“জানালাটা খুলে দাও, আমি মেঘ ছোঁব”। একটু হলেও যে বিমানবালা থতমত খেয়েছে, আমি নিশ্চিত। আলাপচারিতার পরে হাসি মুখে চলে গেলো এবং সাথে সাথেই একটি শুভেচ্ছা পানীয় নিয়ে হাজির। আহা, যুবাকাল!
সে সময়ে উড়োজাহাজের টিকেটে আসন নম্বরটা পাওয়া যেতোনা। ভ্রমণের সময়ে বিমান বন্দর থেকে বোর্ডিং কার্ডের সাথে দেয়া হতো যাত্রীদের পছন্দকে মাথায় রেখে। অনেক মানুষই জানালার পাশে বসতে চাইতো। আমার প্রথম উড়োজাহাজে চড়া অথচ ভাব ছিলো আমিতো ৬ নম্বর বাসের মত নিয়মিত যাত্রী। জানালার সীট না হলে যাবোইনা। প্রযুক্তির ব্যাপ্তি তখন এমন ছিলোনা। বড় একটা স্ক্রিনে মুভি আর দুএকটা গানের নব ই ভরসা। তবে কিছু ম্যাগাজিন পেলাম যা ঢাকার রাস্তায় পাওয়া যেতোনা। একটা বিজ্ঞাপনে একটা পার্কের নাম দেখে চোখ আটকে গেলো। মালয়েশিয়ার জেন্টিং হাইল্যান্ড (Genting Highland) যেটা সমতল থেকে প্রায় ৬০০০ ফুট উঁচুতে। এই উচ্চতায় নিশ্চয়ই মেঘ থাকার কথা। এমন সময় সেই বিমানবালা হাসি মুখে একটা ম্যাগাজিন ধরিয়ে দিলো। “এই জায়গা হয়তো তোমার শখ মেটাতে পারে”। একি বিজ্ঞাপন অন্য আরেকটা ম্যাগাজিন। আরো একটু জানার চেষ্টা এবং যাবার আকাঙ্ক্ষা পুষে রাখলাম।
অনেকগুলো বছর পরে সেই ক্ষণ আসলো। উত্তেজনায় ভাটি আসেনি এতোটুকুও। এর মধ্যে তথ্যের ভাণ্ডারে প্রাপ্তি জমেছে। গাড়ীর রাস্তা এড়িয়ে ক্যাবল কার এ যাবার প্রস্তুতি নিয়ে একেবারে টান টান হয়ে হাজির জেন্টিং এ। ক্যাবল কার ষ্টেশনে এসে আমার কিছু একটা হয়েছিলো। সঙ্গী দুজনকে অস্থির দেখেও বুঝিনি সমস্যাটা কী। আপত্তি ছিল ক্যাবল কারে উঠার। অথচ আমি তাদের একটু সাহসও দিলাম না। বলতে তো পারতাম – আরে এতো ডাল ভাত, পাখি পাখি ভাব এই রাইডে। বলা হয়নি নিজের উচ্চতা ভীতি কথা।
আমি দেখছি ছোপ ছোপ মেঘের মাঝে দুটো দড়ি আঁকড়ে অনেকগুলো বাক্সের মত খাঁচা যাওয়া আসা করছে। প্রকৃতির এই মায়াময় সৌন্দর্য দেখার চোখ আমার কোথায়! এতো সুন্দর এই প্রকৃতিতে কত কিছুই না আছে নয়ন জুড়ানোর।
একটা কচ্ছপ ও নাকি তিন’শ বছর অব্দি বেঁচে থাকে!!!
আর মানুষ…!!!!!!
৬৩টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আহা, যুবা কাল কতই না মনোহর!!
কোথায় হারাল পানীয়ের সেই উষ্ণতা!!
দহনের ঝুল বারান্দায় শুধুই ঝুলে থেকে ঝুলে ঝুলে যাওয়া।
নাসির সারওয়ার
লেখার চেষ্টা প্রকৃতির সৌন্দর্য নিয়ে, কিন্তূ প্রথম মন্তব্যেতো সব নিবে গেলো!!
