নির্ঘুমের প্রত্যাশায় জেগে আছি আজ-ও,
বলেছিলে আসবে, এই হেমন্তে;
শতবর্ষের ক্লান্তি নবায়ন করে করে
প্রত্যাশার তাঁত বুনে বুনে
অদৃষ্টের নিকুচি করে, জয়-পরাজয়ের বনেদি হিসাব
পাশে ফেলে, নকশা-তোলা হাতের তালুতে
ভাঁজ খোলা কবিতা-স্পর্শ-পল্লব দেখব বলে;
নিঃশব্দে মিলিয়ে যাবে একাকীর একাকীত্ব
কবিতার নিগূঢ়-নিয়ম নিঃশ্বাসে, স্পর্শ কাতর
মধুচন্দ্রিমার-মৌমাছি-গুঞ্জনে, বিষাক্ত হুলের
আলোর ঝলকানিতে, ভয়-শূন্যের ব-দ্বীপে;
যোজন যোজন দূর থেকেও দেখতে পাচ্ছি
হাসির আলোয় বিদ্যুতের খুনসুটি,
ম্যাজিশিয়ান নও তা ও জানি!
আকাশে রুমাল উড়িয়ে কী সংকেত দাও!
আকাশ-বাঁশি বাজিয়ে-ও!
সংহার-মন্ত্র জানি, তা-ও তো জানো!
পাখিদের ডাক শুনি আজ-ও, বুঝি সে ডাকের ভাষা,
অজগর-নদী নাভির জ্বল-জ্বলে তিল চিহ্নটি দেখাচ্ছে,
সোনাদ্বীপের ফসল আজ সোনালী আভায় চোখ ফেলে চেয়ে আছে,
মিলযুদ্ধের পুষ্প বিলাসের তড়পানো সময় যে বয়ে যাচ্ছে!
অস্তাচলের লাল আভায় কবিতা নিয়ে-ই এসো।
এই উৎসুক কিচির মিচির হেমন্তের কবিতা-উৎসবে,
যেমন কথা দিয়েছিলে, শূন্য শব্দের শেষ তিথিতে;
নোলকে লিখেছি কবিতা, শুধু-ই তোমাকে দেব বলে।
২০টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
সকাল সকাল এমন কবিতায় মন ফুরফুরে হয়ে গেছে।
এটা প্রথম হাজিরা 🙂
ছাইরাছ হেলাল
কবিতা-জ্বী এর প্রথম মন্তব্যে লেখাটি বর্তে গেল।
সাবিনা ইয়াসমিন
কবিতা নিয়ে তাকে আসতেই হবে,
শব্দের বুননে ,উথালপাতাল বিলাসিনী পুষ্প মেলে দিবে সোনা ঝরা রোঁদে
মৌমাছির হুল, মৌয়ালের তাণ্ডবে বিভ্রান্ত হেমন্ত
আজ অবিচল আবেদন-সংকল্পে ;
কবিতা আসবেই শরতের বিচ্ছেদে
শীতের হীম-উপেক্ষায়…
ছাইরাছ হেলাল
যাক! অভয় দিচ্ছেন না কী কবিতার আগমনী ভয় দেখাচ্ছেন!
কবিতা আসুক স্বপ্ন-ডানা মেলে স্বপ্নিল আবেশে অবিচ্ছেদ্য সংকল্পে
এই হিম সময়ে হাত ধরে, কবিতার আঁচল মেলে।
সুরাইয়া পারভিন
চমৎকার শব্দ চয়ন ও বাক্যের গাঁথুনি। দুর্দান্ত একটি কবিতা পাঠে মুগ্ধতা অশেষ
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ দিচ্ছি, আপনাকে।
সঞ্জয় মালাকার
চমৎকার শব্দে চয়ন পড়ের মন মুগ্ধ।
শুভ কামনা দাদা
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও শুভ কামনা।
তৌহিদ
সে আসুক হেমন্ত বন্দনার সকল চাওয়াপাওয়া পূরণ করে দিতে। যোজন দূরের আক্ষেপ মিলিয়ে যাক। কবিতায় লেখা কবির সকল শব্দেরা ফুটে উঠুক বইয়ের প্রতিটি পাতায়।
অজগর নদী!! এত কিছু ভাবলেন!!
ছাইরাছ হেলাল
ভাবলে আবার কম করে কে ভাবে! লাগামহীন ভাবনা দুয়ার।
আসুক আসুক হেমন্তের হিম উজিয়ে।
এস.জেড বাবু
যোজন যোজন দূর থেকেও দেখতে পাচ্ছি
হাসির আলোয় বিদ্যুতের খুনসুটি,
ম্যাজিশিয়ান নও তা ও জানি!
আকাশে রুমাল উড়িয়ে কী সংকেত দাও!
আকাশ-বাঁশি বাজিয়ে-ও!
কি লিখে কেমনে লিখে বুঝিনা
হিংসায় জ্বলি
আমার আবার অনেক হিংসা- ঢাকতে পারি না।
চমৎকার লিখছেন ভাই।
শূণ্য শব্দের শেষ তিথিতে ।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও হিংসে করতে চাই, কিন্তু পারছি কৈ!
ঢাকা ঢাকির কী এমন দরকার!
আমিও ভাবি আপনি এমন সুন্দর লেখেন কী করে!
ভাল থাকবেন আপনি।
এস.জেড বাবু
থাক
আপনার আর হিংসে করা লাগবে না।
সবাইকে মানায় ও না।
গুণী লিখকদের তো একেবারেই মানায় না।
অনেক ভাল থাকবেন
অনেক অনেক লিখবেন
শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো ভাবলাম হিংসে থেকে যদি ভাল কিছু হয়!
সে রাস্তাও আটকে দিলেন!
মনির হোসেন মমি
বুঝি আর না বুঝি তবে পাঠে মুগ্ধ।
ছাইরাছ হেলাল
আমি নিজেই তো বুঝি না!
তবে মুগ্ধতা খুব দরকার।
হাজিরা খুব জরুরি।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
কবিতা অনেক সুন্দর হয়েছে।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
যাকে দিয়েছেন কবিতা সে পেলেই হয় আপনার লেখা সার্থক,
পেয়েছে মনে হয়।
লেখাটি একটু বেশিই ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
কাকে আবার দেব!
দেয়া দেয়ির কিচ্ছু নেই। ভাবতে আর সমস্যা কী!
যাক ভাল লিখতে পারছি এটা শুনতে ভাল-ই লাগে।