তোমাকে বলা হয়নি কখনো ছুটন্ত সাদা ঘোড়া আমার খুব প্রিয়। পাহাড় পর্বত ডিঙ্গিয়ে শ্বেতশুভ্র এক ঘোড়া ছুটে চলছে কেশর দুলছে প্রতিটি ছান্দিক পদক্ষেপে, তেজোদ্দীপ্ত মাংসল পেশি কাঁপিয়ে অগভীর নদী পার হচ্ছে, সমুদ্র সৈকতের পানি ঘেঁসে ছুটছে দুদিকে পানি ছিটিয়ে। প্রায়ই স্বপ্ন দেখি এমন। গন্তব্যের খোঁজে ছুটছিল এতদিন, এখন ছুটছে আনন্দে।
জীবন চলে যায়, সচরাচর বহমান জীবন। দিনের শুরু শয্যা ত্যাগ হতে শয্যা গ্রহণ, মাঝে কেবল বেঁচে থাকার জন্য ইদুর দৌড়, বৈচিত্র্যহীন নিরানন্দ এক জীবন। এটিই কি জীবন আসলে? সবার মাঝে থেকেও কেমন ভীষন একাকীত্ব, শূন্যতায় কাটানো প্রতিক্ষণ। তুমি না এলে জীবনের সৌন্দর্য তো অস্পর্শী ই থেকে যেতো। বিবর্ণ জীবনে রঙ তো তুমিই নিয়ে এলে।
পাল্টে গিয়েছে আমার দেখার চোখ, আমার অনুভূতি আমার বোধ। নীল আকাশ, ভেসে বেড়ানো মেঘ, জ্যোৎস্না ডোবা রাত, শান্ত নদী, ফুল, পাখি, গান, সমুদ্র, প্রতিদিনকার ভোর, আমার নিশ্বাস কোথায় নেই তুমি? প্রতিটি মুহূর্ত প্রতিটি ক্ষণ তুমি একাত্ম হয়ে আছো আমার সাথে। চোখ মেলেও দেখি তোমাকে, চোখ বুজলেও।
তোমার কাছ হতে হঠাৎ পাওয়া শূন্য হৃদয়ের ফটো পেয়ে বেশ অবাকই হয়েছিলাম। অবাক হলেও শূন্য হৃদয় পূর্ণ করার আন্তরিক চেষ্টাই তো করেছি প্রতিক্ষণ। মাঝে মাঝে ভাবি তোমার স্বপ্নের রঙ দিয়ে পূর্ণ করতে পেরেছি তো শূন্য সে হৃদয়। আমার আবেগ প্রকাশে অক্ষমতা তুমি জানো। জানি আমাকে বোঝো তুমি আমার মুক ও বধিরতার ভাষায়।
আজ এক বাড়ির উঠোনে বিশাল এক আলপনা দেখে ভাবি, তুমিই আমার সবচেয়ে সুন্দর আলপনা। উপচে পড়া তোমার রঙ হতে রঙ নিয়ে নিজেকে আলপনায় রূপান্তরিত করি। অফুরান রঙের আধার তুমি। জীবনভর নিলেও আমার যে রঙ নেয়ার ইচ্ছে নিঃশেষ হবেনা! আমার হৃদয় অমোচনীয় তোমার রঙের আলপনায় স্থির।
কি চাই আমি ? কি চাইনা বলো? চাই তোমার জোনাকির আলো হতে , চাই আমৃত্যু আমাতে তোমার ভোর হোক। স্বপ্ন দেখা রাত ফুরোলেই শিশির ভেজা ভোর, জানালার কাঁচে লেপ্টে থাকা ঝাপসা কুয়াশা- যাতে আঙ্গুল দিয়ে লিখবে তুমি ভালোবাসি তোমাকে জল, সারাক্ষণ তোমাতে মগ্ন হয়ে নিতে চাই বনবাস, যেখানে থাকবে তুমি পাখি হয়ে স্নান করবে,ডুবে যাবে অথৈ জলে।
৫১টি মন্তব্য
অনিকেত নন্দিনী
ভীষণ আবেগী লেখা।
এমন লেখা আগে আর লিখতে দেখিনি।
যা চেয়েছি যা পাবোনা কবিতা জুড়ে দেয়া হয়েছে সাথে। আমার খুব পছন্দের কবিতা। এই কবিতার প্রতিটা লাইনে আমি জড়িয়ে আছি, আমার স্মৃতি জড়িয়ে আছে।
এবারে আসল কথায় আসি।
ইদানীং ভাবগতিক সুবিধার লাগছেনা।
কাহিনী কী? ;?
