বলুন তো আপনারা এখানে কোথায় নারীদের নিরাপত্তা আছে?
ভীড়ে ভরা রাস্তায়, দিনের আলোয় পথে-ঘাটে-প্রান্তরে,
পৃথিবীর কোন দেশে, কোন শহরে কোথায় আছে নিরাপত্তা?
নাকি এ নামের শব্দটি শুধুই অভিধানের অলঙ্কার?
আমি নিরাপত্তা নামের একটা সাইনবোর্ড খুঁজে চলছি সেই কবে থেকে—
দিন নেই, রাত নেই হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছি
নাহ কোত্থাও নেই!
নিরাপত্তার জন্য সেই শিশুকাল থেকেই নিজেকে ঢেকে নিয়ে চলছি। প্রথমে ওড়নায়, ঘোমটায়, তারপর বোরখায় এবং হিজাবে। তাও কেন চেয়ে থাকে কুকুরের মতো লোলুপ জিহবা বের করে ওই পুরুষের দল? আচ্ছা এও শুনেছি যখন মাত্র কিশোরী হলাম, আমরা নারীরা নাকি মানুষ নই? সত্যি বুঝি! কিন্তু এই যে আমাদের হাত-পা-নাক-চোখ-মুখ সবই আছে। পুরুষের সাথে পার্থক্য ওরা মাতৃত্ত্বের স্বাদ নিতে পারেনা। আর নারীর কাছে থাকে নবজাতকের খাদ্য। পুরুষের কাছে নেই; এই-ই তো!
সেদিন একজন পুরুষ খুণ হলো। পত্রিকার পাতায়, টেলিভিশনের খবরে শিরোনাম হলো অমুকের মৃত্যু ঘটেছে এমন করে…, অবশেষে সেই নাম আর নাম থাকেনা, হয়ে যায় লাশ। অন্যদিকে ছিঁড়ে-খুড়ে খেলো নারী শরীর, অবশেষে খুণ। তার নাম হয় ধর্ষিতা অমুক। আর এ নামের বাজারদর বেশ, উচ্চৈঃস্বরে উচ্চারিত হয় টেলিভিশনের খবরে, পত্রিকার পাতায়; তবে নামের আগে ওই “ধর্ষিতা” যোগ হয়। বেশ কিছুদিন ওভাবেই চলে, আরেক নতূন ধর্ষিতার জন্ম হয়। ক্ষুধার্ত কুকুরের মতো চেটেপুটে খাওয়া শরীরটাও নিরাপত্তা পায়না। নিঃশ্বাসকে গলাটিপে, ক্ষত-বিক্ষত করে স্তব্ধ করে দেয়।
হায় নিরাপত্তা!
অবশেষে নিরাপত্তার দেখা পেলাম, জায়গাটির নাম রেডলাইট এরিয়া। এখানে বেওয়ারিশ শিশুদের জন্ম হয়, প্রতিটি রাতে নারীদের শরীর চড়ামূল্যে বিক্রী হয়। আসলে এক কথায় বলা যায় নগ্ন শরীরের বিনিময়ে নারীদের নিরাপত্তা পাওয়া যায় এখানে। আর এইচ আই ভি একেকটি কোষের মৃত্যু ঘটায় কেবল। তাতে কি! মৃত্যু তো চিরন্তন, তাই এক মেয়েমানুষের মৃত্যু? ও কিছু নয়!
