সন্তানকে মা কখনোই দূরে রাখেন না।প্রসূতি মায়ের কষ্টকর দিনের মাঝেও অনুভব করেন নিজের মধ্যে একজনকে পরম মমতায়।সন্তানকে জগতের আলোতে নিয়ে আসার কষ্টের সময়ের সাথে কোন যন্ত্রনারই তুলনা হয়না।অজ্ঞান মা এর মুখে হাসি আসে নবজাতক সন্তানের ফুটফুটে মুখ আর চিৎকার। এরপর জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত সন্তানের মঙ্গল আকাঙ্ক্ষায় মা থাকেন অবিচল।সন্তান দূরে চলে গেলেও মা সন্তান হতে দূরে থাকেন না কখনোই।তাকে নিজের মাঝেই রাখেন।
এই জগৎ মাতাও তেমনি।পাহাড়ের জংগল,প্রকৃতিকে কেটে কুটে পরিষ্কার করে যে গ্রাম তৈরী করেছিলেন একদা কিছু মানুষ।কালের প্রবাহে নিজেদের তৈরী করা গ্রাম পরিত্যাগ করে চলে যায় সে মানুষ। মানুষ পরিত্যাগ করলেও সে গ্রামকে এই ধরণী মাতা পরিত্যাগ করেনি। আদর করে বুকে নিয়েছে পরম মমতায়।পরিত্যক্ত সব কিছুকে জড়িয়েছেন নিজের ঐশ্বর্য দিয়ে।
চীনের ইয়াংজি নদীর মাঝের দ্বীপে মৎস্যজীবীরা তৈরী করেছিল এই গ্রাম।এক সময় এখানে মাছের ক্রেতা না আসায়
গ্রামটি পরিত্যাগ করে সবাই চলে যান অন্যত্র। কালের বিবর্তনে তাদের পরিত্যাক্ত ঘর বাড়ী প্রকৃতি তার বুকে টেনে নিয়েছে।
প্রকৃতি যে মা,কিভাবে ফেলে দিবেন তার সন্তানকে? রুক্ষ হতে দেননি, শুষ্ক হতে দেননি তার সন্তানকে।পরম আদরে বুকে জড়িয়ে রেখেছে।
প্রকৃতির কাছে আমাদের শেখার আছে অনেক কিছু। মাতৃ রূপ দেখার মত চোখ চাই সবার।
ইচ্ছে হয়ে সব কিছুকে উপেক্ষা করে চলে যাই এখানে।গিয়ে বলি ‘মা আমি এসেছি আমাকেও গ্রহণ করো।’
এই বাড়িতে একসময় তৈরী হয়েছিল কত স্বপ্ন। স্বপ্নবাজরা স্বপ্নকে ফেলে দিয়ে হয়েছে নিরুদ্দেশ,তবুও স্বপ্নেরা আজ
রয়ে গিয়েছে। স্বপ্নবাজদের আজ নেই খোঁজ।
সবুজে জড়ানো এমন জানালা বাস্তবে না হলেও আমরা যেন আমাদের হৃদ মাঝারে ধারণ করি। আমার স্বপ্নের জানালা (3
৪৪টি মন্তব্য
নীতেশ বড়ুয়া
এ কি পোস্ট দিলেন!!!
মারদাঙ্গাবতী হতে সোজা মমতাবতী!!!
(3 (3 (3 (3 -{@ -{@ -{@
লীলাবতী
আমার প্রথম দিকের লেখা গুলো পড়ুন ভাইয়া,তাহলেই বুঝবেন আমি কি 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
গতকাল অনেকের পুরনো পোস্টে হামলা চালিয়েছি, বুঝেছেন নিশ্চয়ই :p
কিন্তু আপনার এমন মারদাঙ্গা রূপ দেখে ভুলেই গিয়েছিলাম আপনি লীলাবতী :D)
লীলাবতী
হ্যাঁ দেখেছি সাম্প্রতিক মন্তব্যে 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
ধ্যুত, আপনার মুডি মুডি উত্তরে আপনাকে মডু মনে হয়। হুদাই ভাব নিচ্ছেন কেন ^:^
জিসান শা ইকরাম
ছবি গুলোর দিকে সম্মোহিতের মত তাকিয়ে আছি
কল্পনা করার চেষ্টা করছি ঐ স্থানের প্রকৃত দৃশ্য কেমন তা উপলব্দির
সবুজে ছেয়ে গেলো আমার মনও
ধন্যবাদ এমন একটি পোষ্টের জন্য।
চীনে যদি আবার যাওয়া হয়, চেষ্টা করবো এখানে যাবার।
লীলাবতী
আপনি ঐ দেশে দুইবার গিয়েছেন।আজ পর্যন্ত এ নিয়ে আপনার কোন ভ্রমণ পোষ্ট দেখলাম না।সম্ভব হলে এখানে একবার ভ্রমণ করে আসুন।আর লিখুন কি দেখলেন।
আমার আম্মা অসুস্থ ভাইয়া।দোয়া করবেন।
অরুনি মায়া
ছবি গুলো আমি আগেও দেখেছি। এখনো দেখি। এত ভাল লাগে যে তা বলার নয়। মন বলে আহা আমার যদি এমন একটি বাড়ি থাকত।
