জীবনঃ
পাহাড়ে জঙ্গলে ঝর্ণার ধারাতে
ভালবাসা পুড়ছে অনিন্দ্য অনলে।
যৌবনঃ
মরুতে ভূমিতে বালুকার গুণনে
ভালবাসা ফুঁসছে কর্কশ অঙ্গারে।
জীবনঃ
অলিতে গলিতে রাজপথের গুঞ্জনে
ভালবাসা লড়ছে স্বপ্নীল বুননে।
যৌবনঃ
আকাশে বাতাসে মেঘের গড়নে
ভালবাসা ভাসছে সোনেলা আহ্বানে।
ভালবাসাঃ
জীবনে যৌবনে দেহতে মনেতে
ভালবাসা ধুঁকছে জীবনে যৌবনে।
মৃত্যুঃ
প্রতিটি ক্ষণে অতীত আর ভবিষ্যতের সাথে
শুধুমাত্র বর্তমানের ভুলে; বর্তমানকে ভুলে।
জন্মঃ
কে জানে কিসে, কে সে, কিভাবে সে,
তবে আসে মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শূন্য শূন্যালয়ে।
ঝরে পাতা মানেই মুছে যাওয়া নয়,
নয় ধূসর রুক্ষতায় সবকিছু ভুলে যাওয়া।
জীবন মানেই মন্ত্রণা; যৌবন মানেই যন্ত্রণা,
ভালবাসা মানেই জীবনে যৌবন ঢাকে ছুটে চলা।
ছুটছে সবই সময়ের সাথে, ছুটছে সবাই বর্তমান ভুলে।
ছুটছে সবাই শুরুর খোঁজে, ছুটছে সবই শূন্যের শূন্যালয়ে।
৫২টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
নাম দেখে মনে হয়েছিল শূণ্য আপুকে নিয়েই কিছু লেখা। অফুরান রঙেরা এই লেখার সাথে মিল রেখেই লেখা। যা বলার শূণ্য আপুই বলুক, আমি শুধু বলব নীতেশ দা মানেই ব্যতিক্রম কিছু। আর সেই সাথে থাকে ব্যাতিক্রম ভালো লাগা আর ভালোবাসা।
নীতেশ বড়ুয়া
শুন্যাপু মানেই নানা রঙের অস্তিত্ব, অথচ মানুষটি একেবারেই শুন্যের মতো বর্তমান অস্তিত্ববিহীন অস্তিত্বের মতো :p
আবু খায়ের আনিছ
🙂 🙂 -{@ -{@
নীতেশ বড়ুয়া
😀
অরুনি মায়া
নাম টা দেখে চমকে উঠেছিলাম ! ভেবেছিলাম শুন্যাপু কে নিয়েই লেখা |
যাহোক শেষের অংশ টি ভাল লেগেছে নীতেশ দা 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
সত্যি বলতে কি আউলা ঝাউলা ভাবের লেখা। দু’লাইনের বেশী পারছিলাম না আবার মনে যা আসছিলো তাও সাজাতে পারছিলাম না, তাই এভাবেই লিখে যাওয়া। আর শেষের অংশটি উপরের সব ক’টি লাইনের অন্তর্নিহিত ভাবের সারাংশ :p
আপনাকে আগের মতো পাওয়া যায় না কেন বলুন তো? ;?