নারী বড়োই সহজলভ্য, সৌন্দর্যর প্রয়োজন নেই, শরীর পেলেই হলো;
কারণ পুরুষের কাছে শরীরের ক্ষুধা কখনোই মরেনা।
হ্যামিল্টন, কানাডা
২৪ অক্টোবর, ২০১৬ ইং।
**যেদিন লিখেছিলাম আসলে ছোট্ট একটা স্ট্যাটাস হিসেবে দিতে চেয়েছিলাম ফেসবুকে। কিন্তু লিখতে গিয়ে বিশাল হয়ে গেলো। তারপর সেদিন ব্লগে দিতে পারলাম না। কারণ এখানে পোষ্ট দেয়ার পর চব্বিশ ঘন্টা পার হয়নি। হুম লেখাটি ফেসবুকে দিয়েছিলাম। আমি যখনই কোনো লেখা লিখি সোনেলার কাছে জমা রাখবো বলেই লিখি। খারাপ লাগছে সরাসরি এখানে দিতে পারিনি বলে।**
৩০টি মন্তব্য
ইলিয়াস মাসুদ
এসবের শেষ কোথায় জানি না,বিদঘুটে অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে পৃথিবী,লক্ষ হাজার মৃত্যুর খবের চেয়েও ভয়ানক এইসব নিকৃষ্টতা।
নীলাঞ্জনা নীলা
ইলিয়াস ভাই দিনকে দিন নারীরা অনিরাপত্তায় ভুগছে। পৃথিবী নাকি আধুনিক হচ্ছে। আধুনিকতা মানে কি এই!
তাহলে সেই আদিমযুগ ভালো ছিলো, মানুষের শিক্ষা ছিলোনা।
জানিনা কবে নারীরা একটা নিরাপদ পৃথিবী পাবে।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর এ মন্তব্যের জন্যে।
মৌনতা রিতু
শোন আপু, এর সমাধান একটা জনসম্মুখে বিচার। আরো থাকতে হবে মনিটরিং এর ব্যবস্থা। তুমি অবাক হবে একটু একটু ছেলেপুলের মোবাইলে কিছু ছবি দেখলে। আমি অনেক মামলার ফোনগুলো যখন দেখি তখন হা করে থাকি। এজন্য মোড়ে মোড়ের দোকানগুলোতে মাঝে মাঝেই পুলিশি রেড দেওয়া দরকার। যেন কোনো ধরনের খারাপ ছবি কেউ ফোনে আপলোড দিতে না পারে।
তোমার ভালবাসা সোনেলার সবাই জানে আপু। তাই তুমি আমার মিশরের সেই নীলনদ। এতো ভেবোনা তো! ফেসবুকেও কিছু কিছু দিতে হয় যেন সবাই সচেতন হয়। এখন থেকে তো আমি শেয়ার করব এসব পোষ্ট।
নীলাঞ্জনা নীলা
শান্ত-সুন্দরী আমাদের বাবা-মায়েরা সবধরণের নিষেধাজ্ঞা মেয়েদের উপরেই ফেলে। ছেলেদের উপর নয়। যেদিন প্রতিটি ঘর থেকে শেখাবে মেয়েদের সম্মান করতে, সেদিন এ পৃথিবীতে দেখো নারী বলে আলাদা বস্তু হিসেবে নয়, মানুষের কাতারে এসে দাঁড়াতে পারবে। নারী পণ্য নয়, প্রতিটি মানুষদের এসব কথা মনে রাখতে হবে।
“সখী ভালোবাসা কারে কয়!” :p 😀
ভালোবাসা মানে কি -{@ (3 ? যদি তাই হয় তোমাকে দিলাম।
ইঞ্জা
এই দেশের আইন নারী শিশুদের জন্য নয় আপু, যদি হতো তাহলে এদের রাস্তার মোড়ে মোড়ে জন সম্মুখে লটকিয়ে রাখা হতো, দুঃখের কথা কি বলবো নামে মুসলিম দেশ কামে জংলি।
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া ঠিক বলেছেন।
এ দেশে যারা ধর্ষণ করে তারা বুক ফুলিয়ে হাঁটে, অর্থের জোরে কোর্ট থেকে রেহাই পেয়ে যায়।
আর যারা ধর্ষিতা হয়, প্রতিদিন সে মরে। নিজের ঘর থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী সকলের কাছেই তার মনের মৃত্যু হতে থাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে মন খোলা মন্তব্যের জন্যে।
ইঞ্জা
যথার্থ বলেছেন আপু, ভালো থাকবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া আপনার পাঠানো ছবিগুলো দেখলাম। বেশ স্পষ্ট।
ধন্যবাদ জানালাম না। বদলে -{@
অভি-অবণীকে এতো দেরী করে আনলে চলবে না কিন্তু।
মোঃ মজিবর রহমান
বলার কিছুই নাই সবই মানবিক ও শাসকের অভাব।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই আমরা কি দিনে দিনে এসবে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি?