শুন্য শুন্যালয়
কাহিনী জিজ্ঞেস করলেই ভাইজান ট্যাক্স অফিসের ছুতা দেয়। ভাবগতিক কিন্তুক আসলেই ভালু না নন্দিনী আপু।
জিসান শা ইকরাম
ট্যাক্স অফিস থেকে এইমাত্র কল দিয়েছিলো
কিভাবে যে পরিত্রাণ পাই এদের হাত থেকে 🙂
লীলাবতী
জিসান ভাইয়া এমন লেখা তো আপনি লেখেননা! জাতি এই মুগ্ধতার পরিচয় জানার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। জানানো হোক 🙂
জিসান শা ইকরাম
মুগ্ধতা হচ্ছে মুগ্ধতা, আপনি যদি জিসান হতেন, মুগ্ধতাতে দেখতে পেতেন @লীলাবতী
জিসান শা ইকরাম
একটি সময়ে বেশ চিঠি লিখতাম বন্ধুদের
আমেরিকায় থাকা এক বন্ধু অপেক্ষা করতো আমার এই ছন্ন ছাড়া চিঠির জন্য
যার শুরুতে সম্মোধন নেই, শুভেচ্ছা নেই।
আবেগ আছে হয়ত, তবে চিঠি আমি এমনই লিখতাম এক সময়, আমার কাছে এটি তাই স্বাভাবিক।
যা চেয়েছি যা পাবোনা কবিতার সাথে আপনার স্মৃতি জড়িয়ে আছে!
তাহলে তো কবিতাটি দিয়ে ভালোই করেছি 🙂
ভাবগতিক দেখে ভয় পাইবেন না
মুগ্ধতা সাথে থাকে সারাক্ষণ, এটিই কাহিনী 🙂
অনিকেত নন্দিনী
তা ছাইচাপা আগুনের মত পুরনো প্রতিভা আবার উঁকি দিলো যে! এইজন্যেই তো জানতে চাইলাম মূলে কোনো ঘটনা লুকিয়ে আছে নাকি। ;?
জিসান শা ইকরাম
মূলে কোন ঘটনা লুকিয়ে নেই
আছে কাণ্ডে, প্রকাশ্যে 🙂
ভাল ভাবে খুজলেই পেয়ে যাবেন সব, এক্কেরে পরিষ্কার দৃশ্যমান @নন্দিনী
শুন্য শুন্যালয়
মুগ্ধতাকে চিঠি, এই মুগ্ধতাটা কে ভাইয়া? ভূত্নী, পেত্নী, কোন অশরীরী? নাকি আপনারই অংশ?
কেমন করে এতো আবেগ আনতে হয় লেখায়? কেমন করে?
মুগ্ধতা না জানলেও, শ্বেতশুভ্র একটি ঘোড়া যে আপনার ভীষণ পছন্দ, তা কিন্তু আমরা জানি। আস্ত একটা লেখা ছিল যে। তবে সেই ঘোড়াটি যে আনন্দে আজ ছুটে বেড়াচ্ছে, তা নতুন করে এক শুভ্রতা এনে দিলো।
প্রত্যেকটি স্তবকেই আপনার তীব্র ভালোবাসার অনুভূতি ফুটে উঠেছে। মুগ্ধতা বলে সত্যিই কেউ আছে কিনা জানিনা, তবে সে আপনারই রঙে আপনার মত করেই উদ্ভাসিত।
আপনার হাতের লেখাতো দেখছি আদর্শ কবি হাতের লেখা। হাত আবার কাঁপে টাপে নিতো? নাকি আজন্মই কাঁপুনি লেখা? 🙂
মেরুন ফুলের পাপড়ি গুলো আঙুলের টিপসই এর মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, ডালিয়া ফুলের বুঝি?
