ব্লগারদের দেখিবার শখ বহু দিনের। তাহারা দেখিতে কেমন, কী খায়, কেমন করিয়া কথা কহেন, কী ধরনের পোষাক
পরিধান করেন, আর ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট কেমন করিয়া চালান? কিন্তু পাইবো কোথায় ইহাদের?
খুঁজিতে খুঁজিতে বেদিশা ( বিদিশা না ) হইয়া গিয়াছি। শুনিয়াছি তাহারা নাকি বই মেলায় আসেন।
কিন্তু এত মানুষের মাঝে বুঝিবো কীভাবে কে ব্লগার আর ব্লগার না? মনের মধ্যে কেমন জানি ডাক আসিয়া গেল আজ
হয়ত সেই দিন, আজ মনে হয় আমার ভাগ্য সু প্রসন্ন হইবে। বিসমিল্লাহ্ বলিয়া বই মেলার উদ্দেশ্যে বাহির হইলাম।
দেখিলাম বাংলা একাডেমীতে বিশাল লাইন, লাইন দিয়ে বইমেলায় ঢুকিতেছে সবাই।
জিসানির কথা মনে পড়িলো, বলিয়া দিয়াছে বেশি ভিড়ে যাইবে না। তাই কম ভিড়ে লাইনে দাঁড়াইয়া
সহরোওয়ার্দী উদ্যানেই ঢুকিয়া পড়িলাম।
লোকজন তেমন একটা নেই। কেমন ফাঁকা ফাঁকা। ভালোই হইল, যদি তাহারা আসেন খুঁজিয়া পাইতে সুবিধা
হইবে ভাবিয়া আমার মন খুশীতে নয় খান। মনের খুশি দন্ত স্পর্শ করিয়া যাওয়ায় দন্ত দেখিয়া এক ছোট জটলার
একজন চোখে মুখে বিরক্তি প্রকাশ করিলেন। শুনিয়াছি ব্লগার গন সামান্য ব্যাপারেই কপাল কুঁচ্কাইয়া ভাব লন।
এনারা ব্লগার না হইয়া যান না। পাশের ষ্টলে বই দেখার ছলে কান এর শ্রবণ শক্তির সর্বোচচ ব্যবহার করিলাম
তাহাদের কথা বার্তায়।
হি হি হা হা এর মাঝে কানে আসিল হঠাৎ সোনেলা নাকি কি এক ব্লগের কথা। পাইছি উহারে পাইছি এইবার,
আমার ব্লগার দেখার খায়েশ পূর্ণ হইতে চলিতেছে। দুই বুড়ো মানুষকে দেখিয়া তো আমি টাস্কি খাইয়া গেলাম,
এত বুড়া লোক ব্লগার! আমি তো ভাবিয়া ছিলাম ব্লগার মানেই কলেজ ভার্সিটি পড়ুয়া ড্যাসিং হিরো হিরোইনের
মত মানুষ হইবে। হঠাৎ দেখি সবুজ ড্রেস পরিহিত বোন বোন মায়াময় মুখের এক আপু সবার উদ্দেশ্যে
কী জানি কী বলিতেছেন। আপুকে দেখিয়া এনাদের লিডার মনে হইতেছিল। আকাশ দেখি টাইপে উপরেের
দিকে চাহিয়া বেখেয়াল ভাবে প্রায় কাছাকাছি চলিয়া আসলাম আপুর। তিনি তাহার মা এর কথা বলিতেছিলেন।
অন্য সবাই শান্ত শিষ্ট বালক বালিকার ন্যায় তাহা শ্রবণ করিতেছিল।
দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া ফটো সেশন চলিতেছিল। ব্লগারতো দেখিলাম, কীভাবে ব্লগ দিয়া ইন্টারনেট চালায় তাহা
কাহার কাছে জিজ্ঞেস করি? আমি কি তাহা শিখিতে পারিব না? 🙁
ইহার পরে সবাই দলবেঁধে হাটা শুরু করিল। কোথায় যায় এনারা? কালো সার্ট গায়ে দেয়া এক ব্লগারের কাছে
খুবই বিনীত ভাবে জিজ্ঞাসা করিলাম, ভাই আপনারা ব্লগার বুঝি? আমাকে একটু শিখাইবেন
কেমনে ব্লগ দিয়া ইন্টারনেট চালায়? উনি আমার কথা শুনিয়া কটমট করিয়া এমন ভাবে তাকাইলেন যে