ছাইরাছ হেলাল
পানি! খাইবেন আর মেঘামেঘি করবেন, আমরা কইলেই খালি দুস ধরবেন!
এইডা কিন্তু ঠিক না।
মানুষ তো হাজার বছর বেঁচে থাকে শূন্যে ডানা মেলে, নো চিন্তা ডু সবকিছু।
তা কোবতে পড়মু কুন্সুম?
নাসির সারওয়ার
হাজার বছরও কম সময় ।
কোবতা, তা অমন কি, ও হয়ে যাবে. মানে লিখে ছেপে দেয়া বাকীতো, দিয়ে দেবো। রান্না না করেও খাওয়া যাবে।
অরুনি মায়া
মেঘের স্পর্শ কেমন লেগেছিল সেদিন ? আমারো খুব মেঘ ছোঁবার সাধ ছিল | পারবনা তাই ইচ্ছের জলাঞ্জলি দিয়েছি |
সত্যি প্রকৃতিকে যে ভালবাসতে শিখেছে সে পরিপূর্ণ ,তার আর কিছুর প্রয়োজন নেই |
আচ্ছা মেঘের গন্ধ কেমন ?
মেঘ কি খুব শীতল?
মেঘ কি আপনাকে ভিজিয়ে দিয়েছিল?
আবু খায়ের আনিছ
আমিও এই বিষয়গুলো জানতে চাই।
নাসির সারওয়ার
কাছের মন্তব্যে কিছু আপাল আছে। চেষ্টায় কমতি থাকবেনা…।
নাসির সারওয়ার
আমারতো মনে নেই আপুনিয়া। আমিযে ঘোরের মাঝে ছিলাম। ঐ অনুভূতি লেখার সামর্থ্যতো আমার নেই।
ইচ্ছেকে বাঁচিয়ে রেখে জীবনের স্বাদ ধরে রাখুন। ওটাইতো বেঁচে থাকার সুখ।
মনে হয় মেঘের নিজেরই একটা গন্ধ আছে। কেমন যেন সোঁদা সোঁদা।
মনটা যে ভিজেছিলো, তাতে কোনই সন্দেহ নাই। মনের অজান্তে চোখ দু’টোও মনে হয় ভিজেছিলো। চশমার উপরে বিন্দু বিন্দু শিশির কনা, নাকি বৃষ্টির পানি।
প্রকৃতি রূপের ছবি আঁকা চলুক, আপনি যে অনেক ভালো আঁকেন।
অরুনি মায়া
ভাল আর আঁকলাম কই | কিছুইতো দেখলামনা এই জীবনে | সাগর দেখিনি,পাহাড় দেখিনি,মেঘ ছুঁইনি |
তারপরেও প্রকৃতিকে ভালবেসেছি |
নাসির সারওয়ার
সাগর আর পাহাড় না দেখাটা কিন্তু ভারী অন্যায়।
মেঘ ছোঁবার আগে ওদেরকে ছালামি দেয়ার একটা রেওয়াজ আছে।
নিয়ে যাবো একদিন। তবে ঢেউ থেকে আবার কান্নাকাটি চলবেনা। আর সাতার না জানারা ধরতেও পারবেনা। দেখুন ভেবে!!
অরুনি মায়া
আমি সাতার জানিনা, আর প্রচণ্ড পানি ভীতিও আছে 🙁
কেমনে যাব ভাইজান 🙁
নাসির সারওয়ার
চিন্তার বিষয়।।। খুবই চিন্তার ব্যপার।
হুম।
ভেবে নেই আগে।
হুম।
পরে জানাচ্ছি।
জিসান শা ইকরাম
শুভেচ্ছা পানীয়টা আবার কি? আমি তো জীবনেও ‘ শুভেচ্ছা’ নামের কোন পানীয়র নাম শুনলাম না।
আহা যুবাকাল :=
মেঘ ছুঁয়েছেন আর তা কত সুন্দর ভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন।
জেন্টিং হাইল্যান্ড (Genting Highland) এ তো আমারও কিছু স্মৃতি আছে
আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম যে এখানেও গিয়েছিলাম আমি 🙂
ফটো আর স্মৃতির বাক্স খুঁজতে হবে বুঝতেছি।
আপনি ভালো লেখেন, এটি আর নতুন করে বলার কিছু নয়।
শুভ কামনা -{@
নাসির সারওয়ার
শুভেচ্ছা পানীয়টা আমাদের কালে ছিলো। এখন ওসব কোথায় পাবেন? যান, যাদুঘরে বা কোন এন্টিক সপে, পেতেও পারেন।
বাই বাই যুবাকাল (মন খারাপের ইমো)!!!!!