অরুনি মায়া
হুম শেষ টা চমৎকার হয়েছে | শেষ ভাল যার সব ভাল তার 🙂
আমার ঘুমাতে ঘুমাতেই যায় বেলা! সেজন্য কম আসি 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
শেষ ভাল তার সব ভাল যার :p
আমিও তাহলে ঘুমাবো এখন থেকে, দেখা যাক এইখানে কে জিতে :@
অরুনি মায়া
এইমাত্র ঘুমিয়ে উঠলাম | ইয়েস আমি জিতে গেছি 😀 \|/
নীতেশ বড়ুয়া
আমিও তাই। 🙂
জিসান শা ইকরাম
নীতেশকে চিনছি, জানছি নতুন করে
তার মাঝে এসব আছে কখনো ভাবিনি
একজনকে এঁকেছে নীতেশ
অত্যন্ত সঠিক ভাবেই এঁকেছে
দেখতে পাচ্ছি মুগ্ধ নয়নে।
সবাই ছুটছে শুন্য শুন্যালয়ে……
এই ভাবনাটাই অদ্ভুৎ রকমের সুন্দর।
নীতেশ বড়ুয়া
লিখতে যখন বসি তখন মাথায় এতো কিছু ছিলনা। কিন্তু আমার বরাবরের বিশ্বাশ জন্ম মৃত্যুর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ মানেই শুন্য শুন্যালয়। আর শুন্যাপুর এই নামটাই অনেক অনেক কিছুই, অথচ আমার কাছে তিনি বায়বীয় রকমের বাস্তব।
উনাকে বর্ণনা করা বা মনোজগতে ধারণ করতে গেলেই এমন শুরু আর শেষের কথাই চলে আসে :p
ছাইরাছ হেলাল
জীবনকে দেখছেন ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বা ভিন্ন অবস্থান থেকে।
বেশ গভীর ভাবনা,
জীবনকে এতো কাছে থেকে দেখে ফেললে ভাল ও মন্দ দুটোর সম্ভবনা এসে যায়।
নিবিড়তা ও উত্তাপ দুটোই উঠে আসে, তা নিতে পারা ও কম ঝক্কির না, তবে এর অর্থ এই না যে
জীবনকে জীবনের হাতে ছেড়ে দিয়ে ঠাঁয় দাড়িয়ে থাকব।
বেশ ভাল লিখছে নীতেশ, ভালোই। চলুক।
নীতেশ বড়ুয়া
“নিবিড়তা ও উত্তাপ দুটোই উঠে আসে, তা নিতে পারা ও কম ঝক্কির না, তবে এর অর্থ এই না যে
জীবনকে জীবনের হাতে ছেড়ে দিয়ে ঠাঁয় দাড়িয়ে থাকব।” গুরুজনের অভিজ্ঞতা এই জন্যই দরকার হয় তা না হলে বর্তমান নিয়ে বা ভাল খারাপ দেখে জীবনকে ছেড়ে দিলে সাগরের পানি নর্দমায় চলে যায়…
থ্যাঙ্কু হেলাল ভাইয়া ^_^
নাসির সারওয়ার
জীবন চক্রের বৃত্ত দেখে ফেললামতো দাদাভাই! তবে কেনো শুধু এই মুহূর্ত নিয়ে ভাবনা নয়? কি হাবে অতীতকে ভেবে? কি হবে কাল, তা কি আমরা জানি?
নীতেশ বড়ুয়া
ইদানীং সিনেমায় যে লাইনটি বেশ ব্যবহার হয় তা হচ্ছে ‘ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সাজাতে সাজাতে বর্তমান যে হারিয়ে গিয়ে নতুন ভবিষ্যত বানাচ্ছে প্ল্যানের বাইরে তা কি জানো?’, ‘Live for today, tomorrow will be fruitful’…
হিন্দি গান আছে “জিন্দেগি এক সফর, হেয় সুহানা…কাল কেয়া হো না হো কিস নে জানা’ 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
জীবনঃ
পাহাড়ের বুক চিরে ওই ঝর্ণাধারায়
ভালোবাসা বইছে গোপন ইশারায়।
যৌবনঃ
আলোতে, ছায়াতে, মেঘের সুরেতে
নাচছে ভালোবাসা সোনেলার ঝঙ্কারেতে।
ভালবাসাঃ
শরীরে, আত্মায়, উষ্ণ নিঃশ্বাসে
ভালোবাসা এখানেই আছে যে মিশে।
মৃত্যুঃ
ক্ষণের অতীতে, চলমান পথে
ফেলে আসা সময় ছোটে জীবনের রথে।
জন্মঃ
কিভাবে কে জানে এখানেই আসা
শুন্যতার আবেগে বেঁধে ফেলা বাসা
সবকিছু ভুলে পিছুটান ফেলে
শুন্যালয়ের দিকেই সবাই ছুটে চলে।
