বলছিনা ভালোবাসতে হবে, বলছিনা কাছে আসতে হবে,
বলছিনা অনেক নৌকায় পা রাখা যাবে না!
কাজলচোখের আয়নাজলে স্মৃতি হাতড়ে হাসতে হবে;
কথা হবে না, দেখা হবে না
বুকে জড়িয়ে চুমুও না, হৃদয়ে হৃদয়ও জড়াবো না,
চোরা স্নানে একান্তে একাত্ম হবো না;
তবুও
প্রজাপতি হয়ে ফুল ফুটবে ফুলেরা গন্ধ বিলাবে,
কোকিল ডাকা বসন্তে নীলাকাশ হাসবে;
শিশির ভেজা গোলাপ যেমন আছে তেমন থাকুক
পাহাড়ের কোলে চাঁদের জ্যোৎস্না যেমন আছে তেমনই থাকুক;
আহ্লাদি ভালোবাসা নদীর বাঁকে বাঁকে ঝরে পড়ুক,
মন্বন্তরেও ভালোবাসা ভালোবেসেই বাঁচুক।
মেধায় স্বভাবে ভূমিকম্পের মত কেঁপে কেঁপে ওঠা ভালোবাসা
শুধুই লোভায়, প্রাকৃতিক সারল্যের জটিল যন্ত্রণায়;
৫৮টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
উহ্ ভাউ দারুন। আমিতো আপনাকে এমন শিখাই নাই, কার কাছ থেকে শিখলেন? ;?
আত্মত্যাগ নাকি নিবেদন? যা তোকে ছেড়ে দিলাম, ভালো থাকিস, সুখে থাকিস 😀
আচ্ছা দুস্টামি বন্ধ। ভালোবাসা দেখেই আনন্দ, কাছে আসলেও, না আসলেও। তবে বলছিনা বলেও কিন্তু বলেই ফেলেছেন। এ হচ্ছে কবির চতুরতা।
আজ সারাদিন মনে হচ্ছে ভালো যাবে, দুটো অসাধারন লেখা দিয়ে দিন শুরু।
ছাইরাছ হেলাল
না,মানে, আমিতো দেখে দেখে শিখি!
নৌকাভ্রমণে শেখাশিখি করি, শেখা আর শেখানোর কি শেষ আছে!
অসাধারণ লেখা তো আমিও খুঁজছি, কৈ তা? আপনি ছাড়া তা কেউ লেখতে পারে নাকি!
প্রেম-ফ্রেম বলে কিচ্ছু নেই, মায়াবিনীর জলতরঙ্গের লহরী!
কবিরা বোকদা হয় এত্তকাল জেনেছি, চতুর কবিও হয় তাহলে, আগে তো বলেননি!!
শুন্য শুন্যালয়
আইজ সবাই দেখি নৌকা নিয়া পড়ছে, আল্লাহ্র দয়ায় পা দুইখানই আছিলো, বেশি হইলে আরো মসিবত হইতো। না অনেক নৌকায় পা রাখা যাবেনা, এ আপনি বলতেই পারেন না
শুন্য শুন্যালয়
দূর ছাই, দাঁত দেখানোর স্মাইলি তে ক্লিক দিতে গিয়া মন্তব্যে দিছি, এইভাবে কত কথা কইতে গিয়াই খালি বাঁধা পড়ে, ধুর আর লিখুমই না। অসাধারন লেখা চারচোখের মানুষদের জন্য না। ফ্রেশ, টাটকা রোগবিহীন চোখ লাগে, পরপর দুই দোস্তের লেখা দেখলেই বুঝতে পারবে তারা। মায়াবিনীর মূল্যই এখন বেশি, বাঁকি সব ফাও প্রেম-ফ্রেম। কবিরা যে কতকিছু হয়, তা কালে কালে আরো দেখবেন, দেখাইবেন, অপেক্ষা।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা,অনেক নৌকায় চড়লাম না, তা ভাইয়া ক’খানা পর্যন্ত এস্তেমাল করা যাবে
সে বিষয়টি যদি একটু খোলসা করে বলে দিতেন তাতে জাতি খুবই উপকৃত বোধ করত।
দেখুন পা দু’খানি হলে অনেক নৌকায় চড়া যায়,
ছাইরাছ হেলাল
ইস কবে যে ফ্রেস চক্ষু দিয়ে সব কিছু ফকফকা দেখুম কে জানে! আপনি দেখতে পাচ্ছেন তাও বা কম কী!