ধন্যবাদ লীলাবতি এত সুন্দর একটা পোস্ট এর জন্য 🙂
লীলাবতী
আমারো মনে হয়,আহা এমন একটি বাড়ি যদি আমার থাকতো। আমার এমন বাড়ি হলে,আপনাকে আমি দুটো রুম দিয়ে দেবো 🙂
অরুনি মায়া
বারান্দা আর ছাদ আমি কিন্তু ছাড়ব না বলে দিলাম,,,,, 🙁
লীলাবতী
আচ্ছা আপু, বারান্দা আর ছাদ আপনার। আমাকেও ব্যবহার করতে দিবেন আপনি,জানি আমি 🙂
অরুনি মায়া
দিতে পারি এক শর্তে, আমার সবুজ বিছানা যেন খালি পায়ে মাড়িয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দিওনা,,,,, 🙂
লীলাবতী
আচ্ছা,আপু আমি আপনার সাথে ঘুমাবো।আমি এখনো একা ঘুমুতে পারিনা।আম্মুর সাথে ঘুমাই।আমার ভয় করে।আপনার পাশে চুপটি করে ঘুমাবো 🙂 -{@
অরুনি মায়া
এখনো আম্মুর সাথে ঘুমাও পিচ্চি মেয়ে 😮 ।
আমি কিন্তু ঘুম পাড়ানি গান গাইতে পারবনা।
রাত জেগে জেগে ডায়াপার চেঞ্জ ও করতে পারবনা :p
লীলাবতী
আপু সিডি আছে না? মোবাইলে না হয় গান নিয়ে নিবে।ডায়াপার চেঞ্জ করতে হবেনা আপু, তবে বাথরুমে গেলে আমি কিন্তু জাগাবো আপনাকে।রাতে একা একা বাথরুম!! ওরে বাবা,আমি পারবো না 🙁
অরুনি মায়া
ওরেএএএ তোমার বাড়ি ঘর বারান্দা ছাদ কিছুই আমি চাইনা। আমারে একটু ঘুমাতেও দিবানা তুমি। আমি গাছ তলায় চললাম,,,,,,
চন্দন পালঙ্কে শুয়ে
জেগে জেগে কি হবে
যদিনা শান্তি মত ঘুমাতে না পারি 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
লীলাপু, আমাদের মা দুই। এক প্রকৃতি ও দুই জন্মদাত্রী। আমার আপনার সকলের এই দুই মাই সুস্থ থাকুক। -{@ (3
লীলাবতী
আমাদের মা দুই। এক প্রকৃতি ও দুই জন্মদাত্রী। আমার আপনার সকলের এই দুই মাই সুস্থ থাকুক। ……… এমন মন্তব্যের ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া -{@
নীতেশ বড়ুয়া
-{@
আপনাকে দ্রুত আমাদের মাঝে আড্ডায়, পোস্টে ফিরে পেতে চাই লীলাপু (3
লীলাবতী
আড্ডায় আছি তো ভাইয়া -{@ আমার মা অসুস্থ খুব, একারণে আসলে সময় পাইনা।
নীতেশ বড়ুয়া
মায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি লীলাপ্পু। (3
মেহেরী তাজ
যাক পাইলাম উনাকে পাইলাম। না মানে লীলা আপু আপনি তো অনেক দিন নাই ছিলেন তাই বললাম। আমিও আপনার সাথে যাবো নেবেন তো??? 🙁
লীলাবতী
লিজের যখন কোন লেখা আসেনা,তখন ছবি পোষ্ট দেই।তোমার সামনে লিখতেই তো এখন ভয় করে আমার।যা লিখছো আজকাল!কেন নেবো না? আমরা একসাথে যাবো -{@
অরণ্য
“সবুজে জড়ানো এমন জানালা বাস্তবে না হলেও আমরা যেন আমাদের হৃদ মাঝারে ধারণ করি। আমার স্বপ্নের জানালা।” (y)
গানটি ছেড়ে লিঙ্ক ভিজিট করে ভিতরে একটা হাহাকারও টের পেলাম।
“It’s unclear why the village was abandoned, but it’s been empty for quite some time. The village shows us what the world might look like after we’re gone.” – এইটুকু একটু বেশিই নাড়ালো।
শুভ কামনা সকলের জন্য।
লীলাবতী
It’s unclear why the village was abandoned, but it’s been empty for quite some time. The village shows us what the world might look like after we’re gone.” – একথায় নাড়া না দিয়ে পারেনা ভাইয়া।আপনিও ভালো থাকুন -{@
