পরীক্ষার আগের দিন রাত-দিন টেবিল চেয়ার দখল করে গ্যাট হয়ে বসে পড়া মুখস্থ্য করেও হলে গিয়ে কলম চিবাতে হয়নি উত্তর লিখতে! এমন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা খুব কম আছে বলে আমি বিশ্বাস করি।আমার মতো লবডঙ্কা মার্কা ছাত্রীর তো কথাই নাই। গতরাত থেকে ভাবছি কিছু লিখব, অথচ শুরুটা করতে গেলেই শব্দাক্ষর পছন্দ হচ্ছে না মোটেই। সকাল থেকেই লিখছি আর কাটছি, কাটছি আর লিখছি।।
জানালার ওপারে বেয়ারা বাতাস সীমালঙ্ঘন করেই ঢুঁকে পড়ছে ইচ্ছে মতো। ইচ্ছে মতো অবাধ্যতায় বিরক্ত করেই যাচ্ছে কপালের কাছে চুল বিছিয়ে দিয়ে। কতবার চেষ্টায় হেরে গিয়েছি! কিছু লিখতে চাই বলে; একেকটা শব্দের হাত পা ধরে ধরে ক্লান্ত হয়ে পড়ছি কেবল। নিউরোনে কিছু একটা হয়েছে নিশ্চই! কি হয়েছে? জবাব খুঁজে খুঁজে তিরিক্ষি হয়ে যাচ্ছি ক্রমশঃ। কপালের ডান-বাঁ পাশটা দপদপ করতেই থাকে চব্বিশ ঘন্টা। অগোছালো ঘরদুয়ারের দিকে চোখ মেলানো হয় না। হয় না সময়ের নিয়মমাফিক রুটিন বাঁধা চাবির গোছা সামলানো! ইদানীং কী সব স্বপ্ন দেখি! ওসব নিয়েও জবাব খুঁজি। কেন দেখি এসব? মস্তিষ্ক খুব বেশি আক্রান্ত হয়ে আছে অজানা রোগে? হতেও পারে:
ঘুমুতে চাই। ঘুম চাই খুব!
নেই নেই নেই…….
চেনা রাস্তা দিয়ে গিয়েছিলাম সেদিন হাসুর কাছে… অনেকদিন বাদে বেরিয়েছিলাম চেনা চেনা রাস্তা ধরে। আগের মতো নয়। ভাড়া করা উবারে চড়ে,মাস্ক পড়া আর সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়ে, চেনা শহরের চেনা রাস্তা ধরে এগোতে এগোতে একটুও মন ছিলোনা, সাথে থাকা মুক্তির কোনো কথা আমার কান পর্যন্ত পৌঁছুচ্ছে কিনা? ওইতো এখনো রাস্তার ধারের ফুটপথ দখল করা ঝুপরি গুলো দেখা যাচ্ছে, -দ্যাখ মুক্তি- এই এদের রোজকার সংসার, এভাবেও এরা এখানে ঘরসংসার করছে, ওই দ্যাখ চুলো জ্বলছে, চুলোয় হাড়িতে টগবগ করছে চাল। কাছেই বসে আছে অর্ধনগ্ন শিশু। ওদের আমাদের মত চাহিদা নেই। এটা নেই সেটা নেই। কোন ব্যাংকে ইন্টারেস্ট বেশি দিলো, কোন ব্যাংকে কম! ঘরে কি কি আসবাব আছে কি নেই? পলিথিন দিয়ে ঘেরা এসব ছোট্ট ছোট্ট খুপরি দেখতে দেখতে ভাবি, ওরা প্রতিটা সময় কী পরিমান যুদ্ধ করে যাচ্ছে, চাহিদার তুলনায় যৎসামান্য যোগান, চাহিদা কি জিনিস এরা তাই হয়ত বেমালুম পাশ কাটিয়ে রাস্তার ধারে ইটের চুলায় চুরি করা নয়তো ধার করা দেশলাইয়ের আগুন জ্বেলে পেটে ক্ষুধার চাহিদা মেটাতে উদগ্রীব থাকে বেশি। পরনের লজ্জা ঢাকা কাপড়টুকুও জোগাড়ে হয়ত চাহিদার প্রয়োজনে চুরি চামারি বা যাকাত পাবার অপেক্ষা করে বছরজুড়ে।
