আমি এখন স্বপ্ন দেখি ক্রান্তিকালের
এখন আর চোখে ভাসেনা মধুচন্দ্রিমা
“ওই ঝিনুক ফোঁটা সাগর-জলের।”
এখন আমার গন্তব্য–
দুজন মিলে বৃদ্ধাশ্রম
হৈ-হুল্লোড় মনে মনে
চোখে চোখে আলিঙ্গন।
** অনেক বছর আগের লেখা। দেশে ছিলাম, চারদিকের পরিবেশে বয়সটা যেনো পঞ্চাশ হয়ে গিয়েছিলো। আজ লেখাটি চোখে পড়তেই হাসি পেলো। পরিবেশ মানুষের মনে কেমন প্রভাব ফেলে সেটাই দেখিয়ে দিলো লেখাটি আমায়। হাসবেন সবাই, কিন্তু এটাই সত্যি আমার মনের বয়সটা দিন কে দিন কমে যাচ্ছে এখানে সোনেলায় এসে। সোনেলার প্রতি কৃতজ্ঞ আবারও, আর অবশ্যই তাঁদের যারা রোজ আমায় উৎসাহিত করেন লিখতে। ভালোবেসে ভালোবাসতে শেখান।
***প্রথম ছবিটি আমারই তোলা। আটলান্টিক মহাসাগর ২০১১ সালের আগষ্ট মাসে। আর দ্বিতীয়টি ল্যাপুর ওয়েব ক্যামের।
নতূন বাজার, সিলেট
২ আগষ্ট, ২০০৮ ইং।
৪৯টি মন্তব্য
অনিকেত নন্দিনী
ইচ্ছেঘুড়ি বড্ড বেপরোয়া হৃদয়ের আকাশে।
নিজের ইচ্ছেমতো উড়ে চলে
সাদামেঘ-কালোমেঘের তফাৎ বুঝেনা, বুঝতে চায়না।
নিঃসংকোচে কালোমেঘের ভেতরে ঢোকে পড়ে
ভিজে যায়, গলে যায়।
ঘুড়ির শরীর খুলে খুলে পড়ে
রয়ে যায় শূন্য নাটাই, একলা সুতো…
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতায় মন্তব্য! অনেক প্রিয় আমার। যদিও আমি পারিনা।
উড়ছে উড়ুক ইচ্ছে মতো
কোথায় আর যাবে!
ওই আকাশের শেষ সীমানায়
ঠিকানা খুঁজে পাবে।
মেঘের ভেতর ডানা মেলে
স্বপ্ন কেবল ভাসে
নীল রঙ মেখে নিয়ে
ইচ্ছেগুলো হাসে।
যাচ্ছে সে আড়াল হয়ে
কতোদূরই বা যাবে
ভালোবাসার নাটাই হাতে
জানি ফিরে আসবে।
দিদি চেষ্টা করলাম। ভালো থাকুন। আজকের মতো যাচ্ছি। -{@
লীলাবতী
ভালো লাগলো দিদি।একটি বৃদ্ধাশ্রম আমারো স্বপ্নের।জানিনা এটি হবে কিনা।বয়স তো আমার একদম কমে গিয়েছে সোনেলায় এসে।আমি এখন বায়ো কি তেয়ো :p -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি অবশ্য বায়ো-তেয়ো না। ওই প্রিয় সময় সতেরো-আঠারো। :p
আমারও স্বপ্ন ছিলো, তবে জানি আমায় দিয়ে হবে না। সাধ আছে কিন্তু… 🙁
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বয়সের বিবেচনায় জীবন
রঙ্গ রসের আকাংঙ্খা শেষ হবার নয়
মনের বয়স থাকুক অটুট
নির্মল আনন্দে যেন জীবন পরপারেও রয়। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই বুড়ী এ জীবনে হবোনা, এটা নিশ্চিত। ধন্যবাদ। 🙂
খেয়ালী মেয়ে
দারুন লেখা,দারুন ছবি (y)
শেষে আবার, মনের বয়সটা দিন কে দিন কমে যাচ্ছে এখানে সোনেলায় এসে 🙂 দারুন তথ্য..
