‘যেখানে সেখানে মল ত্যাগ করিবেন না’ স্বাস্থ্য সচেতন শ্লোগান একটি।
হে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আপনাদের এই শ্লোগান আর দিতে হবেনা,লাগাতে হবেনা পোষ্টার।
কারন মল থেকে পাওয়া যাবে সোনা,রুপা 🙂
যেখানে সেখানে কেন মল ত্যাগ করবো?কমোডেও করবো না,এর মধ্যেই তো আছে সোনা রুপা 🙂 অত্যন্ত যত্ন সহকারে আমার মল সংরক্ষন করবো।বাসার সবচেয়ে দামী পাত্রে সংরক্ষন করতে হবে।আচ্ছা সংরক্ষন করে ডিপ ফ্রিজে রাখলে কেমন হয়? একটি বিশাল সাইজের ডিপ ফ্রিজ কিনতে হবে।
খবর হচ্ছে’মার্কিন গবেষকেরা সম্প্রতি দাবি করেছেন, মানববর্জ্য বিশেষভাবে পরিশোধন করে সোনা, রুপার মতো মূল্যবান উপাদান পাওয়া সম্ভব, যা ইলেকট্রনিকস ও সংকর ধাতু হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। বর্তমানে গবেষকেরা মানববর্জ্য থেকে মূল্যবান ধাতু শনাক্ত করার এবং তা উদ্ধার করার উপায় নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
এবার ভাবুনতো কি হতে পারে ভবিষ্যতে?কোন মানুষ বেকার থাকবেনা।প্রতিটি মানুষ হয়ে যাবে একটি সোনার খনি।যে যত মল ত্যাগ করবে সে তত মূল্যবান মানুষ হয়ে যাবে।
সজীব তোমার সামনে সুদিন আসছে,আর কেউ বেকার বলতে পারবেনা তোমাকে :D)
আপনি এক বিয়ের দাওয়াতে যাবেন? গিফট নিয়ে নিন একবাটি মল।সুন্দর প্যাকেটে আপনার নাম উপরে লিখে দিন।উপহারের বিবরনে লিখবেন’সোনার র ম্যাটিরিয়েল’। আচ্ছা এরপর কি আর মল কে আর মল বলা হবে? বলা হবে সোনার র-ম্যাটেরিয়াল।
আমি অবশ্য সোনা বিক্রি করবো না।বাসার চেয়ার টেবিল খাট প্লেট কাপ সব বানাবো সোনা দিয়ে :D) আহা কত শান্তি 🙂
সজীবের ভবিষ্যত পরিকল্পনাঃ
এই আবিস্কারের সাথে সাথে অত্যন্ত কম মুল্যে চীন থেকে পরিশোধন যন্ত্র চলে আসতে পারে। আমিও বানাতে পারি একটি অত্যন্ত কম মুল্যে।ধরুন ৫০০ টাকায় একটি সোনা পরিশোধন যন্ত্র উৎপাদন করে ফেললাম আমি।হ্যাভি ডিমান্ড হবে।১৬ কোটি মানুষের জন্য কতটি যন্ত্র দরকার হবে? ৩ কোটি পরিবার তো হবেই দেশে তাই না? প্রতি পরিবারে একটি যন্ত্র ধরা যাক।আমি তো মালে মাল হয়ে যাবো \|/
সবার প্রতি অনুরোধ,
আপনার মল সংরক্ষন করুন
নিজের সোনা নিজে ব্যাবহার করুন।
৩০টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
কোথা থেকে পায় এসব খবর সজীব?
আমার তো বিশ্বাস ই হয়না এই খবর সত্যি।
ডিপ ফ্রিজে রাখবে মল? প্রাইজ হিসেবে প্রদান করা হবে? ইয়াক ইয়াক………
মালেমাল হয়ে যান,আমাদের আবার ভুলে যাইয়েন না।
ব্লগার সজীব
আবিস্কারটি আগে বাস্তবায়িত হোক,দেখা যাবে মল কেউ ফেলে দেয় কিনা 😛
ছাইরাছ হেলাল
পথে-ঘাটে ফেলে রাখা ঠিক না।
সংরক্ষণের জন্য ব্যাংক থাকলে ভাল হয়।
ব্লগার সজীব
আমি শিওর,এসব সংরক্ষণের জন্য হিমাগার,ব্যাংক আসবেই।
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
ইয়াক !!!
ব্লগার সজীব
ইয়াক বলবেন না ভাইয়া,সময় আসুক দেখা যাবে 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
ওয়াও!
তাঁরা সংরক্ষনের ব্যাবস্থা করুক.
ব্লগার সজীব
এটি প্রচলিত হলে সবারটা সবাই সংরক্ষণ করবেন 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
সম্ভব না!