মোঃ মজিবর রহমান
বলার অপেক্ষা রাখে না যে হচ্ছি না। দুর্বৃত্তের কসাঘাতে আমরা প্রতিবাদ করতে ভুলে জাচ্ছি আর তার চেয়েও বড় সমস্যা বাবা মা সন্তানের দোষ স্বিকার না করে বরঞ্চ তাদের রক্ষার জন্য ব্যাস্ত থাকে এই সন্তান কি হবে !!!!
আমার স্কুলের বড় ভাই ন্যায় করে ছিল শিক্ষক মেরে অভিভাবককে ডাক্লে লজ্জায় আসে নায় আর এখন ছাত্র অভিভাবক মিলে শিক্ষকে পিটায় তবে বরতমানে শিক্ষকও তার অবস্থান ধরে রাখতে ব্যারথ।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই কি আর বলবো! পরিবারই যদি অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়, সমাজ কিভাবে আর উন্নত হবে বলুন!
নীরা সাদীয়া
কোথায় পাব নিরাপত্তা? ভাল বলেছেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
কোথাও নেই। নারীরা নিরাপদ সেখানে, যেখানে সে নিজেকে উন্মুক্ত হতে দিতে বাধা দেয়না।
ছাইরাছ হেলাল
কঠিন সত্য আপনার লেখায় তুলে এনেছেন,
আমরা আমাদের নারীদের রক্ষা করতে পারিনি, সম্মান দেখানোতো দূরের কথা,
আপনি সোনেলার, সোনেলা আপনার, সেরা সোনাদের একজন,
তাই ব্যাপারনা সিস্টেম আপনার জন্যই,
নীলাঞ্জনা নীলা
নারীদেরকে সস্তা পণ্য হিসেবে দেখা হবে যতোদিন, ততোদিন নারীদের নিরাপত্তা পাবার কোনো পথ নেই।
উরিব্বাস সিষ্টেম আমার জন্য!!! :p
কি করিয়া উহা জানিতে মুঞ্চায়। 😀
মিষ্টি জিন
তোমার দাদার পোষিং এবং বেড়ানো মিলিয়ে এশিয়ার অনেক দেশে গিয়েছি ।আমি একমাএ সিংগাপুর ছাডা আর কোন দেশকে মেয়েদের জন্য নিরাপদ মনে হয়নি। সিংগাপুরে আইনি ব্যাবস্হা অত্যান্ত কঠোর। যে কোন ধরনের নারী নির্যাতনের কোন আপিল নাই সরাসরি শাস্তি হঁয়ে যায়। তাই সিংগাপুরে নারী নির্যাতন হয়না বললেই চলে।
আপু আসলে সমস্যা হোল মানুষিকতায়। ৫থেকে ৫০ বয়সি শিশু /নারী যেই হোক না কেন কিছু বিকৃত মস্তিস্কের পুরুষরা এদের কে এক খন্ড মাংসপিন্ড ছাডা আর কিছু মনে করে না।
আর আমাদের দেশে নারী নির্যাতনের অনেক আইন আছে তবে তার সঠীক ব্যাবহার নাই।যদি আইনের সঠীক ব্যাবহার হোত এবং ধর্ষণের অপরাধে
একটা ধর্ষকের ইমানদন্ডটা কেটে দেয়া হোত তাহলে ধর্ষণ অনেকাংশে কমে যেত।
অনেক ভাল পোষ্ট আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
মিষ্টি আপু এই একই নিরাপত্তা আমি জাপানে পেয়েছি। পাঁচটি বছর ছিলাম। জানো বেশীরভাগ শুক্র/শনিবার রাত তনুশ্রী বৌদির বাসায় যেতাম। উনার ছেলে বাঁধনের সাথে তীর্থর অনেক ভাব। দেখা যেতো বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ২/৩টা। আমি আর তীর্থ দুজনে বাসায় ফিরতাম। মাঝে-মধ্যে বৌদির দেবর পৌঁছে দিতো। তবে বেশীরভাগ আমরা দুজনই একা ফিরতাম। পথ কিন্তু কম দূর না। হেঁটে হেঁটে বাসায় এসে অপেক্ষা করতাম তরুণের। সে ওখানে পি.এইচ.ডি করতে গিয়েছিলো। ওকে একদিন বললাম আমাদের দেশটা যদি জাপানের মতো হতো!
