
শব্দ, যানজট আর ধুলোর এ শহর, ঢাকা;
আগন্তুক একজন, বেসামাল দিশেহারা,
ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত ত্যক্ত-বিরক্ত, শুষে নেয় পরমায়ু;
যন্ত্র দানব মহুর্মুহু ছুড়ে দেয় পোড়া গন্ধময় আগুন-হল্কা;
অতি নিকট দূরত্বে জম্পেশ-জমাট বইমেলা, বইয়ের মেলা,
বেশুমার ভিড়, বস্ত্র বালকদের আর বস্ত্র বালিকাদের,
সবাই এগুচ্ছে জোর কদমে; উন্মাতাল সোহাগ শিহরণে;
রাশভারী আলোকোজ্জ্বল প্যাভিলিয়নের পার্শ্ব-দেশে
কাঁদো কাঁদো চোখমুখে অনুর্বর দোকানি!
ধুলো-টানা ভারি বুকে গুট-গুট খুট-খুট করে
স্টল থেকে স্টলে তাজা বইয়ের গন্ধে প্রাণ-মন
জ্বলে-জেগে ওঠে, কষ্ট-কষ্ট আনন্দদের বিরল সুখে;
অকস্মাৎ প্রিয় লেখকের সাথে প্রথম আলাপচারিতা,
স্মৃতির শিখরে থেকে যাবে বহুদিন, বহু দূর অবধি।
৩৪টি মন্তব্য
এস.জেড বাবু
সবাই এগুচ্ছে জোর কদমে; উন্মাতাল সোহাগ শিহরণে;
রাশভারী আলোকোজ্জ্বল প্যাভিলিয়নের পার্শ্ব-দেশে
কাঁদো কাঁদো চোখমুখে অনুর্বর দোকানি!
এতো এমন করে দেখে কেমনে কাহারো চোখ-
চশমার কাঁচ মোটা হবে হয়ত।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও ভাবি এত কম দেখে-টেখে ক্যামনে কী!
কাঁচ হোক মোটা থেকে আর ও মোটা,
দেখা-দেখি চালু থাকুক আপন মনে।
প্রথমে আপনাকে দেখে ভাল লাগল।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
যাক ভাষাগুলো সহজ হয়েছে। পড়তে আনন্দ লাগলো। ভালো থাকুন শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য
ছাইরাছ হেলাল
আপনাদের দোয়ায় অসুখ (কঠিন শব্দ) মনে হয় ভাল হয়ে যাচ্ছে।
প্রীতিতে রাখবেন অবশ্যই, ধন্যবাদ।
ফয়জুল মহী
সাবলীল, সুন্দর উপস্থাপন ।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ, পড়েছেন।
নাজমুল আহসান
হেহে, কবি মনে হচ্ছে এবার “কম ঝালের আলু ভর্তা” ভার্শন লিখেছেন!
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হুম ভাইয়া। আপনার কথায় কাজ হয়েছে মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই ধন্যবাদ তিনি পেতেই পারেন,
এলাচ করেছেন যে।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন,
ভুতের ভয়, সবার-ই হয়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
🤣🤣🤣 একদম ঠিক। আপনার যে ভূতের ভয় আছে জানা হলো। রাতে কি ভূত ভয় দেখিয়ে ছিলো, সোনেলা জানতে চায়
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো দেখছি হাঁটে হাঁড়ী ভাংতে চাচ্ছেন/বলছেন!
মোঃ মজিবর রহমান
আর কতই বা ধুল ময়লা ঝালবেন এখন সৃতি ই বা কি হবে তই স্বচ্ছ শব্দমালা ভালই এগুল কবি সাব। বেশ বেশ আনন্দ করলেন দুই একটা বই ছুড় মারলে পড়া হত। কিনার সামর্থ নাই। দান খয়্রাত কিছু করুন। সব আল্মিরায় রাখলে হবে!!!
ছাইরাছ হেলাল
আরে! এভাবে বলতে নেই।
মনির ভাইয়ের কাছে বললেই যা হোক ব্যবস্থা হয়েই যেত।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ ভাইসাব।
ছাইরাছ হেলাল
ভাল থাকবেন।
নাসির সারওয়ার
নাজমুল একটা ধন্যবাদ পেতেই পারে!
শুনেছি ঢাকা আসতে হলে ভিসা লাগবে অচিরেই। আপনার ভিসা হবে কিনা কে জানে।
আশা করি এই শহরের ধুলাবালি, শব্দ জঞ্জাল , যানজটরা যেনো আপনাকে মিস না কর!
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই ধন্যবাদ, দিচ্ছি এবং দেব,তাঁকে।
তবে প্রি-ওয়ার্ক আড়ালেই থেকে যায়। চাইলেই লিখে ফেলা যায় না।
পাল্টে ফেলার কাজ/চেষ্টা সহজ কোন বিষয় নয় বলেই জানি। দেখা যাক এই বাঁক বদল টিকিয়ে রাখতে পারি কী না!