আচ্ছা!!! ওরা ঐ খুপরি ঘরে কতজন থাকে? পরিবারে সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী কে কেমন করে ঘুমায়? আচ্ছা ওরা কি সকালে ঘুম ভেঙে উঠে পেষ্ট নেই বলে চিৎকার চেঁচামেচি করে? সকালে কি নাস্তা খাবে সে নিয়ে হাউকাউ করে? এটা খাবো না, সেটা খাবো না বলে রাগ ঝাড়ে? বাচ্চাগুলো কি বায়না ধরে -‘ আজো মাছ- মাংস কিছু নেই?” দ্যাখ মুক্তি, ১০০ টাকা কেজি পেঁয়াজ তাও আমরা কিনে খাই, আলুর দাম বেড়ে গেলো ধারনার অতীত, ওদের কি হবে? কি করে ওদের জীবন চলছে”?
ড্রাইভার সাহেবের এ দরদ পছন্দ হলো না —” আপা, এরা সবচে বড় বদমাঈশ! চমকে উঠলাম কি বলে? কেন বললো? খিঁলগাও ওভার ব্রিজে ওঠার আগে রাস্তার ধারঘেসে ঝুপড়ি গুলো আরো একবার ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে নিচ্ছিলাম। উবারের ড্রাইভারটা ২৫/২৬ বছরের যুবক। এই শ্রেনীর যুবকেরা চিন্তায় এবং বলায় বেশ দৃঢ়তার ছাপ রেখে কথা বলে। আমি মনোযোগ নিবেশ করলাম ছেলেটার কথায়। চলন্ত গাড়ির বিশ্রী কিছু যান্ত্রিক শব্দে আওয়াজ কিছুটা ভাইব্রেট করছিলো। আগা থেকে মাঝবরাবর কিছু কথা উদ্ধার করে করে জোড়া লাগিয়ে নেই পূর্ণ বক্তব্যের শরীর। ড্রাইভারের ভাষ্যমতে– এগুলা সবচে বড় বদমাঈশ আপা, পাশেই হাসপাতালটা দেখছেন? মহা সুবিধা এগুলার। হাসপাতালের আশেপাশে সন্ধ্যা হলেই ঘুরঘুর করে, সুযোগ বুঝেই দালালী করে কেউ কেউ। কেউ কেউ করে মাদকের হাতবদল। বড় লোকের পোলাপান আসে সন্ধ্যাপার অন্ধকারের সুযোগ নিয়া, ওগো কাছে একদল মাদক বেচে আরেক দল আসে ওদের কাছ থেকে কিনতে। এগুলার প্রতি মায়া দরদ সব ফাও। আমি এ লাইনে গাড়ি চালাই বহুদিন ধইরা, সব দেখা আছে।’
বুঝলাম, যা চোখে দেখা যায়, তা সবসময় সত্য নয়। আবার যা দেখা যায়না, তাও মিথ্যা নয়। চলতি পথে কতকিছুই তো চোখে পড়ে, কটা দৃশ্য মনে দাগ কাটে আর ক’টা দৃশ্য চোখে পড়ে চোখে পড়ার মতো?
*****************
গুছিয়ে লিখতে চাই,অথচ মনের মতো না হলে আমার লিখতেই ইচ্ছে করে না। এ লেখাও হলো না মনের মত। তবু লিখলাম।লেখার মধ্যে থাকতে চাই বলে। তারওপর আছে আমার মাথার উপরে ছড়ি ঘোরাবার মতো একজন প্রাণের সখী ময়না।তিনি আমাকে কোনোকিছুতে ছাড় দিতেই চাননা,….. আজ তুমি লেখা দেবে’ : কি লেখা দেবো? লিখতেই পারছিনা কিছুদিন ধরে!
