
কুহক-বিদ্যার ঔৎসুক্য থেকে
দূর কিংবা কাছ থেকে আস্ফালন দেখেছি/শুনেছি
স্থিরত্বের বিপরীতে, আটকে গেছি/থেকেছি অনাদিকাল।
সবুজ ঘাসের ডগায় জ্বলজ্বলে শিশির বিন্দু
তারাদের একান্ত রাতাকাশে ঝিকিমিকি
একান্তে দাঁড়িয়ে থির চোখে দেখেছি,
পড়শি এই মহাশূন্যের হিরকদ্যুতি
নিঃসঙ্গের শূন্যতায় দূর থেকেই দেখেছি;
উত্তাপ অনুভবের হৃদয়ে ছুঁতে পারিনি;
পরিপূর্ণ স্বপ্ন-মৌচাক শুকিয়ে গেছে,
ঘুম ভাঙ্গা টান টান চোখে শুধুই ছায়াদের বসবাস,
ফুলের সৌরভ খুঁজি আঁজলা ভরে,
শুধুই ঝাঁক-ঝাঁক ঝুলন্ত বিসর্গ অনুভবের অনুরণনে।
ভ্রাম্যমাণ সময়-স্রোতের ভেদ-রেখায় শুধুই
উজ্জ্বল-উচ্ছল রৌদ্র-ঘ্রাণ খুঁজি,
এই অসময়ের সকাল কুয়াশায়, যখন ঝাপসা
হয়ে আছে সুবেশ ফুলেরা।
ছবি……নেট থেকে।
৩০টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
আমি ফার্স্ট!!
কামাল উদ্দিন
আমি সেকেন্ড 😀
সাবিনা ইয়াসমিন
হু 😊😊
মহারাজ কই গেলেন? আমাদের গিফট দিবেন না!!
ছাইরাছ হেলাল
@ কামাল উদ্দিন, অবশ্যই।
ছাইরাছ হেলাল
@ জ্বি, এই যে ফুল!
ছাইরাছ হেলাল
জ্বি!
কামাল উদ্দিন
জ্বলজ্বলে শিশির বিন্দুরা আমাদের পড়শি হলেও ওদের সাথে ভাব জমানোর সম কোথায় আমাদের? আমরা তো ওদের মাড়িয়ে/পিষে নির্যাসটুকু নিয়েই সূখী।
এই ফুলের নামটা কি বড় ভাই?
ছাইরাছ হেলাল
ধুর! নাম কী আর মনে রেখেছি!
হ্যাঁ, আমরা ইচ্ছেয় অনিচ্ছেয় মাড়িয়ে যাই কত কী!
আবার অকাল কুয়াশায় আচ্ছন্ন দৃষ্টিতে কত কিছু হারিয়ে যায়।
ফয়জুল মহী
এক রাশ মুগ্ধতা ।মনোরম লেখনী ।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ, আপনাকে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ফুল নিয়ে দারুণ কবিতা লিখেছেন।
পরিপূর্ণ স্বপ্ন-মৌচাক শুকিয়ে গেছে,
ঘুম ভাঙ্গা টান টান চোখে শুধুই ছায়াদের বসবাস,
ফুলের সৌরভ খুঁজি আঁজলা ভরে,
শুধুই ঝাঁক-ঝাঁক ঝুলন্ত বিসর্গ অনুভবের অনুরণনে। খুব ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ নেবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমি অপেক্ষায় আছি এই বন্দী দশা থেকে মুক্তির । মুক্তি পেলেই ঘুরতে যাবো শিশির বিন্দু, ফুল আর প্রকৃতির স্পর্শ নিতে
ছাইরাছ হেলাল
প্রকৃতির কাছে আমাদের ফিরতেই হয়, দেখুন চেষ্টা করুন।
মুক্তি মিলিবে না সহজে!!