নীতেশদা রাগ করবেন না যেনো। আমি রাগ ডরাইনা। কারণ থাক বললাম না। :p
এতো ভালো লেখেন কেন বলুন তো? বেশ তো বলতেন না না পারেননা। এখন তো অন্য নীতেশদাকে দেখছি! ;? -{@
নীতেশ বড়ুয়া
নতুন করে সাজিয়েছেন নীলা’দি! আমি আপনার মতো, আপনাদের মতো এভাবে সুন্দর করে সাজাতে পারি না, তাই সব সময় বলি পারি না 😀
আপনার সাজানোর বেশ ক’টি লাইন অনেক অনেক দারুণ-ভাবছি ‘ইশ আমি যদি পারতাম ওভাবে সাজাতে’ 😀
(যদিও আমার ভাবনার সাথে কিছুটা উল্টো দিকে গিয়েছে তবুও সাজানোতে, গাঁথুনিতে অনেক বেশী ভাল) \|/
শুন্য শুন্যালয়
দাদাভাই, কই তুই? আয় লেখা মর্টেম করি।
নীতেশ বড়ুয়া
😀 আমি ইকানে \|/
শুন্য শুন্যালয়
জীবন যৌবনে ভালোবাসার কত রূপ সংঘাত দেখালি, আবার সেই ভালোবাসাকেই জীবন যৌবনে এসে ধুকে মরতে দেখালি, বাহ্ বাহ্। :c
বেঁচে থেকেই কিভাবে মৃত্যু আসে লিখলি আবার মৃত্যুর সন্ধিক্ষনেই কিভাবে বেঁচে ওঠা জানালি, আমি স্পিসলেস হয়ে গেছি তোর লেখাটা পড়ে। অসাধারন বললেও কম বলা হবে।
নীচের কবিতাটুকু তোর উপরের লেখাকে সংক্ষিপ্তাকারে দেয়াটাও অভিনব, তবে আমি আমার নিজের মত করে বুঝে নিয়েছি।
শূন্য শূন্যালয়ের দুলাইন আমি প্রোফাইলের জন্য নিয়ে নিলাম দাদাভাই, বিনা অনুমতিতে। আমি অবশ্য সবার কাছ থেকে অনুমতি নেইনা। 🙂
তোর ভাবনা এক্সট্রা অর্ডিনারি 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
সামান্য ফুল! শুকিয়ে ঝরে পড়ে আবার অন্যের মন আলোকিত করে কিন্তু নিজের কান্ড হতে বিচ্ছিন্ন হবার আগে ঠিকই তার নতুন শুরুর পথ বানিয়ে রেখে যায়!
মানুষ! না শিশু না বুড়ো, কিন্তু যৌবন এলেই তবে হয় শুরু নতুনের আবার শেষের… তাই না? কি অদ্ভুত আমরা! শরীরের যৌবন, মনের যৌবন- যেন শুরুই হয় হয় নতুনের খোঁজে আর নিজের অন্তের পথে :D)
অথচ ভুলেই যাই শুন্য হতে এসেছি আবার শুন্যতেই মিলাবো। শুন্যের আলয়েই তো সব!!!
নিজের প্রোফাইলে নিয়েছো! আহা!! আজি কি আনন্দ আকাশে বাতাসে শুন্যে শুন্যালয়ে \|/ :p
মোঃ মজিবর রহমান
সুন্দর করে লেখার জন্য ধনবাদ।
কিভাবে কে জানে এখানেই আসা
শুন্যতার আবেগে বেঁধে ফেলা বাসা
সবকিছু ভুলে পিছুটান ফেলে
শুন্যালয়ের দিকেই সবাই ছুটে চলে।
নীতেশ বড়ুয়া
নীলা’দি দারুণ লিখেছেন 😀
ধন্যবাদ মুজিবর ভাইয়া -{@
শুন্য শুন্যালয়
যৌবন ঢাকে ছুটে চলাটা কি ডাকে ছুটে চলা হবে দাদাভাই?
ইশ কই গেলি এমন লেখা রেখে?
নীতেশ বড়ুয়া
যৌবন ঢাক বলতে আফ্রিকান ঢাক বা ড্রামের ব্যাপারটা বুঝিয়েছি। আফ্রিকাতে এখনো দ্রিম দ্রিম ঢাকের শব্দে ছুটে যায় লড়াই করতে যা’তে কোন আলাদা ভাষা থাকে না, থাকে শুধুই ‘ছুটে যাও লড়াইয়ে’ বুঝানো হয় আবার ‘ছুটে আসো বিজয়’। আমাদের যৌবন তো এমনই! আলাদা কোন ভাষা নেই যৌবনের, সবারই এক ভাষা-ছুটে যাওয়া বা ছুটে আসা 😀
অফলাইনেই ছিলাম :p
শুন্য শুন্যালয়
আমি কিন্তু ঢাকেই বুঝেছিলাম, তারপরেও কনফিউওশান দূর করে নিলাম। 🙂 আফ্রিকান ঢাক এর কথা এখন জানলাম 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
মুড অফ কেন??!!! ;?
