কিনেছিলাম রান্নার রেসিপি লেখার জন্য ওখানে লিখেছিলাম–” আবারো লিখতে চাই সেই আগের মত। জানিনা আর পারব কিনা। তবু চেষ্টা করতে ইচ্ছে করছে নিজের মত”….কিন্তু তবুও আর এগোয়নি। বহুবছর পরে সেদিন একটা চিঠি খুঁজে পেয়েছি অনেক জমানো চিঠির মাঝে , যা লিখেছিলেন আমার আব্বা আমার বিয়ের পর পর তাঁর জামাতাকে। আমি কেঁদেছি সে চিঠি পড়ে। আব্বা কখনো কোনো কাজের প্রশংসা সামনা সামনি কোনোদিন করেন নি। আমার বরকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন আমার লেখার প্রশংসা। “
ব্লগার বন্যা লিপি সোনেলায় আমি// শেষ পর্ব শিরোনামে লিখেছিলেন –
“থেমে যাওয়া ঝড়ের পরে নতুন উদ্যোমে চলতে শুরু করলো আবারো সোনেলার বৈতরণী। ঝাঁকে ঝাঁকে নক্ষত্র ছুটে আসছে ব্লগে। বাংলা সাহিত্য নিয়ে এক উজ্বল নাম হয়ে প্রতিষ্ঠিত এই সোনেলা ক্ষুধা মিটিয়ে চলেছে ঝাঁকে ঝাঁকে আসা নতুন নতুন লেখকদের। নিত্য নতুন লেখক আসছেন, দেখছেন, জয় করছেন সোনেলার উর্বর ভূমি। একেকজন লেখকের পোষ্ট মন্তব্যে মন্তব্যে হয়ে উঠছি একে অপরের পরমাত্মা। কেউ কাউকে চিনিনা, জানিনা। চিনি, জানি শব্দ এবং ভাষার পেছনে যে মন মনন ধারন করেন! সেই লেখক সত্বাকে। মানুষ না দেখেও মানুষ বোঝা সম্ভব তাঁর কলম থেকে বেরোনো শব্দ গাঁথুনির মধ্য দিয়ে।”
ব্লগার ছাইরাছ হেলাল সোনেলার উচ্ছল উৎসবে শিরোনামে সহব্লগার সুরাইয়া পারভীনকে তার দুইশততম পোষ্টের জন্য আগাম অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছিলেন-
“এক-ফালি রূপোলী চাঁদ কতোটা স্থির হলে
ঘোলা জলে তিন’শ তেত্রিশটা গোলাপ ফুটে ওঠে!
পদ্ম-দীঘির পাড়ে আঘ্রাণ জ্যোৎস্নার ম্লান আলোয়
খড়কুটোর জ্বালে রসের ঘ্রাণে সাক্ষী থেকে, অস্তিত্বের মাঝে
অন্ধকার এলে অন্ধের বিরূপ বাগানে থমকে না দাঁড়িয়ে
ভয়হীন দৃঢ়তায় সোনেলা ছুঁয়ে স্বর্ণদ্বীপ জ্বেলে বলে উঠি
এই, এই যে আমি এইখানে,
এখানেই ছিলাম আছি থাকবো-ও,
দূরগামী নিটোল ঢেউয়ের উচ্ছল উৎসবে।”
ব্লগার মনির হোসেন মমি সোনেলা আমার ব্লগ-আমার অহংকার-শুভ জন্মোৎসব শিরোনামে লিখেছিলেন-
“সোনেলা ব্লগে এসে কী পেয়েছি তা নয়-কী পাইনি;তাই বলতে হয়।নারায়ণগঞ্জ-সিদ্ধিরগঞ্জ এর মনিরকে কে চিনতো?আট দশজন নীরব অপরিচিত মানুষের মতই নীরবতায় একদিন পৃথিবীর বিয়োগ হয়তো হত। তখন মসজিদের মাইকে শোক ঘোষনায় শুধু নামটিই বলে যেত-কেউ চিনুক আর নাই বা চিনুক কারন একই নামে অসংখ্য ব্যাক্তির জন্ম আছে এ ধরণীতে!তাই ব্যাক্তি বিশেষণ ছাড়া চেনার মাঝে দ্বিধা-দন্দ্ব পড়বে মন এটা স্বাভাবিক কিন্তু সোনেলার স্পর্শে আমার শহরে-নগরের সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, মেহনতি মানুষের মুখে আমি এখন আর সাধারন কেউ নই। আমি একজন লেখক, সমাজ সেবক, দেশ প্রেমীক, প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর, একজন ব্লগার যার নাম ব্লগার মনির হোসেন মমি। আর এ ব্লগে যিনি আমাকে এনেছিলেন তিনি হলেন ব্লগের খুবই আপণ জন পরিচিত মুখ সবার প্রিয়-সাহাদৎ হোসেন শিপু ভাই।তার প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধা আর ভালবাসা থাকবে।”