আপনি প্রকৃতি প্রেম পালন করেন যা আমরা সবাই জানি। স্মৃতির বাক্সটা জোরে ঝাঁকি দিন, আপনি আমাদের আরো অনেক গভীরে নিয়ে যাবেন যা আমি নিশ্চিত।।
আপনার আবেগের ব্যাংক থেকে এবার কিছু ধার নিতে পারলে আরো ভালো হোতে পারততো।
আপনার মন্তব্য অনেকের মতই আমিও জেগে থাকি।
শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
জিসান শা ইকরাম
বাক্সের তালার চাবিটা খুঁজে পেয়েছি
বাক্সটা এখনো পাইনি।
তবে চাবি যখন পেয়েছি, বাক্সও পেয়ে যাবো নির্ঘাত 🙂
আপনার লেখা তো দিন দিন অনেক উচ্চতায় উঠে যাচ্ছে
আমার নাগালের বাইরে চলে না যায় 🙂
নাসির সারওয়ার
ভালো খবর। চাবি পাওয়া গেছে! পারেনও বটে।
আমার ১৩ বছরের ভাতিজা যে সোনেলার একজন নিয়মিত পাঠক – চাঁচা, “ব্লগার দেখিলাম কিন্তু ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালানো শেখা হইল না” লেখককে সোনেলা থেকে বহিষ্কার করে দাও।
তখন “মেঘ” ২ নম্বরে ছিলো। আপনাদের লেখার দারে কাছে যেতে হলে তাই ই করতে হবে।
মডুরা কেন যে শুনতে পায়না!!
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ ভাই, বাক্স খুঁজে পাইলে দেখেন, তালায় মরচে ধরছে কিনা, এরপর আরো কএকটা নতুন তালা লাগিয়ে বাক্স মজবুত করুন, ভুলেও যেন অইসব ছবি আর স্মৃতি কেউ না জানতে পারে। :@ @জিসান ভাই।
নাসির সারওয়ার
বাক্স না পেয়ে উনি এখন ‘বিদিশা’হারা। জলে ডাঙ্গায় দৌড়াদুড়ি চলছে। @ শুন্যাপু।
জিসান শা ইকরাম
বাক্সের মধ্যে কি আছে তা তো পরের কথা
বাক্স কোথায় রেখেছি,তাই মনে করতে পারছিনা।
আল্লাহ্ আমাকে যদি আপনার স্মৃতি শক্তির একশত ভাগের একভাগ দিতেন,তাহলেও এত খোঁজ লাগতো না 🙁
যাই হোক বাক্সের খোঁজ চলছে। @ শুন্য শুন্যালয়।
সালমা আক্তার মনি
মেঘ ছোঁয়ার ইচ্ছা টা দারুন, কেমন যেন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অনুভূতি! সুন্দর উপস্হাপন, অনুভব করতে কষ্ট হয়নি।
নাসির সারওয়ার
অনেক সুন্দর গুছানো একটা মন্তব্য যা লেখার উৎসাহ যোগায়।
অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য। থাকুন সোনেলাতে নিয়মিত।
খসড়া
আসলেই যুবাকাল আর ফেরে না। লেখাটা খুব ভাল লাগল।
নাসির সারওয়ার
মনেতো ধরে রেখেছি আপু। (আপনি আপুতো!)
