
বউটা হেসে যাচ্ছে চোখে হতাশার আকুলতা নিয়ে।অদ্রি অতিশয় নিরুপায় বোধ করছে।কিছুই বলার মতো শব্দ জোগাড় করতে কষ্ট হচ্ছে…. বউ’টা এবার নিজ থেকেই সাহায্য করতে মলীন মুখে বললো —-আমি তমা, ভুলে যাবারই কথা…. তাইনা অদ্রি?…………………………………………
অদ্রি এবার সত্যি চুপ হয়ে গেলো। সব ভাবে চুপ হয়ে গেলো। হাসিটুকুও ম্লান হতে হতে হঠাৎ করে নাই হয়ে গেলো। ভেবে পেলোনা। কিভাবে এখন রিএ্যাক্ট্ করবে। মূহুর্তেই মনে পড়ে গেলো স্কুল জীবনের তমা’র কথা। সুখকর নয় বলেই….. সৌজন্য মূলক ঝুলিয়ে রাখা হাসিটুকু গায়েব হয়ে গেলো। ফিরিয়ে আনতে মূহুর্ত কাল সময় নিলো!!! চমৎকার ভাবে নিজেকে সামলে নিয়ে অবাক হবার ভান শুরু করলো!!! —-তুমি?? তোমার কি বিয়ে হয়েছে নাকি? কতটা বদলে গেছো তুমি!!! কিন্তু!! তুমি পড়াশোনাটা শেষ করোনি? কোথায় বিয়ে হয়েছে? বর কি করে? ”
একটানা একগাদা প্রশ্ন করে যেন নিজেই কিছুটা সহজ হবার জন্য প্রস্ততি নিলো।
সিনেমার মতো মনের মধ্যে ফ্লাস্ ব্যাকে চলে গেলো মূহুর্তেই!!! অষ্টম শ্রেনী। বছরের শুরুর দুমাস পরে এসে ভর্তি হয়েছিলো। কিছুদিন ক্লাশ করার পরই যেন আচমকা তমা লক্ষ্য করেছিলো অদ্রি’র পরিচয়, বা অদ্রির বন্ধুত্ব চাওয়া তমা’র জন্য আকাঙ্খিত হয়ে উঠেছিলো। ক্লাশের সবাই সবার খুব ভালো বন্ধু। কেউ কারো বিশেষ তো থাকতেই পারে। অদ্রি’রও তেমন ছিলো। তবুও অদ্রি সবার সাথেই সমান ভাবেই মেসে, হাসি খুশি ভাগাভাগি করে।খেলা ধুলা করে। তমা জেনে গ্যাছে অদ্রি’র বাবা’র পরিচয়। একদিন একদিন করে তমা অদ্রি’র পাশের সিট্ দখল করে নিলো। আগ্রহের আতিশয্যে দাবি করে অদ্রি তমা’র খুব প্রিয় বন্ধু!! মাঝে মাঝে জোড় করে তমা ওদের বাসায় নিয়ে যায়। তমা’র পরিবারের সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দ্যায়। অদ্রি বুঝে পায়না, এত কেন?
এত কেন মেয়েটা ন্যাওটার মতো পিছু লেগে থাকে। অদ্রি’র সবচে ঘনিষ্ঠ বন্ধু কেকা জানতে চায় একদিন। —-“কিরে অদ্রি…. তমা তোর সাথে এত কি কয় রে?? ওতো আজ আছে কাল নাই! অদ্রিঃ কি জানি বুঝিনা ওরে!! কেকাঃ বুঝিনা মানে? তুই ওকে প্রশ্রয়
দিচ্ছিস্ কেন?…. কেকা অন্য সবার চেয়ে বেশ বুদ্ধিমতী ছিলো। অদ্রি শুধু বলেঃ প্রশ্রয়ের কি দেখলি?ও যদি আমার সাথে থাকতে পছন্দ করে! আমি কি বলবো নাকি…. আমার কাছে এসোনা? ও তো কোনো অন্যায় করেনি!! কেকাঃ ওই বোকার হদ্দ! অন্যায়ের কথা আসে কেন?
চলবে……..
২৫টি মন্তব্য
ইঞ্জা
বেশ এগুচ্ছে লেখাটি আপু, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
বন্যা লিপি
কৃতজ্ঞতা জানবেন সবসময়।ঝামেলায় আছি বেশ। একটু একটু করে এগোচ্ছি ভাই, পাশে থাকবেন।
হাফেজ আহমেদ রাশেদ
লেখার হাত বেশ দক্ষ,বেশ হয়েছে, পরের পর্বের অপেক্ষায়
বন্যা লিপি
আন্তরিক শুকরিয়াবাদ জানাচ্ছি আপনাকে। অনুপ্রেরিত হলাম।
মনির হোসেন মমি
তারপর….?????
