যে পথে তুমি হেঁটে গেছ
সে পথেই ফিরে এসেছো পথিক তুমি
তুমি এসেছো হাওয়ায় ভেসে।
আজ এ পথে তোমার বিষাদ নেই,
কোনো খেদ নেই, নেই কোনো হিংস্রতা।
হাওয়ায় দোলা এ সবুজের বুক চিরে,
দেবদারু, বাবলা গাছের ছায়াতলে আজ এক ছোট্ট ঘর তোমার।
তোমার আঙ্গিনায় কাশফুলের ঢেউ খেলানো হাওয়ার নাচন।
তোমার ঘরে সময়ের প্রবাহ নেই,
অসাঢ় হওয়া শহরের যান্ত্রিকতা নেই।
জরাজীর্ন শহরের জীবন তুমি ধুয়ে ফেলেছ
এই জ্যোৎস্নামাখা ঠান্ডা নদীর স্রোতে।
প্রানবন্ত শরীর সময়ের আগেই জরাগ্রস্থ
তবু তুমি প্রান করেছো সবুজ।
আজ এ সবুজে বিস্তৃত তোমার জীবন।
২৩টি মন্তব্য
মেহেরী তাজ
ভাবীজান মেল্লাদিন লেখালেখি আর পড়াশোনার বাইরে তো তাই সব কিছু কঠিন বড্ড কঠিন লাগে।
তার উপর এক্সাম।
ফিরে আসি ভাবী আড্ডা দেবো। আপনাদের সবায় কে অনেক মনে পড়ছিল তাই একবার ঘুরে গেলাম আর কি। :D)
মৌনতা রিতু
তোমার সাথে কাল কথা হল খুব ভাল লাগল। পরীক্ষা অবশ্যই ভাল হতে হবে।
বুঝেছো। তারপর জমিয়ে আড্ডা।
মেহেরী তাজ
ভাবীজান আমি কিন্তু চলে আসছি…..! 😀
ইঞ্জা
দারুণ কথামালার শক্ত গাঁথুনি, মুগ্ধ হলাম।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাইজু। শুভকামনা রইল।
ইঞ্জা
-{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
খুবই চমৎকার কবিতার প্রতিটি লাইন -{@ শব্দরা মনে হচ্ছে খুজে পেয়েছে তাদের আসল ঠিকানা -{@
মৌনতা রিতু
সেদিন রেলপাতের উপর বসেই লিখে ফেলেছিলাম।
ধন্যবাদ রইল ভাই। অনেক শুভেচ্ছা নিবেন।
আবু খায়ের আনিছ
ফেলে আসা পথে পথিক ফিরে যায়?
শেষ গন্তব্য মানে তো মৃত্যু আর মৃত্যু থেকে ফিরে এসে সবুজে মিশল।
মৌনতা রিতু
এই তো আমার সাহিত্যিক ভাইটু ঠিক ধরে ফেলেছে। শব্দগুলো সামসুর রহমান এর মৃত্যুর পরে লিখেছিলাম। রেললাইনের পরে বসে। ধন্যবাদ ভাইটু।
মিষ্টি জিন
একটু একটু করে সবাই আমরা শেষ গন্তব্যে দিকে এগোচ্ছি।
খুব সুন্দর শব্দমালা।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ মিষ্টি আপু। অনেক ভালবাসা নিও। চির সুন্দরী থাকার টিপস্ দিও।
ইনবক্সে। :p
মিষ্টি জিন
হা হা হা .. রিতু আপু তুমি তো আমাকে ডোবাবে।
বুড়ি মানুষ আমি।
ভালবাসা জেনো।
মৌনতা রিতু
ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করো, আয়নাকে জিজ্ঞেস করো।
ছাইরাছ হেলাল
স্বরূপে মেঠোরানী!
এত্ত দেরি!
মৌনতা রিতু
গুরুজী ননদিনী দেখ মোরে মেঠোরানী কয়। ;( ;(
সত্যি ভাই, এই মাঠ এই প্রান্তর আমাকে খুব টানে। আমি এই গ্রামেই থাকব।
নীলাঞ্জনা নীলা
গন্তব্যের শেষ কি আছে? কি জানি!
পথিকের পথচলা থেমে গেলো ওই সবুজেই।
শান্ত সুন্দরী একটু অশান্ত হয়ে লেখো না গো। -{@
মৌনতা রিতু
নীলাপু এই শব্দগুলো সামসুর রহমানের মৃত্যুর পর লিখেছিলাম। তুমি জান না আপু এতো সুন্দর যায়গায় তাঁর কবরটা। আমি প্রতিদিন যেখানে গিয়ে বসি তার ঠিক অল্প দূরেই তাঁর কবর। ধানক্ষেতের পাশে। কলেজ ও মেমনের স্কুলের একদম পাশে।
নীলাঞ্জনা নীলা
শান্ত-সুন্দরী এ অক্ষরগুলোকে শব্দ দিয়ে সাজানো তোমাকেই মানায়।
ইস আমি যদি দেখতে পারতাম! ছবি দেবে আপু?
মৌনতা রিতু
তোমার ইনবক্সে দিবনে। আজ বিকালে।
দেখ কত সুন্দর যায়গাটা।
নীলাঞ্জনা নীলা
কইগো শান্ত-সুন্দরী দিলে না তো!
ফারহানা নুসরাত
যাত্রা শেষে পথিক তার শেষ গন্তব্যেই যাত্রার ইতি টানে। শত ঘাটে তরী ভিড়ালেও শেষকালে একটাই বেছে নেয়। হতে পারে সেই আমার আমিই তার বিশ্বস্ত স্বজন। দিন শেষে একই ভাবে নীড়ের পাখি নীড়েই ফিরে আসে। সুন্দর উপস্থাপন।
রায়হান সেলিম
পথিকের নাম কি ‘ঋতু?’ আর ঋতুর নাম কি শরৎ!
যদি তা-ই হয়ে থাকে, তাহলে এভাবেই অতলস্পর্শী অনুভবের ফল্গু নিরন্তর ঘিরে থাকুক সফেদ জ্যোৎস্নার পদ্মফোটা ঝিলে!!