দেখুন বীণ কিন্তু খুবই মনোহর! ফ্রেম-ট্রেম খুব খ্রাপ,
কবিরা এত্ত কিছু, খুব খেয়াল করে কবিতা খেতে হবে পানি সহযোগে!
মারজানা ফেরদৌস রুবা
নির্ভেজাল প্রেম! এ কেবলই মায়া, নয় কোন মোহ। শুধুই ভালো বাসাবাসি। (y)
ছাইরাছ হেলাল
কেবলই মায়ামায় মায়াবীণ,
মোঃ মজিবর রহমান
এই ভালবাসায় চাওয়া নেয় আছে মমত্ববোধ
এই ভালবাসায় অন্তর আছে আছে ভালবাসার মহত্ব
এই ভালবাসায় আছে মানবতার ছড়াছড়ি
আর আছে অনন্তকাল জড়াজড়ি, কোলাকুলি।
জিইয়ে থাক হৃদয় হতে হৃদয়অঙ্গম মাঝে।
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, ভালুবাসা ভালু না কিন্তু,
আপনিও কবি হয়ে গেলেন।
মোঃ মজিবর রহমান
দুখিত মুই যদি কবি হয় তালে তো আপনারা
কবিতা লেখা ছেড়ে আশ্রয় নেবেন মহাকবিতে।
ভাল আছেন হেলাল ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
ভাল আছি ভাই, কবে যে আপনার সাথে দুইডা ডাল-ভাত খামু আল্লাহই জানেন,
মেহেরী তাজ
এতো পুরাই আবেগে আবেগময় পোষ্ট!
সত্যি কথা ভাইয়া এতো ভালোবাসা ভালো নয়!
আপনি এমন জটিল লেখা কিভাবে লিখলেন? আপনি তো সব সময় সহজ থেকে সহজতর লেখা লিখেন! আজ ব্যতিক্রম হয়েছে। গুরু বদল হলো নাকি??? :p
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, আমার গুরু মহা গুরু, অনেক জনমের ভাগ্যে তাঁর কাছে ন্যাড়া বাঁধা হাসিল করেছি,
সে ই চিঁচিঁ করে চিক্কুর দিয়ে এমন জটিল! করে লিখতে বলে দিয়েছেন,
সাবধান, ভালবাসা ভালু না কিন্তু,
এদিকে লেখা দিচ্ছেন যে বড়!
মেহেরী তাজ
আইচ্চা গুরু যদি বলে থাকে তাইলে তো কথায় নাই!
আমি ভালোবাসা টালোবাসার ধারে ধুরে নাই। সো আমার চিন্তাও নাই।
কিন্তু আপনার মহা গুরুর দর্শন পাইতে ইচ্ছা করতেছে.।।।।।।
আসবে আসবে একটা অ্যাটোম বোম আসবে।।।।। 😀
ছাইরাছ হেলাল
খুবই পুণ্যের কাজ করেছেন, ভালুবাসা-টালুবাসার লাইনে যাননি!
বেদবাক্য অলঙ্ঘনীয়,
গুরুজি আপনার আশেপাশেই আছে, নাম বলা নিষেধ।
আমাগো জানে মারবেন শেষ কালে! এই ছিল মনে!
মেহেরী তাজ
গুরু আশেপাশে আছে? তাইলে তো চিনে নেওয়া কোন ব্যাপার ই না!
এটা শব্দের বোমা। কান সংশয় হতেই পারে কিন্তু প্রাণ সংশয় হবে কোন ভাবেই!
ছাইরাছ হেলাল
প্রাণখানি এযাত্রা বাঁচিয়ে দিলেন!
প্রাণ যখন বেঁচেছে কান-কুন না থাকলেও চলবে,
গুরু চেনা-চিনি হলে আমাদের জানান দিয়েন,
মেহেরী তাজ
আমি কারর প্রাণ নিয়ে খেলি না!