কবিতাটি সেই স্মৃতিভরা দিনগুলো ফিরিয়ে আনলো, রুম যখন অন্ধকার ভেদ করে কন্ঠে গাঢ় করে তুলতো। আপনার এই চিঠির কাছে সেটিকে নিতান্তই ম্লান লাগছে।
মুগ্ধতার মগ্নে ডুবে বনবাস নেবেন? জোড়া বনবাস নাকি?
চিঠি -১ দেখে বুঝতে পারলাম, আপনার আবেগ প্রকাশ সবে শুরু, শেষ না হোক কখনো।
অসম্ভব সুন্দর একটি চিঠি। আপনি যেমন প্রকাশ করতে পারেন না, আমিও আসলে প্রকাশ করতে পারছিনা, কিভাবে কি মন্তব্য করবো। আমাকে নিয়ে যদি কেউ এমন লিখতো!! 🙁
মুগ্ধতা এই চিঠি পড়বে তো?
ছাইরাছ হেলাল
ল্যাকপে ল্যাকপে,
তর সইছেনা বুঝি!!
শুন্য শুন্যালয়
আপনি যখন ভরসা দিচ্ছেন, তখন তর রে ধৈর্য্য ধরতে বলি। সুনীলের কবিতা বেশি শুনলে ৩৩ বছর, ৩৬ বছর কোন ব্যাপারই না।
ছাইরাছ হেলাল
নো তড়পানো,
না লেইখ্যা যাইবে কৈ!!
অত্ত টাইম দেওন যাইবে না।
জিসান শা ইকরাম
আপনার প্রশ্ন গুনেই তো শেষ করতে পারছি না, এত প্রশ্নের উত্তর দিতেই তো আর এক পোষ্ট হয়ে যাবে।
আমি তো তাকে আমারই অবিচ্ছেদ্য অংশ ভাবি
আবেগের আর কি দেখলেন? সবে তো শুরু, চিঠি লেখার অনভ্যাসে কিছুটা জং ধরেছে আবেগ, জং টা চলে যাক 🙂
শ্বেতশুভ্র একটি ঘোড়া নিয়ে যে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম, তা আমিই ভুলে গিয়েছি।আপনার স্মৃতি শক্তি বরাবরই ভাল।
ঘোড়াটা আনন্দেই ছুটছে ম্যাডাম।
মুগ্ধতা ছিল, আছে, থাকবেও যতদিন আমি আছি, দোয়া করবেন।
প্রচন্ড শীতে হাত তো একটু কেঁপেছিল, আমিই চাচ্ছিলাম কেঁপে যাক। মুগ্ধতা এসে তার ওম দিয়ে কাঁপা কাঁপি থামিয়ে দিল।
মেরুন রঙের ডালিয়া ফুল আমার মুগ্ধতার খুবই পছন্দের, তাই বাগানের ডালিয়া থেকেই নিলাম 🙂
কবিতাটি যেদিন প্রথম পেলাম, কতবার যে শুনেছি, আর ভেবেছি আমিই মুগ্ধতাকে বলছি আমিই……
আপাতত একাই নেবো বনবাস, আরো দৃঢ় হোক এরপরে জোড়া বনবাস……
হুম আরো চিঠি প্রকাশের সম্ভাবনা আছে ……
প্রকাশে আপনি অত্যন্ত দক্ষ তা আমরা সবাই জানি।
আহারে আপনাকে নিয়ে কেউ বুঝি এমন লেখেনি? দু একটি প্রাপ্ত চিঠি প্রকাশ করে দিলে বুঝতাম 🙂
মুগ্ধতা কি এই চিঠি পড়েনি ভেবেছেন?