আহা, বলেন কী! গ্রাম্য বলে ভিসার আঁকশি লাগাবেন!
ভালোবাসি প্রিয়দের ঢাকাকে, আমিও।
আরজু মুক্তা
সবকিছুই মনে রাখবে।
ছাইরাছ হেলাল
রাখলে-ই ভাল, ফিরে ফিরে আসব এই প্রিয় শহরে।
ভাল থাকবেন আপনি।
সুপায়ন বড়ুয়া
“শব্দ, যানজট আর ধুলোর এ শহর, ঢাকা;
আগন্তুক একজন, বেসামাল দিশেহারা, “
তাই নিয়ে বেঁচে আছি বন্ধু
হই না পথ হারা।
ভালই হলো। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আমার বন্ধুরা বেঁচে থাকবে পথের সঠিক নিশানায়।
আপনার জন্য -ও শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
পাঠকের তৃপ্তির জন্য পাঠকে সহজ করেছেন লেখক। এতে পাঠক হৃদয় তৃপ্ত হয়েছে বটে কিন্তু লেখক হৃদয়ে শান্তি মিলেছে কি? হয়েছে কি লেখক হৃদয় তৃপ্ত?
ত্রিস্তান
জ্বী আপনি ঠিকই বলেছেন।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই তিনি ঠিক বলেছেন।
ছাইরাছ হেলাল
এত দিনের অভ্যস্ততা পালটে ফেলা কঠিন এক কাজ,
সহজ ও কঠিন পুরো বিষয়টি অনেক দিন থেকেই মাথায় ছিল। আমার লেখা-লেখি অনেকের দ্বারা প্রভাবিত।
তারা কেউ শক্ত শক্ত করে লেখেন কেউ অনেকটাই সহজ শব্দে লেখেন (ভাবনা যদিও সহজ না), তদ্ভব শব্দ কম ব্যবহার করে করে।
আর আমি যখন এখানে লেখা নিয়ে আসি তখন পাঠক তো আমার হয়ে যায়।
চেষ্টা করছি ভেতর থেকে, এবারে বাইরে নিয়ে আসলাম, আপনাদের সামনে/কাছে, দেখি-না কী হয়,
আপনি/আপনারা আমার সাথেই আছেন/থাকবেন ও।
ধন্যবাদ।
হালিম নজরুল
“রাশভারী আলোকোজ্জ্বল প্যাভিলিয়নের পার্শ্ব-দেশে
কাঁদো কাঁদো চোখমুখে অনুর্বর দোকানি”
—–বড়ই সত্য।
ছাইরাছ হেলাল
যা অনুভবে এসেছে, তাই-ই বললাম।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ত্রিস্তান
অকস্মাৎ প্রিয় লেখকের সাথে প্রথম আলাপচারিতা,
স্মৃতির শিখরে থেকে যাবে বহুদিন, বহু দূর অবধি..
এমন রহস্যাবৃত করে রাখলে আপনার প্রিয়জন তো জনপ্রিয়তা পাবেনা মহারাজ। প্রিয়জন কে বিশ্বজয়ের পথে এগিয়ে দেন, আমরাও কৃতার্থ হই।
ছাইরাছ হেলাল
তিনি ইতমধ্যেই বিশাল ডানা মেলে ফেলেছেন। আমি তাঁর নিবিড় পাঠক মাত্র।
অকস্মাৎ দেখা হয়ে গেল, কথাও। কথা বলার প্রস্তুতি নিয়ে যাই-নি। শুধু অপরিচিত জনকে সাধারণ হিসেবে
জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমার লেখা পড়েন?’ উত্তর দিয়েছি, ওটা নেই কেন, ওইটা কই? ওই অনুবাদ কবে পাব?
ওইটার অনুবাদ চাই, …………………………… এই বৃদ্ধ গ্রাম্য পাঠক যে পাঠক তা সে ভাল করেই বুঝেছে। তা যে সে বুঝেছে
সেটুকু বুঝিয়ে ও দিয়েছে।
অন্য ভাবে বললে, এই রক্ত মাংসের লেখকের সাথে আমার সম্পর্ক সামান্য -ই। আমার সম্পর্ক লেখক-মানসের সাথে,
পাঠক সেখানে তাঁর সাথে সাধ্যানুযায়ী সংযুক্ত/সম্পৃক্ত।
তিনি, মাসরুর আরেফিন।
কামাল উদ্দিন
ঢাকা শহরে গেলে শব্দ যানজটে সত্যিই আমি দিশেহারা হই। আমি ওখানে অক্সিজেনের অভাব বোধ করি।
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি-ই দিশেহারা হই, তবে ভালো-ও না বেসে যে পারিনা!
ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
হুমম, এটাই তো আমাদের রাজধানী / রাজরাণী, ভালো না বেসে কি পারি?
ছাইরাছ হেলাল
তবে একটু সাবধান হতে হবে মাত্র!