গুরুকে চিনলেও বলা যাবে না! আপনিই বলেছেন… 😀
ছাইরাছ হেলাল
যাক, এ যাত্রা প্রাণে প্রাণ পেলো,
আচ্ছা গুরুর কথা বলতে হবে না,
মৌনতা রিতু
নৌকা নিয়ে মন্তব্য আর করলাম না।
তবে শুধু বলছি,” বলছি না ভালবাসতেই হবে,
পূর্ণিমাতে ভেসে গেছিল যে নীল দরিয়া,
তাতেও দেখেছিলাম জলের দর্পনে এই মুখ খানি।
সে চেয়েছিল ঐ পানে।
তাকে ডেকে বলিনি, বসে আছি এই তীরে, এই নির্জনে।
বুকের মাঝে তাকে আটকানোর যে যন্ত্রনা তা থেকে মুক্ত ঐ বিহঙ্গে তাকে উড়িয়ে দিয়েছি।
,,,,,,,,,,,,,,,,,, আহা ! ক্যা মন্তব্যখান করিলাম। জিউ জিউ রিতু, জিউ।
^:^ ^:^ ^:^ ^:^ ^:^
ছাইরাছ হেলাল
ইস, এখানেও দেখছি এতীর ওতীরে তিরতিরানি,
চিক্কুর পারলে মন্দ হতো না!
এ দেখছি এক জাঁহাবাজ যন্ত্রণা,
দারুণ মন্তব্য, অসাধারণ।
জিসান শা ইকরাম
শুধুই লোভায়!
লোভ থেকে দূরে থাকা ভাল, ভালবাসা খুব খ্রাফ।
ছাইরাছ হেলাল
ভালুবাসা ভালু না, খুবই খ্রাপ সে তো দেখতেই পাচ্ছি।
তবুও লোভায়!
অনিকেত নন্দিনী
বুকে জড়িয়ে ধরলেই কি হৃদয়ে হৃদয় জড়ানো যায়? আক্ষরিক অর্থে জড়িয়ে ধরা দুইজনের একজনের হৃদয় যদি ডানদিকে হয় তাহলেই কেবল হৃদয়ে হৃদয় ছোঁয়ানো যায়।
অপরদিকে প্লেটোনিক ভালোবাসার হিসাব করলে এইসব ছোঁয়াছুঁয়ি লাগেনা, ছোঁয়াছুঁয়ি ছাড়াই হৃদয়ে হৃদয় জড়িয়ে যায়।
এইবার আসল কথায় আসি। নৌকায় নৌকায় ঘোরাঘুরি করতেই বুঝি বারবার এই সমুদ্রগমন? ;?
হ, মন্বন্তরেও ভালোবাসারা ভালোবেসেই বাঁচুক।
ভালোবাসারা লোভায় তো কী হইছে? একদম পাত্তা দিয়েন্না। আপনি কি লোভি নাকি, হুম্ম?
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন একান্তে একাত্ম হয়ে জড়াজড়ির সময় বক্ষ পিঞ্জরে হৃদয়ের অবস্থান কোন বাধা নয়,
আমরা মাটির মানুষ প্লেটনিক আমরা ভালু পাই না, নুন-মরিচ আমাদের লাগেই,
কোষা নৌকা আসলেই দারুণ!
