
এই যে চকিতের অজস্র বৃষ্টিতে
ডুবে গেল, হোঁচট খেল, কত শত জলের-বাড়ি,
অবোধ মনের অজ্ঞাতসারে;
দুলতে থাকা ম্লান কাশফুলের দীর্ঘশ্বাসে
শব্দহীন স্তব্ধতা নেমে আসে, নিঃসঙ্গতার অন্ধকারে,
নিঃশব্দতার সরব মুহূর্তের অবিরাম পদক্ষেপে;
স্বপ্ন-আঁকা স্তিমিত অলস চোখ চেয়ে থাকে
নির্ঘুম প্রতীক্ষায়, উর্বর রক্তিম ঠোঁটের নির্ভীক আভাসে;
ক্লান্ত-অতৃপ্ত-রাত্রি বিষণ্ণ মুখে শিশির ভেজা সকাল খোঁজে
প্রাণপণে, কাঁচা-সোনা রোদে , সোনা-ধানের নির্জন মাঠে।
৩২টি মন্তব্য
হালিম নজরুল
“দুলতে থাকা ম্লান কাশফুলের দীর্ঘশ্বাসে
শব্দহীন স্তব্ধতা নেমে আসে, নিঃসঙ্গতার অন্ধকারে,
নিঃশব্দতার সরব মুহূর্তের অবিরাম পদক্ষেপে”
———— ভাল লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ, অনেক।
তৌহিদ
মাঝখানে দু’দিনের বৃষ্টিতে যেন সবকিছু ধুয়ে মুছে গেলো। হয়তো মুছে গেলো কিছু শুভ্রতা, অজানা ভয়, কিছু ক্লান্তি। তবুও নতুন করে আবার মেনে নিয়েই সামনে এগুতে হবে। পিছু ফিরে দীর্ঘশ্বাস ফেলে আর লাভ কি?
ছাইরাছ হেলাল
পেছনে থাকা ঘটনাগুলোই জ্বলজ্বলে সত্য, যা ছুঁতে পারি, ছুঁয়ে যায়।
এমন করেই রৌদ্রের প্রত্যাশা আসে, আমরা রোদে ভিজি।
আকবর হোসেন রবিন
শব্দের খেলা দেখালেন। ভালো লেগেছে।
ছাইরাছ হেলাল
মোটেই না, শিখছি মাত্র।
সবার জানা শব্দ থেকেই। ভাল থাকবেন আপনি।
শামীম চৌধুরী
হেলাল ভাই আপনার লেখা সবসময় আমাকে টানে। ভালো লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
স্বজনদের এমন কথা শুনতে কার না ভাল লাগে!
ধন্যবাদ।
রাফি আরাফাত
স্বপ্ন-আঁকা স্তিমিত অলস চোখ চেয়ে থাকে
নির্ঘুম প্রতীক্ষায়, উর্বর রক্তিম ঠোঁটের নির্ভীক আভাসে;
লেখা পড়ে কেন জানি মনে হচ্ছিলো, ইস আমি যদি পারতাম এমন একটা লাইন লিখতে৷
অসাধারণ ভাই। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ
ছাইরাছ হেলাল
আপনি এর থেকেও অনেক ভালো লিখতে পারেন/পারবেন।
ভাল থাকুন সারাক্ষণ।
এস.জেড বাবু
ক্লান্ত-অতৃপ্ত-রাত্রি বিষণ্ণ মুখে শিশির ভেজা সকাল খোঁজে
এ যেন সার্বজনীন খোঁজ
চমৎকার ভাই
ছাইরাছ হেলাল
হায় হায়!
আপনি তো লেখাটির প্রাণ-ভোমরা ছুঁয়ে ফেলেছেন!
সাবাস পাঠক।
অনেকগুলো ধন্যবাদ এই আগমনী শীতের সকালে।
এস.জেড বাবু
যে কয়জনের লেখা দেখলেই পড়ার লোভ জাগে, আপনি তাদের মধ্যে অন্যতম।
ভালো লাগে ভাই, সময় পেলে আপনার ছয় সহস্রাধিক লিখার ভান্ডারে ঢুকে যাবো ইনশাআল্লাহ।
ছাইরাছ হেলাল
শুনতে ভাল লাগল, পড়ে আনন্দিত হচ্ছেন,
সময় পেলে ইচ্ছে হলে পড়ে দেখতে পারেন মাত্র শ’পাঁচেক লেখা।
আবারও শুভ কামনা আপানার জন্য।
শাহরিন
আমি তো কবিতার নাম আর ছবিতেই আটকে আছি 😥
ছাইরাছ হেলাল
এইডা কোন কথা হলো!