ভাল থাকুন।
সুপায়ন বড়ুয়া
“সবুজ ঘাসের ডগায় জ্বলজ্বলে শিশির বিন্দু
তারাদের একান্ত রাতাকাশে ঝিকিমিকি
একান্তে দাঁড়িয়ে থির চোখে দেখেছি,
পড়শি এই মহাশূন্যের হিরকদ্যুতি “
ওয়াও ! আপনার চোখ দুটি দিয়ে আমি ও দেখতে চাই
অপরুপ হিরক দ্যুতি।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
আপ্নার চোখ আমা থেকেই উজ্জ্বল, শুধু দেখার অপেক্ষা মাত্র।
তবে হ্যাঁ, কী দেখলেন, তা কিন্তু জানাতেই হবে, মনে থাকে যেন।
ভাল থাকবেন, ভাই।
সুরাইয়া পারভীন
কিছু সময় এমনই হয়
শিশির বিন্দুর স্বচ্ছ জল
উজ্জ্বল ঝলমলে তারাদের দল
মহাশূন্যের হিরকদ্যুতি
কিছুই ছুঁতে পারে না হৃদয়
অস্থির অশান্ত চঞ্চল মন
কিছুতেই হয় না শান্ত সু-স্থির
সমগ্র বিশ্বের চলছে মৃত্যু মিছিল
বাতাসে উড়ছে লাশের গন্ধ
অনাহারে/অর্ধাহারে কাটছে কারো যাপিতজীবন
এসব দেখে/শুনে আতঙ্কিত অশান্ত হৃদয় শান্ত না হবার ই কথা
ছাইরাছ হেলাল
এমন প্রাণময়ী মন্তব্যের উত্তর দিতে পারছি না।
অনেক অ-শান্ততা অনেক অ-প্রাপ্তিময়তাই জীবনের পাথেও।
ভাল থাকুন।
সুরাইয়া পারভীন
আপনিও ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আর অবশ্যই সাবধানে থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহ আমাদের সব্বাইকে ভাল রাখবেন,
এই কামনাই করি।
জিসান শা ইকরাম
কুয়াশা এক সময় চলে যাবেই,
হৃদয়ে ছুঁতে পারব তখন আমরা সব কিছুই।
ছাইরাছ হেলাল
কুয়াশা কেটে যায়, নিয়ম মত,
সময়ে যা ঢেকে রেখেছে তা তো ফিরে আসে না।
সাবিনা ইয়াসমিন
মহারাজ, আমাকে এই কবিতা বুঝিয়ে দিন। আমি বুঝিনি। কুহক-বিদ্যার ঔৎসুক্য আমার নাই। সরল বিদ্যায় বোঝান,
ছাইরাছ হেলাল
আমি নিজেই তো কিচ্ছু বুঝছি না। ভাবি যা তা লিখি না, যা লিখি তা ভাবি না।
সবার সব ঔৎসুক্য থাকা ঠিক না, কুহক খুব ঘোড়েল বস্তু!
সব কিছুই সরল, দুনিয়ায় কঠিন বলে কিছু নেই।
রোজায় রোজা থাকুন, নিয়ম মেনে। নিরাপদে থেকে।
নিতাই বাবু
মানবতার মায়াবল যেন হারিয়ে গেছে শ্রদ্ধেয় কবি মহারাজ! আজকের এই সময়ে আমাদের চারপাশের ফুটন্ত ফুলেরাই ভালো আছে। ফুলেরা আমাদের এই সংকটময় সময়ে আজও আগের নিয়মেই ফুটে। আমাদের জন্য সুভাষ ছড়ায়। আর আমরা? আমরা ভেঙে পড়ছি কান্নায়!
আজ এই করোনাকালে বিবেকের আরাধনায় বেড়ে যায় মনে দুঃখের গভীরতা! তবু আমরা এই সময়ে চিরচেনা আকাশ, বাতাস, জল, স্থল, গাছ, তরুলতা আর ফুলেদের দিকে চেয়ে চেয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্নের জাল বুনি!
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় কবি মহারাজ।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের অনেক কিছুই হারিয়ে গিয়েছে, যা আমরা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।
তা ও আমরা আমাদের স্বপ্নের মাঝেই বেঁচে থাকতে চাই গভীর ভাবে।
নিরাপদে থাকবেন।
হালিম নজরুল
আমি মুগ্ধ
ছাইরাছ হেলাল
কবির কথা বিশ্বাস করতে মন-চায়।
হালিম নজরুল
বিশ্বাসে শ্রদ্ধা রাখি।
ছাইরাছ হেলাল
তাহলে বলছেন, কবিদের বিশ্বাস করা যায়।