বন্যা লিপি
আসছে! তবে ধীরে। কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।
তৌহিদ
তাহলে সে তমা ছিলো! কি সাসপেন্স দিয়েই শুরু করলেন। কেকা তমা অদ্রি.. লেখক যে কি ঘোল পাকাচ্ছেন পরের পর্ব না পড়লে বুঝতে পারবোনা। অপেক্ষায় রইলাম আপু।
বন্যা লিপি
ঘোল নয় এক্কেবারে পছন্দের জীলাপী😄সবুর করেন সান্সপেন্স খুলবে বলে!
শাহরিন
আপু আবারও বলছি অন্যায় নিবেন না, গল্পটি আরেকটু বড় করে লিখলে ভালো লাগতো বেশ।
বন্যা লিপি
অন্যায়ের কথা আসছে কেন আপুটি? কিছু কারনে লেখা ছোট হয়েছে। আগামী পর্বটাও ছোটই পাবেন, তারপরের কাহিনীটা একটু বড় করেই লিখবো। বেশ ঝামেলা যাচ্ছে বর্তমানে। কাটিয়ে উঠলেই লেখায় ফিরবো। আপনাকে অসংখ্য আন্তরিক শুভেচ্ছা, শুভ কামনা।
মাসুদ চয়ন
অদ্রির সাথে তমার মধুর সম্পর্কে কেকা ফাটল ধরাতে চাই কেনো?রহস্য নিয়েই এগিয়ে চলুক গল্প।একটু বড় করে লিখবেন আপু।গল্প মানেই জীবন,জীবনের বচরিমায় কতো সহস্র গল্প। কখনো সহজীয়া কখনো দুর্লভ।বুঝে নিতে হয় খুঁজে নিতে হয়”
বন্যা লিপি
দেখা যাক পরবর্তি পর্বে কি হয়?আপনার বিচক্ষন মন্তব্য যে কোনো পোস্টের জন্য প্রেরনাদায়ক। আন্তরিক শুভেচ্ছা জানবেন। পাশে পাচ্ছি এটাই পরম প্রেরনাযোগ্য।
মাসুদ চয়ন
ভালো থাকবেন সবসময়
ছাইরাছ হেলাল
অদ্রি, তমা, কেকা তিন জন!!
দুজন হলেই তো নরক গুলজার প্রচলিতার্থে!!
দেখি কোথায় যায় কে কীভাবে।
বন্যা লিপি
একেবারে ঠিকঠাক অনুধাবন। দেখা যাক অবশেষে কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়? আন্তরিক কৃতজ্ঞতা সবসময়।
শামীম চৌধুরী
পরের পর্বর অপেক্ষায় রইলাম আপু।
বন্যা লিপি
জী ভাই অবশ্যই আমিও অপেক্ষায় থাকবো আপনার অনুভূতি জানার। শুভেচ্ছা কৃতজ্ঞতা জানবেন সবসময়।
শামীম চৌধুরী
ভালো থাকবেন আপু। আপনার সুস্থ্যতা কামনা করছি।
প্রদীপ চক্রবর্তী
বেশ ভালো লাগলো।
অপেক্ষায় রইলাম দিদি….
বন্যা লিপি
কৃতজ্ঞতা দাদা ভাই। ভালো থাকবেন সবসময়।আসবো পরের পর্ব নিয়ে।
শিরিন হক
পরবর্তী লেখার জন্য অপেক্ষা করবো। মিতা শুরু যেভাবে করছিলা ভদ্র মহিলার কথা এখন এক ভিন্ন পরিচয় পড়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দিলো।
বন্যা লিপি
আসবো মিতা পরের পর্ব নিয়ে। তুমি ভালো থেকো সবসময় ভালো বাসায়।
জিসান শা ইকরাম
গল্প কেবল জমে ওঠে, অমনি ধপ করে পর্ব শেষ,
পরের পর্ব তারাতারি চাই,
শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
আমি লিখি মোবাইলে। আগের মোবাইলের লেখার পেইজটা একেবারে ছোট ছিলো। বিস্তারিত আরো একটু বড় লেখার ইচ্ছে থাকা সত্যেও পারতামনা বড় করে লিখতে। এই গল্পের তিন পর্ব লিখেছিলাম বেশ কিছুদিন আগে আমার নিজের ওয়ালে। পরে পর্বের পরে বাকি লেখা সরাসরি এখানেই লিখবো আশা করি।
বেশ ঝামেলার মধ্যে যাচ্ছে এখন দিনকাল।বাসা পুরোপুরি গুছিয়ে নিয়ে ফ্রি হলেই ফেরার আশা করি। আপনার প্রতি সীমাহীন কৃতজ্ঞতা।ভালো থাকবেন সবসময়।
সুরাইয়া পারভিন
চমৎকার লিখেছেন। তারপর কি হলো?