–এগুলাই লিখবা,
লেখা আসেনা, কেন আসে না, কেন মন মনের ভিতরে নেই!
:কেন যে আসে না লেখা, সেটা যদি লিখতে পারতাম!
–আমি এত কথা বুঝি না। লিখতে বলেছি লিখবে 😡😡
: আচ্ছা, চেষ্টা করছি কিছু একটা লেখার।
মন….
মন নেই মনের ভেতরে, কেন যে নেই! যদি লিখতে পারতাম, তাহলে বেঁচে যেতাম।
১৯টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
লিখেতো ফেললেন জীবনের এক করুণ অধ্যায়- জীবন যেমন যখন যেখানে। আসলে তাই যা
মনির হোসেন মমি
এইডা কেমন মন্তব্য পোষ্ট হইয়া গেল! বুঝলাম না!কেমনে অইল তাও জানি না।
ড্রাইভার যা বলেছে তা যে সব সত্যি তা নয়-আবার হতেও পারে তবে এর পিছনে কিন্তু পেটের ক্ষুধাার টান থাকে।
বন্যা লিপি
ভাই, সব সত্যের পেছনেও বড় ছোট বহুত সত্য থাকে। ওই যে লিখলাম! আসলে চোখের সামনে যা দেখি তা সবসময় সত্য নয়, আবার চোখের আড়ালে যা থাকে তাও মিথ্যা নয়। ড্রাইভাররা রাস্তাঘাটে বেশি ঘোরে যা আমাদের থেকেও বেশি দ্যাখে। আমি সাধারনত হুট করে কাউকে মিথ্যুক বলতে পারিনা। তবে কিছু যে সত্য আছে তা অবশ্যই মানি।এ বিষয়ে বিতর্কে জড়াতে গেলে এক জীবনে বিতর্ক শেষ হবে না।
সুপায়ন বড়ুয়া
ময়নার কথা শালিক বলে
হরেক রকম বাণী।
সবকিছুতে মজা লুটা
ভালই লিখেন জানি।
ভাল থাকবেন আপু। শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
না দাদা,, ময়না আর শালিক না, আমরা দুজনেই ময়না। ময়না-১, ময়না-২। ধন্যবাদ দাদা, ভালো থাকবেন সর্বদা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মন নেই মনের ভিতরে -এই কথাতেই সব বলে দিলেন। সত্যিইতো কখনো কখনো সবকিছু অহেতুক মনে হয়, যা ভাবছি অপ্রয়োজনে ভাবছি, যা করছি প্রয়োজনের অতিরিক্ত করছি নয়তো না করলেও চলতো এমন সব ভাবনা কিন্তু ঠিকই মনের ঘরে চপেটাঘাত করে। আমরা কখনো সেসব শুনতে পাই নয়তো পাত্তা দেই না। মনটাই যেন কখনো মনের ঘরে থাকে না । ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
বন্যা লিপি
এক বিশাল কুহকী রহস্যের আধার মনের জগত। এত বেশি নাছোড়বান্দার মতো গোঁ ধরে বসে থাকে! যে মাঝে মাঝে মনে হয়-‘ ধুর ছাই জীবন বড্ড ভারী’😔
ভালো থাকবেন দিদি।
সাবিনা ইয়াসমিন
একইসাথে দেখা জিনিস দুজনের চোখে একই রকম লাগবে না। সত্যি মিথ্যা আমাদের খুব সামনেই থাকে যেমন থাকে এক চোখ থেকে অন্য চোখ। তবু্ও দেখো, আমরা আলাদা করে একটা দিয়ে আরেকটা দেখতে পাই না। লেখা কিন্তু ঠিকই লিখেছো, যা বলতে পারছো না ভাবছো তাও বলার চেষ্টা করেছো। এখন হয়তো ভাবছো এটা কিছুই হয়নি/হলো না। কিছুদিন বাদে যখন এই লেখাটি পড়বে, তখন নিজেই চমকে উঠবে।
জরুরি নয় যা লিখতে/বলতে চাই ঠিক তাই-ই হতে হবে। কিছু কিছু অগোছালো মুহূর্তকে ধরে রাখতে হয়, বয়ে চলা ঐ সময়, ঐ অনুভূতির গুলোকে ভাষায় কপি করে। সত্যায়িত দলিলের এর মতো 🙂
আপনার ময়না আপনার উপর ছড়ি ঘোরায়!