প্রায় তিন হালি প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে হাত ব্যাথা হয়ে যায় 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আরে আমিতো সত্যি সত্যি ভাবছিলাম, জিসান ভাই যেহেতু মাথা, খুলি, অমাবশ্যার রাত নিয়া বেশি থাকে, এই মুগ্ধতা হেই লাইনেরই প্রেতাত্মা হবে হয়তো। এখন দেখছি আবার মেরুন রং এর ডালিয়া পছন্দ করে।
কাঁপুনি হাতের লেখাও দেখি রহস্য ঘেরা এক্স ফাইলস। তা ঠান্ডায় ডান্ডা মেরে লেখা সাইজে আনার এই পদ্ধতি প্রথম শুনলাম।
আবেগের কি দেখছেন? উরে বাবা ডর দেখাচ্ছেন নাকি? তাইলে কিন্তু আমিও চিঠি লেখা শুরু করুম কিন্তু পোস্টামু না।
প্রশ্নের তো সবে শুরু।। হাত পা মাথা অন্তর সহ ব্যাথা হয়ে যাবে। অপেক্ষান।
জিসান শা ইকরাম
ভুত প্রেত, মাথা, খুলি, অমাবশ্যার রাত এসব একটু সাইডে আছে এখন,
কবে যে আবার তারা ফিল্ডে অথবা আদৌ নামবে কিনা বলা মুশকিল
মুগ্ধতা ঝড়ে সব কুপোকাত 🙂
আপনার ওখানে তুষার পড়ে, তখন এই ঠান্ডাকে ডান্ডা মেরে গরম হবার পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন,
কার্যকরী, বিফলে মূল্য ফেরত।
চিঠি লিখবেন পোষ্টাবেন না কেন? সোনেলা হয়ে উঠুক চিঠিময়।
অপেক্ষায় আছি, ব্যাঙ হবার ট্রাই করছি…… সর্দির ভয় থাকবেনা।
শুন্য শুন্যালয়
ঝড় কি থেমে গেছে? আমিতো দেখি আকাশ কালো, গুমড়ে মুখখানা গোঁজ করে আছে থমকানো মুগ্ধতা। ঝড়ের ও যে অপেক্ষা থাকে তা যেন টের পাচ্ছি।
পদ্ধতি বাতলে আগাম মূল্য চাইছেন বুঝি? ফেরত তো পরের কথা, আমি ট্রায়াল না দিয়ে মূল্য দিমুনা।
পোস্টামু ক্যাম্নে? ডর তো আগেই দেখাইলেন যে আপনার আবেগ প্রকাশ সবে শুরু।। এইসব চিঠির পর পোস্টম্যান আমার চিঠি অই পথেই ফেলে দেবে, শেষে অনু সেটা পেয়ে কবিতা লিখতে শুরু করবে।
নাম যার জল সে কিনা সর্দির ভয় করছে!! উভচর ব্যাঙ হবার প্রয়োজনই নেই। অপেক্ষায় সর্দি নয়, জ্বর হলেও হতে পারে।
জিসান শা ইকরাম
মুগ্ধতা মুখ গোমরা করে থাকবে কেন?
আমার মুগ্ধতার মুখে সারাক্ষণ আলো থইথই
অমাবস্যায় সে জোনাকির আলো……
আপনি কবি মানুষ
আপনার সাথে আবেগ প্রকাশে আমার তুলনাই হয়না।
লেখুন চিঠি……… অপেক্ষায় থাকবো।
শুন্য শুন্যালয়
জল,
শুনেছি আবেগের ব্যাংক খুলেছ!! হরহামেশা চলছে লোন!! অথচ সামান্য ক্ষুদ্রঋণ এর জন্য জামানত টুকু পর্যন্ত নেই আমার। বারবার ঘুরে এসেছি সামনে দিয়ে। আমার নিরাবেগ থলিতে একটু করে উঁকি দিচ্ছে ফাকা ফর্মখানা।
বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন, তুমি আলো নিয়ে এলে ধরাতে, তবু জোনাকির কাছে হার মানতে তোমায় হলোই। আবেগি বৈশীঃকরন সবাই কি আর জানে, এই তোমারই মতন?