বিশ্বাস করো আমি খুব মিস করি জাপানের জীবন। যদি আবার ফিরে যাওয়া যেতো!
ভালো থেকো আপু। -{@
ফারহানা নুসরাত
মৌনতা রিতু আপুর সাথে একমত আমি। জনসমুক্ষে শাস্তি দিতে হবে। ধর্ষণের শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড, তাও সবার সামনে। অমানবিক হলেও কঠোর আচরণই হতে পারে এই সমস্যার সমাধান।
নীলাঞ্জনা নীলা
শাস্তিস্বরূপ ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।
সত্যি বলতে কি ওই শাস্তি-ই পারে ধর্ষণ কমাতে।
ধন্যবাদ আপনাকে ফারহানা।
অপার্থিব
সত্যি বলতে কি আমাদের দেশের রাস্তায় তথা ঘরের বাইরে নারীদের জন্য নিরাপত্তা নেই তবে নারীদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই নিরাপত্তাহীনতার অনুভুতি মন থেকে ঝেরে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়া। যে কোন পরিবর্তন এমনি এমনি ঘটে না , পরিবর্তন ঘটাতে হয়। নারীদের আরো বেশি করে রাজনৈতিক ,সামাজিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বা স্বনির্ভরতা অর্জনের চেষ্টা চালাতে হবে। নারী এগোলেই সমাজ এগোবে, এগোবে সামাজিক পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটাও।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনি যা বলছেন তা মেনে নিলাম। কিন্তু আপনি বলুন আমাদের সমাজে নারী প্রতিবাদ করতে গেলে ঘর থেকেই তো তাকে বহিষ্কার হতে হয়। নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাইলেই তো পারা যায়না। নিজের কথাই বলি। আমি যখন বেলজিয়াম ছিলাম ইন্টারনেশনাল পলিটিক্স নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলাম। ছয়মাস হয়নি, আর ছয়মাস পর প্রথম সেমিষ্টার পরীক্ষা। ঠিক তখনই তরুণ রিসার্চ জব পেয়ে গেলো কানাডায়। আমাকে চলে আসতে হলো। এসবের মধ্য দিয়েই নারীদেরকে নিজেদের প্লাটফর্ম তৈরী করে নিতে হয়। কিন্তু সবাই পারেনা। তরুণ যদি না চাইতো আজ আমি নার্সিং জব কি করতে পারতাম? একজন নারীর শক্তি হলো তার ঘর। কিন্তু ঘরের প্রধান কর্তা কি সেই শক্তি অর্জনের জন্য নারীর পাশে দাঁড়ায়?