পারলে লাশকাটা ঘরে নিয়া আমারে কাটিয়া ফালান। সাবধানে দূর হইতে তাহাদের অনুসরন করিলাম।
কেমন গোল হইয়া মাটিতে বসিয়া পড়িল সবাই। কী সব যে এনারা আলাপ আলোচনা করিলেন কিছুই বুঝিতে,
শুনিতে পারিলাম না। তবে তাহারা সবাই যে অত্যন্ত আনন্দ এবং উৎফুল্ল তাহা তাহাদের হাসিমাখা
মুখ দেখিয়াই বুঝিতে পারিয়াছি।
বেশ কিছুক্ষণ পরে চার জনের একটি গ্রুপ আসিল। আলাপ আলোচনায় বুঝিলাম যে এনারাও ব্লগার। ইয়া লম্বা এক নারী ,
ইয়া লম্বা লম্বা তাহার চুল। ইনিও নাকি সোনেলার ব্লগার! এনাদের পরিচয় জানার চেষ্টা করিয়াও পারিনি।
আশাকরি ১২ ঘন্টার মধ্যেই পরিচয় জানা যাইবে এবং প্রকাশ করা হইবে।
সন্ধ্যার পরপরই কি এক অজ্ঞাত কারণে সবাই উঠিয়া দাঁড়াইল। গেইট দিয়া বাহির হইয়া শাহবাগের দিকে
হনহন করিয়া হাঁটিয়া যাইতে লাগিল। এই পদযাত্রার ডানদিকের দাদিমাকে দেখিয়া আমার তো
পরে না চোখের পলক অবস্থা হইয়াছে। উনিও নাকি ব্লগার? কি এক লীলা বটি দাঁ কুড়াল নাকি কি নাম তাহার।
কথায় শুনিলাম যে বটি দাঁ কুড়ালের নাকি একটি পোষ্টে এমন ইংগিত আছে। মাথা এইবার পুরাই আউলা ঝাউলা।
এই দাদিমাও ব্লগ দিয়া ইন্টারনেট চালায় !! আমি আমার এই গেবনটা রাখিবই না। কিন্তু এনারা চলিতেছেন কোথায়?
অবশেষে তাহাদের শাহবাগ অভিমুখে যাত্রার আসল উদ্দেশ্য জানিতে পারিলাম। দুইখান টেবিলে বসিয়া ভালোই
ভুঁড়ি ভোজ করিয়াছেন এনারা। ব্লগ লেখিলেই যে এমন খাওয়া খাওন যায়, তাহা আমার ধারণাই ছিল না।
ইশ কেন যে ব্লগার হইলাম না 🙁 হিংসিত হইয়া সবার খাবারের দিকে লোভ লাগাইয়াছি।
কাহারো পেটের পীড়া হইলে অত্র ওয়াচম্যান দায়ী নহেন।
এই লেখায় যে সমস্ত ব্লগারগনের ফটো আছে, সবার নাম এবং ব্লগ লিংক সকলের সামনে প্রকাশ করা এখন সময়ের দাবী। সহসাই উহা প্রকাশ করা হইবে।
শুভ ব্লগিং।
১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
আড্ডায় অংশ নেনঃ ৬ নং ফটো ঘড়ির কাঁটা আনুযায়ী-
খসড়া , মোশারফ হোসেইন ( জিসান শা ইকরাম এর বন্ধু ), মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন , হিলিয়াম এইচ ই , আবু খায়ের আনিস , নাজমুল আহসান , নাজমুল আহসান এর বন্ধু , জিসান শা ইকরাম , নাসির সারওয়ার , ছাইরাছ হেলাল , কবি ফায়াদ চৌধুরী ,
ড্রথি চৌধুরী।
৯ নং ফটোঃ আবিদা মাসুদ ( জিসান শা ইকরাম এর বন্ধু )
১১ নং ফটোঃ ……………
১৩ নং ফটোঃ ব্লগার এনায়েত উল্লাহ (আমার ব্লগ) , লেখক ব্লগার বন্দনা কবীর , প্রাক্তন ব্লগার শাহনাজ( আমার ব্লগ )
৭৪টি মন্তব্য
ইলিয়াস মাসুদ
প্রথম থেকে দেখতে দেখতে নিচের দিকে খাই দাই ছবিতে চোখ এঁটে গেল !