জিসান শা ইকরাম
জলের কাছে লেখা আপনার ক্ষুদ্র চিঠি পড়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে আবেগ প্রকাশে আমি আপনার কাছে শিশু। আবেগের ব্যাংকের মালিকানা আপনার বরাবরে হস্তান্তর করলাম।
আমিই এখন আপনার ব্যাংক হতে আবেগ ঋণ নেয়ার আবেদন করছি।
ঋণ মঞ্জুর করে বাধিত করুন।
ছাইরাছ হেলাল
প্রচ্ছন্ন পরিপুষ্ট কায়দাদুরস্ত কাঁপা কাঁপা কাঁপুনি যুক্ত আবেগময় পত্রখানি দেখে/পড়ে ছানার বড়া টাইপ চৌখ নিয়ে লম্বা দেওয়াই উচিৎ,
কিন্তু না, যাব কেন? যাব না।
আপনি পত্রাকার হিসাবে বেশ কাবিল মনে হচ্ছে।
সাদা ঘোড়ায় ছুটাচ্ছে না ছুটাচ্ছেন ক্লিয়ার না।
কে যে ছোটে/ছোটায় কে জানে!!
জিন যেন ঠিকঠাক থাকে।
জিসান শা ইকরাম
পত্রাকার! ^:^ গল্পকার,ছড়াকার শুনেছি, পত্রাকার তো এই প্রথম শুনলাম, ভালোই লাগে শুনতে 🙂
জিন এক্কেরে ঠিকঠাক আছে……
রুহুল
আজ এক বাড়ির উঠানে……
এখানে আসলে কেনো জানি মনে হয় লেখাটি গৃহকর্ত্রী কে লেখা। তা ভাবি কি জানে এই আবেগের কথা? কেনো এমন মনে হলো? ভাইয়া এতদিন পর কোন আল্পনা দেখে কাউকে ভেবে নিজেকে সাজাতে হলে আমরা বর্তমান নিয়েই ভাবি। অর্থ খুব কঠিন লেগেছে আমার্। ভাবার্থ ধরতে পারিনি
জিসান শা ইকরাম
কঠিনের কিছু নেই
লেখাকে লেখা হিসেবে ধরতে হবে
কোন গল্পে নায়ক আত্মহত্যা করা মানে লেখকের আত্মহত্যা নয়।
বাসায় সমস্তদিন সোনেলা ওপেন থাকে দুটো ল্যাপিতে
আমার বাসায়ই আলপনা আঁকা হয়েছিল 🙂
শুভ কামনা।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সুনীলের কবিতা! মনখারাপ করা সময়ে মনে প্রশান্তি এনে দেয়।
মুগ্ধতার উদ্দেশ্যে আবেগময় চিঠি। পুরু চিঠিজুড়েই গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
শুন্যের মন্তব্য পড়ে খেয়াল করলাম চিঠি নং ১
আরো চিঠি আসতেছে! বাহ! এমন চিঠি পড়তেও ভালো লাগে। হ্যাঁ, চিঠি যে কাঁপা হাতে লিখা তা স্পষ্ট।
মুগ্ধতা-জল, ভালো থাকুক দুজন।
-{@ শুভকামনা…….
জিসান শা ইকরাম
সুনীলের কবিতাটি যে কত আবেগময় তা গভীরভাবে আবৃত্তি শুনলেই বোঝা যাবে।
মুগ্ধতাকে ভালোবাসি যে খুব, আবেগ তো থাকবেই।
চিঠি অবশ্যই আসবে আরো………
এমন আবেগ এক চিঠিতেই শেষ হয় নাকি?
ধন্যবাদ আপনাকে
শুভ কামনা।
লীলাবতী
কত্ত আবেগ দিয়ে লিখেছেন চিঠি! হাতে লিখে তো চিঠির আবহ পাল্টে দিলেন।আমি ভাবছিলাম চিঠি লিখবো। তা আর হলো না। আমার চিঠি আপনার এই চিঠির কাছে মার খাবে। মুগ্ধতা আর জল ভাল থাকুক। দুজনের জন্য দুটো ফুল -{@ -{@
জিসান শা ইকরাম
হাতে লেখার চিন্তাটা হঠাৎ করেই মাথায় এলো
আপনি লেখুন তো চিঠি
চিঠি মার খেলে চিঠির চিকিৎসা করাবো আমরা, কত ডাক্তার আমাদের সোনেলায়।
লেখা দিচ্ছেন না কেন?