ব্লগার শবনম মোস্তারী সোনালী অনুভবে সোনেলা শিরোনামে নিজের অনুভূতিতে লিখেছিলেন-
“নিরন্তর বয়ে চলা আবেগের নদীতে সোনেলার পালতোলা নৌকার পাটাতনে বসে গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ লিখে লেখকগণ ভাসিয়ে দিচ্ছেন পাঠককুলের পাড়ে। আর পাঠক? তারা যেন লেখা পড়ে হচ্ছেন বিবাগী পথিকের মত সম্মোহিত। পানকৌড়ির মন্ত্রমুগ্ধ শিকারের মত দুর্জেয়। তবু পড়ার পিপাসা মেটেনা আমাদের। পড়তে চাই বেশি বেশি। পাঠকের পিপাসা মেটাতে সোনেলা অগ্রগামী একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা।”
ব্লগার নাসির সারওয়ার ব্লগার হবো (সোনেলার জন্মমাস) শিরোনামে লিখেছিলেন-
“একসময় সোনেলা নামের একটা ব্লগ পেলাম। নামটাতো বেশ পছন্দের। তাদের আইনকানুন গুলোও বেশ সহনশীল মনে হলো। ব্যস,পড়া চলছে সোনেলার লেখা আরও চলছে ব্লগের তথ্য যোগাড়। অনেক ভালো ভালো লিখিয়েরা আছেন এখানে। লেখার চাইতে আরো উন্নত তাদের মন্তব্যগুলো। মনে হচ্ছে মন্তব্যও একটা বড় ভুমিকা রাখে ব্লগে। একজনের লেখা আরও উন্নত করা যায় কি করে। একজন একজনকে সাহায্য করছেন। মুশকিল হলো, কেউ এই আলোচনা ভালো ভাবে নিচ্ছেন, কেউ নিতে পারছেন না। এই নিতে না পারা লেখকদের লেখা কেমন যেন একজায়গায় আটকে থাকছে। একদিন অনেক সাহস নিয়ে সোনেলাতে আবেদন করে বসলাম। কর্তৃপক্ষ বেশ আন্তরিক ভাবে আমাকে সদস্য বানিয়ে নিলেন। তারপর একদিন আরো একটু বেশী সাহস নিয়ে লিখেই ফেললাম কিছু একটা যার শিরোনাম ছিলো ‘অবশেষে আমি যখন সোনেলায়’। “
ব্লগার রোকসানা খন্দকার রুকু বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর,আমি সোনেলার ছাত্র! শিরোনামে লিখেছিলেন-
“সোনেলা ব্লগে অনেক ভালো লেখেন,এমন মানুষ অনেক কিন্তু তাঁরা অনিয়মিত। মাঝে মাঝে দেখা পাওয়া যায়। আমার কাছে মনে হয় অন্তত নতুনদের কমেন্ট বক্সে থাকা দরকার। না হলে এত কষ্ট করে তৈরী একটা অঙ্গন আমার মত অ-লেখকদের কারনে নষ্ট হয়ে যাবে। আমার লেখায় সমালোচনা করলে আমি হয়ত আর লিখব না কিংবা ব্লগে নিয়মিত থাকবনা এমনটা ভাবার কারন নেই। কারন ভালোলাগা,ভালোবাসা ছাড়া আমরা কোন কাজই করিনা। যার সমালোচনা সহ্য করে শেখার ইচ্ছে আছে সে থাকবে আর যার শেখার ইচ্ছে নেই সে এমনিতেই থাকবেনা।”
ব্লগার রেহানা বীথি জন্মমাসে শুভেচ্ছা তোমাকে শিরোনামে লিখেছিলেন –