দেখুন টক আঙ্গুরের চাহিদা কোন অংশেই কম না,
অনিকেত নন্দিনী
কোষানৌকায় চড়ি নাই, তাই কইতারিনা দারুণ না করুণ।
চাহিদা কম বেশির হিসাব করিনা তয় সবার লোভ এক স্তরের না কইলাম। 😀
ছাইরাছ হেলাল
লোভালুভি একদম খারাপ না, স্তরের বিন্যাস সত্বেও।
আচ্ছা কোষানৌকা চেনামুনে! চড়লে বা চড়ালে দারুণ না বলে পারবেন না।
ইঞ্জা
অসাধারণ এবং প্রেমময়, বিমোহিত হলাম। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
বাড়িয়ে বলা কিন্তু ঠিক না ভাই,
ইঞ্জা
একদম বাড়িয়ে যে বলিনি তা বাকিদের কমেন্টস দেখেই বুঝা যায়রে ভাই। 😀
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ ভাই।
নাসির সারওয়ার
মিছা কথা। সবটাই মিছা
একটা চুমু দিয়াই যদি হৃদয়ে হৃদয় জড়ানো যাইতো
তাইলে তো সবই ফকফকা হইয়া যাইতো।
ভারী মিছা কথা।।
ছাইরাছ হেলাল
সব ফকফকা করতে চুমু-ফুমু এট্টু লাগেই,
কথা মিছে হলে কাম কিন্তু পুরাই হাচা,
আবু খায়ের আনিছ
এবার আবার কেমন প্রেম? চাওয়া পাওয়া কিছুই নেই। এতটা নিঃস্বার্থ কি হওয়া যায়।
ছাইরাছ হেলাল
ইহাও এক প্রকারের প্রেম-ফ্রেম জাতীয় ঘটনা,
কল্পনার রাজ্য খুবই গদ্যময়,
আবু খায়ের আনিছ
প্রেম যেন তার রূপক সুখ নাকি যন্ত্রনা? হা হা হা
ছাইরাছ হেলাল
বিষফোড়া, সুখ সুখ যন্ত্রণা।
লীলাবতী
ভালোবাসা ভাল না বুঝলাম, তারপরেও তো ভালোবাসাহীন মানুষ অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজতে হপে 😀
ছাইরাছ হেলাল
খুঁজুন খুঁজুন, সাহায্যকারী লাগলে আওয়াজ দিয়েন,
ব্লগার সজীব
ভালবাসা ভাল, সবাই কি ভাল না হলে ভালবাসার জন্য পাগল হয়?
ছাইরাছ হেলাল
পাগল হলেই বুঝবেন ধোয়া কোত্থেকে বেরচ্ছে!
খেয়ালী মেয়ে
ভালোবাসা ভালো না, তারপরও আমরা সবাই ভালোবাসার কাঙাল 🙂
(y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) এমন লেখার জন্য আরো লাইক দিলেও তা কম হবে
ছাইরাছ হেলাল
হয়ত না ভালো কিছুর জন্যই আমাদের অনেক টান।
এত্ত লাইক! আরও দিন, এত্তদিন পরে এলেন অনেক পাওনা যে,
লেখা চাই অতি অতি দ্রুত, এদিকেও অনেক লেখা পড়ার অপেক্ষায় আছি।
খেয়ালী মেয়ে
(y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) (y) 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত! অনেক অনেক ধন্যবাদ,
অপার্থিব
ভাল লাগলো কবিতা।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।
মিষ্টি জিন
হেলাল ভাইর কবিতার হাত যে অসাধারন তা আবার প্রমানিত হোল ।
কয়েকবার পড়লাম
খুবইইইইই ভাল লেগেছে ।
ছাইরাছ হেলাল
আরো বেশি বেশি বার পড়ুন,
তবে যা লিখি তা কবিতা কীনা সে ঘোরতর সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
আপনার লেখার অপেক্ষায় আছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
“আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে”—আপনিও দেখি নির্মলেন্দু গুণের মতো বলছেন।
“ভালোবাসা ভালো না, ভালোবাসা ভালো
এই করিতে করিতে জনম গেলো।” কার লেখা জানি না কিন্তু। 😀
ছাইরাছ হেলাল
তাঁর নকল করেই বলেছি, তার মত!!
তা আপনার মত কী? ভালু!!
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালোবাসা অবশ্যই ভালো।
ছাইরাছ হেলাল
জ্ঞানীরাই জ্ঞানী!
ইলিয়াস মাসুদ
কিছু কিছু সুন্দর্য মানুস যেমন চম্কিয়ে দেয় তেমন চম্কানো কবিতা,অপুর্ব ভাইয়া
ছাইরাছ হেলাল
আদৌ কবিতা কিনা সে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সব কিছুকে এ ভাবে ফ্রি করে দিলেন যেন হলেও ক্ষতি নেই না হলেও মন্দ নয়।সুন্দর -{@
ছাইরাছ হেলাল
সামান্য ফ্রি ফ্রি ভাবেই চলুক।
বহুদিন পর এলেন, এ ভাবে ভুলে যাওয়া ঠিক না।