খুব সুন্দর, সত্যই সোনেলা একটা পরিবার ….
খুব ইচ্ছে হয় এমন আড্ডাতে থাকতে
সবার জন্য শুভেছা -{@
জিসান শা ইকরাম
এটি একটি হঠাৎ আড্ডা ছিল।
সোনেলার মিলন মেলা যে কবে হবে?
শুন্য শুন্যালয়
:D) আমি নিশ্চিত এই পোস্টের লেখক মহাশয় অতি অবশ্যই একজন শিবির ক্যাডার, নয়তো ঘাঘু পকেটমার। ব্লগারের পকেট মারিয়াছেন, এই ভাব লইবার জন্য তৎপর, অথবা জামার ভেতরেই খুঁজিলে দা বটি খুঁজিয়া পাওয়া যাইলেও যাইতে পারে। 😀
লীলা বটী ? :D) আমার ভাবনাকেও হার মানাইয়া গিয়াছে, আমি কল্পনাতেও কল্পনা করিতে পারিনাই, লীলা বটি এত্তো রূপবতী।
হিইংসায় জ্বলিয়া পুড়িয়া যাইতেছি এমন আড্ডা দেখিয়া, লাশ কাটা ঘরে আমারও লইয়া যাইতে মন চাহে, কিন্তু না থাক। লিডার কে দেখে ভয় পাইয়াছি।
ভাবতেছি ভাষ্যকার চুরি করিয়া এতগুলো ছবি কিভাবে তুলিলো? কেউ দেখিতে পাইলে স্বয়ং জিসানি আসিয়াও তাহাকে প্যাদানি থেকে বাঁচাইতে পারিতো না।
শুভ ব্লগিং। অন্যের আড্ডার পোস্ট দেখিয়া আমার কি লাভ হইবে? হুহ্।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু লেখক মহাশয় কি? শিবির ক্যাডার? :D) :D)
জিসান শা ইকরাম
লেখক মহাশয় অতি অবশ্যই একজন শিবির ক্যাডার, নয়তো ঘাঘু পকেটমার ^:^ বুঝলাম আমার চুলের উপর আপনার নজর পড়িয়াছে। আমার নিজের চুল নিজেরই ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে।
লীলা বটি যে এত্তো রূপবতী তা কেউ কল্পনা করেছি আমরা?
দেশে আসুন একবার, আপনার সম্মানেই একটি আড্ডার আয়োজন করা হবে 🙂
ছবি তোলার কত গুপন সিষ্টেম আছে আজকাল ………
আপনার একটা ফটুক পাইলে এডিট কইরা লাগাইয়া দিতাম এখানের আড্ডার মধ্যে। তখন আর অন্যের আড্ডা মনে হইব না।
শুন্য শুন্যালয়
অ্যাঁ? কি কইলেন? এডিট? আমিতো এইবার শিউর হইলাম আপনি লীলা বটির ছবি এইখানে এডিট কইরা লাগায় দিছেন। আপনার দেখি চুলের মায়া আছে অথচ জানের মায়া একটুও নাই। 🙂
আমার সম্মানে আড্ডা? উহ, নীলাঞ্জনা হিংসুইট্টা যেন আবার না দেখে ফেলে। আসবো আসবো, আপনি আবার ঠিকানা বদল কইরেন না।
জিসান শা ইকরাম
লীলা বটিরে কেউ দেখি নাই আমরা, উনি নিজেই একটা পোষ্ট দিয়ে বলেছেন যে এই একজন লীলাবতী, সে ফটো যে লীলার না তা প্রমানিত না। আর দলের সামনে হাটা দাদি মার ফটো আসল এবং অকৃত্রিম। কিভাবে এবং কখন যে উনি লাফ দিয়ে ফ্রেমের মাঝে চলে আসলেন বুঝতেই পারলাম না 🙂
আপনি আর নীলা একসাথে আসুন, বা আলাদা আলাদা হলেও দুজনের সম্মানেই আড্ডা হবে
হিংসা আবার আপনি কইর্যেন না।
ঠিকানা তো সোনেলা, অপরিবর্তনীয়……
আমরা আপনার অপেক্ষায় আছি -{@
শুন্য শুন্যালয়