“যেকোনও সৃষ্টিই আমাদেরকে নতুন কিছু বার্তা দেয়, ভাবায়, ভাবনার প্রতিফলন ঘটায়। আর সোনেলা তো কয়েকজন গুণী, নিষ্ঠাবান, সহৃদয় মানুষের ভাবনার যথার্থ প্রতিফলন। তাঁদের স্বপ্নের বাস্তব রূপ। এই স্বপ্ন যেন উদার আকাশে নির্বিঘ্নে ডানা মেলে উড়ে বেড়াতে পারে, সেজন্যে তাঁদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। আমরা… আমিসহ সোনেলার সমস্ত সদস্য, ব্লগারগণ তাঁদের এই স্বপ্নের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। দুঃখ-সুখে আমরা পাশাপাশি চলি। কেউ হয়তো সাময়িক দূরে সরে থাকি জাগতিক কারণে, তবু হৃদয়ে আমাদের সোনেলার বাস।”
ব্লগারদের সব লেখা লিংকসহ একত্রিত করে সম্পাদনা করা অনেক সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্য একটি বিষয়। আশাকরি যেকোন ভুলভ্রান্তি প্রত্যেকেই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন লেখা এখানে সংযোজিত না হলে আমাদের জানান, আমরা সংযুক্ত করে দেবো।
পোষ্ট সম্পর্কিত যেকোন পরামর্শ মন্তব্যে বলুন।
ধন্যবাদ, শুভ ব্লগিং।
৪৬টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
হাজিরা দিলাম। আসব। ফিরে সোনেলায় বারে বার।
তৌহিদ
আসুন ভাই, অপেক্ষায় রইলাম। ভালোবাসা অবিরাম।
মোঃ মজিবর রহমান
এসেচি পড়েছি তবুও শেষ হইনি।
আরজু মুক্তা
ভালো এবং প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ভালো লাগা রেখে গেলাম। আর লেখকের জন্য থাকলো সোনালি রোদের শুভেচ্ছা। সকল ব্লগার ভালো থাকুক।
শুভকামনা।
সোনেলা দীপ্ত পদে এগিয়ে চলুক যুগ যুগান্তর।
শুভ ব্লগিং।
তৌহিদ
শুভকামনা সবসময়। আমরা সকলে মিলে একসাথে এগিয়ে যাব এটাই প্রত্যাশা।
জয়তু সোনেলা।
শামীনুল হক হীরা
অনেক ভালবাসা নিয়ে,এক বুক আশা নিয়ে এসেছি সোনেলায়,
একা বসে অনুভবে স্বপ্নের বীজ বুনবো বসে
একান্তে নিরালায়।
শুভ হোক সোনেলার প্রতিটি দিন,সকল উদ্যেগকেই স্বাগতম জানাই,
তৌহিদ
সোনেলা নিজের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, শক্ত করে আপনাকেই ধরতে হবে ভাই। সবার লেখা পড়ুন, মন্তব্য করুন। সোনেলা আপনার পাশে আছে অবশ্যই।
শুভকামনা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
এমন একটি শ্রমঘন কাজ সবাই পারে-না, করেও-না। যতদূর মনে পড়ে আপনি এর আগেও এমন কঠিন-সফল
কাজ করেছেন, এর ধারাবাহিকতায় এটিকে-ও রাখছি, সম্মুখ চোখে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সোনেলার সোনাদের, যাদের ভালোবাসায় আজ সোনেলা আমাদের/সবার।
তৌহিদ
সোনেলার ব্লগারদের জন্য এতটুকু করাই যায়। ভালোবাসার প্রতিদান হয়না। সোনেলার জন্য এরচেয়ে বেশী আর কি করবো বলুন। যা দিয়েছে তা কি ভোলা যায়!!