মোঃ মজিবর রহমান
মুগ্ধতা তুমি আমার আত্বা
মুগ্ধওতা আমার অন্তরাত্বা
মুগ্ধতা চাই আর চাই।
কি শব্দ করলে সৃষ্টি মুগ্ধভাবে চেয়ে রই।
জিসান শা ইকরাম
বাহ বাহ কাব্য দিয়ে মন্তব্য করার চেষ্টা 🙂
শুভ কামনা।
নাসির সারওয়ার
“গন্তব্যের খোঁজে ছুটছিল এতদিন, এখন ছুটছে আনন্দে”।
গন্তব্য খুঁজে পাবার আনন্দ নাকি অন্য কিছু? ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা।
“সবার মাঝে থেকেও কেমন ভীষন একাকীত্ব, শূন্যতায় কাটানো প্রতিক্ষণ।”
আহারে, আর কতদিন মনে করিয়ে দিতে হবে যে “আমরা সবাই একা!”
“আমার আবেগ প্রকাশে অক্ষমতা তুমি জানো”
হা হা, জানি জানি। আচ্ছা, তাহলে এই চিঠিকে কি বলা হবে? (আবেগের একটা ব্যাংক খুলুন, কিছু ধার নেই)
অবশেষেঃ কতদিন চিঠি লিখিনা।
পোস্টঅফিস কি খোলে এখনো? এ চিঠি মুগ্ধতার কাছে পৌঁছাবেতো? এর উত্তর আমরা জানবোতো?
ভালো থাকুন। অনেক ভালো লেগেছে এই চিঠিটা।
জিসান শা ইকরাম
অবশ্যই গন্তব্য খুঁজে পাবার আনন্দে ছুটছে।
হ্যাঁ একটি পর্যায়ের পরে আসলেই আমরা সবাই একা!
আরো আবেগ আছে, যা অপ্রকাশিত।
আমিও কত বছর চিঠি লিখিনা, শেষ চিঠিটা লিখেছিলাম নিউইয়র্ক প্রবাসী এক বন্ধুকে
মাঝে মাঝেই লেখা হত তাঁকে, হতচ্ছাড়া চিঠি
ঐ বন্ধু বর্তমানে দেশেই থাকে, কি এক রিসার্চ ফিসার্চ করে কিছুই বুঝিনা 🙂
এই চিঠির প্রাপক চিঠি পড়েছেন…… আরো নাকি আবেগ দিতে হইবো!
শুভ কামনা।
নাসির সারওয়ার
এই বেটা আবেগ, মনে হয় এটটু বধ শ্রেনীর হবে। থাউক, এতো আবেগ লাগবেনা।
আপনার ঐ বন্ধুটার দেখা পেলে পুরানো চিঠির বাক্স খুঁজে দেখতে বলবো। সেই চিঠি থাকলেও থাকতে পারে। আর কি সব রিসার্চ ফিসার্চ করে, তাও জানাতে বলবো।
জী, এই জন্যই তো বলি একটা আবেগের ব্যাংক খোলেন।
ভালো থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা আবেগের ব্যাংক খুলুমনে। আবেগ লোন দিমু
ইন্টারেস্ট হিসেবে আবেগ গ্রহন করা হবে।
পুরান চিঠি পেলে তো দারুন হয়।
রিসার্স এর খবর জানতে চাই 🙂
নতুন লেখা দেখি না কেন?