নীলাঞ্জনা নীলা
পরী আপু এতো আসলেই কিন্তু। মানুষ যখন আনন্দ পায়, যেখানে সে ওই আনন্দটুকু পায় তখন সে ভালো থাকে। এখানে এলে এই যে আনন্দ-স্ফুর্তি পাই, আর কোথায় পাই বলো? ব্যস্ততার জীবনে এটুকুই আমার স্বস্তি আমার আছে সোনেলা আর তোমরা। -{@ (3
জিসান শা ইকরাম
ছবিটায় এত বেশী নীল যে তাকালে চোখ ঝলসে যায় এমন অবস্থা
নীচের নীলার ছবিটায় কম নীল 🙂
আমরাও সোনেলায় স্বরূপে নীলার বিচরন দেখে মুগ্ধ হচ্ছি।
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা ওই নীলটা যে আমি ছড়িয়েছিলাম নানা। তখন সোনেলা ছিলোনা।
আর নীচের নীলার কাছে নীল আসেনা তো, তাই নীল কম 🙁
তবে স্বরূপ বলতে কি বোঝালে? ;?
পারভীন সুলতানা
বয়স হলে কি রুপ রস গন্ধের অনুভুতি কমে যায়? নাকি আরও পরিনত হয় ! সুন্দর লেখা । ভাল লাগলো
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্যে। 🙂 -{@
বয়স ব্যাপারটা আমার কাছে কেমন জানি লাগে। আমি এখনও বদলাতে পারিনি নিজেকে। সেই যেমন
দুষ্টু আর শান্ত ছিলাম এখনও তেমনই। ভাবছেন এ কি করে সম্ভব! সবার কাছে কি আর দুষ্টুমী রাখতে পারি? :p
মেহেরী তাজ
ও হো হো আমার তো বয়স কখন ও বাড়েই নি। আমি পিচ্চি। সে সোনেলার সুবাদে।
আমি সোনেলাকে ভালোপাই সাথে আপনার লেখা ও। এত্তো ভালো লেখেন না ভালোপেয়ে উপাই আছে? -{@ 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
এই রে এসব তো লেখার জাতই না। কি যে লিখি আর দিই এখানে ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে সবাই তোমরা
ভালো ভালো বলো। আরে পিচ্চি আপু আমার এই ইনোসেন্ট :p মুখটার দিকে চেয়ে ভুল করোনা কিন্তু :p
শুন্য শুন্যালয়
দুজন মিলে যমের কাছে যেতেও রাজি আমি 🙂
দুইখানা সমুদ্রের ছবি, কোনখানা দেখি?
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু যমের কাছে? ওরে বাবা সে পারবোনা। বরং চলো ভালোবাসি, বেসেই যাই এই নাও আমার (3
তবে হ্যা সমুদ্রে যেতে পারি। নীচেরটাকে দিয়েছি যে কেন, এখন আসলেই বুঝছিনা। :p
মরুভূমির জলদস্যু
-{@ এখন আমার গন্তব্য–
দুজন মিলে বৃদ্ধাশ্রম
হৈ-হুল্লোড় মনে মনে
চোখে চোখে আলিঙ্গন। -{@
(y) এইটা আমার কথা (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
এ মনে হয় অনেকেরই কথা। ধন্যবাদ আপনাকে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ছবিই দু’টোর ক্যাপশন কবির লেখার মতই এক কথায় অসাধারণ।
বয়স কোন কিছুরই অন্তরায় নয়, তা আবারও প্রমাণিত।
শুন্য শুন্যালয়
কবিতাটা ভালো ছিলো 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু কিসের কবিতা?
ছাইরাছ হেলাল
এখানে আপনি কবিতা দেখলেন কোথায়?
দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়ে চৌক্ষ পরীক্ষা করান ভাই সাব।
শুন্য শুন্যালয়
তাইতো কিসের কবিতা!! আমার আসলেই হার্টের ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। গোড়াতেই মধুচন্দ্রিমা না সারলে যা হয় আর কি!!