দোয়া রাখবেন ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
সোনেলায় এতো শ্রমঘন পরিশ্রম করে, মমি ভাই, নিতায় দা, শামীম ভাই, মাঝে মাঝে প্রিয় জিসান ভাই। এই রকম একটি পোষ্ট লিখতে সময় ও শ্রম দুটই খুব ব্রেইন দিয়েই করা লাগে। জন্মবর্ষের হালখাতা করলেন সুন্দরভাবে।
আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ। তৌহিদ ভাই।
তৌহিদ
আপনাদের সকলের ভালোবাসায় উৎসাহ পাই। আপনিও ভালো থাকুন ভাই।
শুভকামনা সবসময়।
ফয়জুল মহী
সোনেলা নাম তার। হ্যা সবাই মিলে মননশীল সৃজনশীল , শিক্ষণীয় ও মানবিক লেখনী দিয়ে সাহিত্য মনের সুধা পূরণ করার চেষ্টায় প্রতিজ্ঞাবন্ধ।
আর এতে প্রধান নিয়ামক হলো লেখক ও পাঠক। সমাজে ক্রিয়েটিভ লেখক ও পাঠক আজ খুবই দরকার । আর লেখকের কলম এবং পাঠকের মন সমাজ পরিবর্তনের বলিষ্ঠ হাতিয়ার। তাই সমাজের প্রতিস্তরে সাহিত্য ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে সোনেলা।
সারা দুনিয়ার সাহিত্য প্রেমিক মানুষকে এক সুতায় গাঁথাই সোনেলার প্রয়াস । আর এখান হতে এমন একজনের লিখাই আপনার চিন্তা চেতনা পাল্টিয়ে দিবে বলে সোনেলা বিশ্বাস করে । জয়তু সোনেলা।
তৌহিদ
আপনার মন্তব্যে প্রীত হলাম ভাই। ভালো থাকুন সবসময়।
সুরাইয়া পারভীন
চমৎকার একটি পোস্ট যেখানে সোনেলার সোনালী মানুষদের একই বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন। এটি সত্যিই অনেক ধৈর্য্য ধারণ করে গোছাতে হয়েছে তা আমি ভাবতেই পারিনি। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সবাইকে একসাথে একই পোস্টে আপনার জন্য।
ভালো থাকুন সবসময়
তৌহিদ
সময় বের করে এই পোষ্ট লিখতে বেশ কিছুদিন লেগেছে আপু। সব কষ্ট সার্থক হয় যখন আপনাদের উৎসাহ অনুপ্রেরণা পাই।
পাশে থাকুন সবসময়। শুভকামনা।
বন্যা লিপি
মানে….. কী বলব? ভাষা রুদ্ধ এমন পোষ্ট পড়ে। আপনি গতবারেও এমনটা করেছিলেন মনে আছে। প্রতিটি পোষ্টের কোটেশন,লিংক সংযুক্ত করে এত নিষ্ঠা আর ধৈর্যের সাথে সময় খরচ করে এমন পোষ্ট রেডি করা! যাস্ট হ্যাটস অফ ইউ ম্যান। আপনি প্রকৃত সোনেলা যোদ্ধা। জয়তু সোনেলা। সোনেলা বেঁচে থাকুক আমাদের সকলের ঐকান্তিক ভালবাসায়।
পোষ্ট দাতার প্রতি অকৃত্রিম স্যালুট, শুভেচ্ছা।
তৌহিদ
আপনাদের ভালোবাসা আর উৎসাহ প্রেরণা যোগায় অবশ্যই। সহব্লগার হিসেবে আপনাকে পেয়ে আমরাও গর্বিত।
শুভকামনা সবসময়।
মনির হোসেন মমি
শুধু কষ্টসাধ্য পোষ্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা বাকীটা ইতিহাস।