নাসির সারওয়ার
আবেগের ব্যাংক চাইই চাই
নাসির সারওয়ার
।।।।
জিসান শা ইকরাম
আমার পুরাতন একটি লেখায় মনে হয় আবেগের ব্যংক এর কথা লিখেছিলেম।
ব্যংক করা হবে আশাকরি 🙂
অজানা এক পথে চলা
এমন লেখার সাথে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর কবিতাই মানায়। চিঠি- ২ এর জন্য অপেক্ষা করছি ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
চিঠি -২ আসবে অবশ্যই।
অরুনি মায়া
হুম পাল্টে গিয়েছে আপনার দেখার চোখ,পাল্টে গিয়েছে আপনার বোধ,পাল্টে গিয়েছে লেখার ধরণ | এবারের লেখাটি অন্যরকম সুন্দর| ভালবাসার লেখায় মানুষ নিজের অনুভূতিকে তো নানান ভাবে প্রকাশ করে, কিন্তু আপনি যা করেছেন প্রিয় অস্তিত্বের প্রিয় বিষয় গুলোকে একটু একটু করে তুলে ধরতে | প্রমাণ করেছেন প্রেমের গদ্য পদ্যে শুধুই নিজের অনুভূতি স্থান পাবে তা কেন প্রিয় ব্যক্তির অনুভূতিকেও সমান মূল্যায়ন করতে হবে | আপনি যা লিখেছেন তা কেবলই মুগ্ধতার প্রতি আপনার গভীর পর্যবেক্ষণের ফল |
জিসান শা ইকরাম
আপনার মন্তব্য গুলো অত্যন্ত প্রেরনামুলক হয়।
দোয়া করবেন মুগ্ধতার জন্য।
অরুনি মায়া
এই মুগ্ধতা টা কে সেটাইতো জাতি আজও জানতে পারলোনা | যদি একটু জানিয়ে দিতেন তাহলে দোওয়া করতে সুবিধা হত | দোওয়া যথাস্থানে পৌঁছাত |শেষকালে কার দোওয়া কার কাছে গিয়ে পৌঁছায় কে জানে|
:p
জিসান শা ইকরাম
চিঠি ভুল ঠিকানায় যায় বলে শুনেছি
দোয়া যে ভুল ব্যক্তির কাছে যেতে পারে, এই প্রথম জানলাম 🙂
আশাকরি দোয়া সঠিক গন্তব্যেই পৌছাবে।
হতভাগ্য কবি
কোথায় যেন মিলে গেলো জীবনের কোন ঘটনার সাথে, সত্যি আবেগকে এখনো নাড়া দিয়ে যাচ্ছে কথাগুলো, বিশ্বাস করুন মানি ব্যগের ভাঁজে আজো একটা শূন্য হৃদয়ের ছবি নিয়ে ঘুরি ।
মনের কথাগুলো আমার আগে লিখে ফেলায় আপনার জন্য হিংসা রইলো
হতভাগ্য কবি
ওহ এই পোস্ট সোজা প্রিয় তে 🙂
জিসান শা ইকরাম
কিছুতে ঝাঁকি দিয়ে ভুল করে ফেললাম না তো?
শুভ কামনা আপনার জন্য………
প্রিয়তে নেয়ায় খুশি খুব 🙂
হতভাগ্য কবি
না একদম সঠিক কাজটি করেছেন।
প্রিয়তে না নিলে পাপ হতো আমার
🙂
জিসান শা ইকরাম
তাহলে এমন ঝাঁকি দিতে হবে মাঝে মাঝে 🙂
মৌনতা রিতু
সুন্দর একটা চিঠি।মনে হল আরও দু একবার পড়ি।
জিসান শা ইকরাম
পড়ুন যতবার ইচ্ছে হয়।
ব্লগার সজীব
আমি আপনার এই লেখাটি পড়িনি?!! ছিলাম কোথায় আমি? এটি তো একটি অপরাধের পর্যায়ে পরে গিয়েছে। এত ভাল একটি সৃষ্টি, অথচ আমার পড়া হয়নি। মুগ্ধতাকে চিঠি- ২ প্রকাশ করুন ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
অনেক সময় চোখের সামনে থেকেও কিছু জিনিস চোখের আড়াল থাকে
দৃষ্টিভ্রম আর কি 🙂
শুভকামনা।