পিচ্চি পিচ্চি আন্ডা বাচ্চাগুলোকে চিনতে পারছিনা ঠিকভাবে, বাকি সবাইকে চিনিয়াছি। ও হ্যা, গোল্ডেন কালারের মোপাইল হাতে একজন ভাব নিবার লাগছে তারে চিনি নাই। আর এইখানে তো দেখি তালগাছ দুইপায়েই দাড়াইয়া আছে।
জিসান শা ইকরাম
সবাইকে চিনিয়ে দেয়া হবে, চিন্তাইয়েন না।
জন্মদিনে পাওয়া গোল্ডেন কালারের মোবাইল দেখাইতেছে মন হয় সবাইরে, বুড়া মাইনসের ভাব দেখে অবাক হইছি 🙂
তালগাছ দুই পায়ে তো দাঁড়াইয়াই থাকবে,
অনিকেত নন্দিনী
শুন্যাপু গোল্ডেন কালারের মুপাইল দেখলো? আমি তো লালব্যাগ আরআর উঁকি দেয়া ভুঁড়িখানা দেখলাম। :D)
শুন্য শুন্যালয়
লালব্যাগ আর ভূঁড়ি তো পুরান হইয়া গেছে নন্দিনী আপু 😀
জিসান শা ইকরাম
” মেদ ভুঁড়ি কি করি? ” লেখা পড়তাছি, এরপর নিশ্চয়ই বলবেন ভুঁড়ি গেল কই ?
নীলাঞ্জনা নীলা
ইস আমি ক্যানু ব্লগার হইলাম না? ব্লগার হইতে মুন চায় ;(
জিসান শা ইকরাম
ব্লগার হইয়া যাও
এখনো সময় আছে 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
ব্লগার হইবার নিয়ম-কানুন কি?
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
হা হা হা
মেলায় ঘোরার ইতিহাস শুনে হাততেই আছি। 😀 😀
যাক, প্রতিবারের মত এবারও মিলনমেলা মিস করিলাম। ;( ;(
পোস্টে +++++++
জিসান শা ইকরাম
মিলন মেলা না এটা
ফেইসবুকে ষ্টাটাস দেয়ার পরে কয়েকজন এসেছিলেন আড্ডাইতে।
দেশে এলে খবর দিও, অবশ্যই আড্ডা হবে।
শুভকামনা -{@
ছাইরাছ হেলাল
লীলাবতীকে দেখে ভালই লাগল, তবে ব্লগ দিয়ে কীভাবে ইন্টারনেট
চালায় তা নিয়ে তো কাউকে কথা বলতে দেখলাম না, আর টেকাটুকার ব্যাপার অজানা ই থেকে গেল,
যাক অবশেষে সবুজের মায়াময় ব্লগার ও মনে হয় হাইপ্রোফাইল ব্লগার দেখা সাধ পূর্ণ হলো।
অপদার্থ বুড়োরা কোন কাজের না, এদের এড়িয়ে চলাই ভাল।
জিসান শা ইকরাম
লীলাবতীকে সবসময়ই হাই ফাই
ব্লগ দিয়ে কীভাবে ইন্টারনেট চালায় তা জানার জন্য এনাদের পিছনে গোয়েন্দাগিরি অব্যাহত থাকবে।
টেকাটুকার ব্যাপার অজানা ই থেকে যাবে মনে হচ্ছে 🙁
অনিকেত নন্দিনী
ব্লগার দেখতে গিয়া বেদিশা না হইয়া বিদিশার খোঁজ করলে খোদ জিসানি আসিয়া ব্লিচিং পাউডার সমেত ধুইবে। :D)
মাথায় টুপি, লালজামা, কান্ধে ডেস্লার যার তাঁরে চেনা চেনা ঠেকে। আরে! এ দেখি জিরাফ। বাউরে! কী জমানা আইলো। জিরাফও বনজঙ্গল ছাইড়া কান্ধে ডেস্লার লইয়া বইমেলায় যায়। :p অবশ্য ইনার ছবি তোলা নিয়া আমি যথেষ্ট সন্দিহান। সব ছবিতেই ইনি যেভাবে মকশো কইরা দাঁড়াইয়া আছেন তাতে তিনি যে এই ছবির একটাও তোলেননাই সেই ব্যাপারে তো ১০০% নিশ্চিত। 😀