ধন্যবাদ আপনাকে অনেকগুলো…
আবু খায়ের আনিছ
ভাইয়া স্বৃতিরা কি আজো সেখানে নিয়ে যায়? খুব জানতে ইচ্ছা করে মেঘেরা কেমন হয়? তুলোর মত নাকি বরফের মত? দেখা হয় নাই অনেক কিছুই এখনো।
নাসির সারওয়ার
হ্যা। ইচ্ছে হয় আবারও যাই, আবার ছুঁয়ে দেই যে আছে নিজের মত করে। তুলোও নয় পেঁজা বরফও নয়। কেমন জানি অনুভব করেছিলাম! আমিতো তখন অন্যজগতে ছিলাম ভাই।
স্বপ্ন লালন করুন, বেঁচে থাকার আনন্দই ওটা।
ভালো থাকুন।
আবু খায়ের আনিছ
এইত জীবন, সবার আনন্দ ভাগাভাগি করেই আমরা বেচেঁ থাকি। আপনিও ভালো থাকবেন ভাইয়া।
নাসির সারওয়ার
অল্পদিনের জীবন। হাসুন সবসময়। শুধু অন্যকে আঘাত না করলেই হোল।
ইলিয়াস মাসুদ
কচ্ছোপ হইলে মন্দ হইত না !!:p
ফাকি মারা লেখা মানি না, এপাশ থেকেঐ পাশ পর্যন্ত যেতে যেতে যে কাহিনী হলো তা জানতে চাই
উচ্চতা ভয় আমারো……… আপনি তো সাহস করেছেন…….
অনেক দিন পরে লিখলেন ভাই সাহেব
ভাল লাগে আপনার লিখা 🙂
অন্তরা মিতু
উচ্চতা ভয় আমারও ভয়ঙ্কর…….. মোটামুটি ৩তলার ছাদ থেকেও নীচের দিকে তাকাতে পারি না… রেলিং ছাড়া কোন সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামা তো আতংকের ব্যাপার!
নাসির সারওয়ার
@ অন্তরা মিতু
অনেক দিন পরে আসলেন।
উচ্চতা ভয়ের সুবিধাও আছে, কখনো নীচের দিকে তাকাতে হয়না। বীরের মত মাথা উঁচু …
শুভেচ্ছা থাকলো।
নাসির সারওয়ার
@ ইলিয়াস মাসুদ
আপনিতো তাহলে পানি জগতের বিশেষজ্ঞ হয়ে যাবেন! তখন আমরা আপনার কাছ থেকে নতুন কিছু শিখে নেবো (হে হে হে)।
আমি হলাম তকমা ওয়ালা কবি। অল্প কিছু লাইন লিখবো, আপনি বাকিটা আপনার মনের মত করে মিলিয়ে নেবেন।
উচ্চতা ভীতি ভয় নিজেই ভয় পেয়ে পালিয়েছিলো সেদিন। একটা হাত বের করে চোখ বুজে মেঘ মেঘ না, খেলতে খেলতে উঠে যাওয়া যা মনে ধরে রেখেছি আজও।
কর্মের পাটায় পিষ্ট ভাইরে।
ভালো থাকুন অনেক করে।
ইলিয়াস মাসুদ
কচ্ছপ কিন্তু পানি ডাঙ্গায় দুইয়ে চলে…….
জলের কথা শুনিয়ে যেতাম, মন্দ হতো না ..
তা ঠিক, রবিন্দ্র বাবুর দু- লাইন দিয়ে যে ভাবে ভাবসম্প্রসারন করি তেমন করবো……. :p
নাসির সারওয়ার
সে যাই হোক, এত সময় তারা কি দেখে!!!
এইবার ঠিক আছে। আমি তার চেয়েও একটু উপর শ্রেনীর কবি (ওনার নাম লেখার সাহস পেলাম না). দুকলমের খোঁচা, বাকিটা আপনার চুল ছেড়া
।
নীলাঞ্জনা নীলা
“শুভেচ্ছা” পানীয়!!! 😮 কোথায় পাওয়া যায়?