আপনার মন্তব্যর প্রতি আমার সম্মান আছে। কিন্তু মেনে নিতে পারছিনা সব কথা। আর তাই এভাবে প্রতি-মন্তব্য দিলাম।
অপার্থিব
আপনি হয়তো আপনার হাজবেন্ডের কাছ থেকে সাপোর্ট পেয়েছেন কিন্ত পৃথিবীর সব মেয়ে যে এই সাপোর্ট পাবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই । এটা সম্ভবও নয়। পরিবারের প্রধান তথা স্বামী বা পিতার কাছ থেকে সাপোর্টের আশা ত্যাগ করেই নিজের পথ
নিজের খোঁজা উচিত। কাজটা কঠিন তবে চেষ্টা অবশ্যই করা উচিত। এই জন্য বলছি একজন নারীর অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একজন নারী যখন অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হবে তখন তাকে যে কোন কারনেই হোক পরিবার থেকে বহিস্কার করতে তার বাবা বা স্বামীকে দুই বার ভাবতে হবে। তার এই অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতাই তার জন্য অন্য স্বাধীনতাগুলোর পথ খুলে দিবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
বলাটা অনেক সহজ অপার্থিব। কিন্তু কাজে সম্ভব নয়। জীবনে দাঁড়াতে গেলে কেউ নয়া কেউ একজনকে পাশে চাই। সে নারী কিংবা পুরুষই হোক। আর একটা মেয়ে পথে নামলেই কতোরকমের যে বাধা-নিষেধের মুখোমুখি হয়। তার উপর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ধর্ষণ।
যুক্তি খন্ডন করা সহজ, কিন্তু ওই যুক্তির মধ্য দিয়ে নিজেকে নিয়ে চলা অনেক কঠিন। খুব কম মানুষই পারে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্যে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
একশ ভাগ নিরাপত্তা কোন দেশেই নেই এটাই মুখ্য বিষয়।অন্য সব দেশের চেয়ে আমরা তুলনামুলক ভাবে অনেক অগ্রগামী।সুন্দর অভিমত। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই কে অগ্রগামী আর কে না, সেটা বড়ো কথা নয়।
নারীদের নিরাপত্তা কোথাও নেই, এটাই আসল কথা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ঠিক আছে আপু মানলাম আপনার কথা।আমার প্রশ্ন নারীদের এতো দুর্বল ভাবেন কেনো।এ দেশে নারী ক্ষমতায়ণ দীর্ঘকাল ধরে কৈ নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা কি কোন বিশেষ ব্যাবস্থা নিয়েছেন।নেননি মুখেই সব সভা সমিতি কার্যত সব অকার্যকর।তাই নারীদের একক চেষ্টা একক প্রতিহত করার সকল সাহসিকতা কৌশল অন্তরে তৈরী করতে হবে।তবে পুরুষতান্ত্রিক এ সমাজে নারীরা বরাবর অনিরাপত্তায় থাকেন।এ জন্য সকলের ঐক্যমতে পৌছতে হবে।আশা হারাবেন না এক দিন এর সমাধান হবেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই যেদিন পুরুষ নিজেকে পুরুষ না ভেবে মানুষ হিসেবে নিজের মানবতাকে প্রতিষ্টা করবে নিজের আত্মায়, সেদিন নারীরা নিরাপদ হবে। তার আগে নয়। কিন্তু সে আদৌ হবেনা।
আবু খায়ের আনিছ
নিরাপত্তা, কোথায়? নেই তো।
মিডিয়া, তিলকে তাল আর তালকে তিল বানানোর যন্ত্র। এখানে কোন কিছুই অসম্ভব নয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাইয়া মিডিয়া বানায় কারণ মানুষই এসবকে প্রাধান্য দেয় বেশী। আর সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে মিডিয়া।
এই যে তনু হত্যা, আজ কি কোনো সাড়াশব্দ আছে? তারপর পুজা নামের পাঁচ বছরের একটি শিশু, কই মিডিয়া? মিডিয়া এখানে নেই, কারণ জনগণের কোনো শ্লোগান-মিছিল নেই। আর তাই কোনো মাল-মশলাও পাওয়া যাবেনা। তাই নিশ্চুপ। আর জনগণও কিন্তু পুজাকে নিয়ে মাতামাতি করছে না, এও জানি করবেও না।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।