সাদা শার্ট আর নীল জিন্সে নবিশকে দেখতে মাশা আল্লাহ কী ইস্মার্টই না লাগতেছে! দেখতে অইবোনা কার নবিশ? :p (সানগ্লাস পরিহিত ইমোর অভাব বোধ করিতেছি)
এক ভদ্রলোক প্রথমে কান্ধে লালব্যাগ ঝুলাইয়া আর পরে সামনে মুপাইল তাক কইরা আসলে মুপাইল না ভুঁড়ি কোনটা দেখাইতে চাইলো তা ঠিক বুঝলামনা। :p
একদম নিচের দুই ছবি দেইখ্যা আমি যারপরনাই হিংসিত ও চিন্তিত। ভাষ্যকার কি আসলে ব্লগার দেখতে আসছিলেন নাকি ব্লগার দেখার উসিলায় ভুঁড়িভোজ করাই তার মূল উদ্দেশ্য ছিলো? ;? ক্যান যে আমি ব্লগার হইলাম না! ব্লগার হইলে আমিও এই ছবিতে শামিল হইতে পারতাম আর ছবিতোলা পর্ব শেষে খানাপিনায় শামিল হইতে পারতাম। ;(
সবডির খাওনদাওনের ছবি দেইখ্যা ইচ্ছা করতাছে খাওনের মইদ্যে জামাল গোটা মিশাইয়া দেই। :@
অনিকেত নন্দিনী
লীলাবটিরে দেইখ্যা ব্যাপক বিনুদিত ও হতাশ হইলাম। এই খ্যাংরা বুড়ি লীলাবটী? এরে তো দেখতে নিপাট ভালোমানুষ মনে হয়, লগে দা বটিও নাই। তবুও সবাই ইনারে এত্তু ডরায় কেনু? 😮
জিসান শা ইকরাম
এই খ্যাংরা বুড়ি লীলাবটী? :D)
লীলা দেখলে আপনার খবরই আছে 🙂
লীলাবতী
নন্দিনী আপু, আমার পেছনে তাকাইয়া দেখেন, বুড়ো, মাঝারি, ছোকরা সব পোলাগো এখনও লাইন লেগেই আছে। 🙂
দা বটির দিন শ্যাষ আপু, আমার হাতে একটা সেফটিপিন আছে, আর কি লাগে? :p
লীলাবতী
খবর সবার আগে আপনার করবো জিসান ভাই, বলছিলাম আমার ছবিটা না দিতে, সবাই হিংসায় জ্বলে যাবে, তবুও দিলেন?
অনিকেত নন্দিনী
মাথার স্কার্ফে সেফটিপিন তো কয়েকখানাই আছে, এর পাশাপাশি আমি অবশ্য আর্মিনাইফ নিয়া ঘুরি। কেউ তিড়িংবিড়িং করলেই সোজা হান্দায়ে দিমু। 😀
জিসান শা ইকরাম
যাক এটিই যে আপনি, তা এখন প্রমানিত 🙂 @লীলাবতী
খবরে সমস্যা নেই, ব্লগার দেখার ইচ্ছে পুর্ন তো হলো 🙂
জিসান শা ইকরাম
ডেস্লার এর ফটুক একটাও এখানে আসে নাই
তাহার ছবি তোলার দক্ষতা নিয়ে ১০০ ভাগ নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
সোনালী মুপাইল এবং ভুঁড়ি দেখাইতেই আইছিল মনে হয়, বুড়া মানুষের মন বোঝা কঠিন। বুঝি না কেন যে এরা ব্লগিং করেন?
জামাল গোটা আবার কি? ^:^
অনিকেত নন্দিনী
না দেখলে নিশ্চিত হই ক্যাম্নে? ;?
মাইনষে কয় বুড়া বয়সে ভীমরতি। আসলে বুড়া মানুষের মন সাইক্লোনের চাইতেও তীব্রগতিতে ছোটে। নিজে বুড়া হওনের আগে ইহা জান্তামইনা! :p
ইহা একটি বিশেষ ফল যাহা খাইলে দুই নাম্বারের এইরাম বেগ পায় যে টাট্টিখানাতেই বসত গড়িতে হয়। :D)
জিসান শা ইকরাম
আপনি বুড়া হইলেন কবে আবার? 🙂
টাট্টিখানাতেই বসত গড়িতে হয় :D) বরিশাইল্যা কথা তো ভালোই পারেন!