আমিতো জানতাম পোষা ময়না ভীষণ লক্ষীপক্ষী হয় 😉
বন্যা লিপি
ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ সহকারে যা মন্তব্য দিলে, তারপর আর বলার কিছু নাই আমার। তবু কিছু বলি,
মনোজগতের আমি এক ভীষণ খারাপ বাসিন্দা। কারো কোনো কথা, কারো কোনো বিমুখতা আমাকে ট্রমায় ফেলে দেয় দীর্ঘতম সময় ধরে। তারপরও কিছু বিষয় থাকে উত্তরনের কোনোই পথ খুঁজে পাইনা। অগোছালো চেতনা তখন আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। লেখা তো দূর, আমি কোনোকাজও ঠিকঠাক মতো করতে পারিনা। যার প্রভাব আরো বিস্তৃতি ধারন করে। তোমার পরামর্শ মোতাবেক এক্সপেরিমেন্ট চালাব ইনশাল্লাহ্ কাল থেকেই, হাবিজাবি যা মনে আসে সেভাবেই লিখে রাখবো সময়ের কড়চায়।
আপনি কি বুঝতে কিঞ্চিত ভুল করেছেন? এ ছড়ি কোন ছড়ি’র কথা বলা হয়েছে? পোষা ময়না আসলেই লক্ষী পক্ষী আমার। আপনি ভুল বুইঝেন না😊
❤❤
ছাইরাছ হেলাল
লিখতে চাই, লেখার প্রাথমিক শর্ত, এর পর-পর শব্দ/বাক্য। শব্দ-বাক্যের বিন্যাস এমন নানান
বিষয়ের আগমন। এ যেন পুলসুরাত!! কী যে হয়/হবে আমরা কেউ জানি না। চাপ-চুপ ভুয়া , এগুলা কিচ্ছু না।
কিলিয়ে/কিলালে কাঠাল পাকে না। কাঠালে পাকনা-ভাব থাকতে হয়।
আহারে কী না কী ল্যাকলাম!! অনেক অনেক ল্যাহা আমিও ল্যাক্তে চাই। কারো কিল বিনা। আালগোছে আপছে!!
বন্যা লিপি
হা হা হা হা……. এইটা জোশ বলছেন মহারাজ-‘ কিলাইলে কাঁঠাল পাকে না- কাঁঠালে পাকনা ভাব থাকতে হয়’ ঠিকই কইছেন, কাঁঠালই হইতে পারলুম না, পাকা তো অনেক দূর কী বাত্।
ওই মনে যখন যেমন আসে তেমরই ল্যাক্তে ট্যাক্তে চাই আর কি! যা হয় হবে টবে আনে। আপনি না লিখলে এত এত শব্দ শিখমু কইত্থন? লেখেন লেখেন বেশি বেশি লেখেন।
আরজু মুক্তা
নিজ চোখ দিয়ে দেখি এক। আর চশমা পরলে আর এক। আসল দুনিয়া। রঙিন দুনিয়া। সবাইকে নিয়ে ভাবলে তো চলবে না। পাশের ক্ষুধার্ত ব্যক্তিটি ভালো আছে কিনা সেটাই দেখি।
কলমকে পানি পড়া টরা খাওয়ায় দেন। ঝাঁড়ফুঁক দেন। এমনিতেই যে লেখেন। এগুলোর মানে উদ্ধার করতে দাঁত কপাটি লাগে।
তবুও কলম চলুক।
শুভকামনা
বন্যা লিপি
পানি পরাটরা আপনে কুরিয়ারে পাঠান ফু’ম্মা, কিযে কন টন!! আমি নিতান্তই গণ্ডমূর্খ টাইপ লেখাজোঁকা করি বড় দুঃসাহসে, আপনাগো আছে পান্তাভাত পোড়ামরিচ😊 শরীলডা ভালো না, দোয়া কইরেন ফুপি। ভালো থাকবেন সবসময় ভালবাসা❤
আরজু মুক্তা
দোয়া সবসময়। আল্লাহ ভরসা
রেহানা বীথি
মনের ভেতর মন থাকে না অনেক সময়ই। লেখা তখন মায়াহরিণ। কত সাধ্য-সাধনায় যে শব্দের পিঠে শব্দ বসে!