তৌহিদ
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন সবসময়।
সুপায়ন বড়ুয়া
সোনেলার জন্মমাস নিয়ে সবার অনুভুতিকে সম্মান জানিয়ে নতুন করে আপনি আবার প্রাণ সঞ্চার করলেন এই কষ্টসাধ্য কাজটি করে। এই জন্য আপনি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
সবার লেখাটাকে হৃদয়ে ধারন করে চু্ম্বক অংশ তুলে ধরা চাট্টিখানি কথা নয়।
তাই আপনার জন্য অফুরন্ত ভালবাসা আর শুভ কামনা।
তৌহিদ
দাদা, সোনেলার ব্লগারদের ব্লগের প্রতি ভালোবাসার প্রতিদান দেয়া অসম্ভব। সকলের উৎসাহ অনুপ্রেরণা নিয়েই সামনে এগুতে চাই।
পাশে থাকবেন সবসময়। শুভকামনা রইলো।
খাদিজাতুল কুবরা
তৌহিদ ভাইয়া আমি অভিভূত! প্রথিতযশা লেখকদের পাশে আমার নাম! এটা আমার কাছে বিশাল প্রাপ্তি!
আমি প্রথম থেকেই আপনার আপনার অকৃত্রিম উৎসাহ পেয়েছি। তা না হলে হয়তো লিখতামই না। আপনার এই উদ্যোগটির মূল্যায়ন কোন প্রশংসার বানীতেই সবটুকু বোঝানো যাবে
তৌহিদ
আপনি আপনার যোগ্যতায় সোনেলায় নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন আপু। সহব্লগার হিসেবে আপনাকে পেয়ে আমরাও গর্বিত।
শুভকামনা সবসময়।
খাদিজাতুল কুবরা
বোঝানো যাবেনা। আমার মতে আপনি হচ্ছেন প্রিয় সোনেলা তরীর একনিষ্ঠ কাণ্ডারী। সোনেলায় এসে জীবনের এক অন্য মানে খুঁজে পেলাম আপনার /আপনাদের মতো মননশীল মানুষের সাহচর্যে এসে। এতো ভালোবাসার বিনিময়ে কি দিবো, অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনার জন্য দোয়া রইলো। সবসময় হাসি আনন্দে থাকুন।
তৌহিদ
এ মা!! এবারে কিন্তু লজ্জা পেলাম আপু। এত বিশেষণ আমার জন্য! এটাই সোনেলায় আমার পরম প্রাপ্তি। এই ভালোবাসার প্রতিদান আমি কি দিয়ে দেব!
আপনাদের সকলের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত আমি শিখছি। এর জন্য কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আপনার ভালোবাসা আর দোয়াকে পাথেয় করে সামনে এগুতে চাই আপু।
পাশে থাকুন সবসময়।
খাদিজাতুল কুবরা
ইনশাআল্লাহ থাকবো।
তৌহিদ
আলহামদুলিল্লাহ!
নাসির সারওয়ার
এ দেখি জটিল গবেষণার কাজ যা আপনি বেশ ভালো ভাবে করেই ভালো ফসল উৎপাদন করিয়েছেন। বাহবা আপনার প্রাপ্য।
আমি কিন্তু এখনো ব্লগার হতে পারিনি যা আপনি আমার নামের সাথে লাগিয়ে দিয়েছেন।
ইহা একটা স্টিকি পোষ্টে হাজিরা দিয়ে ব্লগার হবার একটা ধাপ এগুনোর চেস্টা মাত্র।
ভালো থাকুন।
তৌহিদ
শ্রদ্ধেয় ভাইজান, আপনার কথা শুনে মনে সাহস পেলাম। ভাবতাম ব্লগার! সে কি না কি!