অনিকেত নন্দিনী
অ মোর খোদা!
মুই ত হে কবেত্তেই বুইড়া অইয়া গেছি, আইজগো নতুন বুইড়া অইছি? :p
নাসির সারওয়ার
আবার একটু বলেন, ভালো ভাবে শুনতে পাইনাই টিচার।
জামাল গোটা কি তাহা জানাইয়া এই নবিশ কে যদি একটু শিক্ষিত করতেন…। @ অনিকেত নন্দিনী
জিসান শা ইকরাম
ইহা একটি জাতীয় প্রশ্ন এখন।
অনিকেত নন্দিনী
আবার! আবার! আবার!
একটু না, তিনবার বললাম। এইবার হয়েচে? :p
সুপ্রিয় নবিশ, উপরে জামাল গোটা কী উহা বলিয়াছি। সাক্ষাৎ পাইলে কিন্তু জিজ্ঞাসা করিব। পড়াশোনা ঠিকমতন না করিলে খবরই আছে বটে! :@
অনিকেত নন্দিনী
জাতীয় প্রশ্নের উত্তর দিয়াছি, নিজ দায়িত্বে দেখিয়া লউন। :p
নাসির সারওয়ার
দানে দানে তিন দান। অনেক খুশী আমি।
জামাল নামে আমার এক বন্ধু আছে। তাহাকে এই গোটা কেমন করে খাওয়াবো?
নাসির সারওয়ার
বাহ্, দানে দানে তিন দান। মোগাম্বো খুশী।
জামাল নামের বন্ধুটি কি এই গোটা খেতে পারবে!!
অনিকেত নন্দিনী
নিঃসন্দেহে খাইতে পারিবে। উহাকে চটপটি ফুচকার ভিত্রে ভইরা জামাল গোটা খাওয়ায়ে দিয়া দেখেন তো আগে! :p
নাসির সারওয়ার
সালাম টিচার।
ফুচকা! আমার পছন্দের খাবারের মধ্যে!!
আচ্ছা, আপনার কথা তো ফেলে দেয়া যাবেনা।
জিসান শা ইকরাম
অনিকেত নন্দিনীর সাথে বসে ইহ জীবনে চটপটি ফুচকা খাওয়া যাইত না
মনে রাখিবেক 😀
অনিকেত নন্দিনী
“অনিকেত নন্দিনীর সাথে বসে ইহ জীবনে চটপটি ফুচকা খাওয়া যাইত না। মনে রাখিবেক।”
কোনদিক দিয়া ভোলাইয়াভালাইয়া খাওয়ায়ে দিমু হানে!!!
:D)
শুভ্র রফিক
এখন একটাই স্লোগান,আমি কেন ব্লগার হইলাম না।
জিসান শা ইকরাম
যিনি ব্লগে লেখেন, তিনিই ব্লগার
আপনিও ব্লগার 🙂
মৌনতা রিতু
আহা!কি মজাই না পাইছিলো সবাই ভুড়িভোজে।আমি কিন্তু মামলা করব।কেউ মোরে ডাহে নাই। ^:^ ;(
জিসান শা ইকরাম
কার বিরুদ্ধে মামলা করবেন?
কেউ তো কাউকে ডাকেনি
সবাই নিজে নিজে এসেছেন।
আপনার বিরুদ্ধেই মামলা করুন তাহলে 🙂
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
আহা!
এমন সুন্দর করিয়া বর্নন করিলেন পুরা ঘটনা! পড়িয়া দন্ত বিকশিত হইয়া গেল। 😀
আমার চেহারার মতো এক পিচ্চিকেও দেখিলাম ব্লগে আছে।
( পোষ্ট কত বার পড়া হইয়াছে এই জিনিসটা তো আগে জানা জাইতো, এখন বন্ধ হইয়া গেল কেন! ;(
জিসান শা ইকরাম
সবার পরিচয় এবং ব্লগের লিংক দেয়া হয়েছে
মিলিয়ে দেখুনতো আপনিই সেই পিচ্চি কিনা? 😀
পোষ্ট কত বার পড়া হইয়াছে এই জিনিসটা এখন আর নেই,
আমার পোষ্ট কতবার পঠিত হলো আমি জানতেই পারিনা এখন আর
মডুরা খুবই খ্রাফ :@
তীব্র আন্দোলন ব্যাতিত আমাদের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই।
অরুনি মায়া
শুনছি সোনেলার বলোগার অরুনি মায়াও নাকি নিয়মিত বই মেলায় যায়, তা ভাইজান আপনে তারে দেখেন নাই? ফুডু তে সে নাই ক্যান?