ও ভাইয়ূ আপনার বুঝি উচ্চতা ভীতি আছে? আমার আবার নেই।
মেঘ ছোঁয়ার আনন্দ অন্যরকম আসলে। শূণ্যের ভেতর শূণ্যতা।
আপনি এতো কম লেখেন কেন? আরে বোঝেন না কেন, আমরা দুই ভাই-বোনের লেখা ছাড়া সোনেলা যে অচল :p 😀
শুন্য শুন্যালয়
আইছে মা স্বরস্মতি! তোমার পঁচা ধচা লেখাগুলি আমি না পড়লে কি গতি হইতো একবার ভাবো।
অন্তরা মিতু
দিদির লেখার গতি করার জন্য আমিও বিশেষভাবে ইন্টারেস্টেড :p :p 🙂
নাসির সারওয়ার
@ শুন্যাপু
আমিওতো ঐ বোঁচা লেখাগুলো পড়ি ।।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু ঠ্যাং একখানা কাজ করেনা ওয়াকার ছাড়া, তা বলে ভেবোনা মারামারি করতে পারবোনা। :@
আমার লেখার মতো আর লেখা এমন কোথায় আছে! তোমার কতো জন্মের ভাগ্য যে আমার লেখা পড়ার সুযোগ পাচ্ছো। :p
শুন্য শুন্যালয়
বাপ্রে চান্স নিছিলাম ঠ্যাং একখান কাজ করেনা বলে, কিন্তু এ দেখি মুখে শান দিচ্ছে।
হ, হ, আম্মা। আমার সাত জনমের সৌভাগ্য, তোমার লেখা পড়তে পারতেছি। প্লিজ এবার কানের ধোঁয়া বন্ধ করো। :@
শুন্য শুন্যালয়
না পইড়া আর কই যাইবেন? এই বান্দরনী তো সোনেলা ভইরা রাখছে লেখা দিয়া। @নাসির ভাই। @মিতু
নাসির সারওয়ার
বেশ উষ্ণ আলাপচারিতা।
কেউ কেউ “ভইরা” লাইছে, আবার কেউ কেউ লেখার “শতক”ও পার কইরালছে! @ শুন্যাপু।
অন্তরা মিতু
“শুভেচ্ছা” পানীয়!!!………… দিদিইইইইইইই………. তাইইইইই…………???
নাসির সারওয়ার
@ অন্তরা মিতু –
চলে আসুন হাকডাক দিয়ে, হয়ে যাবে…।
নাসির সারওয়ার
@ নীলাপু –
আপনার উন্নত দেশে “শুভেচ্ছা” পানীয় পাওয়া যাবেনা। আসুন আমাদের কাছে!
উচ্চতা ভীতির জন্যই মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে থাকি, একেবারে মহাবীর।
কি বলেন, আমি লিখলে পড়বেটা কে শুনী !!!
ভালো হয়ে যান তাড়াতাড়ি আর বেশী বেশী লিখে দিন। আমি একজন পাঠক, মন দিয়ে পড়া পরি।
নীলাঞ্জনা নীলা
পাওয়া যাবেনা? তাহলে প্লিজ নিয়ে আসুন।
স্বাদটা নেই। :p
ভাইয়ূ এবার মজা না, সিরিয়াস। কম কম লিখবেন। শুন্য আপুর মতো বলে গেলাম। 😀
নাসির সারওয়ার
ঠিক আছে ঠিক আছে। এসব করার জন্য আমিতো আছিই।
সময় পাইনা আপু। আর তার চাইতেও বড় কথা, লিখতে জানতে হবেতো!!!