এসব আসলে কিচ্ছুটি নয়। ব্লগার একটি শব্দমাত্র, মানুষ, মনুষ্যত্ব, ভালোবাসা, সম্মান জানানো এটাই একজন ব্লগারের বৈশিষ্ট্য। লিখতে সে অনেকেই পারে।
পিনপোষ্টে মন্তব্য করা প্রত্যেক ব্লগারের কর্তব্য। আপনি নিজে ব্লগিয় শিষ্টাচার মেনে সে বৈশিষ্ট্য আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে শিখিয়ে দিলেন। অবশ্যই এটি আমাদের জন্য শিক্ষণীয়।
সুন্দর মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা রইলো। শুভকামনা সবসময়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভাইয়া অনেক আগেই মন্তব্য করেছিলাম কিন্তু সেটা মনে হয় সেন্ড হয়নি। যাক আপনার কষ্ট আর ধৈর্য্য কে সর্বদা স্যালুট করতেই হয়। সবার পোষ্টকে একত্রিত করার জন্য যা করলেন তাতে আপনার একনিষ্ঠতা দারুন ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। অসংখ্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাইয়া। সোনেলার উঠোন এভাবেই ভরে উঠুক আপনার মত ব্লগার দিয়ে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
তৌহিদ
জন্মোৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ আপু। এভাবেই সকলে একসাথে সোনেলায় পথ চলবো আশাকরি।
শুভকামনা সবসময়।
প্রদীপ চক্রবর্তী
খুবি খুবি ভালো একটা পোস্ট।
এত কষ্টকরে সকলের লেখা সংগ্রহ করে একসাথে খুবি ভালো লাগলো,দাদা।
অসংখ্য সাধুবাদ জানাই, দাদা।
তৌহিদ
মন্তব্যে প্রীত হলাম দাদা। শুভকামনা সবসময়।
শামীম চৌধুরী
অসম্ভব ধৈর্যের একটি কাজ। তার সঙ্গে তা সময়ের একটা ব্যাপার আছে। এত ধৈর্য্য ও সময় নিয়ে সকল ব্লগারদের লেখা থেকে চৌম্বক অংশটুকু লিখে শুধু তাদের লেখাই প্রকাশ করোনি। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিজন ব্লগারকে সম্মান দেখিয়েছো। আমি ও আমরা তোমার এহেন কাজে আপ্লুত ও সম্মানিত।
জয়তু সোনেলা
জয়তু ব্লগ সঞ্চালকগণ
তৌহিদ
আপনারা আমার শ্রদ্ধেয়। এমন উৎসাহমূলক মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হই ভাই। সোনেলায় আপনি আমাদের ভালোবাসার একজন।
শুভকামনা সবসময়।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ও আল্লাহ এদিকে দেখি কতকিছু ঘটে গেছে। আর আমি ঘুমিয়েই আছি। ঘুম চোখে দেখি আমাদের তৌহিদ ভাই অসাধ্য সাধন করে ফেলেছেন। আমার মত একজন নগণ্য মানুষের অভিব্যক্তি স্হান পেয়েছে দেখে ভালোই লাগছে।
ভাবছি সত্যিই কি আমি যোগ্য? এ জীবনে অনেক পেয়েছি, এ পাওয়ার আনন্দই কেন যেন সবচেয়ে বেশি।
শুভ কামনা ভাই। ভালো থাকবেন।
তৌহিদ
এখন থেকে জেগে জেগে ঘুমাবেন আপু। চারপাশে একটু নজর দিতে হয় যে!! যাক তবুও আপনার ঘুম ভাঙলো বলে চমৎকার একটি মন্তব্য পেলাম।