কী এমন নাম-ছবি!
ফাঁকি দেয়ার স্কুলে ভর্তি হলেন কবে!
শাহরিন
নাম দিলেন কি আর ছবি দিলেন কি!!!
আমার একভাবে বুঝতেই তিন্দিন লাগে আর এহন তো বোনাস।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন লেখার সাথে হুবহু মিলিয়ে ছবি দেয়া কঠিন বলেই জানি।
এই একটি অংশ বৃষ্টি আর শেষে সকাল/সকালের ধান ক্ষেত।
দুটোর মিলে ছবি খুঁজে পাইনি, তাই বৃষ্টি সহায় করেছি ছবিতে।
এখন আর আপনার তিন্দিন লাগার কথা না!
চিল্লাইয়া কন, ঠিক না বে-ঠিক!
শাহরিন
আপনার কাছে এমন ছবি নাই!!! হায় হায় কয় কি!!! এখনই ক্যামেরা হাতে রওনা দেন।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে এত্ত ছবির ভিড়ে খুঁজে পাওয়া কঠিন।
হ্যা, রোদ উঠেছে আল্লাহ চাহেত ক্যামেরা নিয়ে ধানসিঁড়ির কাছে ছবি চাইতে যাব।
সাবিনা ইয়াসমিন
স্বপ্ন গুলো পুড়ে যায় অভিযোগের আগুনে
হেমন্ত-বৃষ্টি অক্ষম সে আগুন নেভাতে,,
জ্বালা ধরা চোখ আর পুড়ে যাওয়া মনে
আক্ষেপণ জেগে থাকে…
ছাইরাছ হেলাল
আহা আহা আক্ষেপণ!
এবার ভেগে যাও বাপধন,
চোখ-মনের আগুনে
পুড়ে যাবে বাছাধন;
শিলা বৃষ্টির মাত্র অপেক্ষণ।
জিসান শা ইকরাম
বৃষ্টি মনে হয় ভেগে গিয়েছে,
হেমন্ত প্রেমীদের ভয়ে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
না ভেগে উপায় আছে!
চাচা আপন প্রাণ বাঁচা!
হেম প্রেম বলে কথা।
সঞ্জয় মালাকার
পড়ে ভালো লাগলো দাদা, অনেক অনেক মুগ্ধতা।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ পড়ার জন্য নিয়মিত।
সুরাইয়া পারভিন
দুর্দান্ত শব্দ চয়ন
অনবদ্য উপস্থাপন
অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি যেনো ম্লান করে দেয় হেমন্তকে ঘিরে দেখা কৃষকের সমস্ত স্বপ্ন।
ছাইরাছ হেলাল
বৃষ্টিকে উপেক্ষায় রেখে হেমন্তের কৃষক তার স্বপ্নে বিভোর হবে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শিরিন হক
কেনো এতো ভালো লেখেন? একটু মন্দ করে লিখলেও আপনার ভক্তেরা নারজ হবেনা। কারন আপনি যা লেখেন সব সোনা হয়ে যায়
ছাইরাছ হেলাল
তাইতো! কিন্তু আপনি ছাড়া কেই তো কখন ও এমন করে প্রশংসা করে না, করেও-নি!
সত্য বলছেন! আমার ভক্ত আছে! আপনার দিকে ফুল-চন্দন ছুড়লাম।
ইমিটেশন কিন্তু দেখতে ঠিক-ঠাক সোনার-ই মতন! চিল্লাইয়া কন, ঠিক না বেঠিক!
অনেক ধন্যবাদ, সেলিবেরিটি-কে।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আকবর হোসেন রবিন লিখেছেন,
শব্দের খেলা দেখালেন। ভালো লেগেছে।
একমত!
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ আপনাকে।