ছাইরাছ হেলাল
আমার স্বপ্ন সবুজ আপনার লেখায় পেয়ে কি যে ভালো লাগল।
গান শুনতেই আছি।
লীলাবতী
সোনেলার বেইজ কালারটাই যে সবুজ বানিয়েছেন সোনেলার মডুরা।কিছুটা সবুজ আমিও দিলাম ভাইয়া।ভালো লাগাতে পেরে ভালো লাগলো 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো চির সবুজ, তাই তা আপনাকে মানায় ভাল ভাবেই।
লীলাবতী
আপনাদের ছোট বোন আমি না? ভাইয়ারা চির সবুজ হলে,আমি কেন হবো না? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আপনি তা হবেন।
লীলাবতী
🙂 -{@
রিমি রুম্মান
ছবিগুলো চমৎকার। আগে দেখিনি। সোনেলা’য় না এলে কত কি অজানাই থেকে যেতো। বাইরে থেকে দৃশটি সুন্দর মনে হলেও কেন যেন থাকার কথা ভাবতে গিয়েই শিউরে উঠলাম। সাপ টাপের ভয় আর কি ! 🙂
লীলাবতী
এত সুন্দর স্থানে সাপ এর ভয় পেলে কি চলে আপু? 🙂 থাকতেও পারে,সাপকে কিছু না বললে তারাও কিছু বলে না।
শুন্য শুন্যালয়
ছবিগুলো দেখে কি অনুভূতি হলো জানো? আমার সমস্ত শরীর এমনি করে সবুজে ঢেকে গিয়েছে। আমার চোখ দুটো জেগে আছে ফিরে আসবার অপেক্ষায়। নীচের ছবিটা নিয়ে নিয়েছি, এ জানলা আমার, তোমাকে দেবোই না। 🙂
লীলাবতী তোমাকেই আজ মা বলে মনে হচ্ছে। কি সুন্দর এক পোস্ট দিলে, সবটা মমতা দিয়ে লিখেছ যেন। -{@ (3
লীলাবতী
আপনার মন্তব্যের পরে ভাবছি,আপনার সমস্ত শরীর সবুজ, শুধু চোখ দুটো চকচক করছে। নিন নিন আমার সবকিছুই বিলিয়ে দেয়ার জন্য,কিছুই রাখবোনা নিজের কাছে।ত্যাগের আনন্দ উপলব্দি করছি আমি ইদানীং 🙂 -{@
লীলাবতী
আমরা মা যে, মায়ের আবেগ আসবেই সব কিছুতে।
নীলাঞ্জনা নীলা
লীলাবতিদি পোষ্টটা দেয়ার পর থেকে কতোবার যে দেখলাম আর পড়লাম আপনার লেখা, আপনি ভাবতেও পারবেন না। অনেক ভেবেছি কি মন্তব্য করা যায় এমন অসাধারণ একটি পোষ্টের জন্য। কিছুই খুঁজে পেলাম না। এ এমন একটি পোষ্ট আপনার যেখান আবেগ চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে নরম, কোমল মায়াবী জ্যোৎস্নার মতো।
অনেক আগে লিখেছিলাম মা আমাদের দুজন একজন গর্ভধারিণী মা, অন্যজন প্রকৃতি মা। একজন জন্মদেন আর একজন আমাদের ধারণ করেন জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি।
অফুরান ভালোবাসা আপনার জন্য লীলাদি। -{@ (3
লীলাবতী
আপনি ঠিক বলেছেন নীলাদি,মা আমাদের দুজন একজন গর্ভধারিণী মা, অন্যজন প্রকৃতি মা।দুজনার কেহই আমাদের বিমুখ করেননা।যত অন্যায়ই করি না কেন,বুকে আগলে রাখেন মা।
আপনার জন্যও অফুরান ভালোবাসা নীলাদি -{@
ব্লগার সজীব
লিলাপু, আমি সজীব এই পোষ্টটি দিলে ভালো হতনা? সবুজের সজীবতায় এমন পোষ্টই মানায়।ছবি গুলো দেখে মন ভালো হয়ে গেলো আপু। মা,প্রকৃতিও মা আমাদের।
লীলাবতী
সজু ভাইয়া,তুমি নিজেই তো এমন সবুজ।আমার মাঝে সবুজ নেই,তাই সবুজ লাগিয়েছি।বুঝেছো ভাইয়া? -{@
সিকদার
একদিন আমাদের সমাধিকেও প্রকৃতি তার সবুজ আচল দিয়ে এভাবে ঢেকে নিবে ।
লীলাবতী
মা প্রকৃতি আমাদের বুকে টেনে নিবে।
স্বপ্ন
মন্তব্য কি দেবো,তাকিয়েই আছি সবুজের দিকে।এমনও কি সম্ভব?এই অভুতপুর্ব এলাকার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
লীলাবতী
আপনাকেও ধন্যবাদ স্বপ্ন -{@