লীলাবতী আফা কোন জন? যদি একটু চিনাইয়া দিতেন |
সাদা শাড়ি পরা অপূর্ব সুন্দরী কোন বলোগার তাও যদি একটু জানাইতেন শান্তি পাইতাম :p
জিসান শা ইকরাম
আমার মনে হইতাছে মায়া যাদুমন্ত্র বিষয়ে পারদর্শী। লোকালয়ে তিনি সকাইকে দেখেন, তাহাকে কেউ দেখতে পারেন না। একারনে তাহাকে দেখিনাই।
লীলাবটি মন হয় ছবিতে সাদা শাড়ি পড়িহিত বিউটিফুল বুড়ি দাদি। লিংক দেয়া আছে ছবির উপরেই। লীলাবটি নিজেই বলে দিয়েছে কে সে। আমরা ধরে নিতে পারি এই বুড়ি দাদিমাই লীলাবতী 🙂
নাসির সারওয়ার
কর্দমাক্ত আকাশ, মেঘযুক্ত মাঠ, বই বিহীন বইমেলা। বাহ, ধারাবর্ণনা বেশ হয়েছে। ইসসসিরে, আরো একটু কেন না থেকে চলে এলাম। এই লীলাবতীকে কি আর পাবো কোনদিন!
তিনজন বুড়া দেখলাম মনে হচ্ছে। ওনাদের তো এখন আশ্রমে থাকার কথা।
জিসান শা ইকরাম
লীলাবুড়ি আসিবে ফিরে হয়ত কাক শকুনীর বেশে 🙂
৩ বুড়াকে বৃদ্ধাস্রমের ঠিকানা দিতে হবে ভাবছি।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাইয়া ব্লগার দেখলেন এবং ভুড়িভজ হইল কোন অতৃপ্তি আছে?
থাকিলে কইয়েন ।
ফুট তুলতে দনে বনে কাইত কুইত হয়ন লাগে।
তুলালাকারের জত পোঁচ মনে হইতাছে উনেই ছবি উঠাইছে।
ভাল লাগলো।
আপনার পরের অফার মাইর গেলেও বাবা অসুস্থ গাঁয়ে গেছিলাম দেখতে।
ভাল থাইকেন।
জিসান শা ইকরাম
আপনার সাথে দেখা না হওয়াটা একটা অতৃপ্তি ভাই। আশাকরি দেখা হবে একদিন।
আপনার পিতা দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠুন এই কামনা করি।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনি ভাল থাকুন।
শুভেচ্ছা নিবেন।
জিসান শা ইকরাম
দেখা হবে অবশ্যই কোন একদিন
শুভেচ্ছা নিন -{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হায় হায় কখন কি ভাবে অবশ্যই এর প্রতিবাদ হবে।সিডিউলহীন আড্ডা মানি না,মানব না ;( সময়ের অভাবে যেতে যোগ দিতে পারিনি।বড় আফসোস লাখছে…..মেলার শেষ দিকে এমন সুযোগ কি পাবো আর? -{@
জিসান শা ইকরাম
আপনাকে মিস করেছি মনির ভাই। প্রাথমিক আলাপ হয়েছে একটা মিলন মেলার। ব্লগার খসড়া এটি সমন্ময় করবেন। সবার সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ফেব্রুয়ারীতে এটি সম্ভবনা আর।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ মনে রাখার জন্য আশা রাখি দেখা হবে এক দিন -{@
জিসান শা ইকরাম
আশা রাখি দেখা হবে এক দিন -{@
ব্লগার সজীব
আমি কেন সময়মত থাকতে পারিনা? ;( প্রিয় কত মুখ আসলেন অথচ আমি দেখতে পেলাম না। খসড়া ভাইয়া আপু হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করলেন। আড্ডায় উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা। লীলাবতী আপু সাদা শাড়িতে!! দারুন মানিয়েছে তো আপুকে :D) :D)