শুন্য শুন্যালয়
প্রকৃতির এই মায়াময় সৌন্দর্য দেখার চোখ আমার কোথায়! চোখের কি দরকার যদি মেঘ ছোঁবার মত একটা মন থাকে!! আহারে যদি প্লেনের জানলা ট্রেন বা বাসের মত খুলে দেয়া যেত, কিংবা পথের ধারেই গাছের ফাঁকে ফাঁকে মেঘ ভেসে বেড়াতো।
সত্যি বলছি, আজ আপনাকে একটা ঝাড়ি দিতামই লেখা না দেবার জন্য, তবে সোনেলায় ঢুকে মেঘের সাথে ভেসে গেলাম কিছুক্ষন , না ছুঁতে পারলেও।
শুনুন আপনি একটু কম কমই লেখা দেবেন এখন থেকে, বুঝলেন? দেখি এবার উল্টা বলে কিছু হয় কিনা।
ও বলা হয়নি, লেখা খুবই পঁচা হইছে 🙂
নাসির সারওয়ার
হ্যা শুন্যাপু। চোখ দুটো চশমা দিয়ে বেঁধে রেখছি, কিন্তু মনটা খোলা আছে। আছে প্রান, আছে অনুভূতি যা দিয়ে ভরে রাখি এই প্রকৃতির মায়াময় সৌন্দর্য। কত যে আছে, কবে যে দেখবো এই অল্প সময়ে!!!
যাক, ঝাড়ু ঝাড়ি থেকে এযাত্রা রক্ষা।
সোনেলাতে আছি অনেক পোক্ত ভাবে। দৌরের উপরে লিখতে পারিনা। সময়টা বেশ যাচ্ছে কাজের মাঝে।
আপনার মন্তব্য এ একটা পোস্ট হয়ে রয় আমার কাছে।
ভালো থাকুন অনেকগুলো।
মোঃ মজিবর রহমান
ছোব ছোব ছোঁয়া হয়নি জিবনে
হবেওনা কোন দিন।
হায়! কমল পানীয় কে দেবে আর
সময় যে বয়েছে।
ভাল লাগলো ভাইয়া।
নাসির সারওয়ার
ছন্দে ছন্দে কি কি আনন্দে, আমি দেখি কোমল পানী।
ছন্দে ছন্দে মন খারাপে, মেঘের পিঠে মিথ্যে গ্লানী।
ধন্যবাদ আপনাকে।
অন্তরা মিতু
মানুষের আয়ু কি দিনদিন কমে আসছে? একটি কচ্ছপ, একটি ঈগল…….. অথচ একজন মানুষ!!!!!!
সেদিন এক বন্ধু বললেন, “যত বছর ধরে বেঁচে আছি, তত বছর আরো বাঁচবো তার সম্ভাবনা খুব কম…..”
আপনি সৌভাগ্যবান যে এত সুন্দর দৃশ্য দেখেছেন… এবং, আপনার কল্যাণে আমরাও দেখলাম মনের চোখে……. অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে…….
নাসির সারওয়ার
আরে নাহ! গড় আয়ু তো বাড়ছে আরো।
ঐ কচ্ছপ বেটা কি দেখে এতো সময়!!
মাঝে মাঝে হলেও আসেন সোনেলাতে, ভালো লাগলো দেখে।
ভালো থাকুন।
অপার্থিব
ভ্রমণকাহিনী ভাল লেগেছে। পৃথিবীটা দেখার জন্য মানূষের আয়ু আসলেই খুব কম।
নাসির সারওয়ার
ধন্যবাদ আপনাকে। কাছিমের এতো সময় বাঁচার প্রয়োজন কি!
ভালো থাকুন।
নাসির সারওয়ার
ধন্যবাদ আপনাকে। কাছিমের এতো সময় বাঁচার প্রয়োজন কি!
ভালো থাকুন।
অনিকেত নন্দিনী
এই অধমের নচ্ছার অতীতের ঝুলিতে এইখানের কিছু স্মৃতি ছিলো যা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম। নবিশের এই পোস্ট পড়ে সব এক ঝলকে সামনে চলে আসলো। অবশ্য আমার কোনো ছবি নাই। বাচ্চাদের সামলাতে সামলাতেই আমার অবস্থা কাহিল। মেঘের ভেতর দিয়ে যাবার সময়ে বাচ্চাদের বলেছি, “বাইরে তাকিয়ে দেখো, আমরা মেঘের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি।” অনেক নিচে অরণ্যের মাঝে বানিয়ে রাখা সিমেন্টের বাঘ আর আদিবাসী দেখিয়েছি।
এই যা! কী কইতে আইলাম আর কী কইলাম। শুভেচ্ছা পানীয়? এই নামের পানীয় গেবনেও খাই নাই। 🙁
হায়রে যুবাকাল! ক্যান? কী হইছিলো যুবাকালে? ;?