নিচের ছবি কেন দিছো তুমি বোঝ নাই? উপরের নীল রঙ দেখে যখন সবার মাথা আধা খারাপ হবে তখনই মনে করিয়ে দেয়া, মাথা খারাপ করিয়ে দেয়া আরো কিছু দুনিয়াতে।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু মাথা খারাপ আমার জন্মের পর থেকেই। তাই চেষ্টায় থাকি সবার মাথা খারাপ যেনো হয়। :p মধু খাইনা গো, আর চন্দ্রিমার থেকে নক্ষত্র টানে আমায়। স্বাতী নক্ষত্র আহা।
বুঝিনি কবিতা আসলে কিসের? কবি ভাই কি কবিতা লিখেছিলেন? আসলেই বুঝিনি। ;?
নীলাঞ্জনা নীলা
ঘটনা কি!!! কবিভাই একেবারে ফরমাল মন্তব্য? ;?
মন খারাপ নাকি? চিত্রাঙ্গদা-মেহজাবিন-নন্দিনী কি ছ্যাঁকা ভালোই দিয়েছে (-3 ? :D)
আহারে। আগেই বলেছিলাম আরে এক কূল তো ধরে রাখুন, তা নয়!
বড়ো বড়ো কথা বললেন এক কূল গেলে আরেক কূল আসবে। এখনও কি আসেনি?
কি আর করা বলুন! অপেক্ষায় থাকুন বরং।
ছাইরাছ হেলাল
ছ্যাঁকা দেয়াই যখন কাজ তখন কাউকে না কাউকে তো তা খেতেই হবে।
ভাব্বেন্না, ব্যবস্থা হয়ে যাবে শীঘ্রই।
দু’খানা সমুদ্দুর দেখে ভয়ে মন্তব্যেরা পালিয়ে বেঁচেছে।
এখানে প্রবল সমুদ্র ভীতি আছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনি বুঝি কবিতা লিখেছিলেন? তারপর মুঁছে দিয়েছেন? ঠিক করেননি। কেন? কারণটা জানলে খুশী হতাম।
ছাইরাছ হেলাল
কে আবার কোথায় কোবতে লিখল তা তো জানিনা।
আমি তো ভাই কবি না, কী সব যে বলেন আপনারা।
নীলাঞ্জনা নীলা
ওহ আপনি চুপ করে ঘাপটি মেরে ব্লগে বসে আছেন?
ভালো ভালো। আর অবশ্যই লিখেছিলেন, শুন্য আপুর চোখ ভালো খুব।
ছাইরাছ হেলাল
আমি ঘাপটি মারিনি, এ সময়ে আপনি এখানে কেন?
আপনার আপুর সাথে দেখছি আপনার বেশ চলছে,
তা চলুক, তবে ডাক্তার-ফাক্তার দেখিয়ে নিয়েন দু’জনেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালোই তো দেখি, আমি কখন আসি আর কখন যাই তার খবর ভালোই রাখেন! কি ব্যাপার স্পাইগিরি করছেন? ঠিক না। আর ডাক্তার দেখাতে হয়না, নার্সিং-এ আছি, কিছু হলেও বুঝি। তবে আপনার মনে হয় পাবনায় যাওয়া উচিৎ খুব তাড়াতাড়ি। :p
ছাইরাছ হেলাল
তা পাবনার ও দিকটিও বুঝি সে্রে এসেছেন!!
খবর তো রাখতেই হয়, কোথায় কে কখন কীসব করে বসে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ডাক্তার যে ঔষধ দেয় তা কি খেয়ে তবে দেয়?