জিসান শা ইকরাম
সবাই সব কাজ সময় মত করতে পারেনা
সময় সবার সাথে সম ভাবে থাকেনা
কি আর করা,
আশা রাখি দেখা হবে এক দিন -{@
লীলাবতীকে না মানিয়ে পারে 🙂
অপার্থিব
তাড়াতাড়ি শিখে ফেলেন নইলে অবস্থা এখন এমন যে কিছুদিন পর ব্লগার দেখতে জাদুঘরে যেতে হবে।
জিসান শা ইকরাম
বাস্তব অবস্থাটা তেমনই
অথচ একসময় শিক্ষিত মানুষ ব্লগার হিসেবে পরিচয় দিয়ে গর্বিত হতো।
শুভকামনা -{@
আবু খায়ের আনিছ
আমার একখান প্রশ্ন আছে সবার কাছে, যাহারা উপস্থিত না থাকিয়াও আলোচনায় থাকে (ব্লগার) তাদের কাছে আমরা এই প্রশ্ন করতে পারি, ব্লগ দিয়া ইন্টারনেট কেমনে চালায়? উনারা যেহেতু পারেন তাই আলোচনায় ছিলেন।
জিসান শা ইকরাম
কেমনে যে চলায়, তা আমারো জানার ইচ্ছে খুব
এখানে যারা ব্লগিং করেন, তারাই উত্তর দিতারেন ভালভাবে 😀
আবু খায়ের আনিছ
সবার উদ্দেশ্যে প্রশ্নটা থাকল তাহলে আমার আর জিসান ভাই এর পক্ষ থেকে।
খসড়া
ব্লগ দিয়া কেমনে ইন্টারনেট চালায় তাই জানেন না মিয়া ব্লগার দেখতে গেছেন, আপনের সাহসতো কম না।
লীলাবতী তুমি কই? তোমারে কেমনে পচাচ্ছে দেখ?
ভাগ্যিস আমি যাই নাই। :p । ঠিক না?
জিসান শা ইকরাম
সবাইরে দেইখ্যা গীবন ১২ আনা ধন্য হইয়া গেছে,
একটু যদি বলতেন কেমনে ব্লগ দিয়া ইন্টারনেট চালায়, তাইলে ষোল আনাই পূর্ণ হইত গীবন 🙂
লীলাবতী নাই, সবাই খুব নিশ্চিন্তে আছি, আর পচাইতাছি 😀
আপনি খুবই ভাগ্যবতী, না যাইয়াও ইন্টারনেট চালাইতে পারেন 🙂 \
শুভকামনা -{@
লীলাবতী
না, না পঁচানি কিসের? খসড়া আপু, দেখেন লাইনের দুইদিকে দুইজন লেডি ক্যাডার লিড দিতাছে, আমার বয়সে আইসা এইরকম কয়জন পারে? 😀
যাক বাবা, তবু খানাপিনার সময় আমার ছবিটা দেয়নাই, তাইলে দন্ত্যের অবস্থা প্রকাশিত হইয়া যাইতো।
জিসান শা ইকরাম
দন্ত দেখাইবেন না বলেই খাবার আগেই ভেগে গেলেন,
পলায়নের আসল রহস্য এবার উদঘাটিত 🙂
সিকদার
:D) :D) :D) :D) :D) :D) :D)দারুন!!!আমারও ব্লগার দেখার বড়ই শখ ।
সিকদার
এরকম আড্ডা মিলন চট্টগ্রামে করুন না ।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা আপনার প্রস্তাব ভেবে দেখবো ভবিষ্যতে।
লীলাবতী
জিসান ভাই, এত্ত মজা করে পোস্ট দেয়া কে শেখালো আপনাকে? ফোঁকলা দাঁত বের করেই আছি, বন্ধ হচ্ছেনা।
সবাইকে কাছ থেকে এভাবে দেখার সুযোগ পাবো হঠাৎ করে ভাবতেই পারিনি, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এজন্য। তবে খুব বড় একটা ভুল হয়ে গেছে, সবার অটোগ্রাফ নেয়া হয়নি। একটা মিলনমেলার সত্যি সত্যি এবার আয়োজন করেই ফেলুন। আমিও অগ্রিম আমন্ত্রিত 🙂
জিসান শা ইকরাম
আপনি আসলেই ঐ ফোকলা দাতের বুড়ি নাকি? হতেই পারেনা, তাহলে প্রথম থেকে ছিলেন না কেন?
হ্যাঁ একটি মিলন মেলা করতেই হয় এবার।