ব্লগার সজীব
সম্ভব দেখবেন 🙂
লীলাবতী
কোন কিছুই আর ফেলে রাখা হবেনা 🙂 ভাইয়া তুমি গিফট হিসেবে কাউকে পাঠিও না আবার এসব।তোমরা দুই ভাই বোন যে পাগল,বিশ্বাস নেই তোমাদের।কোথা থেকে যে এসব অদ্ভুত খবর সংগ্রহ করেন আপনি!!!
ব্লগার সজীব
ঠিকানা দিন,বিয়ে তো কাছেই আপনার।বিয়ের গিফট সোনা হলে তো ভালোই হবে,তাইনা?খবরটি আমার আপু দিয়েছে 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
খবরটি নিউজে দেখেছিলাম।রম্য ভাল লাগল।পৃথিবীর কোন কিছুই আর ফেলনার নয় দেখছি।সরকারী উদ্দ্যেগের আহবান।
ব্লগার সজীব
কোন কিছুই আর ফেলনা নয়।
সঞ্জয় কুমার
মলয় (মলময়) শুভেচ্ছা ভাইয়া
ব্লগার সজীব
আপনিও মলিয় শুভেচ্ছা নিন 🙂
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ওরে! এ কি খবর শুনালে রে ভাইয়া!!
ব্লগার সজীব
আপু এটি সত্যি খবর 🙂
মেহেরী তাজ
শিষ্য তোমার কাছ থেকে আমি কোন গিফট চাই না। খালি একটা পরিশোধন যন্ত্র দিও তাহলেই হবে। :p :p
ব্লগার সজীব
গিফট ও দেবো পরিশোধন যন্ত্রও দেবো ওস্তাদ 😛
খেয়ালী মেয়ে
মাগো মা, কী সাংঘাতিক!!!!! চিন্তা ভাবনা…
ব্লগার সজীব
পরী আপু,আবিস্কারটি সবার জন্য উন্মুক্ত হোক,এরপর দেখবেন কত হুলুস্থুল 🙂
খেয়ালী মেয়ে
আপনার লেখা পড়ে তো আমি এখনই দেখতে পারছি হুলস্থুলের নমুনা 😛
ব্লগার সজীব
অপেক্ষা করুন আপু।
শুন্য শুন্যালয়
ইয়াক, ইয়াক। সোনার ছবিটা দেখে ওটাকেও এখন হাগু বলে মনে হচ্ছে 🙁
চায়না থেকে পরিশোধন যন্ত্র যেইটা আসবে সেটা ব্যবহার করলে গয়না থেকেও গন্ধ আসার কথা, চায়নার মাল বলে কথা। আপনার মালেমাল না, আপনার গনপিটুনিতে বেহাল অবস্থার দৃশ্যটা দিব্যচোখে দেখতে পাচ্ছি। 😀
ব্লগার সজীব
আবিস্কারটি সহজলভ্য হোক।এরপর দেখবেন কি হয়।ভাবছি এই সোনা যখন বাজারে আসবে,তখন কি কি প্রতিক্রিয়া হতে পারে,সে বিষয়ে একটি পোষ্ট দেবো।গনপিটুনি না,লোকজন আমাকে তাদের মাথার তাজ বানিয়ে রাখবেন 🙂
অলিভার
ব্যাপারটা মজাদার কিংবা জোকস মনে হলেও আমি আসলে নিউজটাকে ঐভাবে দেখিনি। আমার দৃষ্টিভঙ্গিটা একটু শেয়ার করলাম।
আমরা এই পর্যন্ত যত যাই করছি, মানে খনিজ সকল বস্তুই কিন্তু খনি নির্ভর। সত্যিই যদি এমন প্রযুক্তি কিংবা বর্জ্য থেকে এমন কিছু পাওয়া সম্ভব হয় তাহলে সেটা আমাদের জন্যে কল্যাণকরই হবে। আমি বলছি না হলে সেটা স্বর্ণই হতে হবে। এর বদলে যদি সিলিকন হয় তাও ভালো, তামা হয় সেটাও নেহায়েত মন্দ না। অন্তত খনি নির্ভর হয়ে যে প্রযুক্তির উৎকর্ষতা পাচ্ছে তার চাপ কিছু হলেও কমবে।
যাই হোক, আমি হিউমার ছেড়ে অন্যদিকে চলে এসেছি। পোষ্ট কিন্তু আসলেই মজাদার ছিল 😀 আর যদি চাইনিজ একটা মেশিন আমদানি করা যায় তাহলে তো নিজরাই এক একটা খনি হয়ে বসে থাকবো :D)
ব্লগার সজীব
আমি হিউমারের মাঝে আপনার কথাই বলতে চেয়েছি 🙂
অলিভার
তা আমি বুঝতে পেরেছি। পাশাপাশি আমি আমার ভিউটুকুও আলোচনা করলাম 🙂
ব্লগার সজীব
ধন্যবাদ অলিভার ভাইয়া 🙂