কাছিম আর শকুনের কত্ত আয়ু! কী দ্যাহে হ্যারা এত্ত আয়ু পাইয়া? :@
নাসির সারওয়ার
সালাম টিচার,
‘সিমেন্টের বাঘ আর আদিবাসী’ – আমার মাথায় শুধু মেঘ ছোঁয়া। আর কিছু ভুলেও মনে আসেনি। মাফ করে দিন এবার।
অতীতের ঝুলিটা একটু ঝাকি দিন, আমরা দেখি মেঘের মায়া কত টেনে নেয় আমাদের প্রকৃতির মাঝে যা আমরা দেখতে পাইনা।
যুবাকলের কথা আর কি বলবো টিচার। মারবেন না তো!
সে অনেক কা….. পরে বলি!!!!
অনিকেত নন্দিনী
জেন্টিং হাইল্যান্ড যাওয়ার পথে দেখেছিলাম ফিরতি পথে এক কার থেমে আছে, কার খারাপ হয়ে গেছে। আরেক কারে দেখেছিলাম কপোতকপোতী। চারপাশ উপেক্ষা করে তারা প্রেম করতে ব্যস্ত। :p
আমার এক বন্ধু বলেন আমার নাকি বাজপাখির চোখ। বাজপাখি সেই কত্ত উপর থেকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জিনিস দেখে ফেলে, আর এ তো সিমেন্টের বাঘ আর আদিবাসী। এত্ত বড় জিনিস চোখ এড়ায় ক্যাম্নে?
যে মেঘ ছোঁয়া যায়না তার গল্প একরকম, যে মেঘ ছোঁয়া যায় তার গল্প আরেকরকম। সত্যি সত্যি মেঘ ছোঁয়ার গল্প আমারো আছে। আমিও অন্য কুনুদিন কমু আনে। :p
নাসির সারওয়ার
আপনি হলেন এক বিষমাখা কবিয়ালের টিচার। তার কাছে বাজপাখিতো নস্সি।
আমিতো মেঘের মাঝেই টাস্কি। লেহুম কেমতে হেই কতা!!!
আপনার চোখ দিয়ে আবার দেখি। নামিয়ে ফেলুন ফস করে।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
এত কাছ থেকে প্রকৃতিকে উপভোগ করার সৌভাগ্য কয়জনের হয়!
আর কয়জনই বা পারে সেই অনুভূতির কথা সুন্দর ভাবে তুলে ধরতে!!!
নাসির সারওয়ার
প্রকৃতির মাঝেই তো আছি। এজন্য আলাদা ব্যাবস্থার তো কোন প্রয়োজন দেখছিনা।
চোখ বুজে দেখতে থাকুন
মৌনতা রিতু
আমার সামান্য দোলনাতেই ভয়।আমি কিন্তু লিফটে উঠে একদিন চিল্লাইছিলাম।বন্ধ হয়ে গেছিল লিফট।তাও ধানমন্ডিতে।জুলফিকারের চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্দার করেছালাম।ম্যাজিক কার্পেটে একবার উঠাইছিলো তাতেও যা হবার তাই হইছিলো।
শুভেচ্ছা পানিয় বিমানবালা সুন্দরিদের হাতেই স্বাধ নাকি বেশি লাগে।কেউ বার বার চেয়ে খায়।মিতু আমেরিকা গেলে প্রথমেই বলেছিলাম,পান্নু ভাইকে প্লেনে কিছু খেতে দিস না।হেসেছিলো খুব।
নাসির সারওয়ার
উচ্চতা ভীতি যার আছে সেইই বোঝো।
ঝাল দেয়া বা ফিল্টার পানিই হলো শুভেচ্ছা পানীয়। বুঝলেন তো!!!