শুন্য শুন্যালয়
আমার মুড অফ কি কস? মনে হয় হাত লেগে সুইচে চাপ পড়ে গিয়েছিল, এক্ষুনি ঠিক করে দিচ্ছি।
নীতেশ বড়ুয়া
তুমি এই 🙂 স্টিকার তো সহপজে দাওনা!!!!!!!! মানে কিন্তু মনে সমস্যা has :p
শুন্য শুন্যালয়
হি হি, না দেইতো। এখন পর্যন্ত ব্রোকেন হার্ট ছাড়া সব ইমু দিছি, আমার হার্ট সুস্থ এবং সবল 😀
নীতেশ বড়ুয়া
🙂 এই স্টিকার হার্টের জন্য (3 ময় নহে :p
শুন্য শুন্যালয়
শুন্য মানেই নাম্বারের সংশয়
শুন্যের কি করে আবার আলয় হয়?
শুন্য মানেই যদি শুরু হয়
শুন্যালয়ে সবকিছুর কেন শেষ রয়?
দীঘালয়, হিমালয়ের মতো শুন্য তবু গড়ে
শুন্যালয়ে সঞ্চয়।
নীতেশ বড়ুয়া
শুন্য মানেই বিশ্বাসের আলয়, তাই
নাম্বারে নেই কোন ভয়,
শুন্য মানেই শুরু
শুন্যালয়েই জন্ম মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের গুরু,
কি’বা দীঘালয়; কি’বা হিমালয়; শুন্য মানেই গড়া
শুন্য মানেই শুন্যালয়ের আদি-অন্তের সঞ্চয়।
শুন্য শুন্যালয়
নীচের দুইলাইন ও এড কইরা ফালাইছি 😀
এদ্দিন কই আছিলি? আমার প্রোফাইল খালি ছিলো।
শুন্যালয়ে ভ্রম রাত্রির সূর্য্যের
শুন্যালয়ে ভ্রম ভরাট শুন্যের —
নীতেশ বড়ুয়া
উরেব্বাস!!! এই দুই লাইন কইত্তে পাইলা শুন্যাপু! দারুণ তো!!!!!!!!!!!!!!!! \|/
শুন্য শুন্যালয়
তোর সঙ্গে সর্বোনাশ হইতাছে দাদাভাই।
নীতেশ বড়ুয়া
আমার শুন্যেতে লেখা ছিলো শুন্যালয়ের সর্বনাশ :D)
শুন্য শুন্যালয়
হ, অসৎ সঙ্গ আর কইলাম না। তোর সঙ্গ কইলাম।
কিন্তু কথা হইলো দাদাভাই, আমিতো শুন্য শুন্যালয়ে ভুল স্পেলিং এ শুরু করছিলাম, আভি তাক চলছে, তার কি হবে? 🙁 শূন্য হওয়া উচিত। 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
শূন্যের ভুল বলে শুন্যালয়ে কিছুই নেই, সবই শূন্যালয়ের রহস্য 😀
শুন্য শুন্যালয়
আজকের পোস্টে লিখছি, ভুলের জলে মেঝে ডুবে গেছে। 😀
গেলাম দাদাভাই। পরে কথা হবে।
নীতেশ বড়ুয়া
🙁
শুন্য শুন্যালয়
ও দাদাভাই, পারলে যে সারাদিন থাকতাম! কোনে গেলি?
নীতেশ বড়ুয়া
সকালের এই সময়টা ইদানীং আমার বেশ ভালই লাগে কারণ তোমাদের কাছে পাই বলে। \|/
শুন্য শুন্যালয়
থাকবো দেড় ঘন্টা। \|/
লেখা দে না ৫ মিনিটে একটা লিখে।
নীতেশ বড়ুয়া
তুমি তিন মিনিটে দাও তো আমি দুই মিনিটে দিচ্ছি তবে-সব মিলিয়ে ৫ মিনিটের পোস্ট \|/
শুন্য শুন্যালয়
শুন্যালয়ের সঞ্চয়ই তবে শুন্য? দারুন। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
যেখানে শুন্য সেখানেই শুরু 😀
আলমগীর
(3
নীতেশ বড়ুয়া
-{@
ড্রথি চৌধুরী
শূণ্য নিয়ে শুরু শূণ্যতেই শেষ
শূন্যের এই যোগ বিয়োগে
শূন্য নিয়ে আছি বেশ! 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
তোমার শুন্য কেন? তুমি তো ভর্তি :p
লাল্টু ড্রথি (3 (3 -{@