আপনি আপনার যোগ্যতায় সোনেলায় নিজের অবস্থান করে নিয়েছেন। এভাবেই সোনেলায় এগিয়ে যেতে চাই একসাথে।
ভালো থাকুন সবসময়।
সাবিনা ইয়াসমিন
এমন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ সব আপনারই প্রাপ্য। সোনেলা আমাদের সকলের ভালোবাসার আঙ্গিনা। সোনেলার সম্মৃদ্ধি কামনা করি।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
তৌহিদ
আপনিও ভালো থাকুন আপু। শুভকামনা সবসময়।
বুদ্ধিজীবী লাঠিয়াল
সমস্ত লেখা গুলোই পড়েছি আপনি পোষ্ট দেয়ার পরে লিংক অনুসরণ করে। এমন জন্মোৎসব উৎযাপন আসলে ব্যতিক্রম। অন্য কোনো ব্লগ সাইটে এত লেখা আসেনা জন্মোৎসব উপলক্ষে। সবার লেখাতেই সোনেলার প্রতি গভীর অনুরাগ ফুটে উঠেছে। এত লিংক যুক্ত করে প্রতিটি লেখার সারাংশ দিয়েছেন এই পোষ্টে। আপনার ধৈর্য্য এবং কাজের প্রতি নিষ্ঠা দেখে সত্যি খুব অবাক হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
তৌহিদ
আপনি সবার লেখা পড়েছেন জেনে প্রীত হলাম। আপনার মন্তব্য অবশ্যই অনুপ্রেরণা যোগাবে।
শুভকামনা সবসময়।
রেজওয়ানা কবির
অসাধারণ এবং খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সোনেলার সকল ব্লগারদের সোনেলার জন্মদিন উপলক্ষ্যে লেখাগুলো এত সুন্দরভাবে একই সুতোয় বেঁধে দিলেন এ যেন সত্যি বিনি সুতার মালা একে অপরের পরিপূরক। সবাই ভালো থাকি, সুস্থ থাকি,সোনেলার সাথে থাকি।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য ।
তৌহিদ
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন সবসময়।
শুভকামনা জানবেন।
জিসান শা ইকরাম
সোনেলার জন্মোৎসব পালন উপলক্ষে এত গুলো লেখা আসবে তা সত্যি ভাবিনি আমি।
প্রতিদিনই এমন পোস্ট দেখে আবেগে আপ্লুত হয়েছি।
সবার আন্তরিকতায় সোনেলা ব্লগ আজ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
আপনি সহ অন্যান্যদের ঐকান্তিক শ্রম আর নিষ্ঠার ফলে এমন সম্ভব হয়েছে।
এত লিংক যুক্ত করে সমস্ত পোষ্ট গুলো সম্পর্কে লেখা কতটা ধৈর্য এবং কষ্টসাধ্য কাজ ছিল তা আমি বুঝি।
এমন পোষ্টের জন্য অনেক অনেক আন্তরিক ধন্যবাদ আপনার প্রতি।
শুভ কামনা, শুভ ব্লগিং।
তৌহিদ
আপনাদের সকলের সহযোগীতায় এবং আপনার দিকনির্দেশনায় আমরা এগিয়ে যেতে চাই সামনে।
সোনেলার জন্মোৎসবে সকলে অংশগ্রহণ আমাদের অনুপ্রেরিত করেছে নিশ্চিত। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
শুভকামনা সবসময়।
তৌহিদ
আপনাদের সকলের সহযোগীতায় এবং আপনার দিকনির্দেশনায় আমরা এগিয়ে যেতে চাই সামনে।
সোনেলার জন্মোৎসবে সকলে অংশগ্রহণ আমাদের অনুপ্রেরিত করেছে নিশ্চিত। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
শুভকামনা সবসময়।