গড়াইয়ের বুকে নেমে আসে রাত্রি ,ধীর পায়ে,সন্ধ্যার আবীর মেখে,
বালিয়াড়ি হেসে ওঠে সন্ধ্যা স্রোতে।
একাত্ম হয় মহানন্দসুখ গালে টোল ফেলে ছিপ নিয়ে মাছ ধরার ছলে।
চলনা সাঁই, ছেড়ে এই বারামখানা;
নেমে যাই,এই বান ডাকা গড়াইয়ের বেনো জলে, ভাসি ঐ দূর সাগরে ।
নিশি রাত,নৈঃশব্দে পিছু নেয় পিছু ডাকে, ফিরে তাকাই, শূন্য চোখ উধাও নয়নে।
হেঁটে যাই উষ্ণ বকুলের পথ মাড়িয়ে, খুঁজে ফিরি দেখব বলে আঁধারের নাকছাবি।
৩২টি মন্তব্য
রিমি রুম্মান
বাহ্ ! মিছে এই বারামখানা !
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
কি রঙ্গ দিলে ভাইয়া বুড়া এই বয়সে।
চমৎকার লাগলো ভাইয়া।
বালিয়াড়ি অর্থ কি নাম? অন্য কিছু।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
বালিয়াড়ি হলো নদীর বালুকাময় উচ্চ তীর।
রং কই? এ তো বিবাগী সুর লালনের গানের ।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাইয়া রংগের পরে, বিরাগী সুরে চলে ধীর অতি ধীর বৈরাগীর চলা।
অর্থ বলার জন্য ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাইয়া রংগের পরে, বিরাগী সুরে চলে ধীর অতি ধীর বৈরাগীর চলা। অর্থ বলার জন্য ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মিছে বারামখানায় আমরা সব মুসাফির।এত শক্ত কথা তেমন বুঝি না….আপনি,শুন্য আপু,লীলা আপু,বনলতা সেন আপু আরো যারা শক্ত শব্দ লিখেন অনুরোধ থাকলো আপনাদের শক্ত শব্দ গুলোকে কমেন্টসের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেন হউক না কারো কারো জানা তাহলে কিছুটা উপকৃত হতাম আমিও ভবিষৎ পোষ্টে যোগ করতে পারতাম।
এসেছি শিখতে শিক্ষার মাঝে লজ্জা নেই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ছাইরাছ হেলাল
আমি প্রতি নিয়ত শিখি আপনাদের লেখা পড়ে। শিখতে হলে আমাকে পড়তেই হয়।
এখানে কঠিন কিছু নেই । বারামখানা হলো বৈঠক খানা। এই দুনিয়াকে বৈঠক খানা ভেবে এখানে না থেকে
সাঁইজির সাথে অন্য জগতে যাওয়ার ইচ্ছে বোঝান হয়েছে।
অবশ্য মন্তব্য পড়লে লেখা সম্বন্ধে ধারনা পাওয়া যায়।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
জিসান শা ইকরাম
গড়াই দেখলাম কয়েকদিন আগে।
স্মৃতিতে উজ্জ্বল এখনো—
বারামখানা শব্দটি সোনেলায় প্রথম নিয়ে এলেন
একটি গান আছে লালনের —
ছাইরাছ হেলাল
গড়াইয়ের স্মৃতিময় সন্ধ্যার কথা এখানে উঠে এসেছে।
ফরিদা পারভিনের গানটি শুনতেই আছি শুনতেই আছি।
খেয়ালী মেয়ে
দারুন লিখেছেন……….
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
আঁধারের নাকছাবি খুঁজে কি সত্যিই পাওয়া যায়? যাবে? সবকিছু ছেড়ে চলে যেতে চাইলেও নিশি রাত নামের সে মায়া পিছু ডাকবেই। লেখাটা অনেক সুন্দর হয়েছে।
মহানন্দা সুখ গালে টোল ফেলে ছিপ নিয়ে মাছ ধরার ছলে, এমন উপমা আপনাকেই মানায়। কোনদিন যাবার ইচ্ছেটাও রইলো গড়াই এ, এই এমন সন্ধ্যা স্রোতে…
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি সত্যি পাব কী না জানি না। না পেলেও খুঁজতে চাই। পিছু ডাক এড়াতে চাই।
গড়াইয়ের তীরে গেলে আমার বিশ্বাস আপনিও এ সব দেখতে পাবেন।
আপনি সব সময় ই মন দিয়ে পড়েন।
ধন্যবাদ।
প্রজন্ম ৭১
পড়লাম, সুন্দর হয়েছে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি পড়ছেন দেখে ভালো লাগল।
বনলতা সেন
যা বলার আমার বু’ই বলে দিয়েছে , এর পর আর কিছু থাকার কথা নয়।
শুন্য শুন্যালয়
এরপরের মন্তব্য আপনি করবেন, আমি শুধু হ্যাঁ মেলাবো। ফাঁকিবাজ।
ছাইরাছ হেলাল
এ তো দেখছি পুরোই আপনারা আপনারা।
ছাইরাছ হেলাল
মানিকজোর মনে হচ্ছে।
সাইদ মিলটন
নিশি রাত,নৈঃশব্দে পিছু নেয় পিছু ডাকে, ফিরে তাকাই, শূন্য চোখ উধাও নয়নে।
হেঁটে যাই উষ্ণ বকুলের পথ মাড়িয়ে, খুঁজে ফিরি দেখব বলে আঁধারের নাকছাবি।
মুগ্ধতা 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে মিস করি তা কি লিখে বোঝাতে হবে?
বন্য
আহ্বানে সাড়া আসুক বারামখানায় , নূতন করেই দেখা হোক সব কিছু।
বালিয়াড়ি হেসে ওঠে সন্ধ্যা স্রোতে।
গালে টোল ফেলে ছিপ নিয়ে মাছ ধরার ছলে।
এমন লাইন যেকোন পাঠকের মনে থাকে বহুদিন।
উষ্ণ বকুলের পথ মাড়িয়ে
অদ্ভুত সুন্দর লাইন! -{@
ছাইরাছ হেলাল
মন দিয়ে পড়েছেন তা বুঝতে পারছি।
প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
লীলাবতী
সব কিছু আসলেই কি মিছে?নাকছাবি খুঁজে পাক যারা খুঁজতে জানেন।
ছাইরাছ হেলাল
কখনও কখনও সব কিছুই মিছে মনে হয়।
খুঁজে পেলে ভালই হয়।
ব্লগার সজীব
শেষ লাইন দুটো কেমন এলোমেলো করে দেয়।
ছাইরাছ হেলাল
না এ আর এমন কী !
মেহেরী তাজ
গড়াই নদী তো প্রায় শুকিয়ে গিয়েছে ভাইয়া। তারপরেও এটি অপরুপা। ভালো লেগেছে লেখা ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
শুকনো হলেও রূপে অপরূপা এখনও।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
নুসরাত মৌরিন
কবিতা পড়ে সত্যি ভেসে যাচ্ছি গড়াইয়ের বান ডাকা বেনো জলে…
রাতের আঁধার তার সব রুপ নিয়ে হাজির হয় আপনার কবিতায়…।
ছাইরাছ হেলাল
সব তুলে ধরতে পেরেছি বলে মনে হয় না ,তা ও।পুরোন লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।