যে পেশায় আছি তাতে কিছু তো বুঝি কার কি ঔষধের প্রয়োজন।
আর কি খবর নেবেন আমার? জিজ্ঞাসা করে দেখুন, আমি আবার গোপনীয়তা কিংবা অর্ধেক কথা বলিনা। পছন্দও করিনা।
ব্লগার সজীব
ভালো লেগেছে নীলাদি -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া অসংখ্য ধন্যবাদ। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
তোমার নাক্ষত্রিক নীরবতা কতদিন চলবে গো আপু? কই গেলা তুমিইইইইইইই? 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপুউউউউউউউউউউউউউ
নীরবতা ভাঙ্গাতেই তো এলাম। আসলে খুব ব্যস্ত ছিলাম। কালও ব্যস্ত। আমি বৃহস্পতি থেকে শনি পর্যন্ত খুব ব্যস্ত থাকি। আজ রোগী ক্যানসেল করায় বাসায় তাড়াতাড়ি ফিরেছি। কেমন আছো? খুব মিস করেছি তোমায়। জানতাম তুমি অবশ্যই খুঁজবে আমায়। ভালোবাসি সত্যি -{@ (3
অরণ্য
“হৈ-হুল্লোড় মনে মনে
চোখে চোখে আলিঙ্গন।” (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
🙂 -{@
মিথুন
আপুর লেখাগুলোর একটা মজার দিক আছে। সব লেখার তারিখ আর লেখার পেছনের আবহাওয়াটা মনে থেকে যাচ্ছে। আপনি সবকিছুতেই অনন্য আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
এই সেরেছে আমি অনন্যা নই। সাধারণ একজন। মনটাকে প্রজাপতির মতো ওড়াই, আর সেই পাখনায় একেকটি রং সাজাই। সেই রংগুলো সবাই আপনারা। -{@ (3
অরুনি মায়া
হোকনা মনের বয়স কম।
ক্ষতি কি যদি চির যৌবনা মন হাসি খুশি থাকে সারাক্ষণ?
নীলাঞ্জনা নীলা
কি সুন্দর বললেন? মনের বয়স তো বাড়ছেই না। এ যে দিনের পর দিন কমেই যাচ্ছে গো। :p -{@
নীতেশ বড়ুয়া
রবি ঠাকুর সেই আটলান্টিকের এই ছবিটি দেখে নির্ঘাত আপনার ছবির প্রেমে মজে গিয়ে নতুন করে কিছু একটা লিখতেন :p
নীলাঞ্জনা নীলা
ইস!!! কেন ওই যুগে জন্মালাম না? বুড়ো আমার প্রেমে পড়লে আর কোনোদিকেই দৃষ্টি দিতো না এটুকু কনফার্ম। :p
ওসব কথা থাক। এতোদিন ছিলেন কোথায়? এসব ঠিক না কিন্তু। :@
নীতেশ বড়ুয়া
সিলেট শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম…সেই ফাঁকে আপনার রবি প্রেমের খবর জেনে গেলাম 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
সিলেট গিয়েছিলেন? আমাদের বাসা ছিলো শমশেরনগর চা’ বাগানে।
এ প্রেম শেষ হবার নয় :p 😀
নীতেশ বড়ুয়া
আমি এখনো সেভাবে চা বাগানে যাইনি। তবে লালাখাল ঘুরে এলাম, সেই সাথে সুনামগঞ্জের র শেষ প্রান্তে নদী পেরিয়ে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে আমাদের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থান আর শহীদ মিনার নারায়নপাড়ায় দেখে এলাম।
আপনার এই প্রেম এমনই প্রেম যে সেই সুদূর বেলজিয়াম থেকেও রব উঠেছে -নীলাকে আর যাই বলো রবি বাবু নিয়ে খোঁচা দিয়ো না নচেৎ তোমার কপালে শনি ছেড়ে মঙ্গল চড়াবে :p 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
মন ভালো করা মন্তব্য পাই প্রচুর। কিন্তু প্রাণবন্ত হাসির চোটে দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে, এমন মন্তব্য কমই পাই। সেটা পেলাম। একেবারে ঠিক রবি বুড়োকে নিয়ে টানাটানি করলে তার শনি-মঙ্গল দুটোই চড়বে। 😀
যাক শমশেরনগর চা’ বাগান একবার ঘুরে আসবেন। যদিও এখন কিছুই নেই। তবুও আছে বেশ কিছু দৃশ্য। বিশেষ করে শমশেরনগরের ডবলছড়া চা’ বাগানের নৈসর্গিক দৃশ্য মন কেড়ে নেয়ার মতো।