পলিথিনের ঝুপড়িতে সংসার হয়, হয় রেললাইনের ঢালুর ওপর এক চিলতে ঘর। ঘরের ঢালুতে খাল, সাপ-ব্যাঙ-বিচ্ছু। আমরা অবাক হই, কিন্তু ওরা স্বচ্ছন্দ।
মন মনের ভেতর না থেকেও কত সুন্দর কথাগুলো লিখে ফেললেন আপু।❤️
বন্যা লিপি
আমি রাস্তায় বেরোলেই এইসব ঝুপরিগুলো খুব আগ্রহ নিয়ে দেখি। ফুটপথে ওদের ঘরসংসার।ওদের নিত্যদিনের যাপিত জীবন, আমি ঝড় বৃষ্টি এলেও ওদের ঝুপরিগুলো নিয়ে ভাবি- কেমন থাকে তখন ওরা? বিগবাজেটে কতকিছু হয় এ দেশে সারা বিশ্বে, অথচ এদের পূনর্বাসনের চিন্তা কেউ করে না।
প্রদীপ চক্রবর্তী
মনের ভাবনায় লেখা না আসলে লিখে যাওয়া বড্ড কঠিন।
মন নেই মনের ভেতর তবুও হরেক ভাবনায় এত লেখা।
তা তো কমকিছু না, দিদি।
ভাবনার জগত কখনো ক্ষুধার্ত কখনো আকণ্ঠ ভোজনে তৃপ্ত।
তবুও লিখে যান,দিদি।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমাদের তো আর ময়না নেই, তাই ছড়িও ঘুরায় না। আর এত চমৎকার অভিব্যক্তির প্রকাশ ও হয় না। সবার জীবনে ছড়ি ঘোরানো ময়না আসুক।***
রিকসাঅলাকে মারলে সেটা নিয়ে সবাই কথা বলে। তার অপরাধ চোখে পড়ে না। মজার ব্যাপার হল এই শ্রেণীর মানুষও অন্যায় করে কিন্তু সহানুভূতি নামক শব্দটির আড়ালে ঢেকে যায়।
শুভ কামনা। শুভ সকাল।
রেজওয়ানা কবির
জানালার ওপারে বেয়ারা বাতাস সীমালঙ্ঘন করেই ঢুঁকে পড়ছে ইচ্ছে মতো।
মন নেই মনের ভিতর তবুও এত সুন্দর লিখেছেন আপু যে আপনার এই লেখা পর পর ২ বার পড়লাম।
আপু সাজেদা ফাউন্ডেশনে পথ শিশুদের নিয়ে কাজ করেছি ২ বছর।কাওরান বাজার ওভারব্রিজের উপর থাকা মানুষগুলো বা তেজগাঁও রেলস্টেশনের পাশের মানুষগুলো কিভাবে ঐ ঝুপরির মাঝে থাকে, কিভাবে একঘরে এতমানুষ থাকে, আর কিভাবে তারা জীবন যাপন করে তা খুব কাছ থেকে না দেখলে বোঝা যায় না।তবে অনেকসময় এরা পেটের দায়ে অনেক অন্যায় করে। আপনার লেখায় ফিরে গিয়েছিলাম আমার পুরনো স্মৃতিতে।